#কিশোরী_মাফিয়া
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৯
ঈদনি চিতাবাঘের মতন চোখ বড় বড় করে ভয়ানক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!মনে হচ্ছে যেনো ঈদনি আকাশকে আস্তো গিলে খেয়ে ফেলবে!
আকাশ চমকে যায় ঈদনির এমন ভয়ানক চাহনি দেখে!
তাই সে ঈদনিকে জিগ্যেস করে…
–ঈদনি কি হয়েছে?তুমি আমার দিকে এমন ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছো কেন?
–আচ্ছা তোর সমস্যা টা কি বল আগে?
–আমার তো কোনো সমস্যা নেই।সমস্যা তো তোমার এনা মনে হচ্ছে।তাই চিতাবাঘের মতন আক্রমনাত্মক ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো।
–হুম সমস্যা টা আমার।কিন্তু তার কারনটা হলি তুই।রাতের বাজে তিনটা।তুই সেই বিগত এক ঘন্টা থেকে বিছানায় গন্ডারের মতন গড়াগড়ি খাচ্ছিস।তোর জন্য শান্তি মতন ঘুমাতেও পারছি না।তোর হাত আছড়ে আমার শরীরের উপরে এসে পড়ছে।তার উপরে আবার এখন ষাঁড়ের মতন আমার নাম ধরে চেঁচিয়ে উঠেছিস।
তাই তোর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছি।
.
আকাশ ঈদনির কথা শুনে বুঝতে পারে,যে সে যখন ঈদনিকে নিয়ে ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখছিলো,তখন তার ছটফটানি টা বাস্তবে হচ্ছিলো।যার কারনে সে অস্থিরতায় হাত-পা ছুটাছুটি করছিলো।আর তাই ঈদনি রেগে তার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে।কিন্তু এসবের ভিড়ে তার আরেকটা জিনিস চোখে বাঁধে!
–ঈদনির এমন ভয়ংকর চাহনি তো এর আগে কোনোদিন দেখি নি আমি!আজকেই তার এই ভয়ানক চাহনিটা চোখে পড়লো!
.
আকাশ ঈদনিকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অন্য মনস্ক হয়ে যায়।তখনি ঈদনি তাঁকে বলে…
–কিরে কি হয়েছে?কথা বলছিস না কেন তুই?কোন দুনিয়ায় হারিয়েছিস?
.
ঈদনির ডাকে আকাশের ঘোর কাটে।
–আসলে আমি তোমাকে নিয়ে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি।তাই এমন ছটফট করছিলাম।
–তোর দেখা স্বপ্ন টা যেনো সত্যি হয়।তাহলে বেঁচে যেতাম আমি।কারন তোর সাথে কখনোই আমার কোনো কিছু হবে না।তাই হয় তুই মরে যা,না হয় খোদা আমাকে নিয়ে যাক।অন্তত মুক্তিটা আমার মিলবে।
.
আকাশের মনে বিশাল ভাবে গিয়ে লাগে ঈদনির কথা টা!কারন সে ঈদনির জন্যই এমন ছটফট করছিলো,আর সেখানে ঈদনিই তাঁকে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছে।
–ঈদনি আমি সরি।আসলে আমার জন্যই তোমার ঘুম নষ্ট হয়েছে।আগামীতে এমনটা আর হবে না।আমি আগামীতে তোমার ঘুমের বিষয় টা খেয়াল রাখবো।আর তোমার মরতে টরতে হবে না।সময় আসলে আমিই অন্য দুনিয়ায় পাড়ি জমাবো।তখন আর তোমাকে এতো প্যারা উঠাতে হবে না।
.
