কিশোরী_মাফিয়া পর্ব_৪

  • #কিশোরী_মাফিয়া পর্ব_৪
  • লেখক_আকাশ_মাহমুদ

    আমাদের ছেলেপেলের লাশ পাওয়ার পর তাঁদের গলার নিচে কারোর দাঁতের চিহ্ন পেয়েছি।যেই চিহ্ন টা একদম গলার চামড়া থেকে নিয়ে শুরু করে গলার রগ পর্যন্ত গিয়েছে।যেসব দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,যে কেউ তাঁদের গলায় ধারালো দাঁত দিয়ে কামড়েছে!

    –ঠিক আছে আমি দেখছি।তোরা একটু সাবধানে থাক।
    তারপর ফোন রেখে দিলাম বিছানার পাশে।মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে পুরো এই খবর শোনার পর!তখনি ফোনটা আবার বেজে উঠে!বালিশের পাশ থেকে ফোনটা আবার হাতে উঠাতেই দেখি ঈদনির বাবার নাম্বার থেকে ফোন এসেছে!আমি তাড়াতাড়ি কিছু না ভেবেই ফোনটা রিসিভ করলাম।তখনি অপরপাশ থেকে ঈদনি বলে উঠে….

    –সরি….

    –চমকে গেলাম ঈদনির এমন অদ্ভুত আচরণে!
    ঈদনি হটাৎ সরি বলছো কাহিনী টা কি?

    –আসলে বাবা আমায় সব কিছু বলেছে বাসায় আসার পর,যে আপনি সেখানে গুন্ডামী করছিলেন না,বরং যারা গুন্ডামী করছিলো,আপনি তাঁদের সায়েস্তা করছিলেন।

    –হুম….

    –আমি দুঃখীত প্লিজ কিছু মনে করবেন না।

    –নাহ আমি কিছু মনে করিনি।

    –থ্যাংক ইউ।আচ্ছা আপনার হাতের কি অবসর এখন?
    ভালো হয়েছে কি হাত?

    –হুম ভালো হয়েছে।

    –আচ্ছা তাহলে এবার রাখি ভালো থাকবেন।

    –হুম তুমিও।
    তারপর ঈদনিই ফোন কেটে দিলো।বেশ খুশি লাগছে ঈদনির এমন আচরণে!ভিতরে কেমন যেনো অনুভূতি হচ্ছে ঈদনিকে নিয়ে।এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।বিকাল বেলায় মা’এসে ডাকতে শরু করলো।

    –এই আকাশ উঠ…

    –ঘুম ঘুম চোখে মা’কে জিগ্যেস করলাম,কি হয়েছে মা?

    –আরেহ উঠে বস আগে।পরে তোকে বলছি।

    –চোখ কচলাতে কচলাতে শোয়া থেকে উঠে বসলাম।
    হুম বলো…

    –আমি মেয়ের বাবার সাথে কথা বলেছি।তিনি রাজি তোর সাথে তিনার মেয়ের বিয়ে দিতে।কিন্তু তিনি বলেছেন আগামীকাল একবার গিয়ে তার সাথে এবং তার মেয়ের সাথে কথা বলতে।

    –ঠিক আছে মা’আমি যাবো।
    দেখতে দেখতে দিনটা কেটে গেলো।পরেরদিন সকালে কলেজে না গিয়ে ঈদনির গ্রামে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম।গার্ডকে সাথে নিয়ে ঈদনির গ্রামে এসেছি।
    ঈদনির বাসায় যাওয়ার মাঝ পথে তার বাবার সাথে দেখা হলো।

    –সাহেব আপনি এসেছেন…

    –হুম।

    –সাহেব আপনাকে কিছু বলার আছে।

    –জ্বি বলুন।

    –সাহেব ঈদনিকে বিয়ের ব্যাপারে এখনো তেমন কিছুই বলিনি।সে শুধু জানে তাঁকে আজকে কেউ দেখতে আসবে।সো আপনি গিয়ে তার সাথে কথা বলুন।অবশ্য আশা করি সে রাজি হবে না।কিন্তু আমি বললে আবার আমার কথাও সে ফেলতে পারবে না।কারন সে আমায় অনেক বেশি ভালোবাসে।তার যতো কষ্ট’ই হোক না কেন,সে তা মুখ বুঝে সহ্য করে আমার কথা মেনে নিবে।

