কৌমুদিনী পর্ব-২৫

0
1404

#কৌমুদিনী
#তাফসিয়া_মেঘলা
#পর্ব ২৫

৪৭

তিমিরময় নিবিড় নিশা কাটিয়ে অন্তরিক্ষে বিভাবসুর আলো ফুটছে সবে৷ বৃষ্টিস্নাত নিশার পর সিক্ত ভোরের দেখা মিললো৷ চারোপাশ চিপচিপে হয়ে আছে পানিতে সবুজ ঘাস গুলোতে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে৷
ফজরের নামাজ সেরে মাথায় বড় একটা ঘোমটা টেনে বাড়ি থেকে বের হলো চন্দ্রিকা৷ শরীর টা মনের জোরে ঠিক করে রেখেছে নয়তো কখনোই নেতিয়ে পরতো৷ নিজের বাড়ি থেকে একটু দূরে মহলের প্রবেশপথের বড় কপাটের সামনে আসতেই পা চালানো বাড়ালো৷ বড় বড় পা ফেলে মহলের প্রবেশপথটা পেরিয়ে অন্য দিকে যাবে ঠিক তখনই পেছন থেকে গম্ভীর পুরুষালি কন্ঠ ভেসে এলো,
“কোথায় যাচ্ছেন চন্দ্রাবতী? ”
থতমত খেলো চন্দ্রিকা৷ যে জন্য পা চালিয়ে হাটছিলো সে রক্ষে আর হলো না৷ এখন নিশ্চই হাজার প্রশ্ন করবে লোকটা? স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ালো চন্দ্রিকা কথা এড়ানোর জন্য ভেবেও নিলো কি বলবে এবার পিছনে ক্ষানিকটা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো পুরোপুরি ফিরলো না৷ তাতে শ্রেয়াসের মানে লাগলো প্রথমত এই মেয়ের উপর সে কখন থেকেই রেগে আছে আবার এর এমন এড়িয়ে চলা৷
শ্রেয়াস ফের শক্ত কন্ঠে বললো,
” এদিকে ঘুরুন চন্দ্রাবতী আপনার সাথে আমার কথা আছে৷ ”
চন্দ্রিকা এবার আর ঘুরলো না উল্টো দিকে তাকিয়েই বললো,
” বলুন আমি শুনতে পাই, শ্রবণ প্রতিবন্ধী নই৷ ”
এ মেয়ের কথায় শ্রেয়াসের রাগ হলেও জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলো৷ এ মেয়ের সাথে সারা জীবন কাটাবে কি করে? এমন ঘাড় বাঁকা মেয়ের প্রেমে শেষে কিনা পরলো? যার কারো কথায় কোন ভ্রুক্ষেপ থাকে না? একে সামলাতে পারবেতো সে?
শ্রেয়াস এ নিয়ে কিছু বললো না অন্য কথায় এলো,
“আপনার তো জ্বর হয়েছিলো, মধ্যরাতে কোথায় বেরিয়েছিলেন?”
চন্দ্রিকা উল্টো দিকে ফিরেই উত্তর দিলো,
” বাড়িতে গিয়েছিলাম ফারহান ভাই অসুস্থ তাই৷ ”
চন্দ্রিকার কথা কর্ণপাত হওয়া মাত্রই চটে গেল শ্রেয়াস ধুপধাপ পা ফেলে সেই সামনে এসে দাঁড়ালো চন্দ্রিকার অতঃপর বললো,
” মানে? ডাক্তার ফারহান অসুস্থ তো আপনি যাবেন কেন? আপনি কি চিকিৎসক নাকি?”
চন্দ্রিকা অতি বিরক্ত নিয়ে উত্তর দিলো,
” না চিকিৎসক নই৷ তার আমাকে প্রয়োজন ছিলো তাই গিয়েছি৷ ”
বলে একটু থামলো শ্রেয়াসের রাগ মাখা মুখখানার দিকে তাকালো এতে ভ্রুক্ষেপ হলো না অতঃপর ফের বললো,
” হয়েছে? উত্তর পেয়েছেন? এবার পথ ছাড়ুন৷ ”
বলে পাশ কাটিয়ে যেতে নিলেই শ্রেয়াস সামনে এনে বাহু চেপে ধরে শক্ত কন্ঠে বলে,
” আমি ফারহানের সামনে যেতে না করেছিলাম চন্দ্রাবতী? কেন গিয়েছিলেন৷ ”
“উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছিনা, পথ ছাড়ুন৷ ”
চন্দ্রিকা এমনই উত্তর দিবে জানতো শ্রেয়াস৷ এ মেয়ে কেমন মেয়ে? এর সাথে শক্ত হলেও এর কোন ভ্রুক্ষেপ থাকে না নরম হলেও এর কোন ব্রুক্ষেপ থাকেনা৷ কেমন বেপরোয়া৷

