গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া লেখায়_ফারহানা_ছবি পর্ব_১৭

গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
লেখায়_ফারহানা_ছবি
পর্ব_১৭
.
.
🦋
” ভাইয়া আমরা গাড়ির কাছে পৌছে দেখে গাড়ির দরজা খোলা আর প্রাণো ভিতরে নেই৷”(স্মিতা)

কথা শুনে স্মরণ দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বিড়বিড় করে বলে উঠলো ,” কাজ টা মটেও ঠিক করলে না প্রাণ ৷ এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে ৷ ”

______

” কণা RV টিম রেডি ?” মুখে মাক্স পড়তে পড়তে জিজ্ঞাসা করলো প্রাণো৷

” প্রাণো সবাই রেডি কিন্তু আমরা তোমার সাথে যেতে চাই৷ এই বিপদে তোমায় একা ছাড়তে পারবো না৷”(RV)

” তাহলে কি তোমার কোলে উঠে বসে থাকবো RV?”

প্রাণোর কথা শুনে Rv থতমত খেয়ে গেল৷ কণা পাশে দাড়িয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগলো৷

” RV এখানে থেকে বাকিদের খেয়াল রেখো আর যে যে কাজ দিয়েছি সে গুলো করো৷”

” ওকে ”

প্রাণো তার সাথে চারজন কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷ নিদিষ্ট স্থানে পৌছে লুকিয়ে পড়ে প্রাণো৷

” গাইজ আমি ইশারা করলে ফায়ার করবে এর আগে কেউ ফায়ার করবে না ওকে?”

” ইয়েস ম্যাম”

প্রাণো গাড়ির পেছনে লুকিয়ে লুকিয়ে বড় ট্রাক এর নিচে ঢুকে পড়ে ৷ পাশে লোকজন হাতে বন্দুক নিয়ে কারো যেন অপেক্ষা করছে৷ প্রাণো আর একটু লোক গুলোর কাছে গিয়ে শুনতে পায় লোক গুলোর কথোপকথন ….

” বস যে প্লান করেছে তা কি কাজে লাগবে তোর মনে হয়?”

” জানি না কিন্তু মনে হয় শিকার পাতা ফাঁদে পা দিবেই৷ আর বস ট্রাকের ভিতর আর ডি এক্স রেখেছে৷ একবার শিকার ফাঁদে পা দিক সাথে সাথে ধুম হা হা হা”

” বস এর বুদ্ধি লা জাওবাব ভাই”

” একদম, এখন শুধু অপেক্ষা তাদের জন্য…”

” হুম ওয়েট কর ৷ আশে পাশে আমাদের আরো লোক লুকিয়ে আছে ৷ ওদের আশার টের পেলে একশন শুরু করে দিবো৷”

প্রাণো গাড়ির নিচে বসে সব কথাই শুনতে পেলো৷

” যেটা ভেবে ছিলাম সেসেটাই হলো৷ এটা আমাকে ধরার জন্য একটা ফাঁদ ছিলো৷ কিন্তু প্রাণো কি জিনিস এবার তোরা আর তোদের বস টের পাবি যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ..”

প্রাণো মনে মনে কথা গুলো বলে সাবধানে গাড়ির নিচ থেকে বের হয়ে ট্রাকে উঠে আর ডি এক্স দেখে সেটা হাতে তুলে নিয়ে আবার গাড়ি থেকে নেমে যায়৷ প্রাণো আর ডি এক্স বোম টা খুব সাবধানে লোক গুলোর বস এর মেইন ফ্যাক্টোরিতে রেখে আসে৷ তারপর আবার তার টিমের কাছে ফিরে আসে৷

” শোন তোমরা দু’জন এখুনি গাড়িতে ফিরে যাবে ৷ ”

” কিন্তু ম্যাম আপনাদের একা রেখে আমরা ফিরে যাবো?”

