আনকোরা পর্ব-১০

0
2999

#আনকোরা

#রূবাইবা_মেহউইশ
১০.
বাড়িভর্তি মেহমানের ভীড়ে চৈতী নিজের ঘরে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে না। দিহানের নানীর বাড়ির আত্মীয় কম হলেও তার দাদার বাড়ির লোকজন কম নয়।আর বেশিরভাগেই এবোর্ডে থাকায় বিয়েতে সবাই উপস্থিত থাকতে পারবে না। কিন্তু দিহানের দুই চাচা-চাচী আর চার,পাঁচজন কাজিন তাদের বউ আর জামাইরা আসবে। তাদের মধ্যে আবার দুজনের তিনটি বাচ্চাও আছে বাকিরা নতুন দম্পতি কিংবা এখনও সন্তান সন্ততি হয়নি। বিয়ের বাকি এখনও তিনদিন কিন্তু প্রত্যেকেই দেশে এসে কেনাকাটা করবে বলেই দু দিন সময় নিয়ে এসেছে। দিলশাদ বরাবরই চতুর মহিলা সে আত্মীয় স্বজনের থাকা নিয়ে কোন ঝামেলা না হয় সে বিষয়ে মনযোগ দিতেই তার মনে হলো ছেলো আর বউদেরকে প্রত্যেককে একটি করে রুম দিতে হবে। এবং আত্মীয়স্বজনের উছিলায় চৈতী আর দিহানকেও এক ঘরেই রাখতে হবে। নিচ তলায় অর্ধেকে থাকে তারা কিন্তু বিয়েতে কম করে হলেও সাত কি আটটা রুম বাড়তি লাগবে। বিয়ের এক সপ্তাহ থাকতেই তিনি দিহানের বাবার সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করেই দোতলার গোডাউন খালি করিয়েছেন। কথা ছিলো শাহবাগে নতুন গোডাউন নিয়েছেন তা এক মাস পর ওপেন করবেন। কিন্তু পারিবারিক ঝামেলায় সেখানকার কাজ অসম্পূর্ণ থাকতেই মাল পাঠাতে হলো। মনে মনে এ নিয়ে তিনি স্ত্রীকে বিশেষ কিছু গালিও দিয়েছেন কিন্তু সুন্দরী স্ত্রীকে মুখের ওপর কিছু বলার সাহস তাঁর কোন কালেই হয়নি। তাঁর বিশেষ গালি গুলোর মধ্যে প্রধান গালি হলো ধূর্ত মহিলা, হিটলারের বড় বোন কোথাকার! কিন্তু গালিতে তো আর ঝামেলা কমার নয়। দিলশাদ দ্বিগুণ খরচ লাগিয়ে দোতলার গোডাউনকে দুটো ফ্ল্যাটে পরিণত করে ফেলেছেন। আগেই দুটো বাথরুম ছিলো ওপরে সেখানে আরও দুটো বাথরুম যোগ হয়েছে৷ নিচ তলার মতোই তিনটে রুম সাথে একটি করে ছোট্ট রুম হয়ে গেছে। দেয়াল টেনে মোটামুটি ফ্ল্যাট কমপ্লিট শুধু কিচেন করার ঝামেলাটা আপাতত ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ছেলেরা যখন আলাদা হবে তখন ড্রয়িংরুম কিছুটা ছোট করলে কিচেন হয়ে যাবে। কিন্তু চৈতী এই এক সপ্তাহে পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে। পড়াশোনার সুযোগ কিছুতেই পাচ্ছে না সে। তার ওপর ঘুমানোর সময় ছাড়া অভ্রের সাথে দুটো কথা বলার জো নেই৷ দিনভর ফুপি দোতলার কাজকর্মে নজর রাখায় রান্নার দিকে চৈতীকে পাঠাচ্ছেন। তবুও সব ঠিক ছিলো কিন্তু আজকে ফুপি তাকে ঘর খালি করতে বলেছে। তার ছোট ফুপিরা আসবে বিকেলে তাঁর ছেলে থাকবে এই ঘরে। আর দিহানের দাদার বাড়ির আত্মীয়রা সবাই দোতলায় থাকবে। ছোট ফুপিও থাকবে দোতলায় আর চৈতীর মা বাড়ি থেকে এসে, যেয়ে অনুষ্ঠানে থাকবেন বলেছে।

অলস উদাস দিন গুলো দিহানের আজকাল পথের কিনারায় কিংবা বাড়ির লনে বসে কেটে যায়। ফ্যাকাশে লাগে তার চোখের তারা দুটো ঠিক যেন মৃত মাছের মত। সে চোখে তার ভেসে ওঠে বিষাদময় কিছু মুহূর্ত যা তাকে নির্জীব, নিষ্প্রাণ করে তোলে ক্ষণে ক্ষণে।অন্তঃসারশূন্য হয়ে পাগলের মত উসকোখুসকো চেহারায় এদিক সেদিক হাঁটে। বাড়ির কারোই খেয়াল নেই তার দিকে দিলশাদও ব্যস্ততায় দু দিন ধরে নজর দিতে পারেনি। আজ হঠাৎই মনে পড়লো তার বড় ছেলেটা ঠিকমত তিনবেলা খেতে বসে না সেই সাথে তাকে ঘরেও পাওয়া যায় না। মনে পড়তেই সে চৈতীকে ডাকলো। চৈতী সামনে আসতেই সে প্রশ্ন করলো, “দিহান কি সকালে নাশতা করে বেরিয়েছে?”

