অপেক্ষার প্রহর পর্ব-১৫

0
567

অপেক্ষার প্রহর(পর্ব-১৫)
বিয়ের তিন বছর পর ইয়াসমিন প্রথম শ্বশুরবাড়িতে পা রাখে। বিনয় বাবু প্রয়োজনীয় কাজে গ্রামে গিয়েছেন। অঞ্জনা সুদীপ্তদের বাসায় আসতে বলেন। সুদীপ্ত বা ইয়াসমিন কেউ ভাবতে পারেনি তাদেরকে এতটা জমজমাট অভ্যর্থনা জানানো হবে। অঞ্জনা হিন্দু রীতিতে বধূবরণ করলেন। সুদীপ্ত একটু আপত্তি করতে চেয়েছিল। ইয়াসমিন বাধা দেয়। অঞ্জনার মন মতই ঘরে প্রবেশ করে সে।ইয়াসমিন লাল জামদানি শাড়ি পড়েছে। সুদীপ্তর পরনে একটা মেরুন কালারের শার্ট। অঞ্জনা মুগ্ধ হয়ে দুজনকে দেখতে লাগলেন। দুজনকে পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে। সবাই উপহারের ডালি নিয়ে বসেছিল ইয়াসমিনের জন্য। অঞ্জনা, অপর্ণা, কৌশিক সবাই উপহার তুলে দিল ইয়াসমিনের হাতে। এমনকি গোপালের মাও বাদ ছিল না।
বসার ঘরে কিছুক্ষণ বসার পর অপর্ণা সুদীপ্তকে তাড়া দিতে লাগলো সুদীপ্তর রুমে যাবার জন্য।
“রুমে যাব কেন? এখানেই তো ভাল আছি” সুদীপ্ত বলল।
“না, এখনি চল। তুই তোর নিজের রুম দেখাবি না বৌমনিকে। আর বৌমনি শুয়ে একটু রেস্ট নিবে।”
“সেটাতো তুই দেখাতে পারিস। তার জন্য আমার যেতে হবে কেন?”
“না না তুই চল। তোরা একসাথে রুমে ঢুকবি।”
বিরক্ত হয়ে নিজের রুমের দিকে গেল সুদীপ্ত। দরজার কাছে এসে অবাক হয়ে গেল। দরজায় বড় করে লেখা “WELCOME DADAVAI-BOUMONI”। রুমে ঢুকতে যাবে এমন সময় অপর্ণা- কৌশিক দুই পাশ থেকে বাধা দিয়ে বলল, “না না এত সহজে যাওয়া যাবে না। আগে ১০ হাজার টাকা দিবি। তারপর বৌ মনিকে নিয়ে ঘরে ঢুকবি।” সুদীপ্ত এখন বুজতে পারল কেন এত জোরাজোরি করে রুমে ডেকে আনা হয়েছে।
“মানে কি? ১০ হাজার টাকা দিব কেন?”
“তুই বৌ মনিকে নিয়ে নিজের রুমে ঢুকবি, আর আমাদের টাকা দিবি না?” কৌশিক বলল।
“আমার রুমে আমি ইয়াসমিনকে নিয়ে ঢুকব। তার জন্য তোদেরকে এখন আমার টাকা দিতে হবে?”
“হুম দিতে হবে, কারন তুই প্রথমবার বৌমনিকে নিয়ে রুমে ঢুকছিস। তাই টাকা দিয়ে ঢুকতে হবে। এখন কথা না বাড়িয়ে টাকাটা দিয়ে দে তো।” কৌশিক তাড়া দিল।
“আমি এত বড়লোক হইনি যে দশ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরব। দুই হাজার আছে পকেটে, বড়জোর দেড় হাজার দিতে পারি।”
“জি নেহি। দশ হাজারের কম এক পয়সাও না। দরকার হলে বুথ থেকে তুলে দে” অপর্ণা বলল।
“আমার কার্ডে টাকা নেই।”
“দেখ দাদাভাই, ফালতু কথা না বলে টাকা দে, বৌমনির কষ্ট হচ্ছে কিন্তু।” ইয়াসমিনের মোটেই কষ্ট হচ্ছিল না। বরং খুব মজা লাগছিল এসব দেখতে।
এমন সময়ে অঞ্জনা এসে বলল, “কি শুরু করলি এসব? এই নে এই টাকাটা আপাতত রেখে ওদের রুমে ঢুকতে দে। মেয়েটা আর কতক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে?” অপর্ণার হাতে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিলেন। তারপর ও রাজী হচ্ছিল না দুজন। সুদীপ্ত বাকি টাকা পরে দেবার আশ্বাস দিলে রুমে ঢুকতে দেয়া হল দুজনকে।
