রোমান্টিক_বুডো_বর #পর্ব৫ #মোহাম্মদ_আবদুল্লাহ

0
386

#রোমান্টিক_বুডো_বর
#পর্ব৫
#মোহাম্মদ_আবদুল্লাহ

.
.
পারভেজ:হ্যালো কে বলছেন
,
,
আমি: আমি বলছি😤😤
,
পারভেজ: আমি টা কে 😒😒(পারভেজ তুলিকে চিনেও না চেনার ভাব করছে)
,
আমি:চিনেন না নাকি চিনেও না চেনার ভাব করছেন 😠😠
,
পারভেজ: দেখুন পরিচয় না দিলে আমি রেখো দেবো আমি এখন বিজি ,😜।
,
আমি:(😠😠 কতো বড়ো সাহস বলে ফোন কেটে দেবে ,
আমি তোর গলা কেটে দেবো , আমাকে বিজি দেখাস না তোকে মজা দেখিয়ে ছাড়বো(মনে মনে)
,
পারভেজ: হ্যালো কি হলো কি পরিচয় দিচ্ছেন না কেনো হে😉
,
আমি: আমি তুলি😡 বলছি , এখন চিনছেন মিস্টার বুড়ো😏
,
পারভেজ: আমার পিচ্চি বউ তুলি নাকি-(মুখ চেপে হেসে ☺️)
,
,
আমি: (হেরে হে বুড়ো তোর বউই (মনে মনে) আমি পিচ্চি😠
কি মনে হয় পাশের বাসার ভাবি বলছে বুঝি 😠
,
পারভেজ:আরে না ,বলো কি বলবে😎😎
,
আমি:বাসায় কখন আসবেন?
,
পারভেজ: আমায় মিস করছো বুঝি ☺️
,
আমি:জি না , আম্মু বললো তাই জিজ্ঞাসা করলাম ফোন করে🙄
,
পারভেজ:ওহ আমি মনে করেছি🙁 —
,
আমি:কি মনে করেছেন শুনিতো!!
,
পারভেজ: কিছু না ,
,
আমি: তা আসবেন কখন ?
,
পারভেজ: জানি না কখন আসবো
,
আমি:জানেন না মানে কি?
,
পারভেজ:জানি না মানে জানি না ,
এখন আমি একটু বিজি আছি পরে কথা বলবো
,
আমি:এই শুনুন —টুট টুট টুট (পারভেজ কল কেটে দিলো )
খুব বিজি দেখানো হচ্ছে তাই না আসুক দেখাবো মজা কতো ধানে কতো চাল 😤
,
,
,
নিচে আসতেই আম্মুর প্রশ্ন—
,
মা:কিরে জামাই কি বললো আসবে কখন?
,
আমি: জানি না
,
মা:জানিস না মানে–
,
আমি: তোমার জামাই বলেছে সে জানে না কখন আসতে পারবে সে নাকি বিজি😒
,
মা:ওহ তাই বল , মনে হয় কোনো কাজে আটকে গেছে
,
আমি:কাজে না ছাই নিশ্চয়ই কলিগ মেয়েটার সাথে ঘুরছে লুচু একটা(মনে মনে)
,
মা :কিরে কি হলো কি
,
আমি: না কিছু না , আচ্ছা আমি উপরে যাচ্ছি কিছু ভালো লাগছে না
,
মা; কেন কি হয়েছে?
