অস্তিত্বে_চাই_তোমার_ছোঁয়া পর্ব_৩১
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
৬১.
জাবিয়া খাতুন মাসখানিক হলো ফিরলেন নিজ বাসস্থানে। যেখানে রেখে গিয়ে ছিলেন নিজের মূল্যবান রত্নধন। ইসমাইল শ্রেয়িতা ইসরাইব স্বাদরে স্বাগত করে ছিল। ইফদিয়ার খুশি দেখে কে! সে তো সারাঘর মাতিয়ে রেখেছে। রবিউল সাহেব খুশব মনে তৎক্ষণাৎ যাবিয়াজকে আদেশ করলেন।
‘বাবা শুন বেয়াইন সাহেবাকে বউমনির গ্রহিত দাওয়াত উপলক্ষে আমন্ত্রণ পাঠিয়ে দেয়। আমিও অধীর আগ্রহ আছি। বউমনির মত মেয়ে পৃথিবীতে আনার জন্যে উনার প্রশংসা অতুলনীয়।’
‘সবটাই আল্লাহর ইচ্ছায়।’
ইফদিয়ার লাজুক কণ্ঠে বলে উঠে। যাবিয়াজ ভাতের লোকমা মুখে তুলে ‘হুম’ বলে খাওয়ায় মনযোগ দিল। উক্ত তিনজন ব্যক্তি দুপুরের খাবার সম্পন্ন করছে। রবিউল সাহেব হাত ধুতন করার সময় ‘বউমা’ বলে ডেকে উঠেন। এতে ইফদিয়ার ‘জ্বি আব্বা’ বলার পর তিনি বলেন,
‘মা আজ যেহেতু বেয়াইন সাহেবা আসবেন। তুমি না হয় রাতের আয়োজনটা দেখো।’
‘জ্বি আব্বা নিশ্চিত থাকুন।’
রবিউল সাহেব ফিরতি পথে পা বাড়াতে গেলে যাবিয়াজ পানি পান করে গ্লাসটা রাখল। পরমুর্হুতে শান্ত কণ্ঠে বলে,
‘আব্বা পুরুনো স্মৃতিসাধন করতে নিজেকে প্রস্তুত করে নিও।’
রবিউল সাহেব আকস্মিক থেমে যান। তিনি ভ্রু কুঁচকে জানার প্রবণীয় দৃষ্টিতে তাকান। রমণী বিচলিত নয়নে পাশে বসা যুবক এর দিকে কৌতূহলে তাকায়। তিনি ছেলের কথা বুঝতে অক্ষম। ফলে পুনরাবৃত্তি করতে বলেন,
‘স্মৃতিসাধন বলতে!’
যাবিয়াজ ওষ্ঠের আলিজে মিটিমিটি হাসি ধরে উঠে দাঁড়ায়। রমণী ঠাই বসে রইল। সে শার্টের হাতা গুটিয়ে নিতে নিতে রবিউল সাহেব এর নজরের বর্হিভাগে চলে গেল। অর্থাৎ জবাবহীন ভাবে নিজ কর্মকার এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। রবিউল সাহেব ভ্রু কিঞ্চিৎ নেড়ে ভাবলেন ছেলে বুঝি মজা করল। তিনিও মাথা ঝেড়ে ঘরের বাহিরে বাগানের উদ্দেশ্য রওনা হলেন। আজ নিজ হাতে পানি গাছে ছিটানোর ইচ্ছে পোষণ করছে উনার মনমানসিকতা। বিধায় এই প্রাকৃতিক উপকারীয় ইচ্ছেটা বৃথা যেতে দিলেন না। পথ পাড়ি স্বরুপ বাগানে গেলেন। ইফদিয়ার স্বামীর বাণীতে ভাবিভূত রয়ে গেল। আনমনে বলে,
‘উনি এমন কেনো বললেন! আম্মা সঙ্গে শ্বশুর আব্বার স্মৃতিসাধনের কি সম্পর্ক।’
রমণী কৌতূহলী মনকে প্রশয় দিতে পারল না কেননা যাবিয়াজ বাসায় নেই। সেও নিজ কার্য সম্পাদন করতে উঠেপড়ে গেল। রাতে দাওয়াত ভোজনশালা সামাল দিতে হবে তার। সে গিয়ে শেফস কে বলে,
‘ভাইয়া আজ সব মসলার গুড়ার বয়াম, ডজনখানেক পেয়াঁজ,আদা,রসুন,কেচপাতা আর হ্যাঁ অাম-বরই বানানোর জন্যে পাঁচফোড়ন এনে রাখিয়েন টাকা আমি দিয়ে দেব।’
শেফস একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। আসলে তারা বুঝছে না তাদের ম্যাডাম সবকিছু কেনো আনাচ্ছে। রমণী মুচকি হেসে তাদের মনের সশঙ্কা দূরীকরণে বলে,
‘আজ বাসায় আমার পরিবারের লোক আসবেন। অতঃপর দাওয়াতের ভোজন যেন প্রশংসনীয় হোক সেই সুবাদে বিশাল আয়োজন।’
শেফস হাস্যমুখে সম্মতি দিল। রমণী এখন রান্নার জন্যের প্রস্তুত হবে। সন্ধ্যার পূর্বেই রান্নার সমাপ্তি ঘটিয়ে নিবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। যেই ভাবা সেই কাজে লেগে গেল।
৬২.
