অপেক্ষার প্রহর(পর্ব- ৬)
ইয়াসমিন ভয়ে ভয়ে দরজা খুলল। ইয়াসমিন অঞ্জনার পা ধরে সালাম করতে গেল।
অঞ্জনা বলে উঠল, “থাক থাক এই অবস্থায় আর প্রনাম করতে হবে না।” বলেই বুজতে পারলেন ওরা তো সালাম বলে, প্রনাম না।
অঞ্জনা ঘরের ভিতর ঢুকলেন।হাতে কিছু শপিং ব্যাগ আর একটা মিষ্টির প্যাকেট। ছেলের বাসায় এই প্রথম আসলেন। সুদীপ্ত যেদিন এসে অঞ্জনাকে বলে যে সে ইয়াসমিনকে বিয়ে করতে চায় সেই মুহূর্তে অঞ্জনা ঠাকুরের সামনে বসে প্রার্থনা করতে থাকেন।ছেলের মতি ফেরানর আবেদন করতে থাকেন ঠাকুরের কাছে। সুদীপ্তও সেদিন ঠাকুরের সামনে বসে ছিল, কিন্তু ঠাকুরের সম্মতি না, মায়ের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছিল। সারারাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি বাসার কেউ। ঠাকুর মুখ তুলে তাকিয়েছিলেন, তবে অঞ্জনার উপর না, সুদীপ্তর উপর। সকালবেলায় সুদীপ্তর বাবা বিনয় সরকার ঠাকুরঘরে এসে স্ত্রীকে বলেন, “অঞ্জু, তোমার ছেলেকে বল এই বাসা ছেড়ে চলে যেতে। ওকে আমি ত্যাজ্য করলাম।” অঞ্জনা চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। সুদীপ্ত একঘণ্টার মধ্যে কাপড়চোপড় গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আর বাসার মুখো হয়নি সুদীপ্ত।
তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সুদীপ্তর প্রতি স্নেহের পাল্লাটা একটু ভারী অঞ্জনার। দুইবার গর্ভপাতের পর জন্ম হয় সুদীপ্তর। তাই সুদীপ্ত পেটে থাকা অবস্থায় খুব সাবধানে ছিলেন অঞ্জনা।জন্মের পরও সুদীপ্তকে আগলে আগলে রাখেন।সুদীপ্তও ছোটবেলা থেকে মা ন্যাওটা ছিল। বড় হওয়ার পর মায়ের আঁচল ধরে না ঘুরলেও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসার এতটুকু কমতি ছিল না সুদীপ্তর মধ্যে।
অঞ্জনা পুরো ঘর ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলেন। অঞ্জনার মনে হচ্ছে তিনি একটা ঘোরের মধ্যে আছেন। তিন বছর আগে সুদীপ্তও একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিল এই মেয়েকে দেখে। সুদীপ্তর ঘোর আজও কাটেনি। কিন্তু অঞ্জনার ঘোরের মধ্যে থাকলে চলবে না। একটা বিশেষ প্রয়োজনে তিনি আজ ছেলের বাসায় এসেছেন। ঘোরের মধ্যে থাকলে চলবে না তার।
ঘর সুন্দর করে সাজানো। একটা বাসায় যা যা জরুরি জিনিষ দরকার সবই আছে। টিভি, ফ্রিজ, সোফাসেট, আলমারি সবই আছে। সবকিছু পরিপাটি করে সাজানো।বসার ঘরের টেবিলের উপর কিছু বই-খাতা রাখা।অপুর কাছে অঞ্জনা শুনেছেন ইয়াসমিন ইতিহাস বিষয়ে কিসব পড়াশুনা করে।সুদীপ্তর বাড়ির আর কারো যাতায়াত এই বাসায় না থাকলেও সুদীপ্তর বোন অপর্ণা মাঝে মাঝে ভাইয়ের বাসায় আসে।
এর মাঝে ইয়াসমিন অঞ্জনার জন্য সরবত বানিয়ে আনে। “আমার ডায়াবেটিস আছে” অঞ্জনা বলে।
“আমি জানি মা। এতে চিনি দেয়া নেই।” অঞ্জনা সরবতের গ্লাস হাতে নিলেন।ট্রে এর একপাশে একটা বাটিতে নুডুলস করা। এত কম সময়ে করে ফেলল? অঞ্জনা খাবার টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। নাস্তা সাজানো। ইয়াসমিন ভয় পেয়ে গেল। সুদীপ্ত নাস্তা করে যায়নি। অঞ্জনা জিজ্ঞেস করলে কি বলবে?
“কি ব্যাপার, নাস্তা কার এখানে?”