,
আমি: কিছু না মা (এই বলে চলে আসলাম রুমে)
,
,
রাত ১০টা বাজে এখনোও নবাব সিরাজউদ্দৌলার নাতিন ,
বুড়ো খাটাস এখনোও আসার নাম নেই আব্বু আম্মু না খেয়ে বসে আছে ,
জামাই আসলে খাবে যতো সব ঢং।
আমি মাকে ছাপ জানিয়ে দিয়েছি ,
এখন আমাকে খেতে না দিলে সারারাত না খেয়ে থাকবো ।
তাই আম্মু বাধ্য হয়েয় আমাকে খেতে দিলো।
আব্বু কখন থেকে আমার সামনে পাইচারি করছে ,
আর আম্মু আমার সামনেই বসে আছে ।
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলে আব্বু দূত গিয়ে দরজা খুলে দিল ,
তার মানে এসেছে এতোক্ষণে খাটাসটা,
হাতে অনেক গুলো শপিং ব্যাগ নিয়ে ও এসেছে ,
আমি আড়চোখে চেয়ে দেখছি আর খাচ্ছি।
,
বাবা: এতোক্ষণ কোথায় ছিলে বাবা?
,
পারভেজ:একটু কাজ ছিল আর আপনাদের জন্য এই টুকিটাকি কিছু কিনতে দেরি হয়ে গেলো আব্বু
,
আমি:কাজ ছিলো না কচু ছিলো ,
মেয়েদের সাথে ঘুরাঘুরিই উনার কাজ (মনে মনে)
এসব আমার আর সহ্য হচ্ছে না তাই উঠে রুমে চলে গেলাম।
,
আম্মু: কি দরকার ছিলো এসব কেনার বাবা।
,
আব্বু: সত্যিই তো কি দরকার ছিলো এসব এর।
,
পারভেজ: অবশ্যই দরকার ছিলো আব্বু আম্মু,
আমি কি পারি না আমার আব্বু- আম্মুর জন্য কিছু কিনতে।
,
আম্মু:আমরা তেমন করে কিছু বলতে চাই নি বাবা।
তুমি অবশ্যই আনতে পারো।
,
আব্বু:তুলির আম্মু জামাই হাত থেকে ব্যাগ গুলো নাও,
আর জামাই যাও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো একসাথে খাবো।
,
,
পারভেজ: আব্বু আচ্ছা।
,
(এই বলে পারভেজ রুমে চলে গেলো। ),
,
,
কখন থেকে ঘরে এসে বসে আছে।
কিন্তু বুড়োটার এখন এলো,
খাটাস একটা(মনে মনে)
,
পারভেজ: মনে মনে গালি দিচ্ছো বুঝি😊
,
আমি উনার কথায় একটু ঘাবড়ে গেলাম,
আমি গালি দিচ্ছি উনি বুঝলেন কিভাবে,
তাই কথা ঘুরানোর জন্য বলে উঠলাম।
,
আমি: কেমন ঘুরলেন আপনার সুন্দরী কলিগ এর সাথে?
,
পারভেজ: হুম অনেক ভালো ঘুরেছি,
আমাকে তো ছাড়তেই চাচ্ছে না ,
কোনো রকম ভাবে বুঝিয়ে এসেছি😎এই আর কি।
,
আমি:ওহ তাই নাকি তা আসার কি দরকার ছিলো থেকে আসতেন ওর বাসা থেকে😡😡
,
পারভেজ:ঠিকি বলেছো থেকে আসলেই মনে হয় ভালো হতো😝😝।
,

,
,
,
আমি:কি বললেন 😠
,
পারভেজ:কই কিছু না তো 😜।
এই নাও(একটি ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে)
,
আমি:কি আছে এতে—–?
,
পারভেজ:খুলে তো দেখো😉
,
আমি ব্যাগটা খুলে দেখলাম একটা খুব সুন্দর জামদানি শাড়ি।
দেখে খুব খুশি হলাম .
কিন্তু পরক্ষণেই আবার ভাবলাম ,
নিশ্চিত উনার ওই সুন্দরী কলিগটা পছন্দ করে দিয়েছে।
,
আমি:এটা তো একটা শাড়ি 😒
,
পারভেজ: হুম শাড়ি কেমন হলো🙂
,
আমি: দেখতে তো ভালোই,
কে পছন্দ করেছে,
নিশ্চয়ই আপনার সুন্দরী কলিগ।
,
পারভেজ: হুম,ওই পছন্দ করে দিলো,
আর আমি ওকে একটা শাড়ি পছন্দ করে দিলাম(ডাহা মিছা কথা)
,
আমি:ওহ তাই বলুন, ভালো করেছেন।
,
পারভেজ:কিনে দিলে কি কোনো সমস্যা?
