#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_২০
,
,
,
গিয়ে ডাইরেক্ট সেই এক্সিডেন্ট করা লোকটার কাছে গেলাম,দেখলাম সে উল্টা হয়ে পড়ে আছে আর রক্ত বের হয়েই যাচ্ছে, আমি ও সেখানে থাকা কয়েকজন মিলে লোকটাকে হস্পিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগি,তবে লোকটাকে উল্টা অবস্থা থেকে যখনি সোজাসোজি করে তখনি তার চেহারা দেখি, তার চেহারা দেখেই আমি টাস্কি খেয়ে যাই।
আমি জায়গাতেই টাস্কি খেয়ে যাই!কারন যে ব্যক্তিটা এক্সিডেন্ট করে পড়ে আছে সে আর কেউ না,আমার আপন মামা।
মামাকে দেখেই আমি জায়গাতেই থেমে যাই,আর চিন্তা করতে লাগি একে এখন সাহায্য করা উচিত হবে আমার? যে ব্যক্তির জন্য আমার আম্মু আব্বু বাড়ির বাহিরে ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছে সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করাটা কি ঠিক হবে আমার!কিন্তু পরে ভাবলাম, না তাকে এভাবে ছেড়ে যাওয়া ঠিক হবে না আমার,
মামা পড়ে থাকার পাশেই একটা ব্যাগও মোবাইল পেলাম,বুঝেই গেছিলাম এই গুলো মামার!তাই আমি ও কয়েকজন মানুষ মিলে মামাকে ও তার ব্যাগ মোবাইল নিয়ে একটা গাড়িতে তুললাম ও নিয়ে যেতে লাগি হস্পিটালে!
হস্পিটালে পোছাতেই মামাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা স্ট্রেজারে উঠিয়ে নিলাম,এরপর সোজা হস্পিটালের ভিতরে নিয়ে যাই আর ডাক্তারকে ডাকতে লাগি,ডাক্তার ও কিছু ওয়াড বয় এসে মামাকে নিয়ে যায় OT তে নিয়ে যায় আর আমি মামার জিনিস গুলো সহ ও আমার সাথে আসা বাকিরা OT এর বাহিরে দাড়িয়ে আছি,এরই মধ্যে OT থেকে ডাক্তার বেরিয়ে আছে,
–পেসেন্টের প্রচুর রক্ত ঝরে গেছে!পেসেন্টের জন্য রক্ত লাগবে(ডাক্তার)
–আমি রক্ত দিবো,(আমি)
–ঠিক আছে আমার সাথে আসুন,দেখি আপনার ব্লাড তার সাথে মিলে কিনা!(ডাক্তার)
আমিও ডাক্তারের সাথে গেলাম,এরপর আমার ব্লাড সেমপল নিয়ে ব্লাড টেষ্ট করলো!
–না আপনার ব্লাড হবে না,
–কেন,আমার ব্লাড মিলে নাই!(আমি)
–না, আপনার ব্লাড হবেই না, এককাজ করেন আপনার সাথে কয়েকজনকে দেখলাম তাদের মধ্যে থেকে দেখেন ব্লাড নিতে পারেন কিনা!!প্লিজ তাড়াতাড়ি করুন,(ডাক্তার)
–আচ্ছা ঠিক আছে,আমি দেখছতে!(আমি)
এরপর আমিও বাহিরে যাই, বাহিরে গিয়ে আমার সাথে আসা সকলের সাথে কথা বলি কিন্তু কেউই ব্লাড দিতে চাচ্ছে না!আমি অনেক বুঝাই কিন্তু তারপরেও কেউই দিচ্ছে না।তারপর উপায় না পেয়ে তানভির ও রূদয়কে কল দিলাম,তারাও কল তার ৫ মিনিটের মধ্যেই হস্পিটালে এসে পোছায়,
এরপর সকল ঘটনা বললাম,কিন্তু যে এক্সিডেন্ট হইছে সে যে আমার মামা তা বলি নাই,জাষ্ট বললাম একজন এক্সিডেন্ট হইছে, রক্ত লাগবে তারাও রক্ত দিতে রাজি হয়ে যায়।
আবার ডাক্তার আসে!
