#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 36
এক পর্যায়ে টিয়া ফুঁপিয়ে উঠে শ্বাস নিতে না পেরে। তখন ওকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ও ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আবার পাশ ফিরে শুয়ে পরে! কিছুক্ষণ পর যখন ওর মস্তিষ্ক সচল হয় ওর একটু একটু করে সব মনে পরতে থাকে। ও ডেনিয়ালের বুকে জ্ঞান হারিয়েছিলো। আর এখন কেউ ওকে কিস করেছে বিষয়টা টনক নড়তেই লাফ দিয়ে উঠে বসলো ও। প্রথমেই যেটা মাথায় এলো ডেনিয়াল ওর ঘুমের সুযোগ নিয়ে ওকে কিস করছিলো? ও দ্রুত রুমে চোখ বুলালো। চারপাশে সাদা পর্দা ধারা আবরিত। বাইরের ফকফকা আলো পর্দা ভেদ করে এসে আবছা আলোর সৃষ্টি করেছে রুমে। কিন্তু কাউকে খুঁজে পেলো না৷ রুম দেখে মনে ও হচ্ছেনা এটা বাংলাদেশ। কিন্তু রুমটা পরিচিত ও না ওর।
টিয়া দ্রুত বিছানা ছেড়ে দরজার দিকে গেলো। দরজা খুলার চেষ্টা করে পারলোনা। তখন চিৎকার করে ডেনিয়ালকে ডাকতে লাগলো। জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো!
–” ডেনিয়াল ইউ বাস্টার্ড দরজা খোল বলছি! আজ তোকে মেরে ফেলবো আমি!”
লাস্টে এতটুকু বলে দুহাতে মুখ চেপে ধরে কাঁদতে লাগলো টিয়া। রাগে শরীর থরথর কাঁপছে ওর! নিজের উপর যেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ও! রাগে হিতাহিতজ্ঞান শূন্য হয়ে চেঁচামেচি করতে লাগলো ও দরজার পাশেই বসে। ওই জানোয়ার টা ওকে স্পর্শ করেছে ভাবতেই খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে ওর ডেনিয়ালকে! ক্ষোভে ফেটে যখন চৌচির টিয়া তখন ডেনিয়াল এসে দরজা খুলে ওকে এভাবে চোখমুখ লাল করে কাঁদতে দেখে বিস্মিত হয়ে বলল,
–” আর ইউ ওকে! কি হয়েছে? ”
বলেই ওর পাশে বসে ওর গালে হাত রাখতে যাবে। টিয়া দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষুব্ধ মনে ডেনিয়ালের গালে চড় বসিয়ে দিলো! চড়টা এতই জোরে ছিলো! ডেনিয়াল চমকাতে বাধ্য হলো কিন্তু কিছুই বুঝতে না পারায় ও বিস্ফোরিত নয়নে চেয়ে রইলো টিয়ার চোখে! টিয়ার মিষ্টিমুখে রাগ,ক্ষোভ,ঘৃণা স্পষ্ট! ও এখনও ক্ষুব্ধ চোখে তাকিয়ে ডেনিয়ালের দিকে! সেটা দেখে ডেনিয়াল বাঁকা হাসি মুখে টেনে শীতল গলায় বলল,
–” নিজের দেশে এসেছো বলে সাহস বেড়েছে টিয়া পাখি?”
ডেনিয়ালের শীতল কণ্ঠে বলা কথাটা শুনা টিয়া কিছুটা মিইয়ে গেলেও রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো! ডেনিয়াল উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
–” তোমার এই সাহস দূর করতে ১ সেকেন্ড যথেষ্ট সো বি ক্যায়ারফুল বেবি!”
টিয়া হাটু মুখ গুজে দিলো ডেনিয়ালের কথা শুনে! ডেনিয়াল কথা শেষ করে রুম থেকে বেরুতে যাবে তখনি কিছু একটা হাওয়ার বেগে এসে ডেনিয়ালের মাথায় পরপর কিছু দিয়ে আঘাত করলো! হঠাৎ এত জঘন্য আক্রমণে ডেনিয়াল মাথায় ধরে ব্যাথায় কাকিয়ে উঠলো। ঘনঘন শ্বাস নিতে নিতে চোখে মুখ কুঁচকে ধীরে ধীরে পিছনে তাকানোর চেষ্টা করলো! কে তাকে আঘাত করেছে দেখার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে পিছনে ফিরে দেখতে পেলো স্তব্ধ দাঁড়িয়ে আছে! ডেনিয়ালের কুঁচকে থাকা মুখ ঠিক হয়ে গেলো। মাথা থেকে হাত নেমে গেলো অটমেটিক। ওর মনে হলো মাথার ব্যাথাটাও গায়েব হয়ে গিয়েছে! ও পিছন ফিরে স্তব্ধ নামক ব্যাক্তিটিকে দেখবে কল্পনাও করেনি। ডেনিয়াল ছবিতে দেখেছিলো স্তব্ধকে। কিন্তু বাস্তবে ওকে আরও সুদর্শন বলে মনে হলো ওর! স্তব্ধ ব্ল্যাক হুডি পরা চোয়াল তার শক্ত , লাল লাল চোখ শক্ত হিংস্র দৃষ্টি ওর উপর নিবন্ধ! রাগে ওর কপালের রগ গুলো জ্বলজ্বল করছে! হাতের রিবলবারটায় রক্ত চিকচিক করছে ওর বুঝতে অসুবিধে হলো না এটা ওর নিজের রক্ত!
