#অনুভূতি
#Roja_islam
#part – 9
– ভাবি তুমি কিছু শুনেছো?
.
বেলা কিছুক্ষন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রাহি’র দিকে।তারপর বলে।
– কি শুনবো? কিছু বলেছো কি আমাকে তুমি?
– না…না কিছু’ই বলি নি আমি কি শুনবে তুমি।- হেসে হেসে বর্ণ’র দিকে তাকায় রাহি।
.
– যাক বাবা বেচে গেছি শুনে ফেললে মনে হয়।সত্যি কুচি কুচি করে বিল্লিকে খাওয়া তো।
এমন কিছুই বলতো নিশ্চয় আমার কলার ধরে বেলা। ছিঃ ছিঃ বর্ণ কত ভয় পাশ তুই বেলা কে। না… না কিসের ভয়। – মনে মনে।
.
এএসব চিন্তা করে বর্ণ ঝারি দিয়ে বলে।
– ব্রেকফাস্ট কর। এতো কথা বলিস কেনো রাহি।
.
বর্ণ ওর ঝাড়ি খেয়ে কেউ আর কোনো কথা বলে না। চুপ চাপ খেয়ে যে যার মতো রুমে চলে যায়।বেলা রুমে এসে রেডি হতে লাগল।
বর্ণ আর চোখে দেখছে কিছু বলছে না। বেলা রেডি হয়ে বর্ণ ওর সামনে এসে বলে।
– আমায় কলেজ দিয়ে আসুন।
.
বেলার কলেজ যেতে চায় শুনে বর্ণ রেগে যায় তাই চিল্লিয়ে বলে।
– আমাকে কি আপনার ড্রাইভার মনে হয়। যে আমি আপনাকে দিয়ে আসবো? – রেগে।
.
বেলা বর্ণ’র কথায় একটু থ হয়ে যায়।
– আপনাকে ড্রাইভার বলি নি। আপনি তো আমার হ……..
– কি আমি আপনার?
– আপনি এমন ব্যবহার করছেন কেনো আমার সাথে? – কাঁদকাঁদ হয়ে।
– কি করেছি আপনাকে টাচ করেছি? নাকি মেরেছি?
– ভ্যা, ভ্যা,ভ্যা, ভ্যা।
.
বেলা এবার কেঁদেইই দেয় বর্ণ’র এমন চেঞ্জ মেনে নিতে পারছে না।বর্ণ বেলার কান্না দেখে বেলা কে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে।
– কাঁদছেন কেনো আপনি? – রেগে।
.
বেলা বর্ণ’র কথা শুনে আরো শ্বব্দ করে কেঁদে দেয়।তাই বর্ণ বেলার ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরে কিস করতে থাকে। বেলা প্রথমে চোখ বড় বড় করে নেয়। পরে বর্ণ’কে ঝাপটে ধরে আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়।তা দেখে বর্ণ মনে মনে বলে।
– সরি আমার ধানিলংকা । কিন্তু এক্টু কষ্ট তোমায় দিতেই হবে সরি। – মনে মনে।
.
যেমন চিন্তা তেমন কাজ বর্ণ হঠাৎ ই বেলা কে ধাক্কা দেয়। বেলা ধাক্কা খেয়ে বর্ণ’র থেকে দূরে ছিটকে পরে।ধাক্কা টা বেশ জোরেই ছিলো। তাই বেলা নিজেকে সামলাতে পারেনি।
বেলা এমন টা আশা করেনি বর্ণ’র কাছে এই মুহূুর্তে তাই আস্তে আস্তে উঠে জিজ্ঞেস করে।
– এসব এর মানে কি?
– ওয়াট?
– এমন করছেন কেনো আমার সাথে ? – কান্না করে।
– মন চেয়েছে তাই। – অন্য দিকে তাকিয়ে।
.
বেলা আরো কষ্ট পেলো বর্ণ’র উত্তর শুনে।
তাই বেলা চলে যেতে নিলে বর্ণ বলে।
– আমি মেয়ে দেখতে যাচ্ছি আজকে রাহি’কে নিয়ে
রাহির সাথে তুমিও যাবে। তাই আজকে কলেজ যেতে পারবেনা। তাই ভালোভাবে রেডি হয়ে নেও এই ফাটা টি-শার্ট না পরে বলেই বর্ণ রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
বেলার মাথায় তো যেমন আকাশ ভেঙে পড়লো বর্ণ’র কথা শুনে। বেলা ওখানেই স্টেচু হয়ে দারিয়ে রইলো।
– মেয়ে দেখতে যাবে মানে কি? কিসের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে? আমি ভাবতে পারছি না বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে এই লুচু হনুমান তাও নিজের বউ নিয়ে।
.
এসব বলেই বেলা আবার কেঁদে দেয়।
– কেমন ছেলে নিজের বউ কে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবে বলে? এই ছেলের বউ মরে গেলে মনে হয় রাতেই আরেক বিয়ে করবে। লুচু’র বাচ্চা। আমি দিবো না তোকে মেয়ে দেখতে।
বাবায়ায়ায়ায়ায়ায়া কেমন ছেলের সাথে বিয়ে দিছো। তোমার থেকে হারামি ওই ছেলে। ডিভোর্স এর আগেই মেয়ে দেখতে যাবে
তাও আমাকে নিয়ে কত্তো বড় হারামি।
.
বেলা চিল্লিয়ে কান্না করছে বর্ণ’র ব্যবহার বেলা মানতে পারছে না।
.
দরজার আড়ালে রাহি আর বর্ণ দারিয়ে। শুনছে বেলার কথা। দু জনেই বেশ খুশি।
কারন ওদের প্লেন কাজ করেছে।
বেলা কষ্ট পাচ্ছে বর্ণ মেয়ে দেখতে যাবে শুনে।
– ভাই। – আস্তে করে।
– রাহি বেলা কান্না করছে। বেশি হয়ে গেলো না। – মন খারাপ করে বলে বর্ণ।
– পাগল হয়ে গেছিস? এক্টু কান্না করলে কিছু হবে না। -ফিসফিসিয়ে।
– না আমি এভাবে দেখতে পাচ্ছি না….
– তুই কি চাস ভাবি তোকে ভালো বাসুক?
– হ্যা, কিন্তু!
– তাহলে চুপ থাক। আমি আমার কাজ টা শেরে আসি কেমন?
– ওকে! – করুন কন্ঠে
– বাই।
– শুন?
– কি তাড়াতাড়ি বল?
– বেশি কাঁদাবি না।
– অলে বাবা লে ঢং ।
– কালি….
– ঠিক আছে ঠিক আছে। এখন যাই আগে।
– ওকে!
[ ধানিলংকার সাথে প্লেন?বেলা যখন জানবে ওদের প্লেন তখন বেলা কি করবে আমি আছি সেই চিন্তায়।তোমরা ও বেশি খুশি হইয়ো না বেলার চিক্কুর পাক্কুর দেখে অকা]
.
একটু পর রাহি রুমে ঢুকে নক করে।
রাহি’কে দেখে বেলা চোখ মুখ মুছে তাড়াতাড়ি করে।
– ভাবি কি করছো?
.
চলবে….
[ জানি অনেক ছোঁট্ট হইছে।কিন্তু আমার শরীল ভালো না তাই চেয়েও বড় করে লিখতে পাড়ি নাই। কালকে রেগুলার দিবো বলছি তাই এতোটুকু সকাল থেকে অনেক কস্টে লিখে দিছি।ভুল হইছে অনেক ক্ষমা করে দিয়ো ]