আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-৫৪

0
2254

#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_৫৪

সবুজ দুর্বাঘাসগুলো রক্তে ভিজে কেমন কালশিটে রূপ ধারণ করেছে। তুলির নিথর দেহ টা পড়ে আছে ঘাসের বুকে। নিবিড়, আমরিন গাড়ি থেকে নেমে স্তব্ধ হয়ে গেল। থমকে গেল যেন পুরো দুনিয়া। আমরিনের অন্তস্থল কাঁপছে। চিৎকার করে উঠল ভয়ংকর ভাবে। কাঁদতে কাঁদতে তুলির পাশে বসে পড়ল। গায়ে হাত দিতেই রক্তে লাল হয়ে গেল পুরো হাত। তৎক্ষণাত নাকের কাছে আঙ্গুল ধরল। হ্যাঁ! শ্বাস চলছে মেয়েটার। তবে তা খুবই ধীর গতিতে। রক্তক্ষরণ হয়েছে অনেক,এখনই হসপিটালে না নিল হয়ত বাঁচানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। কিন্তু আদ্র!আদ্র কোথায়?কোথায় তার ভাই?আমরিন চিল্লিয়ে উঠল।

‘ ভাই কোথায় নিবিড়? গাড়ি কোথায়?ভাই কিভাবে পারল তুলি কে একা ফেলে যেতে?’

নিস্তব্ধতা নিবিড়কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে। মন টা বড্ড কু ডাকছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। অবিন্যস্ত দৃষ্টিতে চারদিকে তাকাল। আদ্র! আদ্র বলে চিৎকার করে ডাকতে লাগল অনবরত। কোনো সাড়াশব্দ নেই। এতো সহজে হাল ছেড়ে দেবার ছেলে তো আদ্র নই। আমরিনের ডাকে টনক নড়ল। তুলির দিকে তাকিয়ে বুক টা মোচড় দিয়ে উঠল তার। এলোমেলো পায়ে উপস্থিত হল তুলির নিকট। নিজেকে ছন্নছাড়া লাগছে তার। তুলি কে নিয়ে হসপিটালে চলে গেলে আদ্র কে খুঁজবে কিভাবে?একজন কে বাঁচাতে গিয়ে আরেকজন কে খুঁজতে দেরি না হয়ে যায়!দু’টো মানুষই সবার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবার হাসিমুখের কারণ। আমরিনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না সে ড্রাইভ করতে পারবে। অন্তু, সাগর ও তো আসছে না এখনও। এ কেমন বিপদে ফেলল নিয়তি?নিবিড় নিজেকে কিছুটা স্থির করে নিল। তাকে ঠান্ডা মাথায় করতে হবে সবকিছু। বিপদে দিশেহারা হয়ে পড়লে সর্বস্ব খোয়াতে হবে। আমরিনের হাত টা সরিয়ে তুলি কে কোলে তুলে নিয়ে পা বাড়াল গাড়ির দিক। আমরিন পিছন পিছন দৌড়ে এসে আতঙ্কিত কন্ঠে বলে উঠল,

‘ আমার ভাই কোথায়?আমার ভাইকে ছাড়া যাবেন না প্লিজ। দয়া করে আমার ভাই কে খুঁজে বের করুন নিবিড়। তুলি কিন্তু আপনাকে ছাড়বে না। চোখ খুলে ভাই কে না দেখলে এমনিতেই মরে যাবে মেয়েটা। প্লিজ ভাইকে খুঁজেন।’

আমরিনের আবোল তাবোল কথাতে নিবিড়ের পা দুটো থমকে গেল আপনাআপনি। করুন চাহনি নিক্ষেপ করল আমরিনের দিক। পরক্ষণেই তুলির নির্জীব চেহারার দিকে চাইল। কি করবে সে?তার মস্তিষ্ক জমে গেছে যেন। একদিকে প্রাণের চেয়ে প্রিয় বন্ধু অন্যদিকে সেই বন্ধুর প্রাণ তার কোলে। দোটানায় যখন ভুগছে মন তখনই সাগর-অন্তুর আগমন ঘটল। পাগলের মতো ছুটে এসেছে দু’জন নিবিড়ের ফোন পেয়ে। তুলি কে এমতাবস্থায় দেখে হৃদয় নিংড়ে উঠল। বিচলিত কন্ঠে বললো,

‘ আদ্র?’

