অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৪২

0
435

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৪২

ব্রেকফাস্ট শেষে দোতলার রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়েছি। নিচের কথোপকথন কানে আসছে। খালামণি বলছেন,
“মেয়ে তো অনেক বড় হলো তোর। এবার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা কর। আমার ছেলেটাও তো বুড়িয়ে যাবে কদিন পর।”
মা হাসলেন। কি হাসি! দীর্ঘ সময় নিয়ে হাসলেন।
“কি যে বলো বুবু। আমি তো মেয়ে দেওয়ার জন্যই বসে আছি। ওর মত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুদিন আগেই মত দিয়েছে আমাদের পছন্দেই সে বিয়ে করবে। এখন আর বাঁধা নেই।”

নিজের বলা কথায় নিজেই ফেঁসে গেলাম মনে হচ্ছে। তানভীর ভাইয়াকে না করার মতো কোনো অপশন আমার কাছে নেই এটা সত্যি। আর না করবোই বা কেন? কোন উদ্দেশ্যে? কোন আশায়? রাফিনের আশায়? সেই আশা আমি কখনোই করি না। সে সম্পর্ক শেষ হয়েছে বহু আগেই। আর কখনোই সম্ভব না সেই সম্পর্ক জোড়া লাগানো। রাফিন তো বলেছেই, ও জানে না ওর বাবা আদৌ কখনো আমাকে মেনে নিবে কিনা। ধুর! আমি রাফিনের কথা ভাবছি কেন? সেই অধ্যায় বন্ধ হয়েছে বহু আগেই। আর কখনো সেই অধ্যায় বর্তমান হবে না। অতীত ছিল অতীতই থাকবে।

তানভীর ভাইয়া একঝলক তাকালেন দোতলায়। সাথে সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল। তিনি মুচকি হাসলেন। আমি চুপচাপ রুমে চলে এলাম। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।

নাকীব এলো খানিকবাদেই। এসেই বললো,
“তোমার বিয়ের কথা তো একদম পাকাপোক্ত হয়ে গেল।”
“কার সাথে?”
“এই বাড়ির ছেলের সাথে।”
“আমার কোনো মতামত ছাড়াই?”
“মত নেওয়ার তো প্রয়োজন নেই। তুমিই বলেছিলে বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করবে।”
“তাই বলে…?
”কেন তোমার পছন্দ আছে?”

আমি খানিকটা ইতস্তত করে বললাম,
“আচ্ছা, রাফিনের কোনো খোঁজ জানিস?”
নাকীব সটান দাঁড়িয়ে বললো, “না।”
“ওহ।”
“এই বিয়েতে তোমার মত আছে?”
“মত না হওয়ার কোনো কারণ তো নেই তাই না?”
“কিন্তু আমার মত নেই।”
“কেন?”
“আমি চাই না আত্মীয়ের ভেতর আবার আত্মীয়তা হোক। আত্মীয়ের মধ্যে আত্মীয়তা হলে আগের সম্পর্কটা ফিকে হয়ে যায়।”
“এত লেইম যুক্তি দিয়ে বিয়ে আটকানো সম্ভব না।”
“আমি বিয়ে আটকাতে চাইছি তোমায় কে বললো? আমি চাইছি না এতদূরে তোমার বিয়ে হোক। হেই আপু, তুমি না বলেছিলে কাছেই বিয়ে করবে? এখন রাজি হচ্ছো কেন আবার?”
“রাজি না হওয়ার মতো কোনো কারণই তো পাচ্ছি না এজন্য।”
“তুমি এখানে বিয়ে করছো না ব্যস! এখানে বিয়ের মত দিলে তোমার আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ।”

কথাটা খুব চেনা আমার। খুব পরিচিত একটা ডায়লগ। কয়েকবছর আগে রাফিনের মুখে শুনেছিলাম। সম্পর্ক শেষ হওয়া এত সহজ? রাফিনকে পেরেছি আজও ভুলতে? সময়ের ব্যাপ্তিকালে হয়তোবা ভুলে থেকেছি কিন্তু মন থেকে তো একেবারে মুুছে যায়নি। হয়তো ওর প্রতি কোনো অনুভূতি নেই কিন্তু সম্পর্কের ঘটনাগুলো তো ভুলে যাইনি। স্মৃতির তীক্ষ্ণ কাটা হয়ে আজও বিঁধছে মনে।

