আপনিময় তুমি সিজন 2পর্ব-২৩

0
1566

#আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love]
#Season: 02
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr]
#Part: 23

‘কিসের লোভ?’ দ্বিধান্বিত হয়ে জানতে চাইল আনহা।

হাসল ইহান। আনহার গালে আলতো করে হাত ছোঁয়ায়। ‘আমার #আপনিময়_তুমি❤️ কে পাবার লোভ। তার সাথে আজীবন থাকার লোভ। কিন্তু আমি এখনো জানিনা কিভাবে তা সম্ভব আনহা। আপনি একদিন চলে যাবেন। আমাকে ছেড়ে অন্য কারও কাছে চলে যাবেন। আমি না কোনোদিনই ভাবতেই পারিনা—আপনাকে ছাড়া থাকতে হবে। কিন্তু কোনোদিন ভেবে উঠতে পারিনি—আপনাকে নিজের কাছে কিভাবে রাখব? আমি এখনো জানিনা। কেন আপনার সাথে থাকতে চাই? শুধু জানি ভালো লাগে। অসম্ভব ভালো লাগে। আপনি কি থাকবেন আমার সাথে?’

ইহানের কথায় আনহা ওর চোখের দিকে করুণ চেহারায় তাকিয়ে আছে৷ কিন্তু কিছু বলতে পারছে aনা। বলবেও বা কী ইহানের প্রশ্নের জবাব যে আনহার কাছে নেই। কারণ ইহানের প্রশ্নটাও যে অস্পষ্ট। কী বলতে চাইছে ইহান? ওর কথায় আনহা নিজের জন্য ভয়ঙ্কর এক অনুভূতির ছোঁয়া পাচ্ছে। কিন্তু ইহানের আচরণে ও বুঝতে পারছে ইহান কী চাইছে তা হয়তো ও নিজেও জানে না। আচ্ছা এটা কি ভালোবাসা? কিন্তু কেমন? শুধুই কি একে-অপরের সাথে থাকার? নাকি অন্যকিছু?

জানতে চাইল আনহা। ইহান কেন বারবার এমন করে? ‘ইহান তুই?’ কিন্তু একি! তখনি খেয়াল করে ইহান ঘুমিয়ে গেছে। দেখেই নিরাশ হয় আনহা। করুণ চোখে ইহানের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। ভাবে হয়তো নিয়তি চায় না এমনটা হোক।

সকালে ট্রেনের টি. টি কে বিদায় জানায় ওরা৷ ওনি অনেক হেল্প করেছেন ওদের। কিন্তু সমস্যা বাধে আনহার বিয়ের পোশাক নিয়ে। বউয়ের সাজে আনহাকে নিয়ে যাওয়াটা অনেকটা দৃষ্টিকটু লাগে। তার উপর ইহানের রক্তে মেখে আছে ওর শরীর। ইহান ওকে স্টেশনে ওয়েট করতে বলে কোথাও একটা চলে যায়। আনহা ওকে যেতে নিষেধ করলেও শোনে না। আনহাকে স্টেশনের বেঞ্চে বসে ওর জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও ইহানের নাম গন্ধ খুঁজে পায় না। ভীত হয় আনহা। মনে বাসা বাধে চেনা এক ভয়। তবে কি মাহিদ! আনহা উন্মাদের মতো আশ-পাশ দেখে ছুটে যেতেই কারও সাথে ধাক্কা খায়।

‘আনহা আপনি! এভাবে ছুটছেন কেন?’

আনহা কোনো কথা না বলে ইহানকে জড়িয়ে ধরে। কান্নায় ব্যস্ত হয়ে বলে, ‘কই গিয়েছিলে তুই। এতক্ষণ লাগে আসতে? আমি আরও ভেবেছি…।’

ইহান আশ-পাশে তাকিয়ে অস্বস্তির শ্বাস ছাড়ে। শুকনো গলায় বলে, ‘আসলে জামা আনতে দেরী হয়ে গিয়েছিল। এবার ছাড়ুন আমাকে।’

ইহানের কথায় হুশ ফেরে আনহার। দ্রুত ছেড়ে দেয় ওকে। খেয়াল আসতেই দেখে আশ-পাশের মানুষ ওদের দিকে কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে। তাদের চোখের ভাষা বুঝতে ইহান বা আনহার কারওই বেগ পেতে হয় না। ইহান কথা না বাড়িয়ে হাত ধরে সেখান থেকে আনহাকে নিয়ে চলে আসে। স্টেশনের ওয়াসরুমে নিয়ে যায় আনহাকে। হাতে থাকা প্যাকেটটা এগিয়ে দিয়ে বলে, ‘আনহা এটা পরে আসুন।’

আনহা ইহানের দিকে তাকায়। ও অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। আনহা বেশ বুঝেছি ওর তখনকার বিহেভে কিছুটা ইতস্তত ইহান৷ নিজের এমন হটকারিতায় কাজে আনহা নিজেও কিছুটা লজ্জিত। ও নিচু স্বরে বলল, ‘সরি ইহান।’

সচকিত হয় ইহান। উৎসুক কণ্ঠে জানতে চায়, ‘সরি কেন?’

