অপেক্ষার প্রহর (পর্ব- ৩)
ইয়াসমিনকে রত্না এসে যখন বলল সেদিনের লোকটা এসেছে, ওর সাথে দেখা করতে চায় ইয়াসমিনের সারা শরীর যেন কেঁপে উঠল। একটু ধাতস্থ হয়ে ইয়াসমিন পড়নের সালোয়ার কামিজ পালটে শাড়ি পরে নিল।চুল বাঁধল। মুখে কিছু মাখতে ইচ্ছে করল না।ধীর পায়ে বারান্দায় আসে।
সুদীপ্তই প্রথম কথা শুরু করে, “কেমন আছেন?”
ইয়াসমিনের শরীর থেকে থেকে কেঁপে উঠছে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,“ভাল। আপনি ভাল আছেন?”
“সেদিন পরিচিত হতে পারিনি। আমার নাম সুদীপ্ত।সুদীপ্ত সরকার। গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Accounting-এ Graduation Complete করি।এখন একটা Multinational Company তে চাকরী করি।” ইয়াসমিন চুপ করে শুনতে লাগলো। সুদীপ্তও একটু সময় নিল।“আসলে কিভাবে বলব বুঝতে পারছি না।আমি আপনাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই।”
ইয়াসমিন জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে ছিল। সুদীপ্ত কাছে এসে ইয়াসমিনের হাত ধরে বলল,“ আমি কখনও প্রথম দেখায় ভালবাসায় বিশ্বাসী না। এমনকি এখনও যদি কেউ আমায় একথা বলে আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না। কিন্তু বিশ্বাস কর ঐদিন তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগেছে প্রচণ্ড। আর যাকে ভাল লেগেছে, যাকে ভালবেসে ফেলেছি তাকে আর এই অন্ধকারে দেখতে মন চাইছে না। আমি তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।” ইয়াসমিন মাথা নিচু করে রইল। সুদীপ্ত ইয়াসমিনের হাত ছেড়ে দিল।“তোমাকে এখনি কিছু বলতে হবে না। তুমি ভেবে দেখ।আমি কাল আসব।আরও বেশি সময় লাগলে বল। এখানে আমার ফোন নাম্বার আছে। এখানে ফোন করলেই হবে।” এই বলে নিজের একটা ভিজিটিং কার্ড তুলে দিল ইয়াসমিনের হাতে।
“ঠিক আছে। ভাল থেকো। আজ গেলাম।”এই বলে সুদীপ্ত বের হয়ে যাচ্ছিল।কি মনে করে পেছন ফিরে বলল, “এখান থেকে বের হয়ে তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই থাকতে পারো, তা তোমার ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে। আমাকে বিয়ে করতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই।বিয়ের থেকে তোমার এখান থেকে মুক্ত হওয়ার ব্যাপারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” এই বলে সুদীপ্ত সেখান থেকে চলে গেল। আড়াল থেকে রত্না সব শুনল।
কিছুক্ষণ পর ইয়াসমিন দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বসে রইল।এমন নয় যে সুদীপ্তই ওকে প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আরও অনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কেউ তো নিজেকে এভাবে সমর্পণ করে দেয়নি। এতটা সম্মানের সাথে কথা বলেনি তার সাথে।সবাই শাড়ি-বাড়ি-গয়নাগাটির লোভ দেখিয়েছে। এই মানুষটা তো তাকে এসবের লোভ দেখায়নি। সে তাকে এই অন্ধকার জগত থেকে মুক্ত করতে চেয়েছে। কাল পর্যন্ত সময় নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ইয়াসমিন ঠিক করে ফেলেছে। সুদীপ্ত এই হাত ধরেছে।এই হাত ও আর কাউকে ধরতে দিবে না।কাউকে না।বিছানায় উপুড় হয়ে কাঁদল কিছুক্ষণ।
কিছুক্ষণ পর ইয়াসমিনের ডাক পড়ে পেয়ারিবানুর ঘরে।“কি কথা হইল ঐ বেটার লগে?”
ইয়াসমিন চুপ করে রইল।“কথা কস না কেন হারামজাদি?মুখে জবান নাই?”
“উনি আমারে এখান থেইকা নিয়া যাইতে চায়।” বিয়ের কথা বলতে মন চাইল না।
“নিয়া গিয়া কি করব?রক্ষিতা বানাইয়া রাখব?” ইয়াসমিন কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর ধীর স্বরে বলল, “উনি আমারে বিয়ে করতে চান।”
“তা তুই কি কইসস? বোবা হইয়া থাকবি না। বোবা হইয়া থাকলে দিমু কানশার নিচে একটা লাগাইয়া।”
“আমি কিছু কইনাই।”
“ভালা করসস।ব্যাটা আর আইব কিছু কইছে?”
