#গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-২০)
সিজন ২
লেখনীতে — ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
৪৩.
বিছানায় পা তুলে চুপচাপ বসে আছে মেহজা। ইরফান ফ্রেশ হয়ে এলেও সে জায়গা থেকে নড়েনা। শাড়ি, গহনা সবই আগের মতো তার পরনে। ইরফান কয়েকবার করে বলল চেঞ্জ করতে সে ইরফানের কথা কানেই ঢোকায় না। ইরফান ও হাল ছেড়ে দিল। সে চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। লাইট বন্ধ হলে মেহজা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। ইরফান শুনল মেহজার কান্নার শব্দ। তবুও একটু কাছে টেনে আদর করে কান্না থামানোর চেষ্টা করেনি। মেহজা কাঁদছে, কাঁদুক। তার বিয়েটা করার ছিল সে করে ফেলেছে। এখন যতই কান্নাকাটি করুক লাভের লাভ কিছুই নেই। তার কথা হলো কিছু একটা দিয়ে মেহজাকে নিজের সাথে বাঁধার ছিল সে বেঁধে ফেলেছে। বিয়ের থেকে বড় শেঁকল আর কি আছে?সে জানে না। আর এইখানেই সে বোকামি করে বসে। বিয়ে কখনোই শেঁকল হয়না। এটি হলো পবিত্র বন্ধন। এই পবিত্র বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায় কখনো কখনো কেবল মাত্র একটু ভালোবাসার অনুপস্থিতির জন্যে। ইরফান নিজেকে ভীষণ চালাক ভাবে, এটাই তার দুর্বলতা। মেহজাকে সে তো আজ নয় বহু আগেই জয় করেছিল। তবে তা নিজের অজান্তেই। আর এখন যখন সে নিজেও ভালোবাসার কথা বলছে তখন তাকে তার ভালোবাসাটা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হবে। তবেই তো পাওয়া যাবে। মেহজা রাতে কান্নাকাটি করে সেভাবেই শুয়ে পড়ল। ইরফান জেগেই ছিল। মেহজা ঘুমিয়ে যেতেই সে তার ভারি গহনা গুলো খুলে রাখলো। মেহজা মাথায় লাগানো ওড়নাটা আগেই খুলে ফেলেছিল। তাই আর কোনো সমস্যা ছিল না। তারপরে ইরফান কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে আবারো উঠে বসে। এক ধ্যানে মেহজার দিকে তাকিয়ে থাকে। এরপর মৃদু হেসে মেহজার সারা মুখে উষ্ণ চুম্বন করতে থাকে। রাতের আঁধারে বদ্ধ কক্ষে এই ছোট্ট অথচ অনেক বড় ব্যাপারটা খুব গোপন থাকে। খুব!
সকালে ঘুম থেকে উঠতে মেহজার বেশ দেরি হলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯টা বাজে। সে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে বসে থাকে। গতকাল যা যা হয়েছে তা মনে করতে থাকে। তি’ক্ত স্বাদ ছাড়া আর কিছুই পেলনা সেই স্মৃতিতে। শুধু বিয়ের কথা ভাবতেই আনমনেই শি’হরিত হয়। বিয়ে হয়েছে, বিবাহিত, বউ এই ব্যাপারটা কেমন যেন! ল’জ্জা লাগে তবে ল’জ্জাটা ভালোও লাগে।
ইরফান রুমে নেই। মেহজা শাড়ি সামলে বিছানা ছেড়ে উঠে বসে। গহনা গুলো বালিশের কাছেই ছিল। মেহজা বুঝেই গেল এটা ইরফানের কাজ। সে যেন একটু হলেও খুশি হলো কাজটায়। একটা থ্রী পিস নিয়ে আর আনুসাঙ্গিক দরকারি সামগ্রী নিয়ে বাথরুমে ঢোকে। বের হয়ে দেখে অনা আর প্রথি সোফায় বসে আছে। মেহজা ওদেরকে দেখে অবাক হয়ে বলল,
-‘তোরা!’
প্রথি বলল,
-‘হুম আমরা।’
-‘বাসায় ফিরে যাসনি রাতে?’
-‘আজব! ফিরে যাব কেন? দাওয়াত খেতে এসেছি না! দুইদিন থেকে যাব। অবশ্য একদিন থাকার প্ল্যান করেই এসেছি। জামা কাপড় ও সেই হিসেবে এনেছিলাম। কালকের প্রস্তুতি বলতে কিছু নেই। দুলাভাই বলল আজ শপিং করে দিবে তাই আপাতত চিন্তা মুক্ত।’
-‘খবরদার! দুলাভাই দুলাভাই করবি না আমার সামনে।’
-‘কেন?’