“জি আমার।” ইয়াসমিন ভয়ে ভয়ে জবাব দিল।
“অনেক বেলা হল এখনও নাস্তা করনি?”
“আসলে শরীরটা ভাল লাগছিল না। তাই একটু শুয়েছিলাম।”
“শরীর ভাল লাগছিল না কেন? মর্নিং সিকনেস কাটেনি?”
“না না তেমন কিছু না, এই একটু মাথাটা ধরেছিল।”
“নাস্তা করে স্নান সেরে এই শাড়ীটা পরে নাও। আমি বেশিক্ষণ থাকতে পারব না। আমার আবার বাইরে এক জায়গায় যেতে হবে।” এই বলে অঞ্জনা একটা প্যাকেট তুলে দিলেন ইয়াসমিনের হাতে।
“মা, আজকের দিনটা না হয় আমাদের বাসায় থাকলেন। ও খুব খুশি হবে। আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী।”
ভুল দিনে চলে আসলেন নাকি?অঞ্জনা ভাবলেন।“তাহলে তো আজ তোমাদের খুশির দিন। খোকা কি দুপুরে চলে আসবে? বাইরে বের হবে নাকি?”
“মনে হয় না দুপুরে আসবে। আসলে তো বলে যেত।”
“কেন না বলে আসলে কি কোন সমস্যা হবে?” অঞ্জনা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ইয়াসমিনের দিকে তাকালেন। ইয়াসমিন অঞ্জনার কথা বুজতে পারছে না।“নাস্তা সেরে নাও।” অঞ্জনা আবারও বললেন।
“তোমার শরীর কেমন? বাচ্চার কন্ডিশন কেমন? বাচ্চা নড়াচড়া করে?”
“জি ভাল। বাচ্চা নড়াচড়া করে।” ইয়াসমিন খাবার খেতে খেতে জবাব দিল।
“নিয়মিত প্রেসার মাপবে। এসময় প্রেসার নরমাল থাকতে হয়। রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসোনোগ্রাম এসব করেছ? রিপোর্ট কেমন এসেছে দেখি?” ইয়াসমিন রিপোর্ট আনার জন্য উঠে দাঁড়াল। “আগে খেয়ে নাও। তারপর নিয়ে এসো।”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে অঞ্জনা জিজ্ঞেস করলেন, “খোকা কখন আসে অফিস থেকে?”
“ঠিক থাকে না। কখনও তাড়াতাড়ি আসে, কখনও দেরী হয়।”
“কি কর সারাদিন বাসায় একা একা?”
“ঘরের কাজকর্ম থাকে, একটু পড়াশুনা করি-সারাদিন কেটে যায়।” অঞ্জনার মন তিতায় ভরে উঠল। বেশ্যা মেয়ের আবার পড়াশুনা। তোরা শুধু বিছানায় শুতেই পারিস, আর কিছু না।
“তো আজকের প্ল্যান কি?”
“কোন প্ল্যান হয়নি।ভাবছি একটু ভাল-মন্দ রান্না করব।পায়েস করব।” অঞ্জনা চুপ করে শুনছেন। “মা আজকের পায়েসটা আপনি করুন না। ও বলেছে আপনার হাতের পায়েস খুব মজা।” মেয়েটা এত গদগদ ব্যবহার করছে কেন? বিরক্ত লাগছে অঞ্জনার।“ঠিক আছে। তুমি স্নান সেরে শাড়ি পরে নাও। আমি পায়েস করে নিচ্ছি। পায়েসের জিনিষপত্র সব বের করে দিয়ে যাও।”
“এলাচ আর কিসমিস নেই বাসায়। ওগুলো নিচের দোকান থেকে আনতে হবে।”
“লাগবে না। পায়েস ভাল হয় দুধের ঘন হবার উপর। বেশি উপকরন দিলে যে রান্না মজা হবে সেটা ঠিক না। কম উপকরন দিয়ে যে ভাল রান্না করতে পারে সেই ভাল রাঁধুনি।” ইয়াসমিন কিছু বলল না আর।