” স্টুপিড আমার পুরো কথা আগে শোন ৷ তোমরা গাড়িতে ফিরে গিয়ে স্টাট দিয়ে রাখবে ৷ আমরা গাড়িতে পৌছানো মাত্র যেন গাড়ি দ্রুত এই এরিয়া থেকে বেড়িয়ে যায়৷ ”

” ওকে ম্যাম আপনি যা বললেন তাই হবে৷ ”

প্রাণোর কথা মতো দু’জন গাড়ির দিকে চলে যায় তখন বাকি দু’জন কে প্রাণো বলতে লাগলো৷

” তোমরা দুজন আমার সাথে থাকবে ৷ আমি এখুনি ওদের এট্যাক করবো ৷ ওরাও পাল্টা শুট করবে তোমরা নিজের দিকে খেয়াল রাখবে৷ আমি ইশারা করা মাত্র গাড়ির দিকে ছুট লাগাবে ওকে?”

” ওকে ম্যাম”

প্রাণো একটা গাছের আড়ালে দাড়িয়ে ইশারা করলো শুট করতে সাথে সাথে প্রাণো সহ বাকি দুজন লোক গুলোকে উদ্দেশ্য করে শুট করতে লোক গুলো পাল্টা শুট করতে লাগলো ৷ প্রাণো সেই ট্রাকের আড়ালে দাড়িয়ে শুট করছে বিধায় লোক গুলো ট্রাক থেকে দুরে সরে গিয়ে কাউকে একটা কল করে ৷ কল কাটার দু’মিনিট পর খুব জোরে একটা শব্দ হয় ৷ লোক গুলো তাকিয়ে দেখে তাদের বস এর ফ্যাক্টরি মুহূর্তে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল৷ লোক গুলো আতংকে ছুটো ছুটি করতে লাগলো ৷ সেই সুযোগে প্রাণো তার টিম কে নিয়ে দৌড়ে তাদের গাড়িতে উঠতে গাড়ি ফুল স্পিডে চালিয়ে এরিয়া থেকে বের হয়ে গেল৷

“ওয়াট আমার ফ্যাক্টরিতে বোম ব্লাস্ট হয়েছে? ”

” ইয়েস বস ৷ আপনার কথা মতো ট্রাকে আর ডি এক্স বোমা রেখেছিলাম কিন্তু গাড়িতে বোমা ব্লাস্ট না হয়ে আপনার ফ্যাক্টরিতে ব্লাস্ট হলো কি করে আমরা বুঝতে পারছি না বস৷”

” বাস্টার্ড তোদের বোকা বানিয়ে আমারি চাল আমার উপর উল্টা ফেললো৷ আমি এখুনি আসছি তোরা ওখানে থাক…”

” ওকে বস”

____

” কণা ফাস্ট করো না আমাকে বাড়িতে ফিরতে হবে৷”

” হয়ে গেছে কণা যাস্ট শাড়ির কুচি গুলো ঠিক করে দিচ্ছি বাই দ্যা ওয়ে প্রাণো তোমাকে কিন্তু বড্ড বেশি সুন্দর লাগছে আজ আমি যদি ছেলে হতাম তাহলে তোমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলতাম৷ ”

কণার মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করার কথা শুনে প্রাণোর মুখটা শুকিয়ে গেল ৷ এভাবে পালিয়ে আশার জন্য স্মরণ যে তাকে কঠিন শাস্তি দিবে এটা প্রাণো বেশ বুঝতে পারছে৷

” কাল স্মরণ কিছু করে ওঠার পূর্বে ধামাকা হবে ৷ তৈরি থেকো স্মরণ বেবি ৷ কাল তোমার জন্য ধামাকা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে ৷ আই থিং এটা তোমার লাইফে সব থেকে বড় সারপ্রাইজ হবে৷ ” কথা গুলো বিড়বিড় করে বলতে বলতে প্রাণো রহস্যময় হাসি দিলো৷