,
আমি:নাহ নাহ কিসের সমস্যা কোনো সমস্যায় না ,
আপনার টাকা দিয়ে যাকে যা খুশি কিনে দিতেই পারেন ,
কিন্তু আমার জন্য নাও আনলে পারতেন (কিছু টা মন খারাপ করে)
,
পারভেজ: (মুচকি হেসে)ওহ তাই বলো।
এই বলে পারভেজ নিচে চলে গেলো আর আমি শুয়ে পড়লাম,
রাতে আর একটাও কথা বলি নি আমার বুড়ো বরটার সাথে।
,
,
,
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খাটাসটা আমার আগেই উঠেই নিচে চলে গেলো,
একটাবার ও ডাকলো না দেত না ডাকলে নায় যতো সব ,
আমি কেনো এতো চিন্তা করছি এই বুড়োটার।
,
,
সকালের নাস্তা টা করে আব্বু আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশ্যে।
আম্মু অনেক বারি বলেছে কয়েক দিন থাকতে,
কিন্তু আমি থাকি নি।
,
গাড়িতে অনেকক্ষণ বসে আছি,
আর উনি ড্রাইভিং করছে,
কেউ কারো সাথে কোনো রকম কথা বলিনি রাস্তায়।
,
,
বাসায় এসে আমি রুমে চলে গেলাম,
উনি এসে–
,
পারভেজ:কি মন খারাপ?
,
আমি: হুম আব্বু আম্মুর জন্য একটু খারাপ লাগছে।
,
পারভেজ :মন খারাপ করো না কয়েক দিন পর আবার নিয়ে যাবো।
,
আমি: হুম।☺️☺️
,
পারভেজ: আচ্ছা আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসি
,
আমি:হে যান , আমি আপনার জন্য কিছু রান্না করি।
,
পারভেজ:😵😵😵 তুমিই রান্না করতে পারো
,
আমি:হে😏 পারি ।কি মনে করেছিলেন আমি আপনার মতো অকর্মা নাকি হে । আমি সব রাঁধতে পারি।
,
পারভেজ:কি আমি অকর্মা 😤😤,
তুমি জানো আমি একাই অফিসের কতো কাজ করি।
,
আমি:কি কাজ করেন তা তো জানি আমি😏
,
পারভেজ:কি কাজ করি বলো বলো🤔🤔
,
আমি: মেয়ে পটানোর কাজ (এই বলে এক ছুটে রান্না ঘরে চলে আসলাম 🤣🤣🤣 বুড়ো বর কোথাকার।আমার সাথে লাগা না ।বোঝাবো মজা)
,
পারভেজ:কি ফাজি মেয়ে রে বাবা😒😒😒 যাই হোক আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
,
,
আমি :কি যে রান্না করি ,
আইডিয়া ভাত ,আলু ভর্তা আর ডাল করলে আপাতত কেমন হয়,☺️।
ঠিক যা ভেবেছি তাই রাঁধবো।
,
(এদিকে পারভেজ ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে এক ঘন্টা বসে বসে টিভি দেখছে ,
ক্ষুধায় পেট ফেটে যাওয়ার জোগাড়,
তাই বাধ্য হয়ে রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে।
গিয়ে দেখে তুলি খাবার টেবিলে সাজাচ্ছে)
,
পারভেজ:কি রান্না হলো শুনি? নিশ্চয়ই কিছুই করতে পারোনি ।
আমি আগেই জানতাম তুমি পারবে না
,মিছে মিছে সময় নষ্ট করা ,
যায় বাইরের থেকে কিছু নিয়ে আসি
,
আমি:এই যে হনুমান ,কি বললেন 😠
আমি রাঁধতে পারি না , তাহলে এগুলো কি ?
