এক ফুল সমুদ্র পর্ব-২৩শেষ পর্ব

0
2909

#এক_সমুদ্র_ফুল
#Last_Part
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


বিয়ের দিন
সাগর মুখ ফুলিয়ে স্টেজে বসে আছে।সমুদ্র কাজ করতে করতে ওকে লক্ষ করলো।পরেই ওর পাশে এসে বসলো।
কি হয়েছে আলোর মত মুখ ফুলিয়ে বসে আছিস কেনো?(সমুদ্র)

আলোর বড়ো আব্বু যে!(সাগর)

😒(সমুদ্র)

আমি জানলে আমিও তোদের সাথে আরেক বার বিয়েটা করে নিতাম।দূর ভাল্লাগে না।এসে তো নিজের বউয়ের সাথে একটু সময়ও কাটাতে পারি না।রাতের বেলা তো তোর বউ আমার বউয়ের সাথে।(সাগর)

আমি বলছি তো আমার বউকে তোর বউয়ের সাথে থাকতে তাই না?(সমুদ্র ভ্রু উচুঁ করে)

আমি কি তা বলছি তুই রাগ করিস কে?(সাগর)

আচ্ছা ওই সব বাদ দে।আজকে তো আমার বউ আমার কাছে আসবে আর তোর বউ তোর কাছে।ব্যাপার না।(সমুদ্র)

তাও ঠিক।চল কাজে লেগে পরি একটু পরে তোকে রেডি করতে হবে।(সাগর)

আমি বাচ্চা নাকি!তুই তোর কাজ কর আমাকে রেডি করাতে হবে না তোর বুঝলি?(সমুদ্র)

আরে নতুন বরকে না সাজালে কি আর হয়?(সাগর ফাজলামি করে সমুদ্রকে জড়িয়ে ধরে)

ছাড় ছাড়।(সমুদ্র)

এই রকম খুনসুটির মধ্য দিয়ে দুইভাই কাজ করতে লাগলো।


অন্যদিকে
ভাবী আমার খুব টেনশন করছে?
বলেই আমি পায়চারি করতে শুরু করলাম।

কি হবে?সব কিছু ঠিক হবে তো?(আমি পায়চারি করতে করতে)

ভাবী প্রথম বার আমি বিয়ে করছি আর চিন্তা উনি করছেন!(সোনালী ফুলের পায়চারি দেখতে দেখতে)

ফুল তুই থামবি?তোকে দেখলে কেউ বলবে না যে এইটা তোর দ্বিতীয় বার বিয়ে!(মিতু)

আর আমাকে দেখলে বলবে আমি বিয়ে করাতে সেঞ্চুরি করছি।(সোনালী)

কি করে শান্ত হবো বলো!আমি চিন্তা করছি না চিন্তা এমনি এসেই আমার মাথায় পড়ছে(আমি চুল টানতে টানতে)

আমরা রুমে বসে কথা বলছিলাম তখনই আলো নাচতে নাচতে রুমে ঢুকলো।

আলো তুমি আবার ড্রেস চেঞ্জ করছো!(আমি কোমরে হাত দিয়ে)

বারে আমার আম্মুর বিয়ে আমি নতুন ড্রেস পড়বো না?(আলো)

নতুন ড্রেস পড়বে ভালো কথা কিন্তু সকাল থেকে এই অর্ধেক বেলা তুমি তিনটা ড্রেস চেঞ্জ করছো!কাপড় ধুতে হয় আমার।আমি এক্ষুনি আলমারিতে তালা লাগাচ্ছি।(আমি রেগে)

বড়ো আম্মু
বলেই আলো নেকা কান্না করতে করতে মিতুর কোলে গিয়ে বসলো।

বড়ো আম্মু তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।আর একটা কাপড়ও চেঞ্জ করবে না।(আমি রেগে)

করুক না ফুল বাচ্চা মানুষ।আর কাপড় আমি ধুয়ে দিবো।আর না হয় সার্ভেন্ট দের দিয়ে ধুয়ে নিবি। কাদে না আম্মু(আলোর চোখ মুছতে মুছতে)।তুমি কেনো এসেছিলে?(মিতু)

