#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_৩২
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
ইভান বন্দুক বের করার সাথে সাথে সবার বাহাদুরি শেষ হয়ে গেলো।কেউ আর ভয়ে সামনে এগিয়ে আসলো না।ইভান তখন বললো, কি হলো সবার?থেমে গেলেন কেনো?সামনে আসেন।গাড়ি ভাংবেন না?আসেন কাছে।আমাকে আঘাত করেন।আপনারা মুরুব্বি বলে এতোক্ষণ চুপ করে ছিলাম।
ইভানের কথা শুনে সবাই সবার লাঠি সাথে করে নিয়ে দিলো এক দৌঁড়।কেউ আর ইভানকে কিছু করার সাহস পেলো না।
ইভান তা দেখে গাড়িতে গিয়ে বসলো।কিন্তু সে গাড়ি স্টার্ট দিতেই অতশীর দাদী সামনে আসলো।আর বললো,ইভান অতশীকে এভাবে জোর করে নিয়ে যাও না।অতশীর মায়ের মনের অবস্থা একবার বোঝার চেষ্টা করো।অয়ন কে হারিয়ে অতশীর মা একদম ভেংগে পড়েছে,এখন যদি কাছে অতশীও না থাকে তাহলে উনি একদম পাগল হয়ে যাবে।
ইভান সেই কথা শুনে বললো, দাদী এই কথা টা ভালোভাবে আগে বললে কি হতো?কিন্তু আপনারা সেটা না করে পুরো গ্রামের লোক জোগাড় করেছেন আমাকে এট্যাক করার জন্য।অতশী তো আমার বউ।ওর তো আমার কাছে থাকার কথা।কিন্তু সবাই এভাবে কেনো বাঁধা দিচ্ছেন?
দাদী তখন বললো, এতো কিছুর পরও তুমি অতশীকে কি করে বউ ভাবছো?তুমি এটা মানলেও আমরা মানবো না ইভান।
ইভান তখন বললো, এই এক মাস একবারের জন্যও অতশী আমাকে দেখতে যায় নি।আমি মরে গেছি নাকি বেঁচে আছি সে খোঁজও নেয় নি।আমি মাত্র সুস্থ হয়েছি।ইচ্ছা ছিলো অতশীর সাথে দেখা করবো না।ও যখন আমার অসুস্থতার সময়ই পাশে ছিলো না তাহলে সে কিসের বউ হয়।কিন্তু আসতে হলো আমাকে।দাদী প্লিজ বাঁধা দিয়েন না আর।অতশী এখানে থাকলে প্রবলেম হয়ে যাবে।আমি ওর সেফটির জন্যই ওকে নিতে এসেছি।যতই হোক বউ তো।একটা তো দায়িত্ব আছেই।ও দায়িত্বহীন হলেও আমি কিন্তু তেমন নই।এই বলে ইভান অতশীর দিকে তাকালো।
অতশী জানে ইভান তার উপর অনেক বেশি মন খারাপ করেছে।কিন্তু ইভান হয় তো এটা জানে না যে, সে তার আম্মুর কথা না শুনলে তার আম্মু তার সাথে কি কি করতে পারতো।অতশীর তো ইচ্ছা ছিলো ইভানের সাথে থাকতে।তার সেবা যত্ন করতে।কিন্তু তার আম্মু ছেলেকে হারিয়ে একদম পাগল হয়ে গিয়েছিলো এই পরিস্থিতিতে তার পাশে থাকাও ভীষণ দরকার ছিলো।ইভান হয় তো এটা কখনোই জানবে না সে তার কাছে যাওয়ার জন্য সব রকমের চেষ্টাও করেছে।কিন্তু তার আম্মু মাথায় হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করে নিয়েছে যার জন্য অতশী আর ইভানের কাছে যায় নি।
