“এখনো ভালোবাসি”💖 পর্ব-৩৩

0
3297

“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-33

লন্ডনে এখন ক্রিসমেস মাস।ক্রিসমেস মাস মানেই উৎসব,মজা আনন্দো হুল্লড়।আর ক্রিসমেস রাত মানেই কেক কাটা,শ্যাম্পেইন আর লেট নাইটপার্টিতে মুখরিত থাকে সবাই।আরো অনেক কিছু হয় এই রাতে।তবে এটা কোনও ধর্মীয় রুলস না।মানুষ নিজের চাহিদার স্বার্থে এই লেট নাইট পার্টিগুলোতে অনেক অনৈতিক কাজও করে থাকে।দিনেশ অনেক বছর বিদেশে ছিলো তাই এদের কালচার সম্পর্কে অনেকটাই জানা।কিন্তু আজ ব্যাপারটা মাথা থেকে উঠে গিয়েছিলো।ও ভেবেছিলো কোনও নরমাল বা ফ্যামিলি পার্টি হবে।কিন্তু এখানে এসে দেখে পুরোই উল্টো।একবার তিতির দিকে তাকায়,ওর আর বুঝতে বাকি থাকে না,তিতির যে কতোটা অস্বস্তি ফিল করছে পার্টিতে এসে।আর করবেই না কেনো,তিতির এমন পরিবেশে অভ্যস্ত না।চারদিকে মেয়েদের অতিমাত্রায় খোলামেলা পোষাক আর যে যেমনে খুশি নিজের সাথীদের সাথে প্রকাশ্যে চুম্বনে ব্যস্ত।এসব দেখে তিতির নিজেই লজ্জায় কুকিয়ে যাচ্ছে।

–“ক্রিসমেসে রাতে লেট নাাইট পার্টিগুলো এমনই হয়।দিনেশ খুব ভালো করেই অবগতো এই সম্পর্কে।কিন্তু এখন নিজেকে নিজেরই গালি দিতে মন চাইছে,ও কি করে তিতিরকে এমন পার্টিতে আনতে পাড়লো।আর এই সুজেত বোস টাও কোন আক্কেলে আমাদেরকে এখানে ইনভাইট করছে।দিনেশ সুজেতকে খুঁজতে লাগলো,দেখা করেই ওরা চলে যাবে।তার আগে তিতিরকে এসব ভীড় থেকে সরিয়ে পার্টি হলের পিছনে একটা সুইমিংপুল আছে সেখানে বসতে বললো।যতো সম্ভব এটি prohibited area।তাই কেউ এ পাশে আসছে না।শুধু মাত্র বিশেষ মেম্বারদের আসার অনুমতি আছে,তাও আবার যাদের মেম্বারসীপ কার্ড আছে।দিনেশের বিদেশে আসা যাওয়ার কারণে অনেক দেশেই বিভিন্ন জায়গার মেম্বারসীপ কার্ড আছে, তাই দিনেশ তিতিরকে নিয়ে ইজিলি ওখানে চলে যেতে পাড়লো।”

–নীল আকাশের নীচে অবস্থিত সুইমিংপুলটিও নীল পানিতে ভরা।মনে হয় উপর থেকে আসমান যেনো নীচে নেমে এসেছে।সুইমিংপুলের পাশেই একটা ছোট ঝর্না আছে,যেখান থেকে অনবরত পানি পড়ছে।আর ঝর্ণার নিচে কিছু ছোটবড় কচি পাথর বিছিয়ে রাখা আছে।ভীষণ মন চাইছে পানিটি একটু ছুঁয়ে দেখতে কিন্তু এতো ঠান্ডায় পানি ছোঁয়া গাধামি ছাড়া কিছুই না।এমনই ঠান্ডায় দাঁতেদাঁত লেগে যাওয়ার পালা,তাই নিজের ইচ্ছাটাকে দমিয়ে ফেললো তিতির মুহুর্তে।আশপাশটা দেখতে যখন ব্যস্ত তখন হঠাৎ একজন ওয়েটার এসে তিতিরের হাতে কফি দিয়ে বললো,”স্যার পাঠিয়েছে”।তিতির ভাবলো হয়তো দিনেশ ওর জন্য পাঠিয়েছে,তাই ও খুশি হয়ে কফির মগে চুমুক দিলো কিছু না ভেবেই।