ও আব্বু তোমাকে এইটা দিতে বলছে।
বলেই আলো আমাকে একটা ছোট্ট কাগজ এগিয়ে দিলো।

কি আছে এতে?
বলেই আমি কাগজটা খুললাম। কাগজটায় লিখা ছিলো
Don’t worry,,,

মানুষটা কি করে জানলো আমি চিন্তা করছি?আমার মনের কথাটা এতো সহজে বুঝতে পারলো!সত্যিই সমুদ্র তুমি অসাধারণ।
আমি লিখাটা পড়ে মুচকি হাসি দিলাম।

দে তো দেখি আমি কি লিখছে আমার দেবর?
বলেই মিতু আপু কাগজটা আমার হাত থেকে নিয়ে গেলো।

লিখাটা পরেই
বাহ বাহ!বলতে হবে আমার দেবর কিন্তু খুব রোমান্টিক।তোর ভাই তো আমাদের বিয়ের দিন নিজেই নার্ভাস।আর এতো নার্ভাস ছিলো যে ওর হাঁটু কাপতে শুরু করে।পড়ে তিন ঘণ্টা ওর সাথে ফোনে কথা বলে ওকে স্বাভাবিক করি।বিদায়ের সময় কি কানবো।ওর সাথে ফোনে কথা বলার সময়ই আমার কান্না পাচ্ছিলো।মন চাইছে বিয়ের আগেই এই বাড়িতে এসে ওর গলা টিপে ধরি।(মিতু)

হ্যা হ্যা।(আমি আর সোনালী হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম)

ভাইয়ের এই রূপ কোনো দিন দেখিনি।সব সময় উনাকে অনেক কনফিডেন্ট দেখছি। কিন্তু বিয়ে করতে গিয়ে যে উনার হাত পা কাঁপতে শুরু করলো এইটা তো আবার জানতাম না।(আমি হাসতে হাসতে)

এইটা আবার কাউকে বলিস না।তোর ভাইয়ের এই রূপ শুধু আমার কাছেই।ছেলেরা যাকে মন ভালোবেসে তার সামনেই নিজের এইসব রূপ প্রকাশ করে।(মিতু)

যেমন সমুদ্র রাগ শুধু আমার উপরই ছেড়ে দেয়।(আমি মনে মনে)

আর সায়ান রোমান্টিক শুধু আমার সাথে!(সোনালী মনে মনে)

ও বড়ো আব্বু দাদু ভাই বলছে তোমাদের তাড়াতাড়ি তৈরি হতে।মেয়েদের নাকি অনেক সময় লাগে তৈরি হতে।(আলো)

ওকে।(মিতু আলোকে চুমু দিয়ে)

আমি যাই।
বলেই আলো দৌড় দিয়ে নিচে নেমে গেলো।

আলো একটু পরে এসো তোমাকে রেডি করতে হবে।(আমি চিল্লিয়ে)

আচ্ছা আম্মু।(আলো দৌড় দিয়ে)


কিছুক্ষণ পর
আমি তৈরি হয়ে বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি।মিতু ভাবীও তৈরি হয়ে গেছে এখন পার্লারের মেয়েদের বলে দিচ্ছে সোনালী আপুকে কেমন করে সাজাবে?আমি হালকা পাতলা সেজেছি তাই আমারটা আগেই শেষ হয়ে গেছে।কেনো জানি আজ রুমে বসে থাকতে ভালো লাগছে না।মন চাইছে আকাশে ডানা মেলে উড়ি।যদিও আমি ফুল পাখি না।বিশ্বাসই হচ্ছে না আজ ধুমধাম করে আমার বিয়ে সবাই জানবে আমি সমুদ্র শিকদারের বউ।এই বাড়ির পালিত মেয়ে না,এই বাড়ির ছোটো বউ।খুব ভালো লাগছে আমার।
ভেবেই আকাশের দিকে তাকালাম অনেক পরিষ্কার আজ আকাশটা।পুরো নীল আকাশ।একদম আমার মনের রং।এতো কষ্টের পর আবার আমার জীবনে সুখ আসলো।এগুলো কে কি আমি ধরে রাখতে পারবো? অবশ্যই আমাকে পারতে হবে কারণ এইটা আমার পরিবার।আমার সুখ আমাকেই ধরে রাখতে হবে।

