অজানা শেষ পর্ব

0
2583

#অজানা
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৬৫ ( অন্তিম পর্ব)

💖

সময় স্রতের মতোই বহমান। তা কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। তুমি যতই থেমে থাকো না কেনো, সময় থেমে থাকবেনা। এমন ভাবেই পেরিয়ে গেছি অনেকদিন। আরশ এখন পুরোপুরি সুস্থ। আরিবা আরশকে তাড়াতাড়ি সুস্হ করে তুলতে অনেক পরিশ্রম করেছে। দিন রাত এক করে আরশের সেবা করেছে। আরশ যেদিন জেনেছে আরিবা ডক্টর হতে পারেনি সেদিন আরিবাকে অনেক বকেছে। আরশের অনেক স্বপ্ন ছিলো আরিবাকে নিয়ে কিন্তু সেটা পুরন করতে পারলো না। আরশ খুব কষ্ট পেয়েছে। তাই অভিমান করে দুদিন আরিবার সাথে কথা বলেনি। আরিবা অনেক কষ্ট করে আরশের অভিমান ভাঙিয়েছে। ওকে বুঝিয়েছে ওরকম পরিস্থিতিতে কেউ ঠিক থাকতে পারতো না। তবুও আরিবা নিজেকে শক্ত রেখেছে। আরশ পরে বুঝতে পেরেছে সত্যি তো আরিবার যদি এমন কিছু হতো তাহলে ও নিজে কি করতো? ও তো ওর মায়াপরীকে ছাড়া এক মূহুর্তও কল্পনা করতে পারে না। আরিবার কিছু হলে আরশ হয়তো বেঁচেই থাকতো না। আরশ এসব ভেবেই আরিবার সাথে কথা বলেছে। আরশ যেদিন জেনেছে আরিবা ওর বাবা কাকাকে মেরেছে ওই দিন ওর অনেক কষ্ট লেগেছে। যদিও তারা পাপ করেছিলো কিন্তু ওর তো আপনজন ছিলো ওকে অনেক ভালোবাসতো তারা। আরশ নিজের বাবার কথা মনে করে অনেক কেঁদেছিলো৷ চাইলে আরশ অনেক আগেই তাদের মেরে ফেলতো পারতো কিন্তু ও চায়নি নিজের বাবা আর কাকার খুনি হতে। সামান্য সম্পত্তির জন্য একটা সুখি পরিবার শেষ হয়ে গেল। তাদের উপর কত বিপদ হতো। সামান্য টাকা আর প্রপার্টির জন্যই আজ ভাইয়ে ভাইয়ে খুনা খুনি হয়। গভীর সম্পর্ক গুলোও ভেঙে যায় সম্পদের জন্য। ওদের কত হ্যাপি ফ্যামিলি ছিলো কিন্তু..! এজন্য কথায় আচে লোবে পাপ পাপে মৃত্যু। পাপ কাউকেই ছাড় দেয়না। পাপের শাস্তি একদিন না একদিন পেতেই হয়। এজন্যই তো ওর বাবা কাকাকে শাস্তি পেতে হয়েছে। বেশি লোভ করতে গিয়ে নিজেদের জীবনটাই হারালো। আরশ আগেই জেনেছিলো নেত্রাকে ওর বাবা আর কাকা মেরেছে। কারন নেত্রা তাদের গোপন কথা শুনে ফেলেছিলো তাইতো নেত্রাকে ধরে ছাঁদ তেকে ফেলে দিয়েছিলো। বাড়ির সব জায়গায় আরশের গোপন ক্যামেরা ছিলো তাতেই ও দেখেছে। কিন্তু নিজের বাবা কাকা বলে কিছুই বলতে পারেনি। আরিবা ওকে জিজ্ঞেস করলেও ও চুপ করে ছিলো৷ যদি ও তাদের কথা বলে দেয় তাহলে তারা বলে দিতো আরশ তাদের দলে। সেই ভয়ে কিছুই বলতে পারেনি চুপচাপ ঘটনাটা এড়িয়ে গেছে। আরশ আবার মেডিকেলে জয়েন করেছে। আরিবা নিজেদের বিজনেসের দেখাশুনা করছে। আরশ ওকে যথেষ্ট হেল্প করে। মিসেস তারিন ও মিসেস আয়শাকে নিয়ে ভালেই চলছে ওদের দিন।

