অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_৩১

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_৩১ ( crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

নিশিকে খাইয়ে দিয়ে নিশান প্লেট টা নিয়ে নিচে চলে গেলো। নিশি বিছানায় বসে রইল। কিছু ভালো লাগছে না তার। অনেকক্ষণ হয়ে যাবার পর ও নিশান উপরে আসছে না দেখে নিশি নিচে গেলো। নিচে গিয়ে দেখল নিশান রান্না করছে। নিশি কিছু না বলে উপরে আসতে নিলো…

“নিশান : কি হলো জান পাখি কিছু লাগবে তোমার

“নিশি : নাহ।

“নিশান : জান পাখি… ডির্ভোস পেপার নিয়ে কি ভাবলে। সাইন করে দিলে..

“নিশি : ( চোখ বড় বড় করে নিশানের দিকে তাকায়। সে বুঝতেই পারছে না নিশান ডির্ভোস এর কথা কি করে জানালো )

“নিশান : অবাক হলে..

“নিশি : মা…মানে আপনি ক..কি বলছেন

“নিশান : ( কিচেন থেকে এসে নিশি’র কাছে আসতে থাকে )

“নিশি : ( পিছুতে থাকে )

“নিশান : জান পাখি.. ( এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ আসে।‌)
.
নিশি আর নিশান দু’জনেই দরজার দিকে তাকায়। কারন দরজা বাইরে থেকে লক করা। তাহলে কে আসলো এখন। তাদের ভাবনা’র ছেদ ঘটিয়ে আরিয়ান আর আরিফা’র ভেতরে ঢোকে। নিশি খানিকটা অবাক হলেও আরিফা কে দেখে যেন অনেক খুশি হয় সে। নিশান এসে আরিয়ান কে জরিয়ে ধরে। নিশি যেয়ে আরিফা কে জরিয়ে ধরে।

“আরিফা : সারপ্রাইজ!

“নিশান : দারুন ছিলো সারপ্রাইজ টা

“নিশি : কিন্তু তুই জানলি কিভাবে আমরা এখানে

“আরিয়ান : তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম তখন আন্টি বললো কাল রাত থেকে তোমরা বাসায় নেই।

“আরিফা : আরিয়ান বললো নিশানের আরেক বাড়িতে থাকতে পারে। তাই চলে এলাম এখানে…

“নিশি : ভালো করেছিস এসেছিস

“আরিয়ান : শুধু আসেনি তোমাদের নিতে এসেছি

“নিশান : কেন

“আরিয়ান : আমরা আজ একটু ঘোরা’র প্ল্যান করলাম। আমাদের সেই ফার্মহাউস এ যাবো আজ। ভাবলাম তোদের ও নিয়ে যাই। সারাদিন এখানে থাকবো। ধরে পিকনিক এর মতো…

“নিশি : আমরা এই চারজন’ই …

“আরিফা : নাহ। মেহেদী,রৌদ্দুর, জিসান, ইশা আপ্পি আর ফাহিম। ওরা গাড়ি নিয়ে একবারে ওখানে যাবে আর আমরা তোদের নিয়ে..

“আরিয়ান : যাহ রেডি হয়ে আয়…

“নিশান : কিন্তু…

“আরিফা : ভাইয়া কোনো কিন্তু না চলুন না অনেক মজা হবে

“নিশান : ( মুচকি হেসে ) আচ্ছা। নিশি রেডি হয়ে নাও

“নিশি : হুম..
.
নিশি রুমে গিয়ে একটা বাসন্তি রঙের সিল্ক শাড়ি পরে নেয়। তার সাথে বাসন্তি রঙের রেশমী চুড়ি, কানের দুল পরে নেয়। চুল গুলো মাঝে সিঁথি করে ছেড়ে দেয়। নিশান একটা সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরে। পাঞ্জাবি’র হাতা ফ্লোট করে এসে আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখে নিশি শাড়ি’র আঁচল ঠিক করছে। ডির্ভোস এর ব্যাপারে আর কোনো কথা বলে নি নিশান কিন্তু নিশি’র মাথায় ওই একটায় কথা ঘুরছে নিশান জানলো কি করে।

