অনুভূতি #Roja_islam #part – 8

0
397

#অনুভূতি
#Roja_islam
#part – 8
-কিন্তু কালকে তো ঠিকি আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলেন। – মন খারাপ করে।
– হ্যা ছিলাম। কারন কালকে ভেবেছিলাম তোমায় ডিভোর্স দিবো না তাই।
– ডিভোর্স দিলে কি আমি এখানে ঘুমুতে পারবোনা?
– না। পরে আমার বউ কষ্ট পাবে।
– আপনার বউ তো আমি। – রেগে।
– হ্যা এখন তুমি আমার বউ। বাট কদিন পর আমাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে। পরে আমি আর একটা বিয়ে করবো। পরে ঐ বউ যদি জানে আমি তোমার সাথে এক বেডে ঘুমিয়েছি তাহলে আমার বউ কষ্ট পাবে। তাই তুমি সোফায় ঘুমাবা যতো দিন এবাড়ি আছো ওকে।
– তা এতো যখন যানতি আমায় ডিভোর্স দিবি সাড়া টা দিন জ্বালালি কেনো? হ্যা বল? বল?
.
বর্ণ ওর কলার ধরে ঝাঁকিয়ে বলে বেলা কথা গুলা।
.
– ছাড়ো আমাকে আমাকে ধরলেও আমায় বউ কষ্ট পাবে।
– চেঁচিয়ে।
.
তারপর বেলা কিছু চিন্তা করে বললো।
.
– হুম, আমার নিয়ান ও কষ্ট পাবে পরে তাই না?
– হ্যা পাবে। – দাত কিরবির করে বলে বর্ণ
– ঠিক আছে আমি সোফায় শুবো এখন থেকে।
.
বলেই বেলা গিয়ে শুয়ে পরলো সোফায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে পরলো।কিন্তু বর্ণ ওর খুব রাগ লাগছে বেলা নিয়ান এর কথা বলায়।
– ট্রাস্ট মি বেলা। ধরে আছাড় দিতে ইচ্ছে করছে তোকে।কিন্তু কিছু বলবো না এখন শুধু করবো। যা যা করা লাগে তোকে লাইনে আনতে। – মনে মনে।
.
তারপর বর্ণ ও গিয়ে বেডে শুয়ে পরলো।বেলা সেটা দেখে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।আর নিজে নিজেই বলতে লাগলো।
.
– তোর এমন কেনো লাগছে বেলা?
তুই তো নিয়ান কে ভালোবাসিস তবে। এই লুচু হনুমানের বেডে কেনো শুতে গেলি? কিন্তু কেনো খারাপ লাগছে। এই হনুমানের মুখে অন্য বউ এর কথা শুনে।তবে কি তুই এক দিনে নিয়ান এর কথা ভুলে গেলি…………… না না যে করেই হক আমায় নিয়ান কে খুঁজে বের করতে হবে আর এই লুচুর থেকে দূরে থাকতে হবে। কি না কি করে বসে।-ঠোঁটে হাত দিয়ে বলে বেলা

.
এসব ভাবতে ভাবতে বেলা ঘুমিয়ে পরে।
.
.
.
.
.
প্রায় ৩০ মিনিট পর।
ধপ করে কিছু পরার আওয়াজে।
বর্ণ উঠে বসে দেখে।
বেলা সোফা থেকে নিচে পরে গেছে তাও ঘুম ভাঙে নি।বেঘুরে ঘুমাচ্ছে।
.
– আল্লাহ্ কি দিয়ে জানি এই ধানিলংকা কে তৈরী করেছে। নিচে পরে গেছে তাও কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই এই এলিয়েন মেয়ে ঘুমুচ্ছে।
.
বর্ণ উঠে গেলো বেলার কাছে। আস্তে আস্তে কোলে করে। বেডে এনে শুয়িয়ে।নিজেও শুয়ে বেলার পাশে বেলার কপালে আলতো করে কিস করে বর্ণ।তারপর বেলার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে।
– ঘুমুলে মেটার মুখের মায়া আরো বেড়ে যায়। উফফ, পাগল হয়ে যাবো আমি।
.