ইয়াসমিন গোসল সেরে শাড়ি পরে এসে দেখে অঞ্জনার পায়েস রান্না শেষ। অঞ্জনা ইয়াসমিনকে বসতে বললেন। ইয়াসমিন একটা চেয়ারের উপর বসল। অঞ্জনা সাথে আনা গয়নার বাক্স থেকে গয়না নিয়ে ইয়াসমিনকে পরিয়ে দিলেন। সবই পরিয়ে দিলেন। কানে ঝুমকো, গলায় সীতাহার, হাতে বালা। ইয়াসমিনকে স্বর্গের অপ্সরীর মত মনে হচ্ছে অঞ্জনার কাছে। আগে থেকেই ছোট এক বাটিতে একটুখানি পায়েস উঠিয়ে রেখেছিলেন। চামচে করে ইয়াসমিনকে খাইয়ে দিলেন একটু। এক ফোঁটা পানি ইয়াসমিনের চোখে চলে এসেছে। এতটা ভালবাসা ওর কপালে লেখা ছিল।চোখের পানি লুকানোর জন্য ইয়াসমিন উঠে গিয়ে পানি খেয়ে নিল। এর পরপরই অঞ্জনা জোরে একটা থাপ্পড় মারলেন ইয়াসমিনকে, “লজ্জা করল না আমার ছেলেকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে? কার বাচ্চা পেটে নিয়ে ঘুরছিস হারামজাদী?” পানির ফোঁটাটা চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল।
বাসায় ফিরতে অনেক সময় লাগলো সুদীপ্তর। রাস্তায় এত জ্যাম। শাহবাগে নেমে একটা ফুলের তোড়া কিনে নিল।বাসায় ঢুকতে রাত সাড়ে ১০টা বাজল। ইয়াসমিনকে দেখে অবাক হয়ে গেল। নতুন শাড়ি পরনে, গায়ে গয়না।
“নতুন শাড়ি-গয়না?” সুদীপ্ত প্রশ্ন করল।
“আমার সাথে অন্য মানুষের সম্পর্ক আছে তো। সে দিয়ে গেছে।”
“বাজে কথা না বলে আসল কথা বল।”
“বাজে কথা হবে কেন? আমি তো বেশ্যা। আমার তো অন্য মানুষের সাথে সম্পর্ক থাকতেই পারে।”
“শোন তোমাকে আমি তোমার চাইতে ভাল জানি। এখন এসব আজে বাজে কথা না বলে ঠিক কথা বল। তুমি বাইরে গিয়েছিলে? শাড়ীটা না হয় বুজলাম কিন্তু এত গয়না কেনার টাকা কোথায় পেলে?”
ইয়াসমিন একটু সময় নিল। “তোমার মা এসেছেন। শাড়ি-গয়না নিয়ে।সাথে মিষ্টি এনেছেন। পায়েস রান্না করেছেন। যাও মায়ের হাতের পায়েস খাও।”
“মা এসেছেন?” সুদীপ্ত ভাবতে লাগলো। মা এই বাসার ঠিকানা কই পেল?অপুর কাছে? অপু তো একবার জানাতে পারত মা আসবে।
ইয়াসমিন বলতে লাগলো, “সুদীপ্ত আমি তোমার কাছে যাইনি। তুমি নিজে আমার কাছে গিয়েছিলে, আমার হাত ধরেছিলে, আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলে।তাহলে আজ কেন আমায় শুনতে হবে আমি তোমাকে তোমার পরিবার থেকে আলাদা করেছি। তোমার মা কেন আমায় বলবে আমার গর্ভে অন্য কারো সন্তান, আমার সাথে অন্য কারো সম্পর্ক আছে? মানছি আমার একটা খারাপ অতীত ছিল।আমি প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করছি সেই অতীতটাকে ভুলে যেতে, তাহলে কেন আজ আমায় শুনতে হয়……” ইয়াসমিন আর কিছু বলতে পারল না। ডুকরে কেঁদে উঠল।
সুদীপ্ত কাছে এসে ইয়াসমিনকে জড়িয়ে ধরতে গেল। ইয়াসমিন দূরে সরে গিয়ে বলল, “না সুদীপ্ত, আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি সব কিছু গুছিয়ে রেখেছি। আমি বাসা ছেড়ে চলে যাব।তুমি ফিরে যাও তোমার বাবা-মার কাছে, তোমার পরিবারের কাছে।”
“পরিবারের কাছে? কেন তুমি আমার পরিবারের কেউ না? এই বাচ্চাটা আমার জীবনের কেউ না? মিনু আমার বাবা-মা, ভাইবোন, তুমি, আমাদের বাচ্চা সবাইকে নিয়ে আমার পরিবার। আমার জীবনে তোমাদের কারো গুরুত্ব কম না। তাহলে কেন আমাকে ছেড়ে যেতে চাচ্ছ? কেন আমার বাচ্চাটাকে আমার কাছ থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছ?”
