এক কাপ ঠান্ডা কফি পর্ব – ৭

0
240

#এক_কাপ_ঠান্ডা_কফি
#পর্ব:- ০৭

সাজুর চেয়ে দেখতে কোনো অংশেই কম নয় রাব্বি নামের এই খুনি। বরং শারীরিক শক্তিতে সে অনেকটা এগিয়ে আছে, যদিও সাজুর সঙ্গে হাতাহাতি করার কোনো পরিকল্পনা নেই রাব্বির।

লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছাতে এখনো কিছুটা সময় বাকি আছে। রাব্বি কেবিনে বসে নিজের হাতে কফি বানাতে লাগলো। কফি বানাতে গিয়ে তার মুখে সামান্য হাসি পেল, ঠান্ডা কফি। সাজু নামের ওই লোকটাও তার মতো ঠান্ডা কফি খেতে খুব পছন্দ করে।
কফি তৈরি করে কাপ হাতে নিয়ে সে আবারও বের হয়ে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মৃদু ঢেউয়ের নদী আর অদুরে নদীর তীরে সবুজ প্রকৃতিকে রাতের আঁধারে কালো অন্ধকার দেখা যাচ্ছে। নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়লো রাব্বির, মা-বাবার সঙ্গে জীবনের শেষ ভ্রমণ করেছিলো লঞ্চে।

পটুয়াখালী জেলায় বসবাস করা রাব্বি তার মা-বাবার সঙ্গে লঞ্চে করে গিয়েছিল ঢাকায়। আর ঢাকায় যাবার কয়েকমাস পরে তার মা-বাবাকে নিজেদের বাসায় খুন করে সন্ত্রাসীরা।

ছোট্ট একটা পিছনে ঝোলানো ব্যাগ নিয়ে চাঁদপুরে নেমে গেল রাব্বি। ঘাট জুড়ে প্রচুর মানুষের বিশাল আনাগোনা। সেই ভিড়ের মধ্যেই রাব্বি চলে গেল স্টেশনে। সকাল ছাড়া ট্রেন পাওয়া যাবে না কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষাও করা অসম্ভব। রাব্বি তাই বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করতে লাগলো।

রাব্বির পরিকল্পনা হচ্ছে যেভাবেই হোক যদি সে এখান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে যেতে পারে। তাহলে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে সে খুব সহজে পৌঁছাতে পারবে। আরেকটা পথ হচ্ছে এখান থেকে চাঁদপুরের মধ্যে একটা ফেরিঘাট আছে। ঘাটের নাম ” হরিণটানা ” ফেরিঘাট। হরিণটানা ঘাট দিয়ে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পরিবহন বাস পার হয়। তাই এখান থেকে যদি সে হরিণটানা যেতে পারে তাহলে সেখান থেকে সে চট্টগ্রামের বাসে উঠে যাবে।

দুটো পথেই যাবার সম্ভাবনা আছে কারণ এই সময় অনেক ট্রাক ফেরিঘাটে যেতে পারে। আবার কেউ কেউ ঢাকা চট্টগ্রামের রোডেও যাবে তাই ভরসা নিয়ে সে দাঁড়িয়ে রইল।

কিছুক্ষণ পর সে একটা মাঝারি সাইজের কাভার ভ্যান দেখে সিগনাল দিল। ড্রাইভার সামান্য দুরে গিয়ে ব্রেক করলো, রাব্বি দৌড়ে তাদের কাছে চলে গেল৷

– কি চাই?

– ভাই আমি চট্টগ্রাম যাবো কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করতে পারছি না। আপনারা কি আমাকে একটু সাহায্য করবেন?

– আমরা তো ঢাকা যাবো।

– কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম হয়ে যাবেন না?

– হ্যাঁ।

– তাহলে আমাকে সেখানে নামিয়ে দিলেই হবে আমি ওখান থেকে চট্টগ্রামের বাস পাবো। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে সবসময় বাস পাওয়া যায়। আমি আপনাদের একহাজার টাকা দেবো তবুও প্লিজ হেল্প করুন।

ড্রাইভার রাজি হয়ে গেল, রাব্বি দ্রুত কভারভ্যানে উঠে গেল। গাড়ি রাতের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে চলতে আরম্ভ করলো, রাব্বি চোখ বন্ধ করে আগামীকাল কি কি করবে সেটা ভাবতে লাগলো।

কাভারভ্যানে উঠে রাব্বি জানতে পারলো দুদিন ধরে চাঁদপুরে বাস মালিক সমিতির অবরোধ চলছে। আর সে যেটাকে হরিণটানা ঘাট জানে সেটার নাম আসলে হরিয়ানা ঘাট।
★★★