“আজ কিন্তু তোরা এখানে থাকবি। তোদের বাবা কাল আসবে” অঞ্জনা সুদীপ্তকে বললেন।
“না না তা কি করে হয়? জামাকাপড় তো আনা হয়নি। আর কাল আমার অফিস আছে” সুদীপ্ত বলল।
“জামাকাপড় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, মা তোদের দুজনের ঘরে পড়ার জন্য ২ সেট জামা রেখে দিয়েছে ড্রয়ারে” অপর্ণা বলল, “বৌমনি, তোমার নামাজ পড়ার জায়নামাজও আছে।”
“তোমরা দুজনে বিশ্রাম নাও। আমি রান্নাঘর থেকে আসছি।” অঞ্জনা এই বলে রান্নাঘরে চলে গেলেন। অপর্ণাও পেছন পেছন গেল। সুদীপ্ত-ইয়াসমিন দুজনে ঘুরে ঘুরে দেখছিল। ঘর সুন্দর করে সাজানো। চারদিকে ছোট ছোট ফুলদানিতে কাঁচা ফুল সাজানো, বিছানায় ফুল তোলা চাদর। একজন স্মৃতি রোমন্থন করছিল, আরেকজন সেই স্মৃতিকে অনুভব করার চেষ্টা করছিল। দুজনে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াল।
“কেমন লাগলো আমার বৌয়ের তার স্বামীর ঘরটি?”
ইয়াসমিন সুদীপ্তর বুকে মাথা দিয়ে বলল, “ভাল, অসম্ভব ভাল। ভালই হয়েছে মা থাকতে বলেছে। আমার তো এখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে করছে।” সুদীপ্ত ইয়াসমিনকে ধরে রাখল।
দুপুরের খাবারের সময় আরেক ঘটনা ঘটল। ইয়াসমিনকে নিজের হাতে খাওয়াতে গেলেন অঞ্জনা। ইয়াসমিন ভয় পেলে অঞ্জনা লজ্জা পেয়ে যান আগের ঘটনার জন্য। হঠাৎই ইয়াসমিন অঞ্জনার হাত থেকে খাবার খেয়ে নিল। অঞ্জনার খুশিতে চোখে পানি চলে আসে। অপর্ণা বলে বসে, “এটা ঠিক না মা। শুধু বৌমনিকে খাওয়ালে হবে না, আমাকেও খাওয়াতে হবে।”
সুদীপ্ত ও আরেক ধাপ বাড়িয়ে বলল, “তোমরা মেয়েরা খাবা আর আমরা তাকিয়ে থাকব? মা, আমাদের দুজনকেও খাইয়ে দিতে হবে।”
“কি শুরু করলি এসব? তোদেরকে তো আগে খাইয়েছি। মেয়েটা নতুন আসল বাসায়, ওকে একটু খাওয়াচ্ছি আর তোরা সবাই মিলে বাগড়া দিচ্ছিস।” কেউ কোন কথা শুনল না। শেষ পর্যন্ত অঞ্জনা এক প্লেটে খাবার নিয়ে সবাইকে খাইয়ে দিলেন।
খাওয়া শেষে সবাই বসার ঘরে বসে টিভি দেখতে লাগলো। অঞ্জনা ইয়াসমিনের মাথায় তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন। সুদীপ্ত অপর্ণাকে বললেন, “প্রত্যয়কে আসতে বলতে পারতি আজকে।”
“বলেছিলাম। বলল কি কাজ আছে তাই আসতে পারেনি।”
“তুই যে প্রত্যয়কে আসতে বললি মার অনুমতি নিয়েছিস?” সুদীপ্ত কড়া সুরে বলল। অপর্ণা ভয় পেয়ে গেল। কৌশিক সুদীপ্তর চালাকি ধরতে পেল। সেও কড়া গলায় বলল, “বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে কি সাপের পাঁচ পা দেখেছিস? কারও তোয়াক্কা করছিস না আজকাল।” অঞ্জনা আর ইয়াসমিনও অবাক হয়ে গেল দুজনের ব্যবহার দেখে।সবার মুখের অবস্থা দেখে হেসে ফেলল দুই ভাই।সুদীপ্ত অপর্ণার কোলে মাথা দিয়ে বলল, “তুই আমাদের ছেড়ে চলে যাবি?” অপর্ণার চোখে পানি চলে আসছে।কষ্ট করে পানিটাকে আটকাল।
“তুই কিন্তু চলে যাওয়ার সময় তোর ঐ বিশ্রী পুতুলগুলো নিয়ে যাবি।” কৌশিক বলল।