চৈতী নিজের থাকা নিয়েই বড্ড চিন্তিত ছিলো কিন্তু এখন ফুপির প্রশ্ন শুনে তৎক্ষনাৎ সে বুঝতে পারলো না কথাটা৷ ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখটা সে দাঁতের মাঝে ফেলে কুটকুট করে কাটায় ব্যস্ত। তার মনযোগ এখন শুধু নিজের থাকা নিয়ে চিন্তাতেই আটকে আছে।

“কি জিজ্ঞেস করছি কথা বলছিস না কেন?”

“কি বলছিলে যেন!” অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো চৈতী।

” দিহান সকালে নাশতা করেছিলো?” চিবিয়ে চিবেয়ে আবারও একই প্রশ্ন করলো দিলশাদ।

“আমি তো জানি না।”

“কি জানিস তুই? তোর স্বামী চাকরি বাকরি কিছু করছে কিনা তা জানিস না। তোর স্বামী খাবার খেল কি খেল না তা জানিস না এমনকি তোর স্বামী রাতে বাড়ি ফিরলো কিনা সেই খবরটাও তোর অজানা থাকে৷ কেন! সংসার করার বয়স হয়নি তোর নাকি জ্ঞান বুদ্ধি আল্লাহ পাক তোর মগজে কিছুই দেয় নি। তোর স্বামী তোকে ছেড়ে অন্য নারীর পিছনে চলে গেলেও তো তোর হু্শ আসবে না তাই নারে! ননীর পুতুল তুই দিন দুনিয়া কিছু বুঝিস না? শুধু শুয়ে বসে খেয়ে, ঘুমিয়ে দিন পার করতে জানিস। বয়স তো আঠারো পার হয়ে যাচ্ছে এখনও নিজেকে দুধের বাচ্চা মনে করিস?”

টুপ করে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো চৈতীর। কি হলো, কি এমন হয়ে গেল আচমকা যার জন্য এতসব কথা ফুপি এভাবে বলল! দিলশাদ কি কারণে এমন সব কথাগুলো বলল চৈতীর বোধগম্য হলো না কিছুই। ময়না খালা আর দিহানের চাচাতো ভাইয়ের বউ বসার ঘরটাতেই ছিলো তারাও দিলশাদের কথা শুনে চৈতীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো। কি থেকে কি হয়ে গেল কারোরই ধর্তব্যে এলো না কিছুই। দিলশাদ একটানা সবগুলো কথা বলেই চলে গিয়েছে নিজের ঘরে আর চৈতী ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো আগের জায়গায়।

“কি হয়েছে চৈতী! চাচী আম্মা এমন করলো কেন?”

হাতের উল্টো পিঠে চোখ দুটো মুছে নিলো চৈতী। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে সে শুধু বলল, ” কারণ এটাই আমার প্রাপ্য ছিলো ভাবী।”

