অভিশপ্ত বাসর রাত.পর্ব -২

0
5297

“”””””””অভিশপ্ত বাসর রাত”””””””””””
……………..পর্ব -২…………………….
===
=== গল্পটা এত সুন্দর যে এর থেকে সুন্দর আর কোন গল্প হয়তো পাওয়া যাবেনা।
===গল্পটা অনেক সুন্দর পড়ে দেখতে পারেন।
===
.
#সাবিহা একসময় হাত দিয়ে দেখল ওর চোখের
পানিতে সোফার কুশন ভিজে গেছে, ওপাশ
ভয়ে
ভয়ে ফিরে দেখল মেহবুব খাটে উলটো হয়ে
ঘুমিয়ে আছে পুরো বিছানা জুড়ে। লোকটার
উপর
ওর রাগ ক্রমশ বাড়ছে তারথেকে রাগ হচ্ছে ওর
স্যারের উপর। সে জেনেশুনে কিভাবে ওকে
ওর হাতে তুলে দিল। এখন ওর কি হবে, মা
বাবাকে কি
বলবে? তাদের কত স্বপ্ন ওকে নিয়ে, ওর
নিজের
কত স্বপ্ন ওর ছোট একটা সংসার হবে,
বাচ্চাকাচ্চা
হবে, সারাদিন কাজ সেরে রাতে স্বামীর
বুকে মাথা
এলিয়ে ঘুমাবে, হসপিটালের গল্প বলবে, কোন
রূগী কি বলছে তা বলবে, তার উপর ডাক্তারি
করবে
আরওকত কি,ওর সব ভালবাসা, ওর দেহ মন সব
রেখে
ছিল ওর স্বামীর জন্য কিন্তু আজ একটা রাতের
মধ্যে
কি থেকে কি হল!!!! এসব ভাবতে ভাবতে ও কখন
ঘুমিয়ে পরছিল নিজেই জানে না। . সকালে ঘুম
ভাঙল
একটা গম্ভীর আওয়াজে, চোখ খুলে দেখল
মেহবুব তাকিয়ে আছে আর ওকে ডাকছে। ও
ধরফর করে উঠে বসতেই আহ্ করে উঠল,
সোফায় ঘুমানোর জন্য পুরো শরীর ব্যাথা হয়ে
আছে। মেহবুব দেখেও না দেখার ভান করে
আরেকদিকে ফিরে বলল -নাস্তার টেবিলে
যাও,
সবাই অপেক্ষা করছে। এই হুকুম শুনে রাগে ওর
পুরো শরীরে আগুন লেগে গেল কিছু বলতে
যাবে তখনি ওর জা এল। . -সাবিহা এখনও উঠো
নি?? একি
তুমি সোফায়? তখন ভাবি আর কিছু বলল না
মনে হয় কিছু
একটা আঁচ করেছে, বলল -ফ্রেশ হয়ে খেতে
আস, তারপর তোমার হাতে আজ রান্না করাব
দেখব
আমার ডা.দেবরানী কি কি রান্না করে
খাওয়ায়। .
ওদিকে মেহবুবের মন খুবই খারাপ। কি হতে কি
হচ্ছে আসলে ও তো এমনটা চায় নি। বিছানায়
শুয়ে
শুয়ে ভাবতেছিল। চাচার আবদারেই এই
মেয়েটাকে
বিয়ে করেছে নইলে ও কখনই চায় নি রিতার পর
ওর
লাইফে কেউ আসুক, ও ওর ভালবাসা নিয়েই
একা একা
থাকতে চেয়েছিল থাকনা রিতা আজ অন্য
জায়গায় সুখি,
একটা অভিমান নিয়েই ও বাচঁতে চাইছিল।
দীর্ঘ ৪/৫টা
বছর ও এমন ভাবে আছে। ও তো লাইফটা কবেই
শেষ করত যদি না ওর মা বাবা বেঁচে না
থাকত। দিনের
পর দিন ও ভিতরে আর বাহিরে কঠিন থেকে
কঠিন
হইছে এখন আর কোন মেয়ে জাতিয় অনূভুতি
ওকে স্পর্শ করে না হয়ত এটা সহজে পারছে ওর
প্রফেশন এর জন্যই, যেখানে সব কিছু
সিরিয়াস। আর
ও চাইতই রিতাকে ভুলতে দিন রাত ব্যস্ত
থাকতে আর
যে জবে আছে এতে চাইলেই যে কেউ দিন
রাত কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে পারে তো
তেমন কষ্ট হত না কিন্তু রাতটা ছিল অসহ্য ওর
জন্য।
অনেক বিয়েই ও ইচ্ছে করে ভাঙছে কিন্তু এটা
আর পারে নি চাচার জন্য আর মাও দিন দিন
দূর্বল হয়ে
যাচ্ছে শুধুমাএ পরিবার এর দিকে তাকিয়ে
রাজি
হয়েছে। তারপরও আশা ছিল মেয়েটার পরিবার
রাজি
হবে না কারন ওর বয়স টা ৩৫পার হয়ে গিয়েছে,
পরিবার চাইলেও এ যুগের মেয়েরা এত বয়সী
স্বামী চায় না আরও সে একজন ডা., শিক্ষিত
রিজেক্ট
করাটা স্বাভাবিক ছিল কিন্তু না মেয়ে
রাজি হয়েছে।
আর ও জানে এর পিছনে ওর চাচারই হাত আছে।
পরে
ও চাইছিল মেয়েটার সাথে কথা বলতে কিন্তু
ওর চাচা
দেয় নি কারন চাচা জানত ও কথা বলতেই চায়
বিয়ে ভাঙার
জন্য। রাগ গিয়ে পড়ল সব মেয়েটার উপর। যখন ও
কাবিন নামায় সই করছিল তখন মনে মনে বলছিল

মেয়ে রাজি তো হয়েছ সবার কথা মত, এবার
এই
মেজরের পুড়ে যাওয়া লাইফে ঝলসানোর জন্য
রেডি হও, ওয়েলকাম টু দ্যা হেল।

__________চলবে___________
==পরবর্তী পর্ব আসছে……

______<________

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here