কৃষ্ণাবতী ১৬ম_পর্ব

কৃষ্ণাবতী
১৬ম_পর্ব

মনে অজান্তেই দেবব্রত একমনেই দেখতে লাগলো তাকে। ফোনটা বের করে বেশ কটা ছবিও তুলে নিলো। কি সুন্দর মুখখানা। হঠাৎ খেয়াল করলো তার হৃদস্পন্দন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কৃষ্ণার স্নিগ্ধ মুখখানা তার মনে শীতল পরশ বুলাচ্ছে। বুকের বা পাশটা চেপে ধরে মনে মনে ভাবতে লাগে,
” কেনো আমার সাথে এমনটা হচ্ছে! এই ছাব্বিশ বছরের জীবনে এমনটা যেনো প্রথম হচ্ছে। বুকের স্পন্দন বাড়ছে, এ যেনো অন্য অনুভূতি। আমি কি অসুস্থ হয়ে পড়েছি! হয়তো কাজের চাপে মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে। তাই হবে”

নিজের মনকে শান্তনা দিলেও মন যে অবাধ্য। বেহায়া হয়ে কৃষ্ণাকে দেখে যাচ্ছে। কৃষ্ণার উপস্থিতি যেনো মনকে শান্ত করে রাখে৷ তার হাসি, সুর, কথা সবকিছুতেই যেনো একরকম মাদকতা। যে মাদকতা দেবব্রতকে ভুলিয়ে দেয় তার জীবনে আগেও কোনো নারী ছিলো৷ তিন মাস আগের দেবব্রত আর তিন মাস পরের দেবব্রতের মাঝে যেনো অনেক তফাৎ। এই দেবব্রতের সকাল হয় কৃষ্ণার সুরেলা কন্ঠের আরতী শুনে। যে দেবব্রত কখনো ঠাকুরের কাছে মাথা ঠেকায় নি সেই দেবব্রত সকালে স্নান করে ঠাকুর ঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে কৃষ্ণার গলার আরতী শুনবার জন্য। মেয়েটা কেমন যেনো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে তার জন্য। তার মুখের পাকা পাকা কথাগুলোতে কেনো যেনো সকল ক্লান্তির অবসান ঘটে দেবব্রতের। যখন “মাষ্টারমশাই” বলে তালে সম্মোধন করে এটা যেনো অন্য এক শান্তি। আজকাল সৌদামিনীর জন্য ও তার মন কাঁদে না। দামিনীকে সে এখনো ভালোবাসে। কিন্তু ভালোবাসাটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে৷ বরং সেই মনের মণীকোঠায় একটা স্নিগ্ধ মুখ যেনো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এটা সে কখনোই স্বীকার যাবে না। তার কাছে কৃষ্ণা শুধুই দায়িত্ব। শুধুই দায়িত্ব। তাই তো বিকেলে ফিরতেই কৃষ্ণার হাতের কফিটুকু তার চাই ই চাই। কৃষ্ণা এক ঘরে তার সাথে এই দুদিন রয়েছে কিন্তু তাতে খুব যায় আসছি না দেবব্রতের। কিন্তু তবুও স্বীকার যাবে না যে কৃষ্ণাতে মজেছে সে। পাছে তাকে কাপুরুষ প্রেমিকের পদবী নিতে হয়। সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে একজন মানুষ কেবল একজন মানুষকেই ভালোবাসতে পারে। যদি তার মনে নতুন ভালোবাসার উদয় হয় তবে সে হয় প্রতারক নয় আগের মানুষটিকে সে কখনোই ভালোইবাসতো না। কিন্তু দেবব্রত তো দামিনীকে ভালোবাসতো। আদৌও বাসতো তো______

সূর্য ঢুবতে বসেছে। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। পাখিরা বাড়ি ফিরছে ঝাকে ঝাকে। ইটপাথরের শহরটা খানিকক্ষণের জন্য লাল বর্ণ ধারণ করেছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সৌদামিনী। মনটা তার খুব অস্থির। আজ দু দিন হলো তার দেব গ্রামে গেছে। একটা বার যোগাযোগও হয় নি। একবার ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু তাতে লাভ হয় নি। দেবব্রত ফোন ধরে নি। ডুবন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে। আচ্ছা যে সম্পর্কের চিতায় আগুণ দিয়ে দিয়েছে সেটা থেকে কি আদৌও কিছু পাওয়া সম্ভব। হাত দিলে তো নিজের হাত ই পুড়বে। তার ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে। দেবব্রত তার সাথে শুধু বন্ধুর মতোই আচারণ করছে। এমনটা তো তার ভাবনায় ছিলো না। সারা নানাভাবে তাকে লেগে থাকার জন্য মোটিভেট করছে। কিন্তু তার মনটা বেশ অস্থির লাগছে। কেনো যেনো মনে হচ্ছে দেবকে সে যত ধরতে চাইছে ততই দূরে চলে যাচ্ছে তার কাছ থেকে। না সে হার মানবে না। তখনই অনুরাগ বাবু আসেন তার ঘরে। মৃদু হাসি দিয়ে বললেন,
– মিনী মা কি করছো?
– কিছু না বাবা, সূর্যাস্ত দেখছিলাম।
– কফি খাবে?
– খাওয়া যায়।
– তোমার কি মন খারাপ?
– কেনো বলতো বাবা?
– আজ কফি খেতে চাইছো। তুমি তো কফি খাও না।
– তেমন কিছু না বাবা। পরিবর্তন ই তো জীবন বলো।
– হ্যা সে ঠিক আছে। আচ্ছা আজ কলেজ গেলে না যে!