“হ।কাইলকা আইব কইছে।”
“কাইলকা আইলে সরাসরি কবি যে তুই ওনার লগে যাবি না।তুই এইখানে থাকবি। বুজছস কি কইচি?”
“হ, বুজছি।”
“সাহস কত বড় আমার লগে চোটপাট করে। আবার আমার মাইয়ারে ভাগাইয়া নিয়া যাইতে চায়।পেয়ারিবানুরে তো চিনে না।এই পেয়ারিবানু বাঘে- মহিষে এক ঘাটে পানি খাওয়ায়।”
রাতের বেলা কল্পনাও ইয়াসমিনকে অনেক বুঝাল।“মালিনীরেও এরকম বিয়া কইরা নিয়া গেছিল।দেখ বিয়ার ৩মাসের মধ্যে ফেরত আসল। আল্লাহ বাচাইছে বাচ্চা-কাচ্চার ঝামেলা হয় নাই। কুসুমও তো এক বেটার ফান্দে পড়ছিল। ভাগ্যিস বিয়া পর্যন্ত আগায় নাই ব্যাপার। আমি জানি বইন আমাগো জীবনটা আর মাইনসের মত না।এই পুরুষ মানুষগুলার মনে কিছুক্ষণের লাইগা দরদ উঠে, সেই দরদ কিছুদিনের মধ্যে নাইমাও যায়। তহন সমাজ-পরিবার এইসবই বড় হয় এগোর কাছে। আমাগোর কথা তাগ মনেও থাকে না আর। মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর তুই। বেটা তোর চেহারা দেইখা মইজা গেছে। বিয়া কইরা ঘরের মধ্যে রাইখা যহন ইচ্ছা তহন ফুর্তি করব এই ধান্দায় আছে গিয়া দেখ।এসব ধান্দায় ভুলিস না বইন আমার। পরে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাইবি না।”
পরদিন ঠিক সময়ে সুদীপ্ত চলে আসে।পেয়ারিবানু বলে, “মাইয়া আমারে সবই কইছে। আপনে নাকি তারা বিয়া করতে চাইছেন?”
“আমি ইয়াসমিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই।”
“শুধু শুধু সময় নষ্ট না কইরা যান তো এইখান থেইকা।মেলা জ্বালাইছেন।”
“আমি ওর সাথে কথা না বলে এখান থেকে যাব না।”
পেয়ারিবানুর মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। “এই কে আছস? ইয়াসমিনরে ডাক তো।”
ইয়াসমিন ঘরে এসে দাঁড়ালে পেয়ারিবানু গদগদ করে বললেন, “দেখ না মা এই লোকে কি শুরু করছে। তুই আমারে কালকে বলছস না যে তুই আমার কাছে আমার মেয়ে হইয়া থাকবি।বাইরের দুনিয়া বহুত খারাপ। ঐখানে মাইয়া মাইনসের পদে পদে বিপদ। আমার মেয়ে তার মার কাছেই নিজেরে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে।”
“ওর কথাগুলো ওকেই বলতে দেন।”
“বল মা বল। ভয় পাইস না।তোর মা তোর সাথে আছে। কেউ তোর কোন ক্ষতি করতে পারব না।”ইয়াসমিন কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর সুদীপ্তর দিকে ফিরে বলল, “আমি সব গুছিয়ে রেখেছি। আপনি যখন বলবেন আমি আপনার সাথে যেতে রাজি। আপনাকে বিয়ে করতেও আমার কোন আপত্তি নেই।” এই তিনটি বাক্য সেদিন ঘরের সমস্ত আবহাওয়া বদলে দিল।সবাই হইহই করে উঠল। সুদীপ্ত পেয়ারিবানুর দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনি আপনার মেয়েদের বাইরে যেতে বলুন। আপনার সাথে আমার কথা আছে। ইয়াসমিন তুমিও যাও।”
সুদীপ্তর কথার মাঝে একটা অন্য রকমের জোর ছিল মেয়েরা পেয়ারিবানুর নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করল না।সবাই বের হয়ে গেলে সুদীপ্ত দরজা বন্ধ করে পেয়ারিবানুর সামনে বসল।
“এত ফাল পাইরেন না। আমার লোক বাইরে আছে। একটা ফোন দিমু, লাশ বাইর হইব এই ঘরের থেইকা।” ইয়াসমিন হচ্ছে সোনার ডিম পাড়া মুরগি। কিছু বাঁধা খদ্দের আছে যারা শুধু ইয়াসমিন এর কাছেই আসে। ইয়াসমিন চলে গেলে ব্যবসার বারটা বাজবে।
