#অনুভূতির_অন্বেষণ
#চন্দ্রিকা_চক্রবর্তী
#পর্বঃ২৩
(৭৪)
—-আরিয়ানের এক্সিডেন্ট মানে? ওই ছেলে এখনো যায়নি এখান থেকে?
—-আমি জানি না আম্মু। কিচ্ছু জানি না। এইমাত্র সাদমান ফোন করে বললো আরিয়ানের নাকী এক্সিডেন্ট হয়েছে। এটা কী হলো আম্মু? এটা কী…কীভাবে হলো?
—-এখন কী অবস্থা আরিয়ানের?
—-আরিয়ানের এক বন্ধুর নাম্বার চাইলো সাদমান আমার কাছে। এখন মনে হয় তাকে হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছে সাদমান আর ইশু।
—-আরিয়ানের কোন বন্ধু? কীসের নাম্বার? মিশু, তুই কী আমার বা তোর আব্বুর কাছ থেকে আরিয়ানের ব্যাপারে কিছু লুকিয়েছিস?
—-আম্মু, আমার হসপিটাল যেতে হবে। এতোকিছু এখন বলার সময় নেই আম্মু।
—-কী? তুই কেন হসপিটাল যাবি? সাদমান যা করার করেছে। বাকিটুকু আরিয়ানের পরিবারের দায়িত্ব। তোর তো এখানে কোনো দায়বদ্ধতা দেখছি না আমি?
—-আমার ফিরতে কতো রাত হবে জানি না আম্মু। কিন্তু আমার যেতে হবে। আল্লাহ হাফেজ।
মিশরাত দৌড়ে সদর দরজা পার করার আগেই তাকে থামিয়ে দিলেন রেণু আক্তার।
—-তুই একা যাবি নাকী?
—-আমাকে আটকিও না আম্মু। প্লিজ। এখন ঝড় বৃষ্টি তুফান কিছু নেই। সবে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা বাজে।
—-দাঁড়া, তোকে একা যেতে দিবো না আমি। আমিও আসছি তোর সাথে।
মিশরাত রেণু আক্তারকে নিয়ে অটোতে উঠার পরপরই সাদমান ফোন করলো।
—-হ্যালো মিশরাত, আরাভের নাম্বার কেন দিলে না?
—-আমি নিজেই আরাভকে জানিয়ে দিচ্ছি। তোমার ফোন করা লাগবে না। তুমি এটা বলো যে তোমরা এখন কোথায়। হসপিটাল পৌঁছেছো?
—-চলে এসেছি প্রায়। আর একটু। ঠিক আছে, তুমি তাহলে আরিয়ানের বন্ধুর সাথে কথা বলো। একা আসতে পারবে?
—-আম্মু সাথে আছে। আমি ফোন রাখছি এখন। আরাভকে ফোন করতে হবে।
সাদমান নিজে থেকেই ফোন কেটে দিলো। মিশরাত দ্রুত আরাভের নাম্বারে ডায়াল করলো। প্রথমবারে আরাভ ফোন না ধরলেও দ্বিতীয়বারের সময় ফোন ধরলো। মিশরাতকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজেই বলে উঠলো
—-আজকে এবং এই মুহুর্তে আপনার ফোনের আমার কোনো প্রয়োজন নেই। এই ফোনটার জন্যই আমি এবং আরিয়ান অনেকদিন যাবত অপেক্ষা করেছিলাম। পাইনি। আর এখন তো আমি আরিয়ানকেই খুঁজে পাচ্ছি না। ছেলেটা মদ্যপ অবস্থায় ছিলো। না জানি কোথায় আছে! এখন আপনার সাথে আমার কথা বলার সময় নেই। দয়া করে আর ফোন দেবেনও না।
—-আরিয়ান এক্সিডেন্ট করেছে। আপনি প্লিজ আমার বলা ঠিকানায় চলে আসুন।
নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না আরাভ।
—-আরিয়ানের এক্সিডেন্ট? মানে? আপনি…আপনি সত্যি বলছেন? আপনি কোথায়? আরিয়ানই বা এখন কোথায়? কী অবস্থা এখন তার? এক্সিডেন্ট কী করে হলো?
