এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা ২০.

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
২০.
#WriterঃMousumi_Akter

পূবালি হাওয়াতে চুল গুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে, কখনো নিজের চোখে মুখে তো কখনো বিহান ভাই এর চোখে মুখে।মনের মাঝে ভীষণ ভালো এক অনুভুতি কাজ করছে। এই মুহুর্তে একটাই গান মনে পড়ছে এই পথ যদি না শেষ না তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।কিন্তু উনাকে বলা যাবে না।উনার মনে এক মুখে আরেক।আমি কখনোই আর উনাকে কিছুই বলবো না।

বাইকে বসে থাকতে থাকতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেলো আমার তবুও পথ ফুরাচ্ছিলো না।এত স্লো কোনো মানুষ বাইক চালায়৷ বাবাহ!এর চেয়ে হেঁটে গেলে আরো অনেক আগেই যেতে পারতাম।খুবই বিরক্তি শুরু হয়ে গেলো আমার।এমনি তে সব কিছুতে ধৈর্য কম আমার।

সামনে দিয়ে যাওয়া একটা লোককে ডেকে বললাম,”এই যে কাকু আপনার সাইকেলে আমাকে একটু লিফট দিবেন।”

লোকটি উত্তর দিলো,,” কেনো দিদি আপনি তো বাইকে যাচ্ছেন কোনো অসুবিধা হয়েছে নাকি।”

“হ্যাঁ আমাকে একটু দ্রুত যেতে হবে তাই আপনার কাছে লিফট চাইছি দিবেন।”

“লোকটি যেনো আশ্চর্য বনে গিয়ে বললো বাইক ছেড়ে কেউ বাই সাইকেলে দ্রুত যাওয়ার জন্য লিফট চায়।আগে তো দেখি নি এই প্রথম দেখলাম।”

“বিহান হুট করেই বাইক দাঁড় করিয়ে বললেন,ভাই আপনি যান শি ইজ ড্যামন ম্যাড মানে রিসেন্টলি পাবনা ফেরতে।তার কথায় কান দিলে আপনি ও পাগল হয়ে যাবেন।”

“লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,কি বলেন দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না।খুব অবাক লাগছে।”

বিহান ভাই বলেন,আমার ও খুব অবাক লাগছে কেউ কাকু ডাকলে তাকে কেউ দিদি ডাকে।লোকটা বোধহয় লজ্জা পেয়ে গিয়েছে রে।

বিহান ভাই উনাকে যেতে বলে আমার দিকে তাকালেন। আমার চোখ মুখের সাথে লেপ্টে থাকা চুল গুলো সরিয়ে কানের সাথে গুজে দিলেন।আমি ফুঁসে উঠে বললাম,’আমাকে আবার পাগল বললেন।’

‘ উনি হেলমেট টা খুলে চুল একটু হাত দিয়ে ঠিক করে মাথা একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন,পাগলি ছাড়া কি তুই।তুই এমনি পাগলি এই পাগলি পাগলি স্বভাব গুলা দিয়ে মানুষ কে পাগল বানিয়ে ফেলতে পারিস।ছেলেদের হার্ট এ ইনফেকশন করতে পারিস।রাস্তা ফুরিয়ে যাবে তাই আস্তে ধীরে চাল্লাচ্ছি। ‘

উনার এই কঠিন কথা বুঝবো না জানি।চুল গুলো উড়ছিলো বলে খোপা করতে গেলাম। বিহান ভাই বললেন,খোলা চুল ই থাক।বাইকের আয়নাতে খোলা চুলে তোকে আরো সুন্দর লাগছে। এলো কেশে ঝড়ের বেশে হার্ট এট্যাক এর লক্ষণ আছে পিচ্চি।

উনি আবার বাইক চালানো শুরু করলেন।খুলনা শহরে ঢুকতেই একটা ফুলের গলি দেখলাম। যেখানে শুধু ফুল আর ফুল।এক ভাবে তাকিয়ে রইলাম বেলি ফুলের মালার দিকে।যা আমার প্রাণ কাড়ে সব সময়।সাদা ফুল মানেই আমার কাছে মুগ্ধ করার মতো কিছু।ইস আম্মু বা শুভ ভাইয়া থাকলে আমি বলতে পারলাম একটা ফুলের মালা কিনে দাও।দুঃখী দুঃখী মন নিয়ে বাইকে বসে রইলাম।হঠাত দেখি বিহান ভাই বেলি ফুলের দোকানের কাছে গিয়ে বাইক টা দাঁড় করালেন খুব অবাক হলাম আমি উনি এখানে বাইক দাঁড় করালেন কেনো?