নিশি শাড়ির আঁচল ঠিক করে সামনে তাকিয়ে দেখে নিশান তার পিছনে দাঁড়িয়ে আয়নায় ওপাশ থেকে তাকে দেখছে। নিশি নিশান কে দেখে চোখ নামিয়ে নেয়। নিশান কে এরিয়ে চলতে চায় সে। নিশানের পাশ থেকে যেতে গেলে নিশান নিশি’র হাত ধরে তার কাছে টানে। নিশি চোখ নামিয়ে রাখে। নিশান নিশি ‘র থিতুনিতে হাত রেখে নিশি’র মুখ টা উঁচু করে তারপর নিশি’র কপালে আলতো করে একটা ভালোলাবাসার পরশ দিয়ে দেয়। নিশানের ছোঁয়াতে কেঁপে ওঠে নিশি।

“আরিফা : ( চেঁচিয়ে ) কিরে হলো তোদের ( বলতে বলতে রুমে আসে।
.
আরিফা আওয়াজ পেয়ে নিশান নিশি কে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায়।
“নিশি : হুম হয়েছে…

“আরিফা : ( নিশি আর নিশান কে দেখে ) বাহ তোদের কে দেখতে বেশ লাগছে। একবারে মেড ফর ইচ আদার!

“আরিয়ান : ( দরজায় দাঁড়িয়ে একটা মোয়া খেতে খেতে ) আমাদের ও লাগে!

“আরিফা : ( পেছনে ফিরে ) আমি ওদের কথা বলছি!

“আরিয়ান : আর আমি আমাদের ( দাঁত বের করে হেসে )

“নিশি : আমরা না বললাম কোথায়?

“আরিয়ান : আমি তো সেটা বলি নি

“আরিফা : আপনার আর কিছু বলা লাগবে না। শরম লজ্জা সব খেয়ে বসে আছেন আপনি।‌ চলুন আপনি… আর আপনারাও আসেন লেট হচ্ছে আমাদের!

“নিশান : জো হুকুম শালিকা জ্বি।
.
নিশানের কথায় সবাই হেসে দেয়। তারপর গাড়ি নিয়ে রওনা হয়। আরিয়ান এর বলা জায়গা টায় যাবার সময় ‌নিশি আশপাশ তাকায়। জায়গা টা চমৎকার। অনেক গাছপালা চারদিকে আর খেত ও আছে। এর মাঝে আবার একটা নদী ও দেখা যায়।নদীটার সামনে জায়গা জুড়ে অনেক খানি জায়গা। সেখানে ছোট ছোট সবুজ ঘাস। নিশি’র মন চাচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে বাতাস কে অনুভব করতে। আর নিশান পাশে বসে নিশি কে দেখে যাচ্ছে। নিশি চারপাশ দেখে মুচকি মুচকি হাসছে আর নিশান সেই হাসি দেখে নিজের মন কে শান্ত করছে।

কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ‌তারা এসে পরে। মেহেদী,রৌদ্দুর ওরা অনেক আগেই এসে পরে। নিশি গাড়ি থেকে নেমে দেখে অনেক সুন্দর একটা বাড়ি। বাড়ি’টার সামনে ওখানের মতো অনেক খানি জায়গা। এছাড়া দোলনাও আছে। চারপাশ গাছ পালায় ভরা। স্নিগ্ধতায় মুখর চারপাশ নিরিবিলি। নিশান তাকিয়ে দেখে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে।

ওদের আসতে দেখে সবাই ওদের কাছে গেল আসে। নিশি একটি বারের জন্যও জিসানের দিকে তাকায় না। জিসান চাইছে নিশি’র ব্যাপারে ডির্ভোস নিয়ে কথা বলতে কিন্তু সুযোগ হচ্ছে না। নিশান এইসব কিছু খেয়াল‌ করছে কিন্তু কিছু বলে না। সবাই সবার সাথে পরিচিত হয়।

