এক_কাপ_ঠান্ডা_কফি! [পর্বঃ-০৪]

#এক_কাপ_ঠান্ডা_কফি! [পর্বঃ-০৪]
#সাজু_ভাই_সিরিজ।

– সাজু বললো, কিন্তু আমার ছবি সেখানে কি করে পাওয়া যাবে। র মৃত মেয়েটা কে?

– সেটা আমারও প্রশ্ন। আমি ওসি সাহেবকে সব বলেছি। তাকে বলেছি যে ছবিটি আমার গোয়েন্দা বন্ধু সাজুর, কিন্তু তার ছবি এখানে কেন সেটা জানি না।

– তারপর ওসি সাহেব কি বললো?

– আমার ফোন নাম্বার রেখে দিয়েছে আর খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে ঢাকায় আসতে বলছে।

– আপনি সেই ওসি সাহেবের নাম্বারটা আমাকে যোগাড় করে দেন। আর আমি তো মংলার সেই বিয়ে বাড়িতে কাজি সাহেবের মৃত্যুর রহস্যের মধ্যে এসেছি। এখনো পর্যন্ত কারো সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি, সবটাই পাত্রের বড় দুলাভাইয়ের কাছে শুনেছি।

– সাজু ভাই।

– বলেন।

– আপনি খুব শীঘ্রই বড় কোনো ঝামেলায় পড়ে যাচ্ছেন এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। একদম সতর্ক হয়ে তারপর সবকিছু করবেন।

– ঠিক আছে ভাই।

কলটা কেটে দিল সাজু ভাই। সকাল থেকে দেখা সন্দেহের সেই লোকটার কথা কাউকে বললেন না।
তার মনে হচ্ছে এখনই সেই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে একটু কথা বলা দরকার। কিন্তু দারোগা সাহেবের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তিনি এখন সেখানে কিছুতেই যেতে চান না।

এমন সময় দারোগা সাহেবকে চিৎকার করতে শোনা গেল। তিনি দ্রুত কনস্টেবলকে বাইক বের করতে হুকুম দিচ্ছেন। সাজু একটু এগিয়ে যেতেই দারোগা বললো,

– সাজু সাহেব, কোই আপনি?

– জ্বি স্যার বলেন।

– আমরা এখনই কুসুমপুর গ্রামে যাবো, আপনি যাবেন নাকি?

– কুসুমপুর মানে সেই ঘটনাস্থলে?

– জ্বি ভাই, ওখান থেকে কল এসেছে, একটা পুরনো বাগানবাড়িতে মানুষের লাশ পাওয়া গেছে। তবে লাশ পঁচে গন্ধ বের হয়ে গেছে, একটু আগে নাকি দুজন ব্যক্তি বাগানবাড়ির ভিতরে গিয়ে গন্ধ পেয়ে সেটা দেখতে পেয়েছে।

– বলেন কি? চলুন তাহলে।

———-

কিছু বিষয় ক্লিয়ার করা উচিৎ।

বিয়ে বাড়িতে কাজি সাহেবের মৃত্যু যেদিন হয়েছে তার ঠিক পরদিন ঢাকা শহরে সাব্বির ও তার বাবা একটা মেয়ের লাশ গুম করার কাজ পায়। আবার সেই ঘটনার দুদিন পর মানে বিয়ে বাড়িতে তিন দিন পর জানতে পারে সাজু ভাই। সেই হিসেবে সাজু ভাই এখন যে রাতে দারোগার সঙ্গে আছে সেটা হচ্ছে বিয়ের রাতের পরে চতুর্থ রাত।

তবে সেদিন রাতে সাব্বির যখন দরজা খুলে খুব তাড়াতাড়ি করে বের হচ্ছিল তখন একটা লোক যে সিঁড়ি চৌকিতে দাঁড়ানো ছিল সেটা সে বুঝতে পারে নাই। লোকটা কৌতূহল নিয়ে খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে তাকায়, আর ড্রইং রুমের মধ্যে সেই মেয়েটাকে পড়ে থাকতে দেখে।
এরপর তিনি দৌড়ে নিজের রুমে চলে গিয়ে থানায় খবর দিলেন। পুলিশ আসতে প্রায় ঘন্টা খানিক লেগেছিল, ততক্ষণে তিনি নিচে গিয়ে গেইটে অপেক্ষা করছিলেন।

ওসি সাহেব সরাসরি দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করে,

– আমাদের কল করেছিল কে?

– লোকটা এগিয়ে গিয়ে বললো, স্যার আমি কল করেছিলাম আপনাদের।

– ঘটনা কয় তলায়?