সুদীপ্ত একটু হেসে বলল,“আপনার কি ধারণা আমি এখানে একা এসেছি? আমার ২ জন ফ্রেন্ড বাইরে আছে। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ।সিভিলিয়ান ড্রেসে আছে।আমি কি আমার ফ্রেন্ড কে ফোন দিব?” পেয়ারিবানু অবাক হয়ে গেলেন। সুদীপ্ত সত্যি সত্যি ওর পুলিশ বন্ধু নিয়ে এসেছে এবং তাকে ফোন ও দেয়।
পেয়ারিবানু কে কথা বলতে বললে পেয়ারিবানু কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। পেয়ারিবানু এবার একটু ভয় পেয়ে গেলেন।কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “ঠিক আছে নিয়া যাইতে চান নিয়া যাইবেন। সারাজীবন তারে পোষার ইচ্ছা আমার নাই।তয় এম্নে চাইলে তো আমি মাইয়ারে আপনের লগে দিমু না। তার লাইগা কিছু খরচা করতে হইব।”
“এবার আপনি কাজের কথা বলেছেন।আর একটা কথা, আপনি তাকে এতদিন পুষেননি।তাকে দিয়ে নোংরা ব্যবসা করিয়েছেন। ওর সাথে আপনার শুধু টাকার সম্পর্ক, কোন মা-মেয়ের সম্পর্ক না। ঠিক কত টাকা পেলে আপনি ওকে ছাড়বেন তাই বলুন।”
“দশ লাখ। দশ লাখের কম এক পয়সাও না।”
“আপনার কথা মত আপনি যদি ইয়াসমিনকে পুষে থাকেন তাহলে ও এত টাকা এতদিন ওর পেছনে খরচ করেছেন- এই কথাটা বলবেন না প্লিজ।সরি, আমি আপনাকে আর সুযোগ দিতে পারছি না।আমি পাঁচ লাখ দিব। তিনদিন পর এসে আমি ইয়াসমিনকে নিয়ে যাব। আর এখানে এডভান্স হিসেবে পঞ্চাশ হাজার আছে।” এই বলে সুদীপ্ত পকেট থেকে একটা টাকার বান্ডিল বের করে পেয়ারিবানুর সামনে রাখে।“আর আমি আশা করব এই তিনদিন আপনি ইয়াসমিনের উপর কোন অত্যাচার করবেন না।”
“সব কিছু ঠিক কইরাই আসছেন মনে হইতাছে।” সুদীপ্ত মুচকি হেসে বলল, “পাকা খেলোয়াড়ের সাথে খেলতে গেলে একটু প্রস্তুতি তো নিতেই হবে”।পেয়ারিবানু অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। সুদীপ্ত ঘর থেকে বের হয়ে গেল।দরজার পাশেই ইয়াসমিন দাঁড়ান ছিল।তার কাছে গিয়ে সুদীপ্ত বলল, “তিনদিন পর এসে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব। তৈরি থেক” এই বলে সুদীপ্ত সেখান থেকে চলে গেল।
তিনদিন পর এসে সুদীপ্ত ইয়াসমিনকে নিয়ে যায়। সুদীপ্ত শুধু টাকাই দেয়নি, ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে পেয়ারিবানুর সই করা অঙ্গীকারনামা নিয়ে যায় যাতে লেখা থাকে পেয়ারিবানু আর কোনদিন ইয়াসমিনের ব্যাপারে কোন দাবী করতে না পারে।যাবার সময় ইয়াসমিন পেয়ারিবানুকে পায়ে ধরে সালাম করল।পেয়ারিবানু অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখল। এই প্রথম ইয়াসমিনের পেয়ারিবানুর জন্য মন কেমন করছে।
মন খারাপ ছিল কল্পনারও। তবে সুদীপ্তর কথাবার্তা, কাজকর্ম দেখে বার বার অভিভূত হচ্ছিল। মনে হচ্ছে ইয়াসমিনের ভালই হবে। লোকটা ইয়াসমিনকে সুখে রাখবে। কিন্তু ইয়াসমিনকে ছাড়া থাকতে হবে এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। সুদীপ্তর কাছে গিয়ে বলল, “আমি কল্পনা। ইয়াসমিনের সাথে একরুমে থাকতাম। আপনেরে দেইখা ভালা মানুষই মনে হইতাছে।ইয়াসমিনরে একটু দেইখা রাইখেন। ও কিন্তু আপনার উপযুক্তই হইব দেইখেন। মাইয়াটা অনেক ভালা।”