‘আসলে তুই ফিরে না আসাতে আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম…’

‘মাহিদ আমাকে ধরে নিয়ে গেছে তাই তো। আর সেই ভয়ে আমাকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেছেন। ইটস ওকে আমি সেইজন্য কিছু মনে করিনি। আমি শুধু ভাবছিলাম ওখানে যদি কেউ না থাকত তাহলে এই চান্সটা আমিও নিতাম।’

রাগান্বিত চোখে তাকায় আনহা। ইহান কথা ঘুরিয়ে বলে, ‘বলতে চাচ্ছি আপনাকে সান্ত্বনা দিতাম। কিন্তু আপনি ওখানে যেভাবে ধরেছিলেন মনে হচ্ছিল আমরা…’

‘আমি শাড়িটা বদলে আসি।’ ইহানের কথা শেষ করতে না দিয়ে আনহা ভেতরে চলে গেল। ইহান কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হলো। কিন্তু গায়ে মাখল না। এত রোজকার সাধারণ ব্যাপার। কবে আবার আনহা ওর এসব ছেলেমিতে পাত্তা দিয়েছে?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ইহান আনহাকে নিয়ে অন্তির বাড়ি না গিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে। কলিং বেল চাপতেই অপর্ণা এসে দরজা খুলে দেন। ক্রোধিত কণ্ঠে বলে, ‘কাল রাতে কই ছিলি তুই?’ তৎক্ষনাৎ খেয়াল যায় ওর সাথে থাকা আনহার দিকে। ভ্রু কুঁচকান তিনি। ইহানকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘আনহা এখানে? তুই আনহাকে নিয়ে এসেছিস কোথা থেকে? আর তুই কাল রাতে কইছিলি? ফোনটাও অফ করে রেখেছিস?’

‘ঘরে ঢুকতে দিবা নাকি বাইরে বসেই সব কথা বলতে হবে।’ বিরক্তির সুরে বলল ইহান। ছেলের কথায় কিছুটা দমলেন অপর্ণা। মাথা নেড়ে অসন্তুষ্ট গলায় ভেতরে আসতে বললেন। কিছুক্ষণ বাদেই আসাদ অফিসে যাবে। তিনি রেডি হয়ে ইহান-আনহাকে দেখতে পায়। আনহাকে এখানে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ওনাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ইহান ওনাকে নিয়ে নিজের রুমে যায়৷ ওনাকে সব কথা খুলে বলে। সবটা শুনে আসাদ চিন্তিত কণ্ঠে বলেন, ‘এবার কী করবি কিছু ঠিক করেছিস?’

‘বুঝতে পারছি না। ওনাকে অন্য কোথাও রাখাটা রিক্স হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে…’ বিছানায় বসে মাথা নিচু করে জবাব দেয় ইহান।

আসাদ ছেলেকে সাহস দিয়ে বললেন, ‘এনেছিস বেশ করেছিস। অসহায় একটা মেয়ে কোথায়ইবা যাবে বলত?’

‘কিন্তু মা?’

‘অপর্ণাকে নিয়ে তুই ভাবিস না। ওকে আমি সামলে নেব। তুই শুধু আনহার খেয়াল রাখ। ওর বাবার কাছে আমি ঋণী। আমি চাই না ওর কোনো ক্ষতি হোক।’ ইহানের কাঁধে হাত রেখে চলে যায়। অপর্ণার সাথে কথা বলে। কিন্তু তিনি কিছুতেই আনহাকে এখানে রাখতে নারাজ। বাড়িতে জোয়ান ছেলে থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই তিনি একটা মেয়েকে ঘরে রাখতে চান না। তার উপর যে মেয়েটার জন্য তাঁদের বিপদ হতে পারে। কিন্তু আসাদের জোরের কাছে ব্যর্থ হোন। সকালের খাবারটা ইহান বাবা-মায়ের সাথেই করে। আর ট্রেতে করে কিছু খাবার আনহার জন্য নিয়ে যায়। আনহা বাড়ির খালি একটা রুমে রয়েছে। খেতে চাইছিল না। তাই নিজের খাওয়া শেষে ইহান ওর জন্য খাবার গুছিয়ে আনে। খাবার প্লেটটা টেবিলে রেখে বিছানায় ওর পাশে বসে বলে, ‘কিছু খেয়ে নিন।’

‘আমার ভালো লাগছে না। আমি খাব না। তুই খেয়েছিস।’

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয় ইহান। ও খেয়েছে। কিন্তু কেমন খেয়েছে তা হয়তো বলতে পারবে না। আনহা তখনো নিশ্চুপভাবে বসে রইল।

হঠাৎই ইহান জিজ্ঞেস করল, ‘কে এই মাহিদ আনহা। আর আপনার সাথে ওর বিয়ে ঠিক হলোই বা কী করে?’

আনহা চুপ। তাতে ইহান আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কি হলো বলবেন না কী হয়েছে? তাহলে আমি এটাই ভাব্বো আপনি মাহিদকে ধোঁকা…’

গর্জে ওঠে আনহা। চেঁচিয়ে বলে, ‘চুপ কর ইহান। ঐ লোকটার নাম আমার সামনে নিবি না। ও একটা খুনী। আমার বাবাকে খুন করেছে ও। ওর জন্যই আমার বাবা মরেছ। ঐ লোকটাকে জাস্ট সহ্য করিনা আমি।’ বলেই অঝোরে কাঁদতে লাগল আনহা।

আনহার কথায় অবাক হলো ইহান। ‘আপনার বাবাকে মেরেছে মানে? তাহলে আপনি ওকে বিয়ে?’

‘ওটা আমার ভাগ্য ছিল যে ওর মতো একটা মানুষের সাথে আমি ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছি। একটু একটু করে নিজের অনুভূতিতে সাজিয়েছে। এটা আমার ভুল। আমি দোষী। সব অন্যায় আমার।’ পাগলের মতো নিজের চুল টেনে বলছে আনহা। আনহার এমন পরিস্থিতিতে ইহান দ্রুত হাত ধরে আনহার। ওকে শান্ত করার জন্য বলে, ‘শান্ত হোন। শান্ত হয়ে আমাকে আগে সবটা বলুন। নাহলে কী করে জানব আমি?’

আনহা কিছুক্ষণ ওভাবেই কাঁদল। অতঃপর ইহানের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বলা শুরু করে।

বাবা এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার পর ওর মা আমাকে নিয়ে গ্রামে চলে যায়। ঢাকায় আমাদের তেমন আত্মীয় ছিল না বিধায়। মা শিক্ষিত হওয়ার জমি-টমি ও বাবার ব্যবসায়ের দিক সামলে নেয়। ভালোই চলছিল আমাদের। কিন্তু তখনি চেয়্যারমান ওদের জমি কেনার কথা বলে। কিন্তু জমি বিক্রি করার কোনো প্রয়োজন ছিল না আমাদের। তাছাড়া জমির হওয়া ফসলের অংশ আমরাও পেতাম বর্গা দেওয়ার কারণে। তাই মা না করে দেয়। কিন্তু চেয়্যারম্যান নাছোড়বান্দা ছিলেন। এই জমি তার চাই। তখনই আমরা জানতে পারি তিনি বাবাকেও জমি বেচার জন্য তাগাদা করেছিলেন। কিন্তু বাবা-রাজি হননি। এভাবেই চলে যেতে লাগলো দিন। কিন্তু হঠাৎ একদিন রাস্তায় আমার সাথে মাহিদের দেখা হয়। যদিও আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না। কিন্তু সেদিনের দেখা হওয়ার পর ও প্রায়ই আমাদের বাড়ি আসত। আমি ততটা ভ্রু-ক্ষেপ করতাম না। কিন্তু একদিন মা এসে বলল মাহিদ নাকি আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমার দূর সম্পর্কের আরমান মামা মাহিদের জন্য আমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কি বলব বুঝতে পারিনি। মায়ের মুখে খুশির ঝলক ছিল। হওয়ার ও কথা বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে এসেছে। দেখতে শুনতে ভালো। ভালো ঘর। সব মা’ই চায় তার মেয়ের এমন ঘরে বিয়ে হোক। তাই আমিও মায়ের খুশির উপর না করতে পারিনি। কিন্তু মাহিদ সেটা বুঝেছিল। বুঝেছিল আমি বিয়েতে খুশি নই। তার কারণ অন্যকিছু নয়, আসলে আমি তখন বিয়ে করতে চাইছিলাম না। আগে পড়ালেখা শেষ করতে চাইছিলাম। কিন্তু মা না বুঝলেও মাহিদ যেন তা বুঝে নেয়। কথায় আছে না—দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা। ঠিক তাই। মাহিদ নিজেই মাকে বলে আমার অর্নাস কমপ্লিট হওয়ার পর বিয়ের কথা জানায়। মাহিদের এমন কাজে আমারও ওকে ধীরে ধীরে ভালো লাগতে শুরু করে। আমার প্রতি মাহিদের যত্ন-কেয়ার-ভালোবাসা দেখে আমিও অন্ধের মতো ওকে বিশ্বাস করতে শুরু করি। বলতে গেলে একটু একটু করে ভালোবেসে ফেলি। আর সবচেয়ে যার জন্য ওর প্রতি আকর্ষিত হয় তা হচ্ছে ওর মানসিকতা। ওর সাথে অনেকবার আমি ভার্সিটি থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। আমাদের বিয়ের ঠিক হওয়ার বছর গড়িয়ে এসেছিল। সবাই জানত। তাই তেমন বিধি নিষেধ ছিল না। কিন্তু অদ্ভুত কথা কি জানিস ও সুযোগ পেয়েই কোনোদিন আমাকে খারাপ ভাবে ছুঁতে চায়নি। বরং নিজেই বলেছে বিয়ের পর পবিত্রভাবে আমাদের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেবে।’

