গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
লেখায়_ফারহানা_ছবি
পর্ব_৬
.
.
🦋
প্রিয়া শাড়ি পড়ে সেজে গুজে বসে আছে ৷ যেন তারই অপেক্ষা করছে৷ সাজিত কে দেখে প্রিয়া তার দাঁত ক পাটি বের করে দিয়ে বলে উঠলো ,” গুড মরনিং মাই ডেভিল হাসবেন্ট”
প্রিয়ার মুখে ডেভিল হাসবেন্ট কথাটা শুনে থমকে দাড়ায় সাজিত….
” কি বললি তুই আমাকে?”
” যেটা তুই শুনতে পেলি ৷”
” প্রিয়া এতো করিস না যাতে আমি তোর গায় হাত তুলতে বাধ্য হই ৷”
” হা হা হা গায়ে হাত তুলে দেখ না একবার পুরো পরিবার শুদ্ধ জেলে ঢুকিয়ে দিবো ৷ ” প্রিয়ার কথা শুনে দাঁত কিড়মিড় করে বলতে লাগলো,” সত্যি তোর সাহসটা একটু না অনেকটাই বেশি ৷ এমন কিছু করার চেষ্টা ও করবি না প্রিয়া৷”
” মিস্টার ডেভিল হাসবেন্ট আপনি যদি আমাকে আমার অধিকার না দেন তাহলে আমি ঠিক কি কি করতে পারি সেটা আমি আপনাকে দেখিয়ে দিবো৷”
” কিসের অধিকারের কথা বলছিস তুই যেটাতে তোর কোন অধিকার নেই৷”
” আমি এখন আপনার স্ত্রী তাই অধিকারটাও আমার , এখন বলুন অধিকার দিবেন নাকি জেলে ঢুকবেন?”
” কি চাস তুই?” রাগি চোখে তাকিয়ে বলল সাজিত…
” প্রথমতঃ আমাকে তুই বলতে পারবে না তুমি বলবে ৷ দ্বিতীয়তঃ বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষের সামনে আমাকে যথাযথ সন্মান দিবে৷ তৃতীয়তঃ আমার উপর কোন চেঁচামেচি করা যাবে না৷ চতুর্থতঃ আমার আপুর দিকে আর হাত বাড়াবেন না ৷”
” এগুলো আমাকে মানতে হবে?”
” জ্বী হাঁ , এগুলোর একটাও যদি বরখেলাপ করো তাহলে প্রত্যেককে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো যাস্ট মাইন্ড ইট”
সাজিত পারে না প্রিয়াকে মাথায় তুলে আছাড় মাড়ে৷ রাগে পুরো শরীর কাঁপছে সাজিত ৷ কিছুক্ষণ পর মিহু এসে দরজায় নক করে ততোক্ষণে সাজিত ড্রেস চেন্জ করার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ প্রিয়া দরজা খুলে মিহুর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে দিয়ে বলে, ” কিছু বলবে ননোদিনী ?”
