অব্যক্ত ভালোবাসা পর্ব-২৮ ২৯

0
675

#অব্যক্ত ভালোবাসা
#পর্ব :২৮+২৯
#সুমাইয়া ইসলাম নিশা

🍁

কেটে গেল ১০ দিন।এই দশদিন চোখের পলকেই চলে গিয়েছে।মেহবিনরা এই দশদিনে জাফলং,লালখাল,চা বাগান আরো অনেক জায়গাতেই ঘুরেছে।মায়ান মেহবিনের সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে।যেটা আর কারো চোখে না পড়লেও মাইজার চোখে ঠিকি পড়েছে।মাইজা ভেতর ভেতর বিষয়টা নিয়ে রেগে থাকলেও সময়ের ব্যবধানে সেটা আর আমলে নেই নি।দশদিন পর যথারীতি ওরা ওদের বাড়িতে এসে পৌছাল।

আজ কায়ার গায়ে হলুদ।মেহবিনের মামু,খালা,খালু আর বড়রা সবাই কাজে ব্যস্ত।আলাউদ্দিন আহমেদ তো নিঃশ্বাস ফেলার সময় ও পাচ্ছেন না।ভাগনীর বিয়ে বলে কথা।কায়া সকাল থেকে মন খারাপ করে বসে আছে।দুদিন পর নিজের মা বাবা সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে।এটা তো সব মেয়েদেরকেই যেতে হবে।তবুও মন তো কষ্ট পাবেই।এটা কি আর নিজের হাতে আছে।মেহবিন আজকে শাড়ি পড়বে ভাবছে।মাইজাও তাতে তাল মিলাচ্ছে।দুইজনেই শাড়ি পছন্দ করল। কনের শাড়ির সাথে মিলিয়ে লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি।মেহবিন ইলফার ঘরে নিজের শাড়ি টা রেখে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে বের হলো।এখন শাড়িটা নিয়ে সোজা আম্মুর রুমে যাবে।ওখানে সবাইকে শাড়ি পড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।মেহবিন বেডের দিকে গিয়ে থম মেরে দাড়িয়ে রইল।এখানে তো ওর লাল পাড়ের হলুদ শাড়িটা থাকার কথা কিন্তু সেখানে ঐ শাড়ির বদলে একটা বড় প্যাকেট।মেহবিন কপালে ভাজ ফেলে প্যাকেট টা হাতে নিল।প্যাকেট টা তুলতেই একটা কাগজ গড়িয়ে নিচে পড়ল।মেহবিন নিচু হয়ে কাগজটা তুলে নিল।কাগজটা মেলতেই চোখে পড়ল সেই সুন্দর গোটা গোটা অক্ষরে লিখা-

-”বাতাসে ভেসে বেড়ায় প্রেম প্রেম গন্ধ
ভাবনাতে শিহরিত আছে যত রন্ধ্র।
নয়নে গাথা তোর প্রেমময় ছবিটা
শব্দের মালা গেঁথে লিখি আমি কবিতা
–মায়ান

কাগজের এপাশে শুধু এটুকুই লিখা।মেহবিনের বুঝতে বাকি রইল না এটা কার লিখা।মেহবিন কাগজটা উল্টে ধরতেই অপর পাশে সেই চেনাপরিচিত হাতের লিখা নজরে এলো।