কথাটা বলে কেঁদে ওঠে আনহা। কিন্তু ইহান কিছু বলতে পারল না। শুধু শুনে গেল। তৎক্ষনাৎ আনহা উত্তেজিত হয়ে বলল, ‘সব মিথ্যে ছিল সব। ও শুধু আমার কাছে ভালো মানুষ সাজতে চেয়েছিল। একে একে আমাদের বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসার পর মা আমাকে বলে মাহিদের সাথে আমার বিয়ে হবে না। বিশ্বাস কর ইহান, মানতে পারেনি। চেয়েছি মায়ের কথা শুনতে কিন্তু পারিনি। মায়ের কথা উপেক্ষা করে সেদিন রাতে ছুটে যাই মাহিদের কাছে৷ কিন্তু গিয়ে যা জানতে পারি…’

‘কি জেনেছিলেন?’

‘মাহিদের স্বভাব ভালো ছিল না। একটা চরিত্রহীন লোক ছিল। ওর সাথে আমার বান্ধুবীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয় সিমা দু’বার এবরশনও করিয়েছিল। কিন্তু মাহিদকে বিয়ের কথা বললে ও না করে দেয়। এসব আমি সিমার থেকেই জানি৷ ও শুধু আমার সামনে ভালো সেজে থাকার নাটক করত। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আমাকে ভালোবাসত কিন্তু না। ভালোবাসার জন্য নয়। ও আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল আমার জমির লোভে। গ্রামের ওদের পরেই সবচেয়ে জমি আমাদের ছিল। তাও আবার সবটা আমার নামে। আমাকে বিয়ে করতে পারলে…। এইজন্য আমার বাবাকে ঐ এক্সিডেন্ট করিয়েছিল। ভেবেছিল বাবার মৃত্যুর পর হয়তো আমাদের অসহায় পেয়ে জমি নিয়ে নেবে। কিন্তু মায়ের জন্য পারেনি। তাই আমাকে টার্গেট বানায়। মা এসব না জেনে প্রথমে রাজি হলেও পরে বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু তাতে ও ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের উপর ক্ষেপে যায় ও। বিয়ে করতে চায়নি বিধায় আমার শরীরে ওর মারের আঘাতও রয়েছে। আর বিয়ে করা ছাড়া ওর কাছে উপায়ও ছিল না। জমির জন্য হলেও। তাই মা আমাকে নিয়ে সবকিছু ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে আসে। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি৷ ওর তখন জমির সাথে আমাকেও দরকার হয়েছিল। কিন্তু আমাকে পায়নি। মাকে নিয়ে যায়। এক বছর পর আবার ঐ কালো ছায়া ফিরে আসে আমার জীবনে।’

কাঁদছে আনহা। কিন্তু ওকে সান্ত্বনা দেবার মতো ভাষা খুঁজে পেল না ইহান। চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে আসে। ভাবে, এতটা ভয় আর কষ্টের মাঝে আনহা ছিল। কিন্তু ও জানতেই পারল না….

.
.
.
.
.
.

.
[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here