অতশীর আম্মু হঠাৎ এগিয়ে এসে বললো,আমার বিন্দুমাত্র রুচি নেই তোমার সাথে কথা বলার।আর আমি কোনো তর্কও করতে চাই না।তোমাকে শুধু একটা কথা বলতে চাই তা হলো তুমি অতশী কে বউ হিসেবে মানলেও অতশী তোমাকে স্বামী হিসেবে মানে না।সে তার ভাই এর খুনীর সাথে কিছুতেই থাকতে চায় না।তুমি ওকে এভাবে জোর করে নিয়ে যেতে পারো না।
তুমি ওকে একটিবার জিজ্ঞেস করো।ও যদি যেতে রাজি হয় তখন আমি আর কিছুতেই বারণ করবো না।আজ আমিও দেখতে চাই অতশী আজ কাকে বেছে নেয়।তার মাকে না তার ভাই এর খুনীকে।
এই বলে অতশীর আম্মু অতশীকে গাড়ি থেকে নামালো।আর তাকে বললো,আমাদের মানসম্মানের ব্যাপার এটা অতশী।যদি তুই ইভানের সাথে চলে যাস তাহলে কিন্তু আর কখনোই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবি না।আজ আমিও দেখতে চাই তোর কাছে কে বড়?তোর মা না দুই দিনের ওই ছেলেটা।
অতশী তখন বললো, আম্মু কি বলছো এসব?আমি কখন বললাম ইভান কে আমি স্বামী হিসেবে মানি না?আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি সে আমার স্বামী।তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।তবে তুমি যেভাবে শর্ত দিচ্ছো আমি সেটা মানতে রাজি নই।আমার সবাইকে দরকার।আমি তোমাদের কেও চাই আর ইভানকেও।এভাবে শর্ত দিও না প্লিজ।
অতশীর আম্মু তখন বললো, না এভাবে বললে হবে না।একজন কে বেছে নিতে হবে।কারণ আমি আমার ছেলের খুনীর সাথে কথা বলা তো দূরের কথা তার মুখ ও দেখতে চাই না।এই বলে তিনি অতশীকে টেনে এনে ইভানের সামনে দাঁড় করালো।
অতশী ইভানের দিকে তাকানোর সাহস ই পাচ্ছে না।সে আর কি কথা বলবে?তার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে।
–কি হলো বল?তুই আজ যেটা বলবি সেটাই হবে।
ইভান অতশীর উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে অতশীর হাত ধরে টেনে আবার গাড়িতে ওঠালো।আর সাথে সাথে গাড়ি স্টার্ট দিলো।এবার সে আর থামলো না।
এদিকে অতশীর আম্মু চিৎকার করে করে ডাকতে লাগলো। ইভান কি করছো এটা?গাড়ি থামাও বলছি।কিন্তু ইভান সেদিকে কোনো কান দিলো না।
অতশী তখন বললো, ইভান গাড়ি থামান।আম্মু চিৎকার করছে তো?প্লিজ ইভান!
কিন্তু ইভান অতশীর কথায় কান না দিয়ে এক টানে অতশীর নানার বাড়ির এলাকা ছেড়ে গেলো।
ইভান একদম চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে।
অতশী হঠাৎ বললো,
আমি জানি আপনি আমার উপর প্রচন্ড মন খারাপ করেছেন।আমার উপর ভীষণ রেগেও আছেন।আমাকে দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই,আর কথা বলার ইচ্ছা তো নাই ই।
যে স্ত্রী অসুস্থ হাজব্যান্ড এর পাশে না থেকে তাকে রেখে চলে আসে তার সাথে শুধু রাগ না আরো অনেক খারাপ ব্যবহার করা উচিত।তবুও কেনো নিতে এসেছেন?