ফুল চল।তোদের স্টেজে নিয়ে যাবো।(মিতু)

আসছি ভাবী!
বলেই আমি রুমের ভিতর গেলাম।
আমাদের নিচে নিয়ে যাওয়া হলো।


নিচে সমুদ্র আর সায়ান ছিলো।ওরা দুজনই গোল্ডেন কালার শেরওয়ানি পড়েছে।
দুজনই হা হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

আমার ফুলকে আজ কি সুন্দর লাগছে! খয়েরী রঙের লেহেঙ্গা যেনো ওর জন্যই তৈরি করা হয়েছে। চুল গুলো হালকা করে বেনী করে তাতে বেলী ফুল লাগিয়েছে যেনো এই বেলী ফুলের গন্ধে আমি ঘায়েল হয়ে যাবো।
ভেবেই সমুদ্র ফুলের দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ মারলো।

আমি সমুদ্রের দিকে তাকাতেই ও নির্লজ্জের মতো চোখ টিপ মারলো।আমিও মুখ ভেংচি দিয়ে দিলাম।

সায়ান তো সোনালীকে যে দেখছে দেখেই যাচ্ছে
সোনালী পিঙ্ক কালারের লেহেঙ্গা পড়েছে।চুল গুলো খোঁপা করে লাল গোলাপ লাগিয়েছে।ওকেও খুব সুন্দর লাগছে।

সাগর মিতুর কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো

গোল্ডেন কালারের লেহেঙ্গা তোমাকে হেব্বি মানিয়েছে।আগে জানলে আমিও ওদের সাথে বিয়ে করে ফেলতাম।(সাগর)

কাকে?(মিতু)

অবশ্যই তোমাকে!(সাগর)

আমি তোমাকে বিয়ে করলে তো।
বলেই মিতু মুখ ভেংচি দিয়ে ফুল আর সোনালীকে নিয়ে স্টেজে উঠলো।

আজ বিয়ে না করতে পারি বাসর তো ঠিকই করবো।(সাগর দুষ্টু হাসি দিয়ে)


বিয়ে পড়ানো শেষ হলো এখন সোনালী আপু বিদায়ের পালা।সোনালী আপু সবাইকে ধরে হাউমাউ করে কাদছে।সাগর ভাইয়া আর সমুদ্রও নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছে সোনালীকে শান্ত করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাদের চোখ গুলোও লাল হয়ে আছে।ছেলেদের কাদতে হয় না।শুধু এই একটা অহেতুক কারণের,,কারণে ছেলেদের নিজেদের অনুভূতি লুকাতে হয়।বাবার চোখেও জল।মা কেঁদেই চলেছে উনাকে মিতু ভাবী খালাম্মা সবাই মিলে থামানোর চেষ্টা করছে।আলো আমার কোলে উঠে কাদঁছে।ওকেও আমার সামলাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।কেদে কেদে কাশতে কাশতে বমি করে দিচ্ছে আলো।
আচ্ছা আমারও যদি এমন একটা পরিবার থাকতো তারা কি আমার বিদায়ে এমন করে কাদত?আমার মা বাবার কি একটু হলেও মনে পরে আমার কথা!আমি বেচে আছি না মরে গেছি এটা কি উনাদের একটুও ভাবায়!