স্তব্ধ রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে যখনি আবার ডেনিয়ালকে আক্রমণ করতে অগ্রসর হবে! তার আগেই ডেনিয়াল ওর দিকে স্পষ্ট দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা অবস্থায় নিচে ধুপ করে পরে চোখ বন্ধ করে নিলো। ফ্লোরে মূহুর্তে রক্তের বন্যা বয়ে যেতে লাগলো! স্তব্ধ ডেনিয়ালের দিকে বেশকিছু সময় তাকিয়ে রইলো। তারপর হুট করেই টিয়ার দিকে দৃষ্টি ফিরালো। অবশ্যই সেই দৃষ্টি স্বাভাবিক ছিলোনা। গুটিসুটি মেরে বসে অবাক হয়ে ফ্লোরে পরে থাকা ডেনিয়ালের দিকে চেয়ে থেকে টিয়া ধীরে ধীরে স্তব্ধের দিকে তাকাতেই মনে হলো ওর জানে প্রাণ নেই! ওর এখন ভয় করছে স্তব্ধকেই! ও হাতে ভর দিয়ে পিছাতে লাগলো। সেটা দেখে স্তব্ধের যেন মাথায় রক্ত উঠে গেলো ও টিয়ার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে। ওর হাতে থাকা রিবলবার ক্ষুব্ধতার সঙে তাক করলো ডেনিয়ালের দিকে। সেটা দেখার সঙে সঙে টিয়া উঠে দাঁড়িয়ে দূর থেকেই বলল,
–” নো প্লিজ স্তব্ধ……নো। আমি ওর শাস্তি চাই! মৃত্যু নয়!”
স্তব্ধ এক সেকেন্ড দেড়ি করলোনা টিয়ার কথা শুনে হাত থেকে রিবলবারটা ফেলতে! কিন্তু শক্ত চোখে টিয়ার দিকে তাকালো। টিয়া আরও কিছু পিছিয়ে গেলো ভয়ে আজ স্তব্ধকে বড্ড অপরিচিত লাগছে টিয়ার! প্রিয় মানুষটাকে এতদিন পর দেখেও ওর দিকে তাকাতে সাহস পাচ্ছেনা। স্তব্ধ ওর দিকে ধীরে এগিয়ে গিয়ে হাত ধরে এক টানে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। টিয়ার বুক ভয়ে অসম্ভব বিট করছে! তবুও প্রিয় মানুষটার বুকে নিজেও আশ্রয় নিলো! স্তব্ধ কিছুক্ষণ ভয়ানক জোরে জড়িয়ে ধরে রইলো ওকে। টিয়া ভয়ে চুপ থাকলেও একসময় বলিষ্ঠ বাহুর অসহনিয় চাপ সহ্য করতে না পেরে একটু নড়াচড়া করার চেষ্টা করলো। সাথে সাথেই বুঝা গেলো সেটা স্তব্ধের একটু পছন্দ হয়নি। ও টিয়াকে বাহু থেকে মুক্তি দিলেও এক হাতে ওর কোমর চেপে ধরে অন্য হাতে ওর পেছনের চুল চেপে ধরে স্তব্ধ ওর ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিলো! অবশ্যই কোনও স্বাভাবিক চুমু সেটা ছিলো না স্তব্ধ টিয়া কারো জন্যেই না। টিয়া সেই অবস্থায় অশ্রুসিক্ত নয়নে স্তব্ধদের দিকে তাকালো। স্তব্ধদের বন্ধ চোখের কোণা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে! টিয়া এখন বুঝতে পারলো তখন ও ডেনিয়ালকে ভুল বুঝেছে। ওটা স্তব্ধই ছিলো। ডেনিয়ালের কথা মাথায় আসতেই ওর ভীষণ অস্বস্তি হতে লাগলো। ও নিজেমে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো স্তব্ধ ওকে এক্টু ও নড়তে দিলোনা। টিয়ার তখন বুঝতে বাকিব রইলোনা স্তব্ধ নিজের মধ্যে নেই। রাগে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়েও টিয়ার কথা রাখার জন্যেই টিয়ার উপরেই রাগ জেদ মিটাচ্ছে ও!
