আমি সেই চারুলতা পর্বঃ৩

0
2356

#আমি_সেই_চারুলতা
#স্নেহা_ইসলাম_প্রিয়া
#পর্বঃ৩
_______________________

– চারুলতা আপনি এখনো বলেন নি আপনি কেনো তাদের এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করেছেন। আপনি না বললে তো আমরা বুঝতে পারবো না তাই না? আপনাকে সাহায্যও করতে পারবোনা।
পুলিশ অফিসার সাজিদের কথায় তার দিকে তাকালো চারুলতা। স্বচ্ছ চোখের চাহুনী। এই মূহুর্তে চারুলতাকে দেখে কেউ ঘূনাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারবে না সে এমন নৃশংস ভাবে কাউকে হত্যা করতে পারে।
– এই হত্যায় আপনি ছাড়া আরো এক বা একাধিক মানুষ ছিলো। কে তারা? কোথায় আছে?
চারুলতা দুটো প্রশ্নের কোনোটারই উত্তর দিলো না। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো পুলিশ অফিসার সাজিদের দিকে। এমন চাহুনি নিসন্দেহে বিরক্তিকর। সাজিদ চোখে মুখে বিরক্তি নিয়ে এসে বললো,
– সব কথায় আপনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে কেনো থাকেন চারুলতা? আপনার কি মনে হয়, আপনি না বললে আমরা কিছু খুজে বের করতে পারবো না? একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি আমাদের যত পরিশ্রম করাবেন আপনার শাস্তিও ততটা কঠিন হবে।
এতক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলেও এবার উচ্চস্বরে হেসে উঠলো চারু। হাসির শব্দ মিষ্টি নয়। বড্ড ভয়ানক। এতক্ষণে প্রথমবারের মতো কথা বললো চারু,
– ভয় দেখাচ্ছেন?
– হ্যাঁ দেখাচ্ছি।
– যেই মেয়ে নিজে এসে আত্মসমর্পণ করতে পারে সে শাস্তির ভয় পায় বলে আপনি বিশ্বাস করেন?
সাজিদ কিছু না বলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলো চারুলতাকে। এর মধ্যেই ছোট কুঠুরিতে আগমন ঘটলো হিমেলের। সে সাজিদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বসে পড়লো। চুপিসারে কিছু কথা বললো সাজিদকে। সাজিদের ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটে উঠলো,
– চারুলতা আপনি কি এইবার মুখ খুলবেন নাকি আমি বলবো?
– কি বলবেন? আপনি তো কিছু জানেনই না। আপনি শুধু আমার মুখ দেখে সব কথা বের করার জন্য ফাদ পেতেছেন।
সাজিদ ভেতরে ভেতরে অবাক হলেও মুখে প্রকাশ করলো না। চারুর এটা বোঝার কথা ছিলো না। মেয়েটি বুদ্ধিমান।
– আমি সত্যিই সব জানি চারুলতা। আজকালকার মানুষ বোঝা বড় দায়। আমি বুঝতে পারছি আপনার সাথে খারাপ কিছু হয়েছে। আপনার স্বামী রেগুলার আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতো। স্বামীর অবর্তমানে আপনাকে রেপড হতে হয় তারই বন্ধুর কাছে কিন্তু স্বামীর কাছে বিচার পান না। তাই ছুটে যান পুলিশের কাছে। কিন্তু আজকাল ধর্ষিতার জন্য প্রতিবাদ করা হয় না সবাই সেই মেয়েটাকেই খারাপ ভেবে নেয়। পুলিশ অফিসার হোসেনও আপনার অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়। আর আপনার বাবার পরকিয়া ছিলো তাই আপনার মা মনোরমাকে খুন করে শেফালী নামক এক যুবতীকে বিয়ে করে। আর সবার উপর রাগ থেকেই আপনি তাদের মেরে ফেলেছেন, তাই না? শুধু শুধু ঘটনা প্যাচানোর কারণ নেই। আপনার স্টেটমেন্ট চাই কেসটা কোর্টে পেশ করতে। তাই স্টেটমেন্ট পেপারে সাইন করে দিন। এটাই ভালো হবে।
– আমার খুন গুলোর ধরন দেখলে সবাই হয়তো এই কথাগুলোই ভেবে নেবে। কিন্তু আমি যদি বলি এইসব ঘটনার কোনোটাই আমার সাথে ঘটে নি। বাস্তব জীবনে চারুলতার কোনো অস্তিত্বই নেই।
