আমার ভিনদেশি তারা পর্ব -৫২

0
1698

Story – আমার ভিনদেশি তারা
Writer – Nirjara Neera
পর্ব নং – ৫২
———————————————–
রাতে লিও নিউইয়র্ক চলে গেল। উইনিপেগে আমি একা হয়ে গেলাম। অবশ্য প্রফেসর হুড ছিলেন। তার সাথে প্রায় দেখা করতাম। তিনি আমাকে পিতার মত স্নেহ করত। যেকোনো কিছু সম্পর্কে আমাকে বলতেন, জানাতেন। তিনি একটা কথা প্রায় আমাকে বলতেন
“টামিনা তুমি খুব মেধাবী আর সৃজনশীল। এই রিসার্চ ফার্ম টিতে মনোযোগ দিয়ে কাজ কর। দেখবে তোমার ভাগ্য কয়েক বছরে বদলে যাবে। তোমাকে বাংলাদেশও ফিরতে হবে না।”
আমি হাসি মুখে সায় জানাতাম। বাড়িতে মাকে বলেছিলাম গ্র্যাজুয়েশনের পর ফিরে আসব। তখন যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সবাই যদি মেনে নেয় তাহলে রিসার্চ ফার্ম টিতে আবার ফিরে আসব।
আর এখান থেকে ফিরে না গেলে ওয়াদা ভঙ্গ হবে। আমার পরিবারের সাথে না। নিজের সাথে নিজের ওয়াদা।
প্রথম প্রথম কষ্ট হচ্ছিল খুব। লিওর সাথে প্রতিদিন কয়েক বার দেখা হওয়া আর একেবারে দেখা না হওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ। ওর কথা ভুলতে কাজে ডুবে গেলাম। দিন রাত মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে লাগলাম। কিন্তু রাত হত বেশ বিভীষিকাময়। মাঝে মাঝে কাজুর সাথে কথা বলতাম। লিওর সাথে ফোনে যোগাযোগ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কল করলে নট রিচেবল দেখাত।
.
আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত করলাম। লিওর প্রতি এতটা দুর্বল হওয়া আমার মানায় না। কারন এর আগেও আমি আপন মানুষ দের ছেড়ে একা থেকেছি।
ইতোমধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। ধীরে ধীরে তুষার গলতে শুরু করেছে। একটু একটু সবুজ চারদিকে দেখা যাচ্ছে। তারপরও ভোরে উঠে আমি ব্যায়ামের স্যুট পড়ে কানে ইয়ারফোন গুজে ফিল্ডে বেড়ুলাম। উদ্দেশ্য ব্যায়াম করা নয়। নিজেকে শক্ত করা।
ফিল্ডে দৌড়াতে দৌড়াতে আমার প্রায় ঘাম ছুটে গেল। হাপিয়ে পড়লাম। তারপরও দৌড় থামালাম না।
শরীর চর্চা শেষে রুমে এসে কাজু কে টুকরো করা গাজর খেতে দিলাম। কাজু দাঁত দুটো দেখিয়ে একটা হাসি দিল। এরপর গোসল সেরে নাস্তা করে ফার্মের উদ্দেশ্যে বেড়ুলাম। ওখানে কাজ করা আমার জন্য অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। মূলত প্রফেসর হুডের জন্য এখানে কাজের সুযোগ পেয়েছি। এখানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কিভাবে পরিবর্তন আনা যায় সেটা নিয়ে রিসার্চ করা হয়। বিভিন্ন রোগ ব্যাধি নিয়ে বিভিন্ন গবেষনা হয়। গত এক বছর ধরে রিসার্চ চলছে এইডস নিয়ে। আর আমি পিছনে দাড়িয়ে সেই রিসার্চ দেখি। বড় বড় প্রফেসর দের কথা শুনি। আমিও চেষ্টা করেছিলাম। তবে গবেষনা করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম আমার স্বল্প জ্ঞান এর জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য আরো চর্চা দরকার। দরকার ব্যাপক মেধা। তারপরও চেষ্টা করি।
.
আজ প্রচুর কাজ ছিল। কাজ শেষ করে বের হতে হতে প্রায় বিকেল হয়ে এলো। দ্রুত হেটে স্টার্ডব্রুক এভে তে উঠেছি। সে সময় দূরে কয়েকটা কার দেখলাম। রিসার্চ ফার্ম হওয়ায় এখানে কার আসা যাওয়া প্রায় করে। তাই পাত্তা দিলাম না। কিন্তু কাছে যেতেই কারের দরজা খুলে দুজন বেড়িয়ে এলো। ফর্মাল ড্রেসে তাদের কে দেখে আমি একটু ভয়ই পেলাম। কারণ টিভিতে বড় বড় মাফিয়া বা কুখ্যাত সন্ত্রাসী দের দেখেছিলাম ফর্মাল ড্রেসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে। এরা তাই নয়তো?