১ সাপ্তাহ চলে গিয়েছে সেদিনের! টিয়াকে স্তব্ধ আস্ফির সাথে পাঠিয়ে দিয়েছিলো কবিরের কাছে ! ওরা এখন চট্রগ্রাম এ আছে! এই এক সাপ্তাহ নরমাল লাইফ লিড করছে ও ঠিক আগের মতো। কিন্তু মনে হয় এখন ও শ্বশুর বাড়ি আছে! কবির ওকে মাথায় করে রাখে কিন্তু সেদিনের পর স্তব্ধদের দেখা আর ও পায়নি! আস্ফিকে জিজ্ঞেস করলেও উত্তর মিলেনি। তবে ডেনিয়ালের নাম টাও মুখে নেওয়ার সাহস পায়নি। তবে স্তব্ধ ডেনিয়ালের সাথে ঠিক কি করেছে বা করছে ভাবতেই শরীর হিম হয়ে আসে ওর!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো টিয়া! বাইরের একবার চোখ বুলিয়ে নিলো! ঝলমলে রোদ্দুর্র বিকেল হবে হবে ভাব! আজ কেমন যেন আবহাওয়া! বড্ড শান্ত আকাশ! চারপাশে সবুজের ছড়াছড়ি! চট্রগ্রাম কোথায় আছে ও জানে না। কিন্তু ছোঁটখাট আদি ডুপলেক্স বাড়ির মতো বাড়িটা একটা টিলার উপর! রুমের প্রত্যেকটা বারান্দায় দাঁড়িয়েই আগে সবুজের ছড়াছড়ি তারপর দূরে চট্রগ্রাম শহরের উঁচুনিচু বিল্ডিং গুলো ছোঁটছোঁট আকারে দেখা যায়। সেই সাথে প্রাণ খোলা বাতাস। অসম্ভব চমৎকার দৃশ্য! ঠিক নামীদামী হোটেলে পাওয়া দৃশ্যের মতো! তখন রুমে নক পরলো। ও জানে কে হবে তাই জোরেই বলল,
–” ভেতরে আয়!”
টিয়ার সম্মতি পেয়ে কফি হাতে আস্ফি ধীর পায়ে রুমে ঢুকলো। আস্ফি এ কদিন ওকে প্রচণ্ড সময় দিয়েছে কিন্তু অতীত নিয়ে একটাও প্রশ্ন করেনি। যা করেছে সবটাই ওর অতীত ভুলানোর জন্য। তবে ফ্যামিলি সম্পর্কে জানিয়েছে ওকে। ওর মা অসুস্থ ছিলো এখন অনেকটা সুস্থ শারীরিক দিক থেকে মানসিক দিক থেকে আগের মতই। ওর বাবা এখনও চুপচাপ। ওর ভাই এখনও ওকে খুঁজে বেরায়। রোজ একবার স্তব্ধের সেই বাড়িতে যায়। সব শুনে টিয়া পাগলের মতো কাঁদতে কাঁদতে আস্ফিকে বলেছিলো ও এখুনি বাড়ি যাবে। কিন্তু আস্ফি ওকে থামিয়ে দিয়েছিলো বলেছিল ধৈর্য ধরতে স্তব্ধ নিজে নিয়ে যাবে ওকে! টিয়ার উপায় ছিলোনা ও ধৈর্য ধরতে বাধ্য। নিজের বোকামোর জন্য আর কোনও প্রবলেম ক্রিয়েট ও করতে চায়না। ওর ভাবনার মাঝে আস্ফি বলল,
–” শরীর ভালো? ”
টিয়া মাথা দুলালো! বলল,
–” সারাদিন কোথায় ছিলি আজ? সকালে খুঁজেও পাইনি!”
–” একটু কাজ ছিলো বাহিরে ছিলাম! অনেকদিন নিশ্চয়ই চা খাচ্ছিস!”
টিয়া তৃপ্তির সাথে চায়ে চুমুক দিয়ে বলল,
–” আমার জীবন টা আমি ফিরে পেয়েছি বুঝলি! উফ এটার ক্রেভিং উঠলেই আমি পাগল হয়ে যেতাম! ”
আস্ফি হাসলো! বলল,
–” তুই জানতি ভাই বেঁচে আছে তাই না?”
