অপরাধী পর্ব-২২

0
1967

#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_২২
,
,
,
সোফায় বসে আছি, ভাবতে লাগলাম আমার ফিরে যাওয়ার সময় প্রায় হয়েই আসছে, কিন্তু যাদের কাজ দিলাম তাদেরই কোনো খোজ নেই!তারা কি তাদের কাজটা ভুলে গেছে নাকি অন্য কোনো সমস্যায় পড়লো তারা।এই দিকে আমার সময় তো ঘনিয়ে আসছে,বিষয়টা সত্যি আমাকে ভাবাচ্ছে।

বাড়ি নেওয়ার মতোও একটা পথ ছাড়া আর কোনো পথও পাচ্ছি না আমি,আর সেই পথটা আগেই অবল্মবন করে রাখছি,কিন্তু যাদের কাজটা দিলাম তাদেরই কোনো খোজ নেই,আল্লাহ কিছু একটা উপায় বের করো,আমি তো কারো কোনো কিছুতেই নজর দিচ্ছি না কিংবা কারো জিনিস নিতেছি না, আমি কেবল সেটাই চাচ্ছি যেটার মধ্যে কেবল আম্মু আব্বুরই হক রয়েছে,আর তাদের হক থেকে বঞ্চিত করা হইছে আমি শুধু সেই বাড়িটাই আম্মু আব্বুর কাছে ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি,আমার হাতেও সময় কম।

তখনি আমার মোবাইলে কল আসে দেখলাম মাওয়া কল দিছে, সাথে সাথে কলটা রিসিব করলাম!

–হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম, মাওয়া আপু!(আমি)

–ওয়ালাইকুমসালাম,অন্তর ভাইয়া কাজ হয়ে গেছে। আপনি যেমনটা বলছেন আমিও ঠিক তেমন্টাই করছি তাকে কথার জালে ফাসিয়ে নিলাম আর কালকেই সে আমাকে বাড়ির কাগজটা দেখাবে।আমাদের কাজ প্রায় হয়েই গেছে ভাইয়া আপনি চিন্তা করবেন না।এবার নিশ্চিন্ত হোন।আমরা প্রায় সফলতার দিকে, শুধু কাল সাইমন আমাকে বাড়ির কাগজ পত্রটা দেখাক বাকিটা আমিই করে নিবো!(মাওয়া)

–থ্যাংক্স বোন, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ (আমি)

–আরে ভাইয়া, এতে থ্যাংক্স দেওয়ার কি আছে আপনিও তো আমাদের উপরকার করলেন অনেক বড় বিপদ থেকে বাচালেন আমাদের।তাই আমাদেরও কর্তব্য আপনাকে সাহায্য করার,কাল ডাইরেক্ট কাগজ পত্র নিয়ে আপনাকে জানাবো।(মাওয়া)

–ঠিক আছে, তবে সাবধানে নিজের প্রতি একটু খেয়াল রাখিও।(আমি)

–আচ্ছা ভাইয়া খোদাহাফেজ!(মাওয়া)

–খোদাহাফেজ(আমি)

এরপর কল কেটে দিলো,যাক অবশেষে যে প্লেনটা করছি সেটা প্রায় সফলের দিকে,আসলে আমি মাওয়া ও নেহা একটা প্লেন করছিলাম,সেটা হচ্ছে নেহা ও মাওয়া যে সাইমনের সভাবের সম্পকে জেনে গেছে সেটা সাইমনকে বুঝতে না দিয়েই সাইমনের সাথে রিলেশনের নাটক করে যাবে। এরপর মাওয়া একদিন সাইমনকে ভালোবাসার পরিক্ষার কথা বলবে,এরপর সে সাইমনকে বলছে যদি সে মাওয়াকে ভালোবেসে থাকে তাহলে তাকে একটা কাজ করে দেখাতে হবে তাদের বাড়িটা সাইমনের নিজের নামে করে নিয়ে দেখাতে হবে।জানি না কথাটা মাওয়া কিভাবে বলছে বা সাইমনকে ম্যানেজ করছে, তবে যাই হোক,ভালোই হলো,তবে সাইমনের কাজটা আমি শুধুই মাওয়াকেই দিলাম, মাওয়াকেই দেওয়া কিছু কারন আছে,কারন আমি যতোটুকু মাওয়া থেকে ও নেহা সাইমনের বিহেবার সম্পকে শুনলাম এতে বুঝতে পারলাম সাইমন নেহার থেকে মাওয়ার প্রতি আর্কশিত বেশি,তবে এর পিছে আমি দুইটা কারন ধরে রাখছি,প্রথম হলো মাওয়া নেহা থেকে একটু বেশিই সুন্দরী আর ২য়ত হলো মাওয়া নেহার থেকেও বড় লোক।এই দুইটা কারন থেকে একটার জন্য হলেও সাইমন মাওয়ার প্রতি দূর্বল।আর সেটার সুযোগটাও আমরা নিচ্ছি।