– তিনতলায় স্যার।

সবাই মিলে সিঁড়ি দিয়ে তিনতলায় উঠে গেল। লিফ্ট আছে ঠিকই কিন্তু দুদিন ধরে লিফ্টে একটা সমস্যার জন্য সেটা বন্ধ রয়েছে। আজও দিনের বেলা লিফটের লোকজন এসে কিছুক্ষণ মেরামত করে চলে গেছে। আগামীকাল ঠিক হবে বলে চলে গেছে তারা।
সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে সবকিছু বলছিলেন সেই চতুর্থ তলার লোকটা।

ওসি সাহেব প্রথমেই পুরো ফ্ল্যাটের ছবি তুলতে নির্দেশ দিলেন। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে কোনকিছু যেন বাদ না পড়ে এবং ডাবল ডাবল করে ছবি তোলা হয়। এমনই বললেন তিনি।

দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিয়ের পাত্রী। গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে যার ফলে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। পাশেই একটা বস্তা দেখতে পেলেন ওসি সাহেব। ছবি তোলা হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে তিনি বস্তাটা হাতে নিলেন। তারপর মৃত মেয়েটার দিকে কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইল। বাথরুমে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে অথচ সেখানে রক্ত থাকার কথা নয়।

ওসি সাহেব ভালো করে লক্ষ্য করেছেন বাথরুমে যে রক্ত সেটা অনেকটা জমাট বেঁধে গেছে। মনে হচ্ছে এটা আগের রক্ত, কিন্তু এই মেয়েটার নাকি অন্য কেউ ছিল সেটা বোঝার চেষ্টা করলেন।
ওসি সাহেব দ্রুত ফরেনসিক তদন্তের টিমকে খবর দিলেন, তারা এসে সকল আলামত সংগ্রহ করবে।

দুটো বেডরুম, দুটো বেলকনি, একটা ড্রইং রুম আর তার পাশেই একটা বাথরুম। দুটো বেডরুম এর মধ্যে একটাতে এডজাস্ট বাথরুম।

সবকিছু দেখার পরে যখন ফরেনসিক তদন্তের লোক এলো তখন তাদেরকে সবকিছু সংগ্রহ করার কথা বলে ওসি সাহেব নিচে নেমে আসে।

নিচে এসে দারোয়ানের কাছে বললেন,

– আজকে সারাদিন এই বাড়িতে কে কে প্রবেশ করেছে আর কে কে বের হয়েছে?

– স্যার সবার কথা তো মুখস্থ নেই তবে গেইটে সিসি ক্যামেরা আছে আপনি চেক করতে পারেন।

ওসি সাহেব আস্বস্ত হলেন। তারপর বললেন,

– বাহিরের অপরিচিত কেউ নিশ্চই এসেছে?

– জ্বি স্যার। লিফ্ট ঠিক করার জন্য লোক এসেছে আর সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে একটা গাড়ি নিয়ে ড্রাইভারসহ আরেকটা ছেলে ছিল।

– তারা কত তলার গেস্ট?

– তৃতীয় তলার।

– ওই বাসায় কে কে থাকতো?

– বেশিরভাগ সময় ফাঁকা থাকতো, ওই ফ্ল্যাটের মালিকের বাসা গুলশানে। তিনি ভালো দেখে ভাড়াটিয়া খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। মাঝে মাঝে তার মেনেজার এসে থাকতো, কখনো কখনো ম্যানেজার কল দিয়ে আমাকে বলতেন তার সিগনেচার নিয়ে একজন লোক আসবে বা দুজন লোক আসবে। এরাই থাকতো আবার চলে যেত।

– আজকে তেমন কোনো গেস্ট এসেছে?

– বিকেলের দিকে ম্যানেজার নিজে এসেছেন তার সঙ্গে একটা মেয়ে আর একজন তার সমবয়সী মানুষ ছিল।

– ” একটা মেয়ে? ” চমকে গেল ওসি সাহেব। ” সে কি বিয়ের পোশাক পরে ছিল? ”

– হ্যাঁ স্যার। তবে মাগরিবের কিছুক্ষণ পরপরই ম্যানেজার বেড়িয়ে গেল। আমাকে বললো একটা ছেলে আসবে তাকে যেন বাড়িতে প্রবেশ করতে দেই। আর ছেলেটা নাকি বাসার কিছু পুরনো জিনিসপত্র নিয়ে যাবে। তার কতক্ষণ পরে ওই ছেলেটা এলো, বিশ মিনিট পরে ম্যানেজারের সঙ্গে আসা সেই লোকটা একা বেড়িয়ে গেল।

– তারমানে তখন বাসায় ছিল ওই ছেলেটা আর আর ড্রাইভার?

– ড্রাইভার গাড়িতেই ছিল স্যার, পার্কিং করে।

– ছেলেটা কখন বেরিয়ে গেছে?