ঈদনিও চুপ হয়ে যায় আকাশের কথা শুনে।কারন কেন জানি আকাশের কথাটা শুনে বেশ একটা খারাপ লাগা কাজ করে তার ও মনের ভিতরে!তাই সে আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
সকাল বেলায় প্রতিদিনের ন্যায় আকাশ ঘুম থেকে আগে উঠে যায়।আর আজো তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সে ঈদনির আগে ঘুম থেকে উঠে পড়েছে।কিন্তু আজকে আর সে ঈদনিকে ডাকে না।সে কিছু না খেয়েই সকাল বেলায় ঘর থেকে বের হয় যায়।আর বের হওয়ার সময় সেই চারজন গার্ডকে বলে যায়,দিয়া আর ঈদনিকে স্কুলে নিয়ে যেতে।তারপর আর কাউকে কিছু না বলেই মঞ্জুর ভাইকে নিয়ে কোথায় যেনো চলে যায়।
.
এদিকে ঈদনি ঘুম থেকে উঠে দেখে আকাশ নাই।এটা দেখে সে বেশ খুশি হয়।কারন আজ আর সেই বিরক্তিকর মানুষটাকে ঘুম থেকে উঠে দেখতে হয়নি।
আর তাছাড়া তার সাথে তর্ক ও করতে হয়নি।কারন এই দুইদিনে একটা রুটিন হয়েছে তাঁকে স্কুলে দিয়ে আসার বিষয় নিয়ে দুজন বাড়াবাড়ি করার।যেটা আজ আর করতে হয়নি।তাই সে নিজেই উঠে আপন মনে রেডি হয়ে নাস্তা করে নেয়।পরে গার্ড তাঁদেরকে স্কুলে দিয়ে আসে।টিফিন ব্রেকে সেই ছেলেটা ঈদনির জন্য অপেক্ষা করছে।ঈদনিও সেখানে চলে যায়।আর ছেলেটাকে হ্যাঁ করে দেয়।ছেলেটা তো বেশ খুশি ঈদনির হ্যাঁ বলায়।কিন্তু ঈদনির মনে তেমন কোনো খুশি নেই।তবে আবার সে আপসেট ও না।মোটামুটি মাঝামাঝি অবস্থায় আছে সে।সারাটা টিফিন ব্রেক ঈদনি সেই ছেলেটার সাথে বসে বসে গল্প করে।যার কারনে তাঁদের মধ্যে ভালো একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে যায়।আর অন্যদিকে গার্ড লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁদের সমস্ত কথাবার্তা শুনছে।কারন সে গতকাল এই তাঁদের সমস্ত কথাবার্তা শুনে নিয়েছে।যার ফলে আজকে ঈদনি সেই ছেলেটাকে কি উত্তর দেয়,সেটা জানার জন্য গার্ড আজো লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁদের কথাবার্তা শুনেছে।ঈদনির হ্যাঁ বলায় সে বেশ অবাক হয়!কারন সে বিবাহিত।আর তার বিয়েটা যেমন তেমন মানুষের সাথে হয়নি!কিন্তু তার পরেও সে পরকীয়া করছে!গার্ড এসব নিয়ে ভাবছিলো,তখনি ব্রেক শেষ হওয়ার ঘন্টা পড়ে।যার কারনে ঈদনি আর সেই ছেলেটা ক্লাসে চলে যায়।আর গার্ড স্কুলের বাহিরে এসে তাঁদের বিষয়েই ভাবতে থাকে।
.
অন্যদিকে আকাশ তার সমস্ত ছেলেপেলেকে দলবদ্ধ করে।তারপর তাঁদেরকে একত্রে করে বলে….
–দেখো লড়াই করার মতন সময় চলে এসেছে।
কারন আলফা নামক আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়া আমাদেরকে মারার জন্য দেশে অনেক শক্তিশালী একটা টিম মোতায়ন করছে।যাদেরকে বলা হয় হান্টার।তারা কিন্তু অনেক ভয়ংকর।তারা মানুষকে কামড়েই মেরে ফেলতে পারে।আর তাছাড়া আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়া আলফা,সে নিজেও আজ কালের মধ্যে তার সমস্ত দলবল নিয়ে দেশে আসবে আমাদেরকে মারার জন্য।তার মোটিভ হচ্ছে আমাদেরকে মেরে দেশের উপরে কব্জা করা।সো তোমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখো তাঁদের সাথে লড়াই করার।
.