–রক্তের যোগার হলো!(ডাক্তার)
–ডাক্তার আমার এই দুই ফ্রেন্ডের রক্ত চেক করে দেখুন রক্ত মিলে কিনা!(আমি)
–ঠিক আছে, আপনারা দুজনেই আসুন!(ডাক্তার)
এরপর তানভির রূদয় ভিতরে যায়,কিছুক্ষন পর তানভির বাহিরে আসে,
–অন্তর রূদয়ের রক্ত মিলে গেছে, চিন্তা করিস না রূদয়ের রক্ত মিলে গেছে।আর সে রক্ত দিচ্ছে! (তানভির)
–যাক আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুক্রিয়া!(একটা সস্থিত নিশ্বাস ফেলে)
এরপর আমরা বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগি,রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে আমার সাথে আসা বাকিদের পাঠিয়ে দিলাম।তারপর আমরা আবার অপেক্ষায় আছি ডাক্তার OT থেকে বের হবার জন্য।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার বেরিয়ে আসে।আর আমরাও ডাক্তারের কাছে গেলাম।আর জিজ্ঞেসা করলাম এখন কি অবস্থা!
–পেসেন্ড এখন ভালোই আছে, তবে তাকে স্লিপিং ইনজেকশন দিয়ে রাখা হইছে, সময় মতো ব্লাড পাওয়া গেছে বলে এই যাত্রায় বেচে গেছে, তবে হ্যা শরীরে কিছু অংশে ফ্যাকচার হইছে, তবে খাওয়া দাওয়ার পর নিয়মিত ওষুধ খেলে ও রেষ্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে, তবে মিনিমাম একমাস বেড রেষ্ট নিতে হবে তাকে!(ডাক্তার)
–জী,ধন্যবাদ ডাক্তার!(আমি)
–আরে ধন্যবাদ দিচ্ছেন কেন,এটা আমার কর্তব্য,আচ্ছা পেসেন্ড আপনাদের কি হয়!(ডাক্তার)
কথাটা শুনতেই টাস্কি খেয়ে গেলাম,কারন পাশে তানভির আছে তাই বলা যাবে না সে পেসেন্ট আমার মামা হয়,যদি তানভির কিংবা রূদয় জানতে পারে আমি মামাকে বাচাইছি ও আমার কথা শুনে রূদয় রক্ত দিছে কিন্তু কাকে দিছে তা জানলে দুইটাই আমাকে আস্ত রাখবে না।কারন যে ব্যক্তি আমাদের এতো ক্ষতি করলো অথত তাকেই বাচালাম সেজন্য তানভির রূদয় আমাকে উরাধুরা দিবে।
–জী,মানে আসলে ডাক্তার আমি রাস্তা দিছে হাটছিলাম তখনি আমার সামনে এক্সিডেন্ট হয়,তাই আমিও সেখানে যাই আর পরে তাকে এখানে নিয়ে আসি,আসলে আমার কেউই হয় না সে!(আমি)
–ও আচ্ছা, তাহলে তো আপনি ভালোই কাজ করছেন,যাক ভালোই,(ডাক্তার)
–জি,থ্যাংইউ(আমি)
–আচ্ছা আমার সাথে আসুন আমি কিছু ওষুধের নাম লিখে দিচ্ছি।তার পরিবারের কেউ আসলে তাকে দিয়ে কিনিয়ে নিয়েন!(ডাক্তার)
এরপর আমি ডাক্তারের সাথে গেলাম,ডাক্তার থেকে প্রেস্ক্রিপশন নিয়ে নিলাম,আর বাহিরে আসলাম!
