এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা ৪২.

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৪২.
#WriterঃMousumi_Akter

আম্মুর ভীষণ গুরুগম্ভীর ভাবে ভাইয়া চিন্তিত।ভাইয়া একটু ভয় ও পাচ্ছে।ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া আম্মু সব টা জেনে গিয়েছে তুমি আম্মুকে জানিয়ে দাও সব কিছু।আজ মেজ কাকি এসে বাজে কথা শুনিয়ে গিয়েছে।ভাইয়া কথাটা শুনেই রেগে গেলো।দিয়া ওই মহিলার সমস্যা কি?এমনিতেও সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই উনার।আম্মুকে বাজে কথা বললে আমি কিন্তু এবার খারাপ কিছু বলে ফেলবো।ভাইয়া কে বললাম তুমি আগে যাও আম্মুর কাছে,আম্মুকে শান্ত করো।ভাইয়া টেনশন নিয়ে আম্মুর কাছে গেলো আর অপরাধী মুখ করে বললো,কি হয়েছে আম্মু তোমার।কথা বলছো না কেনো?আম্মু প্লিজ বলো কি হয়েছে।

“আম্মু কিচেনে প্লেট গোছাতে গোছাতে বললো,আচ্ছা আমার তোদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা কি ভুল হয়েছে শুভ।দিয়া খামখেয়ালি ভাবে চলে। মন দিয়ে বই পড়ে না।বই ঠিক ভাবে পড়লে ঠিক ই কোথাও চান্স পেতো।”

“আহা! আম্মু সামনে আবার এক্সাম দিবে। ও ঠিক ই পারবে তুমি প্লিজ ভেঙে পড়ো না।”

“আর তুই? তুই কি কম শুভ।তোর মেজ কাকি আমাকে যা তা ভাবে অপমান করে গিয়েছে।মেহুর সাথে কি রিলেশন তোর।তোর কাকি যা বলেছে তা কি ঠিক।”

“আম্মু তোমাকে আমি মিথ্যা বলবো না।মেহুকে আমার খুব পছন্দ হয়।আর মেজ কাকি বলতে গেলে সব জিনিস খারাপ ভাবে বলে তুমি তো জানোই।উনার কথা কানে নিও না।”

“নিজেদের মাঝে এগুলা কি ঠিক হবে। তোর বাবা এটা কিছুতেই মেনে নিবেন না।নিজেদের মাঝে আত্মীয়তা হলে অনেক ঝামেলা হয়।”

“কিছুই হবে না আম্মু।তুমি ভেবো না আম্মু।আর মেজ কাকিকে কিন্তু আমি আর সম্মান দিতে পারবো না।আমার আম্মুকে কিছু বললে সেটা আমি মেনে নিবো না।”

“ভুলেও ওই মহিলার সাথে কথা বলতে যাস না।ওর মুখে কিছুই আটকায় না।কি থেকে কি বলবে।তুই আমাকে কি চিন্তায় ফেলে দিলি।কি থেকে কি হবে সেই চিন্তা হচ্ছে।”

“আম্মু তোমার ছেলে কি এতটায় খারাপ।। মেহু কেমন মেয়ে তুমি তো জানোই আম্মু।”

“মেহুর মতো মেয়ে আজকাল পাওয়া যায় না।তোদের যখন পছন্দ আমি আর আপত্তি করবো কেনো কিন্তু তোর বাবা।”

ভাইয়া আম্মুকে মানিয়ে নিলো কোনোভাবে।জিনিস টা দেখে খুব ই ভাল লাগলো।


মন টা বড্ড খারাপ।অতিতের স্মৃতি ভবিষ্যত এর চিন্তা সব কিছুর মাঝে পড়ে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।এই মুহুর্তে আমি বোধহয় সবার কাছে অপ্রয়োজনীয় একজন মানুষ। বিহান ভাই এর মুখোমুখি কিভাবে হবো আমি।উনার অনেক স্বপ্ন ছিলো আমাকে নিয়ে।না জানি কত রেগে আছেন আমার উপর।নাকি এত আনন্দ উল্লাসের মাঝে আমার কথা খেয়াল ই নেই।সন্ধ্যার পরে বিছানায় সুয়ে বেড লাইট অন করছি আর অফ করছি বার বার।

“আননাউন নাম্বার থেকে ফোন এসছে প্রথম কল টা কেটে যেতেই পরের কল টা রিসিভ করলাম।কল টা হোয়াটস এপ্স এ এসছে।কল টা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একটা মেয়ে কন্ঠ হ্যালো বলে উঠলো। মেয়েটা কে জানিনা।নাম্বার টাও আগে দেখিনি।মিহি কন্ঠে বললাম কে বলছেন।ফোনের ওপাশ থেকে বলে উঠলো এই দিনটার জন্য ই অপেক্ষায় করছিলাম মিস দিয়া।”

“আমি আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করলাম কোন দিনটার জন্য?আর আপনি কে?”