কিন্তু তারা তেমন কিছু করল না। সামনে এসে পরিষ্কার গলায় বলল
“এক্সকিউজ মি ম্যাম!”
“জি?”
“আপনার সাথে কথা আছে।”
“বলুন!”
“আপনার নাম কি টামিনা?”
“জি! কিন্তু আপনারা…?
“মি. উইলিয়াম আপনাকে ডেকেছেন। তাই আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।”
“মি. উইলিয়াম… মানে লিও?”
“না! মি. এডোনিস উইলিয়াম।”
“মি. এডোনিস উইলিয়াম? উনি কেন আমাকে ডাকবেন? আমি যাবো না।”
“কিন্তু আপনাকে তো আমাদের সাথে যেতে হবে। যেতে না চাইলেও।”
এ মুহুর্তে আমি কোনো ভাবে চাই না মি. এডোনিস উইলিয়ামের সাথে দেখা করতে। কিন্তু এই বান্দারা বেশ নাছোড়বান্দা। আমি না গেলে পাক্কা আমাকে কাঁধে তুলে নিয়ে যাবে। সুতরাং আমি বললাম
“ঠিক আছে আমি যাবো। তবে আমার শর্ত আছে।”
“কি শর্ত?”
“যে কারনেই মি. উইলিয়াম আমাকে ডাকুক না কেন কাজ শেষে আমাকে আবার আমার হোস্টেলে পৌছে দিতে হবে। আমি কিন্তু খুব ক্লান্ত। লাঞ্চ ও করতে পারি নি। অথচ তোমরা আমাকে নিয়ে যেতে চাইছো। আমাকে কি আগে লাঞ্চ করতে দেবে?”
“স্যরি ম্যাম! তবে কাজ শেষে আপনাকে পৌছে দিয়ে যাব।”
“ঠিক আছে। কি আর করা। চলো।”
বেশ জমকালো কারে চড়ে আমি ওদের সাথে গেলাম। এক বহুতল ভবনের সামনে এসে কার থামলো। এত উচু ভবন! আমি কার থেকে নেমে গুনতে শুরু করলাম। কিন্তু ওদের জন্য পারলাম না। ওরা আমাকে ভিতরে নিয়ে যাবার জন্য তাগাদা দিল। ভিতরে ঢুকে লিফটে চড়ে উপরে গেলাম। ঠিক কত তলায় লিফট থামলো বুঝতে পারলাম না। লিফট থেকে সোজা মি. উইলিয়ামের কেবিনে পৌছে গেলাম। লোক গুলো আমাকে কেবিন পর্যন্ত পৌছে দিয়েই খালাস। দুরু দুরু বুকে আমি নক করলাম
“May I come in?”
“Yes you may.
দরজাটা নিঃশব্দে খুলে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করেই আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। ঠাণ্ডা এসির বাতাসে ও ঘামতে শুরু করলাম। কারন কেবিন টা বিশাল। একপাশে কাচের তৈরি অফিসিয়াল সরঞ্জাম অপর পাশে আগন্তুক দের জন্য মেহগনি গাছের তৈরি সোফা। তারই পাশে বিরাট জানালা। তাতে পাতলা ফিনফিনে পর্দা ঝুলানো। স্বচ্ছ পর্দার কারণে বাইরের উচু পানির ফোয়ারা টা দেখা যাচ্ছে। আমি ঢোক গিললাম। কারন আমার সামনে গোনা গোনা ছয় জন মানুষ বসে আছে। মি. উইলিয়াম, মিসেস উইলিয়াম এ দুজন কি চিনি। এরা লিওর প্যারেন্টস। কিন্তু বাকিরা কারা?
“হ্যা-হ্যালো স্যার… হ্যা-হ্যালো ম্যাম!”
“এখানে বসো।”
লিওর পিতা মি. উইলিয়াম গম্ভীর স্বরে হাতের ইশারায় সোফা দেখিয়ে দিলেন বসার জন্য। আমি ধীর পায়ে গিয়ে জড়সড় ভাবে বসলাম। বেশ অস্বস্থিতে ভুগছিলাম। হাসতে চাইলাম একটু করে। কিন্তু গলা শুকিয়ে গেছে। গলা শুকালে কি হাসা যায়? হয়ত যায়। কিন্তু এ মুহুর্তে আমার একদম হাসি আসছেনা।
অচেনা আগন্তুক দের একজন বলে উঠল
“এই কি সেই মেয়ে?”
লিওর পিতা জবাব দিল
“ইয়েস এডিসন!”
চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল
“আই সি…!”