দূর থেকে সুজেত বোস গাঢ় নজরে তিতিরকে দেখছে।মুখে তার ডেবিল হাসি।মনে হয় কোনও বিশ্ব জয় করে ফেলেছে।তার কারণ ছিলো,সেই কফি।কফিটি সুজেত বোসই পাঠিয়েছিলো।কিন্তু শুধু কফি পাঠায়নি,কফিতে খুব চালাকের সাথে stimulant drugs মিশিয়ে দিয়েছে সুজেত।যা খুব সহযে তিতিরকে নেশায় উত্তেজন করে তুলবে।তিতির নিজের প্রতি কোনও হুস থাকবে না।নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারবে না।লেট নাইট পার্টিতে চলা এই আদিম খেলায় নিজেও মেতে উঠবে সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।আজকাল এসব stimulant drugs এর কারণে অনেক মেয়ে নিজের সতীত্ব হারিয়ে ফেলছে।কেউ কেউ তো জানতেও পারে না তার সাথে কি হয়েছে,বা কে করেছে।কেউ ব্যাপারটা সহ্য করে চুপ হয়ে যায়,কেউ বা নিজের জীবন শেষ করে দেয়।আজ তিতির জীবনেও কি ঝড় ধেয়ে আসছে তা আল্লাহই হয়তো ভালো জানে।
“সুজেত বোস নিজের হাতে রাখা শ্যাম্পেইন গ্লাশে চুমুক দিয়ে যাচ্ছে আনন্দের সাথে।নিজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে তিতিরকে দেখিয়ে ইশারা করলো,ওকে আমার রুমে নিয়ে আসো।তবে সাবধান দিনেশ রায় যাতে দেখতে না পারে।আজ রাত মিস তিতি হবে আমার বেড সঙ্গী।”

–“এদিক দিয়ে ক্লাবের কোথাও দিনেশ সুজেতকে খুঁজে পেলো না।ফোনও ট্রাই করছে,কিন্তু নো রিসপোন্স।তাই কিছুটা বিরক্ত হয়েই দিনেশ সুইমিংপুল এর দিকে চলে গেলো।কিন্তু এখানে এসে তিতিরকে দেখতে পেলো না।মনের মধ্যে হঠাৎ অচেনা একটা ভয় এসে জমা হলো।সব জায়গায় তিতিরকে খুঁজতে লাগলো।ফোনও দিলো,কিন্তু বারবার বন্ধ বলছে।দিনেশ কেমন দিশেহারা হয়ে পড়ছে।কি করবে,কোথায় খুঁজবে।কেনো যে ওকে একা ছেড়ে গেলাম।নিজের উপরই প্রচণ্ড রাগ উঠছে দিনেশের এখন।মাথার চুলগুলো টেনে ধরে, একটা চেয়ারে বসে পড়লো দিনেশ।চিন্তা করতে লাগলো কি করবে।তিতির নিজের ইচ্ছায় কোথাও যাবে না।কারণ ও এখানকার কিছুই চিনে না,আর অপরিচিত কারো সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।তাহলে গেলো কোথায়,আর কার সঙ্গে।হঠাৎ কিছু একটা মনে করে উঠে দাঁড়ালো দিনেশ।হয়তো ও ক্লু পেয়ে গেছে।”
………………………………
প্রিয়ুকে লাঞ্চ করিয়েই আয়ন অফিসে চলে এলো।নতুন একটা প্রজেক্ট শুরু করেছে আয়ন।তাই না চাওয়া সত্যেও প্রিয়ুকে ছেড়ে আসতে হয়েছে।ওর খুব মন চাইছিলো প্রিয়ুর কাছে থেকে নিজের অস্থিত্বটা কে অনুভব করতে।কিন্তু কাজের কাছেও আয়ন দায় বদ্ধ।পুরো ব্যবসা ওর উপর ডিপেন্ড।আর তাই ওই যদি গায়ে ফু দিয়ে হাটে তাহলে পুরো ব্যবসা লাটে যাবে।
তাই ও ইচ্ছা করলেও নিজেকে এসব দায়িত্ব থেকে মুক্ত করতে পারবে না।নিজের কাজে যখন মগ্ন আয়ন তখনই কেবিনে নক করে রবিন আসলো।রবিনের দিকে এক পলক তাকিয়ে আয়ন আবার নিজের কাজে মনোাযোগ দিলো।আর কন্ঠ স্বাভাবিক রেখেই রবিনের কাছে জানতে চাইলো,”কি সমস্যা রবিন।কোনও সমস্যা থাকলে গৌরচন্দ্রিকা ছাড়াই বলে ফেলো।এমনেই মাথাটা হং হয়ে আছে।এভাবে নিরবতা পালন করে আমার বি পি হাই করো না আর।”

–রবিনও কোনও হেয়ালাপনা না করে বলা শুরু করলো,”আপনার ধারণাই ঠিক ছিলো স্যার।এই রোহান লোকটা সুবিধার না।একদম বিড়াল তাপস্বী প্রকৃতির লোক।আর অতিতে অনেক মেয়েলি ঝামেলায়ও জড়িয়ে ছিলো।”

