অন্তর্লীন_প্রণয় সাদিয়া মেহরুজ দোলা পর্ব-১০

#অন্তর্লীন_প্রণয়
সাদিয়া মেহরুজ দোলা
পর্ব-১০

-‘ আয়ন্তিকা কে তুই কি পছন্দ করিস অহর্নিশ?নুশি সেদিন কি বলেছিলো সেটা?এগ্রিমেন্ট, মিস্ট্রি সল’ভ হোয়াট ইজ দিজ?’

তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অহর্নিশ তাকায় অয়নের দিকে।অয়ন এর চোখমুখে চিন্তার ছাপ এঁটে সেঁটে আছে। অহর্নিশের উত্তর সম্পর্কে তার জানা আছে তবে সে আজ চাইছে একটু ভিন্নতা আসুক। সে যা ভাবছে তা না ঘটুক। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অহর্নিশ হাতের ফোন টেবলের ওপর শব্দ করে রেখে বলল,

-‘ এটা জানার জন্য আর্জেন্ট আসতে বলেছিস?দু মাস আগের কাহিনি এখন?’
-‘ হ্যা,ব্যাস্ত ছিলাম এতদিন। প্লিজ উত্তর দে অহর্নিশ। মিথ্যা বলবিনা। ‘

অহর্নিশ রেগে যায় কিছুটা। কর্কশ কন্ঠে উচ্চ স্বরে সে বলল,

-‘ তুই জানিস আমি কতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে এসেছি? ‘
-‘ আমি যার জন্য ডেকেছি তোকে সেটাও কিন্তু খুব বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তুই জানিস সেটা! এবার উত্তর দে,’
-‘ না করিনা পছন্দ। কি কারণে ওর মতো মেয়েকে আমি পছন্দ করতে যাবো? এবার পেয়েছিস উত্তর? যাচ্ছি আমি! ‘

অহর্নিশ উঠতে নিলে অয়ন তাতে বাধা প্রদান করে। রাগান্বিত কন্ঠে সে বলল,

-‘ তাহলে ওকে বিয়ে করলি কেনো? কেনো আয়ন্তির জীবনটা নষ্ট করলি বল? তোর কি মেয়েদের কে ব্যাবহার্য বস্তু মনে হয়? নুশি কাল কিসের এগ্রিমেন্ট, মিস্ট্রি সলভের কথা বলছিলো? খুলে বল! ‘

অহর্নিশের ঠোঁট বাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়। কপালের সামনে পরে থাকা চুলগুলো কে সে পিছন ঠেলে দিয়ে বলল,

-‘ বলতে বাধ্য নই! ‘

অয়ন রেগে গর্জে উঠে বলল,

-‘ অবশ্যই বাধ্য তুই। এভাবে একটা মেয়ের জীবন নিয়ে তুই খেলতে পারিস না। দোহাই লাগে বল। ‘

শেষোক্ত কথাটা আকুতির সুরে অয়ন বলার পর অহর্নিশ দমে যায়। সিদ্ধান্ত নেয় পুরো বিষয় খুলে বলার। আর কতদিনই বা এসব নিজের ভেতর চেপে রাখবে? একদিন না একদিন তো তাকে সব খোলাসা করতেই হবে। নিজের ভেতর চেপে রাখতে রাখতে সে অস্থির হয়ে পড়েছে।
শুষ্ক ঠোঁট যুগল সে জিহ্বা দ্বারা ভিজিয়ে শীতলতা প্রদানের চেষ্টা করলো। থমথমে কন্ঠে বলল,

-‘ আয়ন্তিকা কে বিয়ে করার আমার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না অয়ন। সব করতে হয়েছে নানার জন্য। তাকে বাঁচানোর জন্য! ‘

অয়ন চমকে উঠলো প্রচন্ড। উত্তেজিত হয়ে বলল,

-‘ হোয়াট? পাগল হইছিস? তোর নানা তো মারা গেছে না? তুই-ই তো বললি। ‘

-‘ নানা মারা যায়নি। তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল, হটাৎ একদিন গায়েভ হয়ে যান তিনি। তারপর চার বছর পেড়িয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ তার হদিস পায়নি। শেষে কোনো এক মাধ্যমে জানা যায় সে মারা গেছে। নানু বলেছিলো। তিনি জানতে পেরেছেন কোনোভাবে। আমাদের তখন নানুর কথাই মেনে নিতে হয়েছিলো। কারণ সে বলেছিল এ বিষয়ে যেনো আর কোনো কথা না হয়। নানুর ওপর তখন কেও কথা বলতে পারতো না। তাই সবাই চুপ ছিলো। আমিও ছিলাম না দেশে। ‘