–দোস্ত,এখন কি করবি!সে তো অজ্ঞান অবস্থায় আছে, (তানভির)
–দোস্ত,দেখ একটা মানুষ বিপদে পড়ছে তাকে এভাবে একা ছেড়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না, তুই এক কাজ করিস, তুই রূদয়কে নিয়ে বাড়ি চলে যাইস,আমি এখানে আছি,দেখি জ্ঞান ফিরলে তার সাথে কথা বলে তার পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারি কিনা!(আমি)
এরই মধ্যে রূদয় ও বাহিরে আসে!
–তানভির রূদয়কে নিয়ে বাড়িতে চলে যা, রক্ত দেওয়ার পর মানুষের শরীরটা দূর্বল হয়ে যায়,রূদয় এর রেষ্ট দরকার!(আমি)
–না আমি,ঠিক আছি,আর তুই যাবি না বাড়িতে!(রূদয়)
–না আমি এখানে থাকবো!মানুষটাকে এভাবে একা রেখে যাওয়াটা ঠিক হবে না,যদি তার পরিবারের কেউ এখানে থাকতো তাহলে চলে গেলেও সমস্যা হতো না, কিন্তু এখন সে একা তারপর তার অবস্থাও ভালো না!(আমি)
–ঠিক আছে তাহলে আমরা গেলাম,নিজের খেয়াল রাখিস,আর কিছু লাগলে আমাদের জানাবি!(তানভির)
এরপর রূদয় তানভির চলে গেলো,আর কিছুক্ষন পরে মামাকেও একটা কেবিনে সিফট করা হলো!সাথে ডাক্তারও ছিলো!
–আচ্ছা স্লিপিং ইঞ্জেকশন কতোক্ষন কাজ করবে!!(আমি)
–জি ইনজেকশন্টা দেওয়া হইছে তাকে রেষ্টে রাখার জন্য,তাই আপাদত আজ রাতে ঘুমেই থাকবেন উনি কাল সকালেই ঘুম ভাঙ্গবে!আচ্ছা আপনি থাকেন আমি যাই, আমার বাড়ি ফিরতে হবে, আমার ডিউটি আগেই গেছিলো কিন্তু এই কেশটা আসার খেয়ালই ছিলো না!সাবধানে থাকবেন,নিজেরও উনার খেয়াল রাখবেন!(ডাক্তার)
মামাকে কেবিনে সিফট করার পর ডাক্তারও চলে যায়,আর আমিও মামার আসে পাশেই আছি,মামাকে দেখতে লাগি আর ভাবতে লাগি যাদের সে ছুড়ে ফেলে দিছে আর তাদেরই তাকে লাগলো,কি করে পারলো সে তার আপন বোনের সাথে বেইমানি করতে,যেখানে তার বোন তাকে যথেষ্ট মর্যাদা দিলো কি করে পারলো সে তার বোনকে তারই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে।তার কি একটি বারের জন্য বিবেকে বাধা দেয় নাই!শেষ মেষ তার বোনের ছেলে কেই কাজে লাগলো। মানুষ কি করে এতোটা নিচে নামতে পারে তা আমি জানি না,চাইলেও পারতাম এই মানুষটাকে সেখানে সে অবস্থায় ফেরে রেখে আসতে কিন্তু কিছু জিনিস আমার মাথায় আসে যার জন্য তাকে হস্পিটালে এনে চিকিৎসা করা লাম,এবং খেয়ালও রাখতেছি জানি এতে আমার কোনো ফায়দায়ই নেই তারপরেও কিছু জিনিস চিন্তা করে তাকে বাচালাম।
মামার ব্যাগ ও মোবাইল একসাইডে রেখে আমিও কেবিন থেকে বেরিয়ে আসি,কেবিনের বাহিরে একটা ব্যাঞ্চ ছিলো সেটাতেই বসে পড়ি,বসে থাকতে থাকতে বসা অবস্থায় ঘুম চলে আসে!
