আমার বনু সিজন ২ পর্ব-৬

0
1370

#বোনু
#সিজন_০২
#Part_06
#Writer_NOVA

নিউ ইয়র্ক……….

অর্ক কাজ থেকে ফিরে দেখে নিবরাজ ও আইজান ল্যাগেজ প্যাক করছে।আইজান কল করে ওকে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসতে বলেছে।

অর্কঃ কি ব্যাপার তোরা ল্যাগেজ প্যাক করছিস কেন?

নিবরাজঃ আগামীকাল সকালে ফ্লাইট। দেশে ফিরে যাচ্ছি।

অর্কঃ মানে কি? তোদের না আরো ২০ দিন পর যাওয়ার কথা। সবে মাত্র জানের এক্সাম শেষ হলো।১৫ দিন পর সার্টিফিকেট দিবে।একবছর ওয়েট করলি এডুকেশন কমপ্লিট করার জন্য। সেখানে সার্টিফিকেট না নিয়ে চলে যাবি।

আইজানঃ পাপা কল করেছিলো।বড় বাবার শরীরটা ভালো না।কিছু দিন হলো অসুস্থ। বাড়িতেই থাকছে।পাপা একা কলেজ ও বিজনেস সামলাতে পারছে না। তাই ইমিডিয়েটলি টিকিট কেটেছি।কাল সকালেই দেশে চলে যাবো।

নিবরাজঃ দুপুরে ছোট বাবা কল করে জানালো।যার কারণে তোকে বলতে পারিনি।তুই কাজে বিজি থাকিস তাই ডিস্টার্ব করিনি।

অর্কঃ তোরা আগামীকাল চলে যাবি?
(অবিশ্বাসের সুরে)

নিবরাজঃ সাধারণত আমাদের দেশে এই সময়টাতে কলেজে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয়।যার ফলে কাজের অনেক চাপ থাকে।পাপা ও ছোট বাবা দুজন দুদিক সামলায়।কিন্তু পাপার অসুস্থতায় ছোট বাবা কিছুতেই একা দুটো দিক সামলাতে পারবে না।দেশে যেতেই হবে।

অর্কঃ কিন্তু জানের সার্টিফিকেট?

আইজানঃ অনলাইন থেকে তুলে নিবো।

অর্কঃ আমার বিশ্বাস হচ্ছ না তোরা চলে যাবি।আমি আবার একা হয়ে যাবো।তোদের ছেড়ে থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে রে।

অর্ক অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। চোখ দুটো ছলছল করছে।৩ টা বছর ৩ ভাইয়ের মতো থেকেছে সেখানে একা থাকার যন্ত্রণাটা সেই মুহূর্তে অর্ক ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না।রাজ সামনে এসে অর্ককে জরিয়ে ধরলো। এবার আর অর্ক নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।রাজের কাঁধে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগলো।একটা মানুষকে ঠিক কতটা ভালোবাসলে কেউ এভাবে কাঁদতে পারে তা আমার জানা নেই। তবে এতটুকু বলতে পারবো এই কারণে পৃথিবীতে বন্ধু শব্দটা এতো মহান।জান, অর্কর কাঁধে হাত রাখলো।

আইজানঃ প্লিজ তুই এভাবে কাঁদিস না।তোকে এভাবে কাঁদতে দেখলে আমাদের খুব খারাপ লাগবে।
নিবরাজঃ তোকেও আমাদের সাথে নিয়ে যেতাম।কিন্তু তোর পরিবারের কথা ভেবে চাইলাম না।তোর জবটা অনেক ভালো।সেটা ছারলে এত ভালো জব কোথাও পাবি না।

অর্ক চোখ মুখ মুছে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো।মুখে মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে দুজনের দিকে তাকালো।

অর্কঃ ধূর আমার কথা বাদ দে তো।তোদের ফ্লাইট কয়টায়?