সৌদামিনী কিছু বললো না, কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারলো না। দেবব্রত নেই বলে কলেজে যায় নি, শুনলে বাবা কিছু হয়তো বলবেন না। কিন্তু ভালোভাবেও নিবে না। অনুরাগ বাবু নীরবতা ভাঙ্গতে বলে উঠলেন,
– তুমি কি জানো আই এম প্রাউড অফ ইউ।
– কেনো বাবা? কি তীরটা মারলাম আমি?
– কজন পারে নিজের ভালোবাসাকে এভাবে বিলিয়ে দিতে। তুমি ঠিক করেছো মা, দেবব্রতকে দোটানা থেকে মুক্তি দিয়ে। বিয়ের বোঝাটা ও কখনোই তোমার সাপোর্ট ব্যাতীত পালন করতে পারতো না। তুমি তাকে মুক্তি দিয়েছো বলেই ছেলেটা ওই মেয়েটাকে তার সঠিক অধিকারটা দিতে পারছে। আসলে তো দোষ তো ওদের কারোর নয়। বরং দোষটা সময়ের, নিয়তির। আই এম প্রাউড অফ ইউ৷ ওই বাচ্চা মেয়েটার সাথে হিংসে না করে তার জন্য তুমি নিজের অধিকার ছেড়ে দিয়েছো তাই।

বাবার কথাগুলো চুপ করে শুনলো দামিনী। নিজের চোখেই নিজে ছোট হয়ে গেছে। সে যে হিংসে করে মেয়েটাকে। খুব হিংসে করে। ভয় হয় তার যদি দেবের মনে মেয়েটা নিজের নামের জায়গা করে ফেলে_______

১৩.
খাওয়া শেষে উঠোনে প্রদীপ জ্বেলে আড্ডারত কৃষ্ণা এবং তার বান্ধবীরা। গ্রামের এই এক মজা, অল্প রাতেও মনে হয় অনেক রাত। আর শীত কাল হলে তো কথাই নেই। সবাই প্রায় ঘুমে। তখন এই ৬-৭ জন কিশোরী চাঁদর সোয়েটার জড়িয়ে বসে আছে উঠোনে। ফিসফিস করে গল্প করছে। গল্পের যেনো অন্ত নেই। আগামীকাল তাদের সখী চলে যাবে। তাই তারা আজ যেনো সব কথা বলে নিবে। আবার কবে না কবে আসা হয় কৃষ্ণার। আড্ডার এক পর্যায়ে শিপ্রা কৃষ্ণাকে মজার ছলেই বললো,
– এবার আমাদের তোর কথা বল। জামাইবাবু তোকে কতটা ভালোবাসে? ফুলসজ্জা রাতে তোকে তিনি কি দিলেন?

