অপ্রিয়_প্রেয়সী #লিখা_তানজিলা #পর্ব – ৩৭

#অপ্রিয়_প্রেয়সী
#লিখা_তানজিলা
#পর্ব – ৩৭

সেই বিল্ডিং থেকে দুই কিলোমিটারের মতো দূরত্বে অবস্থিত এক রেস্টুরেন্টে বসে আছে সীমান্ত আর সাহিল। সীমান্ত একটু পর পর রায়হানকে ফোন করে যাচ্ছে। কিন্তু কল রিসিভ হচ্ছে না। ছেলেটা বরাবরের মতোই ফোন তুলছে না। সীমান্তর যে ফোনে আইজা রায়হানকে নিয়ে কিছু পাঠিয়েছিলো সে ফোন রিপেয়ার করতে দিয়েছে ও। কাদা পানি পড়ায় কাজ করাই অফ করে দিয়েছিলো ফোনটা। এখন নিজের দ্বিতীয় ফোন অর্থাৎ অফিসিয়াল কাজে যেটা ব্যবহৃত হতো সেটা দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।

-“আমি এতো বড় রিস্ক কেন নেবো?”

সাহিলের কন্ঠ কানে যেতেই টনক নড়লো সীমান্তর। ঠোঁটেের কোণে ফুটে উঠলো ক্ষীণ হাসির অস্তিত্ব।

-“তার মানে আপনি কিছু জানেন! আমিতো আগেই বলেছি টাকা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আর বাকি রইলো আপনার আর আপনার সৎ মায়ের সেফটি, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে না!”

সীমান্তর মুখে সৎ মা নামটা শুনতেই সাহিলের মুখের সমস্ত রঙ যেন উবে গেলো৷
-“মায়ের আগে সৎ বলাটা কী খুব দরকার ছিলো!”

-“মিথ্যে তো বলিনি।”
সীমান্তর কন্ঠে নির্লিপ্ত ভাব। ঠিক তখনই দু’জন লোক এসে ওদের টেবিলের ঠিক ওপর পাশে বসে পড়লো। সীমান্ত তাদের দিকে ইশারা করে আরো বলে উঠলো,
-“এরা আপনাদের সেফ জায়গায় পৌঁছে দিবে। এখন আমাকে ঐ বাড়ির রহস্য বলুন।”

ক্ষুব্ধ নিশ্বাস ছেড়ে তাকালো সাহিল। সীমান্তর হাবভাব কোনদিনই ভালো লাগতো না ওর। কিন্তু আজ তো লোকটা সব সীমা অতিক্রম করছে!

-“দেখুন, আপনার মুখ থেকে যা বের করার তা আমি বের করেই নেবো। কিন্তু আপনি যদি আমার সময় নষ্ট করেন, একটা টাকাও পাবেন না!”

সাহিলের দৃষ্টি ক্রমশ ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করছে। একপর্যায়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো সে। নিজের মুখ ঘুরিয়ে বলে উঠলো,
-“বিল্ডিংএর পেছনের দিকের সিঁড়ির ঠিক নিচে একটা বদ্ধ গ্যারাজ আছে। সেখানেই হয়তো কোন ঝামেলা হবে। নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তি ছাড়া কাউকেই সেখানে যেতে দেয়া হয়না।”

সাহিলের কথা শেষ হওয়ার পরও সীমান্তর মনোযোগী দৃষ্টি দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো ওর।
-“এতটুকুই জানি!”

সীমান্ত চোখ বন্ধ করে কপালে আঙুল বুলিয়ে যাচ্ছে। মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই তার মধ্যে এই মুহুর্তে কী চলছে। হুট করে ওদের মাঝে এক ভয়ংকর নিস্তব্ধতা ছেয়ে গেলো। পরক্ষণেই ঠান্ডা চোখে সাহিলের দিকে তাকালো সে। তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠলো,
-“আমি আপনাকে আরো একবার সুযোগ দিচ্ছি। হয় সবটা বলবেন। নইলে মা ছেলে দুই ফ্রডকেই জ্যান্ত মাটি চাপা দিয়ে আসবো তাও ঐ বিল্ডিংয়ের সামনে!”