এইদিকে দুদিন হয়েই গেলো কিন্তু হস্পিটাল থেকে মামাকে ডিসচার্জ করার কথা এখনো বলে নাই,দুদিন ধরেই মামা হস্পিটালেই আছে, আমিও প্রতিদিন একবার করে দেখে আসি,কিন্তু সেখানে গেলেও না মামা মামীর সামনে যাই না আবার ডাক্তারের সামনে। আমি আড়াল থেকেই কিছুক্ষন তাদের অবস্থা দেখেই আমার চলে আসতাম,তবে আজকে একটু ব্যস্থছিলাম, কারন যা টাকা ছিলো প্রায় শেষ হয়েই গেছে তাই ব্যাংকে গেছিলাম টাকা তুলতে, আবার বিকাল বেলা তানভির রূদয় আমাকে নিয়ে বাহিরে গেছে সে জন্য বিকালেও সময় পাই নি,কারন তারা তো মামার এক্সিডেন্টের কথা জানে না আর এটাও জানে না যে আমি প্রতিদিন হস্পিটালে গিয়ে তার খোজ নিয়ে আসি।কিন্তু এখন একটু দেখে আসতে ইচ্ছা করতেছে যাই হোক ভালো হোক খারাপ হোক,আপন তো আর আপন মানুষদের পাশে দাড়ানোটা প্রতিটা মানুষেরই কর্তব্য,আর আমি সেই জন্যই মামার খারাপ গুলো দেখেও তার বিপদে সহায় হলাম।

যেহুতু মাওয়া তার কাজে প্রায় সফল হয়েই তাই নেহাকেও কথাটা বলা প্রয়োজন,যাই হোক সে যেহুতু প্রথম থেকেই আমাদের সাথে আছে তাই তাকেও কথাগুলো জানাতো দরকার, তাই মোবাইলটা হাতে নিলাম নেহাকে কল দেওয়ার জন্য, তখনি আমার মোবাইল বেজে উঠে আর দেখি নেহা কল দিছে আমাকে।যাক ভালোই হলো ওকে কল দিতাম এখন তাই আমিও রিসিব করলাম,

–হ্যালো নেহা আপু,আসসালামুয়ালাইকুম,বাহ আপনাকেই কল দেওয়ার জন্যই মোবাইল হাতে নিলাম আর আপনি কল দিলেন,(আমি)

–অন্তর ভাইয়া আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো!(নেহা)

–হ্যা সেটা বলিয়েন তার আগে আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই!আমরা যে প্লেনটা করছিলাম তা প্রায় সফলের দিকেই, মাওয়া আপু তার কাজটা প্রায় করেই ফেলছে এখন খালি কালকের অপেক্ষা তারপর আমাদের কাজ হয়ে যাবে।(আমি)

–যাক শুনে খুশিই হলাম ভাইয়া দোয়া করি যেন কাজটা যেন তারাতাড়ি হয়ে যায়,তবে এবার আমার কিছু কথা বলার ছিলো,(নেহা)

–জি আপু বলেন কি বলবেন!(আমি)

–ভাইয়া আপনি তানভিরকে কি আমার থেকে দূরে থাকতে বলছেন! আর আমাকে এড়িয়ে চলতেও বলছেন?? (নেহা)

