অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৩৮

0
443

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৩৮

চোখ খুলে দেখি ট্রেন ছুটছে দ্রুতগতিতে। বেঁচে আছি কি করে ভেবে পেলাম না। বাবার কাছ থেকে সরে এসে জানালার বাইরে মাথা বের করলাম। আমাদের বগিটাই শেষ বগি। পেছনের তিনটে বগির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া গেল না। হয়তে বিস্ফোরণে তিনটা বগিই উড়ে গিয়েছে। মহান রবের অপার দয়ায় বিমোহিত হয়ে গেলাম। তিনি আমাদের সামনে কিভাবে যেন অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রেখেছিলেন। চলন্ত ট্রেনেই সিজদাহয় লুটিয়ে পড়লাম। আল্লাহু আকবর বলতে বলতে নিঃশ্বাস আটকে আসছিলো আমার। আল্লাহ এত্ত মহান! আগে শুধু মহান বলতাম, ভাবতাম৷ কিন্তু উপলব্ধি করতে পারিনি কখনো৷ আজ মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখে তাঁর মহত্ত্ব বুঝতে পেরেছি। কথায় আছে না, মানুষ ঠেকে শিখে। ঠেকায় না পড়লে আল্লাহ চেনা যায় না। সত্যিই আজ আল্লাহকে চিনেছি অন্য আরেকভাবে।

ধকল সামলে উঠতে উঠতে ঘন্টাখানেক লেগে গেল। তারপর আবার সব শান্ত। রাতের আঁধারে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেল সবাই৷ এখন মধ্যরাত। আল্লাহ ডাকছেন আমাদের। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে আজ তাহাজ্জুদ পড়তে পারছি না। ট্রেনে ওযু করার উপায় নেই। তায়াম্মুমের জন্য মাটি নেই। আসার আগে কিছু মাটি নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। নিচে পড়ে থাকা ডায়েরিটা তুলে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলাম। পড়ার মুড চলে গেছে। আল্লাহর যিকর করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেই জানি না। সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন বাবা ট্রেন থেকে নামার তোড়জোড় করছেন। ঘুম ভাঙ্গার মিনিট পাঁচেক পরই রেলস্টেশনে আমরা জিনিসপত্র নিয়ে নেমে পড়লাম।

তানভীর ভাইয়া স্টেশনে এসেছে আমাদেরকে নিতে। নাকীবের পিছু পিছু হাঁটছি যাতে ওনার সাথে কথা বলতে না হয়৷ ভাইয়া সবার সাথে কথা বললেন। আমার সাথে কথা বলতে এলেই নাকীব হেসে বলে উঠলো,
“চলেন ভাইয়া, যাওয়া যাক। ওসব বাড়িতে গিয়ে হবে।”

তানভীর ভাইয়া ব্যাপারটা বুঝলেন না। তিনিও হেসে লাগেজ টেনে গাড়িতে উঠাতে লাগলো। তারপর শুরু হলো আমাদের তিনঘণ্টার যাত্রা। তানভীর ভাইয়া ড্রাইভ করছেন, পাশের সিটে বাবা। পেছনের সিটে মা, নাকীব ও আমি। গাড়িতে সবাই কথা বলছে শুধু আমি চুপ৷ কন্ঠস্বরও পর্দার অন্তর্ভুক্ত তাই৷ জানালার বাইরে তাকিয়ে আছি। সদ্য ভোর হতে শুরু করেছে৷ আমাদের আরও আগে আসার কথা থাকলেও ট্রেনে ঝামেলা হওয়ায় দেরী হলো। বাবা হয়তো খালামণিকে জানিয়েছেন ঘটনা৷

গাড়ি ছুটছে আপন গতিতে। শীতল হাওয়ায় নিকাব উড়ে যেতে চাইছে। দূরন্ত বাতাসে চোখ খোলা রাখা দায়৷ বেশ ভালোই লাগছে। গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে এক চিলতে রোদ। হয়তো সূর্য উঁকি দিচ্ছে পূব আকাশে।

তানভীর ভাইয়ার ঠিক পেছনে বসে আমি। আমার জানালার গ্লাস খোলা রাখায় হয়তো ওনার সমস্যা হচ্ছিল। তিনি মোলায়েম কন্ঠে বললেন,
“হৃদি, গ্লাস কি আরেকটু উঠিয়ে দিবে?”
আমি বিনাবাক্যে গ্লাস খানিকটা তুলে দিলাম।

