অস্তিত্বে_চাই_তোমার_ছোঁয়া পর্ব_১২
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
১৮.
সূর্যের তীর্যক রশ্নির নিচে দাঁড়িয়ে আছে ইসমাইল আর ইফদিয়ার। আজ বোনকে নিজ দায়িত্বে সযত্নে স্কুলে পৌঁছে দিতে চাই। বোনও ভাইয়ের মার্জিতপূর্ণ কথায় অস্বীকার করে নি। প্রধান রাস্তা সড়কের পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে রিক্সা খুঁজছে। কিন্তু ব্যস্ত নগরীর যানবাহনে মানুষ ভরপুর। কোনো রিকশাও খালি যাচ্ছে না। তার উপর ট্রাফিক সিগন্যাল নষ্ট থাকায় রাস্তায় গাড়ি চলাচল এর খুব বেগতিক দশা। ইফদিয়ার বোরকা পরিহিত থাকায় ঘামছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ব্যাগ থেকে পানি বের করে নিজের গলা ভিজিয়ে নিল। ভাইয়ের দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিল। ইসমাইল দৃষ্টিলব্ধে বোতল নিয়ে গডগড করে খেয়ে নিল। অর্ধপূর্ণ বোতল বোনকে রাখতে আদেশ করে। রিকশার খোঁজ নিষ্প্রতিভ হওয়ায় ইসমাইল মিহি কণ্ঠে বলে,
‘বোন তুই দাঁড়া সামনে গিয়ে সিএনজি ডেকে আনি।’
প্রত্যত্তরে মাথা নেড়ে সম্মতি দিল। ইসমাইল ৪-৫ মিনিট হেঁটে খালি সিএনজির জন্যে দৃষ্টিকটু করে রইল। পরক্ষণে এক বয়স্ক লোককে পেল। তাকে নিয়ে ইফদিয়ার কাছে এলো। ভাইকে যেতে দেখে সে একটি গাড়ির কাঁচ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়ির ভেতর কেউ আছে কি নেই। তা নিয়ে মাথা ঘামায় নি। ভাবল গাড়ির ইঞ্চিন বন্ধ তার মানে কেউ নেই। চুপ করে সেও ভদ্র মেয়ের মত দাঁড়িয়ে থাকে। ইসমাইল সিএনজি এনে হাত ধরে ইফদিয়ারকে পাশ ঘেঁষে বসায়। সিএনজি মামাকে উদ্দেশ্য করে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এর দিকে যেতে বলে।
সিএনজি পথদূরে যেতেই গাড়ির মালিক কাঁচ সরিয়ে নিল। বাঁ হাতটা জানালার বাহিরে বের করে মুঠোবদ্ধ করে। ডান হাতে চোখে পরিহিত বাদামী রঙের সানগ্লাসটা নামিয়ে নিল। সিএনজির দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিপাত রেখে কর্কশকণ্ঠে বলে,
‘অপ্সরীমনি খুব তেজ শরীরে রাইট! অন্য নাগরের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে সিএনজিতে ঘুরা। বুঝবি সময় হতে দে আমার।’
বাঁ হাত গাড়িতে ঢুকিয়ে কাঁচ উঠিয়ে নিল। ইঞ্চিন চালু করে রাস্তার ডান দিকে নিয়ে যায়।
ইসমাইল স্কুলে ইফদিয়ারকে ছেড়ে দিল। তার যাওয়ার দিকে খুব দায়িত্বশীল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ভাইকে এক পলক দেখতে পিছে ঘুরে। ইসম ভাইকে ধারণাগত অপেক্ষা করতে দেখে হাত উচিঁয়ে ‘বাই’ দিল। ইসমাইল স্মিত পরিমাণে হাসি দিয়ে নিজেও ‘বাই’ দিল। সিএনজি মামাকে হসপিটালের ঠিকানা দিল। সেখানে পৌঁছে দরদাম ধরিয়ে দিবে বলে জানায়। শর্তমত সিএনজি মামা নিয়ে যায়। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
ইফদিয়ার প্রথমবার বোরকা পড়ায় অস্বস্তিবোধ করছে। কেননা সবসময় ঢিলেঢালা,মোটা ফ্রক,হিজাব আর মাস্ক পরে আসতো। এখন থেকে সে বোরকা,হিজাব,নেকাপ,হাতের কালো মোজা পরা শুরু করেছে। প্রথমবার পরেছে সকলের দৃষ্টিতে যেন সে কোথাকার জংলী রুপ ধারণ করেছে। সবগুলির মাঝে নিজেকে প্রবলবেগে শান্ত করে দৃষ্টিকোণ দিয়ে তিয়ানাকে খুঁজতে থাকে। ইতিমধ্যে একটি মেয়ে তার পাশে খালি জায়গা পাওয়ায় বসে পড়ে। মেয়েটি তার পাশের পরিপাটি বোরকা পরিহিত মেয়েকে দেখে বলে,
‘তুমি কি ইফদিয়ার!’
