মন_পাড়ায়
পর্ব_৪৪
#নিলুফার_ইয়াসমিন_ঊষা
“ছেলেটা কে জানিস? ছেলেটা ভাদ্র ভাইয়া। আমার মা বাবা এমন কীভাবে করতে পারে? আমার জীবন নিয়ে এমন খেলা করতে হলে এত পড়াশোনা করিয়ে বড় করল কেন? ভাদ্র ভাইয়ার স্বভাব বাচ্চাদের মতো। উনারা আমাকে উনার সাথে বিয়ে দেওয়ার কথাও কীভাবে ভাবতে পারে? আমি কী কোনো খেলনা না’কি যে যে কাউকে দিয়ে দিবে?”
ঝিনুক কিছু সময় স্তব্ধ রইল। তার বুঝে উঠতে সময় লাগলো। সে আবার ভাবলো অঞ্জলির কথাগুলো। সে ইতস্তভাবে বলল,
“তুই….তুই সম্ভবত ভুল শুনেছিস।”
“মা নিজে বলেছে আমায়। বড় স্যার বাবা ও মা’য়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে আর তারা হ্যাঁ বলে দিয়েছে। বলতো তারা এভাবে আমার জীবন নষ্ট করতে চাচ্ছে কেন?”
“তুই চিন্তা করিস না। আমি আছি তো, আমি কিছু হতে দিব না।”
“তুই সত্যি বিয়েটা থামিয়ে দিবি তো?”
“সত্যি। তুই চিন্তা করিস না।”
ফোন রাখার পর ঝিনুক সৈকতকে জাগাতে গিয়েও থেমে গেল। বিকালে অঞ্জলির কথা শুনে সৈকতের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় সে কিছু জানে না। আর ভাদ্রের প্রতি সৈকতের যত্ন ওর এমন কিছু জানার পরও কাওকে কিছু না বলার অর্থ সে আসলেই কিছু জানে না। ঝিনুক যেয়ে বিছানায় বসলো। সারারাত ভরে এই একটাই চিন্তায় ছিলো সে। সারাটারাত তার নির্ঘুম কাটলো।
সকালে সৈকত উঠতেই ঝিনুক তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করল কিছু সৈকত তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। ইগনোর করছে শুধু৷ আজ ভার্সিটি বন্ধ দেখে বাহিরে যেয়েও কথা বলার সুযোগ নেই। তাই বাসাতেই যেকোনোভাবে বলতে হবে। তাই সৈকতের বের হওয়ার পূর্বে সে দরজার সামনে এসে দুইহাত দুইদিকে মেলে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করল আর বলল,
“আমি কিছু বলতে চাচ্ছি সকাল থেকে। কানে কথা যায় না?”
“আমার যতটুকু মনে আছে কেউ বলেছিলো সে আমার সাথে কোনো কথা বলতেই ইচ্ছুক নয়।”
“ওহ প্লিজ নিজেকে এত গুরুত্ব দেবার দরকার নেই। কাজ ছাড়া আমি কথাও বলতাম না। আর তোমার তো কোনো ট্রেন ছুটে যাচ্ছে না। যাচ্ছ তো ওই জ্যোতি কৌতির কাছেই। আমার কথা ওর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
সৈকত ঝুঁকে ঝিনুকের মুখোমুখি হলো। বলল,
“আসলে আমি ইকবালের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জ্যোতির সাথে দেখা করাটাও মন্দ হয় না। ও তোমার থেকে হাজারগুণ বেটার।”
ঝিনুক তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো সৈকতের দিকে।
সৈকত পিছনে ফিরে মোবাইল বের করে বলল,
“আইডিয়াটা কাজে লাগানো উচিত। ওকে কল দিয়ে বলি যেহেতু দুইদিন ভার্সিটি অফফ কোথাও ঘুরে আসি। দুইজনই শুধু যাবে। ট্রিপটা সেই মজার হবে।”
ঝিনুকের কথাটা শুনতেই শরীর জ্বলে উঠলো। বহু কষ্টে সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে সৈকতের সামনে যেয়ে তার হাত ধরে বলল,
“আমার কথা তোমার এইসব কুচুর-পুচুর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?”
