অজানা পর্ব-৫৬

0
838

#অজানা
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৫৬

💝

হাত পা বাধা অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে আরিবা। শরীরে ময়লা লেগে আছে। পাশে মুখোশ পড়া অনেক লোক দাড়ানো। সবাই ওকে পাহারা দিচ্ছে। এর মাঝেই তিনজন মুখোশ পড়া লোক আসলো ওখানে। জুনিয়ার লোকটি এসেই আরিবার দিকে তাকিয়ে বললো।

“আহারে! বাড়িতে কত মহারানী মাটিতে পা ফেলেনা। আর এখানে মাটিতে শুয়ে আছে। আহ বেচারা”

কথাটা বলেই লোকটি হাসতে লাগলো। দ্বিতীয় লোকটি এসে একজনকে বললো।

“এই তোরা কি করছিস? ওর জ্ঞান ফেরা!”

তাদের বসের কথা শোনার সাথে সাথে আরিবাকে চেয়ারের সাথে বেধে ফেললো। তারপর একজন এসে আরিবার চেহারায় পানি মারলো। পানি মারতেই আরিবার জ্ঞান ফিরে গেলো। আরিবা এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো আসলে ও কোথায় আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করছে। আরিবাকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে তিনজনের মধ্যে প্রথমজন বললো।

“এদিক ওদিক তাকিয়ে কি লাভ খুকি? আজ তোমার ভিসা এসে গেছে। একটু পরেই উপরে চলে যাবে।”

কথাটা শুনে আরিবার কেমন যেনো একটু চেনা চেনা লাগছে। যদিও ওদের স্টাইলে কথা না। মুখোশ পড়ার কারনে কথাটা আরও বোঝা যাচ্ছে না। ওদের মধ্যে দ্বিতীয় লোকটি বললো।

“আজ ওদের মা মেয়েকে একসাথে মারবো। কত বছর ধরে এই স্বপ্ন দেখছি। আজ তা পুরন হবে।”

আরিবা কথাটা শুনেই ভয় পেলো। আজ তাহলে ওর মাকেও কেউ মেরে ফেলবে? আরিবা কান্না করে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে তাদের কাছে মিনতি করে বললো।

“প্লিজ আমার আম্মুকে কিছু করবেন না প্লিজ! আমার আম্মু কি দোষ করছে? যদিও জানিনা আমি কি দোষ করেছি। কেনো আমার পিছনে পড়ে আছেন? আমাকে ছেড়ে দিন।”

ওর কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো। আরিবা কান্না করগে লাগলো। ঠোঁট কামড়ে মনে মনে বললো। ” আরশ ভাইয়া কোথায় তুমি? আমাকে নিয়ে যাও প্লিজ! আমি জানি তুমি আমায় কত ভালোবাসো।” আরিবা এতদিনে বুঝে গেছে আরশ ওকে ভালোবাসে। ওর এক্সিডেন্টের সময় আরশ যেমন করেছিলো সেটা ওর বন্ধুদের কাছে শুনে ও বিশ্বাস করেছে আরশ ওকে কত ভালোবাসে। আজও হয়তো পাগলের মতো খুঁজছে ওকে কিন্তু খুজে কি লাভ? আজ তো ও বেঁচে ফিরতে পারবেনা। ওর মাকেও মেরে ফেলা হবে। ও মরে গেলে আরশ কি করে থাকবে সেটা ভেবেই আরিবার বেশি কান্না আসছে। ওর এক্সিডেন্টের দিন আরশ পাগলের মতো করেছিলো যখন ওর লাশ দেখবে আরশ সহ্য করতে পারবে? কি করবে আরশ? এসব ভেবেই আরিবা শব্দ করে কেঁদে দিলো। ওর কান্না শুনে প্রথমজন বললো।

“এই চুপ! একদম কান্না বন্ধ। বেশি প্যানপ্যান করলে খুলি উড়িয়ে দিবো। চুপ করে থাক!”

তৃতীয় জন বললো।

“দাড়া জনিকে ফোন করে ওর মাকে আনার ব্যবস্থা করি। মরার জন্য ও বেশি উতলে উঠেছে। মরার আগে মা মেয়ের মেলো ড্রামা দেখবো না আবার। দুজনের কতদিন পর দেখা।”

“প্লিজ আমার আম্মুকে কিছু বলবেন না প্লিজ! আমার আম্মুকে ছেড়ে দিন আপনারা!”