“তোর আমার সম্পর্ক কি এতটাই ঠুনকো? আমাদের তো রক্তের সম্পর্ক। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের আত্মার সম্পর্ক। নাহয় আমার মনের কথা বলার আগেই তোকে বুঝে নিতে হবে কেন?”
“আজও তোমার মনের কথা বুঝছি বলেই বিয়েতে মত না দিতে বলছি। আমরা দুজন কালই ফিরবো। বাবা-মায়ের থাকতে হয় তো থাকুক।”
“কি বলছিস এসব? আর তুই এভাবে না করছিস কেন?”
“কারণ আছে বলেই।”
“কি কারণ?”
”বলা যাবে না।”
“আচ্ছা।”

দুজন দু’পাশ ফিরে বসে আছি৷ ভেতরে চলছে টানাপোড়েন। নাকীব বললো,
“হয়েছে ভাবনায় বসো না আর। আমরা বেরুবো, রেডি হও। কুইক!”

আমি উঠে ঝটপট তৈরি হয়ে নিলাম। বেরুনোর মুখে দেখা হলো খালুর বড় ভাইয়ের সাথে। ভদ্রলোক খুবই নিরীহ টাইপের। অথচ ওনাকে দেখে মনে হয়, জীবনের একটা সময় খুবই দাপটের সাথে পৃথিবী কাঁপিয়েছেন।
আমার দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে বললেন,
“কোথায় যাচ্ছো মা?”
মহা সমস্যা! এতগুলো গায়রে মাহরামের ভীড়ে পাগল হয়ে যাব আমি।
“এই তো বাইরে…”
“খুবই সাদাসিধে একটা মেয়ে। যাও, সাবধানে যেও।”

আমরা কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলাম। বেরুনোর সময় নাকীব শুধু বলেছিলো, “আসি আঙ্কেল?”
ভদ্রলোক স্মিত হেসে মাথা নাড়লেন। আমরা নদীর পাড়ে চলে এলাম। রাফিনও আমাকে প্রথমবার দেখে বলেছিলো, “খুবই সাদাসিধে, ঠিক আমার পছন্দের।” উফ! সবখানে রাফিন চলে আসছে কেন?

কয়েকটা নৌকা বাঁধা আছে। একটা নৌকায় লোক পারাপার করছে। মাঝি একবার এদিক থেকে লোক নিয়ে ওপারে রেখে আসে আবার ওপার থেকে কিছু লোক নিয়ে আসে। এভাবেই চলছে তার জীবনধারা৷ মাঝিকে নাকীব জিজ্ঞেস করলো নৌকা ভাড়া নেওয়া যাবে কিনা। মাঝি জানালো তার নৌকা সারাদিনের ভাড়ায় যায় না। পাশে একটা নৌকা দেখিয়ে বললো সেই নৌকার মাঝিকে ডেকে আনতে। সে ভাড়া খাঁটে।

“তাকে কোথায় পাওয়া যাবে?” নাকীবের প্রশ্ন।
“ঐ যে বস্তি দেখতাছো? ঐখান দিয়ে ঢুইকা তিন নম্বর ঘরটায় হেই থাহে। ডাইকা লইয়া আহো।”

মাঝি নৌকা বাওয়া শুরু করলো। নাকীব আমাকে রেখেই বস্তির দিকে হাঁটা শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর একজন লোককে সাথে করে নিয়ে এলো। লোকটা এসেই বাঁধা নৌকার বাঁধন খুলতে লাগলো। এরপর আমরা নৌকায় উঠে রওনা দিলাম।

পানি ধরতে ধরতে যাচ্ছি। মনটাই ফুরফুরে হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে পানিতে পা দোলাই, নদীতে নেমে সাঁতরাই। নদীর মাঝামাঝি যেতেই নাকীবের ফোনে কল এলো। কল রিসিভ করে উত্তেজিত হয়ে পড়লো ও। নাকীব বিষম খেলো ভীষণ। পানি খাচ্ছিলো, মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেল সেগুলো। হঠাৎ কি হলো?

আমার বুকের ভেতর ধুকপুকানি শুরু হলো। আতঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“কি হয়েছে?”
কান থেকে ফােন নামিয়ে বললো,
“অনেক বড় গন্ডগোল হয়ে গেছে আপু। আমাদেরকে মনে হয় ফিরতে হবে, এক্ষুনি।”
“কোথায় ফিরতে হবে? কি হয়েছে?” ভীষণ অবাক হয়ে বললাম।
“আপু, শান্তি কুঠিরে জাফর দলবল নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। মাহফুজ বললো এক্ষুনি।”
“কিহ?” বিস্ময়ের সীমা রইলো না আমার। এত বছর পর জাফর কোত্থেকে?