‘ পাচ্ছি না। তোরা তুলি কে নিয়ে যা। আমি আদ্র কে খুঁজব। ‘

‘ আদ্র কে ছাড়া যাবো না আমরা। ‘

উগ্রতার সহিত বলে উঠল সাগর। নিবিড় ভয়ার্ত স্বরে বললো,

‘ এই মেয়েটার জন্য দয়া হচ্ছে না তোদের?আদ্র যখন জিজ্ঞেস করবে তার তুলা কোথায় কি জবাব দিবি?তুলির কিছু হলে আমরা ওকে হারিয়ে ফেলব সাগর।’

অন্তু নিবিড়ের কাছ থেকে তুলি কে নিয়ে গাড়িতে বসে পড়ল। আমরিন কে জোর করে বসিয়ে দিল নিবিড়। তুলি কে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে যাচ্ছে আমরিন । নিবিড়ের কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে। সাগরের চোখ বেয়ে নেমে যাচ্ছে অবাধ্য নোনা জল। এক মুহুর্তের জন্য স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিল সে। কেবল বন্ধুর কথাই ভাবছিল। কিন্তু এই মেয়েটা যে মাত্র দু’টো বছরে ওদের মন জয় করে নিয়েছে তা কি করে ভুলে গেল!মনে মনে ক্ষমা চেয়ে নিল তুলির নিকট। মিনমিন করে বললো,’ ভাই কোথায় তুই? দেখ তোর তুলার চিন্তা না করে তোর চিন্তা করছি আমি। তুই তো তোর তুলা কে কেউ আঘাত করার কথা চিন্তা করলেও সহ্য করিস না। আমায়ও সবার মত করে কঠিন শাস্তি দে।’

নিবিড় কাঁধে হাত রাখতেই সাগর অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলে উঠল,

‘ আমি তুলি কে হসপিটালে দিয়ে আসব আবার। এসেই যেন আদ্র কে দেখতে পাই।’

এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে সাগর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেল। নিবিড় খুঁজতে লেগে পড়ল আদ্র কে। ততক্ষণে আহান,পূর্ব, রনক,রাদিফ সাহেব চলে এসেছেন। ছেলের জন্য বুকটা হাহাকার করছেন উনার। চোখের সামনে আদ্রর ছেড়ে যাওয়া দেখার সহ্যশক্তি নেই।
_________

‘ আমি পারব না অন্তু। আমার পক্ষে তুলির ট্রিটমেন্ট করা হবে না। ওই মেয়েটার রক্তাক্ত দেহ দেখলেই মনে হয় আমি মরে যাচ্ছি। ‘

কথাগুলো বলতে গিয়ে পায়েলের শ্বাস আটকে যাচ্ছে। অন্তুর বুকে মাথা রেখে জোরে জোরে কাঁদছে সে। কি থেকে কি হয়ে গেল! সকাল টাও তো কত সুন্দর ছিল। সত্যি মানুষের জীবনের এক সেকেন্ডেরও ভরসা নেই। বিপদ আসতেও সময় লাগে না,কখনও বলে কইয়ে আসে না তা। অন্তু শক্ত করে বক্ষে আগলে নিল পায়েল কে। নরম স্বরে বললো,

‘ আদ্র আমাদের এক করেছে পায়েল। তুই কি চাস তার তুলি তার কাছে না থাকুক?হায়াত মওত আল্লাহর কাছে। কিন্তু চেষ্টা করতে দ্বিধা কেন?এটাই তোর জীবনের বেস্ট সুযোগ প্রিয় বন্ধু কে তার জীবন ফিরিয়ে দেবার।’

পায়েল দ্রুত গতিতে সরে এলো। ওটির জন্য রেডি হতে হতে বললো,

‘ আদ্রকে নিয়ে জলদি ফিরে আয়। তার মেয়েকে বেশিক্ষণ ওয়েট করাস না। সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে সুদর্শন পুরুষ ডা.আদ্র আহনাফ অর্থাৎ তার বাবা কে দেখার।’