চন্দ্রিকা এবার নিজের সরিয়ে চলে গেলো শ্রেয়াস ফের বাধ সেধে প্রশ্ন ছুড়লো,
” কোথায় যাচ্ছেন?”
শ্রেয়াস জানে এ প্রশ্নেরও উত্তর দিবে না এই মেয়ে অহেতুক প্রশ্ন করলো৷
কিন্তু না তার ভাবনা ভুল প্রমান করে চন্দ্রিকা উত্তর দিলো,
“দিঘির পাড়ে৷ ”

বলে আর দাঁড়ালো না বড় বড় পা ফেলে দিঘির পাড়ে চলে গেলো চন্দ্রিকা৷ এখানে এসে যেন হাফ ছেড়ে বাঁ’চলো৷ আজকাল কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না চন্দ্রিকা জানে শ্রেয়াস ওর পিছু পিছু আসবে তাই আপাদত এখানে এসেই দাঁড়ালো৷ প্রশ্ন আছে অনেক আগে সে গুলোর উত্তর পাওয়া দরকার তারপর না হয় একে একে সব শেষ করবে?
ভেবেই চন্দ্রিকার উষ্ঠ কোণে বাঁকা হাসির রেশ ফুটলো৷

এখানে নিজেকে ছাড়াও কারো অস্তিত্ব টের পেলো চন্দ্রিকা৷ রহস্যময় হাসলো ফের৷ এসেছে শ্রেয়াস, কিন্তু শ্রেয়াস আসতেই অদ্ভুত এক প্রশ্ন ছুড়ে দিলো চন্দ্রিকার পানে যা শুনে চন্দ্রিকার মুখভঙ্গি পালটে গেলো,

“আবার কাউকে মে’রে দিঘির পানিতে ফেলার বুদ্ধি আটছেন নাকি চন্দ্রাবতী?”
শ্রেয়াসের এহেন প্রশ্নে ভরকালো চন্দ্রিকা৷ বিস্মিত চোখে তাকালো তার আগেই শ্রেয়াস আবার প্রশ্ন ছুড়লো ,
“আশরিফ কে কেন মে’রেছেন চন্দ্রিকা?”
প্রশ্ন টা শুনে রাগে রি রি করে উঠলো চন্দ্রিকার সর্বাঙ্গ অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগলো, রিভলবার দিয়ে পর পর কয়েকটা গু’লি ঢুকিয়ে দিতে ইচ্ছে করলো শ্রেয়াসের খুলিতে৷ কিন্তু আপাদত পারলো না কারণ তেমন কিছুই নেই ওর কাছে৷