সবার বুকে পাথর রেখে আমরা সোনালী আপুকে বিদায় দিলাম।


বাসর ঘরে
আমি বসে আছি।এখন সবাই স্বাভাবিক।কেদে কোনো লাভ হবে না।যা হবার হবেই।আলো কাদতে কাদতে কাহিল হয়ে গেছিলো।তারপর মার কাছে চলে গেছে।মাও ওকে খাইয়ে দাইয়ে এখন ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি।মাও আলোর মধ্যে সোনালী আপুর একটু ঝলক দেখতে পাচ্ছে।আমি এইসব ভাবছি তখনই সমুদ্র ঘরে ঢুকলো।আমার কেনো জানি নার্ভাস লাগতে শুরু করলো।
সমুদ্র এসেই বললো
ফুল নিজের ঘোমটা নিজেই খুলে ফেল আমার কাহিল লাগছে।

এই কথা শুনার পর আমার রাগ উঠে গেলো।নতুন বউয়ের ঘোমটা খুলবে তাও নাকি উনার কাহিল লাগে।

আমি রাগে ঘোমটা উঠতে যাবো তার আগেই ও আমার হাত ধরে ফেললো
তোকে বলছি আর তুই করতে গেলি।ঘোমটা উঠানোর দায়িত্ব আমার।
বলেই ঘোমটা টেনে উঠালো।

ফুল তোকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।তোকে অনেক কিছুই বলার ছিলো কিন্তু এখন কেনো জানি কিছুই মনে পড়ছে না।(সমুদ্র)

আমি সমুদ্রের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে
হুশ।আজ কোনো কথাই না শুধু ভালোবাসা।

ফুল।(সমুদ্র আমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে)


মিতু রুমে ঢুকে অবাক
হুহ 🤨(মিতু)

সারপ্রাইজ!(সাগর)

বাসর সাজানো হয়েছে!কেনো?(মিতু)

সাগর মিতুকে জড়িয়ে ধরে
আজ বিয়ে না হয় করতে পারলাম না বাসর তো ঠিকই করতে পারবো তাই না?(সাগর)

তাই নাকি!(মিতু হেসে)

হুম।
সাগর মিতু ঘাড়ে মুখ গুজে দিয়ে।


পাঁচ বছর পর
আমি গ্রামের বাড়িতে দাদুমের কবরের সামনে দাড়িয়ে আছি।পাশে আরও দুটো কবর একটা কাকা আরেকটা কাকিমার তারা দুজনেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।

দাদুম।তোমার ফুল আজ অনেক বড়ো হয়েছে।নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে এখন ও একটা রেস্টুরেন্টের মালিক। জানো দাদু এইটা আমি নিজে দাড় করিয়েছি।সমুদ্র অনেক বার বলেছে ওর হেল্প নিতে কিন্তু আমিই নেইনি।আমি সব কিছু নিজে নিজে করা শিখে গেছি দাদুম।এখন আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি।এখন আমাকে কেউ বকে না।তুমিও না দাদুম।আমি তোমাকে অনেক মিস করি।তুমি আমার প্রথম পরিবার।আমি ভাবি সেদিন যদি তুমি আমাকে কুড়িয়ে না আনতে তাহলে আমি আজকের আমি হতে পারতাম না। দাদুম জানো এখন আমার নিজের পরিবার আছে।তুমি থাকলে আমাকে দেখলে অনেক খুশি হতে।তুমি চলে যাওয়া পরেও আমি নিজেকে ভাঙতে দেই নি।আসলে আমি না সমুদ্র আমাকে ভাঙতে দেয় নি।কোনো না কোনো এক উপায়ে আমাকে শক্তি জুগিয়ে গেছে।জেনে, না জেনে আমাকে শক্তি দিয়ে গেছে।আমি সত্যিই এমন একজনকে পেয়েছি যে আমার খেয়াল একদম তোমার মতো রাখে।তাই তুমি একদম চিন্তা করো না আমি একদম ঠিক আছি।
আমি দাদুমের সাথে কথা বলছি এমন সময় পেছন থেকে আলো ডাক দিলো।

আম্মু আমান কাদঁছে।ওর খিদে পেয়েছে আব্বু বলছে তোমাকে যেতে!(আলো)

আসছি মা।তুমি যাও(আমি)