“মোটেও বিশ্রী পুতুল না।আর কিসের জন্য আমি আমার পুতুল নিয়ে যাব এই বাসা থেকে? ওইগুলো এই বাসায়ই থাকবে। বৌমনির বাবু ঐ গুলো নিয়ে খেলবে।”
“কিসের জন্য বৌমনির বাবু তোর ঐ পুরনো বিশ্রী পুতুলগুলো নিয়ে খেলবে? ওর জন্য নতুন সুন্দর পুতুল কেনা হবে” কৌশিক বলল।
“মা দেখনা ছোড়দা কেমন করছে।” অঞ্জনা মুখ টিপে হাসতে লাগলেন। অপর্ণা আর কৌশিক পিঠাপিঠি হওয়ায় ছোটবেলা থেকে ওদের মধ্যে খুনসুটি লেগে আছে। সবকিছু সুন্দর চলছিল। শুধু সন্ধার পর একটু অন্যরকম হয়ে গেল। সুদীপ্ত বাইরে থেকে পিজ্জা অর্ডার করেছিল। সবাই গল্প করছিল আর খাচ্ছিল। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠল। দরজা খুলে দেখা গেল বিনয় বাবু এসেছেন। হঠাৎ করে সবাই নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। পুরো এক মিনিট কেউ কোন কথা বলল না। অঞ্জনা ইয়াসমিনকে বিনয়বাবুর সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন, “খোকার বৌ আর ইনি তোমার শ্বশুরমশায়।” ইয়াসমিন ঝুঁকে সালাম করতে গেল।
বিনয়বাবু বলে উঠলেন, “না না, এই অবস্থায় প্রনাম করতে হবে না।” তারপর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে হাতে কিছু টাকা বের করে ইয়াসমিনের সামনে ধরে বললেন, “নতুন বৌ দেখলে কিছু দিতে হয়। আপাতত আমার কাছে এটুকুই আছে। এটা রাখ।”
“না না বাবা আমার কিছু লাগবে না” ইয়াসমিন আপত্তি করল।
“নাও, গুরুজন দিচ্ছেন। নিতে হয়।” অঞ্জনা বললেন। ইয়াসমিন সুদীপ্তর দিকে তাকাল। সুদীপ্ত মাথা নেড়ে নিতে বলল। ইয়াসমিন মাথা নিচু করে টাকাটা নিল। অঞ্জনা বলে উঠলেন, “অপু- কৌশিক ওরা চাচ্ছিল খোকা আর বৌমা আজকে এই বাসায় থাকুক।”
“ওদের চাইতে হবে কেন? তোমার খোকার ইচ্ছে করেনা এই বাসায় থাকতে?” বিনয়বাবু বিরক্ত হয়ে বললেন।সুদীপ্ত মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল।
রাতের খাবারের পর বিনয়বাবু টিভিতে খবর দেখতে বসলেন। একটু আগে সবাই মিলে বেশ হইচই করে খাওয়া-দাওয়া করেছে, ছবি তুলেছে। অনেকদিন পর বাড়িটা হেসে উঠল যেন।
“বাবা” সুদীপ্ত বিনয়বাবুর কাছে এসে জিজ্ঞেস বলল, “তোমার পাশে একটু বসব?”
“বয়।”
একটু চুপ থেকে সুদীপ্ত জিজ্ঞেস করল, “তোমার শরীরটা মনে হচ্ছে ভেঙ্গে পড়েছে। যত্ন নিচ্ছনা শরীরের?”
“শরীরের আর দোষ কি ? বয়স তো আর কম হলনা। তোর কথা বল। কেমন চলছে অফিসের কাজকর্ম?”
“ভালই চলছে।” সুদীপ্ত জবাব দিল।
একটু চুপ থেকে বিনয় বাবু বললেন, “খোকা, বৌমার শরীর তো ভারী হয়ে উঠছে। তুই সারাদিন অফিসে থাকিস। মেয়েটা ঘরে একা একা থাকে। কখন কি ঘটে। তোদের যদি আপত্তি না থাকে তোরা এখানে এসে থাক। যদি আপত্তি থাকে তাহলে তোর মাকে বলব তোদের বাসায় গিয়ে থাকতে।এ সময় একা একা থাকা উচিত না।”
সুদীপ্ত অবাক হয়ে গেল। বাবা এতটা চিন্তা করে ওদের জন্য। কিছুক্ষণ পর বলল,“মার গিয়ে থাকা লাগবে না। আমরাই এসে থাকব।একটু গুছিয়ে নি, তারপর চলে আসব এখানে।” একটু চুপ থেকে জিজ্ঞেশ করল, “তোমার ব্যবসা কেমন চলছে?”