– এক দেড় ঘন্টা পরে।

– ওই ম্যানেজারকে কল দিয়ে এখনই আসতে বলো, বলো যে ওসি সাহেব ডেকেছে।

লাশ নামিয়ে আনা হয়েছে। যতকিছু আলামত দরকার মোটামুটি সবকিছুই নেওয়া হয়েছে। একজন কনস্টেবল এসে একটা ছেলের ছবি দিয়ে গেল। ছবিটি ড্রইং রুমে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের মধ্যে পাওয়া গেছে।

সুদর্শন যুবক, এলোমেলো চুল, মুখে সামান্য দাঁড়ি, কালো শার্ট, চোখে চশমা। ছবিটা পেট থেকে উপরের দিকটা দেখা যাচ্ছে, তাই উচ্চতা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতে করে ছেলেটাকে সবদিক থেকে পারফেক্ট একটা মানুষ মনে হচ্ছে। কিন্তু চেহারা রোগাভাব স্পষ্ট।

– স্যার ম্যানেজার সাহেবের মোবাইল বন্ধ।

দারোয়ানের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ওসি সাহেব। তারপর নিজের পুলিশের মধ্যে একজনকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থানায় নিয়ে যাবার হুকুম দিলেন। দারোয়ানকে আপাতত আর ডিউটি করতে হবে না, দুজন পুলিশ সেখানে দাঁড় করানো হয়েছে।

ফ্ল্যাটের মালিকের নাম্বার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল ওসি সাহেব। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চারিদিক বোঝার চেষ্টা করছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেক কিছু পাওয়া যাবে এমন আশাবাদী তিনি। তবে যা কিছু ঘটেছে সেটা যে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরোপুরি হয়নি সেটা সে নিশ্চিত। এতটা কাঁচা কাজ কেউ খুনের সময় করতে পারে বলে তার ধারণা ছিল না।

|

সাব্বির যদি নার্ভাস হয়ে মেয়েটার লাশ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতো তাহলে এমন ঝামেলা সৃষ্টি হতো না। চুপচাপ মেয়েটাকে নিয়ে সে যদি বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত তাহলে ঘটনা এভাবে পুলিশ জানতে পারতো।

কিন্তু সাব্বির যখন তার বাবার কাছে কল দিয়ে পালিয়ে গেল। তখন সেই বাথরুমের ছাঁদে বসে থাকা লোকটা দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন। লাশটা নিয়ে চিন্তা না করে তিনি দ্রুত নিজের পকেট থেকে একটা ছবি বের করে সেটা ড্রইং রুমের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন। তারপর দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে ফাঁকা সিঁড়ি দিয়ে বের হয়ে যায়। নিচে নেমে সিড়ির পিছনে বিদ্যুৎ এর মেইন সুইচ বন্ধ করেন। দারোয়ান তখন জেনারেটর চালু করতে গেলে লোকটা দ্রুত বেরিয়ে যায়।

কিছুদিন আগে একসঙ্গে দুটো কাজ হাতে পায় ওই লোকটা। সাজু নামের এক গোয়েন্দাকে খুন করতে হবে, আরেকটা প্রস্তাব আসে বাগেরহাটের মংলায় এক মেয়েকে খুন করতে হবে।

খবর নিয়ে জেনেছিল সাজু ভাই নামের সেই ছেলে তখন খুলনায়। আবার মেয়েটার বাসাও মংলা, তাই দুটো কাজ একসঙ্গে করার পরিকল্পনা করে এই লোক।

মেয়েটাকে খুন করে সেখান থেকে খুলনা যাবে। তারপর সাজুকে খুন করে ফিরে আসবে ঢাকায়। কিন্তু বিয়ে বাড়িতে যেতেই ঢাকা থেকে কল গেল মেয়েটাকে জীবিত নিয়ে আসতে হবে। টাকার প্রস্তাব দিগুণ করা হয়েছে তাই সে বাগানবাড়ি থেকে মাহিশাকে নিয়ে চলে এসেছে ঢাকায়।

সাজুর বিষয়টা নিয়ে পরে চিন্তা করবে বলে আগে এটা নিয়ে কাজ করে। মাহিশাকে এই বাসায় নিয়ে আসার সময় সেই গাড়িতে এই ভাড়াটে খুনিও ছিল। ম্যানেজার গাড়ি থেকে নেমে দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর তখনই মাহিশাকে নিয়ে উপরে উঠে যায় সাব্বিরের বাবা। কৌশলে পেটে পিস্তল ধরে তাকে কোনরকম শব্দ করতে নিষেধ করার কারণে দারোয়ান কিছু বুঝতে পারে নাই। কথার শেষের দিকে দারোয়ান এর পকেটে একটা হাজার টাকার নোট দিয়ে ম্যানেজার উপরে চলে যায়।