—-আমি কিছু জানি না এসব। আমাকে আমার বন্ধু সাদমান কেবল ফোন দিলো। সে-ই বলেছে আরিয়ানের এক্সিডেন্টের কথা। আপনি প্লিজ তাড়াতাড়ি চলে আসুন। আমি আপনাকে হসপিটালের ঠিকানা মেসেজ করে দিচ্ছি।
মিশরাত নিজে থেকেই ফোন কেটে আরাভের নাম্বারে হসপিটালের ঠিকানা মেসেজ করে পাঠালো। এরপর কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলো। মিনিট তিনেক পরেই বলা নেই কওয়া নেই হুট করে মুখ হাত দিয়ে চেপে কান্না শুরু করলো। পাশে বসে থাকা রেণু আক্তার এতোক্ষণ যাবত সবকিছুই লক্ষ্য করছিলেন। মেয়ের এরকম হঠাৎ কান্না করার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না।
—-মিশু তুই কাঁদছিস কেন? তোর কী এখানে কোনো দোষ আছে নাকী? কান্না থামা। তুই আর সাদমান নিজেদের মানবিকতা প্রদর্শন করছিস ওই ছেলের জন্য। এতোকিছু করার পরেও তাকে হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছিস। এটাই কী যথেষ্ট নয়? চোখের পানি কেন ফেলছিস ওই ছেলের জন্য?
—-আম্মু, আমি এমনটা চাইনি। আমি চাইনি আরিয়ানের কোনো ক্ষতি। বিশ্বাস করো আম্মু, আমি শুধু চেয়েছিলাম সে আমার থেকে দূরে থাকুক। কিন্তু তার ক্ষতি আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না।
মিশরাতের কথায় বেশ খানিকটা বিরক্ত রেণু আক্তার। আরিয়ানের কোনো ক্ষতি তো উনিও চান না। আরিয়ানকে পছন্দ করেন না এটা ঠিক, কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোনো ক্ষতি চান। তাই বলে কী উনি এখন এভাবে অঝোরে কাঁদছেন? না তো। তাহলে উনার মেয়ে কাঁদছে কেন? এটাই উনার বিরক্তির কারণ।
এরমধ্যে মিশরাতের ফোন বেজে উঠলো। রেণু আক্তার বুঝতে পারলেন না কে ফোন করছে। কিন্তু এটা দেখতে পেলেন যে যতোবারই ফোন আসছে মিশরাত ততোবারই ফোন কেটে দিচ্ছে। একটা সময় একেবারে ফোন বন্ধ করে দিলো সে।
(৭৫)
হসপিটাল পৌঁছানোর পর সাদমানকে ফোন করলো মিশরাত। জানতে পারলো আরিয়ানকে চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। এরপর কতো নাম্বার ফ্লোরে আছে সেটা জিজ্ঞেস করে মিশরাত রেণু আক্তার সমেত সেদিকে গিয়ে দেখলো ইশরাত চেয়ারে বসে আছে আর সাদমান এদিক সেদিক ক্রমাগত পায়চারি করছে। মিশরাতকে দেখেই সামনে এগিয়ে এলো।
—-সাদমান, কী অবস্থা এখন আরিয়ানের?
—-প্রচুর ব্লাড লস হয়েছে মিশরাত। রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে পড়ে ছিলো। অথচ তাকে হসপিটাল নিয়ে আসার মানবিকতা টুকুনও কেউ দেখায়নি। সাথে সাথে নিয়ে আসলে হয়তো অবস্থা এতোটা ক্রিটিক্যাল হতো না।
—-ডক্টর কিছু বলেনি?
—-এইতো নিয়ে গেল একটু আগে। এখনই তো কিছু বুঝতে পারবে না।
—-অপারেশন শুরু হয়েছে?
—-হ্যাঁ, মাথায় আঘাত পেয়েছে বেশি। হাত পায়েও কাটাছেঁড়া হয়েছে। তুমি আরাভকে বলেছো তো আসতে?
মিশরাত হ্যাঁ বোধক মাথা নেড়ে কিছু বলার আগেই শোনা গেল আরাভের চিৎকার। আরিয়ানের নাম ধরে ডেকে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসছে সে।
মিশরাতের সামনে এসে সরাসরি দাঁড়ালো আরাভ। এরপর চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করলো
—-আরিয়ান কোথায়? এখনো বেঁচে আছে তো?
