“এখনো ভালোবাসি”💖 পর্ব-৩১

0
3030

“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-31

আয়ন বসে আছে দিশার বাবার ঠিক সামনে।আর আয়নের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে আছে তিয়াশ ও দিশা।আবির রহমান মানে দিশার পিতা তিয়াশ আর দিশার দিকে একবার তাকিয়ে মুখ গুড়িয়ে ফেললো।তার এক কথা এই বিয়ে সে মানে না।তাই এখানে তামাশা না করে ভদ্রভাবে যাতে সবাই চলে যায়।সাথে দিশাকেও নিয়ে যেতে বললো।যে মেয়ে বাবা মায়ের সম্মানের কথা চিন্তা না করে দুদিনের প্রেমের জন্য এমন কিছু করতে পারে,সে মেয়ে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।আমি মুখ দেখতে চাইনা এদের আর।মারিয়া (দিশার মা)বলে দেও এদের আমার বাসা থেকে চলে যেতে।কথাগুলো বলতে যে আবির রহমানের অনেক কষ্ট হয়েছিলো,তা উপস্থিত আয়ন খুব ভালো করেই অনুধাবন করতে পাড়লো।

–“দিশা বাবার কথা শুনে,ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো।সামনে একপা বাড়িয়ে বাবার কাছে যেতে নিলে,তিয়াশ হাত ধরে বাধা দেয়।দিশা করুন চোখে তিয়াশের দিকে তাকালে,ইশারায় কিছু একটা বলে বুঝায় একটু ধৈর্য ধরতে ভাই সব ঠিক করে দিবে।আর তাতে দিশাও চুপ হয়ে যায়।”

–আয়ন দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে একটু নেড়ে চেড়ে বসে।আবির রহমানের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করে তার মনে এখন কি চলছে।আবির রহমানকে এমন স্থির থাকতে দেখে আয়ন নিজেই কথা বলার চেষ্টা করে।
“আংকেল আমি বুঝতে পাড়ছি আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন।সন্তানকে এতো কষ্ট করে বড় করে তুলার পর,সেই সন্তানই যখন বাবা মার অবাধ্য হয়ে এমন একটা কাজ করে,তখন কষ্ট না,আমার মতে বুকের ভেতর থেকে রক্ত খরন হবার কথা।সত্যি বলতে আপনার কষ্ট বুঝার মতো বয়স বা সময় হয়নি এখনো আমাদের।একজন পিতার কষ্ট একজন পিতাই বুঝতে পাড়বে।আমি মনে করি বাবা মা সব সময়ই সন্তানের ভালো চায়,কিন্তু আমরা সন্তানেরা একটু বেশি সার্থপর সব সময়।আমরা নিজের সুখের কথাটা আগেই ভেবে নিই।বাবা মায়ের আমাদের জন্য করা সকল সেক্রিফাইজকে তাদের দায়িত্ব মনে করে ভুলে যাই।আমরা সন্তানরা বরারবই স্বার্থপর হই।তবুও বাবা মা আমাদের নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে যায়।এটাই তো তাদের মহার্থ।”
এতোটুকু বলে আয়ন থামে,আবির রহমানের সামনে হাটু গেড়ে এমন ভাবে বসে যেনো এই কাজটির জন্য ও নিজেও অনুতপ্ত।আয়ন আবার বলা শুরু করে।”আমি জানি তিয়াশ আর দিশা যা করেছে ভুল করেছে।ওদের এভাবে আপনাদের না জানিয়ে বিয়ে করা উচিত হয়নি। একদমই না!কিন্তু কি করবে বলুন।তিয়াশের দোষ না হওয়া সত্যও সবাই তিয়াশকে শাস্তি দিচ্ছে।মায়ের আচরণের কারণে ছেলেকে কেনো ভুগতে হবে বলুন।আপনাদের কথায় যুক্তি আছে,দিশা ও বাসায় গেলে আমার ফুফু ওকে কোনও দিনও শান্তি দিবে না।কিন্তু তাই বলে দুজন ভালোবাসার মানুষকে আলাদা থাকতে হবে এটা কেমন কথা।আমি আমার ফুফুকে খুব ভালো করেই চিনি,উনি সহযে কিছুতে সন্তুষ্ট হয়না।কিন্তু কি করবো বলুন।উনি আমাদের বড়,তাই মুখের উপর কিছু বলতেও পারিনা।আর তাছাড়া তিয়াশ এমনেও দিশাকে নিয়ে ওর বাসায় যাবে না।ও আলাদাই থাকতে চায় দিশাকে নিয়ে।আর আমার মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই সবার জন্য ভালো হবে।হয়তো এতে ফুফুরও কিছুটা শিক্ষা হবে।”