ইভান অতশীর প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না।
অতশী তখন বললো,উত্তর দিচ্ছেন না কেনো?কথা বলুন।
ইভান তখন রাগ করে বললো, চুপচাপ বসে থাকো।একটা প্রশ্নও করো না।আমাকে প্রশ্ন করার তোমার কোনো অধিকার নাই।
অতশী সেই কথা শুনে বললো,কেনো নাই?আপনি তো তখন খুব বললেন আমি আপনার বউ। তাহলে কেনো আমি প্রশ্ন করতে পারি না?
ইভান সেই কথা শুনে রাগান্বিত লুকে অতশীর দিকে তাকালো।
অতশী তা দেখে চিৎকার করে বললো, আপনি যেভাবে রেগে আছেন মনে হচ্ছে আমি একাই শুধু অপরাধ করেছি।
কিন্তু আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন যে আপনি নিজেও একজন মারাত্মক অপরাধী।আপনি আমার ভাইকে সাহায্য করার কথা বলে তাকে মেরে ফেলেছেন।আমার ভাই এর সাথে প্রতারণা করেছেন।আপনিই আসল অপরাধী। তারপরও উলটো রাগ দেখাচ্ছেন কেনো?
ইভান সেই কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো, কে কার সাথে প্রতারণা করেছে সেটা সময়ই বলে দিবে।তোমাকে তা নিয়ে ভাবতে হবে না।তবে আমি ভেবেছিলাম তুমি হয় তো বিশ্বাস করবে আমাকে।কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দিলে।তুমিও বাকি সবার মতো।
অতশী সেই কথা শুনে ইভানের হাত ধরে বললো, বিশ্বাস করুন ইভান। আমি আপনাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি।আমি জানি আপনি কখনোই আমার ভাইকে খুন করতেই পারেন না।কিন্তু আপনি সেটা সবার সামনে স্পষ্ট করে বলছেন না কেনো?কেনো চুপ করে আছেন?একের পর এক নিউজ হচ্ছে এ নিয়ে।তবুও আপনি কেনো চুপচাপ? যে খুন করলো ভাইয়াকে তাকে কেনো আড়াল করছেন?সামনে আনছেন না কেনো তাকে?
ইভান তখন অতশীর হাত সরিয়ে দিয়ে বললো, দ্বিতীয় বার এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন করবে না।আমি আগেই বলেছি আমার কাজের ব্যাপারে নাক গলাবে না অতশী।কোন টা সঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা তোমার থেকে শিখতে হবে না।তুমি এতোদিনে হয় তো এটা জেনে গেছো আমি উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কাজ করি না।
–তাহলে আমাকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য কি? নিশ্চয় কোনো উদ্দেশ্য আছে।আমাকে বউ এর মর্যাদা দিতে নিয়ে যাচ্ছেন না শাস্তি দিতে?
ইভান সেই কথা শুনে বললো,এই তো বুঝেছো!উদ্দেশ্য!অবশ্যই উদ্দেশ্য আছে।
তবে বউ এর মর্যাদা তোমাকে দিবো প্রশ্নই আসে না।তোমার প্রতি আমার মন একদম উঠে গেছে।আমি মৃত্যুর সাথে লড়াই করেছি,তুমি একটিবারের জন্য আমাকে দেখতে আসো নি?আমার পাশে থাকো নি।তোমাকে আমি আগে আপনজন ভাবতাম।কিন্তু এখন ভাবি না।
–তাহলে এখন কি শাস্তি দেবেন বলে ঠিক করেছেন?মানে শাস্তির ধরন টা জানতে চাচ্ছি।
ইভান অতশীর প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না।অতশী বার বার জিজ্ঞেস করাতেও ইভানের মুখ দিয়ে আর একটা কথাও বের করাতে পারলো না।
ইভান অতশীকে নিয়ে সোজা তার বাড়িতে চলে গেলো।
অতশী কে দেখে সবাই ভীষণ অবাক!কারণ ইভান আজকেও জোর গলায় বলেছে সে অতশীকে কিছুতেই আনতে যাবে না।মৌরি অনেকবার রিকুয়েষ্ট করেছে তবুও ইভান শোনে নি।ইভানের বাবা মাও অনেকবার বলেছে,যা হবার হয়ে গেছে।এখন সব মিটমাট করে অতশীকে গিয়ে নিয়ে আয়।কিন্তু ইভান তা শুনে রাগ দেখিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
মৌরি অতশীকে দেখামাত্র তাকে জড়িয়ে ধরলো। আর কোনো কথা না বলে ইভানের রুমের দিকে নিয়ে যেতে ধরলো।কারণ মৌরির বিশ্বাস ই হচ্ছে না তার ভাই নিজে গিয়ে নিয়ে এসেছে অতশীকে।তার মানে ইভানের রাগ কমে গেছে।
ইভান হঠাৎ মৌরিকে থামিয়ে দিলো,আর হাত দিয়ে মৌরির রুম দেখালো,ওই রুমে নিয়ে যা।এটা আমার রুম।
–কি বলছো এসব?তোমার বউ আমার ঘরে থাকবে কেনো?