সৈকত ঝিনুকের হাত থেকে হাত সরিয়ে বলল,
“মেডাম আপনি তো ময়লা হয়ে যাবেন আমাকে ছুঁলে। পরে আপনার নিজেকেই ঘৃণা লাগবে।”
ঝিনুক মেজাজ খারাপে মেঝেতেই কতগুলো লাথি মারলো। তারপর আচমকায় সৈকতের কলার ধরে এক টানে নিজের কাছে টান দিলো। কাছে আসতেই দুইজনের চোখে চোখ পড়লো। মুহূর্তেই যেন দুইজনে স্থির হয়ে গেল। যেন আশাই করে নি এমন কিছু একটা হবার। মনে উঠলো প্রকাণ্ড এক অনুভূতির ঝড়।
ঝিনুকের নিশ্বাসটাও যেন আটকে আসছিলো। তার এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ পৃথিবীটা স্থির লাগছিলো। নিজ অজান্তেই তার চোখদুটো অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল। কেন তা সে নিজেই বুঝতে পারলো না। সাথে সাথে সৈকত পিছিয়ে গেল। দাঁড়িয়ে অন্যদিকে মুখ করে নিলো। আর বলল,
“অযথা আমার কাছে এসে দুটি হৃদয়ে হাহাকার করো না।”
বলে যেতে নিলেই ঝিনুক নিজেকে সামলে বলল,
“অঞ্জলির বিয়ে নিয়ে কথা ছিলো।”
“আমি ওর থেকে শুনে নিব।”
“বিয়ে ভাদ্র ভাইয়ার সাথে ঠিক হয়েছে।”
কথাটা শুনতেই সৈকত থেমে গেল। পিছনে ফিরে কিছুক্ষণ বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ঝিনুকের দিকে। তার মনে হলো সে ভুল কিছু শুনেছে। তাই জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কার নাম নিলে?”
“ভাদ্র ভাইয়া।”
সৈকত নিজের চোখ মুখ কুঁচকে রাগান্বিত স্বরে বলল,
“তোমার মাথা ঠিক আছে? কী বলছো এইসব? এইসব কথা আমার নিজের মস্তিষ্কে কীভাবে বসালে?”
“আমি কেন তোমাকে ভুল বলব? অঞ্জলি নিজে আমাকে বলেছে।”
“ও হয়তো এক কথা বলেছে তুমি অন্য কথা ধরে নিয়েছ। এইটা সম্ভবই না। আমি নিজে ওকে কল দিচ্ছি।”
“আজব তো আমি মিথ্যা কেন বলবো?”
“আমি বলি নি তুমি মিথ্যা বলেছ, আমি বলেছি তুমি ভুল বুঝেছ। দুইটায় পার্থক্য আছে।”
দুইজনের উঁচু স্বরে কথা শুনে সৈকতের মা এসে পড়লো রুমে। সে দুইজনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,
“কী হয়েছে? দুইজনে ঝগড়া করছ কেন?”
সৈকত রাগান্বিত স্বরে বলল,
“মা দেখ ও উল্টা-পাল্টা একটা কথা বুঝে বসে আছে। ও বলছে ভাদ্র ভাইয়ার বিয়ে না’কি অঞ্জলির সাথে।”
সৈকতের মা’কেও বিস্মিত দেখা গেল। সে বললেন,
“না না এমন কিছু না। ঝিনুক সম্ভবত ভুল বুঝেছে।”
“ঐটাই। এইবার তো মা’য়ের মুখ থেকে শুনলে?”
ঝিনুক বলল,
“কিন্তু অঞ্জলি আমাকে নিজে বলেছে।”
“হয়েছে। এই নিয়ে আর কথা হবে না।”
সৈকতের কথা শুনে মা তার গালে আলতো করে থাপ্পড় মেরে বলল,
“তোর সাহস তো কম না আমার বৌমার সাথে এত উঁচু স্বরে কথা বলছিস?”
সৈকত গালে হাত দিয়ে কপাল কুঁচকে বলল,
“খারাপ কিছু তো বলি নি।”
“আমার সাথে আয় তোকে ভালো খারাপ বুঝাচ্ছি। দুইজনের বিয়ের একবছরও হয় নি আর যা শুরু করলি কয়েকবছর পর কি করবি?”
সৈকত বিড়বিড় করে বলল,
“কয়েকবছর পর বিয়ে থাকলেই না।”
মা কথাটা ঠিক না শুনতে পেরে জিজ্ঞেস করল,
“কী বললি?”