চন্দ্রিকা ভাবলো রাগ দেখালে চলবে না নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলো অতঃপর সে একই রকম কুটিল হাসি ফুটিয়ে তুললো ওষ্ঠ কোণে৷ সেও নিম্ন স্বরে বললো,
“ঠিক যেই কারণে আপনি নিজের প্রাণ প্রিয় বন্ধু শাহনেওয়াজ কে খু’ন করেছেন৷ ”
বলেই শ্রেয়াসের মুখভঙ্গি দেখার জন্য শ্রেয়াসের পানে তাকালো চন্দ্রিকা৷ শ্রেয়াসের ভঙ্গি পালটে গেলো থতমত খেলো যেন৷ চন্দ্রিকা এগিয়ে এসে এবার শ্রেয়াসের মুখমুখি দাঁড়ালো পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শ্রেয়াসের পানে৷ কি এমন হয়েছিলো যে নিজের প্রাণ প্রিয় বন্ধুকে খু’ন করে দিলো শাহনেওয়াজ? শাহনেওয়াজ কে ছাড়া তো সবই অসম্পূর্ণ ছিলো শ্রেয়াসের তাহলে কি এমন হলো?
চন্দ্রিকা ফের প্রশ্ন ছুড়লো একই ভঙ্গিতে,
“কেন খু’ন করলেন শাহনেওয়াজ কে? কি এমন করলো যে খু’ন করে দিলেন? হাত কা’পেনি? রুহ কা’পেনি?”
চন্দ্রিকার কথা শুনে শ্রেয়াস রক্তিম চোখে তাকালো চন্দ্রিকার দিকে৷ যেন চোখ দিয়েই ঝলসে দিবে চন্দ্রিকা কে৷
তবুও শ্রেয়াস উত্তর দিলো না৷ চন্দ্রিকা ফের বললো,
“উত্তর দিচ্ছেন না কেন শ্রেয়াস? বলুন?”
শ্রেয়াস এবার মুখ খুললো তবে উত্তর দিলো না শক্ত কন্ঠে বললো,
” আমি বলতে বাধ্য নই৷ ”
বলেই শ্রেয়াস এড়িয়ে যেতে নিলেই চন্দ্রিকা আটকে দিলো অতঃপর বললো,
“উত্তর দিয়ে যান শ্রেয়াস, আপনি উত্তর না দিলে আমি আমার মত বের করে নিতে পারবোই তখন নিশ্চয়ই আপনার জন্য ব্যাপার টা ভালো হবে না৷ ”
শ্রেয়াস কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে দাতেদাত চেপে বললো,
” আপনার সাহস বাড়ছে চন্দ্রিকা৷ সংযত করুন নিজেকে সব সময় সাহস দেখাবেন না৷ আমি আপনার রাগের ধারধারি না সবসময় মানিয়ে নেই বলে এখনো নিবো এমন টা ভাববেন না৷ আমাকে জোর করার আপনার অধিকার নেই৷ নেই বললেও ভুল হবে আমি দেই নি৷ ভুলে যাবেন না এ রাজ্য আমার আমি এখানকার শাসক, এইটুকু মেয়ে হয়ে আমার সাথে স্পর্ধা দেখাতে আসবেন না৷ ”
শ্রেয়াস এই প্রথম ওর নাম ধরে ডাকলো, অবাক হলো বেশ চন্দ্রিকা৷ তবে শ্রেয়াসের এমন কথায় এর থেকে বেশি বিস্মিত হয়েছে৷ লোকটা ওর ক্ষমতা আর অধিকার নিয়ে কথা বললো? এখনো নিজেকে শাসক বলে পরিচয় দিচ্ছে? যে রাজ্জ পরিচালনা করতে জানে না সে আবার কিসের শাসক?

শ্রেয়াসের এহেন কথায় কঠিন হয়ে এলো চন্দ্রিকার মুখশ্রী, মানুষ সত্যি বহুরূপী৷ কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার রাগ হলো কোথায় যেন ক্ষানিকটা ব্যাথা অনুভব করলো৷ এমন কেন হলো? তাহলে কি দূর্বল হয়ে পরছে? না না দূর্বল হলে চলবে না এর উপর তো একদমই না৷ হঠাৎ নিজের মুঠোফোনের কর্কশ ধ্বনিতে ধ্যান ভা’ঙলো দুজনেরই চন্দ্রিকা মুঠো ফোন টা তুলে ‘আসছি’ বলে বড় বড় পা ফেলে চলে গেলো৷ শ্রেয়াস ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো হুস ফিরলো৷ হায় আল্লাহ হুজুগের বসে কি বলে ফেললো? রাগ নিয়ন্ত্রণ না করে কি বলে ফেললো? চন্দ্রিকা ভুল বুঝলো? ভুল বুঝারই কথা৷ এখন কি করবে? তাহলে কি আলাদা হয়ে গেলো পথ? এক রুখে চন্দ্রিকা কি আর ফিরে তাকাবে ওর দিকে? মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে শ্রেয়াসের৷ কেন এই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না? নিজের উপর নিজের রাগ হলো৷ কয়েকবার অকথ্য ভাষায় গালিও দিলো এ মেয়ে এখন হয়তো আর তার সামনেও আসবে না নিশ্চিত শ্রেয়াস৷

৪৮

সকাল পেরিয়ে দ্বিপ্রহর কা’টলো রোদ আজ একদমই সুবিধার নয় কিছুক্ষণ পর পর নিভু নিভু হয়ে আসছে৷ চন্দ্রিকার দেখা মিললো না এখন পর্যন্ত৷ শ্রেয়াস আজ কোথাও গেলো না মহলেই রইলো দরুন প্রিয়ম ও আজ মহলে তবে সে শান্তিতে নেইয় শ্রেয়াস দাঁড় করিয়ে রেখেছে মহলের প্রবেশ পথের সামনে চন্দ্রিকা গেলে এখান দিয়েই যাবে৷

