#আনকোরা
#রূবাইবা_মেহউইশ
৪.
হিমশীতল গলায় দিহান , ‘কথা শেষ করে ফোনটা দিস’ বলেই সে হাতের ব্যাগ ফ্লোরে ফেলে বাথরুমে ঢুকলো।দরজা খুলে আচমকা দিহানের প্রবেশে হকচকিয়ে গিয়েছিলো চৈতী কিন্তু এখন তার কথা শুনে যেন অবাক হতেও ভুলে গেল। কলটা রিসিভ হয়েছে কয়েক সেকেন্ড আগেই।ওপাশ থেকে একজন মহিলা কন্ঠ ভেসে এলো, ‘কে বলছেন?’
– অভ্র কোথায়? কাঁপা স্বরে প্রশ্ন করলো চৈতী। কয়েক সেকেন্ডও লাগলো না ওপাশ থেকে বিষ্ফোরিত গলায় মহিলা চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘তুই সেই মাইয়া? তোর কারণে আমার পোলা আইজকা যমের মুখ দেখতাছে। ফোন দিছোস কোন সাহসে কুত্তা* বাচ্চা!’ চৈতী আৎকে উঠলো মহিলার মুখে গালি শুনে। অভ্রের মা ছিলেন বোধহয় ফোনে৷ আর কি বললেন তিনি! অভ্র যমের মুখে? বুকের ভেতর ব্যথার উদ্রেক হলো আবার। বাথরুমের দরজার আওয়াজ হতেই সেই ব্যথায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। রাগে চৈতী নিজেকে আটকাতে পারলো না কিছুতেই। বাথরুমের দরজা থেকে দিহান বের হতেই হাতের ফোনটা ছুঁড়ে মারলো চৈতী দিহানের দিকে।ফলস্বরূপ, ফোনটা দিহানের বুকে লাগলো প্রচণ্ড আঘাত করে। আহ্ করে আর্তনাদ করেই আবার স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ালো দিহান কিন্তু সে মুখ খোলার আগেই চৈতী বলল, ‘খুনি একটা। অসভ্য, বদমাশ তোমার মত খুনীকে রিমান্ডে দেওয়া উচিত।’ চৈতী বলতেই থাকলো অনবরত কিন্তু দিহানের মুখ দেখে মনেই হলো না কেউ তাকে কিছু বলছে৷ সে নিচু হয়ে ফোনটা উঠিয়ে নিলো। ভালো করে চেক করলো ফোনটা ভেঙেছে কিনা৷ নাহ, ভাঙেনি শুধু স্ক্রীণ প্রটেক্টরটায় আঁচড় পড়েছে। চোখের সামনে চৈতীর উপস্থিতি একদম নেই করে দিয়ে সে আবার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। কাল বৈশাখী ঝড়ের পর ডাল ভেঙে যাওয়া গাছের মত দাঁড়িয়ে রইলো চৈতী আগের জায়গাতেই। চোখের কোটরে জলের ক্ষীণ ধারা।
দিহান ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা মায়ের ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। রাত তখন কয়টা সে না দেখেই মায়ের দরজায় নক করলো। পরপর দুইবার নক করার পর দিহানের বাবা দরজা খুললেন।
‘আব্বু তুমি ঘুমাওনি?’ দিহান প্রশ্ন করলো।
পঞ্চান্ন বছর বয়সী লোকটার মুখ ভর্তি লালচে দাঁড়ি। গোলগাল ফর্সা মুখে মুচকি হাসি লেপ্টে থাকে সর্বদাই। স্বভাবসুলভ হাসিটা দিয়েই ছেলের কথার জবাব দিলেন তিনি।
‘কি করে ঘুমাই! তুই আর তোর মা তো ঘুম কাড়বি বলেই তো আমার জীবনে এসেছিলি।’
দিহান জানে বাবা এখন এখানে দাঁড়িয়েই আরো দশটা কথা বলে তবেই তাকে ঘরে প্রবেশ করতে দিবে। তাই সে বাবার কথায় কান না দিয়ে বাবাকে পাশ কাটিয়ে ঘরে ঢুকলো। মা বিছানায় শুয়ে আছেন কপালে হাত ফেলে।
‘আম্মু! তুমি কি অসুস্থ?’ দিহান খাটের কাছে একদম মায়ের মাথার কাছে এসে প্রশ্নটা করলো।দিহানের মা চকিতেই কপাল থেকে হাত সরিয়ে তাকালো তার দিকে। কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো তাঁর চোখ দুটোতে আলো সইতে তারপরই ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ডাইনিংয়ে যা আমি আসছি।’