আমি এতক্ষন চুপ ছিলাম। এবার সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস করলাম
“আ-আমাকে কে-কেন ডাকা হয়েছে?”
লিওর পিতা গলা খাকড়ি দিলেন। তারপর বললেন
“তোমার হাতের রিং টা কি এডওয়ার্ডের দেওয়া?”
আমি নিজের অনামিকায় তাকালাম। বললাম
“জি। লিওর দেওয়া!”
লিওর পিতা চিন্তিত ভঙ্গিতে কিছুক্ষন ভাবলেন। তারপর বললেন
“তাহলে তোমরা সিগ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছো বিয়ে করার?”
আমি মাথা নাড়লাম
“জি!”
লিওর পিতা কিছু বললেন না। শুধু উঠে দাড়ালেন। নিজের শরীর থেকে কোট টা খুলে আচমকা ওটা ছুড়ে মারলেন। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। মনে মনে দোয়া পড়তে লাগলাম
“এডোনিস!”
লিওর মা কথা বলে উঠলেন।
“মাথা ঠাণ্ডা রাখো।”
“কিভাবে ঠাণ্ডা রাখবো তুমি বল? তোমার ছেলের কাজ দেখেছো? এনগেজমেন্ট করে ফেলল অথচ আমাদের জানানোর প্রয়োজন বোধ করলো না।”
এডিসন নামের লোকটি কথা বলে উঠল
“শান্ত হও ব্রো। আমি কথা বলছি।”
এবার এডিসন লোকটি আমার দিকে ফিরলো। উনার কাঠিন্য চেহারা দেখে আমি আবারো ঢোক গিললাম। উনি বলল
“তুমি কি জানো এড তার পিতার একমাত্র সন্তান?”
“জি জানি!”
“তার পিতার পর সেই সমস্ত সম্পত্তির মালিক সেটা জানো?”
আমি মাথা নাড়লাম
“নাহ্ আমি জানি না।”
“না জানলে জেনে রাখো। সে তার পিতার একমাত্র ওয়ারিশ। আর আমরা এডের বিয়ে ঠিক করে রেখেছি মি. এন্ডারসনের একমাত্র মেয়ে টিনা এন্ডারসনের সাথে। সেটা জানো?”
“জানি তবে টিনা লিওর বাগদত্তা ছিল এখন নেই। বর্তমানে আমিই তার বাগদত্তা।”
“তোমার শেকড় কোথায় তুমি জানো?”
“মানে?”
“মানে তোমার শেকড় ওই নোংরা মাটিতে কিন্তু তুমি আকাশের চাঁদ টাকে ছুতে চাইছো।”
অপমানে আমার গা রি রি করতে লাগলো। তারপরও ধৈর্য্য ধরে শান্ত স্বরে বললাম
“আমি আর লিও। আমরা একে অপর কে ভালোবাসি। তাহলে এখানে আকাশ ছোয়ার কথা কোথ থেকে আসে?”
এ কথায় উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। যেন আমি কোনো হাসির কথা বলেছি।
এডিসন আবার বলল
“তোমার টাকা দরকার তাইতো? ঠিক আছে তোমাকে আমি একটা অফার দিচ্ছি।”
“অফার? কিসের অফার?”
“তোমাকে এখানে ভালো পোস্টে চাকরি সে সাথে ফ্ল্যাট বাড়ি দেয়া হবে। চাইলে গ্রীন কার্ড সুবিধাও পেতে পার। তবে বিনিময়ে এডের সাথে ব্রেক আপ করতে হবে।”
“অসম্ভব। আমি লিওকে ভালোবাসি। আমার এসব কিছুর দরকার নেই।
“এই মেয়েকে তো আমি…”
“এডোনিস?”
লিওর পিতা প্রায় তেড়ে আসলেন। যদি লিওর মা না ধরতেন তাহলে কি হত তা খোদায় জানতেন।
এডিসন আবার বলল
“শোন মেয়ে… কি নাম যেন তোমার টা-টা-”
“তাহমিনা!”