আকাশের কথা শুনে একজন বলে…
–ভাই আমাদের কাছে তো অস্ত্র ছাড়া কিছুই নেই।
আর তাঁদের কাছে তো সমস্ত কিছুই আছে।তাঁদের কাছে অস্ত্র ও আছে।আবার ট্রেনিং প্রাপ্ত লোক ও আছে।যারা অস্ত্র ছাড়াই মানুষকে মারতে পারে।
তো আমরা তাঁদের সাথে মোকাবেলা করে কি করে পেরে উঠবো?
–তাঁদের থাকলে আমাদের ও আছে।আমি আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা লোকজনকে খবর দিয়েছে।তাঁদের লোকজন যদি আমাদেরকে কামড়ে মারতে পারে,তাহলে আমাদের লোকজন ও তাঁদেরকে মারতে পারবে।কারন আমাদের কাছেও তাঁদের মতন ভয়ংকর একটা ফোর্স আছে।যারা মানুষের শরীরে কৌশলে হাত দিলেই তারা মরে যাবে।সো ভয় পাওয়ায় কিছুই নেই।আমরা পারি আর না পারি,কিন্তু তাঁদের সাথে মোকাবেলা করবোই।
.
আকাশের কথায় তার দলের লোকজন কিছুটা আশ্বাস পায়।তাই তারাও প্রস্তুতি নেয় ফাইট করার।আকাশ সবাইকে গুছিয়ে গাছিয়ে বিকাল পাঁচ টায় বাসায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।তখনি মাফিয়া রকি তাঁকে ইনফর্ম করে,যে আলফা বাংলার মাটিতে পা দিয়ে দিয়েছে।
রকির কথা শুনে আকাশের ভিতরটা বেশ ঘাবড়ে যায়!কারন আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকজনের সাথে আগে তার কখনো মোকাবেলা হয়নি।তাই সে কিছুটা ঘাবড়ে আছে!কিন্তু তার পরেও সে নিজেকে সামলে নিয়ে বাসায় চলে আসে।বাসায় এসে নিজের রুমে চলে যায়।পরে একা একাই রুমে বসে বসে কিছু একটা চিন্তা করতে থাকে।
.
অন্যদিকে ঈদনি নিচে দিয়ার সাথে গল্প করছে।
রাতের দশটায় সে খেয়ে দেয়ে রুমে উঠে আসে।সে রুমে এসে দেখে আকাশ চুপচাপ শুয়ে আছে।তার বুঝতে বাকি নেই যে আকাশের কিছু একটা হয়েছে!কিন্তু সে আকাশকে কিছু না বলেই আকাশের পাশে শুয়ে পড়ে।তখনি আকাশের আম্মু তার রুমে এসে আকাশকে ডাক দেয়…
–এই আকাশ খাবি না তুই?
–না,মা আমি খাবো না।আমি বাহির থেকে খেয়ে এসেছি।
.
আকাশের কথা শুনে তার আম্মু চলে যায়।
কিন্তু সত্যি বলতে আকাশ এখনো কিছু খায়নি।সে তার আম্মুর সাথে মিথ্যা বলেছে।কিন্তু সেই মিথ্যাটা ঈদনি ধরে ফেলে।তাই সে আকাশকে বলে….
–তুই সত্যিই খেয়ে এসেছিস তো?আমার তো তোর হাবভাব দেখে কোনো মতেই মনে হচ্ছে না,যে তুই খেয়ে এসেছিস।
–আমি খাই না খাই,মরি বাঁচি,তা নিয়ে তোমার মাথা ঘামাতে হবে না।তুমি খালি নিজের চিন্তাটাই করো।আমাকে নিয়ে একদম ভাবতে হবে না কারোর।
–ঠিক আছে।
.