সকাল বেলা
আমার ঘুম ভাঙ্গলো,দেখলাম হস্পিটালে লোকজন চলা ফেরা করতেছে, তাই আমিও উঠে পড়লাম,আর মনে পড়লো সকাল হয়ে গেছে মামার কি ঘুম জ্ঞান ফিরছে নাকি!তাই আমিও একটা মামার কেবিনে উকি দিলাম দেখলাম মামা এখনো ঘুম,তাই আমি আস্তে করে রুমে ডুকলাম,চিন্তা করলাম কেন না মামাদের বাড়িতে কল দিয়ে মামার অবস্থাটা বলি,তাই আমিও মামার বালিশের পাশের থেকে মোবাইলটা নিলাম,তবে দেখি মামার মোবাইল অফ হয়ে আছে হয়তো পড়ে ব্যাটারি নড়ে গেছে আসলে ওল্ড ভারসনের ফোনতো মানে ব্যাটারি খোলা ও লাগানো যায়,সেই রকম ফোন,তাই হয়তো পড়ে ব্যাটারি নড়ে গেছে আর মোবাইলও অফ হয়ে গেছে।তাই মোবাইল অন করতে লাগলাম,মোবাইলও অন হলো,একটু সয়াইপ করতেই মোবাইলের লক খুলে গেলো মানে মামা মোবাইলে লক ইউজ করে না যাক ভালোই,তাই আমিও মামীর নাম্বার খুজতে লাগি,এরই মধ্যেই মামীর নাম্বার পেয়ে গেলাম,মামা মামীর নাম্বার মামীর নাম দিয়েই সেভ করা। তাই আমিও মামীকে কল দিলাম,কল দেওয়ার সাথে সাথেই মামী রিসিব করে!
–হ্যালো কোথায় তুমি,কাল রাত থেকে মোবাইল বন্ধ কেন তোমার(মামী কান্না করতে করতে)
–জী আপনার হাসবেন্ড গতরাতে এক্সিডেন্ট করছে,
–কিহহ,এক্সিডেন্ট!কি বলতেছেন আপনি আর কোথায় আছে সে!(মামী কান্না করতে করতে)
–জী,তিনি এখন *****হস্পিটালে ****কেবিনে আছেন,আপনি তাড়াতাড়ি আসুন(আমি)
বলেই কল কেটে দিলাম,আমার কাজ এখন শেষ তাই আমাকে এখান থেকে কেটে পড়লেই ভালো হবে, কারন আমি চাই না মামা মামীদের সামনে আসতে! তাই আমিও মোবাইলটা মামার বালিশের পাশে রেখে দি,মোবাইলের সাথে ডাক্তারের দেওয়া প্রেস্ক্রিপশন্টা রেখে দি,আমার কাজ শেষ ও দায়িত্বও শেষ এখন আমাকে আর এখানে থাকার কোনো মানেই হয় না,তাই আমিও রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নি, তখনি দেখি মামা জেগে উঠে,মামার জেগে উঠা দেখেই আমি সাথে সাথে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে লাগি,রুমের বাহিরে চলে আসলাম,তারপর আস্তে আস্তে করে বাহিরের দিকে যেতে লাগলাম কিছুদূর যেতেই দেখি মামী ও ফয়সাল এই দিকেই আসতেছে, তাদের আসতে দেখে আমিও পড়ে গেলাম মুসিবতে, তখনি মনে পড়লো আমার কাছে তো মাস্ক আছে তাই আমিও আস্তে করে বের করে সেটা পড়ে নিলাম এরপর সুন্দর করে তাদের দেখেও না দেখার ভান করে তাদের পাশ দিয়েই বাহিরে চলে আসলাম,তবে মামী কান্না করতে করতে তার মুখের অবস্থা খারাপ করে ফেলছে আর এতোই তাড়ায় ছিলো যে তার আশে পাশেও তাকায় নি,যাক ভালোই হলো!