মোখলেস মির্জা আতঙ্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সম্মুখ পথে। সামনে শুধু ঘন অন্ধকার। তবুও তার উপরে জ্বলছে সাদা আলো অর্থাৎ এলআইডি বাতি। কিন্তু বাতিটি যে ব্যক্তি জ্বালিয়ে রেখেছে তার চিহ্ন নির্দিষ্ট চক্ষুময় হচ্ছে না। তিনি ঘাবড়ানো গলায় কেঁপে বলেন,
‘কা কার সাহস হ লো আমাকে আঁটক করার হ্যাঁ!’
‘তোর মত কাপুরুষ কে এক না শতবার আঁটক করলেও আমার বাপেরও কিছু যায় আসে না।’
‘এই এই কার গলা সাহস থাকলে সামনে আয়।’
‘বাহ্ জলদি নিজের যম দেখার ইচ্ছে হচ্ছে।’
‘দেখ কি চাই তোর! যত চাই আমি দেবো খুলে দে দড়ি।’
‘বোকা তুই আর তোর গোবরভরা মস্তিষ্ক বুঝলি।’
‘তোর এত বড় সাহস আমার ব্যাপারে কথা বলিস। তুই জানিস আমি কে!’
‘মূর্খ নালায়েক চেয়ারম্যান কু*ত্তা শা*লার বুইড়া তোরে কাইটা কুইটা নদীতে ফালামু।’
মোখলেস ভিন্ন ভিন্ন গলার পুরুষেলী কণ্ঠ পেয়ে আন্দাজ করতে পারলেন রুমে তিনি একা নোন। বরঞ্চ তিনজন ব্যক্তি রুমে অবস্থিত। যারা উনার সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেন,
‘কে তোরা কি চাই তোদের!’
‘নাথিং বাট ইউর লাইফ।’
‘হোয়াইট!’
চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি। অথচ যে ব্যক্তিটি এ মুহুর্তে ইংরেজিতে বলে উঠল। সে অন্য কেউ নয় স্বয়ং যাবিয়াজ নিজে। তার পক্ষান্তরে রয়েছে এরফান এবং অচেনা ব্যক্তিটি। যে কিনা সুপারি নিয়ে ছিল চেয়ারম্যান এর কর্ম সম্পাদনের। সে নিজ কর্ম সম্পূর্ণ করেছে বটে। কিন্তু তা ছিল কোনো অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে নয় বরঞ্চ উপকারের ভিত্তিতে। অচেনা ব্যক্তিটি হলো ফেরদৌস নিজে। যে কিনা তাদেরই দলের প্রাণ। এরফান ফেরদৌস যাবিয়াজ একে অপরের দিকে শয়তানি দৃষ্টিতে দেখে অট্টহাসি দিয়ে উঠল। মোখলেস মির্জা এবার ঘামতে লাগলেন। তিনি তাদের চেহারা দেখে ফেলেছেনে। কেননা যাবিয়াজ এরফানকে আদেশানুসারে পুরু রুমের বাতি জ্বালানোর বাণী শুনিয়েছে। ফলে বাতি জ্বলতেই তিনি তাদের সঙ্গতা দেখে ঢোক গিললেন। ফেরদৌস ভাব নিয়ে বলে,
‘কি ভাই আমাকে সুপারি দিলি তোর ন্যাকা কাজ করাতে। আর বা*লডা তোর কাজ জীবনেও করতাম না। কিন্তু তুই চেয়ারম্যান দেইখা রাজি হয়ছিলাম। ভাবছি তুই হয়তো ভালো উদ্দেশ্য সাধনের কাজ দিবি। পরে তোর কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না। আমারই মায়ের মত মাকে কিডনাপ করার সুপারি দিলি। তার উপর প্রথমত ভাবীরে কিডনাপ করতে বললি। আরে গাধা ভাবছিলাম তুই এলাকার সহায়তায় নামিস। তাই তোর মানসকিতা সরল উদগ্রীব হবে। ভুল আমার তবুও আমি এর পুরু তথ্য আমার বন্ধুকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। ফলে তোর কথায় না বরং দোস্তের কথায় কিডনাপ করেছি ঠিক। কিন্তু মানুষটা হলো তুই। এতোক্ষণে তোর সব কর্মের স্ক্রিপ্ট উচ্চপদের লোকেরা দর্শন করে নিয়েছে। হয়তো তোর পদোন্নতি অবনতির মধ্যে নেমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। তুই হয়ে যাবি রাস্তার ভিখারি হাহাহা।’