ভাবী আরো কিছু বলতো তার আগেই চৈতী সরে গেল তাদের সামনে থেকে। মনে মনে শত শত অভিযোগ আর রাগ জন্ম নিলো তার বাবার প্রতি শুধু ঘৃণাটাই আসলো না। আজ বাবার একটা সিদ্ধান্তে তার জীবন এমনটা হয়ে আছে। কি অন্যায় করেছিলো সে ভালোবেসেছিলো কাউকে, বাবার অনুমতি বিনা তার জীবনে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এটাই তো! সেই অন্যায়ের শাস্তি এভাবে দিলো! সেই ছোট্ট বেলা থেকে কখনো বাবাকে পাশে পায়নি সে। যে বয়সটায় বাবার আঙ্গুল ধরে ঘুরতে যাওয়ার কথা, বাবার কাঁধে চড়ে আহ্লাদে শখের ঝুড়ি খুলে বসার কথা সেই বয়সে সে চড়েছিলো একমাত্র তার দিহান ভাইয়ের কাঁধে। আর আজ কিনা সেই দিহান ভাইয়ের কাঁধেই তার বসতি গড়তে পাঠিয়ে দিলো! আর ফুপি আজ কি নিয়ে কথা শোনালো তাকে! দিহান কোথায় যায়, কি করে সেসবের দায় কি তার! দিহান খেল কি খেল না তা সে কি করে নজর রাখবে। জীবনে কখনো সে সংসার সামলায়নি তবে সব জেনে বুঝে কেন ফুপি এত কথা শোনালো? প্রথমে কষ্ট লাগলেও এখন রাগ হতে লাগলো তার ফুপির ওপর৷ প্রচণ্ড ক্রোধে সে নিজের ঘরে ঢুকে নিজের সকল কাপড়চোপড় একটা লাগেজে ভরলো। সব তাতে না আঁটলেও যতটুকু সম্ভব ভরে নিয়ে চলে গেল দিহানের ঘরে।ক্রোধে সে চোখে ঝাপসা দেখতে লাগলো। এই রাগ না কমানো পর্যন্ত সে স্থির হতে পারবে না তাই দিহানের ঘরে ঢুকে লাগেজটাকে অনেকটা আছড়ে ফেলল। পুরো ঘরে ভালো করে নজর দিয়ে ভাঙার মত অনেক কিছুই পেল কিন্তু সে সেসব ছেড়ে ড্রেসিংটেবিলের ওপর থাকা ঘড়িটা নিয়ে আলমারিতে ছুঁড়ে মারলো। মুহূর্তেই ঝনাৎ করে চুরচুর হয়ে ভেঙে পড়লো ঘড়ির কাঁচ। মাটির একটা ফুলদানি ছিলো সেটাও ভাঙতে চাইলো কিন্তু অতিরিক্ত শব্দ হবে ভাবতেই সে আলমারিতে হাত দিলো। লক করা নেই আলমারিটা আর তাতেই সে তার রাগ মেটাতে আলমারিতে থাকা দিহানের সকল কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দিলো ঘরময়৷ অপরিণত বয়সেরই এই আকাশচুম্বী রাগ সত্যিই উন্মাদ করে দিলো চৈতীকে। কাঁদতে কাঁদতে আলমারির সামনেই বসে পড়লো সে। কষ্টের চেয়ে রাগটাই যেন তার পরিমাণে বেশি ছিলো৷ অনেকটা সময় একইভাবে ফ্লোরে বসে মাথা গুঁজেছিলো হাঁটুতে৷

“আমি আজকে বিকেলে মেয়ে দেখতে যাবো তুই অফিস থেকেই বেরিয়েই চলে আসবি আমার দেওয়া ঠিকানায়।” অভ্রের মা অনেকটা ধমকের সাথেই বলল অভ্রকে।ফোনের ওপাশে অভ্রের মুখের পরিবর্তন দেখা হলো না তাঁর।অভ্র নিশ্চুপ রইলো মায়ের কথায় কিন্তু তার কপালের মাঝে ফুটে উঠলো তার অসহায়ত্বের ছাপ। কাল রাতেই মায়ের সাথে একদফা তর্ক বিতর্ক হয়েছে তার এই নিয়ে। মায়ের এক কথা বিয়ে দিলেই চৈতীর ভূত তার মাথা থেকে নামবে। কিন্তু সে কিছুতেই মাকে বোঝাতে পারলো না চৈতীকে সে সত্যিই খুব ভালোবাসে৷ মায়ের জেদের কাছে কাল রাতে সে হার মানেনি কিন্তু মায়ের দেওয়া কসম আর মৃত বাবার দোহাই দিয়ে মা তাকে দমিয়ে রেখেছে। সেও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে মাকে মায়ের কাজ করতে দিবে কিন্তু বিয়ে সে চৈতীকেই করবে৷ এখনও অনেকটা বোঝানোর পর মা মানলো না তাই ঠিক করলো বিকেলে সত্যিই যাবে মেয়ে দেখতে কিন্তু ফিরে এসে তার মতামত নিজেরটাই বহাল থাকবে। সত্যিই তাই হলো৷ বিকেলে অফিস থেকেই সে মিরপুর গেল মায়ের সাথে মেয়ে দেখতে আর সেখানেই তার দেখা হলো চৈতীর সাথে। ঘোর অন্ধকারের মাঝেও একরাশ আলোয় যেন ছেয়ে গেছিলো চৈতী অভ্রের আঁধারে ঢাকা মন দুটো৷ যে বাড়িতে অভ্র মেয়ে দেখতে গেল সে বাড়িরই ছোট মেয়েকে চৈতী টিউশন পড়ায় আজ এক সপ্তাহ হলো৷ ভাঙা মন আর বিধ্বস্ত দেহটা নিয়েই চৈতী বিকেলে পড়াতে গেল। সেদিন দিহানের বলা কথা শুনেই দিলশাদ বলেছিলেন, “টিউশন ফিউশন আমার বাড়ির মেয়েরা যেতে পারবে না।”

