অল্প থেকে গল্প🍁
অরিত্রিকা আহানা
পর্ব:১২
ছবি চোখ বড় বড় করে শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে আছে।
হতবম্ভ কন্ঠে বলল,
—কি বললেন আপনি?
—আমি কিছুই বলি নি।তুমি প্রশ্ন করেছো আমি তার উত্তর দিয়েছি ব্যস!
—আমার ঘরে সৎ মা আছে? আমার স্বামী আমাকে…
এটুকু বলে ঢোক গিললো ছবি।
—হুম,তারপর?
ছবি অনুযোগের সুরে বলল,
—আমি কিন্তু খাবো না বলে দিলাম?
শুদ্ধ বাচ্চাদের মত মুখে আঙ্গুল দিয়ে বলল,
—-ঠিক আছে আমি আর কিছু বলবো না।তুমি খাওয়া শুরু করো!
শুদ্ধ চুপচাপ ফোন স্ক্রল করছে।ছবি কাচুমাচু করছে,অস্বস্তি হচ্ছে ওর।শুদ্ধ ইশারায় জিজ্ঞেস করলো,
—কি হয়েছে?
ছবি দুদিকে মাথা নাড়িয়ে বলল,
—কিছু না।
—তাহলে খাচ্ছো না কেন?
ছবি হাত দুটো কচলে ইতস্তত করে বলল,
—আপনি সত্যিই খাবেন না?
—তুমি বললে খেতে পারি।
ছবি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।মুখটা নিচু করে লাজুক গলায় বললো,
—আমি তো আপনাকে না করি নি।
শুদ্ধ নড়েচড়ে সোজা হয়ে বসলো।তারপর হাতদুটো মুঠো করে আড়াআড়িভাবে টেবিলের ওপর রাখলো। বললো,
—তারমানে তুমি চাচ্ছো আমি তোমার সাথে জয়েন করি তাই তো?
ছবি মাথা নিচু করে শুধু ঘাড়টা নাড়ালো।
শুদ্ধ দুষ্টু হেসে বলল,
—মুখে বলা যায় না?
ছবির চিবুকটা লজ্জায় বুকের সাথে মিশে এলো।শুদ্ধ বললো,
—তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি তোমাকে তুলে নিয়ে ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করার কথা বলেছি।এত লজ্জা পাচ্ছো কেন?
ছবি চোখবড় বড় করে শুদ্ধর দিকে তাকালো।শুদ্ধ কি বলছে এসব?নিউরোলজি পড়তে পড়তে ওর নিজের সেন্সরি নার্ভগুলো কি সব অকেজো হয়ে গেছে?
শুদ্ধ ওর এমন অবস্থা দেখে হেসে ফেললো,
বললো,
—রিলেক্স!আমি ওয়াজ জাস্ট কিডিং।এবার শুরু করো।মা আমাদের জন্য জেগে বসে আছেন।
—কিন্তু এত খাবার তো আমি একা খেতে পারবো না।
—খেতে হবে তোমাকে।না খেলে এখান থেকে উঠতে পারবে না।খাবারগুলো তো টাকা দিয়ে কেনা তাই না?
—আমি তো আপনাকে আগেই বলেছি এতখাবার ওর্ডার করার দরকার নেই।আপনিই তো শুনলেন না।
—বেশি কথা বলো তুমি।শুরু করতে বলেছি শুরু করো!এত কথা বলছো কেন?
—মানে কি আপনি কি আমাকে জোর করে খাওয়াবেন নাকি?
—ধরে নাও তাই।এটা হচ্ছে তোমার শাস্তি!
—কিসের শাস্তি।
—আমার গালে লিপবাম লাগানোর!
ছবি লজ্জায় আরক্তিম হয়ে গেলো।শুদ্ধ আর কতবার এই অস্বস্তিতে ওকে ফেলবে? চুপসে যাওয়া মুখ নিয়ে খাওয়া শুরু করলো সে।
শুদ্ধ বাটিতে স্যুপ নিতে নিতে বলল,
—আমি মজা করেছি।যতটুকু খেতে পারো খাও।আমি দুজনের জন্য অর্ডার করেছি।
ছবির খেতে ইচ্ছে করছে না।সুযোগ পেয়ে গেলো সে।কিছুক্ষন স্যুপ নিয়ে নাড়াচাড়া করে বলল,
—আমি আর খাবো না।
—তুমি তো কিছুই খাও নি?সবই তো রয়ে গেছে?
—আমার ক্ষিদে নেই।আর খাবো না।
—তোমার শাস্তি কিন্তু এখনো শেষ হয় নি?
— আমি আপনার কথা শুনবো কেন? কেন?কে আপনি?
মুহূর্তেই শুদ্ধর চেহারার রঙ বদলে গেলো।ছবি নিজেও হতবম্ভ হয়ে গেলো? কি বলে ফেলেছে সে? হাতটা অটোমেটিক মুখের কাছে চলে গেলো!ও তো ইচ্ছে করে বলে নি।হঠাৎ মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে!
ততক্ষনে টিস্যুতে হাত মুছে গম্ভীরভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে শুদ্ধ।মোবাইলটা পকেটে ঢুকিয়ে ওয়েটার কে ডাক দিয়ে বিল পে করে দিলো। বাইকের চাবিটা তুলে নিয়ে বলল,
—এসো!
ঘটনার আকস্মিকতায় ছবি হতবাক হয়ে গেছে।স্বচ্ছ কাঁচের দরজা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শুদ্ধ বাইক স্টার্ট দিয়ে ফেলেছে।ছবি আর দেরী না করে ব্যাগ নিয়ে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল।
বাইকে উঠেই শুদ্ধ কাধে হাত রাখতে গিয়েও রাখলো না সে।ভয়ে হাত সরিয়ে নিলো।শুদ্ধ ওকে সরে বসতে দেখে বললো,
—ধরে বসো।নাহলে পড়ে যাবে।
—সরি।
—ঠিক করে ধরে বসো!
ছবির ভীষণ কান্না পাচ্ছে।হঠাৎ করে ওর মুখ দিয়ে কি করে এমন কথা বেরলো সে নিজেও জানে না।লজ্জায় অনুশোচনায় ওর নিজের চুল ছিঁড়তে মন চাইছে।
নিজেকে শান্ত করার চেষ্টায় চুপচাপ বসে রইলো সে।কিন্তু একটুপর পর বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠছে।
লুকিং গ্লাসে শুদ্ধকে দেখলো।শুদ্ধর দৃষ্টি সামনের দিকে।
ছবি কান্না চেপে রাখতে পারলো না।দুহাতে শুদ্ধর গলা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠল,
—আমি সত্যি ইচ্ছে করে বলি নি মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে।বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে বলি নি!
শুদ্ধ ওর আচমকা কান্নায় বাইক থামিয়ে ফেললো।ওর গলা জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা এলিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ছবি।ওর চোখের পানিতে শুদ্ধর শার্ট কাধের কাছে খানিকটা ভিজে গেছে।
—আমি সরি বলেছি তো।আমি ইচ্ছে করে বলি নি!
শুদ্ধ মোলায়েম কণ্ঠে বলল,
—ঠিক আছে আমি বুঝতে পেরেছি তুমি ইচ্ছে করে বলো নি।এবার কান্না থামাও!
ছবির কান্না থামলো না।দ্বিগুন বেড়ে গেলো।
—আপনি আমার ওপর রাগ করে আছেন।
—কে বলেছে তোমাকে আমি তোমার ওপর রাগ করে আছি?আমি তোমার ওপর রাগ করি নি।
—তাহলে এমন করছেন কেন?
—কী করেছি আমি?
—এই যে চুপচাপ বসে আছেন?
—গাড়ি চালানোর সময় কথা বলা উচিৎ নয় তাই চুপ করে ছিলাম।
—না আপনি চুপ করে থাকবেন না!
—তো কি করবো?
—আপনার যা খুশি করুন।কিন্তু দয়া করে এমন চুপচাপ থাকবেন না।
শুদ্ধ হেসে উঠে বলল,
—আচ্ছা,ঠিক আছে।
রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা।শুনশান নিরবতা। শুদ্ধ হঠাৎ বাইকের গতি বাড়িয়ে দিলো।ছবির কান্না থেমে গেলো। ভয়ে চেঁচিয়ে উঠে বললো,
—এত স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?
—তুমিই তো বললে আমার যা খুশি করার জন্য।
—তাই বলে আপনি স্পিড এত বাড়িয়ে দেবেন।দয়া করে স্পিডটা একটু কমান না হলে নির্ঘাত কোন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
—ভয় পেয়ো না।এদিকে গাড়িঘোড়া তেমন নেই।হাইওয়ে তে উঠলে স্পিড কমিয়ে দেবো।
—আপনি আমার ওপর রেগে নেই তো?
শুদ্ধ হেসে উঠে বলল,
—কেন রেগে থাকলে কি আবার কাঁদবে?
ছবিও হেসে ফেললো।শুদ্ধ দুষ্টু গলায় বলল,
—এবার আমার গলাটা ছাড়ো!যেভাবে চেপে ধরেছো আরেকটু হলে দমবন্ধ হয়ে মারা যাবো।
ছবি লজ্জা হাত সরিয়ে ফেললো।কিন্তু শরীরের ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে বলল,
—আপনি প্লিজ স্পিড কমান আমার ভয়ে করছে।শুদ্ধ বাইকের গতি কমিয়ে দিয়ে বলল,
—শক্ত করে চেপে বসে থাকো!
বাসার কাছাকাছি পৌঁছাতেই শুদ্ধ ফোন বেজে উঠলো।বাইকটাকে রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে কথা বলছে সে।ছবি বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে শুদ্ধর দিকে চেয়ে আছে।
ল্যাম্পপোস্টর হলুদ আলোতে শুদ্ধকে ভীষণ শুদ্ধ লাগছে!
ছবি মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখছে।এই মানুষটাকে যত দেখে ততই মুগ্ধ হয় সে।মুগ্ধতার সকল সীমা বোধহয় অতিক্রম করে ফেলেছে সে।তবুও ছবি বারবার মুগ্ধ হয়।কেন?কেন এত মুগ্ধ হয় সে? কেন উনার আশেপাশে থাকতে ছবির এত ভালো লাগে? কেন উনাকে দেখলে ছবির সমস্ত শরীর অবশ হয়ে আসে।সারা পৃথিবী আলোকিত মনে হয়?
বাতাসে শুদ্ধর খোলা শার্টের আস্তিন উঠছে।শার্টের ভেতর কালো একটা গেঞ্জি পরেছে।
ছবির ভীষণ ইচ্ছে করছে শুদ্ধর হাতে হাত রেখে গাইতে,
—যাবো না যাবো না যাবো না ঘরে
বাহির করেছে পাগলও মোরে
যাবো না যাবো না যাবো না ঘরে
আকাশের দু তীরে দুবেলা
আলোকও লোক করে হলি খেলা
আমার পরানে লেগেছে রঙ
কালোরও পরে
যাবো না যাবো না যাবো না ঘরে
বাহির করেছে পাগলও মোরে।
খুব ইচ্ছে করছে দুজন খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে পুরো শহর ভ্রমন করে বেড়াবে।শুদ্ধর ডাকে ওর ঘোর ভাংলো।
শুদ্ধ ওর চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো,
—এই যে লিলিপুট কোথায় হারিয়ে গেলে?
ছবি চোখগরম করে শুদ্ধর দিকে তাকালো।শুদ্ধ হাসছে।অনুর বিয়ের সময় প্রথম যেদিন শুদ্ধর সাথে ওর দেখা হয়েছিলো সেদিন শুদ্ধ এই নামেই ওকে ডেকেছিলো।স্পষ্ট মনে আছে তার।
শুদ্ধ ছবিদের ড্রয়িংরুমের সোফার ওপর বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।ছবি ফুলের ডালা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলো।শুদ্ধ হঠাৎ ওকে ডাক দিয়ে বলল,
—এই যে মিস লিলিপুট আমাকে একগ্লাস পানি দিয়ে যাও তো।ঠান্ডা পানি আনবে ঠিক আছে?
ছবি অগ্নিদৃষ্টিতে শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে ছিলো।শুদ্ধ সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মিটমিট করে হাসতে হাসতে বললো,
—কি হলো দাঁড়িয়ে আছো কেন?রাগ করেছো?পিচ্চিদের কিন্তু এত রাগ ভালো না।
ছবি পানি এনেছিলো ঠিকই কিন্তু সেটা শুদ্ধকে খাওয়ানোর জন্য নয়।পানিটা সোজা শুদ্ধর মুখ বরাবর ছুঁড়ে মেরেছিলো।শুদ্ধ কিছুক্ষন হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।ওর চশমার ভেতর দিয়ে চোখে পানি ঢুকে গেছিলো।শুদ্ধ চশমা খুলে পাঞ্জাবী কোনা দিয়ে মুছতে মুছতে বললো,
—পানি তো খেতে চেয়েছিলাম লিলিপুট,গোসল করতে নয়!
ছবি রাগে কটমট করে বললো,
—আপনার ভাগ্য ভালো যে পানির সাথে মরিচ মিশিয়ে আনি নি।তাহলে আপনার চারচোখই অকেজো হয়ে যেত।
তারপর শুদ্ধকে কিছু বলার সুযোগ একদৌঁড়ে সেখান থেকে চলে এসেছিলো।
আজকে শুদ্ধর মুখে লিলিপুট ডাকটা শুনে ওর সেইদিনের কথাটা মনে পড়ে গেলো।চোখ পাকিয়ে বলল,
—আমি মোটেও লিলিপুট নই।
ওকে রাগতে দেখে শুদ্ধ আরো বেশি মজা পেলো।ও হাসতে হাসতে বললো,
—তুমি এখনো লিলিপুটই আছো!
ছবির মুখ বাঁকালো।একটু নাহয় খাটোই ছিলো তখন তাই বলে লিলিপুট বলবে?নিজে লম্বা বলে সবাইকে লিলিপুট ডাকবে? ছবি চোখ পাকিয়ে বলল,
—নিজে লম্বা বলে আপনার খুব ডাঁট তাই না?
শুদ্ধ এবার হো হো করে হেসে ফেললো।
—লিলিপুট!
—আমার হাইট পাচফুট তিন!
—সত্যি?
ছবি আবার চোখ পাকালো।শুদ্ধ হাত তুলে বলল,
—আচ্ছা ঠিক আছে!..তো এখন বলো কি ভাবছিলে তুমি?
—কিছু না!
—আমার কথা ভাবছিলে?
ছবি বজ্রপাতে চমকে উঠার মত আহত দৃষ্টিতে শুদ্ধর দিকে তাকালো।শুদ্ধ জানে না মজার ছলে সে সত্যিটাই বলে দিয়েছে।ছবির মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠলো।বুক ধড়ফড় করছে!এমন কেন উনি? সত্যিই সব বুঝেন নাকি আদৌ কিছু বুঝতে পারেন না? শুদ্ধ রহস্যজনক হাসি হাসলো।ছবি বোকার মত চেয়ে আছে।হি ইজ মোর মিস্টেরিয়াস দ্যান দ্যা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল!
বাসায় পৌঁছে কলিংবেল দিতেই বুয়া এসে দরজা খুলে দিলো।ছবি ওর ঘরে চলে গেলো।
আনোয়ারা বেগম নামাজ পড়ছিলেন।শুদ্ধকে খাটের ওপর শুয়ে থাকতে দেখে সালাম ফিরিয়ে বললেন,
—তোর ভাবির কি অবস্থা?
—ভালো আছে।
শুদ্ধ পকেট থেকে ফোন বের করে বললো,
— বাবুর ছবি দেখবে?
—দেখা না!
শুদ্ধ উপলকে ভিডিও কল দিয়ে বললো,
—বাবুর কাছে ধরো ভাইয়া,মা দেখবে।
উপল মেয়ের কাছে ফোন ধরতেই আনোয়ারা বেগমের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।শুদ্ধ আনোয়ারা বেগমের হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে বললো,
—তোমার কথা বলা শেষ হলে বুয়াকে দিয়ে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিও।
রাত দেড়টার দিকে ছবি পানি খেতে এসে দেখলো শুদ্ধর ঘরে আলো জ্বলছে।তার মানে শুদ্ধ এখনো জেগে আছে!
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে উঁকি দিলো ছবি।শুদ্ধ খাটের ওপর হেলান দিয়ে শুয়ে বই পড়ছে।টেবিলে ওপর খালি কফির মগ!নিজে বানিয়ে খেয়েছে সে।ছবি তাড়াতাড়ি কিচেনে ঢুকে আরেকমগ কফি বানিয়ে নিলো।
কফি নিয়ে শুদ্ধর ঘরের দরজায় টোকা দিলো। শুদ্ধ সাড়া দিলো না।ছবি পরপর আরো দুবার টোকা দিলো।এবার ভেতর থেকে সাড়া এলো,
–কাম ইন।
ছবি ভেতরে ঢুকে দেখলো শুদ্ধ বই নিয়ে বিভোর হয়ে আছে,যেন ওর উপস্থিতি টেরই পায় নি।ছবি বিড়বিড় করে বললো,সারাক্ষণ এতো কি বই পড়েন আপনি? দু একটা ভালোবাসার চ্যাপ্টারও তো পড়তে পারেন, কি হয় পড়লে?এমন কেন আপনি?
.
.
চলবে