—-এসব কী বলছেন আপনি! এভাবে বলবেন না দয়া করে।
—-আমি আপনার মিথ্যে সহানুভূতি দেখতে কিংবা শুনতে চাইনি। আপনার কৃত্রিম আবেগ এখন প্রদর্শন না করলেই আমি বরং খুব খুশি হবো। যা বলেছি তার উত্তর দিন।
মিশরাতের সাথে আরাভের এভাবে কথা বলার ধরন দেখে রেগে উঠলো ইশরাত। তেড়ে এলো সে আরাভের কাছে। মিশরাতকে আড়াল করে নিজে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
—-এক্সকিউজ মি? আপনাকে আমি আগে কখনো দেখিনি কিন্তু বুঝতে পারছি আপনিই বোধহয় আরিয়ান হকের বন্ধু। এসব কী ধরনের ব্যবহার করছেন আপনি আমার বোনের সাথে? এভাবে কথা বলেন কোন সাহসে আপনি?
—-আপনার বোনের সাথে কথা বলার জন্য বুঝি সাহসের প্রয়োজন হয়? ওহ, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনার বোন তো আবার নিজেকে বিশাল মাপের মানুষ ভাবে, সেলিব্রিটি টাইপ কিছু। তাই তো আরিয়ান হকের মতো একজনকে নাকে আঙুল দিয়ে ঘুরিয়েছে। তা যা করেছেন করেছেন। আমি তো আপনার বোন কিংবা আপনাদের থেকে আরিয়ানকে নিয়ে কোনোকিছু আর আশাতেই রাখিনি। কিন্তু হঠাৎ করে রূপ পাল্টে ফেললেন যে আপনারা? আরিয়ানের কিছু হয়ে গেলে আপনাদের উপর সরাসরি আঙুল তুলবো আমি তাই বুঝি আগেভাগেই ভালো মানুষ সাজার অভিনয় করছেন? এই যে আপনার বোনকেই দেখুন! নাকের পানি চোখের পানি এক করে ফেলেছে মনে হচ্ছে কাঁদতে কাঁদতে। আহারে দরদ! এতো দরদ কোথায় ছিলো আপনার বোনের যখন আরিয়ান আপনার বোনের পেছনে কুকুরের মতো ঘুরছিলো? এখন সুযোগ বুঝে আপনার বোনের দরদ উতলে উঠলো বুঝি?
এবার আর সহ্য করতে পারলেন না রেণু আক্তারও।
—-এই ছেলে, এভাবে কথা বলছো কেন তুমি আমার মেয়েদের সাথে? কী করেছে তারা?
—-বলতে পারেন নিজেরা সুকৌশলে আরিয়ানকে আজকে এই পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে। আর এখন নিজেরাই নাটক করছে আরিয়ানের সাহায্য করার।
—-নাটক? আপনার কোনদিক থেকে মনে হচ্ছে আরিয়ানকে নিয়ে কেউ নাটক করছে?
সাদমানের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আরাভ বললো
—-এই তো! আর একজনই বাকী ছিলো। এখন ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
—-কী বলতে চাইছেন টা কী আপনি?
—-আরিয়ানকে মিশরাতের থেকে দূরে রাখতে আপনার হাত ছিলো না এটা অস্বীকার করতে পারবেন আপনি? মিশরাতকে আরিয়ানের বিরুদ্ধে নিয়ে যাননি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন আপনি? আমার সাথে মিশরাতের দেখা না করার জন্য ইন্ধন জুগিয়েছেন আপনি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন? পারবেন না। তাহলে সোজা কথা বোঝেন না কেন? নাকী আপনারা সবাই একত্রে মিলে নাটক করে ভাবছেন আমাকে বোকা বানাবেন?
—-এই ছেলে, কী কখন থেকে নাটক নাটক করছো তুমি হ্যাঁ? কে তোমার সাথে নাটক করছে?
—-আপনি মুরব্বি মানুষ। তাই এখানে আপনার না আসাই ভালো। যদিও আজকে আরিয়ানের এই অবস্থার জন্য আপনিও দায়ী, তবুও ভদ্রতার খাতিরে আপাতত আপনার সাথে কোনো তর্কে যেতে চাচ্ছি না আমি।
আবারও মিশরাতের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো আরাভ।
—-তো মিশরাত? আপনার মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে তো? আরিয়ানের চূড়ান্ত ক্ষতি না করে তো আপনি ক্ষান্ত হবেন না সেটা বোধহয় ঠিকই করে ফেলেছিলেন। তো নিন! আপনি আপনার উদ্দেশ্যে সফল।
মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেললো মিশরাত। মুখে বললো না কিছুই।
—-এই আপনি কী বলতে চাইছেন কী হ্যাঁ? আমার বোনের সাথে আপনার বন্ধু এতোবড় অন্যায় করার পরেও এখন শুধুমাত্র তাকে স্যরি বলেছে, তার জীবনে ফিরে যেতে বলেছে বলেই ধেই ধেই করে নেচে চলে যাবে? আমার বোনকে কী গ্যারান্টেড হিসেবে ধরে নিয়েছেন নাকী? আমার বোনের কোনো আত্মসম্মান বোধ নেই?