আইজানঃ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ টায়।

অর্কঃ তাহলে তো শুধু রাতটা বাকি।চল, আমি তোদের গোছাতে হেল্প করি।বাই দ্যা ওয়ে রাজ।তোর আর বৌদির বিয়েতে কিন্তু আমি যাবোই যাবো।যদি তুই দাওয়াত করিস।

নিবরাজ, অর্কের পিঠে চাপড় মারলো।

নিবরাজঃ তোকে সবার আগে দাওয়াত করবো।যদি না যাস তাহলে তোর খবর আছে।

অর্কঃ তোর বিয়ে আর আমি যাবো না।তা হবে না,তা হবে না।তোর বিয়েতে কব্জি ডুবিয়ে খাবো।

আইজানঃ শালা, যদি না যাস তাহলে তোর এই বড় বড় ডায়লগ ছুটিয়ে ফেলবো।

তিন বন্ধু একসাথে হাসতে লাগলো।অর্কর ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। কিন্তু উপর দিয়ে খুব শান্ত দেখাচ্ছে। ও চায় না রাজ ও জান মন খারাপ করে দেশে ফিরে যাক।বারবার চাইছে এ রাতটা যাতে শেষ না হয়ে যায়।কিন্তু কথায় আছে না যে যাওয়ার সে তো যাবেই। হাজার চেষ্টা করে তাকে আটকে রাখা যাবে না। অনেক রাত পর্যন্ত তিনজন গল্প করেছে। তিন জনেরি মন খারাপ। রাজ ও জানের নিউ ইয়র্কের জন্য কোন খারাপ লাগছে না।গত ৩ বছরে একটুও আপন করে নিতে পারেনি দেশটাকে। কিন্তু অর্কর জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে।ওরা দুজন তো পরিবার নিয়ে ভালো থাকবে।আর অর্ক ওদের কথা ভেবে প্রায় সময় চোখের জল ফেলবে।অর্ক সারারাত ঘুমায়নি।চোখ দুটো ফোলা ফোলা। ভোরের দিকে তিনজন ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নিলো।এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর সময় গাড়িতে কেউ একটা কথাও বলেনি।

☘️☘️☘️

এয়ারপোর্ট…….

তিনজন থ মেরে দাঁড়িয়ে আছে। তিন বছরের বন্ধুত্বটা আজ অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। চোখের সামনে গত তিন বছরের স্মৃতি পট ভাসছে।

অর্কঃ ভালো থাকিস।পৌঁছে কল করে জানিয়ে দিস।
নিবরাজঃ তুই নিজের খেয়াল রাখিস।
আইজানঃ একদম বাজে অভ্যাসে জরাবি না।সবসময় মনে করবি আমরা তোর পাশে আছি।

অর্ক ওদের দুজনকে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে উঠলো।দুই ভাইয়ের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে।ছেলেরা তো সামান্য কিছুতে কাঁদে না।তাহলে বন্ধুর জন্য কতটা কষ্ট পেয়ে কান্না করছে।কিছুতেই তাদের মন সায় দিচ্ছে না বন্ধুকে ছেড়ে যেতে।

অর্কঃ তোদের খুব মিস করবো।এই পাঁচ বছরে আমি কখনো মনে করিনি আমি একা।আজ নিজেকে খুব একা ও অসহায় মনে হচ্ছে।

দুই ভাই চুপ করে রইলো।এই কথার কোন উত্তর ওদের কাছে নেই।

অর্কঃ বিমান ছেড়ে দিবে।জলদী যা।যোগাযোগ রাখিস।আমাকে ভুলে যাস না কিন্তু।

রাজ ও জান ল্যাগেজ নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল। বারবার পেছনে তাকাচ্ছিলো।অর্ক ছলছল চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্ক পেছন দিকে ঘুরে ঘুরে গেল।সেই সময় দুই ভাই এসে ওকে জরিয়ে ধরলো।

অর্কঃ আবার কেন এলি?(কান্না আটকিয়ে)

নিবরাজঃ তোকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।

অর্কঃ ধূর,বোকাগুলি।ভাগ জলদী।রাজ তোর না কত ইচ্ছে দেশে গিয়ে বৌদিকে দেখবি।এখন এরকম বোকার মতো কথা বলছিস কেন?

আইজানঃ তোকে খুব মিস করবো।

অর্কঃ আমিও। চিন্তা করিস না,তোদের বিয়েতে আমি যাবোই যাবো।

দুই ভাই অর্ককে ছেড়ে চোখ মুছতে মুছতে ভেতরে ঢুকে গেল।অর্ক হাঁটু ভেঙে মুখে হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পরলো।আজ বাসায় গিয়ে ইচ্ছেমতো চিৎকার করে কাঁদবে। তাহলে যদি মনটা হালকা হয়।

বিমান ছেড়ে দিয়েছে। দুই ভাইয়ের মনের মধ্যে অনেক উৎফুল্ল কাজ করছে। কতদিন পর নিজের প্রিয় মানুষগুলোকে দেখবে।বিমান বাংলাদেশে টেকঅফ করলো।বিমান থেকে নেমে দুই ভাই বড় করে একটা নিশ্বাস নিলো।নিজের দেশের বাতাসেও শান্তি। সবকিছু চেনা চেনা।নিজের বলে দাবী করা যায়।বিদেশের সবকিছু তো পরের।