সারাদিন ‌গান গেয়ে হই হুল্লোড় করে কাটায় সবাই। বাড়ির চারপাশ ঘুরে মজা করে। আজকেই ফিরার কথা থাকলেও কেউই যেতে চায় না। সবাই থাকতে চায়। বাড়িটাতে কিছু কেয়ার টেকার ছিলো যারা রাতে সবার জন্য রান্না করে। নিশি আর নিশানকে এক রুমে, ইশা আর আরিফা কে এক রুমে, জিসান, রৌদ্দুর আর মেহেদী এক রুমে আর আরিয়ান আর ফাহিম কে এক রুমে থাকতে দেওয়া হয় ঘুমানোর জন্য। বাড়ি’র‌ সামনের জায়গা টায় সবাই আগুন জ্বালিয়ে বসে গল্প করে।

রাতের খাওয়া দাওয়া পর সবাই সবার রুমে চলে গেলো। কিন্তু আরিয়ান আর নিশান বাড়ি’র ছাদে গেল। নিশান ছাদে বসে আকাশ দেখতে লাগল। আরিয়ান ওর পাশেই বসা। দু’জনেই কথা বলছে। নিশি’র একা বসে থাকতে ভালো না লাগায় হাঁটতে বের হলো।‌সে হাঁটতে হাঁটতে ছাদে গিয়ে পৌঁছাল। সেখানেই ঢুকতেই হঠাৎ নিশানের একটা কথা নিশি’র কানে এসে ঢুকল। নিশি আড়াল থেকেই ওদের কথা শুনতে লাগল।‌

নিশি সমস্ত কথা দাঁড়িয়ে শুনল। কথাগুলো শোনার পর দাঁড়িয়ে থাকার মতো কোনো শক্তি পায়নি সে। মনে হচ্ছিল যেনো ‌তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। নিশি ওখান থেকেই দৌড়ে ঘরে চলে আসল। রুমে এসেই দেওয়ালে সাথে মিশে দাঁড়ালো। চোখ বন্ধ করতেই সমস্ত কথা ওর কানে ভেসে এলো। আর পারলানো নিশি মুখে হাত দিয়ে কাঁদতে শুরু করল। কাঁদতে কাঁদতে হাঁটু গেড়ে বসে পরল সে।

আরিয়ান এর সাথে কথা বলে রুমে আসল নিশান। কিন্তু রুমে নিশি কে না পেয়ে ঘর থেকে বের হতে যাবে এমন সময় কারো কান্না’র আওয়াজ তার কানে ভেসে আসল। নিশান ভালো মতো রুমে তাকিয়ে দেখল ঘরের এক কোণে নিশি মুখে হাত দিয়ে কাঁদছে। নিশান অস্থির হয়ে ওঠল। দৌড়ে গেলো তার জান পাখি’র কাছে।

নিশি কাঁদতে থাকে তখন হঠাৎ’ই তার সামনে এসে নিশান দাঁড়ায়। কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে তার। নিশি নিশান কে দেখে কান্না বন্ধ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নিশান নিশি’র দুই বাহু ধরে তাকে দাঁড় করায়। তারপর নিশি’র গালে হাত রেখে বলে…

“নিশান : জান পাখি কিছু হয়েছে কাঁদছো কেন তুমি।
.
নিশি হুট করেই নিশানকে জরিয়ে ধরে। নিশান অনেকটা অবাক হয় আবার ভাবে হয়তোবা মন অনেক খারাপ তাই। নিশি এতোক্ষণ ধরে এরকম একজন’কে খুঁজছিল যাকে ধরে সে কাঁদতে পারে। নিশি তাই করল, নিশানকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল। নিশান নিশি’র মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে তাকে থামাতে থাকে।

কিছুক্ষণ পর নিশি থামে। নিশানের পুরো শার্ট ভিজে গেছে নিশি’র কান্নায়। নিশান কি বলবে বুঝতে পারে না তবুও নিশি’র গাল ধরে বলে…

“নিশান : জান পা….
আর কিছু বলার আগেই খুব জোরে একটা চড় পরে নিশানের গালে। নিশান গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে নিশি’র দিকে। চড়টা নিশি’ই মেরেছে। নিশান কি বলবে বুঝে ওঠতে পারছে না। এতোক্ষণ যে মেয়ে কেদে ভাসিয়ে দিচ্ছিল সে এরকম রাগি চন্ডী কিভাবে হলো।‌এদিকে নিশি চোখ মুখ ফুলে গেছে কাঁদতে কাঁদতে। তারপর কোমরে হাত রেখে নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে।

“নিশান : ( গালে হাত রেখে ) জান পাখি তুমি আমায় মারলে…

“নিশি : হ্যাঁ মারলাম…

“নিশান : কিন্তু কেন?

“নিশি : আপনি এটার’ই যোগ্য..

“নিশান : মানে

“নিশি : সব দোষ আপনার। ( নিশানের কলার ধরে ) আপনি জানেন কতো কেঁদেছি আমি। আমার সাথে আজ পর্যন্ত যা হয়েছে এর জন্য কতো ভুগতে হয়েছে আমাকে।

“নিশান : জান পাখি কি বলছো

“নিশি : এই রাখেন তো আপনার জান পাখি! ( ধমকে )

“নিশান : তুমি আমায় ধমকাচ্ছো!

“নিশি : আপনার ভাগ্য ভালো যে ঝাড়ু দিয়ে আপনার পিঠে ভাঙ্গিনি। ইচ্ছে তো করছে আপনাকে…

“নিশান : বুঝলাম না কিছু এতোক্ষণ তো কাঁদছিল তো এখন এমন রুদ্রচন্ডী রুপ নেবার কারন কি

“নিশি : আপনি আবার কারন জানতে চাইছেন। কি করেছেন জানেন না আপনি!

“নিশান : সেটা’ই তো জানতে চাইছি কি করেছি আমি। তুমি আমায় মারলে কেন?

“নিশি : হ্যাঁ তাই তো কি করেছেন? আপনারা দুই ভাই মিলে খেলেছেন আমার জীবন টা নিয়ে। পুতুল বানিয়ে রেখেছেন আমাকে। যখন যার মন চাইলো সে খেলেছে আমার জিবনটা নিয়ে। খেলার পুতুল হয়ে গেছি আমি। ( কাঁপা কাঁপা গলায় )

“নিশান : জান পাখি…

“নিশি : কেন বলুন মিথ্যে বলেছি আমি বলুন আপনি

“নিশান : ……

“নিশি : ( হুট করেই হেসে ) কি ভাগ্য বলুন আমার। যে আমায় ভালোবাসে আমি তাকে বুঝি না আর আমি যাকে ভালোবাসি সে বোঝে না। ( তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে )

“নিশান : ( অবাক হয়ে যায় নিশি’র কথায়। )

“নিশি : অবাক হলেন নাহ। আমিও হয়েছি একটু আগে কিন্তু জানেন পার্থক্য টা কি আপনার মন ভাঙ্গে নি আমার ভেঙ্গেছে। মিথ্যে ভালোবেসে গেলাম আমি আর সে ভালো অভিনয় করে গেলো।

“নিশান : জান পাখি শোন তো আমার কথা…

“নিশি : ( হাত দিয়ে থামিয়ে ) প্লিজ আর কিছু বলবেন আমি আর নিতে পারছি না। এতোক্ষণে অনেক কিছু জেনেছি অনেক শুনেছি আর কিছু শোনার বাকি নেই আমার। যা জেনেছি তা অনেক…

( কি জেনেছে নিশি? ফ্ল্যাকব্যাক এ যাওয়া যাক ……

“আরিয়ান : কি হয়েছে আজ অনেক চুপচাপ তুই তার সাথে জিসান ও কিছু হয়েছে।

“নিশান : আচ্ছা একটা কথা বলবি

“আরিয়ান : বল!

“নিশান : ঘুরতে আসার প্ল্যান টা কার ছিলো?