দাদুম।ওকে চিনতে পেরেছো? ও আমার বড়ো মেয়ে আলো নয় বছর হয়ে গেছে ওর।দেখতে দেখতে অনেক বড়ো হয়ে যাচ্ছে তাই না।আর আমান কে জানো?আমার ছেলে। যার নাম আমি তোমার নামেই রেখেছি। ওর বয়স দেড় বছর।আমি ছাড়া কিছু বুঝে না।যেমন আমি তুমি ছাড়া কিছু বুঝতাম না ঠিক তেমন।সাগর ভাইয়ার যমজ ছেলে হয়েছে ওদের বয়স পাঁচ বছর।বড়ো ছেলের নাম আহান ছোটো ছেলের নাম মিহান।খুব শান্ত শিষ্ট।দেখতে একদম সাগর ভাইয়া।আল্লাহ যখন দেন তখন সব কিছু উজাড় করে দেন।
সোনালী আপু এখন তার স্বামীর সাথে বিদেশে।উনার একটা মেয়ে হয়েছে।কিছুদিন পরে দেশে আসবে।মা বাবা এখনও ঝগড়া করে।আর সব সময়ের মতো মাই জিতে আর বাবা হার মেনে যায়।আমরা সবাই নিজেদের জীবন নিয়ে অনেক সুখে আছি দাদুম।


আমি দাদুমের কবর জিয়ারত করে।বাড়িতে এসে দেখি সবাই বাগানে পাটি বিছিয়ে বসে পিকনিক করছে।সাগর ভাইয়া,,আলো,,আহান,,মিহান আর বাবা বোলিবল খেলছে।সমুদ্র বসে বসে আমানকে শান্ত করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না অবশেষে হেরে মিতু ভাবীর কাছে দিলো।উনিও চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।তারপর মা ওকে কোলে নিলো যদিও একটু শান্ত হয়েছে তবুও একটু একটু কেঁদেই চলেছে।
মিতু ভাবী সবার খাবারের আয়োজন করছে।সমুদ্র গিয়ে বোলীবল খেলতে শুরু করলো।

মা আমানকে কোলে নিয়ে বলছে
কই ফুল আয় আয়।

আমিও হাসি দিয়ে তাড়াতাড়ি আমার বাবাটার কাছে গেলাম।
কই আমার বাবাটা।
বলেই আমি আমানকে কোলে নিলাম।

ছোটো আম্মু ভাইয়া না অনেকক্ষন ধরে কাদছিল!(আহান খেলা রেখে আমার কাছে এসে)

তাই নাকি বাবা!(আমি মুচকি হেসে)

হুম।কিন্তু ভাই কেনো কান্না করছিলো?(মিহান)

তোমরা ভাইকে রেখে খেলছো যে এই জন্য।(আমি)

কিন্তু ভাই তো আমাদের সাথে খেলতে পারে না(আহান)

কে বলেছে খেলতে পারে না।ফুল ওর খাওয়ানো শেষ?(সমুদ্র)

হুম।(আমি)

তাহলে দাও আমাকে।
বলেই সমুদ্র আমানকে কাধে তুলে নিলো।পরেই গিয়ে ওদের সাথে খেলতে শুরু করলো।সাথে বাবা সাগর ভাইয়া সবাই যেনো বাচ্চাদের সাথে বাচ্চা হয়ে গেছে।

আমি দেখে হাসছি।এইটাই তো আমার পরিবার।
হয়তো কোনো এক জায়গাতে দাদুম,তোমার জন্য এখনও শূন্যতা অনুভব করি।তবুও তুমি দেখছো তো দাদুম আমি অনেক সুখে আছি।অনেক সুখে আছি।

………………………….#THE_END……………………………
শেষ হলো আমার আরেকটা গল্প।ভিলেন ছাড়া আমি গল্প লিখতে পারবো ভাবি নি।তাই এই গল্প দিয়ে নিজের উপর experiment করলাম।জানি না কতোটুকু সফল হয়েছি তাতো আপনাদের উপর নির্ভর করে।যদিও আপনাদের সাপোর্ট পেয়েছি বলে কন্টিনিউ করছি।।এখন নেক্সট গল্প কবে নিয়ে আসতে পারবো জানি না।ততক্ষণ খোদা হাফেজ,টাটা,bye bye 🤗🤗 ভালো থাকবেন সবাই।আর হ্যা!এইবার বলবো না যে ভুলে যাবেন না।এইবার দেখবো কে কে আমাকে মনে রাখে😝।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here