চমকিত দৃষ্টিতে পিটপিটিয়ে তাকায় ইফদিয়ার। নিজের নাম অপরিচিত কারো মুখে শুনে আশ্চর্য হলো। মেয়েটা তার সমবয়সী হওয়ায় আহ্লাদী কণ্ঠে বলে,
‘হ্যা কিন্তু চিনলে কেমনে!’
‘ও হো চিনব না কেনো আসলেই সে ঠিক বলছিল তোমার মেজিক্যাল আইস ইজ ভেরি কিউট!’
ভেবাচেকা দৃষ্টিতে পলক ফেলে তাকায় ইফদিয়ার। কেউ যে তাকে নিয়ে কমপ্লিমেন্ট দিবে। ভাবতেও হাসি পাচ্ছে। যেখানে তিয়ানা ইজ্জতের সুজি বানিয়ে রাখে।
মাথার মধ্যে আকস্মিক মেয়েটির চেনার ব্যাপারটা চলে আসে। সন্দেহের অক্ষি মেলে বলে,
‘বাই দ্যা ওয়ে হু আর ইউ গার্ল!’
‘আমি তিয়ানার ফুপাতো বোন রুহিয়া। প্রিভিয়াস স্টাডি ভিলেজ এন্ড প্রেজেন্ট স্টাডি টাউন।’
‘বুঝলাম তবে আমায় চিনলে যে।’
‘উফ বলিও না আমি তিয়ানার বাসায় এলেই সে তোমার গল্পেরঝুড়ি নিয়ে বসতো। দম ফাটানো হাসি পেতো আমার। তোমাদের কথাগুলি শুনে। এমনকি আজব সব কান্ড যে ঘটাও সেগুলোও তিয়ানা বলেছে।’
‘আচ্ছা কিন্তু সে কই অনেকদিন হলো দেখি না বান্ধবীকে। আমিও কয়েকদিন পর স্কুলে এসেছি।’
‘তিয়ানার চিকেনফক্স হয়েছে।’
আহত অক্ষিগোলকে পানির সঞ্চার হলো। প্রিয় মানুষের অসুস্থতা শুনলেই হৃদপিন্ডও বুঝি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবেগ আঁটকাতে না পেরে রুহিয়ার হাত আঁকড়ে ধরে বলে,
‘বোন সে কোথায় বাসায় নাকি মেডিক্যাল এ!’
‘বাসায় আছে কিন্তু চিন্তা করিও না। কারণ পরিবারের সবাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে যত্ন নিচ্ছে তিয়ানার।’
কথাটি শুনে খুশি যেমন হলো তেমনি মলিন চেহারায় দৃষ্টি অগোচর ক্ষত। তিয়ানার পরিবার সবর্দায় হাসিমাখায় ভরপুর থাকে। তাদের সকলের সঙ্গে ছোট থেকে পরিচিত সে। আঙ্কেল-আন্টির হৃদপিন্ড যেন সরলতায় পূর্ণ। পূর্ণাঙ্গ পরিবারের মাঝে বিরাজ করে তিয়ানার পরিবার। সকলের অগোচরে চোখের অপূর্ণ অশ্রু মুছে নিল। তাদের ইংরেজি ম্যাডাম মিসেস খাদিজা চলে আসেন। বই বের করে লেসন টুয়েলেভ এ ইম্পোট্যান্ট কুয়েশ্চনে মার্ক করার আদেশ করলেন। বই এর পাতায় নজর বুলিয়ে নিচ্ছে ইফদিয়ার। তখনি প্রিন্সিপাল রুমে আসেন। তিনি এসে সৌজন্যমূলক কুশল বিনিময় করেন মিসেস খাদিজার সঙ্গে। বাচ্চাদের দিকে দৃষ্টিগোচর করে প্রহরা গলায় বলেন,
‘আপনাদের বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সামনের সপ্তাহ থেকে। আজকের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার অনুরোধ রইল ধন্যবাদ ভালোবাসা।’
প্রিন্সিপাল স্যার যাওয়ার পর মিসেস খাদিজা উৎসাহী গলায় বলেন,
‘তোমাদের ভেতর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস রেখে পরীক্ষা দিবে। আর যা মার্ক করে দিয়েছি সবগুলো ভালোভাবে পড়বে। দেখবে আনকমন হবে না কুয়েশ্চন পেপার। গুড লাক স্টুডেন্টস।’
‘থ্যাংকস ম্যাডাম।’
মিসেস খাদিজা চশমা ঠিক করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
স্কুল ছুটির পর ভার্সিটির দিকে ছুটে গেল ইফদিয়ার। ভীষণ আকুলতা হৃদমাঝাড়ে ভীড় জমিয়েছে প্রিয় মানুষকে এক পলক দেখার। তার কণ্ঠধ্বনি শুনার। আজ যে করেই হোক যাবিয়াজের সঙ্গে দেখা করেই ছাড়বে বলে পণ করে নিল রমণী। ছেলেটা পাইছি কি!