শ্যামলতা❤,
তোমাকে একটা কথা বলার ছিল শ্যামলতা।জানো শ্যামলতা আমি না ভালো নেই।আমার ভিতরে জমিয়ে রাখা অব্যক্ত অনুভূতি গুলো আমাকে ঘুমোতে দেয় না।বারবার মন বলে ব্যাক্ত কর তোর ভিতরকার জমিয়ে ঠেসে রাখা অনুভূতি।আর মগজ বলে না মায়ান ভুলেও এই কাজ করবিনা।অবশেষে মন আর মগজের সাথে যুদ্ধ করে মনকেই বিজয়ী ঘোষণা করলাম।জানিয়ে দিবো আমার মনের সব কথা।ব্যাক্ত করব আমার অব্যক্ত ভালোবাসা।আচ্ছা বলতো শ্যামলতা তোমার কি কখনো মনে হয়নি যে আমি প্রথম রাফিজদের বাসায় দেখার পরও কেনো এত স্বাভাবিক ছিলাম।কেনো তোমাকে আমার গায়ে মলম লাগিয়ে দেয়ার জন্য বারবার শাস্তির ভয় দেখিয়েও কেনো শাস্তি দেইনি।কারণ আমার শ্যামলতাকে শাস্তি দেয়া মানে আমার নিজেকে শাস্তি দেওয়া।তুমি আমার পুরো হৃদয়ে জুড়ে গেছো পিচ্চি।সেদিন আমার ব্লেজারে মলম লাগানোর পর প্রচন্ড রাগ উঠেছিলো তোমার উপর।ভেবেছিলাম তোমার সাথে আর কোনোদিন যদি আমার দেখা হয় তবে তোমাকে একটা শিক্ষা দিয়েই ছাড়ব।বাট তা আর হলো কই।রাফিজের বাসায় যাওয়ার পর একদিন রাফিজ ওর ল্যাপটপে সবার ছবি দেখিয়ে পরিচয় বলছিলো।যেখানে তোমার একটা ছবি ছিলো।সেই ছবিতে থাকা মানবীতেই আমার চোখ আটকে যায়।একটা টেডি জড়িয়ে হাসছিলে সেই ছবিতে।বুঝতে পারছিলাম না এটা মোহ না অন্য কিছু।তারপরের দিনই তোমার সাথে দেখা হয় আমার।দিন যেতে থাকলে বুঝতে পারি তুমি আমার মোহ না।তোমার ভয়ার্ত চেহারাটা না দেখতে পেলে,তোমার ঠোটের হাসি না দেখতে পেলে আমার রাত ঘুমের জন্য হারাম হয়ে যেত। এটা আর যাই হোক মোহ হতে পারেনা ।মেহু,একটা অনুরোধ করি?রাখবে তো।আমার দেওয়া শাড়িটা তুমি আজকে পড়বে।প্যাকেটে একটা শাড়ি আছে।আমি চাই আজকে তুমি এটা পড়ে আমার অক্ষিযুগলের তৃষ্ণা মেটাও।আমার দেওয়া আগের শাড়িটা তো তুমি পড়নি।আমি চাই এটা অন্তত পড়।কি রাখবে তো আমার অনুরোধ?

-❤খবিশ

মেহবিন চোখ বুজে নিঃশ্বাস নিলো।মায়ান তাকে ভালোবাসে।সরাসরি না বললেও এই চিঠিতে লেখাগুলো তাই জানান দিচ্ছে।মেহবিন হাতের চিঠিটা নিজের হ্যান্ড ব্যাগে রেখে দিলো।তারপর শাড়ির প্যাকেট টার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে হাতে নিয়ে খুলবে তখনই কায়া আপুর ডাক শুনা গেলো।মেহবিন শাড়িটা না দেখেই আলমারি তে রেখে দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।

————-
সন্ধ্যা ছয়টা।বাড়ির চারপাশে মরিচাবাতির আলোয় জলমল করছে।বাচ্চাদের হইহুল্লুর,সবার নিজেকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা,কাচা হলুদের গন্ধ সবকিছু বাড়িটাকে মাতিয়ে রেখেছে।জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশ।মায়ান রাফিজদের সাথে স্টেজের কাছে দাঁড়িয়ে আছে।মেরুন রঙের পাঞ্জাবি আর কালো ডেনিম প্যান্ট মায়ান কে যেনো আরো আকর্ষনিয় করে তুলেছে।সবাই হলুদ পাঞ্জাবি পড়লেও মায়ান মেরুন রঙের পড়েছে।এটার ও যে একটা বিশেষ কারণ রয়েছে।মায়ান রাফিজের সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলো।চোখ ঘুরিয়ে বাড়ির সিড়িতে চোখ পড়তেই মায়ানের চোখ সেখানেই আটকে যায়।মেহবিন শাড়ির কুচি ধরে ধরে সাবধানে পা ফেলে নিচে নামছে।মেহবিন আজ খুব সেজেছে।মুখে ভারি সাজ।চুলগুলো খোপা করে তাতে বেলিফুলের মালা প্যাচানো।মায়ানের চোখ ধাধিয়ে উঠে।এই রূপে সে বারবার ঘায়েল হয়। মেহবিনের নজর মায়ানের উপর পরতেই মেহবিনের বুক ধকধক করা শুরু হয়।তার যে মায়ানের এমন চাহনিতে বেশ লজ্জা লাগে।এখন তার দেওয়া শাড়ি পরে তারি সামনে এভাবে দাড়াতে তার যে লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে।মায়ান মেহবিনের দিকে একটু এগোতেই মরিচাবাতির আলোয় স্পষ্ট ফুটে উঠে তার গায়ে জড়িয়ে থাকা গোলাপি শাড়ি।মায়ান সেখানেই থেমে যায়।মায়ানের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়েছে।এতকরে বলার পর ও মেহবিন তার দেওয়া শাড়িটা পড়ল না।কিভাবে করতে পারল এটা।মায়ানের চোয়াল শক্ত হলো।এতক্ষণ মেহবিনের উপর দেওয়া ঘোর লাগা চাহনির বদলে নিক্ষেপ করল ভয়ানক দৃষ্টি।মেহবিন নিচের থেকে চোখ তুলে মায়ানের দিকে তাকাল।মায়ানের এমন চাহনি দেখে অন্তরাত্মা কেপে উঠল মেহবিনের।মায়ানের এমন চাহনি তো আগে কখনো দেখেনি।মায়ান চোয়াল শক্ত করে সেখান থেকে বড় বড় পা ফেলে চলে গেলো।মেহবিন এসবের কিছুই বুঝলনা।সে তো মায়ানের দেওয়া শাড়ি পড়ে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলো।অথচ এটা কি ব্যবহার করল মায়ান।মুহূর্তেই মেহবিনের চোখ ভিজে এলো।