মিহু তার রাগ কোন ভাবে কন্ট্রোল করে প্রিয়াকে বলে,” তোমাকে মা ডাকছে ৷”
” ওহ আচ্ছা , চলো আমি আসছি৷ ”
প্রিয়া মিহুর মুখ দেখে বুঝে গেছে তাকে সে খুব একটা পছন্দ করছে না৷ প্রিয়া ড্রইংরুমে গিয়ে তার সাহারা বেগমকে সালাম দিলো৷ সাহারা বেগম সালামের উওর দিয়ে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে৷
” এই তো আমার লক্ষী বউমা ৷ কতো সুন্দর করে সালাম দিলো ৷ বউমা আজ তোমাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার বানাতে হবে৷ আর এটা আমাদের বাড়ির নিয়ম৷”
” আপনি চিন্তা করবেন না মা , আমি এখুনি রান্না করছি৷”
” ঠিক আছে চলো তোমাকে রান্না ঘড়ে কোথায় কি আছে দেখিয়ে দিচ্ছি৷”
” হুম চলুন”
সাহারা বেগম প্রিয়াকে রান্না ঘড়ের সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে আসেন৷ প্রিয়া কি রান্না করবে ভেবে চিন্তে সির্ধান্ত নেয় পায়েস রান্না করবে৷ যেই ভাবা সেই কাজ প্রিয়া ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে রেখে একে একে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না শুরু করে দেয়৷ বাইরে দাড়িয়ে মিহু দাঁত কটমট করে তাকিয়ে আছে প্রিয়ার দিকে,
” তুমি আমার ভাইয়ের খুৃশি ছিনিয়ে নিয়েছো প্রিয়া ৷ তোমাকে আমি ছাড়বো না এর জন্য তোমাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে৷ খুব শখ না সংসার করার! এবার আমি তোমার সংসার করা ঘুচাচ্ছি৷” বিড়বিড় করতে করতে মিহু ড্রইংরুম ছেড়ে নিজের রুমে চলে গেল৷ একে একে সব আত্মিয় স্বজন ও চলে যায় গতকালই৷ শুধু কয়েকজন রয়ে গেছে তারাও চলে যাবে সকালে নাস্তা করার পর,
প্রিয়ার পায়েস রান্না শেষ করে ৷ লুচি, আলুর দম , কসা মাংস পরাটা বানিয়ে ফেলে ঝটপট ৷ টেবিলে খাবার গুলো সাজিয়ে ফেলার পর সাহারা বেগম তার স্বামী জীবন মাহমুদ কে সাথে করে নিয়ে আসে৷ প্রিয়া জীবন মাহমুদ কে দেখে মাথায় ঘোমটা দিয়ে সালাম দেয়৷ জীবন মাহমুদ সালামের জবাব না দিয়ে চেয়ারে বসে ৷ সাহারা বেগম টেবিলে এতো খাবার দেখে বেশ অবাক হোন ৷ ছোট একটা মেয়ে একা এতো খাবার রান্না করতে পারবে এটা তার ধারণা ছিলো না ৷ প্রিয়ার উপর বেশ সন্তষ্ট সাহারা বেগম৷ কিন্তু মুখে কিছু বললেন না কারন তার স্বামী জীবন মাহমুদ ৷ তিনি একবার যদি জানতে পারে এ সব খাবার প্রিয়া রান্না করেছে তাহলে না খেয়ে উঠে যাবে৷ তিনি চুপচাপ একটা প্লেটে গরম গরম লুচি আলুর দম আর কসা মাংস দিয়ে খেতে দিলেন ৷ প্রিয়া পায়েস বাটিতে বেড়ে তার শাশুরির হাতে দিতে তিনি পায়েস টা নিয়ে জীবন মাহমুদ দিলেন৷ জীবন মাহমুদ চুপচাপ খেয়ে উঠে পড়তে বাকি সব আত্মিয় স্বজন মিহু সাজিত এসে হাজির হয়৷ প্রিয়া হাসি মুখে সবাইকে খাবার সার্ব করে দেয়৷ প্রিয়ার হাতের রান্না খেয়ে প্রত্যেকে প্রশংসা করতে লাগলো ৷ প্রিয়ার এতো প্রশংসা মিহু সাজিত দু’জনের কেউ হজম করতে পারলো না ৷ অর্ধেক খেয়ে পেট ভরে গেছে বলে উঠে পড়ে৷
” সাজিত ভাই কিছু কি ভেবেছিস?”