রিমি দাঁড়িয়ে আছে কেবিনের দরজায়। একটুও কাঁদে নি সে। নিজেকে শক্ত করে রেখেছে। পায়েল স্মিত হেসে পা বাড়াল তার সাথে।
.
.
তুলির বাবা-মা, সায়েরা বেগম, ইনশিতা সবাই বসে আছে হসপিটালের করিডোরে। সায়েরা বেগম বার বার নিষেধ করছিলেন যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আদ্রও যেতে চাই নি তুলি কে নিয়ে এই অবস্থায়। কিন্তু তুলি মন খারাপ করে রেখেছিল। জারিফা কে দেখতে ইচ্ছে করছিল ভীষণ। তুলি কে একটুখানি খুশি দেওয়ার জন্য আদ্র রাজি হয়ে গিয়েছিল। প্রেগ্ন্যান্সিতে বেশ মনমরা হয়ে থাকে মেয়েটা। একটুখানি খুশি দেওয়ার নিমিত্তে সাময়িক সময়ের জন্য ছিল এই যাত্রা। কিন্তু কে জানত এমন টা হবে!ভুল-ত্রুটি মানুষের দ্বারা হয়। তুলির ব্যাপারে এতো পজেসিভ হওয়া সত্বেও তাকে খুশি দিতে গিয়ে আদ্রর দ্বারাও হয়ে গেল। হতে পারে আদ্রর ভুল নয় বরং নিয়তিই ছিল এটা। রাদিফ সাহেব মাথা নত করে বসে আছেন। নিবিড়, অন্তু, সাগর ফ্লোরে বসে আছে। তাদের স্থির দৃষ্টি ওটির রুমের দিকে। আদ্রর অবস্থা বেগতিক। মাথায় আঘাত লেগেছে প্রচন্ড। তুলি কে নিয়ে আসার পরপরই আদ্রকে পায়। লাস্ট মুহুর্তে লাফ দেওয়ার কারণে খাদে পড়তে গিয়েও বেঁচে গেছে। তবে গাছের সাথে ধাক্কা খাওয়ার দরুন মাথায় আঘাত টা লেগেছে তীব্র। চাতক পাখির ন্যায় সবাই পথ চেয়ে আছে আদ্র ও তুলির সুস্থতার বার্তা শোনার জন্যে।
__________

সাতাশ ঘন্টা অপেক্ষার পর জ্ঞান ফিরে এল আদ্রর। কেবিনে শিফট করা হয় নি তাকে। যার জীবন নিয়ে এখনও টানাটানি তাকে কেবিনে শিফট করবে কিভাবে!এই যে এখন জ্ঞান ফিরে পেল সেটা মিরাক্কেল ব্যতীত কিছুই নয়। আইসিইউ রুমে সবার ঢোকার অনুমতি নেই। কিন্তু আদ্র নিজ থেকে ডাক্তার কে বলেছে তার বন্ধুদের যেন পাঠানো হয়। ডাক্তার প্রথমে দ্বিমত করলেও আদ্রর অনুরোধ ফেলতে পারল না। তাছাড়া অন্তু, সাগর, নিবিড় সকলেই ডাক্তার। তাদের যথেষ্ট ধারণা আছে পেশেন্টের কিসে ক্ষতি হতে পারে, আর কিসে মঙ্গল!

ধীরে ধীরে প্রবেশ করল অন্তু,রিমি,সাগর,নিবিড়। পায়েল কে না দেখে আদ্রর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল। সাগর,নিবিড়, অন্তু এগিয়ে এসে কাছাকাছি দাঁড়াল। আদ্রর কথা বলতে কষ্ট হয়, মস্তিষ্কে চাপ পড়ে। তবুও মৃদু স্বরে প্রশ্ন করল,

‘ আমার বউ?’

নিবিড়ের অধর কোণে ক্ষীণ হাসির রেখা দেখা গেল। নিম্ন স্বরে প্রতুত্তর করে,

‘ শারীরিক ভাবে সুস্থ তবে মানসিক ভাবে খুবই অসুস্থ। জ্ঞান ফিরতেই তোকে খুঁজছে শুধু। খুব পাগলামি করছিল বোকাসোকা মেয়েটা। তোকে না দেখতে পেয়ে নাকি নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে। হসপিটালে নাকি অক্সিজেন নেই। বাধ্য হয়ে ঘুমের ইনজেকশন দিতে হয়েছে। ‘

বুকের বা পাশে তীব্র ব্যাথা অনুভব করল আদ্র। অত্যন্ত শান্তপূর্ণ স্বরে বললো,

‘ তোরা ওকে দেখে রাখিস। বয়স বাড়লেও মনের দিক থেকে খুব দুর্বল। এখনও স্ট্রং হতে পারে নি। আমার অবস্থা জানান দিচ্ছে আমি হয়ত আর কয়েক ঘন্টা কিংবা কয়েক দিন বাঁচব। কিন্তু আমার মন প্রার্থনা করছে তুলির জন্য হলেও বাঁচিয়ে রাখুক আল্লাহ আমাকে।’