দিহান খুব বোঝালো সেদিন মেয়ে তো কি হয়েছে কিছু একটা করুক। তার সময় কাটবে কিন্তু সেই সময় কাটা এই বিয়ের বাড়ির ব্যস্ততার মাঝে অনেকটা ধকলের মত তবুও চৈতী শুরু করেছে। কে জানতো আজ এই টিউশনিটাই তার একটা সুখের মুহুর্ত তৈরি করে দিবে। অভ্ররা যখন মেয়ে পক্ষের বসার ঘরে বসেছিলো তখনই চৈতী ঢুকেছিলো ছাত্রীর বাড়িতে৷ অভ্র নিজেই দুপুরে মেসেজে জানিয়েছিলো মা তাকে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবে৷ কিন্তু সেটা যে এখানেই তা জানতো না৷ বসার ঘর অতিক্রম করার সময়েই চোখাচোখি হয়েছিলো অভ্র, চৈতীর। অভ্রের পাশে বসা ছিলো তার মা আর বোন। অন্য পাশে কনে,ঘটক আর কনের মা৷ কিছু সময় থমকে গিয়েছিলো চৈতী৷ ঘামে ভেজা শার্ট লেপ্টে আছে অভ্রের বুকে পিঠে, হাতা গুটিয়ে রাখা কনুইয়ের কাছে আর মুখভর্তি তার খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মোটামুটি রকমের লম্বা মানুষটা বসেছিলো ঠিক কুঁজো মানুষদের মত৷ এই নিয়ে সে অভ্রকে কাছ থেকে দেখলো দু বার৷ প্রথম দেখাতেই তো তাদের জীবনে নেমে এসেছিলো ঘোর অন্ধকার৷ মনে পড়তেই বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। এছাড়া তারা একে অপরকে দেখেছে বহুবার আর প্রতিবারই তাদের দূরত্ব ছিলো কলেজের গেইট থেকে রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান। এর বেশি সামনে যাওয়ার সাহস তখনও তাদের ছিলো না। চৈতীর কত সাধ ছিলো সে অভ্রকে দেখবে আজকের এই সাজে৷ হায়! যখন সাধ ছিলো তখন দেখা হয়নি আর আজ যখন দেখা হলো তখন অভ্র এলো অন্য কাউকে দেখাতে৷ বেশি সময় তার সাহস হয়নি অভ্রের দিকে তাকানোর। চুপচাপ চলে গেল ছাত্রীর পড়ার ঘরে৷ আর অভ্রের ঘামে ভেজা মুখটা হঠাৎই চৈত্রের খরার মত শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল চৈতীকে দেখতেই। ভেতরটা তার পানি শূন্য হয়ে গেল চৈতীর শুকনো মুখটা দেখে। মেয়েটা কি খুব শুকিয়ে গেছে! অভ্রের মনে হলো এই চৈতী তার চৈতী নয়। যার মুখ জুড়ে লেপ্টে থাকতো চঞ্চল হাসি আর চোখ জুড়ে খেলা করতো দুষ্টুমিরা। অভ্রের মা চৈতীর দিকে একবার ফিরে তাকিয়েছিলেন৷ তাঁর মনে হলো যে পাত্রী দেখতে এসেছে তার চেয়ে বেশি সুন্দর এখন যে মেয়েটা এ বাড়ি এলো৷ মুখ ফসকে তো একবার বলেই ফেললেন, “এখন যে মেয়েটা এলো সে কি হয় আপনাদের?”

কথাটা শুনতেই চকিতে তাকিয়েছিলো অভ্র আর তার বোন অনু। অনু ছবি দেখেছিলো চৈতীর তাই সে প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলো চৈতীকে দেখে কিন্তু মায়ের মুখের প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলো কোন অশনিসংকেত এর আশঙ্কায়। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই হয়নি।মেয়ের মা বলেছেন ওটা তাদের ছোট মেয়ের মেডাম। অভ্রের মায়ের বোধহয় একটু আফসোসই হলো৷ যে পাত্রী দেখতে এলো তার বয়স পঁচিশের কাছাকাছি হবে আবার মেয়েটাকে দেখে মনে হলো তার চলন ভারী। এর চেয়ে মিষ্টি লেগেছে সেই মাস্টারনি মেয়েটাকে৷ বয়স অল্প তার ওপর দেহের গড়ন ছিমছাম পাতলা৷ ইশ, এই মেয়েটার খোঁজ কি করে নেওয়া যায়। মাস্টারি করে খায় মেয়েটার বোধহয় সংসারের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়! এমনটাই ধারণা জন্মালো অভ্রের মায়ের। বাড়ি ফিরে তিনি ছেলে মেয়ে দুজনকে ডেকেই মনের কথা জানালেন এতে অবশ্য অভ্রের মনে হলো যাক, এবার নিশ্চয়ই ভালো একটা সুযোগ আসবে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here