-‘আমার অস’হ্য লাগে। আর তোরা এত লো’ভী কেন? ল’জ্জা করে না অপিরিচিত লোকের থেকে শপিং ট্রিট নিতে?’
-‘অপরিচিত কোথায়! দুলাভাই তো। তোর জামাই।’ অনা বলল কথাটা।
জামাই কথাটা কেমন শুনতে লাগল মেহজার। সে একটু ইতস্তত করে আবার বলল,
-‘আমি কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারব না। আমি চলে যাব। যেখানে আমার কদর নেই সেখানে আমি থাকি না।’
-‘আমাদের সাথে এত বছর ধরে পড়ে ছিলি কেন? আমরাও তো কদর করিনা তোর। এই যেমন এখনও তোর কথা শুনছিনা। এটাকেও তো কদর না করাই বলে।’ প্রথি বলল।
মেহজা আ’হ’ত কন্ঠে বলল,
-‘তোরা আমার বন্ধু।’
-‘আর এরা পরিবার। তাই কথাবার্তা বুঝে-শুনে, ভেবে-চিন্তে বলবি।’
মেহজা এই কথা শুনে চুপ হয়ে গেল। তখনিই ইনায়া হ’ন্ত’দ’ন্ত হয়ে ছুঁটে এলো কোত্থেকে। তাকে দেখে অনা, প্রথি সালাম দিল। মেহজাও তাদের সালাম দেওয়া দেখে সালাম দেয়। ইনায়া সবার সালামের জবাব দিয়ে মেহজার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। মেহজার হাত ধরে বলল,
-‘সুন্দর লাগছে। তবে শাড়ি পরলেনা যে!’
-‘শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে না।’ খুব নিচু স্বরে কথাটা বলল।
-‘কোনো চাপ নেই, পরতে না চাইলে পরবেনা। কেউ কিছু বলবে না। বি ইজি! এত মুখ ছোট করে কথা বলতে হবে না! সবাই ব্রেকফাস্ট করেছ?’
অনা বলল,
-‘আমরা খেয়েছি মেহজা খায়নি এখনো।’
-‘খাওনি? চলো খেয়ে নিবে। আজ অনেক কাজ আছে। সারাদিন দৌঁড়ের উপর থাকতে হবে। এখন তাই শক্তি সঞ্চয় করতে হবে খাবার খেয়ে। চলো!’
মেহজার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল ইনায়া পেছন ফিরে অনাদের উদ্দেশ্য করে বলল,
-‘এই তোমরা দাঁড়িয়ে আছো কেন? আসো!’
খাবার টেবিলে মাহিমা বেগম, ইমা আর হাসনা আগে থেকেই ছিল। তাদের দেখে মাহিমা বেগম বসা থেকে উঠে এলো। নিজে মেহজাকে চেয়ার টেনে বসতে দিল। অনা আর প্রথিকেও মেহজার দু’পাশে বসতে হলো। বেশ যত্ন করে প্রত্যেকটা খাবার সামনে এগিয়ে দিলেন। অনা আর প্রথিকে অনেক জোর করেও যখন ভারি খাবার খাওয়াতে পারল না তখন বলল,
-‘চা টা অন্তত খাও।’
-‘চা অফার করে কেন শুধু? ওরা তো কফিও খেতে পারে!’ ইমা বেশ গম্ভীর গলায় কথাটা বলল।
-‘ওহ! বলো মা তোমরা কি খাবে! চা না কফি?’
-‘আন্টি আমরা চা খাই। কফি সচরাচর খেতে ভালো লাগে না।’
-‘আমারও একই অবস্থা।’ চেয়ার টেনে বসতে বসতে ইনায়া বলল।
ইমা চা খাচ্ছে আর মেহজাকে লক্ষ্য করছে। মেহজার এত ল’জ্জা লাগছে! কিন্তু উঠে যেতেও পারছেনা। এখন ননদ হোক আর যা-ই হোক, এককালে তার শিক্ষিকা ছিলেন। যার ফলে সংকোচ, অস্বস্তি বোধ সবই হচ্ছে এবং যা একদম স্বাভাবিক। মেহজার হঠাৎ মনে হলো যখন সে নিজে থেকে স্বপ্ন দেখতো ইরফানের বউ হওয়ার তখন সে একবারও ইমার কথা ভাবেনি। ইমাকে নিয়ে ভাবেনি, যে সে আজ ম্যাম কাল ননদ হবে। এখন যে মুহূর্তে সে পড়েছে তখন স্বাভাবিক ভাবে বিয়ে হলেও তো একই অবস্থায় পড়ত। তখন সে কেন ভাবলো না? ভাবলে অন্তত পক্ষে ইরফানের প্রেমেও পড়ত না। দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো বদলে যেত। আর সব ঠিক থাকত। পরক্ষনেই মনে হলো ইরফান কেন প্রেমে পড়ল? ইরফানের তো প্রেমে পড়ার কথা ছিল না। তবে যখন সে নিজেও প্রেমে পড়েছে তখন তো এটাই প্রমানিত যে এমনটাই হওয়ার ছিল।
-‘কী এত ভাবছ! তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও। এতক্ষণ খাবার নিয়ে বসে থাকা ঠিক নয়।’
ইমার ক’ড়া কথায় মেহজা তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করল। মাহিমা বেগম অনাদের সাথে বেশ গল্প জমিয়েছে। অনিককে তারা আগে থেকেই চিনেন। তবে একটা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সম্পর্ক তাদের যে আছে সেটা আগে জানতেন না। গতকাল অনার খালামনির বাসাতেই পরিচয় হয়। অবশ্য তখন মেহজা চলে এসেছিল। দুইরকম ভাবে আত্মীয়তার সুবাদে অনাও এখন তাদের বেশ আপন হয়ে গেছে।
৪৪.