এয়ারপোর্টের বাইরে চলে এলো।ওদেরকে নিতে ওদের দুজনের বাবা-মা এসেছে। সাথে রাজের খালাতো বোন আরুহি ও তার ভাই আহান।ওদের বাবা-মা। আরুহির বয়স আইভির সমান।আহান ক্লাশ নাইনে পড়ে।রাজের একমাত্র ছোট খালার মেয়ে আরুহি।সে এবার অনার্স 3rd ইয়ারে পড়াশোনা করছে।সাথে এসেছে রাজ ও জানের ৬ বন্ধু সাদাফ,সিয়াম,নীশাত,
রিমন, সোহেল,আরিফ।কলেজ থেকেই ওদের বন্ধুত্ব।সব ছেড়ে আজ তারা তাদের বন্ধুকে নিতে এয়ারপোর্টে চলে এসেছে। ওদের দুজনকে দেখে বাকি ৬ টা ওদের ওপর ঝাপিয়ে পরলো।

আরুহি দুজনকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম করলো।নীবিড় সাহেব অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও নিজের একমাত্র ছেলেকে নিতে চলে এসেছে। দুই ভাই তাদের মাকে জরিয়ে ধরেছে।দুই মায়ের চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। কত বছর পর তাদের সন্তান তাদের কোলে ফিরে এসেছে। খান বাড়িটা যেনো আবার প্রাণ ফিরে পেলো।মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর দুজনেই একা হয়ে গিয়েছিলো।ছেলে ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।সবাই মিলে বাড়িতে চলে গেল। বাড়িতে পৌঁছেই অর্ককে কল করে জানিয়ে দিলো।

☘️☘️☘️

পরেরদিন রাতে…..

গোডাউনে দুই হাত পকেটে গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে মেহরাব।সাথে আরো একটা ছেলে।ওদের সামনে একটা ছেলেকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।মুখে কালো টেপ আটকানো। এটাই সেই ছেলে যে মেলার মধ্যে মিহুর সাথে অসভ্যতামী করেছিলো।ছেলেটার কিছুটা দূরে ফর্সা করে একটা ছেলে উঁচু টিলার মধ্যে বসে আছে।মুখটা রাগে লাল হয়ে আছে। কপালের রগটাও বেশ ফোলা।থেমে থেমে নিশ্বাস নেওয়ার কারণে কপালের রগটা কিছু সময় পর পর উঠানামা করছে।দুই আঙুল দিয়ে কপালে স্লাইড করছে সে।মেহরাব ধীর পায়ে ছেলেটার সামনে এসে দাঁড়ালো। পুরো গোডাউনে এখন মাত্র চারজন লোক।মেহরাব ও বেঁধে রাখা ছেলেটা বাদে বাকি ছেলে দুটো মেহরাবের ভাই। একজন মেহরাবের বড়, আরেকজন ছোট।

মেহরাবঃ এটাকে কি করবে বড় ভাইয়া?

বড় ভাইঃ জানে মেরে ফেলবো।আমার বোনুর কোমড়ে হাত রেখেছে। ওর দুটো হাত এখন মঙ্গল গ্রহে পারি দিবে।খুব ইচ্ছে অন্যের বোনের কোমড়ে হাত রাখা।সেই হাত আজ ও হারাবে।

মেহরাবঃ হাত দুটো কেটে প্যাকেট করে ফেলে দিয়ে আসবো।এত বড় সাহস হয়েছে ওর।ওর কলিজা টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলবো।

ছোট ভাইঃ অন্যের বোনকে বাজে টার্চ করে নিজের হাত হারাবে।এমন অবস্থা করবো নিজের বউকেও স্পর্শ করতে পারবে না।

বড় ভাইঃ একটা সামান্য ছেলেকে ধরতে তোদের এতো সময় লাগলো।তিন মাস পার হয়ে গেছে। আর আজ তোরা ওকে তুলে নিয়ে এসেছিস। (রেগে)

মেহরাবঃ বড় ভাইয়া তুমি রাগ করো না।আমাদের লোক ওকে অনেক খুঁজে ছিলো।কিন্তু ও সেটা বুঝতে পেরে গ্রামে গা ঢাকা দিয়েছে।আজ শহরে এসেছে আর আমরা ওকে তুলে নিয়ে এসেছি।