***
সাহিলকে জায়গামতো পাঠিয়ে ঐ বিল্ডিংএর পেছনের সিঁড়িতে বসে ফোনে গেমস খেলছে সীমান্ত। তবে নিচে এখনো যায়নি। সিঁড়ির আলোটাও বেশ ক্ষীণ। হঠাৎ কী যেন মনে করে গেমস থেকে বেরিয়ে সোজা গ্যালারিতে গিয়ে পৌঁছালো সে। লাল শাড়ি পরিহিত এক নারীর ছবি জ্বলজ্বল করছে সীমান্তর চোখ জোড়ায়। মেয়েটার মুখ দেখে মনে হচ্ছে কেউ জোর করে বিয়ে দিচ্ছে তাকে! আনমনেই ফোনটা শক্ত করে চেপে ধরলো সীমান্ত। নিজ চিন্তার ঘন মেঘ অন্যদিকে ঘুরানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা করছে সে। জামিল মাহমুদও নিশ্চয়ই এতোক্ষণে থানায় জিডি করে বসে আছে!

-“রাতে এখানে আসা মানা!”
হঠাৎ কারো কন্ঠে টনক নড়লো সীমান্তর। সাত কী আট বছরের একটা মেয়ে সিঁড়ির রেলিঙের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। যেন কেউ তাকে কাঁচা ঘুম থেকে জোরপূর্বক তুলে এখানে পাঠিয়েছে।

-“কেন? এখানে এমন কী আছে?”
সাবলীল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো সীমান্ত। মেয়েটা আগের মুখভঙ্গি বজায় রেখে বলে উঠলো,
-“সেটা আমি জানি না? আম্মু বলছে এখানে আসা যাবে না! আপনি সাহিল ভাইয়ের আত্মীয় তাই সতর্ক করলাম।
সীমান্ত বুকে দুই হাত ভাজ করে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে দাঁড়ালো। কপাল কুঁচকে তাকালো ও। ঠান্ডা গলায় বললো,
-“তো আপনি কী করছেন এখানে! তাও এতো রাতে!”

সীমান্তর চাহনি দেখে মেয়েটার চেহারার রঙ হুট করেই বদলে গেলো। বিরক্তিমিশ্রিত মুখে ভেসে উঠলো কাঁদো কাঁদো ভয়ার্ত ভাবের রেখা।

-“আজব! কান্না করছেন কেন?”

মেয়েটা এখনো ফুপিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই হয়তো ফুটে যাবে! সীমান্ত নিজের মাথা চুলকে যাচ্ছে। এতোটা বিব্রত এর আগে কখন হয়েছিলো মনে নেই ওর।

-“আপনি জ্বীন তাই না!”

থম মেরে তাকালো সীমান্ত। এরকম উদ্ভট অপবাদে ভাষা হারিয়ে ফেলছে সে। ওকে কী দেখতে জ্বীনের মতো দেখায়!!!

-“মিতু বলেছিলো রাতে জ্বীনেরা এখানে বসে আড্ডা দেয়!!!”

এতটুকু বলেই ভৌ-দৌড় দিলো সেই মেয়ে। সীমান্ত এখনো ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। আশেপাশ সম্পূর্ণ জনমানবহীন। ঢাকার মতো স্থানে এই সময়েই এতো নিস্তব্ধতা সচরাচর দেখা যায় না। নিশ্চয়ই এই বিল্ডিংয়ের মানুষদেরও কিছু কিছু ধারণা আছে। হয়তো তারা নিজেরাও কোন ক্রাইমে জড়িত নয়তো ভয়ে কিছু বলছে না!

ঘড়ির কাটা বারোটায় গিয়ে ঠেকলো। সিঁড়ির নিম্নাংশের একদিকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে সীমান্ত। নজর সেই বদ্ধ গ্যারেজটায়। হঠাৎ করেই গ্যারেজটার আশেপাশে জ্বলতে থাকা সব ল্যাম্পপোস্ট অফ হয়ে গেলো। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে আছে সবকিছু। সীমান্ত নিজের ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে নিলো। মিনিট কয়েকের মধ্যেই পায়ের শব্দ শুনতে পেলো ও।

এই মুহুর্তে নিজেকে আর একা মনে হচ্ছে না। বদ্ধ গ্যারাজটার একপাশের দেয়াল অদ্ভুত ভাবে দরজার মতো খুলে যেতেই নিজের ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট অফ করে নিলো সে! একে একে দু’জন ব্যাক্তি নিজেদের হাতে টর্চ নিয়ে দেয়াল ন্যায় সেই দরজায় ঢুকে পড়লো। সিঁড়ির নিচের অংশ থেকে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে ও। আজ গরম সেরকম পড়েনি। তবুও এদিকে দাঁড়াতেই ঘেমে অস্থির সে!