ইভান তখন বললো,যা বলছি সেটাই কর।অতশীকে বাসায় আনার জন্য কান ঝালাপালা করে দিয়েছো সবাই।এখন নাও তোমাদের অতশীকে।
এই বলে ইভান বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।
ইভানের আম্মু তখন এগিয়ে আসলো অতশীর কাছে।তিনি অতশীর হাত ধরে বললেন, আপাতত মৌরির রুমেই যাও অতশী।ইভানের রাগ থেমে গেলে এমনি সব ঠিক হয়ে যাবে।ও ভীষণ মন খারাপ করেছে তোমার উপর।সেজন্য এমন ভাবে বললো।
অতশী তখন বললো,আপনি তো নিজেও ছিলেন।আর দেখেছেনও। আম্মু কিভাবে আমাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে নিয়ে গেলো।আমি তো থাকতেই চেয়েছিলাম।এই বলে অতশী কাঁদতে লাগলো।
ইভানের আম্মু তখন বললো,ওসব কথা এখন বাদ দাও।যা হবার হয়ে গেছে।আর ইভান যদি নিজে না চায় তাহলে কারো শক্তি ছিলো না ওকে বাধ্য করাতে।সে যখন নিজের ইচ্ছাই এনেছে তোমাকে তাহলে বুঝে নাও সে এখনো তোমাকে আগের মতোই ভালোবাসে।সে কারো কথা শোনার ছেলেই না।মেজাজ গরম আছে তো সেজন্য এমন করছে।তুমি প্লিজ আর ওকে ছেড়ে যেও না।
অতশী সেই কথা শুনে চুপ করে রইলো।সে শুধু ভাবছে এখন কি করা উচিত তার?একদিকে ইভান রেগে আছে অন্যদিকে তার আম্মু?কিভাবে সামলাবে সবাইকে?
অতশী কে এভাবে চুপচাপ থাকা দেখে মৌরি বললো,আম্মু মনে হয় আজও অনেক বাঁধা দিয়েছে তাই না?
অতশী মাথা নাড়লো।সে আর কিছু বললো না।
মৌরি তখন অতশীকে তার রুমে নিয়ে গেলো।
অতশী রুমে গিয়েই সব ভুলে মৌরির সাথে গল্পে মেতে উঠলো।সে মৌরিকে সেই ফেরিওয়ালার কথাও বললো।অতশী গল্প করেই যাচ্ছে।
কিন্তু মৌরি কেনো জানি অন্যমনস্ক হলো।
অতশী তা দেখে বললো, কি হলো ভাবি?কই হারিয়ে গেলে?
মৌরি তখন বললো,কিছু না।
অতশী তখন বললো,জানো ভাবি ফেরিওয়ালা টিকে কেনো জানি আমার ভীষণ চেনা চেনা লাগে।কার সাথে যেনো কিছুটা মিল খুঁজে পাই।
মৌরি সেই কথা শুনে অতশীর হাত ধরে বললো,তোমারও এমন মনে হচ্ছে!আমারও কিন্তু সেটাই মনে হচ্ছে।
অতশীও ভীষণ অবাক হলো।সে বুঝতে পারলো না দুইজনের কেনো এমন মনে হলো!