ঈদনি আর কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকে।
এদিকে আকাশ ও তার পাশে শুয়ে আছে।কারোর মধ্যেই কোনো কথা নেই।ঈদনি ঘুমিয়ে পড়েছে।কিন্তু সারারাত আকাশের কেন জানি ঘুম হয়না।সে সারারাত ঘুমের ভান করে বিছানায় শুয়ে ছিলো।পরেরদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে গতকালের ন্যায় সে কাউকে কিছু না বলেই ঘর থেকে বের হয়ে যায়।তারপর আন্ডারগ্রাউন্ডের লোকজনের সাথে দেখা করে।পরে তাঁদেরকে নিয়ে তার পুরো টিমের সাথে সাক্ষাৎ করায়।রকির ছেলেপেলেরাও আকাশের সাথে যুক্ত হয়েছে।তারপর সারা সবাই মিলে আলফার বিরুদ্ধে প্লান করতে শুরু করে,যে কি করে আলফা এবং তার টিমকে পরাজিত করা যায়।
.
এদিকে ঈদনিও আজোও স্কুলে গিয়ে সেই ছেলেটার সাথে কথাবার্তা বলে।তাঁদের দুজনের বন্ডিং টা গত কালকলের তুলনায় আজ আরো ভালো হয়ে যায়।
সব কিছুর ভিড়ে ঈদনি ভুলেই যায়,যে সে আকাশকে ঠকাচ্ছে।আর মনেই বা থাকবে কি করে,কারন যেই মানুষটাকে সে ঘৃণা করে,তাঁকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তা ভাবনা তার মনে আসবে কি করে।টিফিনে সেই ছেলেটার সাথে বসে সময় কাঁটায়।স্কুল ছুটির পর সেই ছেলেটাকা বিদায় দিয়ে দিয়ার সাথে বাসায় চলে আসে।ঈদনির সম্পর্কের বিষয়ে গার্ড বাদে আর কেউ জানে না।দিয়াও তার এই বিষয়ে জানে না।যদিও সে ঈদনির কাছাকাছিই থাকে।কিন্তু সেও জানে না।
.
এদিকে দুপুর হতেই আকাশ বাসায় চলে আসে।সে আজকে আলফার বিরুদ্ধে প্লান সাজায়।এবং তার সমস্ত ছেলেপেলেকে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র দেয়।যাতে করে সবাই ভালোভাবে লড়তে পারে।সে বাসায় এসে আগের ন্যায় মন খারাপ করে রুমে পড়ে থাকে।দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে যায়।ঈদনি আকাশ বাসায় আসার পর বহুবার তার সামনে দিয়ে যাতায়াত করে,কিন্তু তাঁকে কিছুই বলে না।সে আকাশের সাথে কোনো ধরনের কথাই বলে না।কারন গতকালের পর তার আরো রুচি উঠে গেছে আকাশের সাথে কথা বলার।গতকাল আকাশ তার বিষয়ে ভাবতে না করেছে দেখে সে সেলফিশের মতন তার কথা মেনে নিয়ে কথাবার্তাই বলা অফ করে দেয়।এভাবেই সময় পেরোতে থাকে।
আকাশ রুমে শুয়ে বসেই সময় কাটাচ্ছে।ঘড়ির কাটা এগারোটা ছুঁই ছুঁই।তখনি ফরিদ আকাশকে ফোন দেয়।
আকাশ নরমাল ভাবেই রুমের মধ্যে ফোনটা রিসিভ করে।কারন ঈদনি এখনো রুমে আসেনি।সে এখনো নিচেই রয়েছে।
–হুম ফরিদ বল…
–ভাই আরো তিনটা ছেলে গায়েব আমাদের।
এতো খোঁজ করেছি তাঁদের,কিন্তু কোনো খোঁজ এই পাইনি।হয়তো তাঁদেরকেও মেরে গুম করে ফেলেছে আলফার লোকেরা।ভাই আপনি তাড়াতাড়ি আলফাকে শেষ করেন।