একে একে আরো দুইজন সেই দেয়ালরূপী দরজায় ঢুকে পড়লো। তাদের সকলের গায়ে একই পোষাক। সাথে মুখে পার্টি মাস্ক। সীমান্ত ভাঙা গাড়িগুলোর আড়ালে আড়ালে সিঁড়ির নিচ থেকে বাহিরের গেটের দিকে কিছুদূর এগিয়ে গেলো। আরো একজন পার্টি মাস্ক পরিহিত একজন আসছে হাতে টর্চ নিয়ে! সীমান্তও একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে এগিয়ে গেলো ঐ লোকটার দিকে।

***

সিঁড়ির সেই নিচ অংশে জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়ে আছে এক লোক। হাইটও সীমান্তর কাছাকাছি। সীমান্ত অলরেডি লোকটার সাথে নিজের পোষাক বদলে নিয়েছে। মুখে থাকা পার্টি মাস্কটাও খুলে নেয় ও। লোকটাকে একপ্রকার বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পকেট থেকে বের করা জিনিসপত্র থেকে একটা কার্ডে চোখে পড়লো সীমান্তর।

-“ডিপ ডার্ক সিক্রেটস!”

আনমনেই উচ্চারিত হয়ে উঠলো ওর মুখে। মনে হচ্ছে কোথায় যেন শুনেছে। রিয়াদকে মেসেজ করেই ধীর পায়ে সেই দেয়াল রূপী দরজার দিকে এগিয়ে গেলো সীমান্ত। নিজ অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিক রেখে দরজার ওপাড়ে পা রাখলো ও। এখানেও বিভৎস অন্ধকার। ফোনটা গায়ে জড়ানো জ্যাকেটে রাখা। ঐ লোকটার টর্চ হাতে করে নিয়ে এসেছে। দেয়ালের ওপাড়েই সরু সুরঙ্গের মতো রাস্তা।

-“তাড়াতাড়ি চল্। আজকে পার্টিতে দেরি করলে বস খবর করবো!”

সীমান্তর পাশে হুট করেই এক লোকের আবির্ভাব হওয়ায় কিঞ্চিত বিস্ময় নিয়ে সরে গেলো ও। আশেপাশে আরো দু’জন দাঁড়িয়ে। তাদের মাঝে একজন সেই দরজা বন্ধ করছে। হয়তো আর কেউ এদিক দিয়ে আসবে না! নিঃশব্দে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে সীমান্ত।

সেই সরু সুরঙ্গ পাড় করতেই সীমান্তর পুরো শরীর বিদ্যুৎ চলাচলের মতো শিউরে উঠলো। এতো বাজে ধোয়ার স্তুপ! নিশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাও যেন হারিয়ে ফেলছে ও। স্বাভাবিক হয়ে চলাটা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে সীমান্তর জন্য। প্রচন্ড অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে ওর। জায়গাটা যতটা পরিচিত মনে হচ্ছে ঠিক ততটা অপরিচিত-ও!

অন্যান্য ক্লাবের মতো এখানেও বিশাল বড় এক কাউন্টার বিদ্যমান। ওর সাথে আসা লোকগুলো একে একে কাউন্টারে গিয়ে নিজেদের কার্ড শো করতেই সেই কাউন্টারের ওপর পাশে থাকা ব্যাক্তি সকলের সামনে একটি করে ট্রে রেখে দিলো। সন্দেহ এড়াতে সীমান্তও সেই কার্ড বের করে ওদিকে গিয়ে তাদের ফলো করতে শুরু করলো। ট্রে গুলো সম্পূর্ণ ঢাকা। শুধু একসাইডে বড় এক কার্ড রাখা যাতে কিছু নাম্বার লেখা আছে। হয়তো রুম নাম্বার হবে। ঐ লোকগুলোর পিছু পিছু ছুটে চললো সীমান্ত।

***
এ পর্যন্ত প্রায় চার বারের মতো রুমে রুমে ট্রে আদান প্রদান করেছে সীমান্ত। এ সুযোগে পুরো ক্লাবটাও ছান মেরেছে। যা লক্ষ্য করলো, এতোগুলা ভিআইপি রুমের মধ্যে সবচেয়ে শেষের রুমটাতে স্বাভাবিক খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কোন ঢাকা ট্রে না। সীমান্ত যতবার ওদিকে যেতে চেয়েছে, কেউ না কেউ বাঁধা দিয়েছেই! এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছে ও।

এক ঘন্টা পর আবারও একজনকে খাবার ট্রে নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখতেই সীমান্ত অনেকটা আনমনে হাঁটার ভঙ্গি করে হাতে থাকা ড্রিঙ্কসহ ঐ লোকটার সাথে ধাক্কা খেয়ে বসলো। তারপর যা হওয়ার! লোকটার জ্যাকেটের আংশিক ভিজে একাকার। ঘটনার আকস্মিকতায় হাতে থাকা ট্রে সেই লোকটার হাত থেকে পড়ে যাওয়ার আগেই সীমান্ত ধরে ফেলে। যদিও এর মধ্যে সীমান্তর হাতে থাকা গ্লাস ভেঙে ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়লো।

-“ঐ! চোখ নাই তোর! এখন বস্ দেখলে কী হইবো!”