সকাল সাতটা নাগাদ আমরা পৌঁছালাম ঘাটে। এখান থেকে বাকী পথ নৌকায় পাড়ি দিতে হবে। তানভীর ভাইয়া আমাদেরকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি দিয়ে এলেন তার বন্ধুকে। গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে বাড়ি নিতে হবে। সে রাস্তা বহুদূর গিয়ে বাড়ির পথ ধরেছে৷ যেতে লেগে যাবে আরও প্রায় ৩/৪ ঘন্টার মতো৷ তবে গাড়িটা এখানেই কোথাও গ্যারেজে রাখে। বাবাকে এসব কথা বলছিলেন তানভীর ভাইয়া। শুনতে শুনতে বেশ হাঁপিয়ে উঠছি৷ এতদূরে মানুষ থাকে? ধুরর! কোন কুক্ষণে যে নাকীব খালার বাড়ির কথাটা বলেছিলো। যত্তসব!
নাকীব ফিসফিস করে বললো, “কি এত বিড়বিড় করছো?”

তানভীর ভাইয়া আগেই নৌকায় উঠে পড়েছেন৷ তারপর মাকে টেনে তুললেন তিনি। এরপর বাবা গেল, তারপর তিনি স্বাভাবিকভাবেই আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। নাকীবকে ঠেলে দিয়ে বললাম, “সবই তো জানিস।”
ও হাসতে হাসতে ভাইয়ার হাত ধরে এক চোখ টিপে আমার দিকে হাত বাড়ালো৷ ওর হাত ধরে নৌকায় পা রাখলাম।

নৌকাতেও আমরা দুজন পাশাপাশি বসেছি। মায়ের পাশে তানভীর ভাইয়া, মাঝখানে বাবা। নাকীবকে বললাম,
“তানভীর ভাইয়া যতক্ষণ আমার আশেপাশে থাকবে ততক্ষণ তোর মনোযোগ যেন আমার দিক থেকে না সরে।”
“হ্যাঁহ! বডিগার্ড রাখছো আমাকে?”
“খুব তো বড় গলায় বলিস বাবা-মায়ের অবর্তমানে তুই নাকি আমার গার্জিয়ান?”
“হুহ! দেখছো না শুরু থেকে সামলে আসছি? বাবা-মা কিছু করেছে? ওরা চক্ষুলজ্জার ভয়েও তানভীর ভাইয়াকে কিছু বলবে না।”

আমাদের কথা বলার মাঝখানেই তানভীর ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
“হৃদি দেখছি বরাবরই চুপচাপ৷ এসে পর্যন্ত একটা কথাও বলেনি।”
নাকীব আমার দিকে তাকালো আর ফিক করে হেসে বললো,
“লাষ্টটাইম যখন আপনাদের দেখা হয়েছিল তখন নাকি ঝগড়া করেছিলেন? সেই রাগ রয়ে গেছে বোধহয় মনে।”
তানভীর ভাইয়া একটু লজ্জা পেলেন মনে হয়৷ মা বললেন,
“তোদের তো এই ঝগড়া, এই মিল। সেসব ধরে বসে থাকলে হবে হৃদি?”

আরে ধুর! আমি আবার সেসব কবে ধরে বসে থাকলাম? আমার তো মনেই ছিলো না ওনার কথা। ওনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে বোধহয়৷ কবেকার কথা আমার মনেও নেই। তবে হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকে আমাদের মধ্যে ঝগড়াটা লাগতো প্রচুর। তানভীর ভাইয়া সারাক্ষণ আমার পেছনে লেগে থাকতো আর কাঁদাতো আমায়৷ খালামণি তো প্রায়ই বলতেন,
“তানভীর বোধহয় আজীবন তোর পিছেই লেগে থাকবে রে হৃদি।”
তানভীর ভাইয়া আমায় ঠিক নামে ডাকতো না কখনোই। সবাই হৃদি ডাকলে সে ডাকবে জেদি বলে। খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। তবে তার ব্যক্তিত্ব প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে আমায়। দুষ্টামির সময় দুষ্টামি কিন্তু একবার গম্ভীর হয়ে গেলে ওনাকে বোঝে এমন সাধ্য নেই কারো। তবে উনি শুধু আমাকেই ক্ষেপাতো এবং আমার সাথেই যত দুষ্টামি করতো৷ আমাদের আরও খালাতো, মামাতো ভাইবোন থাকলেও তাদের সবার সাথে তিনি খুব একটা মিশতেন না। জাস্ট হাই, হ্যালো সম্পর্ক সবার সাথে। নাকীবের সাথেও ওনার খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়।