” নাহ মাথায় কিছু আসছে না৷ মেয়েটা যে পরিমানের চালাক ওকে বাগে আনতে অনেক কাঠখর পোড়াতে হবে৷”
” এর থেকে ভালো হয় ওকে শেষ করে দে৷”
“নাহ তাহলে আমি ফেঁসে যাবো৷ প্রাণোকে আর বিয়ে করা হবে না আমার”
” সব হবে তোর ইচ্ছে পূরন হবে সাজিত আর তা আমি করবো ৷ আমি আমার ভাইকে এক বিন্দু কষ্ট পেতে দিবো না আই প্রমিস ইউ”
সাজিত আর কিছু না বলে নিজের রুমের দিকে চলে গেল৷মাথার পেছনে প্রচন্ড বাধা করছে সাজিতের এখন যে তাকে ঔষধ খেতে হবে মাথা ব্যাথায় যেন ছিড়ে যাচ্ছে ৷ সাজিত কোন ভাবে রুমে গিয়ে ঔষধ খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে৷
__________
” আজ কোথায় যাচ্ছি আমরা?”(ঐশী)
” আজ আমরা স্বর্ণমন্দির আর শৈল প্রপাত দেখতে যাচ্ছি”
” ওয়াও দারুণ হবে ৷ কিন্তু আজ তো অনেক বেলা হয়ে গেছে এখন যাওয়াটা কি ঠিক হবে?”(স্মিতা)
” হুম ঠিক বলেছিস আজ বরং যেতে হবে না কাল সকাল সকাল রওনা দিবো৷” প্রাণো বলে উঠলো…
” তাহলে আজ আমরা কি করবো? আর ওই ভাইয়ারা বা আসলো না কেন?” (সাফা)
” কেন রে ক্রাশ ট্রাস খেয়েছিস নাকি?” ভ্রু কুচকে বলল প্রাণো…
সাফা লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে মাথা ডান বাম নাড়ায় অথার্ৎ সে ক্রাশ খাইনি৷
প্রাণো অবাক হয়ে বলল, ” তুই ঠিক আছিস সাফা? তুই ক্রাশ খাসনি ও মাই গড রেইলি!”
” এভাবে বলছিস কেন প্রাণো? দেখ আমি ক্রাশ খাইনি তাই বলে প্রেমে পড়েনি এটা বলেনি কিন্তু”
সাফার কথা শুনে প্রত্যেকের মুখ হাঁ হয়ে যায়৷ সাফা ওই সব না দেখার ভান করে আবার বলতে লাগলো,” জানি হি লুকিং সো হ্যান্ডসাম ৷ ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি ৷ আমার না প্রথম দেখায় তাকে ভালো লেগে গেছে ৷ কিন্তু বলতে পারছি না কেমন যেন গুরুগম্ভির হয়ে থাকে সারাক্ষন৷ ভয় লাগে আমার এই সব বললে না কখন যেন ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে বসে এই ভয়ে”
সাফার কথা শুনে প্রাণোর এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো সাফা স্মরণের কথা বলছে ৷ কারণ স্মরণ দেখতে সত্যি প্রচন্ড হ্যান্ডসাম ৷ যে কোন মেয়ে প্রথম দেখায় প্রেমে পড়তে বাধ্য কিন্তু সাফার মুখে কথা গুলো শুনে প্রাণোর কেন যেন মন খারাপ হয়ে গেল এটা ভেবে স্মরণ যদি হয় তাহলে সাফা সত্যি তাকে প্রপোজ করবে আর তখন যদি স্মরণ এক্সেপ্ট করে নেয় তখন! প্রাণো নিজের মাথায় নিজে চাটি মেরে মনে মনে বলতে লাগলো ,” করুক এক্সেপ্ট তাতে তোর কি? তুই কি কোন ভাবে ওই মানুষটাকে পছন্দ করিস? নাকি ভালোবাসিস! তাহলে তোর কেন খারাপ লাগবে হুম ৷ যে কাজের জন্য তুই বান্দরবান এসেছিস তুই সেটাই কর কনসার্নট্রেট প্রাণো কনসার্নট্রেন্ট ৷” প্রাণো নিজেকে হাজার কথা দিয়ে বুঝালেও প্রাণোর মন টা কোথায় যেন খুত খুত করছে ৷ খারাপ লাগাও কাজ করছে৷ তাই প্রাণো ডিসাইড করল সে আর স্মরণের সামনে যাবে না আর না তার সাথে কথা বলবে৷ কিন্তু এদিকে ঐশী স্মিতা নাছরবান্দা সাফার মুখ থেকে শুনবে কে সে? কিন্তু সাফা এখন বলতে নারাজ , কিছুতেই বলবে না৷ ঐশী স্মিতা হার মেনে নেয় তারপর চার বান্ধবী মিলে দুপুরে রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাবার অর্ডার