তার অনুভূতির সঙ্গে খেলা করে বেড়াবে। আর সে লুচির মত করে ঘুরে ঘুরে নাচবে। একদম না নিজের সেল্ফ হুড বলতেও একটা ব্যাপার-স্যাপার আছে তো নাকি।
কিন্তু হায় কপাল পুড়া! ভার্সিটির প্রবেশদ্বার বন্ধ। এমনকি পুরু ভার্সিটি নির্জনবাসে পূর্ণ।
কোনো ছাত্র-ছাত্রীর আনাগোনা না দেখে চৌপাশে দৃষ্টিকটু নিয়ে তাকায়। পরক্ষণে দারোয়ান চাচাকে পেল। উনার কাছে গিয়ে অনুরোধী গলায় বলে,
‘আঙ্কেল আজ ভার্সিটি অফ !’
‘হ্যা মামুনি। ভার্সিটির সকল ছাত্র-ছাত্রীগণ এনজিও ক্যানভাসে গেছে। সেখানে সাহায্যের হাত বাড়াতে তরুণদের দরকার।’
‘ওহ কবে আসবে!’
‘হয়ত একসপ্তাহ লাগবে।’
ইফদিয়ার মলিন মুখে মাথা নেড়ে নিম্র গলায় ‘ধন্যবাদ’ বলে পথচলা ধরে। বুকের মধ্যে ব্যাগ শক্ত করে জড়িয়ে ভাবে।
‘যায়াজ এই মুহূর্ত হতে আপনাকে মিস করব না। কেনো জানেন! কারণ আপনি অচল পথিকদের সহায়তায় চিকিৎসাধীনের আয়ত্তে আছেন। আপনাকে মিস করলেও যেন একরাশ লজ্জা অন্তরালে ছড়িয়ে পড়বে। আপনি না আসা অব্দি পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়াশুনায় মনোনিবেশ করব।’
ইফদিয়ার মুচকি হেসে নিজের কপালে চাপ্পর দিয়ে বাসার জন্যে রিকশা ভাড়া করে।
১৯.
এপ্রোন পরিহিত অবস্থায় গলায় স্টেথোস্কোপ যন্ত্রটি ঝুলিয়ে রোগীর হাতের পার্লস চেক করছে যাবিয়াজ। পাশেই এরফান, ফেরদৌস অন্যান্য রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।
অকস্মাৎ রোগী কাশতে আরম্ভ করে। তার গলা দিয়ে রক্তপূর্ণ কফ বের হচ্ছে। যা দেখে আর্তকে উঠলেও নিজেকে প্রখরভাবে শক্ত রাখে যাবিয়াজ। রোগীর মুখে বাটি ধরে রেখে যথাসম্ভব কফ ফেলিয়ে নিল। পিঠে আলতো করে চাপ্পর মেরে রোগীকে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করে যাবিয়াজ। এনজিও ক্যানভাসের পাশে ভিন্ন একটি কক্ষ রয়েছে। যেটিতে অবস্থান করছে বর্তমানে ভার্সিটির শিক্ষকগণ। যারা মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে এনজিও তে এনেছেন। যোগ্য নিবার্চন কমিটি নিয়ে আলোচনায় মতঁ।
যাবিয়াজ রোগীর বাহুতে ঘুমের ইঞ্জেকশন পুশ করে তুলো দিয়ে স্থানটি মুছে দিল। রোগী চোখ বুজে কষ্ট নিবারণ করার প্রয়াস করে। যুবক কফপূর্ণ রক্তের বাটি নিয়ে ল্যাবে প্রবেশ করে।সেখানে পরীক্ষণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞগণ বসে নানান পরীক্ষা-নিরাক্ষা করছেন। রক্ত কফের বাটিটি তাদের দিয়ে রোগ শনাক্ত করার জন্যে বলে।
এরফান সবেমাত্র দম ফেলে ধপাস করে বসল। ফেরদৌস এপ্রোনের পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুচ্ছে। এরফান যাবিয়াজকে না দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেরদৌসকে জিজ্ঞাসা করে।
‘যাবিয়াজ কোথায় গেল!’