রাত একটায় প্রাণো পা টিপে টিপে বাড়িতে ঢুকতে বাড়ির সব লাইট এক সাথে জ্বলে উঠলো ৷ সামনে সোফায় গম্ভির মুখে বসে আছে জুনাইদ কবির তার পাশে বসে আছে সাদমান আর তার মা নিশিতা বেগম ৷ জুনাইদ কবির গম্ভির ভারি গলায় বলে উঠলো ,” এতো রাত কেন হলো তোমার? আর নিরব কি করে এক্সিডেন্ট করলো ? হাত ভেঙে একমাসের জন্য হসপিটালে ভর্তি হতে হলো? জানো ওর বাবা মা বিয়েটা ক্যান্সেল করে দিয়েছে৷”

বাবার কথা শুনে প্রথমে প্রাণো কিছু না বুঝলেও পরে বুঝতে পারলো এটা স্মরণের কাজ৷ প্রাণো আমতা-আমতা করতে করতে বলে উঠলো ,” আসলে বাবা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হবার পর নিরব বললো হাটতে হাটতে ফিরবে ৷ আমিও সায় জানাই ৷ কিন্তু উনি হঠাৎ মাঝরাস্তায় দৌড়াতে লাগলেন আর তারপর এক্সিডেন্ট ৷ ”

” বুঝলাম তুমি এতোক্ষণ কোথায় ছিলে?”

” আসলে বাবা তুমি তো জানো আমি রক্ত দেখতে পারি না ৷ ভয় পাই ভিষণ ৷ ওনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার মাথা ঘুড়ে গিয়ে ছিলো৷ ভাগ্য ভালো ছিলো ওই রাস্তা দিয়ে ঐশী ফিরছিলো আমাকে দেখে আমার কাছে ছুটে আসে ৷ তারপর ঐশী আমি দুজনে মিলে নিরব কে হসপিটালাইজড্ করে দিয়ে আসি৷ তারপর ঐশী ওর সাথে ওর বাড়িতে নিয়ে যায় আমাকে….”

” তাহলে ফোন করলে না কেন ? ”

” আসলে বাবা আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ৷ ঘুম থেকে উঠে দাভাই কে কয়েকবার কল করে সব বলেছিলাম তো যে ফিরতে লেট হবে৷”

প্রাণোর জলজ্যান্ত মিথ্যে কথা শুনে সাদমানে হেচকি উঠে গেল৷

” কি মিথ্যুক মেয়েরে বাবা আমাকেও ফাঁসাতে ছাড়লো না৷” মনে মনে বলতে লাগলো সাদমান৷

” সাদমান প্রাণো তোমাকে কল করেছিলো?” প্রাণোর বাবা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো সাদমানের দিকে, সাদমান প্রাণোর দিকে দাঁত কটমট করে তাকিয়ে তার বাবাকে বললো, ” জ্বি আব্বু কল করেছিলো প্রাণো কিন্তু তোমাদের জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম৷”

” ইরেসপন্সিবল ছেলে একটা , এটা আমাকে আগে জানানোর প্রয়োজন বোধ করো নি তাই না? দেখছো বোন কে নিয়ে টেনশন করছি আর এটা জানানোর প্রয়োজন বোধ করোনি যে তোমার বোন ফোন করেছিলো?”

সাদমান প্রাণোর দিকে রেগে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বললো, ” স্যরি আব্বু আর হবে না৷”

জুনাইদ কবির রেগে নিজের রুমে চলে গেলেন৷

” প্রাণো রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে অলেক রাত হয়ে গেছে৷ আর কিছু খাবি?”(নিশিতা বেগম)

” আম্মু শুধু একটু চা বানিয়ে দেও প্রচুর মাথা ব্যাথা করছে৷”

” ঠিক আছে তুই রুমে যা আমি চা বানিয়ে নিয়ে আসছি৷”

” ওকে”

প্রাণো সাদমানের দিকে দাঁত কেলিয়ে নিজের রুমে চলে গেল৷ প্রাণো ফ্রেস হয়ে বের হতে সাদমান প্রাণোর চুল টেনে ধরে বলে, ” ফাজিল মিথ্যেবাদী মেয়ে তুই কখন আমাকে কল করেছিলি বল?”