করে৷ এখানে আগে থেকে খাবারের অর্ডার করতে হয় কারন পুরোটাই হোম মেইড এর মতো করে রান্না করা হয় বিধায় সময় বেশি লাগে ৷ প্রাণো সাফা স্মিতা ঐশী সবাই ট্যারেসে এসে দাড়ায় ৷ আকাশে সূর্যমামার দেখা মিললেও তা বেশি সময়ের জন্য মিললো না কারণ পুরো আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা , চারিদিকে মেঘের দল ছুটে বেড়াচ্ছে ৷ সাফা স্মিতা সেলফি নিতে ব্যস্ত ৷ ঐশী একটু দুরে দাড়িয়ে ফোনে কারোর সাথে কথা বলছে৷ শুধুমাত্র প্রাণো একাই এই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত৷ হঠাৎ করে প্রাণো টের পেলো তার চুল গুলো বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে ৷ চুল গুলো সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রাণো ৷ প্রাণোর মনে পড়লো কটেজ থেকে বের হবার আগে কাটা দিয়ে চুল আটকে বের হয়েছিলো তাহলে খুললো কি করে? প্রাণো ভাবতে ভাবতে চুল গুলো খোপা করতে নিলে পেছন থেকে নরম কন্ঠে কেউ বলে ওঠে ,” থাক না চুল গুলো এভাবে , বেশ তো লাগছে৷”
প্রাণো পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে স্মরণ পকেটে হাত গুজে তার দিকে মিষ্টি হেসে তাকিয়ে আছে৷ স্মরণের মুখের এই মিষ্টি হাসিটা যেন প্রাণো হৃদয়ে গেঁথে গেল৷ প্রাণো উওরে মিষ্টি হাসি ফেরত দেওয়ার বদলে ঝটপট স্মরণের হাত থেকে চুলের কাটা টা নিয়ে খোপা করে ফেলে ঐশীর দিকে হাটতে লাগলো৷ প্রাণোর আচমকা এমন ব্যবহার দেখে স্মরণ প্রচন্ড অবাক হয়৷ প্রাণো যে তাকে ইগনোর করছে এটা স্মরণের বুঝতে আর বাকি নেই৷ দু’হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে প্রাণো কে দেখছে৷ প্রাণো একবার ও স্মরণের দিকে ফিরে তাকালো না৷ প্রচন্ড রাগ লাগছে স্মরণের ইচ্ছে করছে পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিতে ৷ কিন্তু এখন যে তাকে রাগলে চলবে না ৷ প্রাণোর এহেতুক ইগনোরের কারণ তাকে জানতে হবে৷ নিজের ভয়ংকর রাগটা সংবরন করে৷
প্রাণো ঐশীর কাছাকাছি আসতে ঐশী প্রাণোকে দেখে কল কেটে দেয় তা দেখে প্রাণো কপাল কুচকে সন্ধেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঐশীকে প্রশ্ন করে,” আমাকে দেখে কল কেটে দিলি কেন ঐশী?”
প্রাণোর প্রশ্ন শুনে ঐশী তুতলিয়ে বলল, ” ক,, কই না তো , তোকে দেখে কল কাটবো কেন? কথা শেষ তো তাই কল কেটেছি”
” তাই!”
” হুম”
” তা কার সাথে এতোক্ষণ কথা বলছিলি তুই?”
” ওই আমার কাজিনের সাথে কিন্তু তুই এতো প্রশ্ন করছিস কেন? তুই কি কোন ভাবে আমাকে সন্ধেহ করছিস সাজিত ভাইয়ার কাজিন হই বলে?”
প্রাণো তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে ঐশীর দিকে তাকিয়ে বলল, ” খেতে চল টেবিলে খাবার সার্ব করছে ৷” প্রাণো ঐশীর কোন কথার জবাব না দিয়ে রেস্টেরেন্টের ভিতর চলে গেল৷ পিছুপিছু ঐশী যেতে লাগলো৷
খাবার সময় হুট করে প্রাণোর পাশে স্মরণ বসে পড়লো ৷ প্রাণো আড়চোখে স্মরণ কে দেখে নিজের খাওয়ায় মনোযোগ দিলো ৷ এদিকে সাগর স্মিতার পাশে বসে পড়ে ৷ সাগর কে দেখে স্মিতা লাজুক হাসি দিলো৷ নিলয় আকাশ দুজনে এক সাথে বসে পড়লো৷ সাফা খেতে খেতে নিলয় আকাশ এর উদ্দেশ্য বলল,” আপনারা হঠাৎ করে কোথা থেকে উদয় হলেন ?”