আমি কিছু না বলে চুপ হয়ে বসে রইলাম।দেখি উনি করেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

“দোকানদার কে প্রশ্ন করলেন ফুলের মালা গুলোর প্রাইজ কত?”

“দোকান দার বললো ২০০ করে?”

“বিহান ভাই বললেন মাত্র ২০০”

“দোকান দার আবার উত্তর দিলেন এটা তাই কেউ দিতে চায় না।”

“বিহান ভাই বললেন ‘এই ফুলের দাম অমূল্য হওয়া উচিত ছিলো। কেননা এই ফুল পছন্দকারিনী মহিলা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর মহিলা।এই ফুলের মালা যার গলায় যাবে সেই গলা অমূল্য দামী।এই ফুলের গাজরা যার চুলে যাবে সেই চুলের মোহে আকৃষ্ট আমি।”

“দোকানদার বললো,আজ ই বাসায় গিয়ে বউ কে একটা ফুলের মালা দিয়ে বলবো? ”

“বিহান ভাই বললেন কি বলবেন?”

“ওই যে আপনি যা বললেন তাই।”

পাশ থেকে একজন মহিলা বলে উঠলো,তোমার মতো কিপ্টার সাথে বিয়ে হয়ে জীবনে কিছুই পেলাম না।বাবা বিদেশী টাকাওয়ালা দেখে বিয়ে দিয়েছে এমন বুইড়া তুমি না আছে কোনো রোমান্টিকতা।দেখো ওই ভাই টা তার বউ কে কত ভালবাসে।বউ টা বাইকে চুপ হয়ে বসে আছে আর উনার হজবেন্ড কি সুন্দর উনার বর্ণনা দিচ্ছেন।

আমি মহিলাটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলাম।মানুষ কত টা ভালবাসার পাগল তাইনা।?বিহান ভাই কি তাহলে পারফেক্ট মানুষ দের মাঝেই পড়েন।আমি যেখানে অসহ্য মানুষ বলে ভাবি সেখানে কেউ উনার মতো মানুষ পাওয়ার জন্য আফসোস করছে।

বিহান ভাই আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললেন, দেখ উনি তোকে আমার বউ ভাবছে।তুই রেগে গেলি না যে।

আমি বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম,ওই মহিলাকে উনি বলছেন কেনো?এটা আমি আপনাকে বলি।এই উনি ডাক টা শুধুই আমার।একান্ত ব্যাক্তিগত আমার কাছে।

বিহান ভাই এর চোখে মুখে রাগের কোনো চিহ্ন নেই।বেলি ফুলের মালা নিজেই আমার গলায় পরিয়ে দিলেন।সাথে সুন্দর একটা গাজরা ও দিলেন।গাজরা পরানোর সময় উনার হাতের আলতো স্পর্শ ঘাড়ে লাগতেই শিউরে উঠলাম আমি।এমন শিহরণ আগে কখনো অনুভব হয় নি।বিহান ভাই কে বললাম,, আমি মনে মনে এটা চাইছিলাম কিভাবে বুঝলেন।বিহান ভাই নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বললেন,,বাইকের আয়নায় দেখছিলাম তোর নজর কোনদিকে।এখান চুপটি মেরে দাঁড়া কোথাও যাবি না কিন্তু।দেখা গেলো পুচকি মানুষ আবাফ হারিয়ে যাবি।একদম ই কোথাও যাবি না।দোকানদার কে আমাকে দেখিয়ে বললো,ভাই এই পিচ্চি টাকে একটু দেখে রাখবেন তো।আমি জাস্ট ২ মিনিটে আসছি।আমি কি এতই ছোট একটা লোক কে পর্যন্ত দেখিয়ে গেলো আমি যেনো হারিয়ে না যায়।এগুলা মেনে নেওয়া যায়।

আমার হঠাত খেয়াল হলো একটা মেয়ে আমার দিকে ভয়ানক অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।কারণ কি?কিছুই বুঝলাম না।কে এই মেয়ে ফুলের দোকানে ফুলের অর্ডার করতে এসছে।মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর কিন্তু তার চোখে মুখে ভীষণ রাগ।মনে হচ্ছে এক্ষুণি আমাকে গিলে ফেলবে।মেয়েটির চাহনি তে বেশ ভয় ই লাগছে আমার।মেয়েটির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার দিকে। কি অদ্ভুত ব্যাপার।আমার সন্দেহ ঠিক হলো।

“আমাকে সরাসরি প্রশ্ন করলো এই মেয়ে নাম কি তোমার?”

“জ্বী দিয়া।”

“তোমার মাথায় ফুল পরিয়ে দিচ্ছিলো ছেলেটা কে?”

“জ্বী উনি মানে?”

“কি ব্যাপার এত উনি উনি করছো কেনো?”

“আমি তো উনাকে উনি ই ডাকি।”

“নেক্সট থেকে আর উনি ডকবা না।মেয়েরা উনি ডাকে তার ভালবাসার মানুষ কে।লজ্জায় নাম বলতে পারে না তাই।নেক্সট আর উনি ডাকবা না।কে হয় উনি তোমার?”

“আমার মামাতো ভাই?”

“সম্পর্ক টা ভাই বোনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখো সেটাই উত্তম হবে।”

“আপনি কে বলুন তো এমন উদ্ভট কথা বলছেন।আর উনাকে নিয়ে আপনার এত মাথাব্যাথা কেনো?”

“তুমিই সেই দিয়া তাইনা?বিহানের পিচ্চি।তোমাকে দেখার অনেক শখ ছিলো। ”

“সরি! বুঝলাম না আপনার কথা।”

“এরই মাঝে বিহান ভাই উপস্হিত।বিহান ভাই কে দেখে বিহান ভাই এর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম।উঁকি দিয়ে বললাম দেখুন না বিহান ভাই উনি কেমন করছেন। কে উনি?”

“বিহান ভাই মেয়েটির দিকে রাগান্বিত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বললেন,, হোয়াট দ্যা হেল।ভুলেও পিচ্চির সাথে বাজে বিহ্যাভ এর ট্রাই করবি না।পিচ্চি টা মনে হয় ভয় পেয়েছে।”

“আমি বিহান ভাই কে বললাম,কে উনি?আর ওই মেয়ে আমার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করলো।এর কইফত দিতেই হবে।”

“বিহান ভাই আমাকে জোরপূর্বক বাইকে উঠিয়ে বলেন,,মেয়েটি পাবনা থেকে এসছে।কোনো মেন্টাল হবে হয়তো।আর তুই পুচকি মানুষ এত কিছু সিরিয়াস নিস ক্যানো?কোথায় রাস্তায় কে কি বললো সেটা নিয়ে পড়ে আছিস।”

“বিহান ভাই কে বললাম,আজ কয়জন কে পাগল বানালেন বিহান ভাই।”

“একদম চুপ হয়ে বসে থাক তো।এত কথা বললে,গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে।এমনি তোর জন্য ২ লিটার তেল বেশী খরচ হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে তেলের টাকা আর ভাড়ার টাকা দিবি।”

“আমি কি সেধে আপনার বাইকে উঠছি যে ভাড়ার টাকা দিবো।”

“এগুলা তো দিবিই সাথে আমার লিপের যে বারোটা বাজাইছিস তার সুধ আসল দিবি।”

“কিভাবে দিবো শুনি?”

“সেটা আমি আদায় করে নিতে পারবো?তুই কি ভেবেছিস আমি ভুলে গিয়েছি দেখ না কি করি তোকে।”

এই পড়লাম আবার চিন্তায় আবার কি করবেন উনি। কিন্তু মেয়েটা কে ছিলো। মেয়েটা তো বিহান ভাই কে চিনে।বিহান ভাই এড়িয়ে গেলো কেনো?মেয়েটা বিহান ভাই এর পরিচিত।কি লুকালেন উনি বুঝলাম নাতো।উনার কাছে জানতে চাইলেও বলবে না আমাকে।

বিভা আপুদের বাসায় পৌছে গেলাম।আম্মু রা আগেই পৌছে গিয়েছে।আপু সব খাবারের আয়োজন করছে সবাই খেলেও বিহান ভাই খেতে পারছে না কারণ কেউ জানে না।খাবে কিভাবে আমাকে পাগল বলাতে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছি।।

বিহান ভাই বিভোর ভাই কে বললেন,হোয়াট অজ ইওর ফিলিংস বিভোর।বাসে তো একবার খেয়েছিস এখন আবার খাচ্ছিস বাহ ভাই বাহ।

বিভোর ভাই মুখে কথা না বলেই উনার বিরক্তি প্রকাশ করলেন।

বিভা আপু বিহান ভাই খাবার না খাওয়ায় আস্ক করলে বললো তার ঠোঁটে কামড় লেগেছে।সবার খাওয়া হলে নাকি বলবে কিভাবে কামড় লেগেছে।আমার দিকে তাকিয়ে বললো দিয়া বলবো নাকি।

“ওহ মাই গড! মান সম্মান যা আছে সব শেষ।উনার দ্বারা কিছুই সম্ভব নয়। সবাইকে বলেও দিতে পারে।”

“উনার ফোনে মেসেজ করলাম না প্লিজ বিহান ভাই।কাউকে বইলেন না কিছু।”

“না বলবো না বাট আমার শর্ত আছে মেনে নিলে রাজি আছি।”

“এক বাক্য মেনে নিলাম উনার শর্ত।”

বাইক নিয়ে সবার আগে পৌছে গেলাম আমি আর বিহান ভাই।মাত্র সন্ধ্যা নেমেছে ধরনীতে।সূর্য মামা কেবল ই ডুব দিয়েছে পশ্চিম আকাশে।সূর্যের ললাট রূপ এখনো আকাশে ছড়িয়ে আছে।খুব বেশী মেঘ নেই তবে এই অসময়ে মনে হচ্ছে এক্ষুণি বৃষ্টি নামবে।ভাবতে ভাবতেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু।যে বৃষ্টিতে প্রচুর ভিজলাম আমি।কারণ আমি যে প্রচুর বৃষ্টিবিলাসী।বৃষ্টি দেখলে আমার পাগলামি ভীষণ ভাবে বেড়ে যায় এটা বিহান ভাই ও জানেন।বিহান ভাই দের বাড়িতে পৌছে ভরা সন্ধ্যায় এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা পেলাম।ছাদে গিয়ে আকাশে দু’হাত মেলে দিয়ে নিজের মন মতো ভিজলাম। বৃষ্টি হলেই ময়ূরের মতো পেখম মেলে নাচতে ইচ্ছা করে আমার।যেটা আমি সব সময় করে থাকি।ভিজতে ভিজতে দেখি বিহান ভাই ছাদে এসে দাঁড়ালেন।

বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম,

“কি হয়েছে বিহান ভাই বকবেন ভিজেছি বলে। ”

“উহু আমিও ভিজবো।তুই সব সময় ভিজতে ভালবাসিস ভাবছি এখন থেকে আমিও অভ্যাস করবো”

বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে প্রচুর হাসছিলাম আমি।আমি বুঝে গেছিলাম আজ কিছুতেই বকবেন না আমায়।

বিহান ভাই ধীরে ধীরে আমার কাছে চলে আসেন।উনাকে আজ অনেক চেঞ্জ লাগছে।সেই রাগি রাগি ভাব মোটেও নেই।

“কি কিছু বলবেন বিহান ভাই!

“হুম বলবো।”

“কি বলবেন।”

“তুই বুঝিস না কি বলতে চাই আমি।”

“না নাতো”

“তখন যেটা করেছিস সেইম কাজ টা আমিও করলে বুঝবি পিচ্চি।একজন হার্টের ডাক্তার কে হার্টের রুগি বানিয়ে ফেলেছো তুমি।”

বিহান ভাই আমার কাছে এসে এক হাত আমার ডান গালে আরেক হাত মাথার পেছনে দিয়ে অন্য রকম চাওনি তে আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন।

অজান্তে লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে গেলো আমার।উনি আলতো পরশে ওষ্টর সাথে ওষ্ট মেলালেন।জাস্ট স্পর্শ করেই ছেড়ে দিলেন।সেটা এক সেকেন্ড থেকে দুই সেকেন্ড হবে।

মনে হলো সমস্ত শরীরে বিদ্যুত চমকে উঠলো।আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম উনার দিকে।

উনি নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বলেন,বোঝে না সে বোঝে না পিচ্চি কে বুঝাতে আমার এত আয়োজন।পিচ্চি তাও বোঝে না কিছু।

উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,তখনের শোধ নিলেন তাইনা।কিন্তু আমি তো ব্যাথা দিয়েছিলাম।কামড়ে ব্যাথা পেয়েছিলেন আমাকে ব্যাথা দিলেন না ক্যানো?

উনি হালকা হেসে বললেন,কারন হলো…
বলেই গান শুরু করলেন,,,

Dua bhi lage na mujhe
Dawa bhi lage na mujhe
Jabse dil ko mere tu laga hai

Neend raaton ki meri
Chaahat baaton ki mari
Chain ko mere toone yun thaga hai

Jab saansein baroon main band
Aankhein karun main
Nazar tu yaar aaya kar

Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya
Oh yaara

Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya

Oh yaara
Har roz puchhein yeh hawayein
Hum to bata ke haare
Kyun zikar tera karte hain
Humse taare

Har roz poochhein yeh hawayein
Hum to bata ke haare
Kyun zikra tera karte hain
Humse taare

Ab is se hain tere in

Hothon pe mere izhaar aaya yaara
Dil ko karar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya
Oh yaara…

(পাঠক গন ভাল লাগলে কমেন্টে জানিও।চেষ্টা করবেন সবাই শেয়ার দিতে।আর রেসপন্স করতে।গল্পে রেসপন্স থাকলে লেখার আগ্রহ বাড়ে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here