– এসব কি বলছেন আপনি? দেখুন আপনি কেসটার মোর অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করবেন না। যা সত্যি ঘটেছে সেটা স্বীকার করে নিন।
– আমি সত্যিই বলছি। আপনার চিন্তাধারা আমার জীবনের দশ শতাংশ অবধিও পৌঁছাতে পারেনি।
সাজিদের সাথে সাথে হিমেলও প্রচন্ড অবাক হয়। এতদিন ও নিজেও ভাবছিলো এসব ঘটনার কারণেই চারুলতা এতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাজিদ অবাক হলেও তার চোখে মুখে সেটা ফুটে উঠলো না কিন্তু হিমেলের মুখে সেটা স্পষ্ট। হিমেলের এই মুখ দেখে চারু বলে উঠলো,
– আপনার কি হয়েছে? চেহারা এমন লাগছে কেনো?খিদে পেয়েছে নাকি? আমি কিন্তু আপনাকে একটা খাবার সাজেস্ট করতে পারি।
চারুর মুখে এ কথা শুনে আবারও এ দুজন অবাক হলো। তাদের উত্তর না পেয়ে চারু নিজেই বলল,
– খাবার টা হলো মানুষের মাংস। আমার বাবার মৃত্যুর আগেই আমি তাকে রান্না করিয়ে খায়িয়েছিলাম আমার সৎ মায়ের মাংস। সে অবশ্য জানতো না সেটা। খাওয়ার পরে আমি জানিয়েছিলাম এইটা তারই প্রানপ্রিয় স্ত্রীর শরীরের মাংস। হত্যার সময় আমি কেটে নিয়েছিলাম। তার কাছে কিন্তু বেশ লেগেছিলো। আমার কাছেও তার হৃৎযন্ত্রের স্বাদ বেশ লেগেছিলো। এমনকি মাংসও! বেশ তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছি। আপনি খাবেন?
হিমেল হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো চারুর দিকে। চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়। হিমেলকে ভয় পেতে দেখে চারু এক পৈশাচিক আনন্দ পেলো।
– এই জগতে সবচেয়ে মজাদার খাবার কি জানেন? মানুষের মাংস। খেয়েছি আমি, খেয়েই বলছি। মানুষের মাংসের বিরিয়ানি রান্না করে আমি আমার বাবাকেও খায়িয়েছি। তার কাছেও নাকি এই বিরিয়ানি জগতের শ্রেষ্ঠ বিরিয়ানি মনে হয়েছে।
হিমেলের গা গুলিয়ে এলো। বিরিয়ানি তার প্রিয় খাবার ছিলো কিন্তু এখন চারুর কথা শুনে মনে হচ্ছে এই জীবনে আর কখনো তার বিরিয়ানি খাওয়া হবে না। সবসময় চারুর এসব কথা মনে পড়বে। হিমেল তাড়াতাড়ি চলে গেলো সেই কুঠুরি থেকে। কে জানে চারু আবার কখন কি বলে দেয়!
হিমেল চলে যেতেই সাজিদ আবার তাকালো নৃশংস এই চারুর দিকে। চারু যে নিজের নৃশংসতার পরিচয় দিতে এসব বলছে তা সে ভালোই বুঝতে পারছে তবে মৃত্যুর পর শেফালীর শরীরে কিছু মাংস কেনো পাওয়া যায়নি সে প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার।
– আপনি কখনো নিজের এতিম ভাতিজিকে বিয়ে করতে পারবেন?
– মানে? তখন থেকে আপনি কিসব উদ্ভট কথা বলে চলেছেন?
– উদ্ভট কথা? হ্যাঁ উদ্ভটই তো। তবে আপনি কি জানেন এই উদ্ভট ঘটনাও ঘটেছে।
– কার সাথে?
– আমার নিজের বাবা আর সৎ মা শেফালীর সাথে। শেফালী ছিলো আমার বাবার ভাতিজি। বাবা-মা ছিলো না তার। শেফালী কে আপু ডাকতাম। শেফালী আপু। আর আমার ভাই হামিদ ডাকতো শেফালী আপা। কে জানতো এই শেফালী আপুই একসময় পরে আমাদের সৎ মা হিসেবে আমাদের ঘরে প্রবেশ করলো। বাবা আমাকে আর আমার ভাইকে জোর গলায় জানিয়ে দেয়, এ কথা যেনো গ্রামবাসীর কানে না যায়।
সাজিদ হতভম্ব হয়ে বসে রইলো। ও আসলেই উপলব্ধি করতে পারছে চারুর কথার সত্যতা। আসলেই চারুর জীবনের দশ শতাংশও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি সে। এই কেস যতটা দেখা যায় তার চেয়েও অনেক বেশি রহস্যময়।
– আপনার বাবা নাস্তিক ছিলেন? স্ত্রী মৃত্যুর চার ঘন্টা পরেই আপন ভাতিজিকে বিয়ে করলেন?
চারু সাজিদের এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না। চুপচাপ মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলো

★★★

– চারু মা আইজ বাইরে যাইস না। তোরে নিয়া একটা খারাপ স্বপ্নে দেখছি।
মনোরমার কথায় তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো চারু। আজ তার পরীক্ষা আর মনোরমা কি না তাকে বাইরে যেতে মানা করছে।
– কি বলো মা? আজ আমার পরীক্ষা। যেতেই হবে।
– না গেলে হয় না? ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়। তুই যাইস না। পরীক্ষা পরে দিস।
– মা পরীক্ষা পরে দেওয়ার নিয়ম নেই। তুমি চিন্তা করো না। কিছু হবে না। পরীক্ষা শেষেই আমি বাড়ি চলে আসবো।
চারুর কথায় মনোরমার মন গললো না। চারু কে খায়িয়ে দিয়ে হামিদকে বললো চারুকে যেনো স্কুলে পৌঁছে দেয় আবার আসার সময় নিয়ে আসে।
– আমি পারমু না। আমার বন্ধু গো সাথে আইজ খেলা আছে।
– মুখে মুখে কথা কইস না হামিদ। লেখাপড়া তো কিছু করসই না আবার মুখে মুখে তর্ক? যা চারু রে লইয়া ইস্কুলে যা।
মায়ের ধমক খেয়ে চুপচাপ বাধ্য ছেলের মতো চারুকে স্কুলের দিকে নিয়ে গেলো হামিদ। স্কুলের গেটে পৌছাতেই হামিদ বললো,
– শোন চারু, আমি খেলতে যাইতাছি। একা একা বাসায় চইলা যাবি আর মা রে বলবি আমি তোরে বাসার গেট পর্যন্ত আগায়া দিছি। মনে থাকবো?
চারু হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লেও সে মনে মনে বিপরীত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলো অর্থাৎ বাসায় গিয়ে বলে দেবো হামিদ ওকে শুধু স্কুলে পৌঁছে দিয়েছে কিন্তু নিয়ে আসেনি। হামিদ অনেকবার ওকে মিথ্যা বলে মার খায়িয়েছে, এখন সুযোগ হামিদকে মার খাওয়ানোর। এমন সুযোগ কি ছাড়া যায়?
পরীক্ষা ভালো ভাবেই শেষ হলো চারুর। এভাবে পরীক্ষা হলে নিশ্চয়ই এস এস সি তে ফার্স্ট ডিভিশন থাকবে চারুর। নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বেশ আনন্দিত হলো সে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সবার আগে মনোরমাকে ও এই নরক থেকে মুক্ত করবে। হামিদ আর ওর বাবা কে এখানে রেখে চলে যাবে চারু ওর মা কে নিয়ে। কিন্তু কিছুক্ষণের মাঝেই চারু তার সিদ্ধান্ত বদলায়। হামিদ কেও নিজের সাথে নিয়ে যাবে। হামিদ কে না হয় বাজার সদাই আনানোর কাজে লাগিয়ে দেওয়া যাবে। মাটির পথ ধরে বাড়ির দিকে হেটে চলেছে চারু। রাস্তার চারপাশে এই সেই গাছ। একইসাথে দেখছে চারু নিজের এই অপরূপ জন্মভূমিকে। চারদিকে শীত বেশ ভালোই জাকিয়ে বসেছে। আজ সকালে মা গাছ কাটা খেজুরের রস খেতে দিয়েছিলো ওকে। এই গ্রামে প্রায় শ’খানেক খেজুর গাছ আছে। গ্রামের প্রত্যেকে তৃপ্তি ভরে সেই রস খেতে পারে। সূর্য উঠলেও উষ্ণতা ছড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে সে। কিছুটা দুরেই একটা ধান খেত দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই জমির সব ধান কেটে ফেলা হয়েছে। তার থেকে কিছুটা সামনেই নদী। মরা নদী, স্রোত নাই। পানিও বেশি না। নদীর মাঝে গেলো হাটুর একটু উপরে পানি। নদী পার করতে হলে বেশিরভাগ মানুষ লুঙ্গি হাটুর উপর তুলে নদী পারাপার করে আর মহিলাদের পারাপার হওয়ার জন্য ছোট একটা নৌকা। যদিও নদীর পানি খুব একটা বেশি না তাও বেশ কাজে দেয়। যাদের বাসায় চাপকল নেই তারা ওই নদীর পানিতেই কাজ করে। বাচ্চারা তো দুপুর হলেই সে নদীতে গিয়ে ঝাপ দেয়। যাদের বাসায় চাপকল আছে তারাও মাঝেমধ্যে নদীর এই হাটু অবধি পানিতে গোসল করে। গ্রামে মোট চারটা পুকুর রয়েছে তবে সাধারণ মানুষ ব্যাবহার করতে পারে মাত্র দুইটা কারণ বাকি দুইটা জমিদার বাড়িতে আছে। সেখানে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না। পুকুর দুইটার একটা মেয়েদের আরেকটা ছেলেদের। কেউ ভাগ করে দেয়নি কিন্তু গ্রামের সবাই এটাই মেনে চলে। গ্রামের ঠিক মাঝ বরাবর রয়েছে একটা বট গাছ। গ্রামে এটি ভুতুড়ে গাছ নামেও পরিচিত। এই গাছ নিয়ে প্রচলিত আছে একটা মেয়ে এই গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তারপর থেকে, রাতে এখান দিয়ে গেলে নাকি অনেকেই হাসির শব্দ, মেয়ে মানুষের নুপুরের শব্দ শুনতে পায়। চারু এসবে খুব বেশি বিশ্বাস না করলেও একেবারে অবিশ্বাসও করে না। জায়গাটা যথাসম্ভব এড়িয়ে যায়। গ্রামের প্রায় সবাই তিনটা জায়গা এড়িয়ে চলে তাই দিন হোক বা রাত ওই জায়গা গুলো সবসময়ই নিস্তব্ধ। সোনাদীঘির পাড়, ওই বটগাছ আর তেতুল তলা। তেতুল তলা দিয়ে রাতে যাওয়ার সময় অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতো। চারু নিজেও অমল কাকাকে দেখেছে তেতুল তলায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলো। বেশ ভয় পেয়েছিলো সে। মাস্টারমশাইর কাছে অবশ্য এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলো চারু। তিনি বলেছেন,
“রাতের বেলা তেতুল গাছ নাকি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে আর তেতুল তলা নিয়ে এমনিও মানুষের মনে ভয়
তেতুল তলা দিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ অক্সিজেন পায় না এবং ভয় পায়। এবং এই দুটো একত্রিত হয়ে মানুষটি অজ্ঞান হয়ে যায়।”
চারু মেনে নিয়েছে মাস্টারমশাই এর কথা কিন্তু তাও মনের কোনে ভয় রয়েই যায় তাই চারু আর ওদিকে এগোয় না। সম্পূর্ণ রাস্তা জনমানবহীন। কোথাও কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু দূর থেকে ক্ষীণ আওয়াজে গাড়ির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এই গ্রামে শুধু জমিদার বাড়িতে আর মজিদ কাকার গাড়ি আছে। জমিদাররা হলে ঠিক আছে কিন্তু মজিদ কাকার সামনে পড়তে চায় না চারু। ভদ্রলোকের দৃষ্টি খুব একটা স্বাভাবিক লাগে না চারুর কাছে। গাড়ির শব্দ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠলো। যা ভয় পেয়েছিলো তাই। মজিদ কাকার গাড়ি এটা। চারু দ্রুত পা চালিয়ে বাসায় যেতে চাইলো কিন্তু তা আর হলো না। মজিদ চারুর সামনে এসে গাড়ি থামিয়ে দিলো। পান খাওয়া লাল দাত গুলো বের করে হেসে বললো,
– কি রে চারু কই যাস?
– বাসায় যাই। তাড়াতাড়ি যেতে হবে। পথ ছাড়ো।
– তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো তো পথ ছাড়মু ক্যা? আয় আমার গাড়িতে আয়। তোরে পৌছায়া দেই।
– লাগবো না। তুমি যাও।
মজিদ গাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলো। চারুর যেনো গলা শুকিয়ে এলো। আশেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। মজিদও একবার ভালো করে চারপাশটা দেখে নিলো। এবার সে চারুর হাত ধরে বললো,
– আরে লজ্জা পাইস না। আয় আমি বাড়ি পৌছায়া দেই। আমার কাছে কি তোর শরম পাওয়া সাজে? তোরে জন্মাইবার দেখছি আমি। আয় আমার লগে আয়। আমি নিয়া যাই।
– আমি যেতে পারবো কাকা। আমার হাত ছাড়ো। কি সমস্যা তোমার? তুমি আমাকে গাড়িতে তুলছো কেনো? বললাম তো আমি যেতে পারবো।

#স্নেহা_ইসলাম_প্রিয়া

(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)

To Be Continued….

[অনেকেই বলেন গল্প আপনার নিউজফিডে পৌছায় না। পেইজের রিচ কমে গেছে তাই এমন হচ্ছে। নিয়মিত গল্প পেতে বেশি পেতে লাইক কমেন্ট করুন। এতে ফেইসবুক গল্পগুলোর প্রতিটি পর্ব আপনার কাছে পৌঁছে দেবে। আর যারা গল্পটা পাচ্ছে না তাদের নিউজফিডে পৌছাবে। সবাইকে ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here