সবার খাওয়া শেষ। টেবিল ছেড়ে উঠবে এমন সময় ইরফান বাসায় আসে। মাহিমা বেগম তাকে দেখেই রা’গ দেখিয়ে বললেন,
-‘বিয়ের পর বউয়ের সাথে সাথে না থেকে বাহিরে টো টো করছিস কেন? তোর এই বাহিরে বাহিরে ঘুরে বেড়ানোর স্বভাব বদলাবে কবে?
ইমা তার মাকে বিরক্তি নিয়ে বললো,
-‘আহ মা, চুপ করো। ও বাবার সাথে গিয়েছিল। কালকের রিসিপশনের অতিথিদের ইনভাইট করবে যে সেই কার্ড ছাপানোর অফিসে গিয়েছে।’
-‘বলে যাবে না!’
-‘তুমি কাজের মধ্যে ছিলে। আমাকে বলেছে তো!’
মাহিমা বেগম নরম হলেন। ছেলেকে বললেন,
-‘তুই তো কিছু খেয়ে বের হোসনি। বাহিরে খেয়েছিস?’
-‘না। বাবাকে অফিসে দিয়ে এসে সোজা বাসায় এসেছি।’
-‘হাত মুখ ধুয়ে আয় মা অপেক্ষা করছি!’
-‘তুমি কেন অপেক্ষা করবে? ওর বউ আছে। এখন যত অপেক্ষা করার সে করুক। তুমি রুমে চলো কাজ আছে। আর মেহজা! তুমি ইরফানের খাবার সার্ফ করে ওর পাশে থাকবে। যা যা লাগবে এগিয়ে দিবে।’
মেহজা ইরফানের সামনে থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইমার কথা শুনে তার মুখটা ছোট হয়ে যায় আর ইরফান বেশ খুশি হয়। মনে মনে মেজো আপাকে ধন্যবাদ দিল। ইনায়া প্রথি আর অনাকে সাথে নিয়ে চলে গেল। ইমা মাহিমা বেগমকে তার রুমে নিয়ে গেলেন। ইরফান মেহজার দিকে একপলক তাকিয়ে ফ্রেশ হতে গেল। মেহজা একা ডাইনিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। হাসনা রান্নাঘরে যাওয়ার আগে বলে গেল,
-‘বিয়া তো করেন নাই শুধু ম’র’ণ ফাঁ’দে পা ও দিলেন। আইতে যাইতে, উঠতে বসতে শুধু কাম আর কাম! জেবনডা এক্কেরে ঠুস কইরা বাইর হইয়া ফুস কইরা উইড়া যাইব কখন টের ও পাইবেন না। আমার তো আরো বড় ম’র’ণ! জামাইর কাম করি মাইনছের কাম ও করি। তয় আমি পড়ালেহা করিনাই বাপে বিয়া দিয়া দিসে। আপনি তো হুনছি ডাক্তারি পড়েন ছুডো আপার মতো ডাক্তার ও হইবেন। আপনার বাপে আপনারে বিয়া দিলো ক্যান! আগে ভাবতাম পড়ালেহা না করলেই বিয়া দিয়া দেয়। এহন দেখতেছি পড়ালেহা ভালো কইরা করলেও বিয়া দিয়া দেয়। হা হা হা! তয় ব্যাপার খান মজার আছে!’