–হ্যা, কারন আপনিই তো বললেন সে নাকি আপনাকে বিরক্ত করছে তাই আমিও ওকে আপনার থেকে দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে বললাম,যাতে আপনার বিরক্ত বোধ না হয়,আপনি আপনার মতো থাকতে পারেন!কেন আপু হঠাৎ এই প্রশ্ন?(আমি)

–কারন ভাইয়া আমি আমার ভুলটুকু বুঝতে পারছি!আমি বুঝতে পারলাম আমি কতো বড়ই বোকা,সে খালি তার চাওয়া পাওয়া ইচ্ছা পূরন করার ধান্দায় ছিলো,তাকেই ভালোবাসা ভেবে বসেছিলাম অথচ যে আমাকে ভালোবাসছে তাকে দূরে ঠেলে দিলাম,ভাইয়া আমি আমার ভুলটুকু বুঝতে পারছি,প্লিজ ভাইয়া তানভিরকে বলেন না আমার সাথে কথা বলতে, ওকে বলেন না আমাকে যেন এড়িয়ে না চলতে, আমিও ওকে ভালোবেসে ফেলছি ভাইয়া!(নেহা কান্না করতে করতে)

কথাটা শুনেই সক খেয়ে গেলাম,কিরে ভাই এটা কিভাবে হলো,কেমনে হলো!মানে পূরাই থ হয়েই আছি আমি!মুখ দিয়ে আর কথাও বের হচ্ছে না!

–ভাইয়া, হ্যালো অন্তর ভাইয়া!প্লিজ কথা বলেন!(নেহা)

–একমিনিট দাড়ান,আপনার মনোভাব হঠাৎই তানভিরের জন্য মনোভাব চেঞ্জ হয়ে গেলো কেন!(আমি)

–আমি গতদুদিন যাবৎ কলেজে তানভিরের বিহেবার খেয়াল করলাম আমি যেমনটা ভাবতাম সে আসলে তেমনটা না, তার আচরনে কোনো খারাপ কিছু পেলাম না, আমি ছ্যাচড়া যে বললাম অথচ তার বিরুদ্ধে এমন কোনো খারাপ রেকোডই পেলাম না বরং জুনিয়র আর সিনিয়ার ভাইয়া ও আপুরা তানভিরকে নিয়ে অনেক ভালোভালো কথা বলে এবং স্যারদেরও তার প্রসংসা করতে দেখলাম, আমি নতুন তাই কেউকেই চিনতাম না তাই কারো সাথেও তেমন কথা বলি নাই কিন্তু আস্তে আস্তে সকলের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম আর দেখলাম যাদের সাথে কথা বলি তারাও তানভিরকে চিনে ও ওর সম্পকে ভালোভালো কথা বলতেছে,আমি বিষয়টা দেখে বুঝতে পারলাম না জেনে কেউকেই খারাপ বলতে নেই,আর গতপরশু রাতে আমি একটা ফ্রেন্ডের বাড়ি থেকে আসতেছিলাম তখনি কিছু বাজে ছেলেপেলে আমার সাথে অসভ্যতামি করে তখন সে কই থেকে যেন এসে ওই ছেলে গুলোকে উচিত শিক্ষা দেয়,আর আমাকে সুন্দর করে ঠিকঠাক ভাবে বাড়ি পোছে দেয়,আমি বুঝতে পারলাম যতোটা খাবার ভাবছিলাম ততটা খারাপ সে না,কিন্তু একটা জিনিস আমাকে অবাক করে দিলো ভাইয়া সে আমার থেকে দূরে দূরে ছিলো,গতকাল তাকে থ্যাংইউ বলার জন্য যখন তার সাথে কথা বলতে যাই সে আমাকে দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলে গেলো,আমি তাকে ডাকলাম কিন্তু সে সাড়া দিলো না, কিন্তু আজ যখন কলেজের ভিতরে তার সামনে গিয়ে দাড়ালাম তখন আমাকে দেখেই সাথে সাথে সে সেই জায়গা থেকে উঠে চলে যেতে লাগে, পরে কোনো মতে তাকে দাঁড়িয়ে থ্যাংইউটা বলি,সেও ওয়েলকাম বলেই চলে যেতে লাগে।তখন আবার তার সামনে গিয়ে তাকে থামালাম, ওকে বললাম আচ্ছা তুমি তো আমাকে পছন্দ করো তাই না! কিন্তু সে উত্তরে বলল করতাম তবে এখন আর করি না, কারন আমার বন্ধু বলছে আপনার জন্য আমার মনে যে ফিলিংক্স গুলো আছে সেগুলো শেষ করে দিতে, আর আপনাকে জাতে আর বিরক্ত না করি ও আপনার আশে পাশেও না যাই এবং আপনাকে যেন এড়িয়ে চলি তাই আপনার জন্য আমার মনে আর ফিলিংক্স নেই,বলেই সেখান থেকে চলে যায়,কলেজ ছুটির পর আমি তার জন্য ক্যাম্পাসে অপেক্ষা করি সেও আসে আমিও তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেসা করলাম কে আপনাকে বলছে আমার থেকে দূরে থাকতে তখন সে বলে যার জন্য আমি আপনার কাছে এসে ক্ষমা চাইছি সেই,আর প্লিজ আমার মতো লম্পট ছেলের সাথে কথা বলে নিজের প্রেস্টিজ খারাপ করিয়েন না বলেই চলে যেতে লাগে,ভাইয়া কথাটা সত্যিই আমার ভিতরে গিয়ে লাগে,ও আমাকে এভাবে এড়িয়ে গেলো,চিন্তা ছেলেটার ভালোবাসায় নিজেকে রাঙ্গিয়ে রাখবো,কিন্তু এখন তারমনে আমার জন্য আর জায়গাই নেই,ভাইয়া সত্যি বলতেছি তানভিরকে ভালোবাসি, সে আপনার কথা রাখার জন্যই আমার সাথে কথা বলতে চায় না,আমাকে এড়িয়ে চলে,প্লিজ ভাইয়া বলেন না ওকে আমার সাথে কথা বলার জন্য!(নেহা)