মাঝিকে নৌকা ঘোরাতে বললো নাকীব। কিছুদূর আসতেই আবার কল এলো নাকীবের ফোনে।
“থ্যাঙ্ক ইউ ভাইয়া। জাফর আর অ্যাটাক করতে পারবে না তাই তো?”

“অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি এতদূর থেকে গিয়ে কিছুই করতে পারতাম না হয়তো। আপনি ছিলেন বলে।”

“আচ্ছা। ইন শা আল্লাহ যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যাবো আমরা।”

“সিকিউরিটি গার্ড?”

“শুকরিয়া। অনেক শুকরিয়া আপনাকে।”

নাকীব ফোন রেখে দিলো। বললো,
“আপু, আর চিন্তার কিছু নেই। আমার অতি প্রিয় একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার ভাইয়া আছেন ওখানে। তিনি শান্তি কুঠিরে সিকিউরিটি গার্ড রেখেছেন যতদিন আমরা ফিরছি না ততদিনের জন্য। তিনিও নাকি কাজে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাই তাড়াহুড়ো করে ফোন রেখে দিলেন।”
“সোশ্যাল ওয়ার্কার ভাইয়া? তাও আমাদের উচিত তাড়াতাড়ি ফেরা।”
”তা তো ঠিক। চলো বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে বলি।”

তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরে গেলাম। মাকে বলতেই বললেন,
“কোথায় যাচ্ছিস এত দ্রুত? আর বললো না সিকিউরিটি গার্ড রেখেছে? তাহলে এত চিন্তা কিসের? এমনিতেই আমরা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ফিরে যাবো আশা করি।”
“সপ্তাহখানেক? ততদিন… মা, ওরা সেইফ না ওখানে।”
“হ্যাঁ, তোরা গেলেই সেইফ হয়ে যাবে না?”
“উফ মা! ওরা সবাই বাচ্চা আর দাদু বৃদ্ধ। কারো সাথে মোকাবেলা করার শক্তি ওদের নেই। বুঝছো না কেন?”
“এতদূরে এসেছি আমার মন ভালো করতে। মন ভালো করার কাজটা এখনো হয়নি৷ সেটা হোক তারপর যাবো।”
“কি কাজ সেটা?”

মা বলার আগেই খালামণি বলতে শুরু করলেন,
“আজ এই বাড়ির ছোট ছেলে ফিরছে। কত বছর সে এখানে আসে না তার হিসেব কারোর নেই। তার ফেরার আনন্দে আমরা সবাই মাতোয়ারা। আহারে! মা মরা ছেলেটা..!

বিরক্তির শ্বাস ছেড়ে বিড়বিড় করে বললাম,
“আপনাদের ছেলে আপনারা খুশিতে মাতোয়ারা হোন। আমার জন্য সে পরপুরুষ আমি মোটেও খুশি হতে পারছি না। একদমই না৷ যত্তসব!”

রেগেমেগে ওখান থেকে চলে এলাম। ওদের বাড়িতে আবার ছোট ছেলেটা কোথা থেকে আমদানি হলো কে জানে! খালামণির তো দুটো ছেলে। এটা আবার কে? ধুর জ্বালা! আমার হয়েছে যত যন্ত্রণা।

রুমে এসে ঝটপট দাদুকে ফোন দিলাম। দাদুর মুখেই শুনলাম সবটা।
দাদুর কাছে জানতে পারি জাফরের লোক এসেছিলো। অথচ মাহফুজ বলে, তাদের নেতা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা ছিল ওগুলো। মাথায় সহজে ঢুকছিলো না ব্যাপারটা। পরে দাদু বললেন,
“জাফরই ছিল ওদের নেতা। ওদের বস্তির ঘর ভেঙ্গেছিলো যে সে জাফর-ই ছিলো।”

শুনে আমার তো মাথায় হাত। এতকিছু! এসব কিছু এতবছর ধরে আমাদের অজানা রয়ে গিয়েছিলো? আমাদের সবার শত্রু ঘুরেফিরে ঐ একজনই। তৎক্ষনাৎ ঝিলি দিলো আরেক চমকপ্রদ তথ্য।

ঝিলি চেঁচিয়ে বলতে থাকে, “ভালো ভাইয়া আমাদের বাঁচিয়েছে, ভালো ভাইয়া।”
ঝিলির কাছে ফোন দিতে বলায় দাদু দিলো। ঝিলি ফোন কানে ধরতেই বললাম,
“ভালো ভাইয়া?”
“হ্যাঁ।”
“কোন ভালো ভাইয়া? সেদিন যে রাস্তায়…”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঐ ভাইয়াটাই। এসে ঢিশুম-ঢুশুম এমন মারলো নেতা একদম পালিয়ে গেছে আপু৷”

আমি দাঁড়িয়ে দেয়ালে হাত রেখে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালাম। লম্বা একটা শ্বাস বেরিয়ে এলো। আর মুখ দিয়ে অস্ফুটে উচ্চারিত হলো, “রাফিন?”