,
পারভেজ: সত্যিই তুমি রেঁধেছো ,কই দেখি ,
,
আমি,:☺️
,
পারভেজ:ভাত ,আলু ভর্তা আর ডাল শুধু😰
,
আমি:😕😕
,
পারভেজ: কিন্তু বেশ হয়ে যাবে😝😝
,
আমি:☺️☺️☺️
,
পারভেজ:দাও দাও যলদি খেতে দাও,
আমার খিদেতে পেট ফেটে যাচ্ছে।
,
আমি: হুম আচ্ছা । খাবার দিতে দিতে আমি বলে উঠলাম—
আচ্ছা আমি কি কাল থেকে ভার্সিটি তে যেতে পারি ?
,
পারভেজ: হে অবশ্যই যেতে পারো ,
আমি চাই তুমি লেখা পড়া চালিয়ে যাও ।
মেয়েদের নিজের জীবনে কিছু জিনিস নিজের থাকা উচিত ,
তার মধ্যে পড়াশোনা অন্যতম।
,
(উনার কথা শুনে আমার খুব ভালো লাগলো)
,
পারভেজ:বাহ বাহ তুমি তো দেখি অনেক মজা করে রাঁধতে পারো,
আলু ভর্তা টানা সেই হয়েছে।
,
আমি: ধন্যবাদ আপনাকে ☺️
,
এর মধ্যে আমার বুড়ো বরটার ফোন এ কল আসে ।
আমি নিশ্চিত উনার ওই শাকচুন্নী কলিগ টা ।
,
,
পারভেজ: হ্যালো বলো শুভা কি খবর।
,
শুভা-:——-
,
পারভেজ:এই তো খাচ্ছি। তুমি খেয়েছো?
,
শুভা:——-
,
পারভেজ:ওহু এমন করলে তো শরীর খারাপ করবে ,
যাও এখনি খেয়ে নাও । খেয়ে কল দিও।
,
শুভা:——
,
পারভেজ: হুম রাখি বাই
,
আমি :😠😠😠কে ছিলো নিশ্চয়ই আপনার ওই শাকচুন্নী কলিগ টা।
,
পারভেজ: শাকচুন্নী কলিগ মানে ।
কি সব বলছো ।
এতো সুন্দর মেয়েটাকে তুমি কি না বলো শাকচুন্নী।
,
আমি:😠😠😠😤😤😤😤
,
পারভেজ:জানো ও আমার কতো যত্ন নেয় ,
অফিস টাইমে শুধু পারভেজ পারভেজ (ডাহা মিথ্যা কথা,
শুভা পারভেজ এর্ কলিগ হলেও ,
শোভাকে পারভেজ নিজের বোনের মতো দেখে,
আর কয়েক দিন আগে শোভার ব্রেকআপ হয়,
তাই তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পারভেজ কথা বলে,
তাদের সম্পর্ক ঠিক করতে শোভাকে হেল্প করবে বলেছিল।
তাই শোভা পারভেজ এর কাছে কল করেছিল।)
,
আমি:তাই শোভা আপনার খুব যত্ন নেয় 👿👿
,
পারভেজ:হে করে তো
,
আমি :ওহ তাহলে আমাকে না এনে ওকে নিয়ে এলেন না কেনো 😠😠😠
(এই বলে আমি রুমে চলে এলাম ।
চান্দু তোমাই আমি মজা দেখা বো বলে দিলাম।)
,
(এই বলে তুলি ঘুমিয়ে পড়লো আর পারভেজ তুলির দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।)
,
পারভেজ: সত্যিই পিচ্চি বউ আমার পাশাপাশি রাগিও ☺️
,
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here