-‘ তারপর? তোর নানা বাচলো কেমনে? বিয়ার সাথে সম্পর্ক কি ‘

অহর্নিশ লম্বা শ্বাস নিয়ে বলল,

-‘ নানু বলছে নানা বেঁচে আছে।নানাকে আঁটকে রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে নানু বলেছে, নানা একটা উইল করেছিলেন। সম্পত্তির! সেখানে লিখা ছিলো জমিদার বাড়ির সকল সম্পত্তির ৬০% উত্তররাধীকারি হবে এই বংশের সন্তানের প্রথম সন্তানের নামে। তবে আরো কিছু রুলস ছিলো এতে, কাজিন এবং কাজিনের মধ্যে বিয়ে হতে হবে এবং তাদের বাচ্চাই মূলত ৬০% সম্পত্তির মালিক হবে। এমন অদ্ভুত উইল নানা কেনো করেছিলো জানা নেই। আমাদের জমিদার বংশে আয়ন্তিকা বাদে আর কোনো মেয়েই না। থাকলেও তার বয়স অতি স্বল্প। তাই আয়ন্তিকার সাথে নানু বিয়ে দিয়েছে। আমিও রাজি ছিলাম যেহেতু সব জানি। ‘

অয়ন কৌতূহল নিয়ে বলল,

-‘ তো? তোর নানার কিডন্যাপ হওয়ার সাথে এসবের কি সম্পর্ক? ‘

-‘ নানাকে যে আঁটকে রেখেছে সে আমার আর আয়ন্তিকার বাচ্চাটা চায়।বাচ্চাটা যেহেতু ৬০% সম্পত্তির মালিক হবে তাই তাদের সেই সম্পত্তি চাই। কিডন্যাপার’রা এতোটা চালাক পুলিশ কিংবা র্্যাব এদের কাছে কিডন্যাপ সম্পর্কে বলতে গেলে বুঝে যেতো। নানাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। আঘাত করে ছবি পাঠাতো।এ কারণেই আয়ন্তিকা কে বিয়ে করা। জাষ্ট এই মিস্ট্রি টা সল’ভ করার জন্য! কিডন্যাপার কারা জানিনা তবে আমার নানুমনিকে কেমন সন্দেহ হয়। ‘

-‘ আমারও সেইম মনে হচ্ছে। আর এগ্রিমেন্ট? ঐটার কি কাহিনি? ‘

অহর্নিশ সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। চোখ বন্ধ করে নিয়ে বলল,

-‘ মাহির কে চিনিস?’

অয়ন কিছুক্ষন ভেবে নিয়ে বলল,

-‘ তোর ফ্রেন্ড না? ‘
-‘ হু। ‘
-‘ তো ওর কথা হুট করে?’
-‘ কজ এগ্রিমেন্টের কাহিনি ওকে ঘিরেই। ‘
-‘ খুলে বল! ‘

অহর্নিশ থমথমে কন্ঠ ফের বলল,

-‘ প্রথম যেদিন মাহিরকে নিয়ে আমাদের গ্রামে ঘুরতে যাই তখন ও আয়ন্তিকা কে দেখে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু আয়ন্তিকা ওকে পাত্তা দেয়না।ও অনেক ভাবে চেষ্টা করছিলো আয়ন্তিকার এটেনশন পাওয়ার কিন্তু আয়ন্তিকা বরাবরই ওকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এসেছে। এটা যখন ও আমাকে বলল তখন আমি বলেছিলাম আয়ন্তিকা কে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে একমাত্র আমি পারবো। ও তৎক্ষনাৎ একটা এগ্রিমেন্ট তৈরি করে। যদি আমি আয়ন্তিকা কে নিজের প্রেমে ফালাতে পারি তাহলে ৫ কোটি টাকা দিবে।আর যদি আয়ন্তিকা আমার প্রেমে না পড়ে তাহলে ওকে রিটার্ন দিতে হবে ৫ কোটি! আমি রাজি হয়ে যাই যদিও টাকাতে ইন্টারেস্ট ছিলো না। ইন্টারেস্ট ছিলো আয়ন্তিকার প্রতি। ও তেমন কাওকেই পাত্তা দিতোনা।জেদ চেপেছিলো আমার। আমি ওকে নিজের প্রেমে ফালাবো, দ্যাট’স ইট! এছাড়া ওর জন্য আমার কোনো অনুভূতি নেই। যা করি সব ওকে উইক করার জন্য। ‘

পরাপর তিনটা থাপ্পড় মারে অয়ন অহর্নিশের গালে।রাগে রীতিমতো কাঁপছে সে। চোখ দিয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়ে। অয়ন উঁচু কন্ঠে বলল,

-‘ তুই কি জানিস অহর্নিশ তুই ঠিক কতোটা নিচে নেমে যাচ্ছিস। নানার কথাটা নিতে পারলাম বাট এগ্রিমেন্ট? ছিহ্! মানুষের জীবন কি তোর স্বস্তা মনে হয়? ‘

অহর্নিশ কিছু বলল না। অয়ন থাকতে পারছে না এখানে।অহর্নিশ ঠিক কতোটা নিম্নতর হয়ে গেছে তা ভাবতেই ওর লজ্জা লাগছে। অহর্নিশ খারাপ তা সে জানতো। খুব ভালো করে জানতো। কিন্তু এতোটা? একটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে ও। আগে তো এমন ছিলো না। হটাৎ কি হলো এই ছেলের?