ফুলসজ্জাতে বরেরা স্ত্রীকে একটি উপহার দেয়। কিন্তু অবুঝ কৃষ্ণার সেটা একেবারেই জানা ছিলো না। সত্যি বলতে তার ফুলসজ্জাই তো হয় নি। তার সেই রাতটা কি ভোলা যায়। মাঝ রাত থেকে বারান্দায় ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলো সে। আর ভোর বেলায় উপহার স্বরুপ যে অপমানটা ভাগ্যে জুটেছে তা শুধু তার গোপাল আর সেই জানে। শিপ্রার প্রশ্নে কৃষ্ণা যেনো একেবারেই চুপ মেরে যায়। কি বলবে! ভালোবাসা নয় দয়া পেয়েছে সে তার মাষ্টারমশাই এর কাছ থেকে। আর তার ভালোবাসা তো অন্য কেউ। কলেজের ফাঁকে যখনই মাষ্টারমশাই এর রুমের সামনে থেকে পাশ কাটায়, খেয়াল করলেই দেখতে পায় দিদিমনি বসে রয়েছে। তাদের মধ্যের কথোপকথন ই যেনো অন্যরকম। এমন ভাবে কখনোই মাষ্টারমশাই তার সাথে কথা বলে না। ঠোঁটের কোনায় ম্লান হাসি টেনে কৃষ্ণা বলে,
– ভালোবাসে কি না জানি না, তবে সে আমাকে অনেক স্নেহ করেন। আমার জন্য তাকে কতো ত্যাগ স্বীকার যেতে হয়েছে। আর উপহার, দিয়েছেন তো। আমাকে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাকে বড় এক কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। এর থেকে বড় উপহার হয়! তিনি চান আমি তার যোগ্য হয়ে গড়ে উঠি।
– তোর সাথে হিংসে করতে ইচ্ছে হয় জানিস। কি কার্তিক ঠাকুরের মতো বর পেয়েছিস! আহা নজর না লাগে, আঁচলে গিট্টু দিয়ে রাখিস। যদি কেউ কেড়ে নেয়।
– আস্তো মানুষটাকে কিভাবে কেড়ে নিবে রে!
– আরে বলদ, এই কেড়ে নেওয়া সেই কেড়ে নেওয়া নয়। তোকে নিয়ে সত্যি ভয় হয়৷ তুই শহরে থেকেও লাভ হয় নি।

শিপ্রার কথা শুনে কৃষ্ণা কোনো কথা বলে না শুধু খিলখিল করে হাসে। সত্যি তার মনটা এখনো সেই গ্রামের সরল কৃষ্ণার মন। তাই তো সব দেখেও কিছুই বলে না। তার ধারণা একটা সময় তার মাষ্টারমশাই ঠিক তার ই হবে। সময় লাগবে কিন্তু হবেই, হতেই হবে। নয়তো তার করা কষ্ট যে সব জলে যাবে। মানুষটার যোগ্য হয়ে উঠার জন্যই তো এতো কিছু। দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণার সকল কথোপকথন শুনতে পেলো দেবব্রত। মেয়েটা ছোট হলেও বুদ্ধিমান। এতো অপমানিত হবার পরও কাউকে কোনো অভিযোগ করে নি। বরং শ্বশুরবাড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দেবব্রত মুগ্ধ নয়নে দেখে যাচ্ছে তার বউকে। মেয়েটা এই তিনদিন যেনো আরোও চঞ্চল হয়ে উঠেছে। ভট্টাচার্য মঞ্জিলের কৃষ্ণাবতী সাহা আর এই কৃষ্ণার মধ্যে রাত আর দিন তফাৎ। মাথাটা তার ব্যাথা করছে। হয়তো জ্বর আসবে। শিশিরে শুধু চাঁদর গায়ে হাটার ফল। ঔষধের জন্য কৃষ্ণাকে ডাকতে আসা। কিন্তু বান্ধবীদের সাথে এতো মনখুলে হাসতে দেখে আর বিরক্ত করলো না। পরশু থেকে তো আবার সেই ইটপাথরের জীবন। নিঃশব্দে চলে গেলো বিছানায় সে। কম্বলখানা জড়িয়ে শুয়ে পড়লো দেবব্রত। রাতটা কেটে গেলেই হয়তো জ্বর নেমে যাবে। তখন কানে এলো,
“তোমায় গান শোনাবো
তাই তো আমায় জাগিয়ে রাখো
ওগো ঘুম-ভাঙানিয়া
তোমায় গান শোনাবো
চমক দিয়ে তাই তো ডাকো
বুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাকো
ওগো দুখজাগানিয়া
তোমায় গান শোনাবো
ওগো দুখজাগানিয়া
তোমায় গান শোনাবো

এলো আঁধার ঘিরে
পাখি এলো নীড়ে
তরী এলো তীরে
এলো আঁধার ঘিরে
পাখি এলো নীড়ে
তরী এলো তীরে
শুধু আমার হিয়া বিরাম পায় নাকো
ওগো দুখজাগানিয়া
তোমায় গান শোনাবো
ওগো দুখজাগানিয়া
তোমায় গান শোনাবো”

কৃষ্ণা গান গাইছে। এই সুমধুর কন্ঠটাই যথেষ্ট দেবব্রত ক্লান্তি দূর করতে। মনের মাঝে যেনো একরকম প্রশান্তি বয়ে গেলো। চোখ বুঝে এলো দেবব্রতের৷ ঠোঁটে শান্ত হাসি_______