” আমরা চার বন্ধু মিলে একটু বাইরে গিয়েছিলাম , কিছুক্ষণ আগে এসেছিলাম ৷ তোমাদের কটেজে গিয়েছিলাম দরজা লক করা দেখে বুঝতে পেরেছি তোমরা এখানে,”
” ওহ আচ্ছা ”
” তো কোথায় ঘুড়তে যাওয়ার প্লান করেছো?”
ঐশী খেতে খেতে উওর দিলো,” স্বর্ণমন্দির আর শৈল প্রপাত তবে কাল যাবো ঘুড়তে আজ নয়৷ আজ কটেজের বাইরে বার্বিকিউ করবো ভাবছিলাম৷”
ঐশীর কথা শুনে স্মরণ বলে উঠলো,
” গ্রেট তাহলে কি আমরা ও জয়েন করতে পারি তোমাদের সাথে?”
প্রাণো না বলতে যাবে তার আগে স্মিতা বলে উঠলো,” কেন নয় ভাইয়া , আপনারা সবাই জয়েন করতে পারবেন৷”
স্মিতার কথা শুনে প্রাণো কটমট করে তাকাতে স্মিতার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল৷ দ্রুত সামনে রাখা গ্লাসের পানি টা খেয়ে নেয়৷ স্মিতা প্রাণোর তাকানো দেখে বুঝতে পারলো প্রাণো চায়না এরা আমাদের সাথে বার্বিকিউ পার্টিতে জয়েন করুক ৷ কিন্তু এখন তো সব হাতের বাইরে এখাণ কি করে ওদের বারন করবে! এটা ভেবেই আর এক ঢোক পানি খেলো স্মিতা৷
প্রাণো খাবার সময় কোন টু-শব্দ করলো না ৷ নিজের মতো খেয়ে বিল মিটিয়ে কটেজে ফিরে গেল৷ ততোক্ষণে সাফা ঐশী স্মিতা কারো খাওয়া কম্পিলিট হয়নি৷ প্রাণোর উঠে যাওয়ার পর পর স্মরণ ও উঠে যায়৷ এদিকে সাফা নিলয় আকাশ ঐশী আর স্মিতা সাগর গল্প করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো৷
প্রাণো জোর পায়ে কটেজে ফিরে গলা থেকে ওড়নাটা বিছানায় ফেলে চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ালো, হুট করে আকাশ ভেঙে মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে লাগলো ৷ বৃষ্টির ফোঁটা গুলো গুলো প্রাণোকে ছুঁয়ে দিতে লাগলো বারংবার, বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে প্রাণোর মন টা যেন নিমিষেই ভালো হয়ে গেল৷ ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো ৷ কিন্তু হঠাৎ করে বজ্রপাত হতে প্রাণো দু’পা পিছাতে গেলে কারো বুকের সাথে ধাক্কা লাগে ৷ প্রাণোর বুকের ভিতর ধুকধুক করছে ৷ তার পেছনে যে কোন পুরুষ মানুষ দাড়িয়ে আছে সেটা প্রাণো খুব ভালো করে বুঝতে পারছে৷ প্রাণো পাশে তাকাতে ফ্লাওয়ার বাজ দেখে সাহস পেল ৷ হুট করে ফ্লাওয়ার বাজ টা হাতে তুলে নিয়ে পেছনে থাকা মানুষটাকে আঘাত করতে গিয়ে থেকে যায় প্রাণো ……
.
.
.
#চলবে……………
[১৫০+ রিয়েক্ট! সিরিয়াসলি গাইজ? এখন থেকে রেসপন্স না পেলে দু’টো গল্পের একটাও দিবো না ৷😠]