অতশী মৌরির রুমেই থাকলো।তবে সে অনেকবার ইভানের খোঁজ নিয়েছে।ইভান সেই যে বাসা থেকে বের হয়েছে এখন পর্যন্ত আসে নি।অতশী অনেক বার উঠে ইভানের ঘরের দিকে গিয়েছিলো।কিন্তু রুমের ভিতর ঢুকতে পারে নি।ইভান তার রুমে তালা লাগিয়ে চলে গেছে।
ফজরের আযান দিলে অতশী নামায পড়ার জন্য অযু করতে বের হলো।হঠাৎ সে খেয়াল করলো কেউ একজন বাসা থেকে বের হলো।এতো রাতে কে বের হলো!তাহলে কি ইভান এসেছিলো!কিন্তু কখন এসেছিলো?
পরে আবার ভাবলো হয় তো ইভানের বাবা নামায পড়ার জন্য মসজিদে গেলো।
ঠিক সেই সময় ইভানের বাবা জায়নামাজ হাতে নিয়ে তার রুম থেকে বের হলেন!
অতশীকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে বললো,কি ব্যাপার অতশী!ঘুমাও নি?
অতশী তখন বললো, আংকেল নামায পড়বো।আপনি এতোক্ষণে বের হলেন?তাহলে কিছুক্ষণ আগে কে বের হলো?
ইভানের বাবা তখন বললো, এখনো আংকেল বলে ডাকছো!আজ থেকে বাবা বলে ডাকবে।
অতশী সেই কথা মুচকি একটা হাসি দিয়ে শুনে মাথা নাড়লো।
ইভানের বাবা তখন বললো,
কে বের হবে এতো রাতে? ইভান তো মনে হয় আজ ফেরেই নি।ছেলেটা মাত্র সুস্থ হয়েছে।কই একটু রেস্ট নিবে তা না করে মিশনে নেমে গেছে।
এই বলে ইভানের আব্বু মসজিদের দিকে চলে গেলো।
অতশী বুঝতে পারলো না কিছু।সে কি তাহলে ভুল দেখলো।
অতশী তার রুমের মধ্যে চলে গেলোও মন টা ভীষণ আনচান করতে লাগলো। সে কাকে দেখলো তাহলে!কিছুক্ষন পর হঠাৎ গাড়ির আওয়াজ শুনতে পেলো অতশী।ইভান এতোক্ষনে বাসায় ফিরলো।
অতশী সেজন্য রুম থেকে বের হয়ে আসলো।আর ইভানের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
এদিকে ইভান তালা খুলে তার রুমে ঢুকলো।সে একটিবারের জন্য অতশীর দিকে তাকালো না।তার সাথে কোনো কথাও বললো না।ইভান রুমে ঢুকেই ঘরের দরজা লাগিয়ে দিতে ধরলো।
অতশী তখন বললো শুনুন একটু।একটা কথা বলার ছিলো।আগেই দরজা লাগাবেন না প্লিজ।ইভান তবুও দরজা লাগালো।
অতশী তা দেখে মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে যেতে ধরলো। হঠাৎ ইভান দরজা খুললো আবার।আর অতশী কে বললো,কি বলতে চাইছিলে?
অতশী মাথা নাড়িয়ে বললো কিছু না।
ইভান তখন দৌঁড়ে এসে অতশীর হাত শক্ত করে ধরে বললো, কিছু না মানে?মাত্র তো বললে কি যেনো বলবে!
–ভুলে গেছি।
এই বলে অতশী ইভানের থেকে তার হাত ছাড়িয়ে নিলো।আর রুমে চলে গেলো।
#চলবে,,,,