সাজুর ভেবে দেখল কাজি সাহেবের বাড়িতে গিয়ে আপাতত তেমন কিছু জানার নেই। যা কিছু আছে সবটা ঢাকার সেই বাড়িতে, ওখান থেকে খুনির সূত্র বের করতে হবে। এরমধ্যে যদি বন্দী আব্দুল কাদের কিছু স্বীকার করে তাহলে আরও সহজ হবে। কিন্তু আসল খুনিকে পেতে হলে তাকে ঢাকা যেতে হবে এটা সে পুরোপুরি নিশ্চিত। তবে খুনির পিছনে কালপিট লুকিয়ে আছে সেটাও তার জানা রয়েছে।

দারোগা সাহেব কে বললো,

– স্যার আমি বাগেরহাট চলে যাচ্ছি। সেখান থেকে কাল সকালে উঠে ঢাকা চলে যাবো, আপনি বরং এদিকটা সুন্দর করে দেখবেন।

দারোগা যেন আকাশ থেকে পড়লো।

– একটু আগে আপনার উপর ওই লোকটা পিস্তল নিয়ে হামলা করেছে। এদের দলে আর কে কে কোথায় ওঁৎ পেতে আছে বলা যায় নাকি? এমন রাতের আঁধারে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। ভোরবেলা উঠে বাইক নিয়ে চলে যাবেন তাহলে সমস্যা হবে না।

– না স্যার, বাইক নিয়ে তো ঢাকায় যাওয়া যাবে না তাই না? বাগেরহাট এক আঙ্কেল আছেন তাদের বাসায় বাইক রেখে ভোরবেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা দেবো।

– আপনি নিজের নিরাপত্তার কথা বুঝতে পারছেন না কেন সাজু সাহেব?

– বুঝতে পারছি, দোয়া করবেন আমার কিছু হবে না ইন শা আল্লাহ।

সাজু বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল। তার ধারণা আর কেউ আপাতত রাতের মধ্যে তাকে আক্রমণ করবে না। আব্দুল কাদেরের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বাগেরহাটে তাদের দলের কেউ নেই।
সুতরাং সাজু এখন সহজেই বাগেরহাট সদরে গিয়ে রাতটা কাটিয়ে দিতে পারবে৷

রাত প্রায় দুইটা। বারাকপুর পার হবার একটু পরে সাজুর মোবাইলে কল এলো। রাস্তার পাশে বাইক দাঁড় করিয়ে সাজু মোবাইল বের করে দেখে সকাল বেলা পুতুল নামের যে মেয়েটার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল সেই মেয়ে কল দিয়েছে। এতো রাতেও মেয়েটা জেগে আছে, সাজু খানিকটা অবাক হয়ে কলটা রিসিভ করলো।

– বিরক্ত করলাম সাজু ভাই?

– এতো রাতে কল দিলে বিরক্ত হওয়া মোটামুটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার জিজ্ঞেস করছেন যে বিরক্ত কি না।

– স্যরি সাজু ভাই। মাত্র পড়ার টেবিল থেকে উঠে বিছানায় শুইলাম তাই আপনাকে কল করতে ইচ্ছে হলো।

এমন সময় পরপর তিনটা ট্রাক ও বিপরীত হতে একটা বাস চলে গেল। সবগুলো গাড়ি থেকেই হর্ন দেবার কারণে পুতুল সেই শব্দ শুনে বললো,

– আপনি কি রাস্তায় নাকি?

– হ্যাঁ। আর কিছু বলবেন?

– এতো রাতে আপনি রাস্তায় কেন?

– সেটা জানা কি খুব জরুরি?

– আপনার ক্ষেত্রে রাগ জিনিসটা মানায় না সাজু ভাই, আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে কল দিয়েছি।

– আমি ফ্রী হয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলি?

– ঠিক আছে।

এমন সময় সাজুর চোখ গেল বাইকের লুকিং গ্লাস এর মধ্যে। তার পিছনে একটা বাইকে কেউ একজন হাতে একটা ধারালো কিছু না এগিয়ে আসছে। মাত্র ৫/৭ সেকেন্ডের ব্যাপার। সাজু তার বাইকসহ রাস্তার পাশে কাত হয়ে পড়ে গেল, পিছন থেকে আসা বাইকটা ব্যর্থ হয়ে তাকে পেরিয়ে সামনে চলে গেল।