সৈকত দ্রুত মাথা নাড়ালো আর বলল,
“কিছু না।”
বলে ঝিনুকের দিকে তাকাল। চোখে চোখ পড়তেই দুইজনে চোখ সরিয়ে নিলো।
সৈকত মা’য়ের সাথে যখন চলে গেল তখনও ঝিনুক দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানে। চোখ বন্ধ করে গভীর নিশ্বাস ফেললো। তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো সে মধ্যরাতটি……
রাঙামাটিতে দুইদিন কাটিয়ে তাদের বাসায় আসা হলো। তবুও সে রাতে ঘুম আসছিলো না ঝিনুকের। আচমকায় বেজে উঠল ফোনটা। ফোনের শব্দ শুনেই চমকে উঠে সে। এই মধ্যরাতে কে কল দিতে পারে?
সে উঠে ডাইনিং রুমে যেয়ে কলটা ধরলো। ওপাশ থেকে কেউ ঘন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলল,
“আমি তোমার বাসার বাহিরে।”
কন্ঠটা শুনতে চমকে উঠে ঝিনুক। বলে,
“সৈকত আপনি!”
“বাহিরে আসবে একটু?”
“বাহিরে? আপনি না চলে গিয়েছিলেন।”
“একটু আসো না, প্লিজ।”
ঝিনুক ফোন রেখে সর্বপ্রথম তার খালু ও খালার রুমে উঁকি মারলো। দুইজনই ঘুমানো। তারপর গেল বাহিরে। যেয়ে দেখে সৈকত দাঁড়িয়ে আছে। কপাল থেকে সমানে ঘাম ঝরছে। সে এখনো হাঁপাচ্ছে। ঝিনুক তার সামনে যেয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“আপনি না সবার সাথে চলে গিয়েছিলেন? ফিরে এলেন কেন? আর এই অবস্থা কেন আপনার?”
“বাসস্ট্যান্ড থেকে দৌড়ে এসেছি।”
“আপনি আসলেই একটা পাগল। এমন কেন করতে গেলেন?”
বলে নিজের ওড়না দিয়ে সৈকতের কপাল মুছতে শুরু করল আর সৈকত তার হাত ধরে বলল,
“আই লাভ ইউ।”
চমকে উঠে ঝিনুক। থতমত খেয়ে যায় হঠাৎ সৈকতের এমন স্বীকারোক্তিতে। মধ্যরাতের প্রেমাহাওয়া এলো আর তাদের দুইজনকে ছুঁয়ে চলে গেল। সাথে দিয়ে গেল ঝিনুকের গালে লজ্জার রঙ মাখিয়ে। ঝিনুক মাথা নামিয়ে বলল,
“এইটা বলতে এভাবে দৌড়ে এলেন?”
“যদি পরে বলতে না পারি। জীবনটা তো অনেক ছোট তাই দেরি করে লাভ কী বলো?”
ঝিনুক হেসে মাথা নাড়িয়ে বলল,
“পাগল।”
“উওর দেও।”
“কীসের?”
“কীসের মানে? সবে না প্রাপোজ করলাম?”
“এভাবে কেউ প্রাপোজ করে? ফিল্ম দেখেন না?”
“যখন এবং যেখানে অনুভূতিরা তোমাকে ঘিরে বসে তখন এবং সেখানেই নিজের মনের কথা বলে দেওয়া উচিত। এইবার উওর দেও।”
ঝিনুক মাথা উঠিয়ে সৈকতের চোখে চোখ রেখে বলল,
“এতদিনেও কী উওরটা বুঝেন নি বুঝি?”
“বুঝেছি তো কিন্তু তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই।”
ঝিনুক সৈকতের বুকে হাত রেখে আস্তে করে তাকে ধাক্কা দিয়ে বলল,
“সবুরে মেওয়া ফলে। অপেক্ষা করতে শিখুন আর যান এইখান থেকে এখন।”
সৈকত ঝিনুকের হাত ধরে তাকে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে এলো আর বলল,
“উওর না দিলে আজ যাওয়া হচ্ছে না। অনশন করব তোমার বাসার সামনে। তারপর তোমার খালু ও খালামণিকে কী উওর দিবে তুমি জানো।”
ঝিনুক হেসে তার পায়ের আঙ্গুলে ভর দিয়ে দাঁড়াল। সৈকতের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
“ভালোবাসি।”
আচমকায় মনে হলো বুকের ভেতটা যেন কেউ চেপে ধরলো। অতীতের পাতা থেকে বেরিয়ে বর্তমানে ভীষণ অস্বস্তি লাগলো ঝিনুকের। তার মনে হচ্ছে তার চারপাশের হাওয়ায় মেশানো শুধু বিষণ্ণতা আর বিষণ্ণতা…….
.
.
প্রভা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলে খোপা বাঁধতে যেয়েও থেমে গেল। তার মনে পড়লো অর্ক একবার বলেছিল তাকে না’কি খোলা চুলে বেশি ভালো লাগে। অর্কের কাছেও কী ভালো লাগে?