আংকেল আমি জানি আপনি দিশাকে নিয়ে চিন্তিত।আর হবারই কথা।কিন্তু আমি আপনাকে ভরসা দিচ্ছি,দিশা তিয়াশের সাথে অনেক হ্যাপি থাকবে।আমি আমার ভাইয়ের গ্যারান্টি নিচ্চি।তিয়াশ দিশাকে খুব ভালোবাসে আর দিশাও।প্লিজ আংকেল মাপ করে দিন।আপনারই তো সন্তান।আপনার দোয়া ছাড়া তাদের সংসার জীবনে কখনো সুখে থাকতে পাড়বে না।নিজের মেয়ের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন।দিশা অনেকটা অনুতপ্ত।ওর এই অনুতপ্ত আর বাড়াবেন না।ভাগ্য মনে করে মেনে নিন।জম্ম, মৃতুও আর বিয়ে উপরওয়ালার ইশারায় হয়।আমরা তো শুধু উছিলা।তাই রাগ করে মেয়েকে কষ্ট না দিয়ে,মাপ করে বুকে টেনে নিন।
আয়নের অনেক বুঝানোর পর অবশেষে আবির রহমানের মন গলেছে।দিশা ও তিয়াশের বিয়ে মেনে নিয়েছেন উনি।কিন্তু আয়ন দিশার বাবা মায়ের সামনে দিশা ও তিয়াশের আবার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
আসলে তখন দিশা আর তিয়াশের বিয়ে হয়নি।আয়ন দিশার বাবার কাছে বিয়ের ব্যাপারটা মিথ্যা বলেছে।কারণ আয়ন জানতো, বিয়ের কথা শুনলে তারা এই সম্পর্ক না মেনে পাড়বে না।আর তাই হলো,আবির রহমান ওদের বিয়েটা মানার পর,তাদের সামনেই দিশা আর তিয়াশের বিয়েটা হলো।
তাছাড়া দিশাও ওর বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়া কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি ছিলো না।আর আয়নেরও মন সায় দিচ্ছিলো না এই ভাবে বিয়েতে।কারণ এখানে দিশার বাবা মায়ের কোনও দোষ নেই,তাহলে তারা কেনো তাদের মেয়ের বিয়ে থেকে বঞ্চিত হবে।একটা মিথ্যা কথায় আয়নের দুটো কাজই সিদ্ধ হলো,দিশার বাবা মায়ের উপস্থিতে ওদের বিয়ে হলো।এতে দিশা আর ওর বাবা মাও অনেক খুশি হয়।

–এদিকের সব ঝামেলা শেষ করে,দিশা ও তিয়াশকে একটা নতুন সাজানো ফ্ল্যাট গিপ্ট করে আয়ন।ওদের নতুন সংসার শুরু করার জন্য।তিয়াশ প্রচণ্ড খুশি হয়ে আয়নকে জড়িয়ে ধরে।ভাইকে খুশি দেখে আয়ন নিজেও আনন্দিত হয়।বড় ভাই হয়তো একেই বলে।
………………….………………
তিয়াশের বিয়ের খবর শুনার পর থেকেই মহিনী বেগম মরা কান্না ঝুড়ে দিয়েছে।নিজের ভাই ইরফাতের কাছে আয়নের বিচার নিয়ে বসেছে।ভাই হয়ে ভাইয়ের এতোবড় ক্ষতি আয়ন কিভাবে করলো।ওই ফকিরের মেয়েকে আমার সহয সরল ছেলের গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে পাড় পেতে চায় সবাই।আমি তা কিছুতেই হতে দেবো না।ভাই বলে দিলাম তোকে,আজ তোর ছেলের বিচার করবি।আমার এতো বড় ক্ষতি কেমনে করলো তোর ছেলে।
“ইরফাত মাহমুদ নিজের বোনকে সান্তনা দিতে লাগলো।আয়নকে বলার মতো কিছুই নেই তার কাছে,আর বলবেই বা কি করে।যেখানে উনার নিজের ছেলে আয়নই বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে এসে পড়েছিলো।সেখানে অন্যের ছেলের বিয়ে নিয়ে নিজের ছেলের বিচার আর কি বা করবে উনি।আর তাছাড়া ছেলেমেয়েরা বড় হলে তাদের বুঝানো যায়,শাসন করা তখন আর মানায় না।”