ভাড়াটে খুনি ভেবেছিল মেয়েটাকে খুন করার পিছনে ম্যানেজার আছে। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছে এটা ম্যানেজার নিজেও অন্য কারো হুকুমে করছে।

মেয়েটার ঝামেলা শেষ। এখন যা হবে সবকিছু ওই ম্যানেজার বুঝবে, তবে সুযোগ পেলে সাব্বিরের উপর খানিকটা প্রতিশোধ নেবার প্রতিজ্ঞা করে রাখলো ভাড়াটে খুনি। খুলনাতে সাজুর পিছনে দুটো লোককে সবসময় নজর রাখতে বলা হয়েছে। আপাতত সে তার দ্বিতীয় কাজের প্রতি মনোযোগী হতে চায়।
ইচ্ছে করেই সাজু ভাইয়ের ছবিটি সে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে এসেছে। লোকটা যদি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকায় আসে তাহলে তার জন্য কাজটা সহজ হবে। পুলিশও ওই ছবিটি নিয়ে একটা চক্করের মধ্যে পড়বে। আইনি লোকদের এভাবে বোকা বানাতে তার অনেক ভালো লাগে।

★★

দারোগার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাইক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সাজু ভাই। বাগানবাড়ির সামনে এসে তারা দেখতে পায় গ্রামের অনেক মানুষ সেখানে জমা হয়ে গেছে। এতো রাতে গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে বের হবার নয়, কিন্তু লাশের কথা শুনে সবাই যেন আতঙ্কিত। সকলের ধারণা হচ্ছে এটাই হয়তো মাহিশার লাশ, আর সেজন্যই কৌতূহল বেশি।

পকেট থেকে মোবাইল বের করলো সাজু ভাই। ঢাকা থেকে সাইফুল ইসলামের তিনটা মিসকল ও একটা মেসেজ।

” আপনার যে ছবিটি ওই বাড়িতে পাওয়া গেছে সেটা আপনার হোয়াটসঅ্যাপ এ দিলাম! ”

সাজু সেখানে দাঁড়িয়েই ডাটা চালু করলো, যদিও সামান্য নেটওয়ার্ক সমস্যা তবুও একটু পরেই সে কানেক্ট পেল। হোয়াটসঅ্যাপ এ ছবিটা দেখা আকাশ থেকে পড়ার মতো অবাক হয়ে গেল সাজু ভাই।

ছবিটি চট্টগ্রামে তোলা। রামিশার সঙ্গে ঘুরতে যাবার পরে রামিশা নিজেই এই ছবিটি তুলেছিল। বহুবার সে রামিশার মোবাইলের ওয়ালপেপারে এই ছবিটি দেখেছে। রামিশা তাকে বলেছিল এটাই নাকি তার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

কিন্তু সেই ছবি ঢাকায় ওই ফ্ল্যাটে কীভাবে গেল বুঝতে পারছে না সাজু ভাই। এই ছবিটি তার নিজের কাছেও নেই, শুধুমাত্র রামিশার কাছে এই ছবিটা আছে।

এতক্ষণে চমকে গেল সাজু। দারোগা সাহেব ও গ্রামের সবাই চলে গেছে বাগানবাড়িতে। ছবির দিকে তাকিয়ে সে অনেকটা পিছনে পড়ে গেল। নিস্তব্ধ রাতের আঁধারে সে কার যেন কথা শুনতে পাচ্ছে। কেউ একজন মোবাইলে বলছে,

” এখনো আমি তার কাছাকাছি আছি, আপনি তো বলেছিলেন নিজের হাতে কাজটা করবেন। আর নাহলে তো থানার সামনেই তাকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারতাম। আপনি যদি হুকুম করেন তাহলে আমি এই রাতের মধ্যেই তাকে লাশ বানিয়ে ঢাকায় রওনা দিতে পারি। ”

আচমকা বন্ধ হয়ে গেল কথাটা। সাজু অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে, সামনের দিকে অগ্রসর হতে পা বাড়াতে পারলো না। লোকটা কি এখনই তাকে গুলি করবে নাকি, কার সঙ্গে কথা বললো সে?

এতটুকু ভাবতেই অন্ধকার থেকে একটা কণ্ঠ শুনে চুপসে গেল সাজু। লোকটা বলছে,

– দুহাত উপরে তুলে সোজা দাড়িয়ে থাকো নাহলে কিন্তু এখনই গুলি করে দেবো। কোনরকমে কথা বলার চেষ্টা করবে না।

চলবে….

আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই রেসপন্স করে উৎসাহী করবেন। সাজু ভাইয়ের এখন কি হবে, সেই বিষয়ে জানতে ভুলবেন না। আর বিশেষ করে মেডাম আজকে একটা মন্তব্য করিবেন।

লেখাঃ- সাইফুল ইসলাম সজীব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here