কথা গুলো বলেই পান খেয়ে লাল করা বি’শ্রী দাঁতে হাসনা হাসতে লাগলো। মেহজার তা দেখে গা গুলিয়ে উঠলো। তারচেয়ে বেশি রা’গ হলো এই নিয়ে যে সে কাঁটা গায়ে বেশ ভালো করেই নুনের ছিটা দিয়েছে। হাসনা ইরফানকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখেই জায়গা থেকে কেটে পড়ল। এই বাসায় সে যদি কাউরে ভ’য় করে সে হলো ইরফান। সবার সাথে কথার খেলা দেখাতে পারলেও ইরফানের সাথে কথাই বলতে পারে না। সেই যে কবে একদিন এক কাজে ধ’ম’ক দিয়েছিল তারপর থেকেই এই অবস্থা।
ইরফানকে দেখে মেহজা স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করল। কেন যেন হাসনার কথা তার গায়ে লেগেছে। তাই সে কোনো কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকে। ইরফান মেহজাকে একবার পরখ করে নিয়ে নিজেই প্লেটে রুটি আর সবজি নিয়ে বসে চুপচাপ খেতে থাকে। মেহজা সবটাই খেয়াল করল। হঠাৎ ইরফান খাওয়া থামিয়ে বলল,
-‘তোমার কোনো কাজ না থাকলে শুধু শুধু এখানে বসে থাকার তো কোনো মানে দেখছি না। তুমি চাইলে রুমে চলে যেতে পারো।’
মেহজা অনুতপ্ত বোধ করল। যত যাই হোক তার এমন করা ঠিক হবে না। অন্তত পক্ষে খাবার পরিবেশন করা নিয়ে এমন নিচু চিন্তা করা উচিত নয়। হাসনার কথা শোনা আর গায়ে মাখা দু’টোই করা তার ঠিক হয়নি। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সে চুপচাপ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। ইরফান ভাবে মেহজা সত্যিই চলে যাচ্ছে। তার মনটা মুহূর্তেই খা’রা’প হয়ে গেল। তবে যখন দেখল মেহজা রুমে না গিয়ে তার প্লেটে গরুর কালাভূনা তুলে দিল তখন আপনমনেই সে মৃদু হাসে। ইরফানের সেই সুন্দর হাসি দেখে মেহজাও মুখ সরিয়ে ল’জ্জা মাখা হাসি হাসে। ইরফানের খাওয়া শেষে যখন ইরফান উঠে চলে যাচ্ছিল তখন মেহজা পেছন থেকে ডেকে বলল,
-‘শুনুন!’
ইরফান আকস্মিক মেহজার ডাকে অবাক হয়। এমনভাবে ডাকল জবাব না দিয়ে সারা যায়? সে পেছন ফিরে ঠোঁটে হাসি নিয়ে বলল,
-‘বলো!’
-‘আপনাকে চা দিব নাকি কফি?’
ইরফান সকালে চা কফি খায়না। কেবল বিকেলে আর রাতে তার কফি খাওয়ার অভ্যেস আছে। তবুও বলল,
-‘কফি দিতে পারো।’
-‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’
ইরফান একটু গাঢ় দৃষ্টিতে তাকাতেই মেহজা বলল,
-‘না মানে কফি নিয়ে কোথায় যাব সেটা জানতে চাইছি।’
-‘এখন দিয়ে দাও। আমিই সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি।’
-‘না এখনই দেওয়া যাবেনা।’
-‘কেন কফি তৈরি নেই?’
-‘চা আছে। কফি বানাতে হবে।’
-‘এত ঝা’মে’লা করতে হবে না তোমার। আমাকে হয় তবে চা দাও নাহয় লাগবে না।’
মেহজার মনে হলো ইরফান রা’গ করে এভাবে বলছে। তাই সেও জে’দ ধরে বলল,
-‘রুমে থাকবেন আমি কফি নিয়ে আসছি।’
কথাটা বলেই সে রান্নাঘরে ছুটে। ইরফান সেদিকে অপলক তাকিয়ে থাকে অবাক হয়ে। তারপর হাসিমুখে সেখান থেকে চলে গেল রুমে। মেহজা কফি বেশ ভালো বানাতে পারে। হাসনা তাকে কফি সহ যা যা লাগবে এগিয়ে দিল। কফিতে যখন চিনি দিতে নেয় তখন হাসনা বলে,
-‘ভাইয়ে কপিতে চিনি কম খায়।’
মেহজা সে কথা কানেই তুলল না। সে নিজের মতো চিনি দিল।
রুমে গিয়ে ইরফানকে সোফায় বসে মোবাইলে কারো সাথে কথা বলতে দেখল। সে চুপচাপ কাপটা রেখে চলে আসতে নিতেই ইরফান খপ করে তার হাত চেপে ধরে। যার অর্থ এখন কোথাও যাওয়া চলবে না!
#চলবে।
(রি-চেইক দেওয়া হয় নি তাই ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিবেন।)