বড় ভাইঃ চাপাতিটা নিয়ে আয়।এই সামান্য কিট-পতঙ্গের পিছনে আমি বেশি সময় ব্যয় করতে চাই না।

মেহরাব গিয়ে চাপাতি নিয়ে এলো।চাপাতি দেখে চেয়ারে বাঁধা ছেলেটা ভয়ে অসাড় হয়ে গেল।কলিজাটা তার শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মেহরাবের বড় ভাই সামনে এসে টেবিলে হাত রেখে সামনে ঝুঁকলো।

বড় ভাইঃ খুব সাহস তোর।তোর সাহস আমি সারাজীবনের জন্য কমিয়ে দিবো।এখন থেকে মেয়ে দেখলেই ভয়ে কুকড়িয়ে উঠবি।মেহরাব চাপাতিটা দে।

ছোট ভাইঃ ওর সাথে কি কথা বলো ভাইয়া।এমনিতে ও আমাদের অনেক সময় লস করছে।আজ আমরা ছেড়ে দিলে কাল অন্য একটা মেয়েকে হ্যারেস করবে।ওকে ছেড়ে দিয়ো না।

বড় ভাইঃ আমার মাথা খারাপ হয়নি ওকে ছেড়ে দিবো।আমার হির বোনুর দিকে কেউ তাকালে তার চোখ দুটো উপড়ে ফেলি।আর ও আমার বোনের,কোমড়ে হাত রেখেছে। আমি ছেড়ে দিবো।

মেহরাবঃ বেশি দেরী করো না ভাইয়া।এটাকে নিয়ে পরে থাকলে চলবে না। আমাদের আরো জরুরি কাজ আছে।আমাদের প্রতিশোধের কাজ ভুললে চলবে না।এখন আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যটাই প্রতিশোধ।

বড় ভাইঃ তাহলে শুভ কাজটা সেরেই ফেলি।আমি উদ্বোধন করি তোরা বাকি কাজ করিস।ছেলেটার হাত দুটো খুলে টেবিলের ওপর রাখ।

কথাটা বলে মেহরাবের বড় ভাই একটা বাঁকা হাসি দিলো ছেলেটার দিকে তাকিয়ে। মেহরাব ও আরেক ভাই এসে ছেলেটার হাত দুটো বাঁধন মুক্ত করে টেবিলের ওপর মেলে ধরলো।ছেলেটা বারবার ওর হাত সরিয়ে নিতে চাইছে।মুখ দিয়ে গোঙানির মতো করে শব্দ করছে।মেহরাব ওর মুখের টেপটা খুলে দিলো।ফর্সা করে ছেলেটা এক কোপে ছেলেটার দুই হাতের কব্জি ফলে দিলো।ছেলেটার আত্ম চিৎকারে সারা গোডাউনে প্রতি ধ্বনি হতে লাগলো।ভয়ে ও ব্যাথায় ছেলেটা অজ্ঞান হয়ে যায়।

বড় ভাইঃ এবার এটাকে প্যাকেট করে বাসার সামনে ফেলে দিয়ে আয়।শুধু কোমড়ে হাত রেখেছে বলে হাত দুটো ফেলে দিলাম।ওর ভাগ্য অনেক ভালো আমি ওকে জানে মারি নি।

বড় ভাইয়ের কথা শুনে বাকি দুই ভাই একটা বাঁকা হাসি দেয়।তবে তিনজনের মুখে এখন একটা পৈশাচিক হাসি।যার মর্ম অনেক গভীর।চাপাতি টেবিলে রেখে একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রক্ত মুছতে মুছতে ওদের বড় ভাই গোডাউন থেকে বের হয়ে যায়।বাকি দুজন হাত কাটা ছেলেটার ব্যবস্থা করতে লেগে পরে।এতদিনে তিন ভাইয়ের মনটা শান্ত হলো।তাদের বোনের দিকে নজর দিয়েছে আর তারা ছেড়ে দিবে তা কি করে হয়?

#চলবে

গল্পটা অনেক রহস্যঘেরা।একটু অপেক্ষা করেন খুব শীঘ্রই অনেক রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।গল্পের নায়ক একজন।কে নায়ক, কে ভিলেন তা এখন বলবো না।যারা বুঝতে পেরেছেন গল্পের নায়ক কে তাদের জন্য শুভকামনা।আর যারা কনফিউশানে আছেন তারাও খুব জলদি জানতে পারবেন।শুধু ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকেন।রি-চেইক দেওয়া হয়নি।ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

❤️NOVA❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here