‘নাআআ।’
চেঁচিয়ে উঠতে লাগলেন মোখলেস মির্জা। কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। ঠাঠিয়ে চড় বসিয়ে দিল যাবিয়াজ তার গালে। তার মাথার চুল শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
‘ইউর ডিস্টিনি উইল ফিনিশ। বেশি ক্ষমতা দেখিয়ে চলতি। আজ বুঝবি ক্ষমতাহীন মানুষদের কেমন লাগে! ক্ষমতা সৎ উদ্দেশ্য দেখানো উচিৎ অসৎ নয়। তোর ক্ষমতা আজ বিলীন হয়ে যাবে এলাকা ঊধ্বে।’
যাবিয়াজ নিজের কথন শেষ করে ফেরদৌস এর দিকে তাকায়। বাকি গা দেওয়ার দায়িত্ব তার উপর। ফলে সে আর এরফান গল্প করার জন্যে গাড়ির দিকে চলে গেল। ফেরদৌস বাঁকা হাসি বজায় রেখে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে মোখলেস এর দিকে এগিয়ে গেল। বেচারা ভয়ে আতঙ্কে ক্ষমা চেয়েও পারল না। শুনল না তার কোনো প্রকার বাণী ফেরদৌস। একনাগাড়ে চড় মারতে লাগে।
যাবিয়াজ কোল্ড ড্রিংক হাতে নিয়ে ড্রিংক করতে লাগে। এরফান ফোনের মধ্যে বউ এর সঙ্গে প্রেমালাপ করছে। যা দেখে কিছু একটা ভেবে যাবিয়াজ বলে,
‘আচ্ছা তিয়ানা ভাবীর কি সমস্যা ছিল বললি না যে!’
এরফান চ্যাট করার মাঝে থেমে গেল। পরক্ষণে তিয়ানাকে বোধ হয় ‘পরে কথা বলছি’ লিখে ফোনটা মৃদু বন্ধ করে পকেটে গুজে নিল। তার গম্ভীর মুখশ্রী দেখে যুবক আন্দাজ করতে পারছে না। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
তাই ক্রুটিহীন দৃষ্টিতে যাবিয়াজ বলে,
‘শেয়ার কর কষ্ট লাঘব পাবে।’
‘সে কখনো মা হতে পারবে না।’
যাবিয়াজ থমকে গেল। তবুও আশ্বস্ত ভাব নিয়ে এরফান এর পিঠে কয়েকটা চাপ্পড় মেরে বলে,
‘ধর্য্যহীন হবি না। দেখবি আল্লাহ তোদের জীবনে নূর পাঠিয়ে দিবেন আমিন।’
‘ছুম্মা আমিন। এমনটায় চাই বউ এ নিয়ে ভারী চিন্তিত থাকে। এমনকি দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা বলতেও তার মুখে লাগাম হয়নি। ভেবেছিস কি পরিমাণে রাগটা তখন উঠেছিল। দিয়ে ছিলাম চড় একটা। তবুও নিজের ব্যবহারে নিজেই অতুষ্ট হয়ে ক্ষমা চাইছি। কি করব বল বউটাও চাই মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে। কিন্তু অপূর্ণতা আল্লাহ সকলের জীবনে আকস্মিক এনে দেন। জম্ম হতেই তো কেউ জানে না এর ব্যাপারে তাই না!’