এরপর সোজা রূদয়দের বাড়িতে চলে গেলাম,বাড়িতে গিয়ে রূদয়কে কল দিলাম দরজা খোজার জন্য সেও দরজা খুললো,এরপর ভিতরে গেলাম!
–কিরে তার অবস্থা এখন কেমন!(রূদয়)
–এই তো ভালোই আছে, উনার মোবাইল অন করে উনার wife কল দিয়ে লোকটার এক্সিডেন্টের কথা বলি,আর হস্পিটালের নাম ও কেবিন নাম্বার দিয়ে এক নার্সকে লোকটার কাছে রেখে চলে আসলাম।(আমি)
–জ্ঞান কখন ফিরছে তার!(রূদয়)
–আরে সকালে ফিরছে, ডাক্তার তাকে স্লিপিং ইনজেকশন পুশ করছিলো তাই রাতে আর জ্ঞান আসে নাই,একদম সকালেই জ্ঞান আসে তার।এখন তার কথা বাদ দে তোরা কি উঠে গেছিস ঘুম থেকে নাকি আমি এসে উঠালাম,(আমি)
–না আমরা উঠে গেছি,যা ফ্রেস হয়ে নে,তারপর একত্রে নাস্তা করবো!(রূদয়)
–ওকে, আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসি!(আমি)
এরপর আমি ফ্রেস হতে রুমে চলে আসলাম,রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম,এরপর গেলাম ডাইনিং রুমে, সেখানে গিয়ে আমরা কথা বলতে বলতে নাস্তা করতে লাগলাম,এরপর তানভির রূদয় কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিলো তারপর আমরা বেরিয়ে গেলাম,রাস্তায় ৩জনে হাটতেছি ও কথা বলতেছি,আর কথা বলতে বলতে আমরা কলেজে পোছে গেলাম,কলেজে পোছানোর পর রূদয়ও তানভির থেকে বিদাই নিয়ে নি,এরপর তারা কলেজে ডুকে যায় আর আমিও অন্য দিকে যেতে লাগি,ঠিক তখনি unknown number থেকে একটা কল আসলো!তাই আমিও রিসিব করলাম!
–হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম,জি কে বলছেন!(আমি)
–অন্তর,মামা মামী আমাদের বাড়িটা দখল করে নিছে ও আম্মু আব্বুকে নাকি বাড়ি থেকে বের করে দিছে ভাই!
আমার বুঝতে বাকি রইলো না এটা আপু!আর সে আমাকে পূরানো খবর দিচ্ছে!যে খবর শুনে আমি এই এলাকায় অনেক আগের থেকেই উপস্থিত সেই খবর আমাকে এখন আপু দিচ্ছে।
–তো এখন আমি কি করতে পারি!আপনাদের ঘরোয়া মেটারে আমাকে কেন জড়াচ্ছে! (আমি)
–আমাদের ঘরোয়া ম্যাটার মানে!তুই কি আমাদের ঘরের বাহিরের কেউ নাকি রে ভাই!তুই তো আমার আপন ভাই হোস আম্মু আব্বুর ছেলে হোস,কি করে তুই এই কথাটা বললি তুই কি করতে পারিস!আম্মু আব্বু বিপদে আছে আর তুই কিনা এই সব বলতেছিস!(আপু)
–তো আমি আর কি বলবো,আপনাদের ঘরোয়া মেটারে আমি কেন নাক গলাবো,আর তাছাড়াও আমি আপনাদের কেউই না,কারন আমার মতো জানোয়ার কারো ভাই,কারো সন্তানও হতে পারে না বলে মনে করি!(আমি)