ঘরে যখন কৃষ্ণা পৌছালো তখন অনেক রাত। ধীর পায়ে ঘরে ঢুকে এলো সে। মাষ্টারমশাইকে জাগানো যাবে না। হারিকেনটা জ্বলছে। দেবব্রত তখন কম্বল মুড়ি দিয়ে অপরপাশে ফিরে ঘুমিয়ে রয়েছে। কৃষ্ণা ভেবেছিলো মাষ্টারমশাই হয়তো ঘুমিয়ে গিয়েছেন। সারাদিনের এই ঘুমের সময়টা তার খুব ভালো লাগে। মাষ্টারমশাই এর কাছাকাছি থাকতে পারে। একটু নির্লজ্জ বললে ভুল হবে না তবে মাষ্টারমশাই এর কাছ থেকে একটা মাতালকরা গন্ধ পায় কৃষ্ণা। এটা মাষ্টারমশাই এর গায়ের গন্ধ। এটা একরকম মাতাল করে তুলে কৃষ্ণাকে। কৃষ্ণার ধারণা দেবব্রতের শরীরে এলকোহল তৈরি হয়। নয়তো তার নেশা নেশা লাগার কারণটা কি! সে তো জানে না এই নেশা তো যে সে নেশা নয়, এই নেশা ভালোবাসার নেশা। শোবার সময় খেয়াল করলো দেবব্রত রীতিমতো কাঁপছে। কপালে হাত দিতেই শিউরে উঠলো কৃষ্ণা। ভীম জ্বর দেবব্রতের। সে রীতিমতো কুহাচ্ছে। এই রাতে মামাকে তোলা ঠিক হবে না। কিন্তু কি করবে তাও বুঝে উঠছে না। কাঁপা স্বরে বললো,
– মাষ্টারমশাই আপনার কি খারাপ লাগছে! মাষ্টারমশাই?
– হু,হু

দেবব্রত আর কিছু বললো না। শুধু কুহিয়ে যাচ্ছিলো। ছুটে গিয়ে কৃষ্ণা কলতলা থেকে পানি দিয়ে এলো। হাতের কাছে থার্মোমিটার নেই তবুও বলা যায় জ্বর ১০০ ছাড়ানো। মাথায় পানি দিলে জ্বরটা হয়তো কমবে সেই ভরসায় পানিটুকু নিয়ে এলো। শিপ্রাকে বলে ঔষধ আনালো। শিপ্রার কাছে প্যারাসিটামল ছিলো। কোনো মনে এই ভারী লোকটাকে সরালো। পানি ঢাললো মাথায়, জলপট্টি দিলো। কোনো মতে উঠিয়ে ঔষধ খাওয়ালো কৃষ্ণা। বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা যেনো নাজেহাল। দেবব্রত তখন জ্বরে বেহুস বলা যায়। জ্বরটা খানিকটা কমলো শেষরাতে। সব কিছু গুছিয়ে ক্লান্ত কৃষ্ণা দেবব্রতকে ঠিকমত শুইয়ে দিলো। তখন দেবব্রত যেনো চোখ মেললো। কৃষ্ণা মৃদু কন্ঠে বললো,
– এখন কেমন লাগছে, ব্যাথা করছে?
– উহু, ভালো লাগছে।
– তাহলে ঘুমোন। গা খানিকটা ঘাম দিবে। কিন্তু জ্বর নেমে যাবে।

বলেই উঠে যখন যেতে যাবে তখনই হাতটা টেনে ধরলো দেবব্রত। এক হ্যাচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে এলো কৃষ্ণাকে তার। কৃষ্ণা কিছু বুঝে উঠবার আগেই সে খেয়াল করলো তার অবস্থান এখন মাষ্টারমশাই এর বুকে। দেবব্রত জাপটে ধরে আছে থাকে। কৃষ্ণার যেনো দম বন্ধ লাগছে। এ যেনো অন্য এক অনুভুতি। মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল পরশ বয়ে যাচ্ছে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। দেবব্রত যেনো ঘোরের মাঝে আছে। নেশাগ্রস্ত চোখে কৃষ্ণার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে। ঠোঁটে বাঁকা হাসি টেনে কৃষ্ণার মুখখানা আদলে নিয়ে উঁচু করলো সে। কৃষ্ণার মুখের সবথেকে আকর্ষণীয় তার গোলাপের পাঁপড়ির ন্যায় ঠোঁট জোঁড়া। দেবব্রত কি করছে নিজের ও জানা নেই। কৃষ্ণার বুক রীতিমতো ঢোল বাজাচ্ছে। কি করবে বুঝছে না। সে বুঝতে পারছে দেবব্রত তার মাঝে নেই। কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিজের অধরে দেবব্রতের উষ্ণ ঠোঁটজোড়ার পরশ পেলো কৃষ্ণা। তৃষ্ণার্ত দেবব্রত তখন…….

চলবে

[ পরবর্তী পর্ব ইনশাআল্লাহ আগামীকাল রাতে পোস্ট করবো। কার্টেসী ব্যাতীত দয়া করে কপি করবেন না]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here