“চলছে মোটামুটি।” সুদীপ্ত ব্যবসার শেয়ারের ব্যাপারে আর কিছু জিজ্ঞেস করল না। আগে এই বাসায় এসে উঠুক, তারপর না হয় বাবার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে।
বিনয়বাবু এটুকু নয় আরও অনেকটুকু চিন্তা করেছেন ছেলে-ছেলের বৌয়ের জন্য। রাতে অঞ্জনা বিনয়বাবুর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “হ্যাঁগো তুমি রাগ করেছ ওদের আসতে বলায়?”
বিনয়বাবু অঞ্জনার হাত ধরে বললেন, “না অঞ্জু, একদম রাগ করিনি। বরং খুব খুশি হয়েছি। ভাগ্যিস আজ চলে এসেছি। নইলে আমার এত সুন্দর সংসারটা নিজের চোখে দেখতে পারতাম না। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।” একটু চুপ থেকে বললেন, “অঞ্জু আমি ওদের এই বাসায় এসে থাকতে বলেছি। তুমি কিছু মনে করবে না তো?”
অঞ্জুর চোখে পানি চলে এসেছে। বিনয়বাবু বলেই চলেছেন, “খোকা মনে হয় টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা করছে বেশী।ওকে বল এসব নিয়ে চিন্তা না করে মেয়েটার দিকে একটু নজর দিতে।তোমাকে বলা হয়নি আমি বাচ্চাটার জন্য ব্যাংকে একটা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছি।”
“এতদিন বলনি কেন এসব? এতটা ভাব ওদের নিয়ে? এতটা আপন মনে কর?”
“অঞ্জু, খোকা আমার বড় ছেলে। ওকে কতবার কাঁধে চড়িয়ে মেলায় নিয়ে গিয়েছিলাম। একবার কি একটা ভুল করেছিল। প্রচণ্ড মার দিয়েছিলাম। ছেলেটার জ্বর উঠেছিল। সারারাত ওর পাশে বসেছিলাম। তুমি কথা শুনিয়েছিলে মেরে আবার দরদ দেখান হচ্ছে। আমার ছেলের সাথে সম্পর্ক কি খুব ঠুনকো অঞ্জু? একটা বিয়ের কি এতই ক্ষমতা যে একজন বাবার কাছ থেকে তার সন্তানকে দূরে সরিয়ে রাখবে?” একটু চুপ থাকে আবার বললেন, “এতদিন তুমিও তো আমার এতটা কাছে আসনি অঞ্জু।” এটা ঠিক সুদীপ্তর বিয়ের পর অঞ্জনা অনেকটা দূরে সরে এসেছিল বিনয়বাবুর কাছ থেকে। বুজতে পেরেছিল বিনয়বাবু সমাজের কথা চিন্তা করে হয়ত ঐ সিদ্ধান্তটুকু নিয়েছিলেন। তারপরও একটা চাপা ক্ষোভ ছিল বুকের মধ্যে। আজ বিনয়বাবুর কথায় সব বরফ গলে গেল। অঞ্জনা বিনয়বাবুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলেন। বিনয়বাবুও শক্ত করে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরলেন।
কান্নার ঢেউ শুধু বাসার এই ঘরে না, আরেক ঘরেও উঠেছিল। সারাদিন একটু পর পর চোখ ভিজে উঠলেও রাতে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না ইয়াসমিন। সুদীপ্তকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
“এই মিনু, এত কাঁদছ কেন?”
“তোমার পরিবারটা কি সুন্দর। আমি তোমাকে তোমার পরিবার থেকে সরিয়ে রেখেছি।”
“ধুর পাগলী। এভাবে কেউ চিন্তা করে। সবাই তোমাকে কত পছন্দ করেছে দেখেছ। আমার তো আজকে সারাদিন খুব ভাল লাগলো। সবাই মিলে একসাথে কত আনন্দ করলাম আমরা। মিনু, বাবা বলেছে আমাদের এই বাসায় এসে থাকতে। তোমার আপত্তি নেই তো?”
“না” ইয়াসমিন সুদীপ্তর দিকে তাকিয়ে বলল, “দীপ, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর একটা পরিবার দেয়ার জন্য।”
“এতো ধন্যবাদ দিতে হবে না। এখন ঘুমাও তো। সারাদিন তো দুই চোখের পাতা এক করনি। ওনার জন্যও তো তোমার একটু বিশ্রাম দরকার নাকি?” সুদীপ্ত ইয়াসমিনের পেটে হাত রেখে বলল। দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরল।(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here