“সেটা আমি না হয় খেয়াল রাখব। কিন্তু আমাদের বিয়েতে তো আপনাকেও আসতে হবে। মেয়ে পক্ষের সাক্ষী লাগবে না? আর আপনি অবশ্যই ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ রাখবেন, আমাদের বাসায় যাবেন।” কল্পনা অবাক হয়ে সুদীপ্তর দিকে তাকিয়ে রইল।হঠাৎ করে চোখটা ঝাপসা হয়ে গেল। চোখ ঝাপসা ছিল ইয়াসমিনেরও। একুশ বছর ধরে যে জায়গায় ছিল তার জন্য মনটা কেমন করে উঠল।
ইয়াসমিন বিয়ের আগে ধর্ম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।“কোনদিন ধর্ম-কর্ম পালন করিনি সেভাবে। স্বামীর ধর্মই আমার ধর্ম হবে।”
“তাহলে তো সেটা আমিও বলতে পারি। স্ত্রীর ধর্মই আমার ধর্ম হবে।” ইয়াসমিন আমতা আমতা করতে লাগলো।
“আমি তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে কিছুটা জানি। তোমাদের ধর্ম তো খারাপ না। তাহলে সেটা চেঞ্জ করতে হবে কেন?আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শফিক। ও তো মুসলমান। ওর মা আমার দেখা পৃথিবীর সেরা মহিলাদের একজন” সুদীপ্ত বলল।
“কিন্তু মুসলমান হয়ে হিন্দুকে বিয়ে করলে আল্লাহ গুনাহ দিবেন না?”
“একটু আগে যখন ধর্ম চেঞ্জ করতে যাচ্ছিলে তখন আল্লাহ গুনাহ দিতেন না?” ইয়াসমিন এক দৃষ্টিতে সুদীপ্তর দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে আবার সেই দিশেহারা ভাব।
অবশেষে দুজনের ধর্ম অপরিবর্তিত রেখেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল।বিয়ের আগেই সুদীপ্ত বাসা ভাড়া নিয়েছিল।
নতুন বাসায় আসার পর সুদীপ্ত দুইজনের শোবার ঘর আলাদা করেছিল। দশ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন বাসর রাতের যে অভিজ্ঞতা সঞ্চার হয়েছিল সুদীপ্ত ইয়াসমিনকে সেখান থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল। ইয়াসমিনও হয়তো মনে মনে তাই চাচ্ছিল। সুদীপ্ত বলেছিল, “আমি চাই তুমি তোমার আগের জীবনকে ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু কর। সেজন্য তোমার নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তোমাকে স্বশিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। এজন্য কিছুটা কষ্ট করতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমি তোমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করব।”
“তুমি যা বলবে আমি তাই করব। তুমি যদি আমাকে পাঁচ তলার ছাদ থেকে লাফ দিতে বল আমি তাতেও রাজি আছি।” ইয়াসমিন এখন ভদ্র সমাজের সদস্য হতে যাচ্ছে। সুদীপ্তর উপযুক্ত স্ত্রী হিসেবে গড়ে তুলবে নিজেকে। আপনি করে না, প্রথম থেকেই সুদীপ্তকে তুমি করে বলবে, আপন করে নিবে সে।
“আমি তোমাকে পাঁচ তলার ছাদ থেকে লাফ দিতে বলব কেন? আমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?” ইয়াসমিন নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরল। কথাটা বলা উচিত হয়নি।ভদ্র সমাজের মানুষজন অনেক চিন্তা ভাবনা করে কথা বলে। ইয়াসমিনকেও এখন থেকে ভাবনা চিন্তা করে কথা বলতে হবে।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠল। ইয়াসমিন দরজার লুকিং গ্লাস দিয়ে তাকিয়ে চমকে উঠল। সুদীপ্তর মা অঞ্জনা সরকার দরজার ওইপাশে দাঁড়িয়ে। ইয়াসমিনের সাথে ওনার কোনদিন দেখা-সাক্ষাত হয়নি। সুদীপ্তর কাছে ছবি দেখেছে, গল্প শুনেছে। (চলবে)
পরের পর্ব: https://www.facebook.com/groups/Anyaprokash/permalink/1363203304194693/