” আহা দাভাই লাগছে তো , চুল ছাড়ো তারপর বলছি৷”

” ওকে চুল ছেড়ে দিলাম এবার বল”

” আসলে ভাইয়া আব্বুকে তোর কথা বলেছি কারণ টা তো তুই জানিস আব্বু সেই বিশাল ভাষণ সাথে বকা ফ্রি এটার হাত থেকে বাঁচার জন্য..”

” তাই বলে এভাবে ফাঁসাবি আমাকে?”

” স্যরি দাভাই৷ তোমার কথা না বললে হয়তো কঠিন শাস্তি পেতে হতো আমায়…”

” হু তোর মতো দুশমন যে ভাইয়ের আছে তার আর কোন শত্রুর প্রয়োজন হবে না৷ ”

” স্যরি দাভাই প্লিজ ফরগিভ মি?”
কান ধরে বললো প্রাণো ৷ সাদমান প্রাণোকে কান ধরতে দেখে কান থেকে হাত সরিয়ে প্রাণোর কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বুকে জরিয়ে ধরে বলে, ” কান ধরতে হবে না বনু ৷ আমার সোনা বনুর মুখে স্যরি মানায় না কারণ আমার বনু কখনো ভুল কাজ করতে পারে না৷ পৃথিবীর বেস্ট বনু হচ্ছে আমার প্রাণো ৷ ”

” উহু ভুল বললে দাভাই ওয়াল্ড কা বেস্ট ভাই হো তুম ৷ মেরি পেয়ারা দাভাই সাদমান কবির৷”

” পাগল বোন আমার ,,”” বলে প্রাণোর মাথায় হাত বুলাতে লাগলো৷ দরজার পাশে দাড়িয়ে জুনাইদ কবির আর নিশিতা বেগম তাদের দুই ছেলে মেয়ের ভাই বোনের প্রতি ভালোবাসা দেখে চোখে পানি চলে এলো৷ জুনাইদ কবির দরজা থেকেই নিজের রুমে ফিরে গেল আর নিশিতা বেগম প্রাণোর রুমে ঢুকে বললো,” ভাই বোনের আল্লাদ শেষ হলে চা টা খেয়ে নিস নাহলে ঠান্ডা হয়ে যাবে৷ আর সাদ আমি রুমে যাচ্ছি ৷ তোরা বেশি রাত করিস না ঘুমিয়ে পড়িস৷”

” ওকে আম্মু আমি বনুকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর ঘুমাতে যাবো৷”

” ঠিক আছে৷ ”

নিশিতা বেগম চলে যেতে প্রাণো চা খেতে খেতে সাদমান কে বলে ,” দাভাই একটা প্রশ্ন করবো তোকে?”

” হুম কর”

” তুই আমাকে বিশ্বাস করিস তো? ”

” এই টা কেমন প্রশ্ন প্রাণো? তুই আমার বোন তোকে বিশ্বাস করবো না তো কাকে করবো বল?”

” দাভাই তোর একটা হেল্প লাগবে আমার”

” কি হেল্প লাগবে?”

” কথা দে না করবি না? আর না কাউকে বলবি?”

” ওকে কথা দিলাম এবার বল?”

প্রাণো চায়ের কাঁপ টা পাশে রেখে সাদমান কে বলতে লাগলো…………… সব শুনে সাদমান চমকে ওঠে বলে, ” কিহ! এটা কি করে সম্ভব প্রাণো?”

” দেখ দাভাই তুই আমাকে কথা দিয়েছিস এখন কিন্তু কথার খেলাপ করলে আমি শুনবো না৷”

” বাট তুই শিওর তো? পড়ে রিগ্রেট করবি না তো?”