“হ্যা টামিনা! শোন টামিনা তোমার আরো কিছু দরকার? ঠিক আছে এই যে আমি তোমাকে এখানে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিইচ্ছি। সংখ্যাটা তুমি বসাও। যত ডলার তোমাকে খুশি করতে পারে, যত ডলারের বিনিময়ে তুমি এডের সাথে ব্রেক আপ করতে রাজি হও।”
লোকটা ব্ল্যাঙ্ক চেক আমার হাতে ধরিয়ে দিল। তাতে সিগনেচার করা। আমি ওটা হাতে নিলাম। হাতে নিতেই এডিসন লোকটা বলে উঠল
“এ সুযোগ দ্বিতীয় বার পাবে না। তোমার বেংলাডেশের সেরা ধনীও তুমি হতে পার চাইলে।”
তিনি বেশ কটাক্ষ করে আমার দেশের নাম উচ্চারন করলেন। সেই সাথে চোখে প্রচন্ড ঘৃনা। তবে সবাই আমাকে উৎসাহ দিতে লাগল চেকে ডলারের সংখ্যা বসানোর জন্য। কিন্তু আমি টাকার অভাবে কখনো ভুগি নি। যা চেয়েছি তা চোখের পলকে আমার পিতা আমার সামনে হাজির করেছে। যা বলেছি তা আমার মা নিঃশ্বাস ফেলার আগে আমার হাতে দিয়েছে। তাই টাকা মানুষ কে কি রকম পরিবর্তন করতে পারে সেটা আমার জানা নেই। তাই এই ব্ল্যাঙ্ক চেক আমার জন্য অর্থহীন। ওটা আমি সামনে বাড়িয়ে দিলাম।
তারপর উঠে দাড়ালাম। বললাম
“আপনি আমাকে কিনতে চাইছেন। কিন্তু আমি গরীব নই। মনের দিকেও নই, ধনের দিকেও নই। হয়ত আপনাদের মত ধনী নই। কিন্তু আমার পিতা ল্যান্ডলর্ড। মাইলের পর মাইল জমি আমাদের আছে। গ্রামের পর গ্রাম শুধুই আমাদের। আমার চাচা শহরে অগুনিত ফ্ল্যাটের মালিক। চাইলে এ শহরের মত শহরে আমি আরাম আয়েশে কাটতে পারি। কিন্তু আমি এখানে এসেছি পড়তে। নিজেকে বিকাতে নয়! আমি এখন আসি। আর এখানে থাকতে ইচ্ছুক নই। শুভ সন্ধা!”
এতসব কথা আমার বলার ইচ্ছা ছিল না। তবুও বলতে হল। আমি চলে যেতে উদ্যত ঠিক তখন লিওর পিতা কথা বলে উঠল
“যদি এডওয়ার্ড তোমাকে বিয়ে করে তাহলে তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হবে। তুমি কি তাই চাও?”
আমি ফিরে তাকালাম। ভদ্রলোক এবার নিজের মোক্ষম চাল টা চালছেন। কিন্তু এত কথা বলে আমারো সাহস বেড়ে গেছে। নিশ্চিন্তে বললাম
“করে দিন। আমি বিশ্বাস করি লিওর এসবের প্রয়োজন হবে না। সে নিজেই এসব গড়তে পারবে। এ বিশ্বাস আমার আছে।”
তারপর সবার দিকে তাকালাম। বললাম
“এবার আমাকে বিদায় দিন।
এটা বলতেই লিওর পিতা চিৎকার করে বললেন
“You fool, bloody, idiot girl… I will kill you!”
এ বলে তেড়ে আসছিলেন। কিন্তু সবাই তাকে ঝাপটে ধরে ফেললেন। আর আমি প্রাণে বাঁচলাম। সবাই ঝাপটে ধরলো ভদ্রলোক তখনো চিৎকার করে যাচ্ছেন
“আমি তোমাকে দেখে নেব মেয়ে। তুমি আমাকে চিনোনি…!”
ব্লা ব্লা ব্লা
আরো অনেক কিছু বলছিলেন। আমি বেড়িয়ে এলাম। বেড়োতেই আমাকে এখানে আনা লোক গুলো সামনে দাড়ালো। বলল
“চলুন ম্যাম আপনাকে পৌছে দিই।”
“ইটস ওকে। আমি একা যেতে পারি!”
বলে হন হন করে চলে এলাম। বুকটা এখনো ধরপড় করছে। ভাবছি এত কথা আমি কিভাবে বললাম? এত সাহস আমার মধ্যে কোথ থেকে এলো?
.
(চলবে)
.
আপনারা আমার চ্যালা পেলা না। ভালোবাসার পাঠক। যাদের জন্য আমি প্রতিনিয়ত উৎসাহ পাই লিখতে। সুতরাং আমি বিশ্বাস করি আপনারা এমন কিছু কখনো করবেন না যাতে আমার লিখা চিরজীবনেরর জন্য বন্ধ হয়ে যায়। যদি অভিযোগ থাকে পেইজের ইনবক্স আপনাদের জন্য খোলা। নিশ্চিন্তে আপনাদের সব কথা জানাতে পারেন। আমি জবাব দিব। আমার জন্য অন্য কোনো পেইজ গ্রুপে নিজেদের মান হানি করবেন না। যদি এমন কিছু হয় তাহলে চুপচাপ আমাকে মেনশন করবেন। হ্যাপি রিডিং অল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here