    –ঠিক আছে আমি গিয়ে তার সাথে কথা বলছি।
    ঈদনির বাসায় চলে গেলাম ঈদনির সাথে কথা বলার জন্য।সে আমাকে তার বাসায় দেখে অবাক দৃষ্টিতে বলতে লাগলো…

    –এই আপনি এখানে কি করছেন?

    –তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি।

    –মানে কি?

    –আগে আমায় বসতে দাও।

    –হুম ভিতরে আসুন।

    –ঈদনির বাসার ভিতরে গিয়ে বসলাম।

    –এবার বলুন।

    –কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সোজা বলে দিলাম,ঈদনি আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।
    .
    ঈদনি আকাশের কথা শুনে চরম রেগে যায়!সে কোমড় থেকে সেই চাকুটা বের করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।পরে আকাশের দিকে চাকু নিশানা করে বলে…

    –আগের বার তো হাত কেটেছি।এবার তোর গলা নামিয়ে দিব একদম।

    –ঈদনি যা করার করো।আমি তোমায় বিয়ে করবো এটাই খালি জানি আমি।

    –দেখ আমার কিন্তু অতিরিক্ত রাগ উঠে যাচ্ছে!তুই কিন্তু অনেক বেড়েছিস!তোর দশা খারাপ করে ছেড়ে দিব কিন্তু বলে দিলাম।

    –ঈদনি বললাম তো,যে তোমার যা করার করো।কিন্তু আমি তোমায় বিয়ে করে নিজের বউ বানাবো।

    –এই হারামি,আর একবার এই বিয়ের নাম মুখে আনবি না।তোর মতন গুন্ডাকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।আর তাছাড়া বাবা আমাকে এখন বিয়ে দিবে না।

    –ঈদনি তোমার বাবার সাথে কথা বলেই এখানে এসেছি।
    .
    আকাশের মুখে তার বাবার কথা শুনে ঈদনির গলার স্বর ছোট হয়ে যায়!

    –বাবা বলেছে মানে বুঝলাম না!

    –হুম তোমার বাবা তোমার আর আমার বিয়েতে রাজি।
    তিনার সাথে কথা বলেই তোমার কাছে এসেছি আমি।
    .
    ঈদনি চুপচাপ হয়ে যায় আকাশের কথা শুনে!কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে নীরবতা ভেঙ্গে নিজেই আকাশকে বলে…

    –দেখ আমার বাবা যদি তোর সাথে বিয়ে দেওয়ার সম্মতি দিয়ে থাকে,তাহলে আমি চুপচাপ বিয়ে করে নিব।কিন্তু হ্যাঁ তোর সাথে এই জন্মে কোনোদিন ও সংসার করবো না আমি।কারন তুই হলি অনেক বড় গুন্ডা।আর তাছাড়া বয়সে তো আমার চাইতেও অনেক সিনিয়র।সো সংসার করার স্বপ্ন তোর ভুলে যেতে হবে।
    আর তাছাড়া আমি নিজেই তোর সাথে কোনোদিন সংসার করবো না।হ্যাঁ বিয়ে করলে অবশ্য তোর বাড়িতেই থাকতে হবে আমার।কিন্তু তুই কোনোদিন আমার মন আর শরীর পাবি না।তোর মতন তুই থাকবি।আর আমি আমার মতন পড়ে থাকবো।আর যদি কখনো তুই আমার সাথে জোর করে কিছু করার চেষ্টা করিস,তাহলে সেদিন হয় তোকে মেরে ফেলবো।না হয় নিজে মরে যাবো।মোট কথা তোকে আমি এই জীবনে কোনোদিন ও মেনে নিব না।কারন তোর জন্য আমার মনে কোনো জায়গা নেই।আছে শুধু ঘৃণা।
    কিন্তু সেটা প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছি না বাবার সম্মতি দেখে!আর হ্যাঁ আরেকটা কথা,তুই আমাকে বিয়ে করাটা তোর জন্য অনেক বড় কাল হয়ে দাঁড়াবে।এটাই খালি মাথায় ঢুকিয়ে রাখিস।
    .
    ঈদনির কথা আকাশ এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়।কারন সে আগ থেকেই জানতো ঈদনি এমন কিছুই করবে বা বলবে।অবশ্য তার ধারণা এর চাইতেও আরো নেগেটিভ ছিলো ঈদনিকে নিয়ে,যে ঈদনি তাঁকে হয়তো আবারো চাকু দিয়ে আঘাত করবে।কিন্তু নাহ সে সেটা করিনি।