কন্ঠে বিচলন নিয়ে বলে উঠলো সে। যেন জ্যাকেট নোংরা করা এখানে স্বাভাবিক কোন ব্যপার না। লোকটা সীমান্তর নিশ্চুপ ভঙ্গি দেখে বলে উঠলো,
-“জলদি যা! এগুলা ঐ রুমে রাইখা আয়। কোন বাড়তি কথা কবি না!”
সীমান্ত হ্যা সূচক মাথা ঝাঁকাতেই লোকটা ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলো,

-“এরে এতো আহ্লাদ দিয়া রাখার কী আছে বুঝি না! তোরে তো পরে দেখতাছি!!”

হনহন করে চলে গেল সে। সীমান্ত নিঃশব্দে সেই রুমের দিকে পা বাড়ালো। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে আইজা ওদিকেই আছে। দরজা বাইরে থেকে লক। তার পাশে দাড়িয়ে আছে আরেকজন মুখোশধারী ব্যাক্তি। সীমান্তকে ট্রে সহ দেখতেই সাথে সাথে দরজা খুলে দিলো সে। সীমান্ত নিজের মুখে লাগানো মাস্ক ঠিকঠাক করে বিনাবাক্যে ঢুকে পড়লো সে রুমে।

****

-“পিকনিক চলছে!”
সীমান্তর ফিসফিস অথচ তীক্ষ্ণ কন্ঠে সামনে বসে থাকা মানবীর চোখ দুটো শান্ত ভঙ্গিতে ওর দিকে ঠেকলো। চিবুতে থাকা মুখ কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধীর গতিতে রূপান্তরিত হলেও পরক্ষণেই নিজের স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ফিরে এলো। খাবার গলা পেড়িয়ে নামতেই সে বলে উঠলো,

-“আমি মনে করেছিলাম আপনার পৌঁছাতে আরো সময় লাগবে। আর এরকম পরিস্থিতিতে শরীরে এনার্জি তো প্রয়োজন! না খেলে কী করে হবে!” চিকেন পিসের একটা অংশ সীমান্তর সামনে তুলে ধরলো আইজা।
-“খাবেন?”

সীমান্ত নিঃশব্দে আইজাকে পর্যবেক্ষণ করছে। কথার ভঙ্গি দেখে বোঝার উপায় নেই যে কেউ একে কিডন্যাপ করে এনেছে। যদিও বিস্মিত হয়নি। আইজার ইমম্যাচিউর ব্যবহার সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ও। বিরক্তিতে কুঁচকে আসা কপালে আঙুল বুলিয়ে নিলো সীমান্ত। এখন এসবের একদম সময় নেই। মুহূর্তেই আইজার হাত থেকে ছো মেরে প্লেট কেড়ে নিয়ে বিছানার একপাশে রেখে দিলো ও।

-“কী করছেন! আমার খাওয়া শেষ হয়নি!”

আইজার কথায় যেন এবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো সীমান্তর। রুক্ষ গলায় বলে উঠলো,
-“আর একটা কথা মুখ থেকে বের হলে কিন্তু আমি আপনাকে এখানে রেখেই চলে যাবো!”

মেয়েটা ওর কথা শুনে কষ্ট পেলো না-কি ভয় কোনটাই বুঝতে পারছে না সীমান্ত। নিষ্প্রভ মুখভঙ্গিতে উঠে দাঁড়ালো আইজা। হুট করেই সীমান্তর গায়ে জড়ানো হাটু অব্দি লম্বা জ্যাকেটের একাংশ হাতের মুষ্টি দ্বারা আবদ্ধ করে একটানে নিজের দিকে টেনে ধরায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো ও। তার কোমল ঠোঁটের স্পর্শ যেন আক্রমণ করে বসলো সীমান্তর কানে!

-“এখনো সময় আছে,চলে যান!”

চলবে…

আগের পর্ব
https://m.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/555790439476066/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here