মাইজা শাড়ির আচল ঠিক করতে করতে স্টেজে গিয়ে দাঁড়ালো।মেহবিন কায়ার পাশেই মুখ গোমড়া করে বসে আছে।মাইজা স্টেজে উঠতেই মেহবিন মাইজার দিকে তাকাল।মেরুন রঙের শাড়িতে কি অপূর্ব লাগছে মাইজাকে।মাইজাকে ভীষণ মানিয়েছে এই রঙে।অবশ্য ওকে সবকিছুতেই মানায়।মাইজা গিয়ে কায়ার অপর পাশে বসে।মেহবিন মাইজাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলবে তখনই মিসেস রুকাইয়া এসে বললেন-

-”মেহু সিড়িঘরে চকলেটে ডালা আছে।নিয়ে আয় তো।

মেহবিন বিনা বাক্য ব্যায়ে উঠে পা বাড়ায় সিড়িঘরের দিকে।সিড়িঘরে গিয়ে টেবিলে রাখা মিষ্টির প্যাকেটের পাশ থেকে চকলেটের ডালাটা নিয়ে পেছনে ঘুরতেই কারো সাথে ধাক্কা খেলো।মেহবিন মাথায় হাত দিয়ে উপরে তাকাতেই মায়ানের রক্তলাল চেহারা দেখতে পেলো।মায়ানের চোখ থেকে যেনো অগ্নিলাভা বের হচ্ছে ।মায়ানের চাহনি মেহবিনকে ভষ্ম করে দিতে পারে।মেহবিনের হাত ফসকে ডালাটা নিচে পড়ে গেলো।মেহবিন এক পা পিছিয়ে নেবার আগেই মায়ান মেহবিনের বাহু ধরে নিছের কাছে নিয়ে এলো।মেহবিন ব্যাথায় আহ করে উঠল।মায়ান দাতে দাত পিষে চেঁচিয়ে বললো-

-”আমার দেওয়া শাড়ি তুমি না পড়ে সেটা মাইজাকে দিয়েছো কোন সাহসে?স্পিক আপ।

মেহবিন অবাক চোখে তাকাল মায়ানের দিকে।মেহবিন তো মায়ানের দেওয়া শাড়িই পরে আছে।মাইজাকে কোথায় দিলো।মায়ান এখনো অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেহবিনের দিকে।মাইজাকে একটুআগে মেহবিনকে দেওয়া শাড়ি পড়তে দেখে মায়ানের মাথার রক্ত গরম হয়ে যায়।নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে মেহবিনের পিছু পিছু সিড়িঘরে চলে আসে।মায়ান মেহবিনের থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে চেঁচিয়ে বলে-

-”কথা বলতে বলেছি মেহবিন।

মেহবিন ফুপিয়ে কেদে দেয়।তারপর বলে-

-”আমি মাইজাকে আপনার দেওয়া শাড়ি দেই নি।আমি তো আপনার দেওয়া শাড়িই পড়ে আছি।

মায়ান চিল দিয়ে বলে-

-”আমাকে অন্ধ মনে হয় তোমার।আমি কি দেখতে পাচ্ছি না যে তু-

-”আপনার কসম।

মায়ানের কথার মাঝে মেহবিন জোরে কথাটা বলে।মায়ান থেমে যায়।মেহবিন কাদতে কাদতে বলে-

-”আপনার কসম মায়ান ভাই।আপনি যেই প্যাকেট টা দিয়েছিলেন ঐ টার থেকেই আমি এই শাড়িটা নিয়েছি।আপনাকে ছুঁয়ে বলছি।আর নিজের আত্মা কে ছুঁয়ে কেউ কি কখনো মিথ্যা বলতে পারে মায়ান ভাই?

মায়ান থমকে গেলো।মূহূর্তেই সব রাগ কোথায় যেনো মিলিয়ে গেলো।মেহবিন আর যাই হোক ওর কসম খেয়ে কোনোদিন মিথ্যে বলবেনা।নিজের করা ভুল বুঝতে পারল।অপরাধী চোখে কিছু বলবে তার আগেই মেহবিন নিজের কাধ থেকে মায়ানের হাতটা ছাড়িয়ে বললো-

-”আপনি আমায় ভুল বুজলেন মায়ান ভাই?