“আমি প্রেয়সী বাংলাদেশের দশ জন ডাক্তারদের মাঝে আমি একজন।চিনতে পেরেছো।ওকে আরেকটু ক্লিয়ার করি বিহান এর পাশে যাকে ভীষণ সুন্দর মানায় আমি সেই।বিহান এখন যে স্টাটাস এর আমিও সেইম স্টাটাসের।আমি এবার ডাক্তারি পাশ করেছি দিয়া বিহানের সাথেই।দেখেছো নিশ্চয়ই আমাদের এক সাথের অনেক ছবি বেরিয়েছে।”

“ওহ ভালো তো।কনগ্রাচুলেশন আপু।”

“কোন ব্যাপারে কনগ্রাচুলেশন দিচ্ছো দিয়া।আমার আর বিহানের ব্রাইট ফিউচার এর জন্য নাকি আমাদের বিয়ের অগ্রিম শুভেচ্ছা।”

“দুঃখিত আপু আপনাদের বিয়ে সে কথা আমি জানিনা।আমার কানে সে খবর পৌছায়নি।বিহান ভাই আমাকে এখনো বলেন নি আপনাদের ব্যাপারে কিছুই।তাই আপাতত আপনাদের না শুধুই আপনার ব্রাইট ফিউচারের জন্য শুভেচ্ছা জানালাম।আর বিহান ভাই আমার জীবনের ব্যাক্তিগত পার্ট উনাকে কিভাবে শুভেচ্ছা জানাবো বা না জানাবো সেটা আমার ব্যাপার।আপনার আমার কাছ থেকে উনার জন্য শুভেচ্ছা চেয়ে নিতে হবে না।”

“এত কিছুর পর ও চ্যাটাং চ্যাটাং কথা কমে নি দেখছি দিয়া।তোমাকে বলেছিলাম না তুমি কখনো ডাক্তারি তে চান্স পাবে না।বিহান আর তোমার তফাত বরাবর ই ছিলো কিন্তু বিহান সেটা বুঝতো না।আই হোপ বিহান এখন সেটা বুঝতে পেরেছে।একজন মেডিকেল টপ করা ডাক্তারের ওয়াইফ জেনারেল এর সাধারণ একটা স্টুডেন্ট এটা বিহানের পক্ষে ভীষণ লজ্জাকর ব্যাপার হবে।তাই বিহান তোমাকে কখনো বিয়ে করবে না।দিয়া নিজের পজিশন বুঝে নিজের মতো কাউকে খুজে নাও তোমার জন্য বেটার হবে।বিহান আমাকে পছন্দ করে কিন্তু তুমি মাঝখানে আসাতে বিহান আমার কাছাকাছি আসতে পারে নি।”

“আপনার সাথে কি আমার কোনো শত্রুতা আছে প্রেয়সী আপু।আমি কি আপনাকে কোনদিন বলেছি বিহান ভাই এর সাথে আমার কিছু আছে।বা বিহান ভাই কে নিয়ে আপনাকে কিছু বলেছি।আমি তো জানি আপনি বিহান ভাই কে ভালবাসেন।বিহান ভাই মাসে হয়তো দুই একদিন নড়াইল আসেন আর বাকি টাইম তো আপনার কাছেই থাকেন।আমি কি কোনদিন আপনার কাছে ফোন দিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেছি বা বিহান ভাই কে নিয়ে কিছু বলেছি।বিহান ভাই যদি সারাবছর নড়াইল থাকতো আর দুই একদিন ঢাকা থাকতো তাহলে আপনি আমাকে আরো কত বাজে কথা শোনাতেন তাই ভাবছি।আপনাকে যখন লাইক করে তাহলে আমাকে ফোন দিয়ে এগুলা বলছেন কেনো?বিহান ভাই কে যা বলার বলুন। আপনারা প্রেম করবেন নাকি বিয়ে করবেন আমি কি জানতে চেয়েছি।আমি মেডিকেল এ চান্স না পাওয়াতে আপনি কতটা খুশি সেটা বোঝা যাচ্ছে।”

“অবশ্যই আমি খুশি। আমি রাত দিন এক করে প্রার্থনা করেছি তুমি যেনো চান্স না পাও।কারণ আমি জানতাম তুমি চান্স না পেলে বিহান তোমার থেকে সরে আসবে একটা সময়।”

“বিহান ভাই এর সাথে আমার কিছু আছে আমি বলেছি আপনাকে কখনো।”