“চুপ করতে বলছিনা? নাহলে এখনি শুট করে দিবো।”

আরিবা ঠোঁট চেঁপে কান্না করতে লাগলো। আরিবা খুঁজে পাচ্ছেনা এই অজানা লোকগুলো কারা। ওকে আর ওর মাকে কেনো মারতে চাইছে? তৃতীয় লোকটি একজনকে ফোন করে বললো।

“জনি ওর মকে নিয়ে আয় আমাদের গোডাউনে।”

ওপাশ থেকে লোকটি কি বললো জানা জায়নি। এপাশের লোকটি জোরে চিল্লিয়ে বললো।

“What? কি করে পালালো ওই মহিলা?

কথাটা কেমন যেনো আরিবার চেনা চেনা লাগছে। তবুও ভাবলো চেনা কন্ঠ অনেকেরেই হতে পাড়ে। মুখোশের কারনে কথাগুলো আটকে যাচ্ছে। ওই লোকটি আবার চিল্লিয়ে বললো।

“কি? এখনি খুঁজে নিয়ে আয় ওই মহিলা আর ওই মুখোশধারী অজানা ছেলেটাকে। খুঁজে নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি! ”

সামনের লোকগুলো বললো। ” কি হয়েছে!”

“ওই মহিলা পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গেছে বলতে ওই মুখোশধারী লোকটি নিয়ে গেছে।”

প্রথম জন রেগে বলে উঠলো।

“কি? ওই ছেলের এত সাহস? ওকে পেলে আজ খুন করে ফেলবো। এই তোরা এই মেয়েটিকে দেখে রাখিস।”

কথাটা বলেই ওই তিনজন চলে গেলো। আরিবা মনে মনে খুব খুশি হলো যে ওর মা অন্তত পালিয়ে গেছে। আরিবা ওই মুখোশধারী লোককে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলো।

——————————–

বিকাল ৪টা বেঁজে গেজে। এখনও আরিবা আর আরশ কেনো আসছেনা সেটাই বুঝতে পারছেন না মিসেস আঞ্জুমান। তিনি বারবার এদিক ওদিক পাইচারি করছেন। প্রতিদিন তার মেয়ে আড়াইটা বাজেই চলে আসে আজ আসছেনা কেনো? আরশ ফোন ধরছে না তাই আরও চিন্তায় আছেন তিনি। আরিবাতো ফোন নিয়ে যায়না। ৩মাস আগে মেয়ের এক্সিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ভয়ে ভয়ে থাকেন মিসেস আঞ্জুমান। মিসেস তারিন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন।

“আরে চিন্তা করিছ না আন্জু। আরশ তো সাথে আছেই। আজ শেষ পরীক্ষা ছিলো তাই হয়তো বন্ধুদের সাথে ঘুরছে। নাহয় আরশ ওকে সাথে নিয়ে কোথাও ঘুরছে, এসে পড়বে।”

“তাহলে ফোন ধরছেনা কেনো আরশ? ও তো জানে কতো চিন্তায় থাকি আমি।”

মিসেস তারিন মনে মনে ভাবলেন কথাটা তো ঠিকই। তারও চিন্তা হচ্ছে কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করছেন না। তাহলে মিসেস আঞ্জুমান আরও চিন্তায় পড়ে যাবেন। হঠাৎ গাড়ির আওয়াজ পেলেন। মিসেস তারিন বললেন।

“গিয়ে দেখ তোর মেয়ে এসে গেছে। যেই চিন্তা করেছিলি তা এবার শেষ হইছে? আমি বলছি না এসে পরবে।”

কথাটা বলে সামনে তাকাতেই দেখলেন শুধু আরশ বাড়ির ভিতরে ডুকছে। মিসেস আঞ্জুমান পিছনে তাকিয়ে বললেন।

“কিরে রিবা তোর সাথে আসেনি? ওকে আবার একা কোথায় রেখে আসছোছ?”

কথাটা বলতেই আরশ অবাক হয়ে ওর কাকিমনির দিকে তাকালো। আকাশসম বিস্ময় নিয়ে বললো।

“আমার সাথে আসবে মানে? আমি তো আজ কাজে আটকে গেছি জরুরী অপারেশন ছিলো। তাই গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। কেনো? রিবা এখনও বাড়ি আসেনি?”

আরশের কথা শুনে তারা দুজনেই চমকে গেলো। মিসেস আঞ্জুমান আরশের দিকে তাকিয়ে বললো।

” তারমানে রিবা তোর সাথে ছিল না? তাহলে ও কোথায়?”

মিসেস তারিন মিসেস আঞ্জুমান কে সান্তনা দিয়ে বললেন

“হয়তো বন্ধুদের সাথে আছে। তুই চিন্তা করিস না চলে আসবে এখনি।”

মিসেস তারিন তাকে সান্ত্বনা দিলেও নিজে ভয় পাচ্ছেন। এসব শুনে আরশের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মিসেস আঞ্জুমানের দিকে তাকিয়ে বললো।

“৪টা বাজে এখনও বাড়ি আসেনি তাহলে কোথায় গেলো?”