–“আয়ন বাড়ীতে এসেই,ফুফুর এসব নাটক দেখেও না দেখার বান করে নিজের রুমে চলে গেলো।কারণ এখানে থাকলেই কথা বাড়বে।আর তাছাড়া বুঝার মানুষকে বুঝানো যায়,অবুঝকে বুঝাতে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে লাভ নেই।আয়নের এসব ন্যাকা কান্নাকাটি একদম ভালো লাগে না।রুমে প্রবেশ করার সাথেসাথে আয়ন প্রিয়ুকে দেখতে পেলো পড়ার টেবিলে।কিছুক্ষণের জন্য দুজনের চোখাচোখিও হয়েছিলো।কিন্তু প্রিয়ু তৎক্ষনিক নিজের চোখ সরিয়ে বইয়ের মধ্যে স্থির করে ফেললো।আয়নও আর কিছু বললো না।এমনেই সেদিনের পর থেকে আয়নও প্রিয়ুর সাথে আর কথা বলে না।কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখে প্রিয়ুর থেকে।আয়নের মতে একটি অপরাধের জন্য ও বারবার ক্ষমা চেয়েছে।কিন্তু আর না,এবার প্রিয়ুর পালা।আয়ন দেখতে চায় প্রিয়ুর মনে কি আছে।কতোদিন রাগ করে থাকতে পারে।আয়ন ফ্রেস হয়ে লেপটপ নিয়ে সোফায় বসে পড়ে, কিছু জরুরি ইমেল চেক করতে লাগলো।এমনেই অফিসে আজ কাজ করার সময় পাইনি,তিয়াশের ঝামেলায়।আর বাড়ীতে আসলে,বারবার প্রিয়ুর কাছে যেতে মন চায়,তাই মনকে কাজে স্থির করার চেষ্টা করছে আয়ন।কিন্তু সারাদিনের দৌড়াদৌড়িতে আয়নের প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে।লেপটপের স্কিনেও তাকাতে পাড়ছে না।আয়ন বারবার নিজের চোখ টিপে ধরছে।আর তখনই প্রিয়ুও রুম থেকে কোথাও চলে যায়।প্রিয়ুর এমন বিহেভিয়ার আয়নকে কিছুটা হতাশ করে।আয়ন সোফায় শরীরটা এলিয়ে চোখটা বন্ধ করে ভাবতে থাকে।জীবনটা হয়তো এমন হতো না।দুবছর আগে ওসব ঘটনাগুলো না হলে,হয়তো আমাদের জীবনটা আরো মধুময় হতো।প্রিয়ুর সাথে সম্পর্কটা আরো ভালো থাকতো।জীবনের অর্ধেক সময় আমার তোর রাগ ভাঙ্গাতে পাড় করতে হতো না।কখনো কি আমরা সহয হতে পাড়বো না প্রিয়ু।এই ঝামেলাগুলো,রাগ, অভিমানগুলো কবে দূর হবে আমাদের মাঝে থেকে।আমার একলা জীবনে তোকে খুব প্রয়োজন প্রিয়ু।একটু শান্তির জন্য তোকে প্রয়োজন”।
ঠিক এই সময় একজন সার্ভেন্ট এসে,দরজায় টোকা দেয়, আয়ন কিছুটা বিরক্ত হয়ে ভেতরে আসতে বলে।
–সার্ভেন্ট ভেতরে আসতেই আয়ন অনেকটা রেগে বলে,কি সমস্যা? কি চাই?
“স্যার আপনার কফি,আর মেডিসিন।”
–মেডিসিন! আয়ন কিছুটা বিস্মিত হয়ে জিঙ্গেস করে,কিসের মেডিসিন।আর কে পাঠিয়েছে।
“প্রিয়ু ম্যাম।”
–প্রিয়ু!আর ইউ সিউর।আর কি বলেছে তোমাকে।
“আপনার নাকি মাথা ব্যাথা করছে,তাই আমার হাতে কফি আর মেডিসিনটা দিয়ে বললো,আপনাকে দিয়ে আসতে এখনই।”
–ওকে তুমি যাও।সার্ভেন্ট চলে যাবার পর আয়ন মেডিসিনটা খেয়ে নিলো।কিছুক্ষণ পর ধোঁয়া উঠা কফিটা হাতে নিয়ে মুখে দিতেই,যেনো একটা প্রশান্তি বয়ে গেলো পুরো শরীরে।আয়নের মুখ জুড়ে হাসি ছেয়ে গেলো।সামনে যতোই বলুক আমাকে ঘৃর্ণা করে,অথচ আমার সামান্য কষ্টও সহ্য করতে পারেনা এই মেয়ে।কি অদ্ভুত তুই প্রিয়ু!
তাইতো সার্ভেন্টের হাতে মেডিসিন আর কফি পাঠিয়েছে।মেডিসিন খেয়ে আয়নের মাথা ব্যাথা চলে গেলো।আর কফিটা খাওয়ার পর পুরো শরীরটা আবার চাঙ্গা করে তুললো।আয়ন আবারও মনেযোগ দিলো নিজের কাজে।
………………………………
আজকের মিটিংটার জন্য তিতিরকে আগেই আসতে হলো।আর দিনেশ কিছু জরুরি কাজের জন্য পরে জয়েন হবে বলে দিলো।যে কম্পানির সাথে ওদের আজকের মিটিংটা তার ওনার নিজেও এখনো আসেনি।চারদিকে অচেনা মানুষের সাথে তিতিরও বসে আছে।ওর একটু আনইজি লাগলোও করার কিছু নেই।এই ধরণের মিটিংগুলোতে এমন অচেনা মানুষগুলোরই আগমন থাকে।কিছুক্ষণ পর মিটিংরুমের দরজা খুলে কেউ প্রবেশ করলো।ব্লু কালার শার্ট,ব্লাক ব্লেজার আর ব্লাক প্যান্ট,চুলগুলো জেল দিয়ে খুব সুন্দর করে সেট করা একটা হ্যান্ডসাম পুরুষ প্রবেশ করলো।হ্যান্ডসাম এই পুরুষটিকে তিতির কাছে অনেক লোভনীয় লাগছে।না চাওয়া সত্যেও তিতিরের চোখ বারবার দিনেশকে দেখতে লাগলো।