“তুমি বলোনি কিন্তু বিহান বলেছে।আমার জীবনে অনেক গুলো রাত ঘুম হীন ভাবে কাটছে।একটা রাত ও আমি ঘুমোতে পারি না।বিহান আমার পুরো জীবন জুড়ে রয়েছে।তোমার সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই কিন্তু বিহান আমাকে বাধ্য করেছে তোমাকে শত্রু ভাবতে।বিহানের কাছে কেউ প্রশ্ন করলে এক বাক্য বলে দেয় সে সিঙ্গেল না তার জীবনে কেউ আছে যাকে সে ভীষণ ভালবাসে।এতদিন কেউ নাম জানত না লাস্ট ইয়ার বিহান পুরা মেডিকেল কলেজে এর সামনে আমাকে বাজে ভাবে অপমান করে বলেছে দিয়া কে নিয়ে কিছু বললে ও ছাড়বে না।”

“ডাক্তারিতে চান্স না পাওয়ার সাথে ভালবাসার কি কানেকশন জানিনা।ভালবাসা এগুলো দেখে হয় না।বিহান ভাই আর আমার পারসোনাল কোনো ইনফরমেশন আমি আপনাকে দিবো না।কারণ আপনাকে নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নয়। আর আপনাকে নিয়ে আমি একটুও জেলাস ও নই।আপনি আমাকে আপনার জীবনের প্রতিদ্বন্দি ভাবছেন কিন্তু আমি সেটা ভাবছি না। কারণ বিহান ভাই এর জীবনে আমি ছাড়া দ্বীতীয় কোনো অপশন নেই উনি সেটা রাখেন নি।প্রতিযোগিতা খেলাধুলা, লেখাপড়া সব জায়গাতে চলে ভালবাসার ক্ষেত্রে চলে না।ভালবাসায় প্রতিযোগিতার কোনো জায়গা নেই আর ভালবাসা নিয়ে প্রতিযোগিতা করলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় না।আমি যদি দেখি আমার ভালবাসার মানুষ তার জীবনে অনেক গুলা অপশন রেখেছে আমি নিজেই সরে যাবো কারো সাথে প্রতিযোগিতায় যাবো না।চালাকির দ্বারা ভাল কিছু পাওয়া যায় না আপু।”

“দিয়া জাস্ট সাট আপ।তোমার মুখের এই বুলি চুপসে যাবে বিহানের ইন্টারভিউ টা দেখো একবার। মাত্রই পাবলিশড হয়েছে।সেখানে বিহান ওর ব্যাক্তিগত জীবন শেয়ার করেছে।”

প্রেয়সী আপুর কল টা কেটে ইউটিউব এ গেলাম।সেখানে বিহান ভাই এর একটা ইন্টারভিউ পেলাম।বিহান ভাই খুব ই আপত্তি জানাচ্ছেন কারণ তার এসব পছন্দ নয়।প্রেস,মিডিয়া লাইক করেন না উনি।অবশেষে বাধ্য হয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে হয়েছে উনাকে।স্টুডেন্ট দের উদ্দেশ্য কিছু কথা বললেন।সাংবাদিক উনাকে প্রশ্ন করলেন আপনার জীবনে কি কেউ আছে।উনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আছে।সাংবাদিক বললেন উনিও নিশ্চয়ই ডাক্তার আপনার পছন্দ তো আর যেমন তেমন হতে পারে না।বিহান ভাই হেসে উত্তর দিলেন সে আমার থেকেও বড় ডাক্তার।

