#কাউকে_চাই_না
#মাশরাফি_আল_মেহেদী
#পর্ব_২
চট্টগ্রামে এসে প্রায় 3 মাস হয়ে গেলো। এইখানে সারা দিন অফিস আর সন্ধায় বাড়িতে গিয়েই দিন পাড় হচ্ছে। আর আমি যেহেতু এইখানেই প্রায় 4 বছর পড়াশুনা করেছি, তাই এইখানে আমার অনেক বন্ধুই আছে। তাদের সাথে ছুটির দিন গুলোতে মাঝে মধ্যে আড্ডা দেই। প্রতি ছুটিতে হয় না। কারণ আমি বাদে তারা সবাই ই বিবাহিত। আর এই 3 মাসে আমার ব্যাবসার লাভ এবং পরিধি চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে গেছে। তবে সেইভাবে ও বড়ো হয় নি। তবে ঠিক মত পরিশ্রম করলে ঠিকই উন্নতি হবে এইটা আমার বিশ্বাস।
এই 3 মাসে অনেক কিছুই বদলেছে। যেমন আমার নিজের চেহারাও বদলে গেছে প্রায়। আগে সব সময় হাসি খুশি থাকতাম। আর এখন খুব একটা মন খুলে কথা বলা হয় না। আর হাসি.😔😔
তবে একটা জিনিষ বদলে নি। আব্বু আম্মু এখনও আমাকে আমার প্রফেশনে সাপোর্ট করে না। অর্থাৎ তারা এখনও বলে যে, চাকরির বয়স এখনও আছে। এইসব থেকে যেনো চলে এসে। চাকরির পরীক্ষা দেওয়া শুরু করি।
এই এক কথা যখনই ফোন করি তখনই শুনতে হয়। তাই আমি ইদানিং নিজে থেকে খুব একটা কল করি না।
এই কয়েক মাসে আমার বিথির কথা প্রথম প্রথম মনে পড়লেও এখন আর পরে না। কারণ সারা দিন নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যাস্ত রেখেছি। আর রাতের বেলা সারা দিনের কাজের কারণে ঘুম চলে আসে।
এইভাবেই চলছিল আমার দিনকাল। তবে আমার পরিবারের মধ্যে একমাত্র আমার ভাইয়ার সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ভাইয়া টরন্টোতে একটা ব্যাংকে জব করে। আর ভাবির সাথে সেইখানে পড়াশুনার সময় দেখা হয় আর তারপরে বিয়ে হয়। আমার প্রফেশনে শুধুমাত্র আমার ভাইয়াই সাপোর্ট করে। অনেক সময় কিছু পরামর্শ ও দেন। এতে আমার অনেক ক্ষেত্রেই লাভই হয়। আর ভাবীকে ডক্টর ডেট দিয়েছেন আগামী মাসের 10 তারিখে। অর্থাৎ ওইদিন হয়তো তাদের ছেলে/মেয়ে হবে।
আর ওপর দিকে শাওন আর বিথি বিয়ে করে অনেক সুখে শান্তিতে আছে। বর্তমানে বিথির মনে হয় সে অভ্রকে ছেড়ে দিয়ে ভালই করেছে। কারণ তার কাছে থাকলে সুখ বলে কিছু পেত না। আসলে বিথির মত মানসিকতার মানুষজন ভাবে যে টাকাই হয়তো তাদের সুখী রাখতে পারবে। আর সে যে অভ্রকে কষ্ট দিয়েছে সেইটা নিয়ে তার ভিতরে কোনো খারাপ নেই।
এইভাবে সবাই সবার মত করে চলছে। আর মাঝখান থেকে কেটে গেলো প্রায় 2 বছর। এই 2 বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে।
যেমন?………
#চলবে