—-সেই! এখন আপনার বোনের আত্মসম্মান বোধের মূল্য আমার আমার বন্ধুকে হসপিটালাইজড হয়ে দিতে হলো। তাকে রক্তাক্ত করে, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে এরপর শান্ত হয়েছে আপনার আপনার বোন। আচ্ছা, সত্যি করে বলুন তো? আরিয়ানের এক্সিডেন্টের পেছনে আপনাদের হাত নেই তো? হ্যাঁ? হতেই তো পারে, আরিয়ান আপনার বোনের জীবন থেকে সরে যাচ্ছে না বিধায় আপনি, আপনার বোন আর আপনার বোনের এই বন্ধু মিলে আরিয়ানকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করেছেন?
কয়েক মুহুর্ত অবাক দৃষ্টিতে আরাভের দিকে তাকিয়ে থেকে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে সাদমানের কাছে গেল ইশরাত।
—-হলো তো? হলো শান্তি? উপকার করার ফল পেয়েছেন তো? মানা করেছিলাম কিন্তু আমি একবার। শুনলেন না আমার কথা। ইশরাত তো ছোট। ইশরাত তো অবুঝ। ইশরাত তো নির্বোধ। তাই না? ইশরাতের কথার তো কোনো দামই নেই আপনাদের কাছে। এখন কী হলো তাহলে এটা? যার জন্য চুরি করলাম সেই বলে চোর, এমন না ব্যাপারটা?
ইশরাতের কথা৷ শুনে এবার সাদমানও আরাভের দিকে দিকে শক্ত চাহনি দিলো।
—-আপনার বন্ধুর এক্সিডেন্ট হয়েছে শুনে আপনি কষ্ট পেয়েছেন, আপনার মাথা গরম হয়ে গেছে সবই বুঝলাম। কিন্তু অন্যায়ভাবে ক্রমাগত আপনি আমাদের দোষারোপ করতে পারেন না।
—-আরে দোষারোপ তো অনেক ছোট কিছু। যদি আরিয়ানের কিছু হয়ে যায়, তাহলে এই যে মিশরাত আপনি, আপনার ছোটবোন আর আপনার বন্ধু এই তিনজনকে যদি আমি জেলের ভাত না খাইয়েছি, তো আমার নামও আরাভ না। মাথায় রাখবেন কথাটা!
—-কী করবেন গিয়ে করেন, যান। দেখি আপনার দৌড় কতোদূর।
—-প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ তোমরা সবাই চুপ করো। একটা মানুষের এখন এই বিপদের সময় তোমরা কীভাবে এতো তর্ক বির্তক করছো? প্লিজ একটু থামো। প্লিজ থামো।
কান্না করতে করতে আবারও বসে পড়লো মিশরাত। আরাভ একবার এদিক সেদিক তাকালো। এরপর চোখ মুছে কোথায় কোথায় যেন চলে গেল।
কেটে গেল আরও দুই ঘন্টা। পুরোটা সময় মিশরাত একমনে শুধু আল্লাহকে ডেকে গিয়েছে। তার কারণে যদি কারোর মৃত্যু হয় তাহলে সে নিজেকে কোনোদিনই ক্ষমা করতে পারবে না। কিছুক্ষণ পর নিজের কাঁধে কারোর স্পর্শ পেলো মিশরাত। ফিরে তাকাতেই দেখতে পেলো নিশানকে।
—-আপনি? এখানে?
—-আমি তো তোমার খোঁজেই এসেছি মিশরাত। তোমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছি। ধরোনি কেন তুমি? জানো আমি কতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম? এরকমটা কেউ করে? এরপর আন্টিকে ফোন করায় উনি আমাকে ঠিকানা বলে দিলো। তুমি নাকী এক ছুটে হসপিটাল চলে এসেছো। কী হয়েছে বলো তো? কার কী হয়েছে?
মিশরাত নিশানকে কিছু বলতে নিবে তার আগেই শুনতে পেল একজন মহিলার আর্তচিৎকার। চিৎকার করতে করতে এদিকেই ছুটে আসছেন তিনি। মুখে উনার একটাই নাম
—-আরিয়ান!
চলবে…
(ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কার্টেসী ছাড়া দয়া করে কেউ কপি করবেন না।)