বলেই বেলা কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরে বর্ণ।
.
.
.
সকালে বর্ণ বেলা উঠার আগেই।
মর্নিং কিস দিয়ে বেলা কে সোফায় নিয়ে আগের মতো শুয়িয়ে দেয় বর্ণ। যেনো বেলা না বুঝে কিছু।
– আহহ, আমার কাজ শেষ বেলা বেইবি।
মাই ধানিলংকা তোমার ঘুমকে এত্তো গুলা লাপিউ।
কেনো জানো?
ওকে ওকে আমিই বলি।
এতো কিছুর পরেও তোনার ঘুম না ভাঙার জন্য ।
.
বলেই বর্ণ হাসতে হাসতে ওয়াশরুম চলে গেলো।বর্ণ রেডি হয়ে বের হলো একদম অফিস যাবে বলে। কিন্তু বর্ণ দেখলো এখনো বেলার ঘুম ভাঙেনি।
– এই মেয়ে যেমন এলিয়েন। এই মেয়ের ঘুম ও এলিয়েন।এখনো ঘুম ভাঙেনি?
.
বলেতে বলতে বর্ণ নিচে গিয়ে দেখে রাহি ব্রেকফাস্ট করছে একা একা বসে ডাইনিং এ।
– কিরে কালি তুই একা একা খাচ্ছিস। ডাকিস নি কেনো আমাদের। – বসতে বসতে বললো বর্ণ।
– তোর বউ কালি। – রেগে।
– আমার বউ সুন্দরী দেখিসনি। – হেসে
– হ্যা, তার জন্যই তোকে ডিস্টার্ব করিনি।
সুন্দরী বউ নিয়ে যে বিজি ছিলি বুঝতে পেরে।
– হ্যা সত্যি বিজি থাকি। তোর ভাবির টর্চার সহ্য করতে। – বড় বড় চোখ করে বলে বর্ণ।
– মানে কি ভাই। ভাবী তোকে কি টর্চার করে আবার? – অবাক হয়ে।
– কি করে বলছিস? কি কি করেনি বল?
– কি করেছে সেটা তো বলবি নাকি?
– আমাকে কালকে মেকাপ গুলে সেই পানি দিয়ে ঘুম ভাঙাইছে। তারপর তেল ফেলে পিছল খাওয়াইছে। বিশ্বাস কর কোমর আমার এখনো ব্যথা করছে।বলিনি কাউকে কি করে বলবো? বউ এই কাজ করছে।
আর সব চেয়ে বড় কথা আমায় চড় ও দিছে।
.
সব শুনে রাহি হাসতে হাসতে শেষ। আর বর্ণ অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে রাহির দিকে।
– হাসা শেষ কর। – রেগে
– হাহা, ওকে,ওকে শেষ হাসা। কিন্তু একটা কথা বল তোর উপর হাত উঠাইছে ভাবী তুই কিছু করিস নি তো। তাহলে কিন্তু বাবা…..
– চুপ কর কিছু করেনি। খুব কস্টে রাগ কন্ট্রোল করেছি।
– আচ্ছা ব্যাপার টা আসলে কি এক্টু বল আমায়। মানে ভাবি শুধু শুধু তো আর এমন করছে না?
– হ্যা বলছি।
.
তারপর রাহিকে বর্ণ বিয়ের রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সব বলে।
.
দুই ভাই বোন এখন টেবিলের উপর হাত উঠিয়ে গালে হাত দিয়ে রেখেছে।
দুজনি চিন্তিত খুব।
.
– হুম ভাই সিরিয়াসলি একটা কথা বল?
– কি?
– তুই ভাবি কে ভালোবাসিস?
– হ্যা। বেলা আমার প্রথম অনুভূতি। আমি ভালোবাসি বেলা কে।
.
একদমেই বলে ফেলে কথা টা বর্ণ। রাহি মুচকি হাসে বর্ণ ওর উওর শুনে তারপর আবার জিজ্ঞেস করে।
– তুই থাকতে চাস ভাবির সাথে সব সময়?
– মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে চাই বেলার সাথে। – চোখ বন্ধ করে বলে বর্ণ।
.