–আমার মতে ও যা বলছে তা তো খারাপ বলে নাই,আর হ্যা আমি বারন করলাম কারন আপনিই তো বলছিলেন সে আপনাকে বিরক্ত করে তাহলে কেন এখন সেই লম্পটাকে চাচ্ছেন,আপু আমিও বলি কি ওর কথা বাদ দিয়ে অন্য একজনের পিছে লাগুন,কারন তানভির অন্যায় করছে মানলাম কিন্তু আপনিও যে তাকে অপমান করছেন সেটাও অন্যায় আর তাছাড়া আপনি নাকি বলছিলেন ওর আর আপনার স্টেটাস এক না, তাই প্রশ্নই আসে না তার সাথে রিলেশন করার, তাহলে আজ সেই স্টেটাসটার কথা ভুলে গেলেন কেন!(আমি)

–ভাইয়া সত্যি বলতেছি আমি অনেক বড় ভুল করছি,আমি সত্যি অনেক বড় বোকা,ভাইয়া প্লিজ রিকোয়েষ্ট করছি, আমি কথা দিচ্ছি ওকে ছেড়ে যাবো না,প্রয়োজনে বিয়েও করতে রাজি আছি,(নেহা)

কথাটা শুনেই আবারও সক খেয়ে গেলাম,সালা তানভিররা তো কাজ করছে, এই জন্যই বলি নিজের পরিচয় এমন ভাবে গড়ে তুলুন যেন আপনাকে কারো পিছে ভাগতে না হয়, সবাই যেন আপনাত পিছে ভাগে,যার উদাহরন তানভির সালা দিয়ে দিলো,আমি জানি তানভির আজও নেহাকে ভালোবাসে কিন্তু আমার কথার জন্য নেহার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না ও এড়িয়ে চলতেছে, যেহুতু নেহা তার ভুলটুকু বুঝতে পারলো আর তানভিরের প্রতি তার মনে ভালোবাসা জন্মেই গেলো তাই আমারও উচিত ভালোবাসাটা আর একটু বাড়িয়ে দেওয়া!

