অনুভবে তুমি পর্ব-৩০

0
2580

#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_২৯
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

বিয়ের কথা শুনে অতশী বেশ লজ্জা পেয়ে গেলো।তবে তার ভীষণ আনন্দ লাগছে,শেষমেশ তার পছন্দের মানুষ কেই সারাজীবন এর জন্য পেতে যাচ্ছে।সে ভাবতেও পারে নি এতো সহজে সে ইভান কে স্বামী হিসেবে পেয়ে যাবে।আর ইভান এতো তাড়াতাড়ি তাকে এতো আপন করে নেবে।

ইভান অতশীকে সাথে করে নিয়ে এলেও পুরো রাস্তায় একটিবারের জন্যও তার সাথে কোনো কথা বললো না।কারণ ইভান মনে মনে একটু রেগে আছে অতশীর উপর।সবাই তাকে ভুল বুঝলেও অন্তত অতশীর বোঝা উচিত ছিলো ইভান কে।অতশী কি করে এইভাবে তাকে না বলে বাসা থেকে চলে এসেছে।এই কয় দিন তার উপর দিয়ে কি গেছে যা শুধুমাত্র সে নিজেই জানে।
অতশী নিজেও বুঝতে পারলো ইভান মন খারাপ করেছে,সেজন্য রাগ করে কথা বলা তো দূরের কথা তাকাচ্ছেও না তার দিকে।কিন্তু এতে তার কি দোষ?তার কথা কেউ শুনলে তো?সে তার আম্মুকে বলেছিলো ইভান কে বলা উচিত তাদের।এইভাবে তাকে না বলে বাসা থেকে বের হওয়া ঠিক হচ্ছে না।কিন্তু অতশীর আম্মু তার নিজের বুদ্ধিতে চলেন।তিনি কারো কথা শোনেন না।

ইভান অতশীকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করতেই সবাই হা করে তাকিয়ে রইলো তাদের দিকে।অতশী তা দেখে আনইজি ফিল করতে লাগলো।কেমন যেনো লাগতে লাগলো তাকে।
ইভান তা দেখে অতশীর হাত ধরে নিয়ে গেলো সবার সামনে।
হঠাৎ ইভানের ভাই দুটি দৌঁড়ে এলো অতশীর কাছে।আর বললো,ম্যাম আপনি এসেছেন?কই চলে গিয়েছিলেন?
অতশী তখন তাদের জড়িয়ে ধরলো।

ইভানের মা ও এগিয়ে আসলেন।আর এসেই ইভানকে জিজ্ঞেস করলেন,
ইভান তোমার হাতে কি হয়েছে?ব্যান্ডেজ কেনো?
–গুলি লেগেছে।
–তোমাকে এই চাকরি করতে হবে না ইভান।বাদ দিয়ে দাও এই চাকরি।কোনদিন না তোমার বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যায়?
ইভান তখন তার মাকে জড়িয়ে ধরে বললো, তুমি অযথায় টেনশন করছো আম্মু।কিছুই হবে না আমার।
হঠাৎ ইভানের বাবা জিজ্ঞেস করলো, মৌরি কোথায়?
তাকে নিয়ে আসলে না কেনো?

ইভান জানে বাসায় গেলে অতশীকে দেখে সবাই মৌরির কথা জিজ্ঞেস করবে।সে এটা নিয়েই এতোক্ষন ভাবছিলো। এখন কি বলবে সবাইকে?
এই মুহুর্তে কাউকে বলা যাবে না, যে সবাই অয়নের সাথে আছে।তা না হলে সবাই বুঝে যাবে অয়নের সাথে তার যোগাযোগ আছে।
ইভান তখন বললো আমি জানি না মৌরির কথা।

–জানো না মানে?তাহলে অতশীর দেখা পেলে কোথায়?