‘মেয়েলি ঝামেলা মানে।আয়ন নিজের কাজ রেখে প্রশ্ন করলো রবিনকে।’

–মানে!যেখানে আগে ও থাকতো।তার জন্মস্থান গিয়ে জানতে পাড়লাম,অতিতে নাকি ওর অনেক মেয়েদের সাথেই সম্পর্ক ছিলো।এদের বিয়ের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের প্রেমের নামে একপ্রকার ভোগই করতো।তাই অনেকে অনেকবার পুলিশ কেসও করেছিলো রোহানের বিরুদ্ধে কিন্তু এই রোহান গভীর পানির মাছ স্যার।কিভাবে যেনো চালাকির সাথে বের হয়ে যেতো প্রতিবার।রিসেন্টলিও একটা মেয়ের সাথে ব্রেকআপ হয়েছে শুনেছি।মেয়েটির নাম নোরিন ছিলো।মেয়েটির সাথে শুনেছি এনগেজমেন্টও হয়েছিলো।কিন্তু এরপরও সম্পর্ক টিকলো না।কারণটা জানা যায়নি।

–“বাড়ীতে কে কে আছে ওর।”

‘বর্তমানে কেউ নেই,বাবা দুবছর আগে পটল তুলেছে।’

–“আয়ন হেসে দিলো,তুমি দেখি আজকাল শব্দভাণ্ডার নিয়ে বসেছো।এমন অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ বলার রহস্য কি রবিন।”

‘রবিন চোর ধরা পড়ার মতো মাথাটা নিচু করে ফেললো।কেমন হিস্ ফি্স করতে লাগলো।’

–“আয়ন এবার জোড়েই হেসে দিলো।প্রেমে পড়েছো মনে হয়।তাইতো!”

‘রবিন এবার অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো আয়নের দিকে,ভাবছে স্যার কিভাবে জানলো।’

–“কি ভাবছো আমি কিভাবে বুঝলাম।আয়ন হেসেই বললো রবিনকে”।

‘রবিন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।নিরবতা পালন করে জানাচ্ছে হুম, ও জানতে চায়।এটা তো অনেকটা টোপ সিক্রেট ব্যাপার, যা ও কাউকে জানতে দেয়নি।তাহলে আয়ন স্যার কিভাবে জানলো।’

–“রবিনকে এভাবে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে,আয়ন নিজেই বলতে লাগলো।তোমার আচরণ দিনদিন বাচ্চাদের মতো হয়ে যাচ্ছে।অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করো।যা তোমার মতো একজন এডাল্ট ছেলের কাছে আশা করা যায় না।কিন্তু মানুষ কেবল নতুন নতুন প্রেমে পড়লেই এমন করতে পারে।আমার এসবের অভিগ্যতা আছে ভাই তাই আমি জানি।আশ্চর্য হবার কিছুই নেই।”

‘রবিন আয়নের কথায় কিছুটা লজ্জা পেতে লাগলো।রবিনের এমন অবস্থা দেখে আয়ন রবিনকে আর বিব্রত করলো না, তৎক্ষনিক কথা ঘুড়িয়ে ফেললো।আর কিছু জানতে পাড়ছো রোহান সম্পর্কে।’

–হুম স্যার।একটা ইন্টেরেস্টিং কথা জানতে পেরেছি।রোহানের মায়ের সম্পর্কে কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি।
–“আয়ন ভ্রুটা কুচকিয়ে জিঙ্গেস করলো,মানে!আই মিন কেনো”।
–জানি না স্যার।ওখানকার কেউ নাকি রোহানের মাকে কখনো দেখেনি।শুধু ওর বাবাকেই চিনে সবাই।আর প্রতিবেশি কেউ ওর মা সম্পর্কে কিছু বলতেও পারেনি।এই ব্যাপারে নাকি বাপ ছেলে কখনো কাউকে কিছু বলতো না।জিঙ্গেস করলেই এড়িয়ে যেতো।ব্যাপারটা কিন্তু অদ্ভুত।

–“হুম!ভেরি ইন্টেরেস্টিং।আর সেদিনের ব্যাপারটা।প্রিয়ুর সাথে ভার্সিটির বাহিরে হঠাৎ দেখা।ওটা কি কো-ইন্সিডেন্ট ছিলো।নাকি অন্য কিছু।”