চন্দ্রিকার দেখা না মিললেও হঠাৎ এক তরুণী এসে চৌকিদার আর প্রিয়মের নাকের ডগা দিয়ে মহলে প্রবেশ করলো কোন কথা না বলেই৷ দেখে কেউ চিনলো না মেয়েটিকে কিছুদূর যেতেই বাগান পেরিয়ে অন্দরে ঢুকবে এর আগেই দেহরক্ষী গুলো আটকে দিলো তরুনী টি কে৷ কে এই মেয়ে? প্রিয়ম এসে দাঁড়ালো মেয়েটির সামনে পূর্ণদৃষ্টি নিক্ষেপ করলো মেয়েটির পানে মেয়েটি ব্রু কুচকে দাঁড়িয়ে আছে৷ প্রিয়ম ভরকালো মেয়েটির ভাব ভঙ্গি দেখে এমন দৃষ্টি তো তাদের দেওয়ার কথা দিচ্ছে এই মেয়ে৷ কি অদ্ভুত, এমনি অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিসের মাঝে আছে সে, চন্দ্রিকা নামক রহস্যময়ই মেয়ে আর শ্রেয়াস নামক পাগলাটে পুরুষের খপ্পরে পরে নিজেই ঘোলাটে হয়ে আছে৷ এ মেয়ে এসে আবার কোথ্যেকে জুটলো?
প্রিয়ম কিছু জিগ্যেস করবে এর আগেই মেয়েটি জিগ্যেস করলো,
“কে আপনি?কি অদ্ভুত পথ আটকে দাঁড়িয়েছেন কেন?”
প্রিয়ম এবার ফের থতমত খেলো, ভরকালো৷ এমন প্রশ্ন ওদের করা উচিত ছিলো না?
প্রিয়ম মেয়েটির কথা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সে পালটা প্রশ্ন ছুড়লেন মেয়েটির দিকে,
” আপনি কে? না বলে মহলে ঢুকছেন কেন? আগে তো দেখিনি এ গ্রামে৷ ”
“যে কারণেই আসি না কেন আপনাকে বলতে ইচ্ছুক নই সরুন৷”
প্রিয়ম অবাক না হয়ে পারলো না, মেয়েটার আচরণে চন্দ্রিকা নামক রহস্যময়ী মেয়েটির কথা মনে পরলো সাথে সাথে একটা প্রবাধ বাক্য মনে এলো, ‘পুরোনো পাগল ভাত পায় না এখন নতুন এসে জুটলো৷ ‘ এক রহস্যময়ীর খপ্পরে তো শ্রেয়াস পরেছে এ মেয়ের খপ্পরে আবার কে পরবে?
প্রিয়ম এবার কঠিন হলো শক্ত কন্ঠে বললো,
“এই মেয়ে এত কথা বলছেন কেন? উত্তর দিন? নয়তো মহলে প্রবেশ করার আগেই এখান থেকে গুম করে দিবো কেউ জানবেও না৷”
প্রিয়মের জেরায় মেয়েটা বোধহয় এবার জব্দ হলো৷ মেয়েটা এমন পাংশুটে মুখ করলো কেন? খারাপ মতলব আছে নাকি? তরুণী টি ধাতস্থ হলো অতঃপর আমতা আমতা করে বললো,
” আমি তমা, আ আমি,,,,৷ ”
এইটুকু বলতেই মেহনুবা হাজির হলো মেয়েটিকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
” পথ ছাড়ো প্রিয়ম ও আমার কাছে এসেছে৷ ”
মেয়েটি অগোচরে প্রিয়ম কে ভেংচি কেটে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো৷ মেয়েটির ভাবভঙ্গি দেখে রাগ হলো প্রিয়মের৷ মেয়েটি আস্ত বদমাশ৷

সে ফের একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো৷ মেয়েটি মন্দ নয় দেখতে কিন্তু একটু নরম স্বভাবের হলেও তো পারতো? কি অদ্ভুত ওর কপালে কি মেয়ে নেই নাকি?

আজ মনে হলো না চন্দ্রিকার দেখা মিলবে কোথায় গেছে মেয়েটা কে জানে? প্রিয়ম বাড়িতে গিয়েও খোঁজ নিয়েছে মেহনুবার নাম করে চন্দ্রিকা সকাল থেকেই নেই৷ প্রিয়ম কে বিশ্রাম নিতে বলে গটগট পায়ে নিজের কক্ষে এলো শ্রেয়াস৷ শ্রেয়াসের এখন নিজের উপরই রাগ হচ্ছে, সাথে চন্দ্রিকার উপর ও মেয়েটা ওকে বড্ড জ্বালাচ্ছে৷ ও তো সবসময় শ্রেয়াস কে উল্টো পাল্টা কথা শুনায় আজ না হয় ও দু চারটে শুনিয়েছে তাই বলে কিছু না বলেই ওমন উধাও হয়ে গেলো? ও মেয়ে কে কড়ায় গন্ডায় একদিন সব ফেরত দিবে শুধু সময়ের অপেক্ষা৷

চলবে,

[নোটঃ ১৫০০ শব্দ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here