অয়ন আঙ্গুল অহর্নিশের দিকে তাক করে বলল,

-‘ যা করছিস না এখন?তারজন্য একদিন তোকে আফসোস করতে হবে। তার থেকে ভালো আগেই ঠিক হয়ে যায়। আর তুই যতোই বলিস আয়ন্তিকার প্রতি তোর কোনো অনুভূতি নেই। সেটা হবে মিথ্যা! অনুভূতি না শুধু ভালোবাসিস তুই ওকে। সময় থাকতে শুধরে যা, ‘

অয়ন বেড়িয়ে যায়। অহর্নিশ তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে তপ্তশ্বাস ফেলে। নিজ রুম হতে বের হয়ে সে আয়ন্তিকার রুমে আসে। রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। আয়ন্তিকা ঘুমে! চুপিসারে এসে সে আয়ন্তিকার পাশে বসলো। কাঁপা একহাত আয়ন্তিকার গালে সন্তপর্ণে রেখে দিয়ে বলল,

-‘ আসলেই কি আমি তোমায় ভালোবাসি?উইক হয়ে যাচ্ছি তোমার প্রতি? কিন্তু উইক তো তোমার হওয়ার কথা ছিলো আমার প্রতি। উল্টোটা হচ্ছে বলে মন বলছে কেনো?’

.

শুভ্র সকালের আর্বিভাব ঘটেছে ক্ষনিক আগে। পূর্ব দিকে সূর্য মাত্রই তার আগমন বার্তা জানাচ্ছে।আসা মাত্রই চারিদিকে নিজের হলদেটে আলো ছড়াতে শুরু করেছে। বহুক্ষণ আধারে নিমজ্জিত থাকা প্রকৃতি এখন আলোর বিলাসে মগ্ন। আরামের বিছানা ছেড়ে কাজের তাগিদে উঠে পড়ছে মানুষ।সেই যে দুই মিনিট ধরে আয়ন্তিকা চোখ খোলার প্রয়াস চালাচ্ছে তাতে সে বরাবরই ব্যার্থ হলো। ঘুম কড়াভাবে কাবু করে নিয়েছে তাকে। এত ঘুম কোথা থেকে উদয় হলো বুঝতে পারছে না সে। প্রতিদিন সূর্যের দেখা পৃথিবীতে মেলার আগেই সে উঠে পড়ত কিন্তু আজ..

পরিশেষে চোখ খুলে নেয় আয়ন্তিকা। আলসেমিতা ত্যাগ করে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পাশে তাকিয়ে সে কিংকর্তব্যবিমুঢ়! মাটিতে বসে থেকে মাথা বেডে এলিয়ে আয়ন্তিকার এক হাত আঁকড়ে ধরে অহর্নিশ ঘুমে বিভোর। আয়ন্তিকা তার চোখ যুগল বড়সড় করে তাকিয়ে আছে। এই লোক এখানে কেনো?এভাবে ঘুমিয়ে আছে কেনো? তার রুমে কখন আসলো? আয়ন্তিকা একটু বেশিই অবাক হয় অহর্নিশ কে নিজের রুমে দেখে। কারণ তাদের সংসার জীবনের পার হওয়া এই দুই মাসে অহর্নিশ কখনো আয়ন্তিকার রুমে আসেনি। শুধু রুমে কেনো সে কখনো আয়ন্তিকার রুমের পাশ দিয়ে অব্দি যায়নি।

আয়ন্তিকা হাত নাড়াচাড়া করলে অহর্নিশ বিরক্ত নিয়ে বলল,

-‘ উফফ… জান, নড়াচড়া করো না তো। ঘুমাতে দাও।’

আয়ন্তিকা কাঁদো কাঁদো চাহনিতে তাকিয়ে থাকে অহর্নিশের পানে। পরবর্তীতে সে কন্ঠস্বর গাঢ় করে বলল,

-‘ এইযে শুনছেন? এখানে ঘুমিয়েছেন কেনো? নিজ রুমে গিয়ে ঘুমান। আর আমার হাত ছাড়ুন। স্কুলে এক্সাম আছে আজ। লেট হয়ে যাচ্ছে। ‘