অন্তু,সাগর,নিবিড়, রিমি শত চেষ্টা করেও চোখের পানি আঁটকাতে ব্যর্থ হলো। আদ্র কে ছাড়া বেঁচে থাকার কথা ওরা কেউই কল্পনা করতে পারে না। কিছু মানুষের সাথে রক্তের সম্পর্ক নাহলেও আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠে। যদি সেই আত্মারই মৃত্যু হয় তবে অপর মানুষটা বেঁচে থেকেও মৃত হয়ে যায়।

‘ তোর তুলি কে আমরা দেখে রাখতে পারব না। যেই মেয়ে ডাক্তার সাহেব ছাড়া অক্সিজেন পায় না, নিঃশ্বাস নিতে পারে না তাকে আমাদের দ্বারা সামলানো হবে না। ‘

কথাটা বলে শার্টের হাতা দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল নিবিড়। এখানে এক মুহুর্তও থাকলে নিজেকে সামলাতে পারবে না। গত সাতাশ ঘন্টা ধরে হসপিটালেই বসে আছে সবাই। অন্তু,রিমি,নিবিড়, সাগর,পায়েল কে এক মিনিটের জন্যও হসপিটাল থেকে বাহির করা যায় নি।

আদ্র দুর্বোধ্য হাসলো। মাথাটা ব্যাথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। চোখ গুলো খুলে রাখা কষ্টকর হয়ে উঠছে। তবুও হৃদয়ে শীতল স্রোত অনুভব করছে সে। জীবনের এমন মুহূর্তে ক’জন দেখতে পায় বন্ধুদের চোখে জল!প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলার বেদনা!

মুখ দিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করার শক্তিটুকু নেই আর। পায়েল কে কোলে একটা বাচ্চা নিয়ে প্রবেশ করতে দেখে অবাক চোখে তাকাল। দাঁতে দাঁত চেপে অতীব কষ্টে প্রশ্ন করল,

‘আমার আকাশের নতুন তারা?’

নিমিষেই পায়েলের চেহারায় প্রস্ফুটিত মলিন বিবর্ণ রূপ উদাও হয়ে গেল। মাথা নেড়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে বললো,

‘ হ্যাঁ,তোর মেয়ে। জানিস আদ্র,তুলির বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জন্য। কিন্তু তোর বিশ্বাস, ভালোবাসা কে জিতিয়ে দিয়েছে মেয়েটা। একদম ভেঙে পড়ে নি। বেঁচে থাকার ইচ্ছে টা প্রখর ছিল। আল্লাহ হয়ত চাই তোদের জীবনের নতুন একটা অধ্যায় শুরু হোক নতুন করে। ‘

আদ্র চোখ বুঁজে বলে উঠল,

‘ ব্লাড কে দিয়েছে?’

‘ সাগর আর পূর্ব। ওদের ব্লাড গ্রুপ তুলির সাথে ম্যাচ হয়েছে।’

আদ্র স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল। মনে মনে শুকরিয়া আদায় করল আল্লাহর প্রতি। কিন্তু যদি বন্ধ হয়ে যায় তার নিঃশ্বাস! তুলির কি হবে?কে আগলে রাখবে তাকে?কেন জীবনে সুখ টা চিরস্থায়ী হয় না কখনও। সুখ যদি চিরস্থায়ী হতো তাহলে দুঃখ তো তার মর্মার্থ হারিয়ে বসত। আদ্র ভেজা গলায়,খুবই ক্ষীণ স্বরে বলে উঠল,

‘ আমার আকাশে এতকাল ধরে আগলে রাখা শুকতারা টা খসে পড়তে দিস না পায়েল।’

ডান হাত টা বাড়িয়ে দিল আদ্র। পায়েল বাচ্চা টা কে নিয়ে নিচু হতেই আলতো করে কোমল,ছোট্ট হাত টা ধরল। বাবা হওয়ার সুখ!আদ্রর প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে ইচ্ছে করল। এ পৃথিবীতে বাঁচতে ইচ্ছে করছে বহু বছর। তৃষ্ণার্ত হৃদয় চৌচির হয়ে যাচ্ছে তুলির সান্নিধ্য লাভের আশায়। দৈহিক কষ্ট আদ্র কে শেষ করে দিতে পারছে না, সে তো শুধু ধুঁকে ধুঁকে মরছে অন্তর্বেদনায়।

#চলবে,,,

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী পর্বে গল্পের সমাপ্তি দিব।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here