    –যাক বাবা বাঁচলাম মেয়েটার হাত থেকে!ঈদনি তুমি টেনশন করিও না।আমি তোমাকে আমার ভালোবাসা দিয়ে ঠিক পাল্টে দিব।
    .
    আকাশ কথা গুলা মনে মনে বলে।তখনি ঈদনি তাঁকে আবার বলে….

    –শোন তুই হয়তো এখন মনে মনে ভাবছিস,যে বিয়ের পর আমাকে তোর মায়ায় আঁটকে পরিবর্তন করবি।তাহলে সেটা কিন্তু তোর ভুল ধারণা হবে।কারন এই ঈদনি কখনো পাল্টাবার মতন মানুষ না।সে যেটা একবার মুখ দিয়ে বলে,সেটা সে করেই ছাড়ে।আর তোর ক্ষেত্রে তো আরো ভয়ংকর হয়ে যাবো আমি।কারন তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মেরেছিস।আমার অনিচ্ছা সত্ত্বে তুই আমার বাবাকে পটিয়ে আমায় বিয়ে করছিস।তোর জন্য সত্যিই অনেক ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে।

    –ঈদনির কথা শুনে তাজ্জব হয়ে গেলাম!কারন সে আমার মনের কথাটা জেনে গেছে!নাহ এখন এখান থেকে যাওয়া উচিৎ।তাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
    ঈদনি বিয়ের জন্য তৈরী হও তুমি।আর আমার যা হওয়ার হবে।তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আমার।
    .
    ঈদনি আকাশের শেষ কথাটা শুনে আরো রেগে যায়!সে অগ্নি দৃষ্টিতে আকাশের দেখে তাকিয়ে থাকে!

    –ঈদনি আমি চললাম এখন।

    –যা দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।না হয় বিয়ের আগেই তোর মরন হবে আমার হাতে।
    .
    আকাশ ঈদনির বাসা থেকে বেরিয়েছে সোজা হাঁটা ধরে।মাঝ পথের সেই জায়গা টাতেই আকাশের সাথে আবার ঈদনির বাবার দেখা হয়।

    –সাহেব কি বলেছে ঈদনি?

    –আমার কথা শুনে তার ভিতরে আমার রক্ত খাওয়ার পিপাসা জেগেছিলো।কিন্তু আপনার কথা শুনে সে চুপ হয়ে যায়।কিন্তু তার-পরেও অনেক কিছু বলেছে আমাকে।তবে সেসব আপনাকে না বলাই ভালো।আপনি খালি বিয়ের ব্যবস্থা করুন।যতো জলদি তাঁকে বিয়ে করবো,ততোই ভালো আমার জন্য।

    –ঠিক আছে আমি আপনার মায়ের সাথে কথা বলে আসছে শুক্রবার বিয়ের ডেট ফাইনাল করবো।

    –ঠিক আছে।
    ঈদনির বাবার সাথে কথা শেষ করে চলে আসলাম।
    গাড়িতে বডিগার্ড অপেক্ষা করছে বসে বসে।তার সাথে আবারো বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে মা’কে জানালাম মেয়ের বাবার সাথে আর মেয়ের সাথে কথা হয়েছে আমার।কিন্তু কি কথা হয়েছে সেটা বলিনি আর।কারন ঈদনির সম্পর্কে মা’কে বললে তিনি এই জন্মে আর ঈদনির সাথে বিয়ে দিবে না আমার।ঈদনির আচরণ সম্পর্কে লুকিয়ে রেখে তার কিছুটা প্রসংশা করলাম।মা’তো বেশ খুশি।তারপর নিজের রুমে চলে আসলাম।সময় সময়ের মতন কাটছে। রাতের বেলায় ফরিদ আবারো ফোন দিলো।

    –ভাই কোনো খবর পেয়েছেন কি সেই গ্যাংস্টারের সম্পর্কে?