—————————-

আজ চৌধুরী বাড়িতে চলেছে আনন্দ উৎসব। গত তিন দিন ধরেই এমন জাঁকজমক ভাবে সাজানো চৌধুরী বাড়িটা। হইহুল্লোড় তো সাথে আছেই। সবাই মিলে আনন্দ করছে যেনো এ মহা উৎসব। আজ সন্ধ্যায় আরশ আর আরিবা বিয়ে। সকাল ১০টা আরশ সকাল থেকেই এটা ওটা করেছে যদিও ওর বন্ধু আর সজল মিলে সব কিছু করছে। তবুও দেখচে কিছুর কমতি আছে কিনা? সকাল হতেই জিসান, শাহীন, নিদ্র, তূর্য আর শাওন চলে এসেছে। মেয়েরা সব একটু পরে আসবে। এসে আরিবাকে গোসল করাবে। সবাই মিলে আরশকে কে নিয়ে খুব হাসাহাসি করছে। আরশের তাতে কিছুই যায় আসে না। ও মুচকি হসে বলে। “আরে ভাই বিয়েতো জীবনে একবারেই করবো৷ একটু জাঁকজমক না হলে কি চলে?” সবাই আর কিছুই বলে না। ওরা বুঝে গেছে ওকে পচানো যাবেনা। মিসেস তারিন আর মিসেস আয়শাও খুব বিজি তারা এদিক ওদিক দেখাশুনা করছে। ঘরের মেহমানদের আপ্যায়ন করছে।

সকাল ১১টা। শান্তা তৃনা আর সারলিন এসে পৌঁছেছে আরিবাদের বাড়ি। আরিবা এখনও পরে পরে ঘুমাচ্ছে। ওর কিয়েই বা করার আছে? কাল রাত ১২টা পর্যন্ত মেহেদির অনুষ্ঠান করেছে সবাই৷ তারপর রাত ১টা অব্দি গল্প করে ওকে সজাগ রেখেছে। শান্তা এসেই মিসেস তারি কে জিজ্ঞাসা করলো।

“আন্টি! আরিবা কোথায়?”

মিসেস তারিন কাজ করতে করতে বললেন।

“আমি খুবেই ব্যস্ত তাই ওর খেয়াল রাখিনি। গিয়ে দেখতো মা ও উঠেছে নাকি?”

“ওকে আন্টি!”

শান্তা মুচকি হাসি দিয়ে কথাটা বলে চলে গেলো। ওর সাথে সাথে তৃনা সারলিন ও গেলো। ওরা গিয়ে দেখলো আরিবা এলোমেলো হয়ে ঘুমাচ্ছে। ওরা সবাই মিলে আরিবাকে জোর করে উঠালো। আরিবা ঘুমে ঢলছে তবুও ওকে জোর করে ওরা হলুদ কালারের উপর লাল পাড়ের একটা শাড়ি পড়ালো। আর বাকি মেয়েরা সবাই হলুদ লেহেঙ্গা পরেছে। ওদিকে জিসান শাহীন ওরা সবাই মিলে আরশকে রেডি করাচ্ছে। আরশ একেবারেই এসব করবেনা বলেছে কিন্তু ওরা জোর করে পরাচ্ছে। আরশকে সাদা সেন্টুগেন্জি আর সাথে লুঙ্গি আর গলায় একটা হলুদ তোয়ালে পরতে বলেছে। আরশ সেন্টুগেন্জি পড়েছে কিন্তু লুঙ্গি পড়তে যাচ্ছে না। ও কখনও লুঙ্গি পরেনি যদি খুলে যায় সেই ভয়ে। ওরা খুব জোর করছে। শেসে আরশ বাদয় হয়ে লুঙ্গি পরেছে কিন্তু তার নিচে একটু উচু করে টাওজার পড়েছে। সবাই ওকে দেখে এক চোট হাসলো। বাকি সব ছেলেরা হলুদ পাঞ্চাবি আর প্যান্ট পড়েছে। আরশ ওগুলো পরেই বললো।

“আমি একটু আসছি!”

কথাটা বলে একটু সামনে আগাতেই জিসান ওকে ধরে ফেললো। ওর সামনে এসে দাত কেলিয়ে বললো।

“কোথায় যাচ্ছো মামা? এখনতো যাওয়া চলবেনা। একসাথে বাসর ঘরে দেখে নিউ কেমন? আহারে বাচ্চাটা একটু অপেক্ষা করতে পারছেনা। একটু অপেক্ষা করো?”

জিসানের কথা শুনে সবাই রুম কাঁপিয়ে হেসে উঠলো। আরশ ওদের হাসির মাঝেই আরশ বাইরে বের হয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। সবাই পুরাই বেকুব বনে গেলো। আরশ সোজা গিয়ে আরিবার রুমে ঢুকে গেলো। সবাই আরিবাকে রেখে একটু বের হয়েছিলো গোসলের জায়গা ঠিক করতে আরশ এই সুযোগেই ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো। দরজা লাগানোর শব্দে আরিবা সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো। সাদা সেন্টুগেন্জিতে আরশকে সবসময় ভালো লাগে। আজ আরও সুন্দর লাগছল। আরশও আরিবার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। হলুদ সাড়ি সাথে হালকা সাজ গহনা এতেই আরিবাকে অনিন্দ্য সুন্দর লাগছে। আরশ দুচোখ ভরে আরিবাকে দেখছে। আরশ হালকা পায়ে আরিবার দিকে আগাতে লাগলো। আরশকে আসতে দেখে আরিবা দাঁড়িয়ে গেলো। আরশ আরিবার কাছে গিয়ে আস্তে করে আরিবার গালে হাত রাখলো। আরিবা কেঁপে উঠলো। আরশ ওর চোখের দিকে তাকিয়ে গালে হালকা স্লাইড করতে করতে বললো।

“মায়াপরী?”

আরিবা নামটা শুনে আরও কেঁপে উঠলো। আরশ আবারও ডাকলো। আরিবা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। আরশ মুচকি হেসে ভ্রু উচিয়ে বললো।

“কি হলো এত কাঁপতেছিস কেনো? শীত লাগছে নাকি?”

আরিবা এবারও নিচের দিকে তাকিয়ে গাল ফুলিয়ে বললো।

“এখনও তুই করেই বলবা?”

আরশ এবার শব্দ করে হেসে বললো।

“নাহ আজ থেকে তুমি করে বলবো আর তুমিও ভাইয়া শব্দটা কেটে দিও কেমন?”

কথাটা বলেই আরিবার নাকটা হালকা টান দিয়ে চলে গেলো। আরিবা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। নিচের দিকে তাকিয়ে লজ্জা মাখা হাসি দিলো।

বেলা ১২টা বেঁজে গেছে হাতে সময় কম। ওদের গোসল করানোর টাইম হয়ে গেছে। আরশকে শাহীন কোলে করে গোসল করানোর জায়গায় নিয়ে গেলো। শান্তা আরিবাকে গোসল করানোর জায়গায় নিয়ে গেলো। দুজনকে দু সাইডে গোসল করানো হবে। মেয়েরা আরিবাকে গোসল করাবে আর ছেলেরা আরশকে গোসল করাবে। সবাই আগে একজন এককন করে হলুদ মাখালো আর মিস্টি খাওয়ালো। পরে সবাই অনেক হাসি মজা করে ওদের গোসল করালো।

——————————–

সন্ধ্যা বেলা। জাঁকমক করছে চারদিক। অনুষ্ঠানে প্রায় সব গেস্টরাই এসে গেছে। আরশের সব বন্ধুরা আর ওদের মা বাবা এসেছে। আরিবার সব বন্ধুরাও এসেছে। আরশ চেয়ারে বসে বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। আরিবা কখন আসবে সেটাই ভাবছে। শাহীন ওর চোখে হাত দিয়ে বললো।

“মামা একটু ধৌর্য ধর। এত তাড়াহুড়ো করার কি আছে?”

জিসান আরশের দিকে তাকিয়ে বললো।

“আমার বাসর রাত পাংচার করোছো। এবার তোমার পালা! বুঝাবো মজা মামা!”

আরশ ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো। শাহীন জিসানের সাথে তাল মিলিয়ে বললো।

“আমিও জিসানের সাথে আছি। তোমার এই তাড়াহুড়ো ছুটাবো আজ। মজাই হবে দোস্ত!”

আরশ এবারও কিছু বললোনা। হটাৎ করে দরজার দিকে চোখ পড়তেই ও হা করে তাকিয়ে রইলো। আরিবা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করলো। আরিবাকে আজ গোরজিয়াস কাজের লেহেঙ্গা পড়ানো হয়েছে। লাল কালারের উপর গোল্ডেন কালার সুতো আর ওয়াস্টোন বসানো ছিল লেহেঙ্গায়। খুব ব্রাইডাল মেকআপ করানো হয়েছে সাথে ভুরি ভুরি গহনাতো আছেই। আরিবাকে প্রথম দেখে আরশ হা করে তাকিয়ে আছে। এমন সাজে তো আরশ কখনও ওকে দেখেনি। তাইতো পুরো ফিদা হয়ে গেছে। জিসান আরশের মুখটা হাত দিয়ে বন্ধ করে বললো।

“এবার মুখটা বন্ধ কর না হয় মসা ঢুকে যাবে।”

ওর কথা শুনে আরশের সব বন্ধুরা হেসে উঠলো। তূর্য আর শাওন আরিবার কাছে গেলো। তূর্য ওর কাছে গিয়ে বললো।

“দোস্ত! আজ সত্যি তোকে পেত্নীর মতো লাগছে।”

শাহীন তূর্যর দিকে তাকিয়ে হেসে বললো।

“আজ দোকানে কোনো ময়দা পাওয়া যাবেনা দোস্ত! সব ময়দা রিবার মুখে মাখা হইছে রে”

কথাটা বলেই ওরা দুজনে হেসে উঠলো। আরিবা ওদের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকালো। ওরা হেসে দূরে চলে গেলো।আরিবাকে এনে আরশের পাশের চেয়ারে বসানো হলো। আরিবা পাশে তাকিয়ে হা হয়ে গেলো। হা করে আরশের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আরশ ওর সাথে মিলিয়ে গোল্ডেন কালার শেরোয়ানী পরেছে। গলায় একটা লাল ওড়নার মতো ঝুলিয়ে রেখেছে। মাথায় কিছুই দেয়নি সিল্কি চুলগুলো উড়ছে। খুব সুন্দর লাগছে আরশকে। একটু পরেই জাঁকজমক ভাবে ওদের বিয়ে সম্পুর্ণ হলো।

—————————

রাত ১২টা। সবাই মিলে হাসাহাসি করছে। আরিবা আরশ পাশে বসে আছে। আরশকে কিছু দিলে ও খাচ্ছে না আরিবাকেও খেতে দিচ্ছে না। জিসান এবার টেনশনে পরে গেলো কি করে আরশকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াবে। ও কোনো আইডিয়াই পেলো না। আরশ কিছু খাচ্ছে না তাই জিসান বললো।

“খাইছ না সমস্যা নাই। শাহীনও কিছুই খায়নি ওর বিয়ের দিন। তাতে কি? তাই ওর বাসর রাত আমরা বাইরে দাঁড়িয়েই নষ্ট করেছি তোরটাও করবো বুঝলি?”

আরশ এবার ভয় পাওয়ার ভান করলো। আরিবার কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে। তাই উঠে বললো।

“আমি ক্লান্ত আপনারা গল্প করুন আমি আসছি!”

কথাটা বলেই আরিবা চলে গেলো। জিসান আরশের দিকে তাকিয়ে বললো।

“বিয়ে তো করে ফেলেছিস। এবার ফটাফট একটি মেয়ে দান করুন আমাকে গুরু! আমি ধন্য হবো।”

আরশ ওর গায়ে সোফা থেকে একটা কুশন মেরে বললো।

“শালা বাসর রাত করতে দিবি না আবার মেয়ে চাস্? তোরে ঝুলিয়ে পিটানো উচিত। তুই আমার জন্মের শত্রু। তোর সাথে আমার মেয়ে বিয়ে দিবো না। যাহ ভাগ!”

কথাটা বলেই বললো।

“সজল কোক আনতো!”

সজল কোক এনে সবাইকে দিলো। সবাই খাচ্ছে আরশ একডোক মুখে নিলো কিন্তু খায়নি সবার খাওয়া শেষে মুখেরটা ফেলে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো।

“আমার বাসর রাত পাংচার করবা না? কোকে ঘুমের ঔষধ ছিলো সবাই ঘুমাও আমি যাই। গুড নাইট!”

কথাটা বলে আরশ হাসতে হাসতে উপরে চললো। সবাই হা করে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো।

——————————-

ছাদে দোলনায় বসে আছে আরশ। ওর পাসে বসে আছে আরিবা। আরশ আরিবার দিকে তাকিয়ে বললো।

“তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।”

কথাটা শুনে আরিবা লজ্জায় নুয়ে গেলো। আরশ ওর মুখটা উপরে তুলে বললো।

“অবশেষে আমার অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো তাইনা?”

আরিবা কিছুই বললোনা। চোখ বন্ধ করে আছে। আরশ এক দৃষ্টিতে ওকে দেখছে। অনেক সময় দেখার পর বললো।

“মায়াপরী! এবার তো ভালোবাসি কথাটা বলো? আর কত অপেক্ষায় রাখবে বলো?”

আরিবা লজ্জায় মাথাটা নিচু করে বললো।

“আগে তুমি বলো?”

আরশ মুচকি হেসে আরিবাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। হালকা হেসে বললো।

“ভালোবাসি! অনেক ভালোবাসি। নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি আমার মায়াপরীকে! এই যে বাধনে বেধেছি এ বাধন কখনও ছুটবে না ইনশাআল্লাহ! ”

এবার আরিবাও আরশকে দুহাতে জরিয়ে ধরে বললো।

“ভালোবাসি! আমিও খুব ভালোবাসি ওই অজানা লোকটাকে যে নিজের জীবন বাজি রেখে আমায় বাঁচিয়েছে। ভালোবাসি আমার মি. খবিশকে!”

আরশ আরিবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। একেবারে বুকের সাথে মিশিয়ে চোখ বন্ধ করে আরিবাকে অনুভব করে গাইতে লাগলো।

যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনে হয় এ দেহে প্রান আছে।
বাকিটা সময় যেনো মরন আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আধার।

💝

‌ ———–সমাপ্ত———-

(রি-চেইক করিনি। ভুলত্রুটি মাফ করবেন। গল্পটি কেমন হয়েছে তা জানাবেন। গল্প মানেই শিক্ষা। গল্পটি থেকে কি কিছু শিক্ষা গ্রহন করতে পারলেন? কি কি শিখেছেন সেটা বলে যাবেন প্লিজ। কালকে আসছে নতুন গল্প। সবাইকে জানাই নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা। শুভ রাত্রি। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here