–“দিনেশ মিস্টায় সুজেত বসের সাথে কথা বলতে বলতে মিটিংরুমে প্রবেশ করলো।দিনেশের জন্য আজকের মিটিংটা খুব ইম্পোর্টেন।পুরো লন্ডনে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি,ইন্ডিয়াবাসীদের জন্য ভালো দামী উন্নতমানের পোশাক কেবল সুজেত বোসের শো রুম গুলোতেই পাওয়া যায়।পুরো লন্ডন শহর জুড়ে ওদের শো রুম আছে।আর এসব লন্ডনে বসবাসরত এন.আর.আই দের পোশাকের জন্যই দিনেশের কোম্পানিকে চুজ করা হয়েছে।আর তাই দিনেশ নিজে এসেছে এই মিটিং এটেন্ড করতে।ডিলটা হয়ে গেলে,লন্ডন শহরেও ওর বিজনেস আরো বেড়ে যাবে।”

–পোশাকের ম্যাটেরিয়াল,আর ডিজাইন নিয়ে আলোচনা চলছে।তিতির খুব শান্ত,ধীর অথচ তীক্ষ্ণ কন্ঠে পোশাকের সব বিষয় তুলে ধরলো সবার সামনে।তিতির তীক্ষ্ণ কন্ঠের কারণে মিটিংরুমটায় পিন ড্রপ সাইলেন্ট বিরাজ করছিলো।সবাই মুগ্ধা হয়ে তিতির বলা সব কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো।মিস্টার সুজেত তো তিতির থেকে চোখ ফেরাতেই পাড়ছিলো না।একবারে সুক্ষ্মভাবে তিতিরকে যেনো স্ক্যানিং করতে লাগলো।ফর্সা গায়ের রং,ঠোঁট জুড়ে পিংক লিপস্টিকটা যেনো আরো সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ওই মুখটিতে।ঘন পাপড়ি ঘেরা চোখগুলোতে আইলাইনার সাথে হালকা কাজল পড়েছে চোখে মেয়েটি।ডানপাশ সিথি করে লম্বা চুলগুলো খোলা রেখেছে।পড়নে একটা হালকা পিংক কালারের শাড়ী।একদম বাঙ্গালি রুপ যেনো ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ছে।
আজ প্রথমবার কারো মহিনী রুপে সুজেত যেনো সম্মোহন হচ্ছে বারংবার।

-ব্যাপারটা তিতিরের চোখ এড়ালো না।সুজেতের চোখের ভাষা তিতির নিমিষেই বুঝে গেলো।না চাওয়া সত্যেও এই দৃষ্টি তিতিরকে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে।অনেকটা অস্বস্তিকর জনক পরিবেশ তিতির জন্য।
তিতির যে বিভ্রত হচ্ছে,সুজেত খুব ভালো করেই বুঝতে পাড়লো।কিন্তু তবুও চোখ সরালো না তিতির থেকে।বরং মনে মনে বলতে লাগলো,”এমনেই তো মরেছি তোমার মহিনী রুপে,আর কতো ভাবে আমাকে মারতে চাও রুপসী।তোমার নার্ভাস মুখটাও চাঁদ মুখের মতো জ্বলজ্বল করছে।তোমার চোখের ওই চাওনি তীরের মতো সোজা বুকে গিয়ে লাগছে।আমার তো তোমাকে চাই।চাইই…! চাই!
কে বাঁচাবে তোমায় আমার হাত থেকে।এই সুজেত বোসের হাত থেকে আজ পর্যন্ত কোনও সুন্দরী রেহাই পায়নি।তুমি কি করে পাবে।

চলবে…।

গল্পটি শেষের দিকে প্রায়।সবাই কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here