ফোন টা ছুড়ে ফ্লোরে ফেলে দিলাম।ফোনের ডিস্পেলে ভেঙে গুড়িয়ে গেলো।হাউ মাউ করে কাঁদতে মন চাইছে।ভেতর থেকে কাঁন্না সব বাঁধা ভেদ করে বেরিয়ে গেলো।কেনো বিহান ভাই কেনো এমন করলেন?আপনাকে ছাড়া আমি কত অসহায় আপনি জানেন না।আজ আপনার আর আমার সম্পর্ক যোগ্যতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।আমি ছাড়া ডাক্তারি পড়াই বাদ দিয়েছিলেন আজ সেই আপনি ডাক্তার বিয়ে করছেন।চারদিকের এত অবহেলা অপমান নিয়ে আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না।নিজের অজান্তেই ফ্লোরে হাত পা ছোড়াছুড়ি করে কাঁন্না শুরু করলাম।বুকের ভেতর ভেঙে চুরে গুড়িয়ে যাচ্ছে।আমার কাঁন্না শুনে আম্মু,বাবা, রিয়া ভাইয়া এগিয়ে এলো।ফ্লোরে বসে এভাবে কাঁদতে দেখে আম্মু, বাবা,ভাইয়া,রিয়া সবাই জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে।এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে কাউকে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে।আম্মুকে জড়িয়ে ধরে ভেতরের সব আবেগ প্রকাশ করলাম।আম্মু আমি আর বাঁচতে চাই না।নিজেকে ভীষণ অসহ্য লাগছে।চারদিক থেকে সবাই শুধু অপমান করে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।আমার কেউ নেই আম্মু,ভীষণ একা লাগছে নিজেকে।কেনো তোমার কথা শুনে মন দিয়ে পড়লাম না তাহলে ডাক্তারিতে চান্স পেতাম।আজ মনে হচ্ছে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভাঙার সাথে জীবনের সব স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে।আমি মরে গেলে ক্ষমা করে দিও আম্মু।বাবা,ভাইয়া বলে উঠলো কে অপমান করেছে কার এত সাহস আমার মেয়েকে বাজে কথা বলে।ডাক্তার হতে হবে না দিয়া মা আমার চোখের সামনে দিয়ে এভাবে ঘুরে বেড়াস তাতেই হবে এটা বাবার কথা।আম্মু মাথায় একটা চুমু দিয়ে বললো কি হয়েছে দিয়া।কখনো তো এমন পাগলামো করিস না আজ ই প্রথম। ভুলেও কখনো মরার কথা বলিস না সোনা।কি হয়েছে কে কি বলেছে এখন কিছুই প্রশ্ন করবো না।শুধু বলবো তুই আমার মেয়ে আমাদের জন্য বাঁচতে হবে দিয়া।

এমন সময় আয়রা এসে ফোনটা ধরে বললো দিয়াপু বিহান ভাইয়া কথা বলবে।তাকিয়ে দেখি ভিডিও কলে বিহান ভাই তাকিয়ে আছেন।মানে কি এত সময় উনি কলেই ছিলেন।আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে উনার দিকে তাকালাম।আম্মু ফোন টা নিয়ে কথা বলতে বলতে বাইরে গেলো।রিয়ার ফোনেই ফোন দিয়েছেন উনি।আম্মুর সাথে কি কথা হয়েছে জানিনা।এক আকাশ অভিমান আর কষ্ট নিয়ে রাতে একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।পরের দিন সকাল দশ টায় আয়রা এসে আমার নাক ধরে টানছে।কোনোমতে তাকাতেই আয়রা একটা চিরকুট ধরিয়ে দিলো আমার হাতে।চিরকুট খুলেই অবাক আমি।

শ্যামাপাখি,

মন খারাপ তোমার তাইনা?আমায় ভাবছো এই মুহুর্তে। কি কি ভাবছো আমি কিছুটা অনুমান করতে পারছি।মেডিকেল এ চান্স পাও নি বলে মন খারাপ।ভাবছো আমার পাশে বেমানান হয়ে গিয়েছো।সবাই কি একবারেই সব পারে।এমন কি কোনো রুলস আছে একবার না পারলে সেখানেই শেষ সব কিছু।তোমার জন্য সামনে আবার ও সুযোগ আছে।এইবার পারোনি বলে সামনে পারবে না এমনটা নিশ্চিত হলে কিভাবে।জানো নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে নিজের ক্যারিয়ারের দিক ভাবতে গিয়ে তোমার দিকে খেয়াল দিতে পারি নি।আমার খুব ভুল না হলে তোমার এই ভীষণ ক্ষতিটার জন্য আমি ১০০% দায়ী।সারাক্ষণ আমাকে নিয়ে নেগেটিভ ভাবনা তোমাকে লেখাপড়ায় মন স্হির করতে দেয় নি।আমার ব্যাস্ততায় তোমাকে ঠিকভাবে সময় দিতে পারিনি আমি।আমি ভেবেছি আমি সময় দিলে তুমি ঠিকভাবে পড়বে না।তোমার সময় নষ্ট হবে।কিন্তু আমার ভাবনা উলটা হয়ে গেলো।আজ আমি একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছি ভালবাসার মানুষ পাশে থাকলে মন এমনিতেই ভাল থাকে আর মন ভাল থাকলে সব কাজে মন বসে।আমার পাশে তুমি ছিলে কিন্তু তোমার পাশে আমি থাকতে পারি নি।আমার এই সাফল্য কে সেদিন সেলিব্রেট করবো যেদিন নিজের হাতে তোমাকে তোমার স্বপ্নের সৌপানে পৌছাতে পারবো।আই লাভ ইউ বউ মিসেস বিহান।

বিহান।

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here