আমার প্রিয় তুমি পর্ব-২২

1
3965

#আমার_প্রিয়_তুমি
#মেহজাবিন_তানিয়া
পর্ব-২২

৪৩.

অনেকসময় ধরে তাহু রান্নাঘরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে । ভিতরে যাওয়ার সাহস জোগার করতে পারছে না । কারণ তাহুর ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে । ভয়ে আছে যদি কেউ কিছু বলে দেরি করে উঠাতে ।

ঘরিতে এখন নয়টা ত্রিশ বাজে আর তাহু ঘুম থেকে উঠে ঠিক এক ঘন্টা আগে ।
যখন ঘুম ভাঙ্গে পাশে তাকিয়ে দেখে তানভি মাথার নিচে এক হাতে ভর দিয়ে গোল গোল করে তাকিয়ে আছে তাহু দিকে।
এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জায় চোখ বুজে একটু দূরে সরে যেতে চায় । কিন্তু তানভি তা হতে দেয় না । দু হাত দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরে তাহুল গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়।

ইশশশ জান আমি বিশ্বাস করতে পারতেছি না আমার তাহু এখন আমার বউ । এই তাজরিয়ানের বউ তাহরিমা
আই লাভ ইউ জান
আই লাভ ইউ সো মাচ
বলে তাহুর গলায় ছোট ছোট চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে ।

আর তাহুর যেন দম আটকে আসছে । এক ধ্যানে উপরে ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে । অন্য রকম অনুভুতিতে ভুগছে । যে অনুভূতি আগে কখন অনুভব করেনি তাহু।
সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।

তানভি ঘোরে চলে যায় কখন যে ওর চুমু গুলো কামড়ে পরিনত হয়েছে বুঝতেই পারেনি ।

হঠাৎ জোরে কামড় লাগায় তাহু আহহহ করে শব্দ করে উঠে।
তখন তানভিরের হুস আসে এবং গলা থেকে মুখ উঠায়
সরি জান বুঝতে পারি নাই বলে কপালে আলতো করে চুমু দেয়।
কিন্তু বার বার এই সরি আমি বলতে পারবো না কারণ আমার তোমাকে চাই খুব বাজে ভাবে চাই সেটা শারীরিক হোক আর মানসিক হোক । I need you jaan. I JUST NEED YOU. অনেক ভালোবাসি।
বলে ওর উপর থেকে সরে অন্য পাশ হয়ে আবার শুতে শুতে বলে । যাও ফ্রেস হও কাবাডে দেখো কিছু পেকেট আছে যেটা পছন্দ হয় সেটা পরে নেও।

কিন্তু তাহু উঠার শক্তি যেনো হারিয়ে গেছে । কি হলো ওর সাথে , ভাবতেই শরীরের কাটা দিয়ে উঠছে ।
প্রায় দশ মিনিট পর তাহু বিছানা থেকে উঠে আস্তে আস্তে কাবাডের কাছে যায় এবং খুলে দেখে ছয়টা পেকেট রাখা আছে সেখান থেকে একটা নিয়ে ফ্রেস হতে চলে যায়।

ফ্রেস হয়ে এসেই দরজায় করা নারার শব্দ পেয়ে সে দিকে এগিয়ে যায় । দরজা খুলে দেখে রিমি দারানো ।

ওয়াও ভাবি এই হালকা বেগুনী রংটায় তোমাকে সেই লাগছে শাড়িটা যেনো তোমার জন্য তৈরি। তা ভাবি ঘুম ঠিক মতো হলো ? আমি তো ভাবছি ভাইয়া আজ তোমাকে ছারবেই না ।

রিমি তুই কিন্তু বেশি নষ্ট খারাপ হয়ে গেছিস যা এখান থেকে তানভির বলে উঠলো।

হুহহ কে আসছে তোমার মতো গোমড়া মুখোর কাছে থাকতে । আমি তো ভাবিকে নিতে আসছি চলো তো ভাবি । বলে তাহুর হাত ধরে নিয়ে গেলো নিচে ।

রিমি তাহুকে নিচে রেখে দশ মিনিট আগেই চলে গেছে উপরে ওর ফোন আসাতে ।
সেই থেকে তাহু রান্না ঘরের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে না ভেতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না অন্য কোথাও। ভিতরে তাহুর শাশুড়ি আর চাচী শাশুড়ি কাজ করছে ।

৪৪.

অনেকক্ষন ধরেই তানভির মা তাহুকে খেয়াল করছে রান্নাঘরে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে ।
ও যে ভিতরে ঢোকার সাহস পাচ্ছে না সেটাও তিনি বুঝতে পারলেন ।
ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখেন দশটা বাজে তাই গলা উঁচু করে হঠাৎ রিমিকে ডেকে উঠলো ।

হঠাৎ ডাকাতে ওখানে ভয়ে কেঁপে উঠে তাহু আর তা দেখে তাহুর চাচি শাশুড়ি হাহা করে হেসে উঠে তানভির মা ও হেসে দিয়ে আবার নিজেকে সামলে নেন ।

এই ছোট কি শুরু করছিস দেখ তো দশটার উপরে বাজলো বলে সবাই এখনো টেবিলে আসলো না । এই রিমিটাকে ডাকছি শুনতেছে না , এই মেয়ের আজ খবর আছে মোবাইল পেলে আর হুঁশ থাকে না।

তাহু কিছুক্ষন বেকুবের মত দাঁড়িয়ে থেকে আস্তে করে বলে উঠলো আন্টি আমাকে বলেন কি করা লাগবে আমি করে দেই ?

কিন্তু তানভির মা কথাটা শুনে ও যেনো শুনলো না । তিনি পাশে জা-কে বলে উঠলো ছোট যা তো টেবিলে তরকারি পেয়ালা গুলো রেখে আয়।

তানভির চাচি যখন পাশ দিয়ে যায় তখন তাহু আবার বলে উঠে চাচি মা আমাকে দিন আমি করি।

কথাটা শুনে চাচি খুশিতে গদগদ হয়ে বললো করবা যাও করো ।
বলে তাহুর হাতে পেয়ালা গুলো ধড়িয়ে দেন ।

তাহু পেয়ালা গুলো নিয়ে গেলে তানভির মা বলে উঠন এই ছোট কি করলি ওকে কেন দিলি ।
ও পারবে নাকি দেখেই মনে হয় বাচ্চা একটা মেয়ে ।

তুমি যাই বলো আপা আমার কিন্তু সেই লাগছে মেয়েটাকে আমাদের তানভির জন্য একদম পারফেক্ট। দুজনকে মানিয়েছে ।

তানভির মা মুখে কিছু বললেন না ঠিকই তবে মনে মনে খুশিই হলেন । তারো ও তো মেয়েটাকে পছন্দ হয়েছে কিন্তু মেয়েটার তো একটাই সমস্যা যদি ভেগে যেয়ে থাকে।

চলবে……..

দু:ক্ষিত পাশের বাসার ইন্টারেস্টিং ঝগরা দেখতে দেখতে দেরি হয়ে গেছে। 🫣

1 COMMENT

Leave a Reply to Tazim Tisha Cancel reply

Please enter your comment!
Please enter your name here