    –নাহ আমি এখনো এসবে মাথা ঘামাইনি।আর আগামী এক সাপ্তাহ ও ঘামাবো না।তোরা সাবধানতার সাথে থাক।এক সাপ্তাহ পর আমি এসবে মাথা ঘামাবো।

    –ঠিক আছে ভাই।

    –তারপর ফোন রেখে দিলাম।আর এক সাপ্তাহ মাথা না ঘামানোর কারন তো সকলেই জানেন,যে আমি ঈদনিকে বিয়ে করতে চলেছি।তাই সেই মোতাবেক নিজেকে শান্তশিষ্ট ভাবে গুছিয়ে রাখলাম।সময় তার আপন মনে চলছে।দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এসেছি।বিয়ের সমস্ত ফর্মালিটিস শেষ করে ঈদনিকে আপন করে নিয়েছি।বাসর ঘরে ঈদনি বসে আছে।আর আমি বাসর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঈদনির সম্পর্কে ভাবছি।তখনি মা এসে…

    –এতো ভাবা ভাবির কিছু নেই।পছন্দ করে বিয়ে করেছিস তো এতো ভাবার কি আছে?
    যা ভিতরে যা।

    –মা’আসলে….

    –আকাশ তুই ছেলে।আর ছেলেদের এতোটা ভাবাভাবির কাজ নেই।সো ভিতরে যা।

    –মায়ের কথা মতন বাসর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলাম।আমার উপস্থিতি টের পেয়ে ঈদনি খাট থেকে নেমে এসে আমার পা ধরে সালাম করতে লাগলো।ঈদনির আচরণে বেশ অবাক হলাম!কিন্তু সেটা ঈদনিকে বুঝতে দিলাম না।আমি আপন মনেই ঈদনিকে পা ছুঁতে না দিয়ে দুই হাত তার বাহুতে রেখে তাঁকে উঠানোর ট্রাই করলাম।তখনি সে শাড়ির ভিতর থেকে চাকু বের করে আমার হাতে ঘা মেরে দিলো!আর সাথে সাথে হাতের মাংস কেটে গিয়ে সেখান থেকে চিড়চিড় করে রক্ত বের হতে আরম্ভ করলো!অবাক দৃষ্টিতে ঈদনির দিকে তাকিয়ে আছি!তার আচরণে পুরোপুরি বোবা হয়ে গিয়েছি আমি!তাঁকে বলার মতন সমস্ত ভাষাই যেনো হারিয়ে ফেলেছি আমি!সে আমার চোখের দিকে এক পলক তাকিয়ে ওয়ারড্রবের সামনে চলে গেলো।পরে গলা আর কান থেকে স্বর্নের গহনা গুলো খুলতে আরম্ভ করলো।আমার হাত থেকে এখনো ধীরগতিতে স্রোতের মতন রক্ত পড়ছে।আমি পাঞ্জাবির একটা সাইড উঠিয়ে হাতের মধ্যে চেপে ধরলাম।পরে নিজের খাটে চলে গেলাম।ঈদনি গহনাগাঁটি খুলে খাটে এসে বসলো।আমার দিকে যেনো তার কোনো খেয়াল নেই!রক্তের স্রোতে যে আমার হাত আর পাঞ্জাবি পুরো লালবর্ণ ধারন করেছে,তাতে যেনো তার কিছুই যায় আসে না।তখনি সে আমার বললো…

    –কিরে খুব কষ্ট হচ্ছে নাকি রে তোর?