কথাটা বলেই আরশ তাড়াহুড়া করে ফোন বের করলো। আরিবার সব বন্ধুদের ফোন করলো। ফোন করে সবাইকে জিজ্ঞাসা করতেই সবাই বলল যে ওরা ফুচকা খেয়ে দুইটার দিকে সবাই বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছে। ওরা এখন বাড়িতে। আরশ আরও ভেঙে পড়লো আস্তে করে সোফায় বসে পরলো। কি হবে এবার? কি করবে ও? মিসেস আন্জুমান খবরটা শুনতেই হাওমাউ করে কেঁদে ফেললেন। কাঁদতে কাঁদতে নিজের স্বামীকে খবর টা দেন। মিস্টার জাকির মিটিংয়ে ছিলেন কিন্তু আরিবার মিসিং এর খবর শুনে মিটিং রেখেই রওনা হলেন। আরশের কেমন যেনো খালি খালি লাগছে। চারদিকে লোক লাগালো আরিবাকে খুঁজতে। আরশ নিজেও তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলো। মিসেস আঞ্জুমান এখনও অঝোরে কাঁদছেন। আরশ গাড়ি নিয়ে আরিবার পরীক্ষার কলেজের দিকে রওয়ানা হলো। কিছুদূর যেতেই ওদের গাড়ি দেখতে পেলো। আরশ গাড়ির কাছে যেতেই দেখলো ড্রাইভার অজ্ঞান হয়ে আছে। আরশ তাকে ডাকলো কিন্তু তার কোনো সাড়া নেই। আরশ পানির ছিটে দিতেই লোকটি চোখ খুলেই বললো।

“স্যার! ম্যামকে মুখোশধারী কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। আমাকে কিছু একটা স্প্রে করতে আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি।”

আরশ হতাশ হলো গাড়ির উপর ঘুষি মেরে বললো।

“ওহ শীট! এতটা কেয়ারলেস আমি কি করে হলাম? আমি আজকেও কেনো আসলাম না? আমি তো জানতাম মায়াপরীর জীবনের ঝুঁকি আছে।”

কথাটা বলেই আরশ গাড়ি নিয়ে এদিক ওদিক খুঁজলো কিন্তু আরিবাকে কোথাও পেলোনা। আরশ হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলো। বাড়ি ফিরতেই মিসেস আঞ্জুমান আরশের কাছে এসে বললো।

“এই! তুই একা কেনো? রিবাকে সাথে নিয়ে আসিছ নি? আমার মেয়েটা কোথায় আছে কে জানে!”

আরশ ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। একে বারে নিজের মাঝে নেই ও পাথর হয়ে গেছে। এর মাঝে মিস্টার জাকির আর মি. আফজাম তাড়াহুড়ো করে ঘরের ভিতরে ঢুকলেন। মি. জাকির ভিতরে ঢুকেই হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন।

“আমার মামনি কোথায়? মামনি কে খুঁজে পেয়েছো?”

মিসেস আঞ্জুমান কাঁদতে কাঁদতে তার কাছে গেলেন। স্বামী কে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন।

“আমার মেয়েটাকে আজও কেউ নিয়ে গেছে হয়তো। কোথায় খুজবো আমার মেয়েকে? রিবাকে এনে দাও!”

মিস্টার জাকির অসহায় দৃষ্টিতে স্ত্রীর দিকে তাকালেন। হতাশ হয়ে সোফায় বসে বললেন।

“আমি লোক লাগিয়েছি। তুমি চিন্তা করো না।”

মি. জাকির আরশকে ধমক দিয়ে বললো।

“তুই একা কেন? রিবা কোথায়? তুই কেনো আজ গেলিনা?”

আরশ কোন কথা বলল না চুপচাপ আস্তে করে উঠে নিজের রুমের দিকে চললো। মিসেস তারিন হতাশ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন। আরশ অনুভূতিশূন্য হয়ে নিজের রুমে প্রবেশ করল। আস্তে আস্তে ভাঙ্গা পায়ে যেভাবে হাটে সেভাবে হেটে নিজে রুমে প্রবেশ করল। প্রবেশ কারেই বিছানার মাথার কাছের উপরে দেয়ালে আরিবার হাস্যোজ্জ্বল ছবিটির দিকে তাকালো। আস্তে করে ফ্লোরে বসে পড়লো। ছবিটির দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখে বলতে লাগলো।

“আমার জীবনটা এমন কেনো মায়াপরী? জীবনের প্রতিটা ক্ষনে শুধু তোমায় হারানোর ভয়ে থাকি। কতদিন আর কতোদিন বলো? তোমায় আমি আর কোথাও যেতে দিবোনা নিজের কাছে আগলে রাখবো। তুমি ছাড়া আমি শূন্য।”