পেটের ভেতর খিদেয় নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো ডাইনিংয়ে যাওয়ার কথা শুনে। খিদে তার বিকেল থেকেই টের পাচ্ছিলো কিন্তু মনের হঠাৎ পরিবর্তন আর পুরনো কষ্ট সব মিলিয়ে খিদেটা আবার ভুলেও গিয়েছিলো সে। টেবিলের সামনে এসে দাঁড়াতেই দিহান দেখলো চৈতী আসছে এদিকেই। মিনিট খানেক পরেই দেখলো চৈতী রান্নাঘরে ঢুকে খাবার বাড়ছে। খুব স্বাভাবিকভাবে ভ্রু দুটো একটু উঁচু করে তাকালো।
চৈতী প্রথমে একটা ডিশে ভাত বেড়ে এনে টেবিলে রাখতেই দিহান মুখ খুলল।
‘তুই খাবার বাড়ছিস কেন? আম্মু আমাকে খাবার দিবে তুই যা এখান থেকে।’
চৈতী কোন কথা কানে নিলো বলে মনে হলো না। সে চুপচাপ দু পদ তরকারি এনে টেবিলে রেখে বসে পড়লো দিহানের পাশের চেয়ারে। গলার ওড়না টেনে ঠিক করে সেটা আবার মাথায় দিলো। পাশাপাশি দুটো ছেলে মেয়ে একজন খাবার খাচ্ছে অন্যজন মাথায় ঘোমটা টেনে এটা সেটা এগিয়ে দিচ্ছে। আহ্! চোখ দুটো জুড়িয়ে যেত বোধহয় দিহানের মায়ের এমন কোন দৃশ্য দেখতে পেলে। তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এমনটাই ভাবলেন তাদেরকে পাশাপাশি চেয়ারে বসা দেখে। কিন্তু এ নিছকই তার মনের দুঃসাহসিক ভাবনা। চৈতী যতোটা সহজ দেখাচ্ছে নিজেকে ভেতরে ভেতরে সে ঠিক ততোটাই কঠিন তিনি জানেন। আর দিহান! সে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড ভস করে যে কোন মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। তাই তো জেনে বুঝেই ভাইয়ের বংশ রক্ষা আর নিজের ছন্নছাড়া ছেলের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় সেদিন এই জোর করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এখন আল্লাহই ভালো জানেন এই বিয়ে কতোটা পরিবর্তন আনেন দুই পরিবারের আর তার ছেলের জীবনে। নিজের ভাবনায় তিনি স্বার্থপরের মতন চৈতীর ভালোটা অদেখা করে দিলেন।
চৈতী কোন কথা শোনেনি দিহানের। সে খাবার দিয়েছে, তার ফুপি আসতেই ফুপির জন্যও একটা প্লেট এগিয়ে দিয়েছে। দিহান তাকে বারণ করতে করতেই নিজের খাওয়া শেষ করলো। দিহান বেসিনে হাত ধুয়ে পুনরায় বসেছিলো চেয়ার টেনে। তার মা খাচ্ছে আর সে অনবরত বলে চলছে, ‘ভালো করছো না আম্মু। আব্বুকে টাকা দিতেও বারণ করে দিয়েছো তুমি৷ আমি দেশ ছাড়বো তুমি যতোই জেদ ধরো আমি টাকার জোগাড় ঠিকই করবো।’
‘করিস। বরং বল আমি আর তোর আব্বুই তোদের হানিমুনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কোন দেশে যাবি? এশিয়ার মধ্যেই কোথাও যাস এখন তোর আব্বুর হাতে টাকা পয়সার সমস্যা চলছে। ইউরোপ, আমেরিকাতে পাঠানো অসম্ভব সামনে তো আবার দিশানের বিয়ের খরচটাও রয়েছে।’ ভাবলেশহীন বলে চলছে দিহানের মা। চৈতীও ফুপুর মত ভাবলেশহীন ভাবেই সবটা শুনলো। দিহান অস্থির হয়ে ছটফট করছে মায়ের কথা শুনে। হাওয়ার মধ্যে সে অক্সিজেনের কমতি উপলব্ধি করছে হঠাৎ করেই। গায়ের চামড়ায় ফোসকা পড়ার মত জ্বলন্ত কোন আঘাত অনুভব করছে। কোন লগ্নে সে ওই পার্কে গিয়েছিলো ম্যাচ খেলতে আর সেই কু ক্ষণেই কেন চোখে পড়লো চৈতী আর তার প্রেমিক! জীবনে এই প্রথম তার আফসোস হচ্ছে নিজের জন্য , বড্ড করুণা হচ্ছে নিজের জন্য। মায়ের কথার পর রাগ বেজায় তার মাথার ভেতর আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে কিন্তু সে চুপচাপ বসা থেকে উঠে নিজের ঘরে গেল। ফুপু, ভাতিজি দিহানের সামনে যতোই নিরপেক্ষতা দেখাক না কেন স্নায়ুযুদ্ধ তাদের চলমান রইলো। তার ফুপু খাওয়া শেষ করে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালো। টেবিলে পড়ে রইলো এঁটো থালাবাসন। কাজের মহিলাটা কিছুক্ষণ আগেই তো গিয়ে শুয়েছে এখন আর ডেকে লাভ নেই। সে নিজেই সব ধুয়েমুছে রাখলো। সারাদিন পরিশ্রম তেমন না করলেও মানসিক অবসাদ, অন্তরের ক্লান্তি দু চোখের পাতা ভারী করে তুলল ঠিকই৷ কিন্তু ঘরে তো দিহান ভাই আছে। দোটানায় পড়ে গেল এখন ঘুম নিয়ে। দিহানের ঘরে ঘুমানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। সাপ আর নেউলে একঘরে থাকলে রক্তারক্তি কান্ড ছাড়া আর কিছুই হবে না। গুটি গুটি পায়ে সে দিহানের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে দেখলো দরজাটা বন্ধ । হাতে ঠেলে বুঝতে পারলো ভেতর থেকে আটকানো। ডাকতে গিয়েও ডাকলো না সে শুধু বার কয়েক দরজায় করাঘাত করলো। ভেতর থেকে আওয়াজ এলো, ‘কে?’
চৈতী জবাব দিলো না আরো কয়েকবার করাঘাত করতেই বিরক্তি নিয়ে উঠে এসে দরজা খুললো দিহান৷
‘ এ ঘরে আমি থাকবো। তুই অন্য কোথাও ঘুমা।’
‘সেজন্য ঘরের দরকার।’ তেজী সুরেই বলল চৈতী।
‘হা তো যা অন্য ঘরে। এটা আমার ঘর আমি ঘর ছাঁড়তে পারবো না।’
– আর ইউ শিওর!
‘থাপ্পড়ে গাল লাল করে দেবো ফাজিল৷ শিওর নয় তো কি? আমার ঘরে আমি থাকবো না!’ দিহানের কণ্ঠস্বর এবার চড়া হলো। দিশান নিজের ঘরে বসে ঐশীর সাথে কথা বলছিলো।দিহানের আর চৈতীর তর্কাতর্কি শুনে সে নিজের ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো।
‘কি শুরু করলে তোমরা এখন?’
‘দিশান ভাই আমার ঘুম পেয়েছে।’
‘চৈতী তোর ঘুম পেয়েছে ঘুমা না বইন। এই মাঝ রাত্তিরে চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?’ বিরক্ত হচ্ছে দিশান৷
‘কিন্তু ঘুমানোর জায়গা পাচ্ছি না’ বলেই চৈতী খুব ভালো করে তাকালো দিশানের দিকে। ফোন কানের কাছেই ধরা তারমানে সে ফোনে কথা বলছে, আরও বলবে। চকিত হরিণীর ন্যায় বার দুয়েক চারদিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে চৈতী হঠাৎ দৌড় লাগালো৷ কি হলো দিহান, দিশান বুঝে উঠার আগেই দিশানের ঘরে ঢুকে চৈতী দরজা লাগিয়ে দিলো৷ পুরো ব্যপারটা বুঝতেই দিহানও নিজের ঘরের দরজা এঁটে দিলো আর দিশান বোকার মত দু ঘরের সামনের জায়গাটাতে দাঁড়িয়ে রইলো বোকার মত। যতক্ষণে ঘটনা তার বোধগম্য হলো ততক্ষণে দু ঘরেরই আলো নিভে গেছে। ফোনের ওপাশে ঐশী বারবার ডেকে চলছে তাকে। জবাব না পেয়ে কল কেটে আবারও কল দিলো আর তখনি যেন দিশানের মস্তিষ্ক সচল হলো। সে একবার নিজের দরজায় তো আরেকবার ভাইয়ের দরজায় ধাক্কালো। ফলশ্রুতিতে তার বাবা, মা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন৷ অবশেষে মায়ের চেঁচামেচিতে দিহান নিজের ঘরে থাকতে দিলো দিশানকে৷