ইয়াসমিন মাথা নিচু করে আছে। সুদীপ্ত কাছে এসে ইয়াসমিনের দুই কাঁধে হাত রেখে বলল, “আমি মানছি মা কথাটা ঠিক বলেনি।মার উচিত হয়নি কথাটা বলা। কিন্তু একটিবার চিন্তা কর, উনি আমার মা। আমার জন্মদাত্রী মা। একই শহরে থেকে মানুষটা তার সন্তান থেকে দিনের পর দিন আলাদা আছেন, যখন ইচ্ছে সন্তানকে দেখতে পাচ্ছেন না,কাছে পাচ্ছেন না- মানুষটার কষ্টটা একটু বোঝার চেষ্টা কর প্লিজ।আমি আমার মা এর পক্ষ থেকে তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, প্লিজ আমার মা কে ক্ষমা কর। এটুকু দয়া কর প্লিজ।” সুদীপ্ত দুই হাত জোর করে কাঁদতে লাগল ইয়াসমিনের সামনে। ইয়াসমিনের খুব খারাপ লাগছে। না হয় একটু কটু কথা বলেছে অঞ্জনা, তাই বলে ইয়াসমিন কেন ছেড়ে যাবে সুদীপ্তকে? যে মানুষটা তাকে ভালবেসে নিজের পুরো পৃথিবীকে ছেড়ে এসেছে তাকে কেন কষ্ট দিবে ইয়াসমিন? ইয়াসমিন কাছে এসে সুদীপ্তর মুখটা তুলে ধরল। আস্তে আস্তে সুদীপ্তর চোখের পানি শুষে নিল নিজের মাঝে। এভাবেই একদিন ইয়াসমিনকে আপন করে নিয়েছিল সুদীপ্ত। আজ ইয়াসমিন সুদীপ্তকে আপন করে নিবে, প্রতিজ্ঞা করবে কখনও এই মানুষটাকে ছেড়ে যাবে না।
“মিনু, আমি ভাল সন্তান হতে পারিনি। আজ বুজতে পারলাম আমি ভাল স্বামীও হতে পারিনি। তিন বছরে আমি তোমায় এক আনি সোনাও দিতে পারিনি, আজ মা তোমায় পুরো সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন। প্লিজ আমাকে একজন ভাল বাবা হতে দাও। প্লিজ। আমাকে ছেড়ে যেও না। আমি তোমাদের ছাড়া থাকতে পারব না মিনু।”
“কে বলল তুমি ভাল সন্তান না? মা যতবার তোমায় ডেকেছেন তুমি ওনার সাথে দেখা করেছ, কথা বলেছ। মা যখনি কোন বিপদে পড়েছেন, কোন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছেন তুমি মা এর পাশে থেকে মায়ের সমস্যার সমাধান করেছিলে। যেদিন আমার হাত ধরে আমায় বিয়ে করতে চাইলে সেদিনই তো প্রমাণ হয়ে গেছে তুমি একজন ভাল স্বামী। যে মানুষটা একজন ভাল সন্তান হতে পেরেছে, একজন ভাল স্বামী হতে পেরেছে সে অবশ্যই একজন ভাল বাবা হবে। এটা আর কেউ না হোক আমি বিশ্বাস করি মনে প্রানে।”
সুদীপ্ত ইয়াসমিনকে জড়িয়ে ধরল। কিছুক্ষণ পর ইয়াসমিন বলল, “এখন চল তো তোমার মেয়ে আজ সারাদিন কিছু খায়নি।”
“মেয়ে?” ইয়াসমিন সুদীপ্তর হাতটা নিজের পেটের উপর রাখল। “তোমায় কে বলল মেয়ে হবে? ডাক্তার বলেছে?”
ইয়াসমিন মাথা নেড়ে বলল,“না, ডাক্তার কিছু বলেনি।আমার মনে হচ্ছে মেয়ে হবে।”
“এভাবে বলতে হয়না মিনু। বরং এটা বল যাতে তোমার একটা সুস্থ সন্তান হয়।”
“আমি চাই আল্লাহপাক আমাকে একটা সুস্থ এবং সুন্দর মেয়ে দিক।”
“আবার?”
“আল্লাহ তো সবকিছু দিতে পারেন। তাহলে চাওয়ার সময় কিপটামি করব কেন?”
“You are really impossible”
“But I love you”
“Happy Marriage anniversary” ফুলের তোড়াটা ইয়াসমিনের হাতে তুলে দিল।একটা উষ্ণতা বিরাজ করছিল দুজনের মাঝে। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ইয়াসমিন সুদীপ্তকে একটা রুমাল উপহার দিল। রুমালে লেখা ছিল, “ভুলো না আমায়”। উষ্ণতাটুকু বিছানাতেও স্থায়ী হল।(চলবে)