বাইক নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সাজু সেখানেই কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। রাস্তার দিকে তাকিয়ে শত্রুর আক্রমণের বিষয়টা নিয়ে ভাবতে শুরু করলো। হঠাৎ করে মোবাইলে কল দেওয়া পুতুল নামের মেয়েটার কথা মনে পড়লো। কে এই মেয়ে? তাহলে কি মেয়েটাও খুনির সঙ্গে জড়িত আছে? নাহলে সে এমন সময় কল দিল কীভাবে।

মেয়েটার সঙ্গে কথা না বললে সাজু এতক্ষণে বহুদূর চলে যেতে পারতো। বাইক নিয়ে সাজু কাছেই একটা গলির মধ্যে ঢুকে গেল, আপাতত আশেপাশে কারো বাড়িতে আশ্রয় নিতে হবে। এখন মনে হচ্ছে দারোগা সাহেবের অনুরোধে মংলা থাকলেই ভালো হতো। সকাল বেলা পুতুল নামের মেয়েটার সঙ্গে দেখা হবার সময়ই তার নজরে পড়েছিল আব্দুল কাদের সাহেব। তারপর সে যখন মাহিশার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্র আনিসুল ইসলামের বাসায় যায় সেখানে গিয়ে ও ওই মেয়ে হাজির। এটা কাকতালীয় কোনো বিষয় বলে মনে হচ্ছে না, নিশ্চয়ই একটা যোগসূত্র আছে যেটা সে গুরুত্ব দেয়নি।

একটা বাড়ির সামনে বাতি জ্বলছে। সাজু সেখানে গিয়ে জোরে জোরে ডাকতে লাগলো, ভাগ্য ভালো তাই সহজেই ভিতর থেকে সাড়া পাওয়া গেল।
কিছুক্ষণ পর চল্লিশের উপরে বয়স হবে এমন এক লোক বেরিয়ে এলো।

– কে আপনি?

– আসসালামু আলাইকুম, আঙ্কেল আমার নাম সাজু। একটা বিপদে পড়ে আপনাদেরকে বিরক্ত করতে হচ্ছে।

– বলেন কি বিপদ?

সাজু সংক্ষিপ্ত করে সবটা বলে গেল। মিথ্যা কিছু বলার চেয়ে সত্যিটা বলাই তার কাছে উৎকৃষ্ট মনে হয়েছে। একটা মিথ্যা বলতে গেলে অনেকটা মিথ্যা কথা বলতে হয়। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় বিনা প্রয়োজনে মিথ্যা কথা বেশি বলে। সাজু সেরকম কিছু করলো না।

ভদ্রলোক প্রথম তাকিয়ে রইল। তারপর একটা হাসি দিয়ে বললো,

– আপনিই সাজু সাহেব? আমাদের জেলার কচুয়া উপজেলায় আপনার বাসা তাই না?

– জ্বি।

– ভিতরে আসুন, আমি আপনার বিষয়ে পত্রিকায় পড়েছিলাম তবে সেটা বেশ কয়েকমাস আগে খুলনার একটা মামলার বিষয়। ওইযে এক মহিলা খুন হয় কিন্তু বাসার সবাই জানে সে আত্মহত্যা করেছে। তারপর অনেক বছর পরে তার ছেলে বাবার প্রতি আক্রমণ করতে চায়। এরপর আপনি একটা খুঁজতে গিয়ে আরেকটা বেরিয়ে আসে।

– জ্বি, ছেলেটার নাম নয়ন।

– আমি তখন ভেবেছিলাম আমাদের বাগেরহাটে এমন একটা অল্পবয়সী গোয়েন্দা আছে। তারপর কিছুদিন পরে জানতে পারি আপনি অসুস্থ, সম্ভবত আপনার এক বন্ধুর মাধ্যমে জেনেছিলাম।

– কিন্তু আমার অসুস্থতার কথা কীভাবে?

– ওই সময় পিরোজপুরে একটা ছেলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি তাদের পরামর্শ দিলাম সাজু নামের লোকটার সঙ্গে দেখা করতে। তারা অনেক চেষ্টা করে আপনার ঠিকানা বের করে ঠিকই কিন্তু জানতে পারে আপনি দেশের বাইরে।

সাজু আর কথা বাড়ালো না। ভদ্রলোক তাকে রাতে থাকার জন্য মুহূর্তের মধ্যে ভালো একটা বিছানা ব্যবস্থা করে দিলেন। ৮/১০ বছর বয়সী একটা ছেলে সেখানে ঘুমিয়ে ছিল তাকে নিয়ে যাওয়া হলো অন্য ঘরে।

মনে মনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো সাজু। এরপর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে ঘুমের চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু মাথায় তখন পুতুল।
কে এই মেয়ে? সকাল বেলা মেয়েটার নাম্বার দিয়ে কিছু তথ্য বের করতে হবে।

চোখে ঘুম টলমল করছে। সাজু মোবাইল হাতে নিয়ে রামিশার কাছে একটা মেসেজ দিল।

” আমি সকালে ঢাকা রওনা দেবো, তুমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নামবে। Miss you to ”

সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই ললো,

– ঠিক আছে কিন্তু, আমি ঢাকায় কোন যায়গা যাবো?