রাহি এবার ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।
– তা এক দিনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে চাস এতো ভালোবাসা কেমনে কি?
.
বর্ণ চোখ খুলে রাহির দিকে তাকিয়ে বলে।
– জানিস বাবা আমায় বিয়ের আগের দিন কি বলেছিলো।
– না বললে কেমনে জানবো আমি?
– বাবা কে যখন আমি বলেছিলাম। চিনা জানিনা হুট করে বিয়ে করা যায়।কি করে থাকবো কোনো দিন ভালোবাসতে পারবো?
.
আমার কথা শুনে বাবা উওর দেয়।
বিয়ের পর স্ত্রী যেমনি হক না কেনো তাকে প্রথম দেখার পরই তোমার মনে তার জন্য অজানা অনুভূতি তৈরী হবে। সাথে সারাজীবন চলার মতো ভালোবাসা। কারন সম্পর্ক টা যে আল্লাহতালা নিজে ঠিক করে দেন। জন্ম মৃত্যু বিয়ে আল্লাহর হাতে। তিনি সব দিয়েই সম্পর্ক তৈরী করেন। ভালোবাসা, বিশ্বাস,অনুভূতি, রাগ, সুখ,দুঃখ,অভিমান সব দিয়ে।
তাই তুমি না চাইলেও স্ত্রী কে ভালোবাসতে বাধ্য। সেটা তুমি তাকে চিনো কি না চিনো।
.
– আমি ঐসময় বাবার কথা কানে নেই নি।
কিন্তু এখন তোর বলা কথায় তাই মনে হচ্ছে। আমি এক দিনেই বেলা কে ভালোবেসে ফেলেছি।আমার মনে বেলার জন্য যা অনুভূতি তা শুধুই অনুভূতি নয় ভালোবাসা।
– ভাভাহ গোঁ ভাভাহ।
– কি?
– এতো ভালোবাসা রাখবি কই?
মানে এক দিনেই এতো? পরে তো আর খুঁজেই পামু না তোড়ে।
– হারায় যামু বেলাতে আমি হইছে।
.
বলেই রাহির মাথায় একটা বাড়ি মারে।
রাহি হেসে দেয়।
– আচ্ছা শোন এখন।- সিরিয়াস হয়ে।
– কাজের কিছু হলে বলবি না হলে না।
– হ্যা তাই।এখন ভাবির মনে তোর জন্য ফিলিংস আনার আর ঐ নিয়ান কে ভুলানোর একটা আইডিয়া এসেছে মাথায়।
– কি কি বল? – উত্তেজিত হয়ে।
-…………………..
.
রাহির কথা শেষ হতেই বর্ণ বলে।
– ধানিলংকা কে ভালো জব্দ করা যাবে বেশ। – হেসে।
এমন সময় পিছন থেকে বেলার কণ্ঠ শুনে ভাই- বোন দুজনেই চমকে উঠে

– গুড মর্নিং গাইছ।
.
দুজনেই ভয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলে।
– গু…গুড মর্নিং ভাবি।
– গুড মনিং বউ। – ঢোক গিলে।
.
বর্ণ ওর কথা শুনে বেলা চোখ বড় বড় করে তাকায় বর্ণ এর দিকে।
– এই লুচু হনুমান কখন কি চায় কি করে বুঝিনা আমি। – মনে মনে।
– আল্লাহ এই ধানিলংকা কিছু না শুনে নাই তো। তাহলে তো সব শেষ।
.
বর্ণ রাহি’র দিকে তাকিয়ে দেখে। রাহিল ঠোট চেপে হাসছে। বর্ণ এর দিকে তাকিয়ে।কারন বর্ণ বেলার ভয়ে ঘেমে গেছে প্রায়। তাই রাহির জিজ্ঞেস করে বেলা কে।
– ভাবি তুমি কিছু শুনেছো।
.
চলবে….
[গল্পটা নিয়ে তিড়িংবিড়িং শুরু করছি আমি। আর করবোনা। এখন থেকে রেগুলার দিবো ইনশাল্লাহ।আর তোমরা পার্ট ছোট ছোট করিও না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here