ভাবতেই চুলটা খুলে দিলো প্রভা। আয়নায় তাকিয়ে মৃদু হাসলো। আজ কতবছর পর অন্য কারও পছন্দটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার জন্য। ব্যাপারটা অস্বস্তিকর হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ব্যাপারটা ভেবে হৃদয়ে অদ্ভুত এক উষ্ণতার আভাস পাচ্ছে সে।
আয়নাতে নিজেকে দেখতে শুরু করল। খারাপ লাগছে না। শুধু অপূর্ণ লাগছে। কিন্তু কীসের অপূর্ণতা সে বুঝতে পারলো না। আয়নার দিকে নিজের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো তবুও দেখতে পারলো না। অবশেষে দেখল অর্ক তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। নিজ অজান্তেই তার হাসিটা প্রশস্ত হয়ে গেল। তার অপূর্ণতাও যে পূর্ণতা পেল।
অর্ক কিছু না বলেই তিনটা গোলাপ প্রভার চুলের একপাশে লাগিয়ে বলল,
“ক্লিপ দেও।”
“আমি লাগিয়ে নিচ্ছি।”
“উফফ প্রভা তুমিও না বেশ কথা বলো।”
প্রভা হেসে একটা বাক্স থেকে ক্লিপ বের করে দিলো অর্ককে। অর্ক ফুলটা মাথায় লাগিয়ে দিয়ে প্রভাকে নিজের দিকে ঘুরালো তার কপালে শাড়ির সাথে মিলিয়ে নীল রঙের একটি টিপ লাগিয়ে দিলো। যত্ন করে হাতে ক’টা চুড়ি পরিয়ে বলল,
“সুন্দর লাগছে।”
“তাই? দাঁড়ান দেখি তো।”
প্রভা ঘুরতে নিলেই অর্ক তার কাঁধ ধরে থামিয়ে দেয় তাকে। বলে,
“আমার চোখে দেখে নেও। হাজারোগুণ বেশি সুন্দর লাগবে তোমাকে।”
কথাটায় কী ছিলো সে জানে না। কিন্তু সে কথায় প্রভার বুকের ভেতর ধ্ক করে উঠলো। সে মুচকি হেসে মাথা নামিয়ে নিলো।
অর্ক তার চিবুকে হাত রেখে মুখটা তুলল। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলল,
“তুমি জানো, আমার জীবনের দেখা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটা তুমি।”
বলে প্রভার দিকে ঝুঁকে তার কপালে আলতো করে চুমু খেল।
ভালোবাসার ছোঁয়াটা পেতেই চোখ বন্ধ করে নিলো প্রভা। চোখ বন্ধ করার সাথে সাথেই তার গাল বয়ে গেল এক ধারা নোনাজল। মনের গহীনে এত বছরের ব্যাথাটা আজও আছে তবে আজকের ব্যাথাটা মধুর। ভীষণ মধুর।
অর্ক মুখ তুলে দেখলো প্রভার গালে বয়ে যাওয়া জল। সে প্রভার গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলল,
“আজকের পর আর কখনো তোমার চোখের কষ্টের জল আসতে দিব না প্রভা। আর কখনো না।”
প্রভা চোখ দুটো খুলল। সে অশ্রুসিক্ত চোখ নিয়েই মৃদু হেসে বলল,
“যাওয়া যাক?”
অর্ক হেসে মাথা নাড়ালো। প্রভার হাতটা নিজের হাত নিয়ে পথ চলতে শুরু করল।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যেয়ে প্রভাকে এক কোণায় দাঁড় করিয়ে বলল,
“তুমি এইখানে থাকো। আমি উপহারটা নিচে দিয়ে আসি। সেখানে ভিড় অনেক তাই তোমাকে এখানে রেখে যাচ্ছি। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আসব। তুমি নড়বে না। ঠিকাছে?”
প্রভা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল।
অর্ক যাওয়ার পর প্রভা আশেপাশে দেখছিল। কিছুক্ষণ পরই তার কাঁধে কারও ছোঁয়া পায় প্রভা। সে বলল,
“এত জলদি উপহার দিয়ে এসে…..”
পিছনে ফিরেই থমকে গেল সে। লোকটাকে দেখেই যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।
চলবে……
[আশা করি ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন ও ভুল হলে দেখিয়ে দিবেন।]
পর্ব-৪৪ঃ
https://www.facebook.com/828382860864628/posts/1255819754787601/