–ফরিদ চিন্তা করিস না।আগামী দুই তিন দিনের মধ্যেই তাঁদের খেল খতম করবো।আমি শুধু একজনের অপেক্ষায় আছি।সে আমাকে ইনফরমেশন দিলেই সবাই মিলে হামলা করবো তাঁদের উপরে।কিন্তু এখন চুপসে থাকার কারন হচ্ছে আলফার বিষয়ে কিছুই জানি না আমরা।সে কোথায় আছে,বা কি করছে।আমরা যদি তাঁকে খোঁজার জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিভক্ত হই,তখন দেখা যাবে তারাই আমাদের ক্ষতি করে বসবে।তাই আমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে একত্রে থাকবো।সময় হাসলেই তাঁদের উপরে হানা দিব।
–ঠিক আছে ভাই তাহলে।
–আচ্ছা এখন ফোন রাখলাম।আগামীকাল কথা বলবো তোদের সাথে।
–আচ্ছা ভাই।
.
আকাশ ফোন রাখতেই ঈদনি রুমে আসে।ঈদনি রুমে এসে চুপচাপ তার পাশে শুয়ে পড়ে।কিন্তু কোনো কথাই বলে না।আকাশ ঈদনির বিষয়টা লক্ষ্য করে,কিন্তু সেও তাঁকে এই বিষয়ে কিছু জিগ্যেস করে না।কারন সে এখন তাঁকে এই বিষয় নিয়ে জিগ্যেস করলেই ঝামেলা বাঁধবে।কিন্তু আকাশ সেই ঝামেলা চায় না।কারন সে এমনিতেই একটা ঝামেলার মধ্যে আছে।তাই সে চুপচাপ শুয়ে থাকে।অন্যদিকে ঈদনি শুয়ে শুয়ে সেই ছেলেটার কথা ভাবছে।সে তার মন থেকে আকাশের স্থান সরিয়ে সেই ছেলেটার জন্য স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে।আর পাশেই শুয়ে ঈদনির হাতে প্রতারিত হওয়া আকাশ দেশের মানুষ এবং তার পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করছে।কারন তার কিছু হলে তার পরিবারকে দেখার মতন কেউ নাই।বিশেষ করে ঈদনির জন্য তার চিন্তা হচ্ছে।কারন তার যদি কিছু হয়,তাহলে ঈদনিকে মানুষ পথে ঘাটে অপমান করবে,যে বিয়ে করার পর এক মাসো সংসার করতে পারেনি স্বামীর সাথে।আকাশ এসব বিষয় নিয়ে চিন্তায় বিভোর।তখনি রকি তাঁকে মেইল করে।সে বালিশের পাশ থেকে ফোনটা উঠিয়ে নিয়ে মেইলটা চেক করে।রকি তাঁকে কয়েকটা ছবি মেইল করে পাঠিয়েছে।আকাশ ঈদনি দেখতে না পায় মতন করে ফোনটা ঘুরিয়ে মেইল বক্স ওপেন করে।পরে ছবি গুলা দেখতে আরম্ভ করে।সে প্রথম ছবিটার দিকে তাকাতেই তার হুঁশ উড়ে যায়!সে চোখ বড় বড় করে ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে!মনে হয় যেনো কেউ তাঁকে মৃত্যুর ফেরেস্তার ছবি পাঠিয়েছে!
চলবে?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।
গল্পটা শেষের পথে।আর দুই পর্বের মধ্যেই গল্পটাকে সমাপ্ত করে দিব।তারপর ইনশাআল্লাহ একটা থ্রিলার গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
পাঠক-পাঠিকা সবাই লাইক কমেন্ট করে জানাবেন,যে আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে।