এক_শ্রাবণ_হাওয়ায় পর্ব – ৩৫
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
গাড়ি থেমে নামার সাথে সাথেই আনভীর আমার কাছে এসে আমার হাত চেপে ধরলেন। রৌদ্দুরে খা খা করছে আশপাশ। এই প্রথম আমি আনভীরের ভার্সিটিতে আসলাম। উনার জন্য আসিনি , এসেছি আমার এডমিশনের কাজের জন্য। আমার যেহেতু এখন আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নাই তাই এখানেই ভর্তি হতে হবে। একপাশে বিশাল লাইন লেগেছে। বুঝলাম সবাই এডমিশনের জন্যই এখানে রৌদ্রতপ্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে। তাছাড়া অন্য সেমিস্টারের স্টুডেন্টরা তো আছেই। আমি সেসব দিকে তাকিয়ে ছিলাম হঠাৎ আনভীরের আমার হাত টানতেই আমার ধ্যান ভাঙলো। উনি গম্ভীর গলায় বললেন,
-‘এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো ? আবার পা ব্যাথা করছে নাকি?’
-‘ন….না।’
আমি অপ্রস্তুতভাববে বললাম। আনভীর নিজের কালো চুলগুলো পেছনে ঠেলে নিলেন এবার। বলে ওঠলেন,
-‘আমি তোমায় বারবার বলেছিলাম আজ আসার দরকার নেই। কিন্ত তুমি শুনলে আমার কথা? গতকালকে এমনিতেও পা পিছলে পড়ে নিজে ব্যাথা তো পেয়েছোই সাথে আমারও নিঃশ্বাস কেড়ে নিয়েছো। আমি বললাম যে টাইম আছে তবুও তুমি শুনলে না।’
আমি মৌনতা কাটালাম। কেননা সত্যি যে আমিই বলেছিলাম যে আজ আমি আসতে পারবো। গতকাল পায়ে ব্যাথাটা কড়াকড়িভাবে পেলেও দু’তিন ঘন্টার ব্যবধানে পায়ের রগ স্বাভাবিক হয়ে যায়। রক্তক্ষরণও একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ওই পুরোটা সময় উনি আমার সাথে ছিলেন। একদন্ডের জন্যও আমায় উঠতে দেননি। আমার শুরুতে প্রচুর অস্বস্তি হচ্ছিলো উনার সামনে বাথরোব পড়ে থাকতে। যদিও উনি একবারও আমার শরীরের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন না কিন্ত আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে উনি কাবার্ড থেকে আমার জামাকাপড় দিয়ে নিঃশব্দে চলে গেলেন বাহিরে। ওই অতটুকু সময়ের জন্যই উনি আমার থেকে সরে ছিলেন। তারপর প্রতিটা সেকেন্ড আমার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছিলেন। এখনও প্রায় একই অবস্থা। এত ভীড়ের মধ্যেও নিজের বলিষ্ঠ হাত দিয়ে আমার হাত আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে গেলেন। উনি এমন একটা ভাব করছেন আমি যেন ছোট্ট একটা বাচ্চা । ক্যাম্পাসটা এককথায় বিশাল। তবুও দূর দূর মানুষ আর কড়া রোদ্দুরের উত্তাপে তরতর করে ঘাম বেরোচ্ছে আমার কপাল বেয়ে। আনভীর সেটা দেখে নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে আমার কপাল মুছে দিলেন। গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
-‘চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নাও।’
আমিও মাথা নাড়িয়ে তেমনটাই করলাম। অবশ্য আমায় লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। আমি লাইনে দাঁড়াতে গেলেই আনভীর নিঃশব্দে আমায় টেনে ভেতরে এক অফিস রুমে নিয়ে গেলেন। সেখানেই আমার ফরম ফিলাপ এর কার্যসম্পাদন হলো। সবাই খুব সখ্যতার সহিত ব্যবহার করছেন আনভীরের সাথে। বুঝলাম উনি এই ভার্সিটির প্রফেসর বলেই আমার জন্য এমন বিশেষ ট্রিট। তাইতো বলি , উনি যখন আমার হাত চেপে ধরে ভেতরে ঢুকছিলেন স্টুডেন্টরা অমন হা করে তাকিয়ে ছিলো কেনো? হয়তো উনাকে কখনও কোনো মেয়ের সাথে এভাবে আসতে দেখেননি যেখানে আমি নিতান্তই অল্পবয়সী একজন।
সবাই বারবার জিজ্ঞেস করছিলো যে আমি উনার কে হই। উনি স্বাভাবিকভাবেই বললেন,
-‘আমার ওয়াইফ ওরফে মিসেস আহিরা আনভীর খান।’
উনার বলা এই বাক্যটা আমার শরীর দিয়ে একটি শীতল স্রোত বয়ে নিয়ে গেলো। হয়ত অন্যদের কাছে ব্যাপারটি স্বাভাবিক লাগলেও আমার কাছে বিশেষ কিছু।আমার এখনও মনে হয় আমাদের বিয়ের শুরুতে শুরুতে উনার আচরণগুলো। আমি যখন প্রথম মেডিক্যালের এডমিশন টেস্টের জন্য কোচিংয়ে গিয়েছিলাম উনি কড়া গলায় আমায় বলে দেন উনি যে আমার হাজবেন্ট এ বিষয় নিয়ে আমি যাতে বাড়াবাড়ি না করি। এমনকি আমার এক ক্লাসমেটের বড়োবোন উনার স্টুডেন্ট ছিলো। উনি আমার ক্লাসমেটকেও বলেছিলেন আমি জাস্ট উনার এক আত্নীয়। আর আজ সেই মানুষই সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমি উনার ওয়াইফ? আমি খুশিতে হাসবো না কাদবো বুঝতে পারলাম না। কাজ শেষ হতেই উনি এবার বেড়িয়ে এলেন আমায় নিয়ে। আমি এবারও খেয়াল করলাম কয়েকজন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন হ্যান্ডসাম স্যারদের এভাবে কারও সাথে দেখে এমন করেই তাকিয়ে থাকতাম। কিন্ত আনভীর দেখলাম এসব ব্যাপারে নির্বিকার। উনি জাস্ট কয়েজন স্টুডেন্টদের কয়েকটি কাজের নির্দেশনা দিয়ে আমায় নিয়ে বেরিয়ে এলেন।
কাজ শেষ হতে হতে প্রায় লাঞ্চ টাইম হয়ে গিয়েছে। আনভীর জিজ্ঞেস করলেন,
-‘আজ বাহিরে লাঞ্চ করবে?’
আমি তৎক্ষণাৎই হ্যাঁ বললাম। কেননা অনেকদিন ধরেই বাহিরে কিছু খাওয়া হচ্ছেনা। আর আমার এই আধপাগল বর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে যেই হারে কেয়ারফুল , সে যদি বাহিরের খাবার খাওয়ার জন্য আহবান করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাওয়া উচিত। উনি তাই এখানকার নিকটবর্তী এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন আমায়। রেসটুরেন্টটি একেবারে সুন্দর একটি স্পটের সামনে পড়েছে। একপাশে বিশাল হাইওয়ে। সেখান দিয়ে সাঁ সাঁ করে ছুটে চলছে গাড়ি , বড় বড় মালবাহি ট্রাক। আর অন্যপাশেই সবুজত্বের সমারোহ। শীতল হাওয়া আর এসির গুমগুম শব্দের সাথে মৃদু ভলিউমের মিউজিক ট্র্যাক উৎফুল্ল করেছে আমায়। আমাদের খাবার আসার পরই আমরা খাবারে মশগুল হলাম। আমি উনার সাথে কথা বলার ট্রাই করেছিলাম তবে উনি হু হা ছাড়া আর তেমন কিছুই বলেননি। আমি এবার অগোচরে মুখ ভেংচি দিলাম। এই গোমরামুখো লোকটা কথা তো বলেই না আর যখন কথা বলে লজ্জায় চোখ-কান লাল হয়ে যায়। অল্প বিদ্যা যেমন ভয়ংকর তেমনই উনার ক্ষেত্রে বলা উচিত ‘অল্প কথার মানুষ মহা ভয়ংকর’ , ভয়ংকর থেকেও ভয়ংকর , ভয়ংকর হোল স্কয়ার। এসব ভাবতে ভাবতে আমার ঠোঁটের কোণে কখন যে খাবার লেগে থাকলো তা আমার অজানা ছিলো । আনভীরের তা দেখা মাত্রই সময়বিলম্ব না করে টিস্যু দিয়ে আমার ঠোঁটে খাবার লেগে থাকা অংশটুকু মুছে দিলেন সন্তর্পণে। সেই সাথে বলে ওঠলেন,
-‘এভাবে বাচ্চাদের মতো খেতে নেই মিসেস ওয়াইফি। নিজের দিকে নজর রাখার সাথে অন্যদের দিকেও নজর রেখো যে তোমার ঠোঁটের কোণে এই খাবার দেখলে কতজনের লোভ জাগবে মনে।’
সাধে কি আর বললাম এই লোকের কথাবার্তা ভয়ংকর? লজ্জায় রীতিমতো কান লাল হয়ে গিয়েছে আমার। উফফফ! উনি আমায় লজ্জা দিয়ে যে কি মজাটা পান কে জানে?
_______________________
সন্ধ্যাবেলায় আমি ভাবির জন্য ফল কেটে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। ভাবির একা একা থাকতে ভালোলাগছিলো না তাই উনি বিকেল থেকেই আমার রুমে বসে বসে গল্প করছেন। আমারও যেহেতু এখন পড়াশোনার তেমন একটা চাপ নেই তাই উনার সাথে আরামসে বসে বসে গল্পে মশগুল ছিলাম। ভাবি অনেক রকম কথা বলছে। বলছে অনাগত সন্তান নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা । প্রতিবারই উনার চোখ মুখ চকচক করে ওঠছিলো। আমি মিহি হেসে তাকিয়ে রইলার ভাবিমণির মায়াবী মুখটির দিকে। আজরান ভাইয়া এমনিতেও ভাবিমণির প্রতি প্রচন্ড যত্নশীল।ভাবি প্রেগনেন্ট হওয়ার পর থেকেই আরও বেশি যত্নশীল হয়ে ওঠেছেন। ভার্সিটি থেকে বাড়িতে আসার পর আজরান ভাইয়া এ পর্যন্ত আমায় সাত আটবার ফোন করে ফেলেছেন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। হয়তো একজন বাবা-মায়ের বৈশিষ্ট্য তাদের অনাগত সন্তানের জন্য এমনই থাকে। এটাই বোধহয় একরকম সুক্ষ্ণ ভালোবাসা।
আমি অগোচরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। কেননা বাবা-মায়ের ভালোবাসা নামক বিষয়টা আমার কখনোই ভাগ্যে জুটেনি। মা তো আগেই এ পৃথিবীর বুকে আমায় একা করে চল গিয়েছিলেন , ছিলেন বাবা। আমার ভীত সতন্ত্র বুকে উনার প্রতিই পাহাড় সমান আশা ভালোবাসা ছিলো। কিন্ত উনি আমার সব অনুভূতি চুরমার করে চলে গেলেন নিজের ব্যস্ত জীবনের তাগিদে। আমায় উনার ভাইয়ের কাছে ফেলে রেখে অন্য শহরে চলে যান। উনার ধারনা টাকাই জীবনের সব। এই টাকাই বোধহয় আমার মা-বাবার অভাব পূরণ করতে পারবে। চাচি একবার রাগের বশে আমায় এটাও বলেছিলেন যে বাবা নাকি অন্যশহরে আরেকটা বিয়েও করেছেন। সেটা কতটুকু সত্য আমি জানিনা , বাবাও কখনও সহজ সাপেক্ষে কথাটি আমায় বলেননি। তারপর থেকেই আমি আমার বাবার সাথে দুরত্ব বজায় রাখা শুরু করলাম। হ্যাঁ, এটা সত্য যে বাবাকে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি। শুধুমাত্র উনার শরীর স্বাস্থ্য আর আমার ওপর কলঙ্ক দূর করার উদ্দেশ্যেই আনভীরকে বিয়ে করতে আমি বাধ্য হয়েছিলাম।কিন্ত উনার পূর্ব কর্মগুলো একমুহুর্তের জন্যও আমি ভুলিনি। হয়তো কখনও ভুলতেও পারবো না।
-‘কি ভাবছো আহি?’
ভাবিমণির কথায় আমার ধ্যান ভাঙলো। ঠোঁটজোড়ায় স্মিত হাসি ফুটিয়ে তুলে বলে ওঠলাম,
-তেমন কিছু না।
তখনই দরজা ঠেলে আনভীর বড়ো বড়ো পা ফেলে রুমে প্রবেশ করলেন। আমায় বাসায় রেখে উনি জরুরি এক কাজের জন্য আজরান ভাইয়ার সাথে বাহিরে গিয়েছিলেন। আনভীরের চোখমুখ অবসন্ন। গলার টাই একটু ঢিল দিয়ে নিচে নামিয়ে রেখেছেন। ভাবি এবার জিজ্ঞেস করলো,
-‘ তোমার ভাই এসেছে আনভীর?’
-‘না ভাবিমণি। ভাইয়া রাতে বাবার সাথে আসবে।’
আনভীর এবার একটা টিশার্ট ট্রাউজার নিয়ে পাল্টাতে ওয়াশরুমে চলে গিয়েছেন। আমি সেখানে ভ্রুক্ষেপ না করে ভাবিমণির সাথে কথা বলতে মশগুল হয়ে পড়লাম। কিন্ত কিছুক্ষণ পর আনভীর যখন শুধু ট্রাউজার পড়ে বেরিয়ে এলো আপনাআপনিই আমার চোখজো জোড়া বড় হয়ে এলো এবার। উনার হাতের টিশার্ট খানিকটা ভিজা। হয়তো ফ্লোরে পড়ে গিয়েছিলো বলে পড়তে পারেননি। এদিকে ভাবিমণি এখানে বসে থাকলেও মাথা ঘামালেন না। আমাদের বিয়ের আগে উনিই তো আনভীরের সব জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেন। আনভীর ভিজে টিশার্টটি লন্ড্রি ঝুড়িতে রেখে একটা নতুন টিশার্ট বের করার জন্য আলমারি খুললেন।ততক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে ছিলাম আমি উনার দিকে। সে বিষয়টা উনি আন্দাজ করতে পেরে ভ্রু কুচকে বললেন,
-‘এভাবে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো কেনো? ভাব তো এমন করছো জীবনেও আমায় শার্ট ছাড়া দেখনি।’
লজ্জায় আর অস্বস্তিতে ক্রমেই আমার গাল লালবর্ণ ধারন করেছে। ভাবিয়েও মিটমিটিয়ে হেসে দিলেন এবার। আমি মনে মনে সহস্রবার উনাকে গালাগাল করলাম। ব্যাটা চশমিশ বিলাই কোথাকার ! কখন কি বলতে হয় সেটা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান নেই।
ভাবিমণি এবার প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে টুপ করে বেরিয়ে পড়লেন আমাদের ঘর থেকে। আমিও উনার পিছু পিছু চলে যাবো আনভীর আমার হাত চেপে দরজায় মিশিয়ে এক হাত দিয়ে আটকে রাখলেন। আমি পাথর হয়ে গেলাম উনার এমন কাজে। উনি ততক্ষণে দরজা লক করে দিয়েছেন। চোখের দৃষ্টি সরু , সেটানিবদ্ধ আমার চোখের দিকে।আমি এবার ভয় পেলাম না। থমথমে গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
-‘আপনি মানুষটা এমন কেনো?এভাবে সবার সামনে কথা না বললে হয় না?’
-‘সবার সামনে কোথায়? ভাবিমণির সামনেই তো বললাম। আর একটা কথা। তুমি যদি ভাবিমণির সামনে আমায় এভাবে লুচি পরটার মতো দেখতে পারো আমি তাহলে বলতে পারবো না কেনো? আফটার অল তুমি তো আর কোনো পরনারী না। মাই অনলি কিউট এন্ড সুইট ওয়াইফ।’
আমি ভ্রু নাচিয়ে বললাম,
-‘আগে তো আমায় সহ্যই করতে পারতেন না। এখন এত হাজবেন্ট হাজবেন্ট ফিলিংস আসছে কোথা থেকে? আপনি কি তাহলে বলতে বাধ্য যে ওসব এগ্রিমেন্ট জাস্ট একটা বুলশিট? আমায় ভালোবাসেন? কি …..বলতে পারবেন আমার প্রতি এতটা কেয়ারিং হওয়ার কারন ?নাকি এটাও আপনার প্রয়োজনীয়তা?’
আনভীর এবার কিছু একটা বলতে গেলেই হঠাৎ পাশের টেবিলে ফোন বেজে উঠলো উনার। মোবাইলটা যেহেতু আমার কাছাকাছি ছিলো তাই স্ক্রিনে তাকাতেই আমি হতভম্ব হয়ে যাই। কেননা উনার মোবাইলে অপূর্ব ভাইয়ার নম্বর দেখা যাচ্ছে। ক্যাপিটাল অক্ষরে লিখা ‘APURBO’………আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকালাম উনার দিকে। হয়তো অপূর্ব ভাইয়ার সাথে সত্যিই উনার যোগাযোগ আছে। তাহলে সত্যিই উনি চান যে আমি উনাকে ছেড়ে,,,,,,,,আর ভাবতে পারলাম না আমি। উনাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। সিক্ত গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
-‘অপূর্ব ভাইয়ার সাথে কি সম্পর্ক আপনার আনভীর?’
.
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ
ভুল্রুটি ক্ষমাসুলভ চোখে দেখবেন।