ইভান পড়ে গেলো মহাঝামেলার মধ্যে।এদিকে অতশী ইভান কে চুপচাপ থাকা দেখে বললো,আসলে আংকেল আমি আমার বান্ধুবীর বাসায় ছিলাম।ওখান থেকেই ইনি আমাকে নিয়ে আসলেন।

ইভানের বাবা সেই কথা শুনে বললো,নিজের বোন কোথায় আছে, কি করছে তার কোনো খোঁজ না করে তুমি অতশীকে আনতে গিয়েছো?

ইভান অতশীর দিকে চোখ রাঙালো,তাকে আবার এই মিথ্যা কথা টা বলতে হবে কেনো?এখন কি বলবে ইভান?
–কি হলো ইভান?উত্তর দাও।
ইভান তখন বললো,আব্বু প্লিজ পুলিশ দের মতো প্রশ্ন করো না।মৌরি ভালো আছে।ওকে নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না।
সেই কথা শুনে ইভানের বাবা বললো,মৌরিকে আবার অয়ন নিয়ে যায় নি তো?

ইভান কোনো উত্তর দিলো না।

কিন্তু ইভান কে চুপচাপ থাকা দেখে তার বাবা বললো,ইভান আমি বুঝতে পারছি তুমি কিছু লুকাচ্ছো।কি লুকাচ্ছো তুমি?
–কই কি?
–তাহলে অতশীর মা আর দাদী কই?আর মৌরিই বা কই?তুমি শুধু অতশীকে নিয়ে এসেছো কেনো এ বাসায়?পরিষ্কার করে বলো ইভান।

ইভান তখন বললো, প্লিজ বাবা আর কোনো কথা জিজ্ঞেস করো না।আমি এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবো না।কারণ আজকাল আমাদের বাসার ভিতরে যে কথাই হচ্ছে সেই কথাই বাহিরের লোক শুনতে পাচ্ছে।
প্লিজ!

–মানে?তুমি কি বলতে চাচ্ছো?

–আপাতত কিছু না।এই বলে ইভান তার রুমে চলে গেলো।

ইভানের বাবা তখন বললো, আচ্ছা কিছুই না বললে অন্তত এটা বলো অতশীকে যে আবার এই বাড়িতে এনেছো এটা কি ঠিক হলো?এ নিয়ে তুমি কিন্তু বড় কোনো ঝামেলায় পড়ে যাবে।
ইভান সেই কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলো আর বললো বাবা আমি কালকেই ওকে বিয়ে করতে চাই।নিশ্চয় এর পর থেকে কেউ আর কিছু বলবে না।

ইভানের বাবা ইভানের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।তিনি ইভানকে সত্যি চিনতে পারছেন না।ইভান আজকাল কেমন যেনো হয়ে গেছে।যা মন চায় তাই করছে।পরিবারের কারো সাথে পরামর্শ না করে একা একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
যে ছেলে কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না,সে বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়ো করছে।নিশ্চয় কোনো রহস্য আছে।মুহিব সাহেব খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন ছেলেকে নিয়ে।

ইভান রুমে ঢুকতেই অতশীও পিছন পিছন চলে গেলো।
অতশীকে দেখে ইভান বললো,কিছু বলবে?
অতশী মাথা নাড়লো।
ইভান তখন বললো, কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।আবার বাহিরে যেতে হবে আমাকে।
–সরি!
–হঠাৎ সরি কেনো?
–আপনাকে না বলে সেদিন বাসা থেকে চলে গিয়েছিলাম।
–সরি বললেই কি দিনগুলো ফিরে পাবো?আমার যে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে?
–আসলে আমার কোনো দোষ নাই।আম্মু আমাকে জোর,,,
অতশী পুরো কথা শেষ না করতেই ইভান বললো আমি কোনো কৈফিয়ত শুনতে চাই না অতশী।প্লিজ বাদ দাও ওসব কথা।এখন রুমে গিয়ে রেস্ট করো।
অতশী সেই কথা শুনে চলে যেতে ধরলো।
ইভান তখন বললো,কালকেই কিন্তু আমাদের বিয়ে হচ্ছে মনে আছে?
অতশী সেই কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলো। তবে ইভানের দিকে তাকালো না।অন্য পাশ হয়েই থাকলো।