–কিন্তু আপু তানভিরের জন্য তো তার বাসার থেকে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখে ফেলছে,আর বিয়েরও ডেট কাল ফিক্স করবে! তাই বলি কি তানভিরের আসা বাদ দেন,আপনিও অন্য একজনের পিছে লাগুন,(আমি)

–কিহহ,আমি কোনো মতেই তানভিরের বিয়ে হতে দিবো না,তানভিরকে আমি আমার মনে করি ও ভালোবাসি আর আমিই ওকে বিয়ে করবো, শুধু মেয়ে পছন্দ হইছে বিয়ে এখনো হয় নাই, দাড়ান কাল ডাইরেক্ট ওর বাসায় গিয়ে সোজা তার মা বাবার সামনে দাড়াবো আর আমাকে যে প্রোপোজ করছিলোও সবই বলবো আমিও দেখবো সে বেটা আমাকে ছাড়া অন্য কেউকে কি করে বিয়ে করে!আপনি আমাকে ওদের বাড়ির ঠিকানাটা দিতে পারবেন!(নেহা রেগে)

–হ্যা আপু,দেওয়া জায় তবে আমি যে আপনাকে ঠিকানা দিছি সেটা যেন কেউই জানতে না পারে!(আমি)

–ঠিক আছে, আপনি খালি ওর বাড়ির ঠিকানা সাথে ওর মোবাইল নাম্বারটা দেন,বাকিটা আমি করবো!(নেহা)

এরপর নেহাকে তানভিরের নাম্বারও বাড়ির ঠিকানা দিলাম,আমি বুঝতেই পারলাম নেহা তানভিরকে হয়তো বুঝতে পারছে তাই তানভিরের বিয়ের কথা শুনে ডাইরেক্ট এটাক দেওয়ার প্লেন করতেছে সে, যাক ভালোই আমিও চাই তানভিরও হ্যাপি থাক।এরপর কথা শেষ করলাম,দেখলাম তানভির রুম থেকে বেরিয়ে আসছে, আমি যে অঘটন ঘটিয়ে রাখছি সেটা মোটেও তার কানে যেন না যায় পরে দোড়ায় দোড়ায় আমাকে উরাধুরা দিবে।অন্যান্ন রাতের মতো সেই রাতটাও পার করে দিলাম।

পরের দিন সকাল বেলা!

সবাই ঘুম থেকে উঠলাম,আজকের দিনটা আমার জন্য খুবই স্পেশাল হতে চলল কারন আজকেই আমি বাড়িটার কাগজ পত্র পেয়ে যাবো সাথে নেহাও তানভিরদের বাড়িতে গিয়ে তানভিরকে চমকে দিবে,একদিন দুই সুসংবাদ।

ফ্রেস হয়ে নিয়ে নাস্তা করে নিলাম,এরপর আর কি তানভির রূদয়ের সাথে কলেজের দিকে গেলাম,তাদের সাথে কলেজ পর্যন্ত গেলাম,এরপর তারাও কলেজে ডুকে গেলো,আর আমিও সোজা হস্পিটালে চলে গেলাম মামা মামীদের দেখার জন্য। হস্পিটালের সামনে গিয়েই মুখে মাস্ক পড়ে নিলাম,এরপর আস্তে আস্তে করেই মামার কেবিনের দিকে যেতে লাগি।কেবিনে গিয়ে দরজার আড়াল থেকে ভিতরের অবস্থা দেখতে লাগলাম,দেখলাম মামা মামী ও ফয়সাল উপস্থিত আছে,তখনি হুট করেই কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করলো,আমিও মুড়ে দেখলাম একটা মহিলা ছিলো। মানে এমন ভাবে ধাক্কাটা খেলাম মনে হলো ঐ মহিলার চোর ধরতেই তাড়াহুড়া করে রুমে ডুকলো তবে মহিলাটা তো মামার কেবিনে ডুকলো,কিন্তু কেন,আর কোনো মহিলাতো মামার কেবিনে প্রবেশ করার কথা না, শুধু মামী ছাড়া।

–সরি সরি, আপনার ব্যাথা লাগে নি তো!আসলে আন্টির হোস ছিলো না বলেই আপনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ভিতরে চলে যায়,প্লিজ ক্ষমা করবেন(মেয়েলি কন্ঠে)

আমিও মেয়েটার দিকে তাকালাম মেয়েটার দিকে তাকিয়েই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।

চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
লাস্ট পার্ট23

পার্ট 21
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/402649331730323/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here