“এ্যাঁই হৃদি, কখন থেকে কথা বলে যাচ্ছি। তোর কোনো সাড়া নেই কেন?”
“ও ভাবছে মা, ভাবতে দাও৷ ওর বিরাট বড় সাম্রাজ্য আছে ওগুলো তো ফেলে এসেছে। খাজনা আদায় করেনি বলে ক’দিন পর বোধহয় অন্য রাজা ওর সম্পত্তি দখল করতে আসবে৷ খাজনা কিভাবে আদায় করবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত আমাদের চিন্তিত মহারাণী।” বাদাম ছিলে চামড়াগুলো হাত থেকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে একমুঠো বাদাম মুখে পুরে দিয়ে বললো নাকীব।

সবাই হো হো করে হাসতে লাগলে ওর কথায়। যেন খুব মজার জোকস বলেছে। তানভীর ভাইয়া না থাকলে নিশ্চিত একটা কিল খেতো আমার। অসভ্য ছেলে!

আমাদের নামার সময় হয়ে এলো। নৌকা থেকে নামার সময় যথারীতি হাত বাড়িয়ে দেয় তানভীর ভাইয়া৷ তিনি সবাইকেই আসলে নিজে হাতে ধরেই নামাচ্ছেন। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আমার দিকে হাত বাড়াচ্ছেন তেমনটা নয়৷ নাকীব হেসে আমার হাত ধরে বললো,
“ছোট হয়েও সেই ছোটবেলা থেকে ওকে টানছি ভাইয়া। মাঝখান থেকে আপনি আর কষ্ট করবেন কেন? আমিই তুলি।”
কথাটা যদিও খোঁচা মারা তাও নাকীবের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়৷ নৌকা থেকে নেমে অল্প কিছুটা হেঁটে তারপর খালামণির বাসা। নাকীবের পাশাপাশি হাঁটছি৷ ও সারাক্ষণ কার সাথে যেন চ্যাট করছে। বুঝলাম না, হঠাৎ কার সাথে এত কথা বেড়ে গেল। আর এখানে আসার পর থেকে দেখছি ও শুধু আমায় খোঁচাচ্ছে। একবার সুযোগ পেয়ে নিই মজা দেখাবো তোকে। চুইংগাম চিবাতে চিবাতে চ্যাট করছে নাকীব৷ আমার দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে বললো,
“এত খেয়াল রাখছি তাও আমায় মজা দেখাতে ইচ্ছে করছে তোমার? যাও সরে দাঁড়ালাম। তানভীর ভাইয়া তোমায় মজা দেখাক।”
বলেই সরে দাঁড়ালো। তানভীর ভাইয়াকে গিয়ে বললো,
“ভাইয়া, আপনার সাথে নাকি আপুর কথা আছে।”
“কি অসভ্য!” বিড়বিড় করে বললাম।

তানভীর ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “কথা বাড়ি গিয়ে হবে জেদি। স্যরি, হৃদি। এই তো কাছেই, চলে এসেছি।” মায়ের লাগেজটা টানতে টানতে দ্রুত সামনে অগ্রসর হলেন তানভীর ভাইয়া।

তানভীর ভাইয়া চলে যেতেই ধুম করে একটা কিল বসিয়ে দিলাম নাকীবের পিঠে। ও সাথে সাথে চেঁচিয়ে বললো,
“মা, দেখো না আমায় কত জোরে একটা কিল বসিয়ে দিলো।”
“কেন রে হৃদি? বেড়াতে এসে এমন করছিস কেন? তানভীর দেখলে কি বলবে?”
আমি কিছু বলার আগেই নাকীব বললো,
“তানভীর ভাইয়া ওকে জেদি বলেছে সেই রাগ আমার ওপর মিটাচ্ছে আর কি!”

আমি রাগে আর কোনো কথাই বললাম না। বাবার পাশাপাশি হাঁটতে লাগলাম। বাবাকে বললাম,
“বাবা, তোমাদের কথা রাখতে তো এসেছি। পর্দা মেইনটেইন করতে পারবো তো?”
“ইন শা আল্লাহ পারবি।”
“বাবা, তোমরা আমায় তানভীর ভাইয়া কিংবা খালুর সাথে কথা বলতে বাধ্য করবে না বলো?”
“আচ্ছা।”

নাকীব তখনই আসে আমার কানের পাশে বাবল ফুলালো। আমার হিজাবে লেগে গেল ওর চুইংগাম। আমি ওকে ধাক্কা দিতেই ও হাসতে হাসতে মায়ের পাশে চলে গেল। আমি আর্তনাদ করে বললাম,
“বাবা, আমার নতুন হিজাব! তোমার ছেলেটা এত অসভ্য হলো কবে বলতো?”
“বাদ দে তো। ওকে কখনো এত উৎফুল্ল দেখিনি আগে। এত দুষ্টুমি করতেও দেখিনি। এখানে এসে হয়তো ওর মনটা একেবারে ভালো হয়ে গেছে।”
“হুম।”
“ছেলেটা আমার ছোটবেলা থেকেই বুঝে বেশি। কখনো দুষ্টামি করেনি, কোনোকিছু নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। আজ একটু দুষ্টুমি করছে, করতে দে।”

খালার বাড়িতে এলাম অবশেষে। সেই পুরোনো আমলের মস্তবড় জমিদার বাড়ি। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে দেয়াল থেকে। জমিদার বাড়ির সাথে ভালোই খাপ খেয়েছে সেগুলো। বাড়ির চারপাশে শ্যাওলা, লতাগুল্ম দিয়ে ভরপুর। বলা যায়, নির্জনে বহু জায়গাজুড়ে শুধুমাত্র এই একটা প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে একাকী। বাইরে থেকে ভিউটা অসাধারণ।

বাড়ি ঢুকতেই খালামণি হৈহৈ রৈরৈ শুরু করে দিলেন। দু’বোনের জড়াজড়ি পর্ব চললো অনেকক্ষণ। বাবা আর খালুরও বেশ জমে গেল। খালুর বড় ভাইও আছেন সাথে। খালুর চেয়ে বেশি খালুর বড় ভাইয়ের সাথে ভাব হয়ে গেল বাবার। খালামণি সবার সাথে কথা বলে তারপর এলেন আমার এবং নাকীবের দিকে।
“নাকীব তো দেখি আমাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিস বাবা। তোকে কোলে নিয়ে হিসু করিয়েছি ক’দিন হলো? এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার।”
নাকীব লজ্জায় লাল হয়ে গেল। আমি ভেতরে ভেতরে হাসিতে ফেটে পড়লাম।

“ওমা! কত বড় হয়ে গেছিস রে তোরা। হৃদি, তোকে তো সেদিনও আমি কোলে নিয়ে হাঁটছিলাম। ওমা! তুই এতবড় হয়ে গেলি? ক’দিন পর তো বিয়েও দিয়ে দিতে হবে।”
আমি লজ্জাসূচক হাসি হাসলাম।

আমাকে হাসতে দেখে বললেন, “লজ্জাও পাচ্ছিস দেখি। লজ্জা পেয়ে কি হবে? ক’দিন পর তো আমার কাছেই থাকবি।”
আমি মুখ তুলে তাকালাম। কথাটা ঠিক বুঝিনি তাই। খালামণি তানভীর ভাইয়াকে টেনে এনে আমার পাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন। ধাক্কা খেয়ে তিনি মোটামুটি আমার হাতের সাথে ঠেসে দাঁড়ালেন। মুহুর্তেই আমি খানিকটা সরে দাঁড়ালাম। তানভীর ভাইয়াও রীতিমতো ছিঁটকে দাঁড়ালেন। বুকের ভেতর ধড়ফড় করছে। কি হচ্ছে এসব? এসেই ফেৎনার জালে জড়িয়ে গেলাম মনে হয়।

খালামণি আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন,
“ভালোই মানাবে। শোন তানভীর, এতদিন পিছে লেগেছিস এবার তো পাশাপাশি চলতে হবে। বুঝলি?”

তানভীর ভাইয়া কি বুঝলো আমি জানি না। তবে আমার যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে। এসব প্ল্যান কবে থেকে চলছে? মায়ের অসুস্থতা, আমাদেরকে বাড়িতে ডেকে আনা, বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করা, সব বাদ দিয়ে খালার বাড়িতে আসা এসবই কি প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত? আর নাকীব? সে-ও কি এসবের সাথে শামিল? নাকীবই তো প্রথমে খালামণির বাড়ি আসার কথা বললো।

#Be_continued_In_Sha_Allah 🥀

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here