“আরিয়ান : হ্যাঁ তুই ঠিক ধরেছিস কথা টা জিসান তুলেছিলো। আজ সকালেই ফোন করেছে আমায়। বললো সবার মুড ফ্রেশ করার দরকার তাই…কেনো কিছু হয়েছে

“নিশান : হয়েছে তো অনেক কিছু কোখান থেকে শুরু করবো বল। ( একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে) সেই দু’বছর আগে, মনে আছে তোর আমি যেদিন প্রথম নিশি কে দেখেছিলাম। সেদিন অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। মাত্র’ই থেমেছে বৃষ্টি। প্রকৃতি তখন নতুন সাজে সেজে ওঠেছিল। আমি গাড়ি নিয়ে জ্যাম এ আটকে ছিলাম। গাড়ি’র কাচ খুলে প্রথম আমার চোখ পরল একটা মেয়ের ওপর। তার টানা কাজল দেওয়া চোখ, মুখে স্নিগ্ধ হাসি। সাদা একটা ফ্রক পরা , গলায় একটা পিংক রঙের স্কার্ফ, দু”হাত ভর্তি পিংক চুড়ি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু ফুটপাতে বাচ্চাদের সাথে ফুচকা খাচ্ছিল আর বাচ্চামো করছিলো। আমি গাড়িতে বসে তার সেই বাচ্চামি গুলো হাসছিলাম। হঠাৎ করেই মেয়েটা দুষ্টামি করে কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেলল। তারপর ঝালে লাফাতে থাকে। ঝালে তার চোখে কোণে পানি জমে গিয়েছিল পুরো মুখ লাল হয়ে গেল। আমি পানির ‌বোতল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে তার কাছে গেলাম। তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম কিন্তু তাকে পানি দেওয়ার মতো সাধ্য হলো না। সে আমার দিকে ঘুরে পানির বোতল টা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খেতে লাগলো। আমি দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের মতো তার পানি খাওয়া দেখছিলাম। মেয়েটা হাইটে আমার চেয়ে অনেক ছোট। দেখতেও বাচ্চা লাগছিলো। কেন জানি ভালো লেগে যায় ‌সেই বাচ্চা মেয়েটাকে। সে পানি খেয়ে বোতল টা আমার হাতে দিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলো। তার এতো লাফালাফিতে বাতাসে তার ঘন বড়ো চুল গুলো আমার মুখে এসে পরল। যা আমাকে তার প্রতি আরো মোহ করে তুলল। তার চুলের ঘ্রাণে পাগল হয়ে গেলাম আমি। তাকে পাওয়ার নেশা ধরে গেল আমার। ( একটু থেমে আবার বলতে লাগল …..

চলবে….

( অনেকেই বলছে নিশি দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছে। কিন্তু সবার কাছে এমন টা কেন মনে আমি তা বুঝতে পারে নি। হ্যাঁ নিশি জিসান কে ভালোবাসে কিন্তু জিসান আর তার মাঝে তখন ও এমন কোনো সম্পর্ক ছিলো না আর না জিসানের সাথে সে অনেক ক্লোজ ছিলো। তাহলে এই কথা বলার মানে কি। কারো কাছে এটা সহজ না তার ভালোবাসার মানুষ কে ছেড়ে অন্য কাউকে মেনে নেওয়া। ভালোবাসা যেমন সহজ তা বুঝতে পারা ঠিক ততোটাই কঠিন। ভালোবাসা হুটাহাট করেই হয় কিন্তু সবাই তা বোঝতে পারে না। আর সেটা বুঝতেও সময় ও লাগে। আর রইল একটা কথা নিশি কেনো ডির্ভোস দিবে না। সেটা আমার কালকের পর্বেই ‌উল্লেখ করা দরকার ছিলো কিন্তু আমি পারিনি। আজও পারিনি আশা করি কালকের পর্বে সেটা ক্লিয়ার করতে পারবো। একটু ধৈর্য ধরতে হবে সবাইকে তাহলেই আমার পক্ষে সম্ভব হবে। এতো মনোযোগ দিয়ে পড়ার‌ জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। )

আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/396973022024476/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here