ভোরের নরম আলোয় চাঁদ খান বেরিয়ে পড়লো এক্সারসাইজ এর উদ্দেশ্যে। প্রথমে চল্লিশ মিনিট দৌড়াবেন তারপর বাড়ির সামনের আঙিনার মত জায়গাটাতে কিছু ব্যায়াম করবেন৷ বাড়িতে থাকলে তার এই নিয়মের কখনো হেরফের হয় না কিন্তু আজ দৌঁড়ানোর সময়ই সব পাল্টে গেল৷ কিছুতেই নিজের মনকে শান্ত রাখতে পারছেন না আজ। চল্লিশ মিনিটের পরিবর্তে দশ মিনিট দৌঁড়েই হাঁপাতে লাগলেন চাঁদ। শুধু আজ নয় সপ্তাহ খানেক হলো তিনি খুব অসুস্থবোধ করেন৷ চাকরির সুবাদে বরাবরই নিজের সুস্বাস্থ্যের প্রতি নজর ছিলো তাঁর বেশ। বছর পাঁচেক আগে একবার জঙ্গলে থেকে গাছ,গাছড়া লতা পাতায় আর ফলমূল খেয়ে টিকে থাকতে হয়েছিলো সেখানে আর সেখানেই দূষিত পানির কারণে ডায়রিয়ায় ভোগেন খুব। বোঝার বয়স থেকে জীবনে বোধহয় সেটাই ছিলো তাঁর প্রথম অসুস্থতা যার ফলে বহুদিন শরীরে ক্লান্তি অনুভব করেছেন পরিশ্রম না করলেও। আজও ঠিক তেমনই অসুস্থতা বোধ করছেন৷ আজকের অসুস্থতা তাঁর শারীরিক নয় মানসিক তা তিনি জানেন। একমাত্র মেয়েকে তাঁর অন্যায়ে শোধরাবার সুযোগ না দিয়ে তাড়াহুড়ায় যে শাস্তি দিয়েছেন তা কি ঠিক
হয়েছে! প্রেম আজকাল করে না এমন ছেলে মেয়ে শ’য়ে হয়তো পাঁচজন পাওয়া যাবে। কিন্তু দিহান যা বলল, চৈতী পার্কে বসেছিলো সেই ছেলের সাথে৷ আমার মেয়ে কিনা পার্কে বসবে কোন ছেলের সাথে প্রেম করবে! এখানেই চাঁদ খানের মেজাজ বিগড়ে যায়।শুধু মনে হয় তার মেয়ে সভ্য সমাজের সভ্যতা নষ্ট করেছে। তার সম্মান নষ্ট করেছে তাই চৈতীর এর চেয়ে ভালো আর কোন সাজা ছিলো না৷ কিন্তু আপা যা বলল দিহান সম্পর্কে তাতে দিহানও চৈতীর জন্য ঠিক মানুষ নয় বলেই মনে হচ্ছে। তবে কি তাড়াহুড়ায় নিজেই নিজের মেয়ের ক্ষতি করে দিলো! আর এই ভাবনাই আজকাল চাঁদ খানকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। ছুটিও শেষ হয়ে আসছে আর এখনই অসুস্থতা! আবার মনে হচ্ছে রিটায়ার্ড করার সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। এখন এই শেষ মুহূর্তে নিজের কাজকে কিছুতেই নিজের থেকে দূর করা সম্ভব নয়। মাথার উপর রোদটা তেজ নিয়ে উঠতে থাকলো। বসন্তের শেষের দিকের সকাল গুলোতে রোদের তেজ মোটেই ভাল্লাগে না। অবসাদগ্রস্ত দেহটাকে টেনে ঘরে ফিরলো চাঁদ খান।
‘এ্যাই তুই নাশতা শেষ করেই বেরিয়ে যাবি এই বাড়ি থেকে।’
‘কিছু বলছো?’
‘কানে শুনতে পাস না?’
‘কি যেন বলছিলে?’
‘দ্যাখ চৈতী ফাইজলামি কমিয়ে করবি নইলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।’
‘মাশাআল্লাহ, এই প্রথম নিজের মুখে সত্যিটা স্বীকার করলে৷ শুনে ভালো লাগলো আমার।’
‘চৈতী!’ ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে এলো দিহানের। সে রাগে হুঁশ হারিয়ে সত্যিই চৈতীকে টেনে থাপ্পড় মেরে বসলো তার গালে।
চলবে
( গল্পটা কি তেমন পছন্দ হচ্ছে না?)