‘সেটা সিউর বলতে পারছি না স্যার।তবে আমি লোক লাগিয়ে রেখেছি রোহানের উপর নজর রাখতে।আর সেদিন প্রিয়ু ম্যামকে পাঠানো ছবি আর ভিডিওটি কোনও লেপটপ থেকে সেন্ড করা হয়েছে।আমরা ট্রেস করার চেষ্টা করছি,কার লেপটপ থেকে এসেছে এসব।’

–“তুমি এক কাজ করো রবিন,আমার একটা কার্ড নিয়ে সোজা থানায় চলে যাও।ওখানে ওসি পলাশের সাথে দেখা করো।আমি ওকে সব বলে দিচ্ছি ফোনে,ও তোমাকে লেপটপ টা বের করতে সাহায্য করবে।আই হোপ এতে আমরা তারাতারি কোনও ক্লু পেয়ে যাবো।”

‘ওকে স্যার বলেই রবিন চলে গেলো।আয়ন আবারও নিজের কাজে মনোাযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলো,কিন্তু এই রোহান লোকটিকে নিয়ে ভাবাচ্ছে আয়নকে।দুবছর আগে উড়ে এসে হঠাৎ জুড়ে বসলো প্রিয়ুর জীবনে তাও আবার আমার অবর্তমানে।আমি আসার সাথে সাথে গায়ব হয়েও গেলো।এর পর আমি আর প্রিয়ু আলাদা হয়ে গেলাম।এখন যখন আবার এক হলাম,এই রোহান নামক প্যারা আবার ঘাড়ে চেপে বসছে।কিন্তু কেনো?
কে এই রোহান,কি চায় ও।’
………………….
হোটেল রুলের বিছানায় কেমন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে তিতির।নিজের মধ্যে নিষিদ্ধ ফিলিংগুলো যে ওকে সম্পূর্ণ রুপে ঘিরে ফেলছে তা কিছুটা হলেও বুঝতে পাড়ছে।কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো শক্তি বা মনোবল কোনোটাই জোগার করতে পারছে না।শরীরটাকে কেমন ক্ষু্ধার্ত লাগছে।আজ আর অন্য কিছু না শুধু কামবাসনা জেগে উঠেছে পুরো শরীরে।কিছুটা শক্তি যোগার করে আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলো তিতির।রুমের চারদিকে একবার চোখ বুলালো।রুমটাতে তেমন আলো নেই।ড্রিম লাইটের হালকা আলোয় ঘরটি অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে।হঠাৎ মনে হচ্ছে রুমের টেম্পেরেজার খুব বেশি,তা না হলে তিতির এই শীতেও ঘামছে কেনো।কেমন অস্বস্তিকর সব কিছু।এক এক করে শীতের পোশাকগুলো নিজেই খুলে ফেললো তিতির।পড়নে এখন ওর একটা সিল্ক শাড়ী।কিছুটা এলোমেলো হয়েই আবার বিছানায় বসে পড়লো।মন আর মস্তিষ্কের সাথে এখনো ওর লড়াই চলছে।সাথে বাড়ছে শরীরের কিছু অনাঙ্কাকিত চাহিদা।স্থির রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে নিজেকে।

–“ঠিক সেই সময় সুজেত বোস রুমে প্রবেশ করলো।”

“তিতির তখনো চুপ করে বসে ছিলো।কোনও রিয়েক্ট করলো না।তাকিয়ে দেখলোও না কে এসেছে রুমে।”

–“নিজের কোটটা খুলে তিতির এর দিকে তাকালো সুজেত।ওর দৃষ্টি ছিলো কোনও বিষাক্ত সাপের মতো,যে তিতিরকে দংশন করার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করছে।তাছাড়া তিতির মনে এখন কি চলছে ও খুব ভালো করে বুঝতে পাড়ছে।কারণ এর অভিগ্যতা আছে ওর।এর আগেও এই ড্রাগ অনেক মেয়েকে ও দিয়েছিলো।ও জানে কিছুক্ষন পর তিতির নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না,যতই চেষ্টা করুক, নিজেই আসবে।এরপর এই সাপুড়ের কাছে নিজের সবচেয়ে মুল্যবান জিনিসটি স্বইচ্ছায় সপে দিবে।”

-সুজেত তিতির সামনে গিয়ে দাঁড়ালে, এবার মুখ তুলে তাকালো তিতির।তিতিরের নেশাগ্রস্ত দৃষ্টি,ওকে আরো বেশি সুন্দর আর লোভনীয় লাগছিলো।তিতিরের দুবাহু ধরে ওকে একদম কাছে টেনে নিলো সুজেত।তিতিরও যেনো সারা দিলো তাতে।তিতির নিজের মধ্যে ছিলো না,তাই সুজেতের বিষাক্ত ছোয়াগুলো কোনও বাধা ছাড়াই অনুভোব করছে।হয়তো বুঝতে পাড়লে এতোক্ষণে নিজের জান দিয়ে দিতো।কিন্তু এখন সব উল্টো হচ্ছে,বরং তিতিরও সুজেত এর সাথে যেনো ডুবে যাবে।