“আপু, ভালো ভাইয়াকে তো দাদু চিনে। কত আদর করলো দাদু। আপু, এখন থেকে মনে হয় ভালো ভাইয়াও দাদুর কাছে গল্প শুনতে আসবে। কি মজা! আমি ভালো ভাইয়াকে অনেক ভালোবাসি আপু।”
”উফ ঝিলি! চুপ করো তুমি। কুলসুমকে ফোন দাও।”
“আচ্ছা।”

কুলসুম ফোন নিতেই বললাম,
“কুলসুম, তুই বলতো, শুরু থেকে কি হয়েছে?”
নাকীব জিজ্ঞেস করলো, “কি করেছে ভালো ভাইয়া?”
কুলসুম বললো, “উনি কিছু করেননি। একগাদা ছেলেপিলে এসে এখানে ভাঙচুর করতে চাইলো আর তখনই ওনাকে দেখতে পেয়ে পালালো সবক’টা। তবে পালানোর সময় ধরতে গিয়ে উনি গুন্ডাগুলোকে কতগুলো ঘুষি-টুষি মারলো। উনি এই এলাকার বেশ নামকরা কেউ মনে হয়৷ আমাদেরকে বললেন, “সাবধানে থাকতে।”
“তারপর?”
“তারপর চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর এখানে ইয়া মোটা মোটা চারজন লোক রেখে গেলেন। হাতে মস্ত বড় পিস্তল। দুজন সামনের দরজায় আর দুজন বাড়ির পেছনে দিনরাত পাহারায় থাকবে বললো। আপু, তোমরা একটু তাড়াতাড়ি চলে আসো।”
“আসতেই তো চাচ্ছি। পারছি কই? এজন্যই তোদের রেখে আসতে চাইনি আমি। এখন গল্প শোন ভালো করে।”
“আপু, আমি না। ওরা কেউ যায়নি বলে আমি যাইনি।”
“আচ্ছা শোন, সবার খেয়াল রাখিস। কেউ বাইরে যাবি না একদম। বাগানেও না। যতই সিকিউরিটি গার্ড থাকুক কেউ বাইরে যাবি না৷ বাইরে গেলে ঘটনা লম্বা হয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করবো ৩/৪ দিনের মধ্যে চলে আসার। সাবধানে থাকবি। সবাইকে দেখে রাখবি।”
“আচ্ছা আপু। তুমি অত চিন্তা করো নাতো। বেড়াতে গিয়েছো বেড়াও।”
“আর আমার বেড়ানো। যন্ত্রণায়, অস্থিরতায় আর টেনশনে পাগল হয়ে যাব আমি। উফ!”

মেজাজটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ওদেরকে বিপদে রেখে আমি শান্ত থাকি কি করে? কোন ছাতার মাথা ছেলে আসছে আল্লাহ মালুম। এখন আবার ঐ ছেলের সামনে পড়ার জন্য আমাকে থেকে যেতে হবে। অসহ্য! হুট করে মনে হলো নাকীব নৌকায় কোনো একজন সমাজসেবকের সাথে কথা বলছিলো। আমি ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললাম,
“তোর ঐ সোশ্যাল ওয়ার্কার ভাইয়াটার নাম কি?”
নাকীব আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে আমতা আমতা করতে লাগলো।

“সে কোনোভাবে রাফিন না তো? তুই ওর সাথে এত ইজিলি কিভাবে কথা বললি? তোর সাথে ওর কন্ট্যাক্ট হলো কি করে? তোর সাথে কি ওর আগে থেকেই যোগাযোগ আছে?”

“কি হলো কথা বলছিস না কেন? বল, তোর অতি প্রিয় সোশ্যাল ওয়ার্কার ভাইয়া কি রাফিন? কথা বলছিস না কেন তুই? রাফিন তোর অতি প্রিয় হলো কবে থেকে? ওর সাথে তোর যোগাযোগ হলো কি করে?”

নাকীব আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার একটাও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমাকে রেখে গেল একগাদা প্রশ্নের ভীড়ে। আমি হা করে ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম।

#Be_Continued_In_Sha_Allah 🥀

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here