– সাজু লিখলো, ঘুমাওনি?

– না, জেগে ছিলাম।

– আমি তোমাকে কল দিয়ে জানাবো কোথায় নামতে হবে।

– সাজু ভাই…

– শুনছি বলো।

– কালকে দুপুরের আগেই আপনার সঙ্গে দেখা হবে, এটা ভাবতে গেলে আমার লজ্জা করছে।

– কেন?

– খারাপ ব্যবহার করার জন্য।

– একটা কথা বলি রামু?

– বলেন।

– এসব নিয়ে কথা বলার আর দরকার নেই, যা হয়ে গেছে বাদ দাও। এখন ঘুমিয়ে পড়ো নাহলে সকালে উঠতে কষ্ট হবে।

★★★

গ্রীনলাইন পরিবহন, দামপাড়া, চট্টগ্রাম।
বাসের ভিতরে বসে আছে রামিশা। গতকাল রাতে সে খুলনার টিকিট কেটে রেখেছিল এখান থেকে কিন্তু সকালে উঠে সেটা পরিবর্তন করেছে। তার এক পরিচিত আঙ্কেলের মাধ্যমে খুলনা বদলে ঢাকার টিকিট নিতে হয়েছে।

গতকাল সিটটা ঠিক ছিল, এসি বাসে বামদিকে সিঙ্গেল সিট থাকে। রামিশা সেখানেই সিট বুকিং করেছিল কিন্তু এখন সকালে এসেই বামদিকে কোনো সিট ফাঁকা পেল না। ডানদিকে তা ও বেশ পিছনে সিট পাওয়া গেল। তার পাশের সিটে এক যুবক বসে আছে, চেহারা দেখে খারাপ মনে হচ্ছে না। কিন্তু কার মনের মধ্যে কি আছে সেটা তো কেউ বলতে পারে না।
বাসের ভিতরে ঘুমিয়ে গেলে যদি ভুল করে এই অপরিচিত লোকটার শরীরে স্পর্শ লেগে যায়? সেই ভয়ে সে সিঙ্গেল সিট নিতে চেয়েছে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সারা পথ জেগে থাকতে হবে।
রাতে এমনিতেই দেরি করে ঘুমিয়েছে কারণ এসির ভেতরে আরামসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারবে।
তা আর হলো কোই?

লোকটার ভাবভঙ্গি বোঝার জন্য রামিশা নিজে তাকে বললো,

– আপনি কোথায় যাচ্ছেন?

– ঢাকায়, আপনি?

– আমিও ঢাকায় যাবো। অনেকটা পথ একসঙ্গে যেতে হবে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে তাই না?

– কিন্তু আমি তো বাসের মধ্যে উঠলেই ঘুমিয়ে পড়ি, একটু পরে দেখবেন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি।

রামিশা মনে মনে বললো, ” জনমের মতো ঘুমিয়ে থাকিস ব্যাটা। ” তারপর মুখে বললো,

– আমার নাম রামিশা রামু।

– আমার নাম রবিউল ইসলাম।

ইচ্ছে করেই নিজের পুরো নামটা বললো না রাব্বি, তার পুরো নাম রবিউল ইসলাম রাব্বি। রামিশা বুঝতেই পারলো না তার সঙ্গে বসে থাকা রবিউল নামের এই লোকটাই তার পছন্দের সাজু ভাইকে খুন করার জন্য টাকা নিয়েছে। রামিশা বুঝতেই পারলো না লোকটার সঙ্গে রয়েছে একটা পিস্তল। আর ব্যাগের ভেতর বেহুশ করার ক্লোরোফোম, আর মনের মধ্যে রয়েছে তাকে কিডন্যাপ করে নিজের কাছে নেওয়া।

রবিউল নামে নিজেকে পরিচয় দিয়ে মনে মনে হাসতে লাগলো রাব্বি। আজকের মধ্যে হয়তো তার দ্বিতীয় কাজটা হয়ে যাবে চোখ বন্ধ করে রামিশাকে কীভাবে বাস থেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা আবারও ভাবতে লাগলো।

[ শুধু মনে রাখবেন, আপনাদের মন্তব্য আমার লেখার শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই যারা যারা গল্পটা পড়বেন সবাই মন্তব্য করতে চেষ্টা করবেন। ]

চলবে…

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here