মেহবিনের কন্ঠে অভিমান।সেই অভিমান ধরতে পেরে মায়ান কিছু বলতে নিতেই মেহবিন মায়ানকে ধাক্কা দিয়ে নিচে চলে যায়।মায়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।কিভাবে পাড়ল সে তার পিচ্চি কে কষ্ট দিতে।

———

হলুদের পর্ব শেষ হয়েছে মাত্রই।এখন ছোটরা সবাই স্টেজে আছে।রাফিজ একটা গিটার হাতে নিয়ে মায়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো-

-”মায়ান একটা গান গা তো।

মায়ান মুখটা ছোট করেই বললো-

-”নারে ভালো লাগছেনা

রাফিজ বিরক্তি নিয়ে বললো-

-”শালা বুঝলাম যে গান ভালো গাস।এইজন্য এমন ভাব মারতে হবে।

মায়ান আবারো নাকোচ করবে তখনি সেখানে মেহবিন উপস্থিত হলো।মেয়েটা কেদেকেটে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।মায়ান রাফিজের হাত থেকে গিটার নিয়ে মেহবিনের দিকে তাকিয়ে গাওয়া শুরু করল-

বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয়না হৃদয়,
কতটা তোমায় ভালবাসি।
চলতে গিয়ে মনে হয়
দুরত্ব কিছু নয়,
তোমারি কাছেই ফিরে আসি।

তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের আনাছে কানাছে,
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেমহীনা কখনো বাঁচে।।
বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয়না হৃদয়,
কতটা তোমায় ভালবাসি।

মেঘের খামে আজ তোমার নামে
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম,
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও
খুব যতনে তা লিখে ছিলাম।।
ও চাই পেতে আরও মন
পেয়েও এত কাছে,
বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয়না হৃদয়,
কতটা তোমায় ভালবাসি।

মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে,
ভুল ত্রুটি আবেগী খুঁনসুটি
সারাক্ষণ তোমায় ছোঁয়ে রাখে।।
ও চাই পেতে আরও মন
পেয়েও এত কাছে,
বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয়না হৃদয়,
কতটা তোমায় ভালবাসি।🌺❤

মায়ান একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল পুরোটা গান গাওয়ার সময়।মেহবিন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মায়ানের গাওয়া গানটা অনুভব করছিল।চারপাশ থেকে তালির শব্দে মেহবিনের ধ্যান ভাঙলো।ধ্যান ভাঙতেই অভিমানরা আবার মনের ভিতর হানা দিলো।মেহবিন মায়ানের থেকে চোখ সরিয়ে অন্যদিকে হাটা ধরল।মাইজা এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে মায়ানের গান শুনছিলো।তার ধারণা মায়ান তাকে ডেডিকেট করে গানটা গেয়েছে।কিন্তু একবার চোখ খুলে যদি তাকাত তাহলে দেখত মায়ানের ঘোর লাগা দৃষ্টি মেহবিনেই আবদ্ধ।

মেহবিন হাটছিল।পিছন থেকে হ্যাঁচকা টান দিতেই মেহবিন মায়ানের বুকের উপর পড়ল।মেহবিন তাকাতেই মায়ানকে দেখল।মেহবিন অভিমানে চোখ সরাল।মায়ান নরম কন্ঠে শুধাল-

-”রাগ করেছো মেহু?

মেহবিন মুখ ফিরিয়ে রেখেই বললো-

-”হাত ছাড়ুন।

মায়ান ছাড়ল না। এক হাত দিয়ে মেহবিনের দুই হাত ধরে অন্য হাত মেহবিনের কোমড় জড়িয়ে ধরতেই মেহবিন হকচকিয়ে বললো-

-”কি করছেন?

মায়ান মোহনীয় কন্ঠে বললো-

-অভিমানে ভারি যদি হয় তোর মুখটা
হাসি ঠিকিই আনবো পেরিয়ে ঝড় ঝাপটা।
অভিযোগ খুজতে হাপাবে তোর জান
সুযোগ তো দেবনা থাকতে এই প্রাণ।

মেহবিন বিষ্ময় নিয়ে মায়ানের দিকে তাকাতেই মায়ান তার অধর ছুঁয়ে দিল মেহবিনের শ্যামবর্ণা গালে।প্রথমবার এত গভীর স্পর্শে কেপে উঠল মেহবিনের ছোট মন।অভিমান সরে গিয়ে মনে ঠায় পেল লজ্জারা।এই দৃশ্য সবার নজরে না পড়লেও এড়াতে পারেনি একজনের চোখ।সে অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।

*(আজকে রাতে আরেকটা পর্ব দিব।অতীত আজকেই ক্লিয়ার করা হবে।ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here