–অন্তর ভাই আমার, যা অন্যায় করছি আমিই করছি,প্লিজ এই সবে আম্মু আব্বুকে জড়াবি না, তোর রাগ আমার উপরে তাহলে কেন আম্মু আব্বুকে এই সবে আনিস তুই!দেখ আমি তোর কাছে হাত জোর করে বলতেছি ভাই,আমিই অপরাধী তুই আমাকে যা খুশি বল মেনে নিবো কিন্তু প্লিজ আম্মু আব্বুকে অপরাধী বানাইস না তুই!তারা আমার জন্যই হয়তো তোর উপর রেগে ছিলো ভাই!আমিই তাদের ভুল ঘটনা বলছিলাম,তাদের সাথে যে এতো বড় ঘটনা ঘটলো তারা আমাকে বলে নাই,আজকে একজনে আমাকে কল দিয়ে এই সব বলে,আমি আম্মু আব্বুকে কল দিচ্ছি কিন্তু তারা ধরতেছেই না, জানি না তারা কই আছে কেমন আছে,ভাই তোর রাগ সব আমার উপরেই রাখ কিন্তু প্লিজ আম্মু আব্বুকে খুজে বের কর।এটা তোর কাছে রিকোয়েষ্ট!(আপু কান্না জনিত কন্ঠে)
–কেন আমাকে কেন রিকোয়েষ্ট করা হচ্ছে, আমাকে এই সবে জড়ানোর চেষ্টা করবেন না,আপনি যাদের কথা বলতেছেন তারা আমারই কেউই না, আমি কেন তাদের খুজে বের করবো!আপনার হাসব্যান্ড আছে তাকে বলেন খুজে বের করে দিতে,আমার মতো জানোয়ার নষ্ট ছেলে কোনো ভাবেই কাজটা করতে পারবে না, আর তাছাড়াও আপনাকে না বারন করছিলাম আমাকে কল দিতে তাহলে কেন আমাকে কল দেওয়া হচ্ছে,দেখেন আমি আপনাকে বারন করলাম আর যদি আপনার আম্মু আব্বুর জন্য এতোই দরদ থাকে তাহলে নিজে এসে খুজে বের করুন,আর আপনাকে লাষ্ট ওয়ারনিং, নেক্স টাইম আমাকে কল দিলে আপনার গোটা পরিবারকেই তচনচ করে দিবো,কারন আমি তো জানোয়ার আর আমার মতো জানোয়ার রাগলে কি হতে পারে তা দেখিয়ে দিবো!ভালো থাকবেন খোদাহাফেজ(আমি)
এরপর আমি ডাইরেক্ট কল কেটে দিলাম।আপুর সাথে কথা বলার ইচ্ছা টুকু আমার নেই বললে চলে,,যদি আপুর এতোই দরদ থাকতো তাহলে আপু কথাটা শুনেই নিজেই এলাকায় চলে আসতো আর সে কোন মুখে আমাকে কল দেয় বুঝি না,সে ক্ষমা চাইছে আমিও ক্ষমা করে দিলাম, সাথে বলেও দিছি আমার সাথে যোগাযোগ না করতে, কিন্তু সে।
মিথ্যা বলছি ,আমি চাইলেই আপুকে বলতে পারতাম আম্মু আব্বু কোথায় আছে!কিন্তু আমি আপুকে বললাম আম্মু আব্বু কোথায় আছে জানি না ও খুজেও বের করতে পারবো না।কারন একত এর সাথে এই সব বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী না আমি।২য়ত আমাকে কেউ বলতে হয় না আমি আমারটা ঠিকি করি।যেহুতু আম্মু আব্বুর দ্বারা জন্ম নিছি তাই তাদের প্রতি আমার কর্তব্য আছেই যা আমি পালন করতেই হবে,সেটা আমাকে কেউ বলতে হবে না। কিন্তু এবার আমিও দেখতে চাই আপু আম্মু আব্বুর সন্তান হওয়ার দায়িত্ব কতোটুকু পালন করে,দেখি সে আম্মু আব্বুকে খুজে বের করে কিনা।
চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট 21
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/402649331730323/
পার্ট 19
https://m.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/401124038549519/