আয়ন্তিকার কন্ঠস্বর একটু বেশিই জোরে ছিলো।যার ফলস্বরূপ অহর্নিশ ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। চোখ ডলে সামনে তাকাতেই সে ইতস্তত বোধ করে। নিজ হাতের মুঠো হতে আয়ন্তিকার কোমল, তুলতুলে হাত টাকে মুক্ত করে দেয়। ভুলবশত কাল সে আয়ন্তিকা কে দেখতে দেখতে এখানেই মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো। ঘুমের মাঝেই হয়ত আয়ন্তিকার হাত আঁকড়ে ধরেছিলো।

অহর্নিশ পরিস্থিতি সহ প্রশ্নগুলে এড়িয়ে যেতে গম্ভীর কন্ঠে বলল,

-‘ ফ্রেশ হও। রেডি হয়ে নিয়ে ডাইনিং এ আসো। তোমায় স্কুল দিয়ে আমি নিজের কাজ করতে যাবো।’
-‘ আমি কিছু জিজ্ঞেস… ‘

আয়ন্তিকা কে থামিয়ে দিয়ে অহর্নিশ ফিচেল কন্ঠে বলল,

-‘ বাধ্য নই উত্তর দিতে। ‘

অহর্নিশ চলে যায়। আয়ন্তিকা যাওয়ার পানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। অভিমান জন্মে তার একটু,
তবে তৎক্ষনাৎ সে মাথা থেকে সকল কিছু ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। ২০ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নিয়ে এগোয় আয়ন্তিকা ডাইনিং রুমের উদ্দেশ্যে। ডাইনিং রুমে আসতে খেয়াল হয় অহর্নিশ প্লেটে খাবার সার্ভ করছে। ডান হাতের দুইটা আঙ্গুলে তার শুভ্র রাঙা ব্যান্ডেজ করা। ভ্রু কুঁচকে যায় তার। লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে সে ব্যাকুল হয়ে বলল,

-‘ আপনার আঙ্গুলে কি হয়েছে? ‘
-‘ কেটে গিয়েছে। সবজি কাটার সময়। ‘
-‘ সবজি কেনো কাটতে গিয়েছেন? ‘
-‘ বাসায় আরকিছুই ছিলো না। আমি তা খেয়াল করিনি। তাই আজ সকালে আপাতত সবজি, ভাত দিয়েই ব্রেকফাস্ট করতে হবে। ‘

আয়ন্তিকার কষ্ট হয়। সে কি পারতো না এই জিনিসটার দিকে খেয়াল রাখতে? তাহলে তো এটলিষ্ট অহর্নিশের আঙ্গুল আহত হতো না। অহর্নিশ চেয়ার টেনে দিয়ে আয়ন্তিকা কে বসতে বলল। অতঃপর সে নিজেও পাশের চেয়ারটা টেনে বসে পড়ে। ব্যান্ডেজ করার ফলে হাত দিয়ে ঠিকমতো খেতে পারছে না অহর্নিশ। তা দেখে আয়ন্তিকা সঙ্কোচ ফেলে মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বলল,

-‘ আমি খাইয়ে দেই?’

অহর্নিশ মাথা তুলে আয়ন্তিকার দিকে দৃষ্টিপাত দেয়, আয়ন্তিকার কাঁপা হাত এবং অস্বস্তিজনিত মুখশ্রী দেখে মনে মনে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়। তবে মুখে সে বলল,

-‘ দরকার নেই। নিজের খাওয়া শেষ করো। ‘

অতঃপর অহর্নিশ খাওয়ার চেষ্টা করলে আয়ন্তিকা তার প্লেট টেনে নিয়ে নিজের কাছে আনে। ভাত হাতে তুলে নিয়ে অহর্নিশের মুখের সামনে ধরলো। অহর্নিশ একবার ভাবলো কঠোর হয়ে ধমকে না করে দিবে। কিন্তু পরবর্তীতে সে আয়ন্তিকার হাতে খাওয়ার লোভটা দমন করতে পারেনা। সন্তপর্ণে খাওয়া শুরু করে আয়ন্তিকার হাত থেকে। অনভিজ্ঞ হাতে খাওয়ার ফলস্বরূপ তার ঠোঁটের চারপাশে খাবার লেগে যাচ্ছে কিন্তু তবুও অহর্নিশের নিভৃতে প্রশান্তি অনুভূত হয়। কারণটা কি? অহর্নিশ তা খুঁজে পায়না। খাওয়ার এক পর্যায়ে আয়ন্তিকার একটা কথা শুনে অহর্নিশ বিষ্ফোরিত নয়নে তার পানে তাকায়। বিষম খেয়ে চমকে তাকিয়ে আছে সে!

চলবে…

#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here