‘তার রোগীর শরীরে কোন রোগ আক্রমণ করেছে। তা শনাক্ত করতে গেছে ল্যাবে নিশ্চয়।’
‘ইয়াপ রাইট। সম্ভবত নিউমোনিয়া হয়েছে পেশেন্ট এর।’
‘কেমনে বুঝলি নিউমোনিয়া। তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। এই লক্ষণ মূলত ফুসফুসে ক্যান্সার না হয় টিউমারের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ হয়।’
‘উহু রোগীর স্বাস্থ্য ভালো আছে কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা জাতীয় পানীয় বিপুল পরিমাণে পান করার কারণে রোগীর গলা ফ্যাস ফ্যাসে পর্যায়ে পৌঁছায়। যার ফলে কাশির সঙ্গে রক্তের কফ বের হয়েছে। অলওয়েজ যে ক্যান্সার টিউমারের ক্ষেত্রে গলা দিয়ে রক্ত বের হয়। তা শুদ্ধ নয়। যথার্থভাবে বলছি দেখিস রিপোর্টে নিউমোনিয়ার কথা আসবে।’
এরফান-ফেরদৌস একে অপরের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করে। তারা কোনোভাবেও চেলেঞ্জ লাগতে চায় না সম্মুখীন যুবকের সঙ্গে। কারণ যাবিয়াজ জিতবে সেটা সিউর। এরফান হাত উঁচিয়ে বলে,
‘ভাই আমি নাকে দুধ না খাইলেও মুখ দিয়া খাই। তাই গ্যারান্টি ফ্যারান্টি বলে আমাদের তেরোটা বাজানোর ব্যবস্থা না করলেই খুশি হবো।’
যাবিয়াজ মুখ টিপে হেসে ফোনটা বের করে। এক নজর ফোনের ওয়ালপেপারে বুলিয়ে পুনরায় রেখে দিল পকেটে। দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে অস্পষ্ট সুরে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।
‘একসপ্তাহ প্রত্যাশার প্রহরে নিমজ্জিত।’
ফেরদৌস না শুনতে পেলেও এরফান সুস্পষ্টভাবে শুনতে পেল। হাতের কনুই দিয়ে আলতো করে ধাক্কা মারে। ভাবপূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে এরফানের দিকে পরখ করে যাবিয়াজ। সে হ্যাবলামার্কা হাসি দিয়ে বলে,
‘লাভকুমারী বুঝি কাঁদছে।’
‘তোর বউ অসুস্থ জানিস।’
শুনে ফট করে কাশতে আরম্ভ করে এরফান। নিজের পাশে থাকা পানি গডগডিয়ে খেয়ে বলে,
‘কেকে বউ কিসের বউ!’
‘কেন রে ভীমরতি মারোস। রাতবিরাতে ফষ্টিনষ্টি করে এখন কস কার বউ কিয়ের বউ।’
এই মুহুর্ত মনে হচ্ছে এরফানের চারদিকে পৃথিবী গোল গোল করে ঘুরছে। সে ফষ্টির সঙ্গে নষ্টিও করে ফেলছে। এমন সাংঘাতিক ঘটনা সম্পর্কে সেই তো অবগত নয়।
আমতা আমতা করে যাবিয়াজের কানের কাছে এসে বলে,
‘দোস্ত খেয়েই কি আমার দাম ধরছিস। এত রমণী ললনার সামনে ইজ্জতের তেরোটা বানাস ক্যা রে!’
‘তিয়ানা কে কল করে জানাচ্ছি।’
বাকরুদ্ধ দশার মত তাকায় এরফান। কান থেকে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। মাথার মধ্যে ‘পাগল হয়ে যাব আমি, পাগল হয়ে যাব’ গানটা বেজে উঠে। অবাকের সপ্তম পর্যায়ে গিয়ে এরফান জ্ঞান হারায়। কিছু পড়ার বিকট শব্দ শুনায় যাবিয়াজ হাহা করে হেসে উঠে।
চলবে….