–“হঠাৎ রুমের দরজা খুলে কেউ প্রবেশ করেছে কেউ।রুমটি বেশ অন্ধকার থাকলেও দিনেশ বিছানায় দুজন জনমানব কে আদিমসুখে লিপ্ত হতে দেখতে পারছে।রাগে দিনেশের চেয়ারার রং পাল্টে গেছে।তিতিরকে অন্য কারো সাথে দেখা দিনেশের সহ্যের সব বাধ যেনো আজ পাড় করেছে।দাঁতগুলো চেপেও নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে পারলো না,বরং কপালের শিরাগুলোও ফুলে গিয়েছে।
দিনেশের একটা লাথিতে সুজেত গিয়ে ছিটকে পড়লো বহুদূরে,এতে দেয়ালে মাথা লেগে রক্ত পড়া শুরু হয়।তিতির উঠে বসতে নিলে দিনেশ তিতির এর গালেও একটা চড় বসিয়ে দেয়।এরপর তিতির পেছনের চুলগুলো শক্ত করে নিজের মুঠিতে ধরে,মুখের সামনে মুখ এনে দাঁতেদাঁত চেপে বলে,”এতোই যদি জ্বালা ছিলো তোর তাহলে আমার কাছেই আসতি।ওর কাছে কি এমন আছে যা একদিনেই তোকে বিমোহিত করে ফেলেছে।সরাসারি বিছানায় এসে পড়েছিস।”

তিতির নিরব,মুখে কোনও কথা নেই,বরং দিনেশের দিকেও কেমন কাতর চোখে তাকিয়ে আছে।দিনেশ আরো কিছু বলবে তার আগেই,”তুমিও এসো,আই ডোন্ট মাইন্ড।লেটস এন্জয় টুগেদার।তিতির হঠাৎ দিনেশের কলার চেপে বিছানায় ফেলে দিলো।এলোপাথাড়ি দিনেশকে কিস করতে লাগলো।তিতির অনেক বেশি উন্মাদ হয়ে পড়েছে।আর দিনেশ ব্যাচারা শোকড এর মধ্যে আছে।কি চলছে এসব।কিন্তু তিতির যে স্বাভাবিক আচরণ করছে না,দিনেশ বুঝতে পাড়লো।হঠাৎ দিনেশ তিতিরকে এক ঝটকা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো নিজের থেকে।
বিছানা থেকে উঠে দিনেশ,সুজেত বোসের কাছে গেলো,সুজেত দিনেশকে দেখেই একটু ভয়ে পিছনে চলে গেলো।দিনেশ সুজেত এর কলার চেপে ধরে,”কি করেছিস ওর সাথে।”

–ক কোথায় করতে পারলাম।তার আগেই তো তুমি এসে পড়েছো।
“তাহলে ও এমন বিহেভ করছে কেনো।কি খাইয়েছিস।”
–stimulant drugs দিয়েছিলাম।কথাটা শুনার সাথে সাথে দিনেশ সুজেত এর নাক বরাবর এক ঘুষি মারে।মুহুর্তে সুজেত চোখে সব ঝাপসা দেখতে লাগলো,বেলেন্স হারিয়ে নিচে পড়ে যায়।যথাসম্ভব জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
“তখনই তিতির আবার এসে দিনেশকে পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরে।কি করছো তুমি ওর সাথে,ওকে ছাড়ো আমাকে ধরো।আমি ওর থেকে বেশি সুন্দর।দেখো আমাকে একবার।
Now I need you very much.please accept me.I am very thirsty. pls quench my thirst…

“সিরিয়াসলি তিতির,আর ইউ মেড।তুমি কি জানো তুমি কি বলছো।”

–হুম!দিনেশ স্যার।আমি সব জানি।এন্ড আই জাস্ট ওয়ান্ট ইউ নাউ।

দিনেশ তিতির আজকের কর্মকাণ্ডে খুবই বিরাক্ত।কি করে বুঝাবে এই মেয়েকে।কি বলছে নিজেও তো জানে না।শেষ পর্যন্ত মনে হয় এই মেয়ের থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে পারবো না।আজ তো আমার কাছে আসার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।উফ!

চলবে…।

রি-চেক করা হয়নি। ভুল থাকলে জানাবেন।এডিট করে
দেব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here