” না দাভাই তোমাদের প্রাণো যা করে ভেবে চিন্তে করে ৷ রিগ্রেট করবে এমন কাজ কখনো করে না ৷”

” ফাইন, আমি তোকে হেল্প করবো৷ ”

” থ্যান্কিউ সো ম্যাচ দাভাই এন্ড লাভ ইউ৷ ”

” লাভ ইউ টু বনু”

______________

কোটি টাকা লস হওয়ার পর পুরো রুম তোলপার করে ফেলছে ৷ তার পুরো প্লান ফ্লপ হওয়ার সাথে সাথে এতো গুলো টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বিধায় রেগে আগুন হয়ে আছে JM ৷ JM ভয়ে তার গার্ড গুলো ভয়ে জরসর হয়ে দাড়িয়ে আছে৷

” ব,,বস ..”

JM হুংকার ছেড়ে গার্ড এর গলা টিপে ধরে বলে, ” কুত্তার বাচ্চা আমি ওদের চাই আমার সামনে দেখতে চাই৷ ”

” ব,, বস আপনি যা চান তাই হবে”

JM গার্ড এর গলা ছেড়ে দিয়ে মদ খেতে লাগলো৷ উদ্দেশ্য নিজেকে শান্ত করা৷ কিন্তু এতো গুলো টাকা লস হওয়ার পর কেউ কি শান্ত থাকতে পারে?

________

সাহারা বেগম রাতে পানি খেতে উঠে দেখে পাশে তার স্বামী কে দেখতে না পেয়ে ঘাবড়ে যায়৷ ওয়াশরুম ব্যালকনি পুরো বাড়িতে জীবন মাহমুদ কে খুজে না পেয়ে রুমে ফিরে আসেন৷

” উনি কোথায় গেলেন এতো রাতে? কাউকে কিছু না বলে এভাবে গেলেন কেন?” সাহারা বেগম নিজের প্রশ্নের খুজে না পেয়ে পুরো রাত জেগে কাটিয়ে দিলো৷

পরেরদিন জীবন মাহমুদ বাড়িতে ফিরে কাউকে কিছু না বলে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ সাহারা বেগম দরজার পাশে দাড়িয়ে কয়েকবার ডাকা ডাকির পর সারা না পেয়ে নিজের কাজে চলে যায়৷ স্মরণ গতকাল থেকে প্রচন্ড রেগে আছে ৷ প্রাণোর চিন্তায় রাতে ঘুমাতেও পারেনি ৷ অনেক বার কল করে প্রাণোকে কিন্তু প্রাণো কল রিসিভ করে না৷ এতে যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো স্মরণের রাগ তরতর করে বাড়ছে ৷ স্মরণ ফ্রেস হয়ে বের হয়ে দেখে তার ফোনের লাইট জ্বলছে ৷ স্মরণ ফোন চেক করে দেখে প্রাণোর মেসেজ৷

” স্মরণ তোমার সাথে আমার জরুলি কথা আছে ৷ এগারোটায় ধানমন্ডি এসো ওখানে তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করবো ৷ আর হ্যাঁ এখন রেগে গিয়ে বলো না আসতে পারবো না৷ আমি এই কড়া রোদে দাড়িয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করবো ৷ আর হ্যাঁ আসার সময় পাজ্ঞাবি পড়ে আসবে ৷ পাজ্ঞাবি পড়ে তোমায় কেমন পচাঁ দেখতে লাগে তা দেখতে চাই ”

স্মরণ টাইম দেখে দশ টা অলরেডি বেজে গেছে তাই স্মরণ দেরি না করে কাবার্ড খুলে একটা পাজ্ঞাবি বের করে ৷সাদা পাঞ্জাবি তার উপর সোনালি সুতোর কাজ করা ৷ স্মরণ পাজ্ঞাবি পড়ে চুল গুলো সেট করে নেয়৷ হাতে ঘড়ি পড়ে চোখে জিরো পাওয়ারের চশমাটা খুলে সানগ্লাস টা পড়ে নিয়ে ফোনটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷

স্মরণ নাস্তা না করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের গাড়িতে উঠতে যাবে তখনি পেছন থেকে স্মরণের মুখ টা রুমাল দিয়ে চেপে ধরে…..
.
.
.
#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here