ইভান তা দেখে অতশীর কাছে চলে গেলো।আর তার মুখ উপরে তুলে বললো,এই রকম ভুল যেনো আর কখনোই না হয়।নেক্সট টাইম এই রকম ভুল করলে ডাইরেক্ট গুলি করে দিবো।এই বলে ইভান অতশীকে ছেড়ে দিলো।
এদিকে অতশী ইভানের কথা শুনে একদম ভয় পেয়ে গেলো।সে আর এক পা ও এগোতে পারলো না।
ইভান তা দেখে বললো, কি হলো?যাচ্ছো না কেনো?যেতে বলেছি তোমাকে।
অতশী ইভানের কথা শুনে মনে মনে ভাবতে লাগলো এই রকম ছেলেকে সে জেনেবুঝে কি জন্য বিয়ে করছে!না সে বিয়ে করবে না ইভান কে।ইভানের ব্যবহার মোটেও ভালো না।তাকে কি করে গুলি করার কথা বললো?
সে জন্য অতশী কাঁদো কাঁদো গলায় বললো আমাকে ভাইয়ার কাছে নিয়ে চলেন।আমি আম্মুর কাছে যাবো।আমি থাকবো না এ বাড়িতে।আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। এই বলে অতশী কাঁদতে লাগলো।

ইভান অতশীকে কাঁদতে দেখে হাসতে লাগলো।তার হাসি কিছুতেই থামছে না।
অতশী ইভান কে এভাবে হাসা দেখে চলে যেতে ধরলো। ইভান তখন অতশীর হাত টেনে ধরে বললো,কাঁদছো কেনো?ভয় পাইছো?আমি তো জাস্ট মজা করে বললাম।তোমাকে গুলি করলে আমি বাঁচবো কেমনে?
অতশী ইভানের এমন কথা শুনে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলো।
ইভান তা দেখে বললো,ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
অতশী সেজন্য তার চোখ নামিয়ে নিলো।ইভান তখন আবার অতশীর মুখ উপরে ওঠালো আর বললো,আই লাভ ইউ।
আই লাভ ইউ সো মাচ।এবার রুমে গিয়ে রেস্ট নাও ওকে।
অতশী ইভানের কথা শুনে রুমে চলে গেলো।

পরের দিন এক এক করে সকল মেহমান আসতে লাগলো ইভানদের বাসায়।হঠাৎ করে বিয়ে,সেজন্য ইভান শুধু নিকটতম আত্নীয়দের ইনভাইট করেছে।ইভানের বাবা অনেক বেশি অবাক হলো।এই কম সময়ে ইভান কখন করলো এসব?
অতশী তার রুমেই আছে।হঠাৎ অতশীর বান্ধুবীরা প্রবেশ করলো রুমে।
অতশী নিজের চোখ কে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলো না।কারন সে তো কাউকে ইনভাইট করে নি।
অতশী কে হা করে তাকিয়ে থাকা দেখে লিশা বললো,ওভাবে কি দেখছিস?ভেবেছিস চুপি চুপি বিয়ে করবি আর আমরা জানতেও পারবো না?
নেহা তখন বললো,বান্ধুবি দাওয়াত দেয় নি,কি আর করার?বিনা দাওয়াতেই চলে আসলাম।
অতশী তখন বললো, আসলে বিশ্বাস কর আমি নিজেও জানতাম না এভাবে হঠাৎ আজকেই বিয়ে হবে।
ইভান এতো তাড়াহুড়ো করে,,,,,,,,
সুইটি সেই কথা শুনে বললো,থাম! আর অজুহাত দিতে হবে না।আর তোকে বিশ্বাস করবো আমরা?তোকে?তলে তলে এতোকিছু আর আমরা কিছুই জানি না।

হঠাৎ ইভান প্রবেশ করলো রুমে।আর অতশীর বান্ধুবীদের বললো,তোমাদের বান্ধুবীর কি মন ভালো হয়েছে?সে কি এখনো কান্নাকাটি করছে!এখনো কি বলছে আম্মুর কাছে যাবে,করবো না এ বিয়ে।
অতশী সেই কথা শুনে বললো,কি বলছেন এসব?
–যা সত্য তাই বললাম।
ইভানের কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

হঠাৎ রুমে অতশীর আম্মু দাদী আর মৌরি প্রবেশ করলো।
অতশী কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।আম্মু,দাদী, মৌরি সবাই এসেছে?

ইভান তখন বললো, নাও আম্মু আর দাদীকেও আনিয়ে দিলাম।খুশি এখন?
অতশী ভাবতেও পারে নি ইভান তার খুশির জন্য সবাইকে নিজে গিয়ে আনবে।
অতশীর দাদী অতশীর কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো। আর বললো সুখী হ।অনেক অনেক সুখী হ।বলেছিলাম না একদিন না একদিন এমন কাউকে পাবি যে তোর খুশির জন্য সব করবে।মিলে গেলো তো!
এই বলে অতশীর দাদী ইভানের কাছে চলে গেলো।আর বললো,বাবা মরা মেয়েকে তোর হাতে তুলে দিলাম ভাই।ওকে দেখে রাখিস একটু।এখন তুই ওর সব।
ইভান সেই কথা শুনে বললো,দোয়া করো দাদী।যেনো সারা টা জীবন অতশীর সাথেই কাটাতে পারি,আর ওর মুখে হাসি ফোটাতে পারি।

হঠাৎ রুমে দিশান প্রবেশ করলো,আর ইভানকে বললো স্যার বাহিরে আসেন একটু।কথা আছে।
ইভান সেই কথা শুনে দিশানের সাথে বাহিরে চলে গেলো।

এদিকে অতশীকে সাজানোর জন্য পার্লার থেকে একজন মেয়ে এসেছে।মেয়েটি অতশীকে সাজানো শুরু করে দিলো।
অতশীর সাজানো কম্পিলিট হলে যখন তার সামনে একটা আয়না ধরা হলো অতশী নিজেই নিজেকে চিনতে পারছিলো না।এতো সুন্দর লাগছিলো তাকে!
অতশীর দাদী তখন থু থু ছিটিয়ে দিয়ে বললো কারো নজর যেনো না লাগে।
হঠাৎ অতশী তার দাদীকে বললো,দাদী ভাইয়া কেমন আছে?খুব মিস করছি ওকে।বোনের বিয়ে তে ভাই নাই এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কি আছে?

দাদী তখন বললো চুপ কর চুপ কর।ওর নাম নিস না এখন।কেউ শুনলে কি হবে?
অতশী সেই কথা শুনে বললো, তোমাদের কে আসতে কেউ দেখে নি তো আবার?
–না দেখে নি।ইভান অন্য আরেকটা রাস্তা দিয়ে এনেছে।
এই বলে দাদী একটা বক্স অতশীর হাতে দিয়ে বললো,দেখ তো পছন্দ হয় কিনা?
–কি আছে এতে?
–খুলে দেখ।
অতশী সেই কথা শুনে বক্সটা খুলে ফেললো।
ওমা!কি সুন্দর হাড়!
ভাইয়া পাঠাইছে তাই না?
দাদী তখন বললো হুম।ও আসতে পারে নি তো কি হইছে?বোনের জন্য গিফট পাঠাতে ভোলে নি।

মৌরি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো।সে তখন মালাটা বের করে অতশীর গলায় পড়িয়ে দিলো।আর বললো, যত্নে রাখিও গিফটা।খুব কষ্ট পাচ্ছে তোমার ভাইয়া না আসতে পেরে।
অতশী সেই কথা শুনে বার বার মালা টা দেখতে লাগলো।আর তার ভাই এর কথা মনে করলো।তার অয়ন ভাই কিভাবে তাকে এতোদিন আগলিয়ে রেখেছে।কিভাবে বাবার অভাব পূরণ করেছে আজ সেই ভাই তার বিয়ে তে নেই।
অতশীর চোখ দিয়ে হঠাৎ টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো।সে মনে মনে দোয়া করলো,আল্লাহ আমার ভাইকে খুব তাড়াতাড়ি এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করো।তাকে বাকি সবার মতো সুন্দর ভাবে বাঁচতে দাও।

অতশীর বান্ধুবীরা আজ খুবই মজা করছে।এর আগেও অতশীর বিয়ে হতে ধরে আর হয় নি।সেদিন কি কান্ড টাই না হয়েছিলো।আজ ভালোই ভালো বিয়ে টা হয়ে গেলে সবাই খুশি হতো।
হঠাৎ লিশা খেয়াল করলো নেহা মন খারাপ করে বসে আছে। লিশা তখন নেহাকে জিজ্ঞেস করলো তোর মুড অফ কেনো নেহা?কি হয়েছে?
নেহা তখন বললো সে কথা আর বলিস না।এই সি আই ডির সাথে কোন দুঃখে যে প্রেম করতে গেলাম!সারাক্ষন টেনশনে থাকতে হয়।
–কেনো কি হয়েছে?
–কি আর হবে?কিছুক্ষন আগে বললো আজ সারাক্ষণ আমাকে সময় দেবে।আজ কোথাও যাবে না।কিন্তু এখন ফোন দিয়ে বলছে সরি নেহা!আমাকে এক্ষুনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে হচ্ছে।এই মুহুর্তে থাকতে পারছি না।

নেহার কথা শুনে অতশীর বুক টা ধক করে উঠলো।সে তখন নেহাকে বললো,তুই কার কথা বলছিস নেহা?
সুইটি তখন বললো,তুই জানিস না কিছু?
–না তো।
সুইটি তখন বললো নেহা তো শুভ্রর সাথে প্রেম করছে।
–শুভ্র!সত্যি।
–হ্যাঁ হ্যাঁ সত্যি।
অতশী সেই কথা শোনামাত্র লিশাকে বললো,দোস্ত দেখে আয় তো ইভান কই?
লিশা সেই কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,বান্ধুবীর আমার তর সইছে না।এখন আর দেখা লাগবে না।একবারে বাসর ঘরে দেখিস।
অতশী তখন চিৎকার করে বললো, সব সময় মজা করা টা বন্ধ কর লিশা।একটু সিরিয়াস হ। শুভ্র যদি গুরুত্বপূর্ণ কাজে যায় তাহলে তো ইভান ও যাবে।ওরা তো একসাথেই যায় যেকোন কাজে।
–আজ আবার ওদের কিসের কাজ?
–বলতে পারছি না।

সুইটি সেই কথা শুনে বললো, অতশীর ধারনায় মনে হয় ঠিক।ইভানও তাহলে গিয়েছে।তখন দিশান, ইভান কে তো ডেকে নিয়ে গেলো।

অতশী সেই কথা শুনে নিজেই চলে গেলো ইভান কে খুঁজতে।পুরো বাড়ি খোঁজার পরও অতশী ইভান কে খুঁজে পেলো না।
এদিকে অতশীকে এরকম ছোটাছুটি করা দেখে সবাই শুধু জিজ্ঞেস করতে লাগলো কি হয়েছে?
অতশী বুঝতে পারলো না আজ বিয়ের দিন তার আবার কিসের কাজ?
এদিকে বুকটাও ধড়ফড় করছে খুব।
অতশী তখন মনে মনে দোয়া পড়তে লাগলো।আল্লাহ ইভানের কোনো ক্ষতি করো না।ওকে যেখানেই রাখো সুস্থ আর নিরাপদে রাখিও।

#চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here