——————————–

আরিবার শরীরে শক্তি নেই একেবারে নেতিয়ে পড়েছে। পড়বেই না কেনো? সেই সকালে খেয়েছে আর খায়নি। লোকগুলো ওকে ঘিরে রেখেছে। ওর শরীরে কথা বলার শক্তি পর্যন্ত নেই। আরিবা ভাবছে হয়তো মৃত্যুর দিকে আস্তে আস্তে আগাচ্ছে ও। আরিবার চোখ খোলা রাখতেও কষ্টকর হচ্ছে। চোখ বন্ধ করতে যাবে তার আগেই একটা স্প্রে করার শব্দ পেলো। তাকিয়ে দেখলো সেই মুখোশ ধারী লোকটি। আরিবার মুখে অজান্তেই হাসি ফুটলো। নেতিয়ে পড়া চোখেই হালকা হাসলো আরিবা। এর মাঝেই জ্ঞান হারালো আরিবা। লোকগুলো মুখোশধারী লোকের কাছে অগ্রসর হতে যাবে তার আগেই ছেলেটি ধোয়ার মতো পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়লো। কেউ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা। ১০ মিনিট পর ধোঁয়া কাটতেই দেখলো আরিবা নেই। সবাই ভয় পেলো এই কথা তাদের জুনিয়ার বস জানতে পারলে ওরা শেষ সেই ভয়েই ওরা ভাবতে লাগলো কি করবে।

লোকটি আরিবাকে নিয়ে ওদের দরজার সামনে রেখে চলে গেলো। বডিগার্ডরা সবাই আরিবাকে খুঁজতে গেছে এই সুযোগেই লোকটি আরিবাকে রেখে গেলো। একজন সার্ভেন্ট আরিবাকে দেখেই চিল্লিয়ে বললো।

“কোথায় আপনারা? দেখেন ম্যাডাম এখানে পড়ে আছে।”

সবাই দৌড়ে গেলো। আরিবাকে দেখেই মিসেস আঞ্জুমান কেঁদে ফেললেন। মিস্টার জাকিরও মেয়েকে দেখে কেঁদে ফেললেন। আরশ চিল্লাচিল্লি শুনে দৌড়ে এলো। এসে আরিবাকে পড়ে থাকতে দেখে শরীরে জান ফিরে এলো। তবুও কাপা কাপা হাতের পালস্ চেইক করেই ওর মুখে হাসি ফুটলো। সবার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বললো।

“সমস্যা নাই দূর্বলতার কারনে অজ্ঞান হয়ে গেছে। স্যালাইন দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ও এলো কি করে?”

মিসেস আঞ্জুমান তারা দিয়ে বললেন বললেন।

“আগের ওকে ঠিক কর তারপর ওর থেকে জানা যাবে।”

আরশ ওকে কোলে নিয়ে উপরে উঠে গেলো। বিছানায় শোয়াইয়ে দিয়ে স্যালাইন লাগিয়ে দিলো। একটু পরেই আরিবার জ্ঞান ফিরলো। মিসেস আঞ্জুমান বললেন।

“কেমন লাগছে মা?”

মি. জাকির বললেন।

“কেমন লাগছে মামনি?”

আরিবা ওর মা বাবার দিকে তাকিয়ে বললি।

“তোমরা হায় হুতাশ করো না। আমি ঠিক আছি।”

আরশ চোখ বন্ধ করে খুললো। ওর মনে হচ্ছে ও জীবন ফিরে পেয়েছে। আরিবার দিকে তাকিয়ে বললো।

“এসব কি করে হলো?”

আরিবা শুরু থেকে সব বললো। ওর কথা শুনে মিসেস আঞ্জুমান বললেন।

“এই অজানা লোকগুলো কারা? কার সাথে আমার মেয়ের শত্রুতা? কে এমন করছে কে জানে। হে আল্লাহ তুমি আমার মেয়েকে রক্ষা করো!”

সবাই চুপ করে রইলো। মিসেস তারিন বললেন।

“ওই মুখোশধারী লোককেও অনেক অনেক ধন্যবাদ!”

“সত্যি কথা। আমি তার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করবো।”

মিসেস আঞ্জুমানের কথা শুনে আরিবা হঠাৎ করেই বললো।

“আম্মু সে তো তোমাকেও বাঁচাইছে!”

মিসেস আঞ্জুমান অবাক হয়ে তাকিয়ে রাইলেন। কি বলে? তাকে কখন বাঁচালো? সবাই অবাক হয়ে তাকালো। মিসেস আঞ্জুমান তো বাড়িতেই ছিলো।

💖

ইনশাআল্লাহ চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here