অব্যক্ত ভালোবাসা সূচনা পর্ব

0
3283

অব্যক্ত ভালোবাসা সূচনা পর্ব -”পায়েস এর বাটি টা তোর রুনা আন্টি কে দিয়ে আয়, মেহবিন। মায়ের কথায় চোখ তুলে তাকাল মেহবিন।এতক্ষণ বই এর ভিতরে দেওয়া বিশেষ মনোযোগ নষ্ট হওয়াতে খানিকটা বিরক্ত সে।তবুও মায়ের কথার প্রতিত্তরে শান্ত ভাবেই বলল- -”’আমি পড়ছি মা। মিসেস রুকাইয়া সামান্য রেগে বললেন- -”তোকে দিয়ে আসতে বলেছি তুই দিয়ে আসবি,তোর এত সমস্যা কেন ঐ বাসায় যেতে? সারাদিন বইয়ের মুখদর্শন করিস না অথচ কাজের কথা বললেই পড়ার বাহানা শুরু হয়। মেহবিন শান্ত চোখেই তাকাল মায়ের দিকে। ঐ বাড়িতে কি সমস্যা সেটা মেহবিন নিজে খুব ভালো করে জানে।অথচ তার মাকে বল কোনো লাভ নেই।অগত্যা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মায়ের কাছ থেকে পায়েসের বাটিটা হাতে নিয়ে চারতলায় রওনা হলো। মেহবিন যেতে যেতে মনে মনে আওরালো- -”একসময় চারতলায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যেতাম।অথচ আজ সেখানে যাওয়া আমার কাছে নিতান্তই বিরক্তিকর। কলিংবেলের শব্দ শুনেই মিসেস রুনা হাক ছাড়লেন- -”মাইজা, দেখ না কে এল।।। মাইজা বারান্দা থেকে দৌড়ে গিয়ে গেট খুলতেই চোখে মুখে একরাশ বিরক্তি ভর করল। বিরক্তি নিয়ে কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তার আগেই মিসেস রুনা কপালের ঘাম মুছতে মুছতে হাসি মুখে বললেন – -”মেহবিন এসেছ, ভিতরে এসো মা। মেহবিন ভিতরে জমানো ক্রোধ আটকে রেখে শূন্যে তাকিয়ে একনাগাড়ে বলল- -”মা বলেছে পায়েসটা আপনাকে দিতে তাই আসলাম। আমি আসি আন্টি আমার পড়া আছে। বলে একমিনিট ও না দাঁড়িয়ে চলে গেল ।মিসেস রুনা অবাক হয়ে মেহবিন এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটা বাসায় আসলেই এমন ভাবে চলে যায়।কী যে হয়েছে মেয়েটার। আগে মেয়েটা তাদের বাসায় ই বেশি থাকত। মাইজার সাথে হেসে খেলেই দিন যেত। কিন্তু এখন, ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- -”মেয়েটার যে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝিনা। মাইজা চোখ মুখ শক্ত করে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিল । ( আসসালামু আলাইকুম💜 আমার প্রথম লেখা এটা। জানি না কেমন হয়েছে। তবে আশা করছি সবাই সাপোর্ট করবেন আমাকে❤)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here