    –ঈদনির কথার প্রতিত্তোরে কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না!তাই চুপচাপ করে বসে থাকলাম।

    –জানি আমি,যে তোর অনেক কষ্ট হচ্ছে!কিন্তু একটা জিনিস কি জানিস?তুই সত্যিকারত্বে এই কষ্টটা ডিজার্ভ করিস।কারন তুই আমাকে আমার মতের বিরুদ্ধে বিয়ে করেছিস।সো কষ্টটা তোর জন্য প্রাপ্য।অবশ্য প্রত্যেক মানুষের জন্য এই বাসর ঘর নামক জিনিসটা অনেক মধুর হয়,কিন্তু তোর জন্য সেটা নড়ক।কারন তোর মতন গুন্ডা এর থেকে আর ভালো কিছু আশা করে না।

    –ঈদনির কথা শুনে মনের ভিতরে বিশাল একটা আঘাত লাগলো!চুপচাপ সেভাবে হাত চেপে ধরে অন্যপাশ ফিরে শুয়ে পড়লাম।তখনি ঈদনি আবার ডাক দিলো।

    –এই ছেলে শোয়া থেকে উঠ…

    –কেন আঘাত করে মন ভরেনি?নাকি আরো বাকি আছে আঘাত করা।

    –দেখ বেশি কথা বলিস না।এমনেই তোর উপরে রাগ উঠে আছে।সো শোয়া থেকে উঠ।

    –ঈদনির কথা মতন শোয়া থেকে উঠে বসলাম।

    –দেখি তোর হাতটা এদিকে দে?

    –চিন্তায় পড়ে গেলাম ঈদনির কথা শুনে!কারন কখন আবার কি করে বসে কে জানে!আপনার সবাই হয়তো ভাবছেন আমি কেন ঈদনির সাথে কঠোর হচ্ছি না!আসলে আমি কঠোর হতে চাচ্ছি না।আর সেই না চাওয়ার কারনটা হচ্ছে তাঁকে আমি নিয়মের বাহিরে গিয়ে বিয়ে করেছি।সো যেহেতু আমি নিয়ম মানিনী,সে ক্ষেত্রে অনেক কিছুই আমার প্রাপ্য।আর তাছাড়া আমার ধৈর্য ক্ষমতা অনেক বেশি।আমি সহজে কারোর উপরে রাগি না।আর রাগলে সে আর জমিনের উপরে পা রেখে চলার মতন অবস্থায় থাকে না।

    –কিরে হাত এগিয়ে দিতে বলেছি না…

    –ঈদনির দিকে হাত এগিয়ে দিলাম।তখনি সে বালিশের নিচ থেকে একটা পলিথিনের পুটলি বের করলো।পরে সে টান দিয়ে সেটা ছিঁড়ে ফেললো।সে সেটা ছিঁড়তে দেখতে পেলাম সেটার মধ্যে ব্যান্ডেজ,মলম আরো কি কি জানি রেয়েছে।এসব দেখে বুঝতে বাকি নেই,যে সে পুরোপুরি প্রিপারেশন নিয়েছে আজকে আমায় আঘাত করার জন্য।পরে সে আমার হাত ওয়াশ করিয়ে ক্ষতটাতে মলম লাগিয়ে দিলো।পরে সেটার উপরে ব্যান্ডেল লাগিয়ে দিলো।মেয়েটার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি!কারন তার মতিগতি এখনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না আমি!তখনি সে বলে উঠলো…

    –নে এবার ঘুমিয়ে পড়।আমি ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিয়েছি।সকাল হলে ডক্টর দেখিয়ে নিস গিয়ে।

    –চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়লাম।
    সকাল বেলায় ঘুম ভাংতেই রোমান্টিক একটা সিন দেখতে পেলাম!যে ঈদনি আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে!কিন্তু যখনি আমার নজর তার চেহারার দিকে পড়লো,তখনি বড়সড় একটা শকট খেলাম!তার চেহারার দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম,তার দুই চোখের কোনায় পানি জমে আছে!

    চলবে?

    ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here