যাবিয়াজ শুনে বলে,
‘চিন্তা একদম করবি না। আর সময় কাটাবি তিয়ানার সঙ্গে। নামাজপাঠে মনযোগী থাকিস। ওহ হ্যাঁ আজ বাসায় আছিস তোরা আমার বিয়ের পর চলে গিয়ে ছিলি আর আছিসও নাই।’
এরফান মৃদু হেসে সম্মতি দিল। ধপ করে গাড়িতে বসে পড়ল দুজন ব্যক্তি। একজন আহত আরেকজন শক্তপোক্ত হয়ে আছে। মোখলেস কেও তার ছেলের মত রাস্তায় ফেলে দিল। তিন বন্ধু একজটে “হাইফাইভ” দিয়ে হাসতে লাগল। ফেরদৌস দীর্ঘ প্রশান্তির শ্বাস নিয়ে বলে,
‘অবশেষে বিপদ কাটল।’
‘হ্যাঁ রে যাবিয়াজ ওই নায়েম উল্লাহ কেও পুনরায় মার খাওয়াছে।’
এরফান এর কথায় বাঁকা হাসি ওষ্ঠযুগলে প্রকাশ পেল যাবিয়াজ-র। সে দৃঢ় কণ্ঠে বলে,
‘খাওয়াব না বুঝি। জনাব যে আমার বউয়ের হাতে স্পর্শ করে ছিল। এর জবাবদিহিতা করতে তার হাতটাই আলাদা করে না করে শরীরে শান্তি পাচ্ছিলাম না। ব্যস আলাদা করে শান্তি পেলাম।’
ফেরদৌস অবাকের ফোড়ন সেরে যাবিয়াজকে উদ্দেশ্য করে বলে,
‘দোস্ত তুই দেখি বউয়ের প্রতি সাইকো হয়ে গেলি।’
‘দেখ সাইকো বল বা অন্যকিছু। শাস্তি তার পাওনা ছিল। আমার বউ, আমার অধিকার। সে কোন জাতের নোংরা মূল আমার গাছে স্পর্শ করার! এর চেয়ে ভালো তাকে কেটে ছুঁড়ে মারলাম।’
এরফান নায়েম এর ব্যাপারটা ভেবে বলে,
‘কিন্তু তুই জানছিলি কেমনে!’
‘কেমনে আর ইফস্পরীর পিছে তো আমিও গিয়ে ছিলাম। সে তিয়ানার জন্যে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু সে না আসায় চলে যাচ্ছিল তখন ঐ কু*ত্তা এসে হাজির হয়। ব্যকুল নিজেকে দমিয়ে রাখলেও ইফস্পরীর রওনা হওয়ার সঙ্গেই বেটারে আঁটকরে হাত কেটে ফেলি।’
‘তোর উপর সন্দেহ করে পুলিশের ভয় দেখায়নি।’
ফেরদৌস এর আতঙ্কময়ী উক্তি শুনে যাবিয়াজ হেসে বলে,
‘ওই বেটার সাহস নাই আর। নিজের বউবাচ্চার কথা বলে পালাইছে দেশ থেকে।’
‘যাক আমাদের গোপনতা কেউ জানতে পারল না।’
‘কজ উই আর হারামী।’
তিন বন্ধু একসঙ্গে বলে অট্টহাসি দিয়ে পথ গমনে বাসার দিকে গেল।
রাত ৯টা বাসায় চলছে তোলপাড়িত আয়োজন। ইফদিয়ার পরিবারের লোকেরা এখনো আসিনি। তবুও যাবিয়াজ-র কথা স্মরণে রেখে আবশ্যকতায় এসে পড়েছে ফেরদৌস-এরফান-র পরিবারগণ। তাদেরকে আপ্যয়নে নাস্তা স্বরুপ চা-বিস্কুট,কেক,আলুর চপ,বন,আমের শরবত ইত্যাদি। সার্ভেন্টস একে একে নাস্তার প্লেট মেহমান এর হাতে এগিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে নাস্তার প্লেট এ খাবার সাজিয়ে দিচ্ছে ইফদিয়ার।
আজ মেয়েটিকে দেখতে মিষ্টি লাগছে। পরণে ফুলহাতা সবুজ রঙের ব্লাউজ, নেটওয়ালা আঁচল, যার অর্ধ অংশ পরিপূর্ণ পাড়ে, পরিপক্ব হলুদিয়া শাড়ির দ্বারা আবৃত করেছে নিজেকে। তবুও বাসায় তার দেবর সমান ভাইয়ারা নেই। ফলে সে বোরকা পরিদান করেনি। হিজাব পরে আপ্যয়ন করছে। মহিলা সদস্য বসেছে অন্য রুমে। পুরুষ সদস্য অন্য রুমে রয়েছে যাদের কাতিরদারিতে রয়েছে স্বয়ং যাবিয়াজ। রবিউল সাহেব ছেলের বন্ধুগণের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আড়চক্ষে সময় দেখছেন। যাবিয়াজকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন।
‘বাবা বউমার পরিবারের লোকগণ কি আসবে না!’
‘আসবে ড্যাড রাস্তার মধ্যে আছে তারা।’
‘ওকে তুই রিসিভ করতে যাইস কেমন!’
‘হুম তা আর বলতে কি। জীবনের পুরুনো স্মৃতিচারণে আঁকড়ে ধরা মানুষটিকে আনার দায়িত্বে নিয়োজিত। আনতে তো হবেই।’
যাবিয়াজ প্রথম বাক্যে বলা কথাটি রবিউল সাহেব এর কর্ণগোচর হলেও শেষাক্ত বাণী শুনতে সক্ষম হলেন না।
চলবে…..