টিয়া দ্রুত দুচোখ বন্ধ করে খুলল! বলল,
–” জানতাম! একদম লাস্টে গাড়িতে বসে বলেছিলো! কিন্তু যেভাবে ওর উপর আক্রমণ হয়। সেটা নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস হচ্ছিলোনা। ও বেঁচে আছে বা কোনও ভাবে বাঁচতে পারে!”
কেউ কিছু বলল না আর! কিছু ক্ষণ নিরবতা ঘোষণা করা হলো যেন। অবশেষে নিরবতা ভেঙে টিয়া বলল,
–” কিন্তু সেদিন যখন ওকে দৌড়ে এসে ডেনিয়ালকে আঘাত করতে দেখলাম! মনে হলো সত্যি আল্লাহ সব পারে! একদম ম্যাজিকের মত! সেদিন হয়তো আমার জীবনের শেষ বিস্ময় ছিলো সেটা আস্ফি। স্তব্ধকে জীবিত দেখা!”
বলেই আস্ফির দিকে অসহায় চোখে তাকালো। আস্ফি টিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো। ওর বুঝতে বেগ পেতে হলোনা টিয়ার স্তব্ধকে ছাড়া কতটা অসহায় ছিলো সেখানে! আস্ফি টিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে মাথায় চুমু দিয়ে বলল,
–” সব ঠিক হয়ে যাবে মাই জান! ভাই সব আগেই ওকে করে দিতো। কিন্তু ঐ বাস্টার্ড টাকে হাতেনাতে সব প্রুফ সহ ধরা ভাইয়ের ডিউটি ছিলো! তুই নিজেও জানিসনা টিয়া তোর জন্য কতো মানুষের জীবন বেঁচে গেছে! যদি কখনও আইডিয়াও করতে পারতি। তাহলে আজ তোর মনে বিন্দু পরিমাণ দুঃখ থাকতোনা! আমি শিওর তাই আজ থেকে দুঃখ ভুলে বি হ্যাপি মেক হ্যাপি! তবে হ্যাঁ বন্দী জীবনকে বরণ করে যত দ্রুত নিবি ততই দ্রুত সুখ তোর! ওকে বায়!”
বলে আস্ফি হনহনিয়ে চলে যেতে লাগলো! এদিকে টিয়ার জন্য সব ঠিক থাকলেও বন্দী শব্দটাই যেন সব গরবর করে দিলো ও আস্ফির পিছনে দৌড়ে যেতে যেতে বলল,
–” মানে? আস্ফি আমি বন্দী কেন থাকবো!”
আস্ফি থেমে গিয়ে দিলো এক ধমক!
–” এই থাম! বন্ধু হিসেবে একটা এডভাইস দিয়েছি কই চুপচাপ গিলে নিবি তানা! আস্ফি আস্ফি লাগিয়ে দিয়েছিস এ কেমন বিহেভিয়ার? ”
টিয়া থমকে দাঁড়িয়ে গেলো। মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে। ও বন্দী থাকবেনা! দরকার পরলে স্তব্ধকে ছেড়ে দিবে একদম। কোনও ভালোবাসার ওর দরকার নেই! মেয়ে হয়েছে তো কি শুধু মেনেই নিবে না একদম না আর একটুওনা! অসম্ভব! অসম্ভব! অসম্ভব! ও দরকার পরলে পিউয়ের মতো হয়ে যাবে পালিয়ে পালিয়ে বেরাবে স্তব্ধের থেকে….এটুকু ভাবতেই ওর পিউয়ের কথা মনে পরলো। টিয়া দ্রুত জিজ্ঞেস করলো আস্ফিকে!
–” আস্ফি পিউ কোথায়? ও কেমন আছে?”
আস্ফি রুম থেকে বেরুতে যাবে তখনি টিয়া প্রশ্ন শুনে দাঁড়িয়ে বলল,
–” ভালোই আছে হয়তো!”
টিয়া ভ্রুকুটি করে বলল,
–” আছে হয়তো মানে কি? তোরা বিয়ে কবে করছিস?”
আস্ফি এবার টিয়ার দিকে তাকিয়ে হেসেই বলল,
–” আশ্চর্য মাত্র কিছু দিন হলো ব্রেকাপ করে আসলাম! আবার ওকে বিয়ে অসম্ভব! পিউ আমার ভালোবাসার যোগ্য নয়!”
বলেই আস্ফি চলে গেলো! টিয়া থমকে গেলো অদের সম্পর্কের গভীরতা ও জানে। তাই আস্ফির এভাবে বলার মানে ও বুঝলোনা! তবে সত্যিই কি সব শেষ অদের মধ্যে!
চলবে!